Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সরকারি বাসভবনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলল এই বৈঠক। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে।

    বৈঠক নিয়ে সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মনীয় শ্রী অমিত শাহ জির সাথে আজ ওনার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ ওনার সাথে আলোচনা হয়েছে।’’ শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘‘ ব্যস্ততা সত্বেও প্রায় ৪৫ মিনিট মতো উনি আমাকে সময় দিয়েছেন এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’ শুধু রাজনৈতিক কথাবার্তা নয়, বৈঠকে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণও জানান শুভেন্দু। জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপুজোয় বাংলায় এসে মাতৃ আরাধনার সাক্ষী থাকতে অমিত শাহকে অনুরোধ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘সম্মানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আমি আসন্ন দুর্গাপুজোয় পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’’

    বৈঠকে উঠে এসেছে শুভেন্দুর নিরাপত্তা প্রসঙ্গও

    আলোচনার সময়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তা প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায়। অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলায় তাঁকে বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় সুরক্ষার বিষয়টিও বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সংগঠনকে সক্রিয় করে তোলার জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও সক্রিয় ও চাঙ্গা করে তোলা যায়, সেই রূপরেখা নিয়েই মূলত এদিনের বৈঠকে বিস্তৃত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। তাঁদের মতে, বুথস্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করা, নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিনে ‘সেবা পক্ষ’ পালন, ১৫ দিনে বিজেপির কী কী কর্মসূচি?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিনে ‘সেবা পক্ষ’ পালন, ১৫ দিনে বিজেপির কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সেবা সপ্তাহ’ (Seva Parva) পালন করবে বিজেপি। বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর পূর্ণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, নানারকম সামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করা হবে। গোটা সপ্তাহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে সেবামূলক কাজে যুক্ত হবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় বাদনাওয়ার তহসিলের ভেনসোলা গ্রামে একটি বিশাল টেক্সটাইল পার্ক উদ্বোধন করতে চলেছেন। এই টেক্সটাইল পার্কটি “পিএম মিত্রা” (PM MITRA – PM Mega Integrated Textile Region and Apparel) প্রকল্পের অধীনে তৈরি হচ্ছে, যার লক্ষ্য ভারতে বিশ্বমানের টেক্সটাইল হাব গঠন করে রফতানি ও কর্মসংস্থানে গতি আনা।

    “সেবা পর্ব” হিসেবে পালন

    প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্ম ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের মেহসানা জেলায়। বিজেপি প্রতি বছর এই দিনটিকে “সেবা পর্ব” হিসেবে পালন করে, যা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রক্তদান শিবির, হাসপাতাল ও স্কুলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন। গত কয়েক বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন উপলক্ষে নানান জাতীয় ও সামাজিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

    ২০২৪: ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নারী-কেন্দ্রিক একটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন তিনি।

    ২০২৩: ঐতিহ্যবাহী শিল্পী ও কারিগরদের জন্য “পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা” চালু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে তিনি দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার উদ্বোধন করেন ও দিল্লি এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারিত অংশের সূচনা করেন।

    ২০২২: জন্মদিনে আফ্রিকা থেকে আনা চিতাকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করে “চিতা পুনর্বাসন প্রকল্প”-এর সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ২০২১: কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযানের গতি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

    ২০২০: অতিমারির কারণে জন্মদিন পালন হয় নিঃশব্দে, “সেবা সপ্তাহ” নামের সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে।

    ২০১৯: গুজরাটের কেভাড়িয়ায় “নমামি নর্মদা” উৎসবে অংশ নেন এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাছে এক বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘স্বস্থ নারী, সশক্ত পরিবার অভিযান’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন কেবল ব্যক্তিগত উদযাপন নয়, বরং তা পরিণত হয়েছে এক জাতীয় কর্মসূচিতে—যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকদের মধ্যে সেবা ও উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭ ​​সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে তাঁর জন্মদিনে ‘স্বস্থ নারী, সশক্ত পরিবার অভিযান’ শুরু করতে চলেছেন। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দেশব্যাপী এই অভিযানটি নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নত অ্যাক্সেস, উপযুক্ত যত্নআত্তি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তা পরিচালিত হবে। এছাড়াও এই উদ্যোগের আওতায় সারা দেশে আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির, কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার (সিএইচসি) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ৭৫,০০০ স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হবে। এই শিবিরগুলি সরকারের স্বাস্থ্যসেবার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাল রেখে নারী ও শিশুদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণ করবে।

    ‘সেবা পাক্ষিক’ পালন

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য জুড়ে একযোগে স্বাস্থ্য শিবির এবং কার্যক্রমের পরিকল্পিত সংখ্যা বিবেচনা করে প্রচারণার মাত্রা একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ডও তৈরি করতে পারে। এক বিজেপি কর্মীর কথায়, “সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পক্ষের অংশগ্রহণ এটিকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে একটি করে তুলবে।” বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি, যার মধ্যে দিল্লিও রয়েছে, প্রচারণার অংশ হিসেবে একাধিক কার্যক্রমের আয়োজন করতে চলেছে। জাতীয় রাজধানীতে নতুন হাসপাতাল ব্লকের উদ্বোধনের পাশাপাশি কর্তব্য পথে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী ১৫ দিনের সেবা পাখওয়াড়াও (Sewa Pakhwada) বা ‘সেবা পাক্ষিক’ পালিত হবে। বিশ্বকর্মা পুজো থেকে শুরু করে নবরাত্রি পর্যন্ত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর টানা এই অনুষ্ঠান চলবে। এই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পালন করা হবে। সেবা পাক্ষিকের আওতায় রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান, ক্রীড়া উৎসব, প্রদর্শনী, সংলাপ কর্মসূচি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

    ‘মোদি বিকাশ ম্যারাথন’ দৌড়ের আয়োজন

    স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই শরীরকে তরতাজা রাখতে ‘মোদি বিকাশ ম্যারাথন’ দৌড়ের আয়োজনও করা হবে। এদিকে বিজেপির যুব সংগঠন কলকাতা সহ দেশের ৭৫টি শহরে ‘নমো যুব রান’-এর আয়োজন করছে। এতে প্রত্যেক শহরে ১০ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সেবা পাক্ষিকের কর্মসূচি দুটি ধাপে হবে। প্রথম ধাপে, ১৭ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ১,০০০ জেলার বিভিন্ন স্থানে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি মণ্ডলে রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতাল, পরিবহন কেন্দ্র, মন্দির, পার্ক ও ঐতিহ্যবাহী স্থানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘বিকশিত ভারত’ বিষয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করবে।

  • Sukanta Majumdar: এয়ারপোর্টের ভিভিআইপি জোনে সুকান্তর কনভয় ঢুকতে দিল না মমতা-পুলিশ, শুরু বিতর্ক

    Sukanta Majumdar: এয়ারপোর্টের ভিভিআইপি জোনে সুকান্তর কনভয় ঢুকতে দিল না মমতা-পুলিশ, শুরু বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানানোর মুহূর্তে বিমানবন্দরে তৈরি হল বিতর্ক। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়কে হঠাৎই থামিয়ে দেয় মমতার পুলিশ। অভিযোগ, বিমানবন্দরের ভিভিআইপি জোনে ঢোকার আগে তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বলা হয় এবং বাকি পথ হেঁটেই যেতে বাধ্য করা হয় মন্ত্রীকে। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তিনি জানতে চাইলে পুলিশ জানায়—‘ম্যাডামের আপত্তি আছে।’ জানা গেছে, এই “ম্যাডাম” আসলে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক, যিনি ওই সময়ে বিমানবন্দর এলাকার নিরাপত্তা দেখভাল করছিলেন।

    সুজিতের গাড়ি ঢুকলেও কেন বাধা সুকান্তকে?

    ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি (BJP) রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে দ্বিচারিতার। তাদের বক্তব্য, প্রটোকলের অজুহাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে (Sukanta Majumdar) অপমানিত করা হয়েছে। অথচ, কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর কনভয়কে বিনা বাধায় একই এলাকায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। বিজেপির প্রশ্ন—একই জায়গায়, একই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গাড়ি নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হল কেন, অথচ রাজ্যের মন্ত্রীকে সেই ছাড় দেওয়া হল কীভাবে? গেরুয়া শিবিরের দাবি, এর মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমি ডিসির নামে একটা প্রিভিলেজ নোটিস পাঠাচ্ছি। উনি গিয়ে অধ্যক্ষকে উত্তর দেবেন। কোন এক্তিয়ারে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি উনি বিমানবন্দরের গেটে ঢুকতে দেবেন না, অথচ রাজ্যের মন্ত্রীর গাড়ি ঢুকবে? রাজ্যের মন্ত্রীর মাথায় কি দুটো সিং গজিয়েছে? তাঁদের অতিরিক্ত কী প্রিভিলেজ আছে? নিয়ম তো সবার জন্য এক হবে। যদি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আসত, তাহলেও এক কথা।”

    রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ সুকান্তর

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এখানকার পুলিশ প্রশাসন যেভাবে কাজ করছে তা অগণতান্ত্রিক। আপনারা দেখেছেন, সুজিত বাবুর গাড়ি কালও ঢুকেছিল এই চত্বরের মধ্যে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমার গাড়ি এখানে ঢুকে দেওয়া হয়নি। আমরা যখন পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলি, ওঁরা বলেন ম্যাডাম মানা করেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন ম্যাডাম ? ওঁরা বললেন, ডিসি। কোন এক্তিয়ারে একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি উনি এখানে ঢুকতে দেবেন না। অথচ রাজ্যের মন্ত্রীর গাড়ি ঢুকবে। এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ আমরা সহ্য করব না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যদি মুখ্যমন্ত্রী আসতেন তাহলে নয় আমি ভাবতাম যে হ্যাঁ মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তিনি আমাদের অনেক উপরে অবস্থান করেন, তাঁর গাড়ি আলাদাভাবে ঢুকতেই পারে। কিন্তু, রাজ্যের একজন মন্ত্রীর গাড়ি যদি এখানে ঢুকতে পারে, কেন্দ্রেরও যে কোনও মন্ত্রীর গাড়ি এখানে ঢুকতে দিতে হবে। যদি দিয়ে না থাকেন, আপনি প্রিভিলেজ ব্রিচ করেছেন।’’

  • India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    India vs Pakistan: “করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়”! ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে জবাব বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমর্দন সৌজন্যের প্রতীক, নিয়ম নয়। এশিয়া কাপে রবিবার পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি। যা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। সোমবার এ নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) দেওয়া এক বিবৃতিতে এক সিনিয়র বিসিসিআই (BCCI) কর্তা বলেন, “আইসিসি-র নিয়মবিধিতে কোথাও বলা নেই যে ম্যাচ শেষে করমর্দন বাধ্যতামূলক। এটি নিছকই এক সৌজন্যমূলক রীতি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বাস্তবতায় খেলোয়াড়দের এমন সৌজন্য প্রকাশে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।”

    কোনও অভিযোগ এখনও আসেনি

    পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগ, তৃতীয় কোনও পক্ষের নির্দেশেই নাকি ভারত এই কাজ করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে যে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি দলের সঙ্গে করমর্দন (হাত মেলানো) করতে অস্বীকার করেছেন। পিটিআইয়ের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনার পর পিসিবি বিষয়টি নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (ACC) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। তবে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই (BCCI) জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি। বিসিসিআইয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, “করমর্দন না করা কিংবা ডোর ক্লোজ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিসিসিআই-এর কাছে এসিসি থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আসেনি।”

    গম্ভীর ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দল ও কোচিং স্টাফরা একটি আলোচনায় বসেন। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। তিনি নাকি প্লেয়ারদের বলেছিলেন, “সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকো। বাইরের চিৎকারে কান দিও না। তোমাদের কাজ ভারতের হয়ে খেলা। পহেলগাঁওয়ে কী হয়েছে ভুলে যেও না। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলাবে না, বাড়তি গুরুত্ব দেবে না। শুধু যাও, নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাও।” এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া হয়নি বরং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা হয়। গম্ভীর আগেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “যতদিন না সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে, ততদিন কোনও ধরনের ক্রীড়া সম্পর্ক নয় পাকিস্তানের সঙ্গে।”

    হেরে গিয়ে বিচিত্র অভিযোগ পাকিস্তানের

    এশিয়া কাপে ম্যাচ হেরেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের অপসারণ দাবি করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইতিমধ্যে জয় শাহর আইসিসি- কাছে চিঠি দিয়েছে পিসিবি। ভারতীয় দলকে এই ম্যাচে পাইক্রফ্ট টেনে খেলিয়েছেন বলে দাবি করল পিসিবি। আম্পায়ারকে এশিয়া কাপের দায়িত্ব থেকে এখনই সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে পিসিবির তরফে। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে সলমান আগার দল। মাঠের লড়াই পারেনি। ফলে ম্যাচের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটারদের হ্যান্ডশেক না করা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেছে। এবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

    এশিয়া কাপ থেকে সরবে পাকিস্তান

    সূত্রের খবর, ভারতের আচরণে এতই অপমানিত পাক দল, যে সূর্যকুমারদের বিরুদ্ধ পদক্ষেপ না করলে চলতি এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে পাকিস্তান। এই বিষয়ে তারা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (ACC) ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে বলে খবর সামনে এসেছে। রবিবার ছিল এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) মঞ্চে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মহাযুদ্ধ। মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান (IND vs PAK)। সমগ্র ম্যাচ জুড়েই ছিল একাধিক নাটকীয় মুহূর্ত। তবে ক্রিকেটের লড়াইয়ে প্রথম থেকে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) দল এগিয়ে ছিল। ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে জায়গা কার্যত পাকা করে নিয়েছে ব্লু ব্রিগেডরা। কোনো সময়েই সালমান আলী আগার (Salman Ali Agha) দল ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ পাইনি। অন্যদিকে ম্যাচে কোনভাবেই সৌজন্য দেখায়নি ব্লু ব্রিগেডরা। মাঠের বাইরে গ্যালারিতেও চলছে লড়াই। সেখানেও এগিয়ে ভারত। খেলা যত গড়াচ্ছে তত ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে গ্যালারি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এই লড়াই ভারতীয় ক্রিকেটার ও সমর্থকদের কাছে যুদ্ধের থেকে কম নয়।

    ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা

    উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সবসময়ই উত্তেজনা এবং আবেগে ভরপুর থাকে। পহেলগাঁও হামলার পর রবিবারের ম্যাচে সেই উত্তেজনা স্পষ্ট ছিল। এমনকি দলের স্কোয়াড তালিকাও দুই অধিনায়কের মধ্যে সরাসরি বিনিময় না করে সরাসরি ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজার নাভেদ চীমা পরে দাবি করেন, ভারতীয় দলের করমর্দনে অনীহার কথা মাথায় রেখেই রেফারি স্বয়ং পাকিস্তানের খেলোয়াড় সালমান আলি আগাহ-কে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে করমর্দন করতে বারণ করেন। আগামী অক্টোবরে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত মহিলা ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। তার আগে এশিয়া কাপেও সুপার ফোরে ফের ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হতে পারে। এখন সেই ম্যাচগুলোতে কী হয় তার দিকেই নজর। তবে আপাতত, পাকিস্তান ম্যাচে ‘বয়কটে’র আদর্শ উদাহরণ রেখেছেন সূর্যরা। ব্যাটে-বলে বদলাও নিয়েছেন বাইশ গজে।

  • Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: খেজুরির দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে ফের মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে দুই বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে নতুন একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডকে এসএসকেএম হাসপাতালের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে পাওয়া আঘাতগুলির ব্যাখ্যা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    ১২ জুলাই রহস্যমৃত্যু হয়

    গত ১২ জুলাই খেজুরির এক মেলায় সুজিত দাস ও সুজিত পাইক নামে দুই বিজেপি কর্মীর (BJP Workers) মৃত্যু হয়। প্রথমে তমলুক মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের খুন করা হয়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়ে—একজনের শরীরে ২৪টি এবং অন্যজনের শরীরে একাধিক আঘাতের দাগ পাওয়া যায়। সেই থেকেই খুনের অভিযোগ ফের জোরদার হয়।

    ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে

    সোমবার আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে, নতুন মেডিক্যাল বোর্ডকে জানাতে হবে, ওই আঘাতগুলির মধ্যে কোনটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সেইসঙ্গে পুরো রিপোর্ট নিয়ে স্পষ্ট মতামতও জমা দিতে হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে (Calcutta High Court) সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এর আগেও এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট তদন্তকারী অফিসার, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, থানার ওসি ও মেলা কমিটির সদস্যদের মোবাইল কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি আদালতকে জানায়, প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক তদন্তকারী অফিসারকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন। এ নিয়ে বিচারপতি বসাক প্রশ্ন তুলেছিলেন—“তদন্তকারী আধিকারিক কেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ফোন করবেন?” প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল—মৃত্যুর কারণ শুধু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া নয়, শরীরে আঘাতের (BJP Workers) চিহ্নও রয়েছে। সেই কারণেই ফের নতুন মেডিক্যাল বোর্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে আদালত।

  • PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    PM Modi at Fort William: যৌথ সেনা কমান্ডারদের সম্মেলনের সূচনা, বিজয় দুর্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সামরিক নেতৃত্বের সর্বোচ্চ স্তরের সম্মেলন শুরু হল কলকাতায়। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম দেশের তিন বাহিনী যৌথ সেনা কমান্ডাররা সম্মেলনে অংশ নিলেন। ‘যৌথ সেনাপতি সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi at Fort William)। সোমবার ফোর্ট উইলিয়ামে (বর্তমান নাম বিজয় দুর্গ) তিনদিনব্যাপী সেনা সম্মেলনে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। মোট আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। বক্তব্য-বৈঠক শেষে দুপুর ২ টো নাগাদ কলকাতা থেকে আকাশপথে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন নরেন্দ্র মোদি।

    বিজয় দুর্গে বিশেষ বৈঠকে মোদি

    কলকাতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিজয় দুর্গে (সাবেক ফোর্ট উইলিয়াম) তিন দিনের এই কনফারেন্সের উদ্বোধন করেছেন মোদি (PM Modi at Fort William)। আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। থাকবেন ভারতের তিন সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান, সেনার উচ্চপদস্থ ও গুরুত্বপূর্ণ কর্তারা। রবিবার সন্ধ্যা প্রায় ৭টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদি কলকাতা পৌঁছোন। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওনা দেন রাজভবনে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কোনও কর্মসূচি না থাকলেও মোদিকে দেখতে ভিড় ছিল বিজেপি সমর্থকদের। ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন মোদি। সেখান থেকে তাঁর ২৪ গাড়ির কনভয় পৌঁছয় রাজভবনে। সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজনাথ সিংও। তিনি রাত কাটান ফোর্ট উইলিয়ামে।

    যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধনে মোদি

    সকালে রাজভবন থেকেই যোগ দেন সম্মেলনে। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বেরোন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi at Fort William)। সাড়ে ৯টায় ঢোকেন বিজয় দুর্গে। সেখানে যৌথ সেনাপতি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘণ্টা মোদি বিজয় দুর্গেই ছিলেন। চলতি সম্মেলনের বিষয়বস্তু ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর সংস্কার, রূপান্তর এবং পরিবর্তন। আগামী তিন দিন ধরে সেখানে ভারতীয় সেনার লক্ষ্য এবং কর্মপন্থা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই সম্মেলনে এদিন ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিব-সহ আরও বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের সচিবেরা।

    মোদির এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    উল্লেখ্য, বিজয় দুর্গে মোদির (PM Modi at Fort William) এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। একদিকে অশান্ত বাংলাদেশ। অন্যদিকে চিন সীমান্ত। তার মধ্যে আবার নেপালে পালাবদল। পরিবর্ত পরিস্থিতিতে ‘তিন ফ্রন্টে’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনার স্ট্র্যাটেজি কী হবে, কতটা প্রস্তুত বাহিনী, তা এদিন খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সুপারস্পাই’ অজিত ডোভালের এই বৈঠকে থাকাও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিরক্ষা আধিকারিকের কথায়, এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য সামরিক কাঠামোয় গভীর সংস্কার, প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ এবং বহু-মাত্রিক যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া। জানা যাচ্ছে, সেনার আধুনিকীকরণ এবং পরিকাঠামোগত সরলীকরণ নিয়েও এদিন আলোচনা হয়।

    সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সম্মেলন সেনার তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ চিন্তাভাবনামূলক ফোরাম, যা দেশের শীর্ষ অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধারণাগত ও কৌশলগত স্তরে মতামত বিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ৷ অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে, এই বছরের সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ এবারের সম্মেলনে সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, “তিনদিনের এই সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে ৷ যা ক্রমবর্ধমান জটিল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় ৷” শেষ সম্মলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে।

    চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুজোর আগে ভোটমুখী বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে এলেও তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে ঢাক-ঢোল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। দলের কর্মী-সমর্থকদের এই উৎসাহ দেখে গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান মোদিও। কয়েকদিন আগেই মেট্রোর নতুন রুটের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ফের শহরে মোদি। সোমবারই তিনি কলকাতা থেকে বিহারে যান। সেখানে তিনি ₹৩৬,০০০ কোটিরও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করেন এবং জনসভায় ভাষণ দেন। পাশাপাশি, উত্তর বিহারের বহুপ্রতীক্ষিত বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালেরও উদ্বোধন করেন।

  • Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের ( Waqf Amendment Act 2025) বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, পুরো ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই আইনের কয়েকটি ধারাকে স্থগিত রাখা গেলেও গোটা আইনকে স্থগিত রাখা যায় না। গত ২২ মে ওই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে তৈরি হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইন, ২০২৫। তারপর দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আপত্তি তুলে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজেপি বিরোধী দলগুলি। আদালতে দায়ের হয় মামলা।

    কোন কোন ধারা স্থগিত হল (Supreme Court)

    আইন অনুযায়ী, কেউ ওয়াকফ তৈরি করতে চাইলে অন্তত পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম অনুশীলনকারী হতে হবে—এই ধারা স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালত বলেছে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্ধারণের স্পষ্ট নিয়ম হয়নি।

    জেলা কালেক্টর বা প্রশাসক যাতে ওয়াকফ সম্পত্তি সরকারি জমি কি না তা নির্ধারণ করতে পারেন—এই ক্ষমতাও আপাতত বাতিল করা হল। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই স্পষ্ট মন্তব্য করেন, “কালেক্টররা ব্যক্তিগত নাগরিকদের অধিকার নির্ধারণ করতে পারবেন না। এটি ক্ষমতার বিভাজন নীতির পরিপন্থী।”

    অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ড বা কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্য মনোনয়নের বিধান বহাল থাকছে। তবে আদালতের মত, বোর্ডের ( Waqf Amendment Act 2025) বেশিরভাগ সদস্য যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের হন, সেই দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। আদালত স্পষ্ট করেছে, অমুসলিমরাও ওয়াকফ বোর্ড ও কাউন্সিলের সদস্য হতে পারবেন, কিন্তু নেতৃত্বের দায়িত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কারও হাতে দেওয়াই উচিত। নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলে চারজনের বেশি অমুসলিম সদস্য রাখা যাবে না এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে অন্য ধর্মীয় সদস্যের সংখ্যা তিনজনের বেশি হওয়া চলবে না। আদালত জানিয়েছে, ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার না হওয়া পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের অধিকার সৃষ্টি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো তাই স্থগিত থাকবে।

    মামলাকারী আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া

    মামলাকারী আইনজীবী আনাস তানভির বলেন, আদালত প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে কিছু ধারায় সমস্যা আছে। পুরো আইন নয়, শুধু বিতর্কিত অংশই স্থগিত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম চর্চার শর্ত বাতিল হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমবে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান

    কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে যুক্তি দিয়েছিল, সংসদে গৃহীত কোনও আইনের ধারা স্থগিত করা উচিত নয়। সংশোধনী মূলত ওয়াকফ সম্পত্তির ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণের জন্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর এর কোনও প্রভাব নেই। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ২০১৩ সালের সংশোধনীর আগেই অ-মুসলিমরা ওয়াকফ তৈরি করতে পারতেন না; অতীতে এ নিয়ে প্রতারণার আশঙ্কাও ছিল।

    ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতেই এই আইন

    লোকসভায় ২৮৮ জন সাংসদ সমর্থন জানিয়ে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের পক্ষে ভোট দেন, অন্যদিকে ২৩২ জন সাংসদ এর বিরোধিতা করেন। রাজ্যসভায়ও একই চিত্র—সেখানে ১২৮ জন সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং ৯৫ জন সদস্য বিপক্ষে থাকেন। ভোটাভুটির পর একাধিক রাজনৈতিক দল, মুসলিম সংগঠন এবং এনজিও আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে এই নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংসদে পাস করানো হয়েছিল। বিজেপির দাবি, সংশোধিত আইন মূলত ওয়াকফ বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে স্বচ্ছতা আনতে এবং বোর্ডগুলিতে মহিলাদের বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতেই আনা হয়েছে।

    ১.২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে

    ভারতে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে রয়েছে প্রায় ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি এবং ৯.৪ লক্ষ একর জমি। এই বিপুল সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। ফলে জমির পরিমাণের বিচারে ওয়াকফ বোর্ড ভারতীয় রেলওয়ে ও সশস্ত্র বাহিনীর পর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিকানা ধরে রেখেছে। বর্তমানে সারা দেশে মোট ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড কার্যকর রয়েছে। অতীতে একাধিকবার এনিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। দুর্নীতিমুক্ত ওয়াকফ বোর্ড গড়তেই বিজেপি সরকার এই আইন পাশ করায়।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • BJP: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প! মহালয়াতে বিজেপির ডাকে রাজ্যে ‘নমো ম্যারাথন’

    BJP: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প! মহালয়াতে বিজেপির ডাকে রাজ্যে ‘নমো ম্যারাথন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেশামুক্ত ভারত গড়ার সংকল্প নিয়েছে বিজেপি (BJP)। মোদি সরকারের এটা অন্যতম ঘোষিত কর্মসূচি। সেই লক্ষ্য়ে দেশজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও করতে দেখা যায় মোদি সরকারকে। এই আবহে মহালয়ার দিন কলকাতা ও শিলিগুড়িতে নমো ম্যারাথনের ডাক দিল বিজেপি। সল্টলেকের দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP West Bengal)। কলকাতায় এই দৌড় শুরু হবে স্বামীজীর বাড়ি থেকে এবং শেষ হবে শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির পাদদেশে। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক শহরে একই দিনে একযোগে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

    মাদক বিরোধী লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা মোদি সরকারের

    পশ্চিমবঙ্গে মাদকবিরোধী লড়াই ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। রাজ্যে মাদক পাচার ও অপব্যবহার দীর্ঘদিন ধরেই একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে রাজ্যে মোট ৪৯৮৮ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ধরা পড়ে আরও ৩১৪৫ কেজি মাদক। চলতি বছরেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে প্রায় ৫৭২৯ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে, যা স্পষ্ট করে দেয় যে পাচারচক্র এখনও সক্রিয় থাকলেও মোদি সরকারের নজরদারি ও অভিযান অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে। এই লড়াইকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এনজিওকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪.৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এনজিওগুলির জন্য, যাতে তারা স্থানীয় স্তরে সচেতনতা তৈরি, পুনর্বাসন কার্যক্রম, এবং মাদকবিরোধী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।

    ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সেবা পক্ষকাল

    লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP) জানান, যুবসমাজই ভারতের আগামী দিনের সূর্য। তাই তাঁদের নেশামুক্ত কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে সেবা পক্ষকাল। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই দিনগুলিতে রাজ্য জুড়ে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে। লকেট বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন, সেবার মাধ্যমেও রাজনীতিতে অংশ নেওয়া যায়। বিজেপি (BJP) তাঁর দেখানো পথেই এগোচ্ছে।’’

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) দাপটে পাকিস্তানকে হারাল ভারত (India vs Pakistan)। দেশের সেনাবাহিনীকে এই জয় উৎসর্গ করলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি ভারতীয় দলের তরফ থেকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। ভারত অধিনায়কের সুরেই কথা বলেছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও। খেলা শেষে তিনি বলেন, “দল হিসেবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই করে দেখিয়েছি। অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতীয় সেনার উপর গর্বিত।”

    সূচি অনুযায়ী খেলা, বাইরে কোনও সম্পর্ক নয়

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের (India vs Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে এই ম্যাচের উত্তাপ ছিল মাঠের বাইরেও। অনেকেই এই ম্যাচ বয়কট করতে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তনেরাও। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, বড় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। ভারতীয় বোর্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি নেই তাদের। তবে কোথাও ক্রিকেটারদের মাথাতেও হয়তো প্রতিবাদের কথা ঘুরছে। তাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করলেন তাঁরা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কোনও রকম সম্মান জানাননি তাঁরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সূচি অনুযায়ী খেলছেন। তার বাইরে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের।

    বাইশ গজেও বদলা ভারতের

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই দাবিই তুলেছিলেন হরভজন সিং। না ক্রিকেট, না বাণিজ্য— পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও রকম সম্পর্কই দেখতে চাননি তিনি। বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। ক্রিকেট হল। ক্রিকেট ম্যাচেও ‘বদলা’ নিল ভারত। শুধু ‘বদলা’ নয়, একেবারে দুরমুশ করে বদলা। রবিবার দুবাইয়ে ভারত জিতল সাত উইকেটে। পড়শি দেশের তোলা ১২৭/৯ ভারত টপকে গেল ২৫ বল বাকি থাকতেই। রবিবার ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কুলদীপ যাদব। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, শেষটাও সে ভাবেই হল। টসের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একে অপরকে ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছাও জানাননি। তবে সৌজন্য না দেখালেও দুই দলের কেউই বিপক্ষকে অসম্মান করেননি। খেলা শেষেও সেটাই করল ভারত। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। পাকিস্তান গোটা ম্যাচে দাঁড়াতে পারেনি। মাঠেই ‘বদলা’ নিলেন সূর্যেরা। পাকিস্তানের সঙ্গে ছেলেখেলা করে জিতলেন তাঁরা।

    উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত

    ক্রিকেট ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়ী এবং পরাজিত দুই অধিনায়কই (India vs Pakistan) কথা বলেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারও নিজের বক্তব্য রাখেন। অথচ রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা এলেনই না কথা বলার জন্য। ভারতের আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন জানান, ভারত হাত মেলায়নি বলেই প্রতিবাদস্বরূপ সলমন সাক্ষাৎকার দেননি। হেসন বলেছেন, “বিপক্ষ দলের এমন আচরণে আমরা হতাশ। যে ভাবে খেলেছি সেটা নিয়েও হতাশ। আমরা চেয়েছিলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে। সেটা হয়নি। তাই জন্যই সলমন আসেনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে। খুব হতাশাজনক ভাবে ম্যাচটা শেষ হল।” তবে, ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট। উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত। বার্তা স্পষ্ট, সন্ত্রাসে মদতকারীদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্যই চলে না। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি টিম ইন্ডিয়া।

    পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে

    রবিবার ছিল সূর্যর জন্মদিন। সেটা আরও স্পেশাল হয়ে উঠল পাকিস্তানকে হারিয়ে। তিনি নিজে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন। ভারত ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে। আর সব শেষে এসে সূর্যর বক্তব্যে মুগ্ধ দেশের ক্রিকেটভক্তরা। তিনি বলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য বলেন, “কয়েকটা কথা বলতে চাই। এর থেকে ভালো সুযোগ হয়তো পাব না। আমার মনে হয় স্পোর্টসমানশিপের ঊর্ধ্বেও কিছু জিনিস আছে। আমরা পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীরও পাশে রয়েছি। আমরা এখানে আসার সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, খেলতে আসছি। এর যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলাম। মাঠেই এর যথাযথ জবাব দিয়েছি। বিসিসিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।”

LinkedIn
Share