Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Rajnath Singh: ‘‘এটা তো ব্যঙ্গাত্মক নয়, স্বীকারোক্তি’’! মুনিরের ‘ফেরারি’ মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘‘এটা তো ব্যঙ্গাত্মক নয়, স্বীকারোক্তি’’! মুনিরের ‘ফেরারি’ মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশ পাকিস্তানকে ‘নুড়িবোঝাই ট্রাক’ আর ভারতকে নয়া ‘মার্সিডিজ’ গাড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এবার তার পাল্টা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানালেন, মুনিরের কথা ব্যঙ্গ করার মতো নয়। কারণ, সেটা আসলে স্বীকারোক্তি। পাকিস্তান কতটা দুর্বল, ওই মন্তব্যের মাধ্যমে জেনে বা না-জেনে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুনির।

    ব্যঙ্গ নয় স্বীকারোক্তি

    সম্প্রতি আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফেরারি গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে ট্রাক দিয়ে পিষে ফেলার মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়। শুক্রবার এর জবাব দেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাবতেও অবাক লাগে, সবাই নাকি বলে দুটি দেশের স্বাধীনতা একই সময়ে। কিন্তু ভারত যেখানে রাস্তায় ফেরারির মতো গাড়ি চালাচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান হাল আমলের ট্রাকেই পড়ে আছে। যদি পাশাপাশি দু’টি দেশ একসঙ্গে স্বাধীনতা পেয়ে থাকে, একটি দেশ পরিশ্রম, সঠিক নীতি এবং দূরদৃষ্টির মাধ্যমে ঝাঁ-চকচকে গাড়ির মতো অর্থনীতি তৈরি করে থাকে এবং অপর দেশটি ব্যর্থতাতেই আটকে থাকে, তবে এটা তাদের কৃতকর্মের ফল। এটা তো ব্যঙ্গাত্মক কিছু নয়। এটাই তো স্বীকারোক্তি।’’

    আধুনিক অস্ত্রে আত্মনির্ভর ভারত

    আমেরিকা থেকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে মুনির জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান যদি ধ্বংস হয়, তবে অর্ধেক পৃথিবীকে নিয়ে ধ্বংস হবে। সেই ক্ষমতা পাকিস্তানের আছে। এ প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্কল্প ইতিমধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের শক্তি নিয়ে আমরা পাকিস্তানের মনে কোনও ভ্রান্ত ধারণা গড়ে উঠতে দেব না।’’ ভারতের প্রতিরক্ষার অগ্রগতির কথা বলতে গিয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) তেজস যুদ্ধবিমানের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অসাধারণ একটা উদাহরণ হতে চলেছে তেজস। এ ছাড়া পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং ইঞ্জিন গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ করেছি।’’

    মুনিরের মন্তব্য নির্বুদ্ধিতার পরিচয়

    উল্লেখ্য, একই সঙ্গে স্বাধীন হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। তারপর থেকে ধীরে ধীরে গণতন্ত্রকে হাতিয়ার করে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। নিজেদের পরিশ্রম-মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে ভারতবাসী। মোদি সরকারের চেষ্টায় আত্মনির্ভর ভারত এখন সারা বিশ্বে দাগ কাটছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। সেখানে দিনে দিনে দারিদ্রে ঢাকা পড়ছে পাকিস্তান। তাই মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্য নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। গত জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাক সেনা প্রধান অসীম মুনির। মার্কিন শিল্পপতির ডাকা নৈশভোজে উপস্থিত হয়ে মুনির বলেছিলেন, ‘‘ভারত ঝা- চকচকে মার্সিডিজ গাড়ির মতো। পাকিস্তান হল বড় নুড়িবোঝাই ট্রাক। দুইয়ের সংঘর্ষে কী পরিণতি হবে, তা সকলের জানা।’’ কিন্তু এদিন রাজনাথ সিংয়ের এই কথার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, আদতে ভারতকে ফেরারি গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে পাক সেনাপ্রধান অসীম মুনির নিজের দেশের ব্যর্থতাকেই স্বীকার করে নিলেন। পাকিস্তান যে এখনও পিছিয়ে রয়েছে তা মুনিরের কথাতেই স্পষ্ট।

  • Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    Digital hawala of JeM: এফএটিএফ-এর নজর এড়াতে ডিজিটাল ওয়ালেট! ৩১৩টি নতুন ক্যাম্প, ৩৯০ কোটি টাকা সংগ্রহের ছক জৈশ-ই-মহম্মদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ চুপিসারে বিশাল চাঁদা সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে। অপারেশন সিঁদুরে তাদের সংগঠন একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তাই ফের নতুনভাবে (Digital hawala of JeM) পাকিস্তানে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোর পন্থায় আছে জৈশ। গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, জৈশ গোষ্ঠী পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা তালিম শিবির ও নিরাপদ ঘাঁটি তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে। এই কাজে তারা প্রায় ৩৯০ কোটি পাকিস্তানি টাকা সংগ্রহ করতে চাইছে। জৈশ-ই প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar in Pakistan) ও তাঁর ভাই তালহা আল সইফ এই প্রচার চালাচ্ছে।

    নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরে ভারত একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানার পর, পাকিস্তানে ফের সন্ত্রাসের ডানা মেলাতে সক্রিয় হয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ। গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজহার আইএসআই-এর সহযোগিতায় নতুন করে সন্ত্রাসমূলক পরিকাঠামো তৈরির ছক কষছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র। সমর্থকদের কাছে দরাজ হাতে চাঁদা দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ‘ইজিপয়সা’ এবং ‘সদাপে’-র মতো ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, তাতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যকলাপ ও তহবিল সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএটিএফ বা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের নজর বাঁচিয়ে চলা যাবে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই ডিজিটাল ওয়ালেটগুলি মাসুদ আজহারের পরিবারের ফোন নম্বরের সঙ্গে নথিভুক্ত রয়েছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন তাঁর ভাই ও ছেলে আবদুল্লা আজহার। এছাড়াও, প্রতি শুক্রবার পাকিস্তানের বিভিন্ন মসজিদে গাজাবাসীদের ত্রাণের নাম করে নগদে চাঁদা সংগ্রহ চলছে। কিন্তু, আদতে সেই টাকা যাচ্ছে জৈশের ভাঁড়ারে।

    ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ

    জৈশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেটের (Digital hawala of JeM) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে, যাতে কোনওরকম আন্তর্জাতিক নজরদারির আওতায় না আসে। এর মাধ্যমে তারা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর নজর এড়াতে চায়। পাকিস্তান ২০২২ সালে ফতাফ-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে গেলেও, ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে—জৈশের কার্যকলাপ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং পাকিস্তান তাদের মদত দিচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, মাসুদ আজহারের (Masood Azhar in Pakistan) পরিবারের সদস্যদের নামে ৫টি ডিজিটাল ওয়ালেট শনাক্ত হয়েছে। যেমন, সদাপে-র একটি অ্যাকাউন্ট তার ভাই তালহা আল সাইফ (তালহা গুলজার)-এর নামে রেজিস্টার করা হয়েছে, যা ব্যবহার করছে হারিপুরের জৈশ কমান্ডার আফতাব আহমেদ। অপরদিকে, ইজিপয়সার একটি ওয়ালেট চালাচ্ছে মাসুদ আজহারের ছেলে আবদুল্লাহ আজহার। একটি অন্য ওয়ালেট ছিল গাজা-র জন্য সহায়তা প্রদানের ছদ্মবেশে তৈরি, যার নম্বরের মালিক কাগজে ছিল খালিদ আহমেদ, তবে এটি পরিচালনা করতেন মাসুদের আরেক ছেলে হাম্মাদ আজহার। জৈশের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সংগঠন আল রহমত ট্রাস্ট বাহাওয়ালপুরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করছে। এই ট্রাস্টের নেপথ্য মালিক খোদ মাসুদ আজহার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা।

    ৩১৩টি নতুন ‘মারকাজ’ তৈরির পরিকল্পনা

    চাঁদা সংগ্রহের পাশাপাশি জৈশ নেতারা নতুন মারকাজ নির্মাণের কথাও ভেবেছেন। এগুলিকে মাসুদ আজহার সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গোপন ডেরা হিসেবে সংরক্ষিত করা হবে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই নতুন জঙ্গি তালিম শিবির খোলা হবে বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। সূত্র এও জানিয়েছে যে, চাঁদা সংগ্রহের অর্থে সংগঠন বিদেশি অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে। যেমন মেশিন গান, রকেট লঞ্চার ও মর্টার। এসবের মাধ্যমে জৈশ নতুন পরিকল্পনা করেছে। এই সব কাজে জৈশকে সক্রিয় সহায়তা দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। জৈশ-আইএসআই মিলে ৩১৩টি নতুন মারকাজ বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প তৈরি করতে চাইছে। এসব ক্যাম্প গড়ার আড়ালে মসজিদ নির্মাণের ছুতো দিচ্ছে তারা। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি নিশ্চিত যে এই পরিকাঠামো মূলত সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। প্রতিটি মারকাজ তৈরির খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১২.৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।

    বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছে অর্থ সংগ্রহ

    শুক্রবারের নামাজের সময় পাকিস্তানের মসজিদে গাজা-র সহায়তা নাম করে অনুদান তোলা হচ্ছে। পরে এই অর্থ জৈশ-এর কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের কাছ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়া—বিশেষ করে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে। মাসুদ আজহারের লেখা পোস্টার, ভিডিও, বার্তা বিভিন্ন প্রোফাইল থেকে ছড়ানো হচ্ছে যাতে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থ সাহায্য মেলে। জৈশ একসঙ্গে ৭-৮টি ওয়ালেট চালায় এবং প্রতি ৪ মাস অন্তর সেগুলো বদলে দেয়। একটি ওয়ালেটে মোটা অঙ্ক জমলে সেটি ছোট ছোট অঙ্কে ভাগ করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রায় ৩০টি নতুন ওয়ালেট তৈরি হচ্ছে প্রতি মাসে। সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক অমিত দুবে জানিয়েছেন, এসব ডিজিটাল ওয়ালেট আসলে ‘ডিজিটাল হাওয়ালা’-র মতো কাজ করছে—যেখানে কোনও প্রথাগত ব্যাংক ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না, ফলে আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়ানো যায়।

    ৮০-৯০ কোটি টাকার সন্ত্রাসী লেনদেন

    বর্তমানে জৈশ-এর এই ডিজিটাল ওয়ালেট (Digital hawala of JeM) চক্রের মাধ্যমে প্রায় ৮০-৯০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খবর। এই অর্থ ব্যবহৃত হচ্ছে অস্ত্র কেনা, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনা, মাসুদের পরিবার চালানো এবং বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে। এই অর্থের বড় অংশই মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বার্তা স্পষ্ট — পাকিস্তান যতই ফতাফ-কে মিথ্যা আশ্বাস দিক, বাস্তবে জৈশ-ই-মহম্মদের মতো সংগঠন পাকিস্তান মাটিতে আগের মতোই সক্রিয় রয়েছে, আর এবার তারা ডিজিটাল প্রযুক্তিকে অস্ত্র করে তুলেছে।

  • Bangladesh: মেঘনা থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হিন্দু সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

    Bangladesh: মেঘনা থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হিন্দু সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।”

    ‘শেষ প্রতিবেদন’ ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা (Bangladesh)

    বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বিভূরঞ্জন সরকার নিজের মোবাইল ফোন রেখে যান এবং পরিবারকে জানান (Bangladesh), তিনি পত্রিকার অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায়, তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের অফিসে ফোন করে। সেখান থেকে জানানো হয়, তিনি অফিসে যাননি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে না পাওয়ায় তার ছেলে ঋত সরকার রমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিভূরঞ্জন সরকারের শেষ লেখা “খোলা চিঠি” শিরোনামে bdnews24.com-এ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি লেখেন, শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনও রকম সুবিধা পাননি, অথচ তাঁকে আওয়ামী লিগপন্থী বলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের আর্থিক অনিশ্চয়তা, নিজের এবং সন্তানের অসুস্থতার কথা লেখেন। তিনি লেখেন, “আমার জীবনে কোনও সাফল্যের গল্প নেই। এমনকি একজন সাংবাদিক হিসেবেও আমি চেষ্টা করেও কোনও শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে পারিনি।”

    পরিবারের দাবি হত্যা করা হয়েছে

    শুক্রবার বিকালে মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও, বিভূরঞ্জন সরকারের পরিবার দাবি করেছে—এটি আত্মহত্যা নয়, বরং তাঁকে হত্যা করা হয়েছে (Bangladesh)। রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মাসুদ আলম জানান, “বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কীভাবে সেখানে গেলেন, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে।” বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের অনেকেই মনে করেন, বিভূরঞ্জন সরকার আওয়ামি লিগের সমর্থক ছিলেন। যদিও তিনি নিজে কখনও সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলীয় পদে যুক্ত ছিলেন না, তাঁর লেখালিখিতে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে সর্বদা। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে সেক্ষেত্রে বিভূরঞ্জন সরকারের মৃত্যুকে নিছক আত্মহত্যা বলে মনে করা কঠিন হয়ে পড়ে। আজকের বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি সহিংসতা, মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, জমি দখল, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচারে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক যে—এই সাংবাদিকের মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে।

  • Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    Hinduism: “হিন্দু ধর্ম থেকে আলাদা নয় হিন্দুত্ব”, যুগান্তকারী রায় ব্রিটেনের হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী রায় দিল ব্রিটেনের হাইকোর্ট অফ জাস্টিস। এই মামলায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্রিটেনের আদালত বলল যে হিন্দু ধর্ম (Hinduism) এবং হিন্দুত্ব হল অভিন্ন—এই দুটোকে কখনো আলাদা করা যায় না। একইসঙ্গে এক ইসলামিক কর্মী মহম্মদ হিজাবের করা মানহানির মামলাও খারিজ করল ব্রিটেনের উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, মহম্মদ হিজাব মামলা করেছিল স্পেক্টেটর নামে একটি পত্রিকা এবং তার লেখক ডগলাস মুরির বিরুদ্ধে।

    হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল এই রায়

    স্বাভাবিকভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দুদের (Hinduism) এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এই রায় মর্যাদা আনল এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু-বিরোধীদের কাছে বড় আঘাত হানল। কারণ, হিন্দু ধর্মের সমালোচকরা—প্রায় এদের মধ্যে অনেকে ভারতীয়—দাবি করেন যে হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে, হিন্দুত্বের জিকির তোলা হচ্ছে, ইত্যাদি। হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা আলাদা ধরনের রাজনৈতিক ও মৌলবাদী মতাদর্শ হিসাবে, এবং হিন্দু-বিরোধীরা এই নেগেটিভ দিকটা তুলে ধরে বলতে চায় যে সনাতন ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম থেকে হিন্দুত্ব পৃথক। কিন্তু এই রায় স্পষ্ট করল যে হিন্দুত্ব হল সনাতন ধর্মেরই অংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে এই রায়ের প্রতিধ্বনি পৌঁছে গেছে ব্রিটেনের বাইরেও—এমনকি আমেরিকাতেও। সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বিতর্ক ছড়ানো হয়েছে যেখানে বলা হয়, হিন্দু ধর্ম সত্যিই একটা গ্রহণযোগ্য ধর্ম এবং তার যে আধ্যাত্মিক অংশ রয়েছে, সেটাই। অন্যদিকে হিন্দুত্বকে দেখানো হয় একটা মৌলবাদী মতাদর্শ (Hinduism) হিসেবে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে নস্যাৎ করল ব্রিটেনের কোর্টের এই রায়।

    জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ

    এর সঙ্গে সঙ্গে জোরালো হল পৃথিবী জুড়ে হিন্দু সংগঠনগুলির আওয়াজ, যারা জনমানুষে হিন্দুদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে জানাচ্ছেন—হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনো আলাদা নয় এবং একে অপরের থেকে পৃথক করা যায় না। এর সঙ্গেই যেভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে বুদ্ধিজীবীরা এই দুটোকে আলাদা করতে চান, তাদের মুখের উপর জবাব পড়ল। উত্তর আমেরিকায় থাকা হিন্দু সংগঠনগুলি এবং হিন্দু কর্মীদের মধ্যে প্রবল আত্মবিশ্বাসও সঞ্চার করল এই রায়—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব (Hindutva)

    এর সঙ্গে সঙ্গে এক আইনি স্বীকৃতিও পেল হিন্দুত্ব, যেটাকে কিনা বিভিন্ন সময়ে অবমাননা করেছে—বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের এক শ্রেণির একাংশ। শুধুমাত্র তাই নয়, বিভিন্ন বামপন্থী স্কলাররাও এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবে অনেকেই মনে করছেন, যেভাবে হিন্দুত্বকে (Hindutva) আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হল, এর ফলে আগামী দিনে হিন্দু সংগঠনগুলি হিন্দুত্বের দাবিতে যে লড়াই লড়বে, তা অনেক সহজ হয়ে গেল। এবং সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের এই কোর্টের রায়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যাবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এবার আসা যাক এই মামলাটি সম্পর্কে—যে মামলায় এই ঐতিহাসিক রায় দিল ব্রিটেনের আদালত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেক্টেটর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল Leicester and the Downside of Diversity. এই প্রতিবেদনটি লেখেন ডগলাস মুরি। এই প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয় যে, লেস্টারের দাঙ্গায় মহম্মদ হিজাব জড়িত ছিল এবং বলা হয়, সে সময় সে লেস্টারে ভ্রমণ করেছিল, এবং অত্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিল। তার নিজের বক্তব্যে হিন্দুদেরকে উপহাস করেছিল মহম্মদ হিজাব। শুধু তাই নয়, সে বলেছিল—হিন্দুরা দুর্বল, কাপুরুষ এবং তারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। তার বিরুদ্ধে এই লেখা সামনে আসতেই মহম্মদ হিজাব একটি মামলা করে, যেখানে সে দাবি করে, এক্ষেত্রে ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। এরপরেই, যখন ওই মামলার শুনানি শুরু হয়, তখনই আদালত মহম্মদ হিজাবকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, সে পরিকল্পনামাফিক হিন্দুদেরকে টার্গেট করেছে, তাঁদের উপহাস করেছে এবং হিন্দুদের বিশ্বাস ও ধর্মে (Hinduism) আঘাত দিয়েছে। তখন মহম্মদ হিজাব পাল্টা যুক্তি দেয় যে সে হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করেছে, হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু তার এই কথা একেবারেই গ্রহণ করেনি ব্রিটেনের আদালত। এরপরেই আদালত ঐতিহাসিক রায় দেয় এবং বলে যে হিন্দুত্ব এবং হিন্দু ধর্ম কখনও পৃথক নয়। দুটোই সমান—একটিকে অপরটি থেকে কোনওভাবেই আলাদা করা যায় না।

  • Daily Horoscope 23 August 2025: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 August 2025: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

     

    মিথুন

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

     

    কর্কট

    ১) দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ।

    ২) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা।

    ২) কোনও মহিলার জন্য বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ২) চাকরির শুভ যোগাযোগ লাভে আনন্দ।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসার কাজে মাথাগরম করবেন না।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi in Kolkata: ‘‘বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম’’, বৃষ্টিস্নাত বিকেলে তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Kolkata: ‘‘বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম’’, বৃষ্টিস্নাত বিকেলে তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতাবাসী পেল নতুন তিন মেট্রো লাইন (Metro Railway Projects)। এই নতুন পরিষেবা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বড় পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিন রুটের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল কলকাতার পরিবহণ মানচিত্রও। শুক্রবার বৃষ্টিস্নাত বিকেলে এই তিন সম্প্রসারিত মেট্রো লাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ পর্যন্ত নবনির্মিত ইয়লো লাইন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বেলিয়াঘাটা পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন এবং গ্রিন লাইন- ১ ও ২ অর্থাৎ শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধে থেকেই সাধারণ মানুষ চড়তে পারবেন নয়া লাইনের মেট্রোয়।

    রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়া ভিড়

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করেন সম্প্রসারিত মেট্রোর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, শান্তনু ঠাকুর এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নয়া মেট্রো পথের উদ্বোধনের পরেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠের দিকে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়। ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ মানুষ। গাড়ির মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রীকেও হাত নাড়তে দেখা যায়।

    ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস

    দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে পৌঁছে প্রথমে সরকারি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন তিনি। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এদিন ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি নানা প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করে মোদি বলেন, “আজ অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব আনন্দ হয়েছে। এই মেট্রো যাত্রা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে। সেখানে দমদম, কলকাতার বড় ভূমিকা থাকবে।” হাওড়া থেকে শিয়ালদা মেট্রোর নতুন রুট চালু হওয়ায় যাত্রীদের অনেক সময় বাঁচবে বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্তব্য করেন।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক এখন ভারতে। কলকাতার গণপরিবহণের খরচ আরও কমল। যাতায়াতের আরও সুবিধা হল। শিয়ালদা, হাওড়ার মতো ব্যস্ত রেলস্টেশনের সঙ্গে মেট্রো জুড়ে গেল। তার ফলে ঘণ্টার সফর এখন কয়েক মিনিটে হয়ে যাবে। একইভাবে বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সহজ হল। আজ আরও একবার বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম। সকলেই খুশি যে কলকাতার গণপরিবহণ আধুনিক হচ্ছে। কলকাতাবাসী, বাংলাবাসীকে অনেক শুভেচ্ছা। কলকাতা মেট্রো আগে ২৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী ৩৯ কিলোমিটার সম্প্রসারণ করেছেন। আরও ২২ কিলোমিটার সম্প্রসারণ হবে।”

    কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ৫২০০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। জনসভা শুরুর আগে সেন্ট্রাল জেল ময়দানে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে তিনি শিলান্যাস করেন ছয় লেনের এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের। ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

    মেট্রোয় জুড়ল শহর

    শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির পথে আরও একধাপ। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই এক মেট্রোয় হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা। মেট্রো সূত্রে খবর, হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ যেতে যাত্রীদের সময় লাগবে ৩২ মিনিট। আর হাওড়া থেকে ৩০ মিনিট মতো। বাসে যেতে ঘণ্টা দেড়েক লাগত তাই এবার পাতালপথে লাগবে আধ ঘণ্টা। হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভে ভাড়া ২৫ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো পুরো যাত্রাপথে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। নোয়াপাড়ার সঙ্গে যুক্ত হল দমদম বিমানবন্দর (জয় হিন্দ)। শিয়ালদহের সঙ্গে যুক্ত হল এসপ্ল্যানেড। রুবির (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে জুড়ল বেলেঘাটা (মেট্রোপলিস)। মোট ১৪ কিলোমিটারের পথ। নোয়াপাড়া থেকে দমদম বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) প্রায় ৬.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে দুটি ট্রেন চলবে এবং প্রতিটির মধ্যে ১৫ মিনিটের ব্যবধান থাকবে। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ (ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু) এই রুট চালু হওয়ায় মাত্র ১২ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে হাওড়া পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। রুবি থেকে বেলেঘাটা মেট্রো প্রায় ৪.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশটি চালু হওয়ায় শহরের পূর্ব অংশের যাত্রীদের খুব সুবিধা হবে।

  • PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    PM Modi in Bihar: ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে যারা…’’, বিহার থেকেই তৃণমূলকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar)। শুক্রবার বঙ্গে আসার আগে গয়ার (Gaya) এক সভা থেকেই মোদি তাঁর ভাষণে বাংলাকে ইঙ্গিত দিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Infiltrators) দেশ থেকে তাড়ানোর সংকল্পের কথা জানিয়ে দেন। বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এরপর খুব শীঘ্রই জাতিগত জনসংখ্যা গণনা দিকে পা বাড়াবে কেন্দ্র।

    দেশের অন্যতম বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ

    বিহারের জনসভা থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘দেশের এক অন্যতম বড় সমস্যা হল অনুপ্রবেশের। বহু জায়গাতেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যা বিন্যাস। বিশেষ করে বিহারের সীমানা জেলাগুলিতে। আমি চাই না বিহারের তরণ প্রজন্মের উপার্জনের পথ অনুপ্রবেশকারীরা বন্ধ করে দিক। তাই যে সব দল এই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছে, তাদের চিনে রাখুন।’’ মোদির কথায়, ‘‘দেশে অবৈধ অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা উদ্বেগের বিষয়। বিহারের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে, জনসংখ্যার চিত্র দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এনডিএ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অবৈধ অভিবাসীদের আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়া হবে না। আমরা অভিবাসীদের বিহারের জনগণের জন্য নির্ধারিত চাকরি কেড়ে নিতে দেব না…।’’

    মানুষকে সজাগ থাকার বার্তা

    বিহারের মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে মোদি (PM Modi in Bihar) বলেন, ‘‘আপনারাও সজাগ থাকবেন যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী আপনাদের হক ছিনিয়ে না নিতে পারে। কোন কোন দল অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করুন। ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে কংগ্রেস-আরজেডি সবকিছু করতে পারে। ওরা যে কোনও স্তরে নেমে যেতে পারে। বিহারকে ওদের অশুভ দৃষ্টি থেকে বাঁচাতেই হবে। রাজ্যের মানুষের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনংখ্যা বিন্যাস সংক্রান্ত এই হুমকি মোকাবিলা করার জন্য, আমি একটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক মিশন শুরু করার প্রস্তাব করেছি। এই মিশন শীঘ্রই তার কাজ শুরু করবে। আমরা প্রতিটি অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করব… বিহারের জনগণকে দেশের এই অভিবাসীদের সমর্থকদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে… কংগ্রেস এবং আরজেডি বিহারের জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে চায় এবং তুষ্টির জন্য এবং তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর জন্য অভিবাসীদের হাতে তুলে দিতে চায়।’’

    অশ্বত্থ পাতায় মোদিকে স্বাগত

    পশ্চিমবঙ্গ সফরের আগে শুক্রবার বিহারে (Bihar) জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিহারের খ্যাতনামা স্যান্ড আর্টিস্ট মধুরেন্দ্র (Sand Artist Madhurendra) এক অভিনব পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বিহারের গয়া জি-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে অশ্বত্থ পাতায় (Peepal Leaf) তাঁর ছবি খোদাই করেছেন মধুরেন্দ্র। মোদির সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের (Gautam Buddha) প্রতিচ্ছবি এবং দুটি ট্রেনের প্রতিচ্ছবিও রয়েছে। এই অভিনব শিল্পকর্ম দিয়েই গয়ার ঐতিহ্য ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে একসঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন শিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুরেন্দ্র তাঁর ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘গয়া হল শান্তি ও আধ্যাত্মিকতার ভূমি। তাই বুদ্ধমূর্তি ও উন্নয়নের ভাবনাকে একসঙ্গে মিশিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছি।’’

  • Swaraj Paul Demise: প্রয়াত অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Swaraj Paul Demise: প্রয়াত অনাবাসী ভারতীয় শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি লর্ড স্বরাজ পল (Lord Swaraj Paul) ৷ পরিবার সূত্রে খবর,স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডনে এই অনাবসী ভারতীয় শিল্পপতির জীবনাবসান হয়েছে ৷ দিন কয়েক আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ সেখানেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শোকবার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের সংসদের উচ্চকক্ষে তাঁর সতীর্থ লর্ড ব়্যামি রেঞ্জারও ৷ স্বরাজ পল ব্রিটিশ শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্যাপারো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা

    স্বরাজ পালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখছেন, ‘শ্রী স্বরাজ পলজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প এবং জনসেবায় তাঁর অবদান এবং ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতি তাঁর অটল সমর্থন সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমাদের বহু আলাপচারিতার কথা আমি আন্তরিকভাবে স্মরণ করি। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।’ এই অনাবাসী শিল্পপতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া শিল্পমহলে।

    স্বরাজ পলের জীবনধারা

    ব্রিটেনে তাঁর ব্যবসায়িক জীবনের বিস্তার হলেও স্বরাজ আদতে পাঞ্জাবের জালন্ধরের বাসিন্দা। ১৯৩১ সালে সেখানেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। বাবা পেয়ারে লাল ছিলেন ব্যবসায়ী৷ স্টিলের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির কারখানা ছিল তাঁর৷ জলন্ধরে প্রাথমিক পঠনপাঠনের পর উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন লাহোরে৷ সেখানকার ফরমান খ্রিস্টান কলেজে পড়া শেষ করে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান আমেরিকা৷ ম্য়াসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ডিগ্রিও পান৷ পড়া শেষে দেশে ফিরে এসে বাবার তৈরি এপিজে গ্রুপে দুই ভাই সত্য পল এবং জিৎ পলের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ৷

    ক্যাপারো গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ-এর শুরু

    ১৯৬৬ সালে তাঁর কন্যা অম্বিকার চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে যান স্বরাজ। তবে অম্বিকাকে বাঁচানো যায়নি। কন্যার মৃত্যুর পর স্বরাজও আর ভারতে ফেরেননি। সেখানেই শুরু করেন নিজের ব্যবসা। প্রতিষ্ঠা করেন ‘ক্যাপারো গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’। পরে তৈরি করেন অম্বিকা পল ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা৷ শিশুদের চিকিৎসা-সহ নানা ব্যাপারে সাহায্য করে এই সংস্থা৷ দেশ থেকে এত দূরে থাকলেও ভারতের সঙ্গে কোনওদিন মানসিক দূরত্ব বাড়তে দেননি৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সুস্পর্কের কথা সর্বজবিদিত৷ ইংল্যান্ড গেলে ভারতের বহু বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন ৷

    সমাজসেবায় যুক্ত

    পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তাঁর সংস্থা ক্যাপারোর ৪০টি দফতর আছে ৷ উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে শুরু করে ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যে নিজের দফতর তৈরি করেছিলেন এই প্রয়াত শিল্পপতি ৷ এখন ক্যাপরো ইন্ডিয়ার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর ছেলে আকাশ পল ৷ শুধু শিল্পপতি হিসেবে নয়, ‘হাউস অফ লর্ডস’-এর সক্রিয় সদস্য হিসাবেও পরিচিত ছিলেন স্বরাজ। বাণিজ্য, শিক্ষা বা নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে তাঁর কাজ সমাদৃত। স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে তাঁর জনহিতকর কাজ বহুল আলোচিত। এক সময় লন্ডন চিড়িয়াখানা বন্ধের কথা ওঠে, সেই সময় অনেকের মতো তা বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বরাজ। লন্ডনে ব্যবসা করলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি কখনই। ভারত এবং ব্রিটেন মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির জন্য স্বরাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

  • GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    GST 2.0: জিএসটি-তে বড় পরিবর্তন! কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে বহু জিনিসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির খবর। দেশে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি (GST) ব্যবস্থায় আসতে চলেছে বড় পরিবর্তন। বর্তমান চার-স্তরীয় কর কাঠামোর বদলে দুটি প্রধান স্তরে জিএসটি আনার যে প্রস্তাব কেন্দ্র দিয়েছিল, তা গ্রহণ করেছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী (GoM)। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হলে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিগোষ্ঠী কেন্দ্রের প্রস্তাবে সায় দেওয়ায় জিএসটি ২.০-এর (GST 2.0) পথ প্রশস্ত হল। এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হল কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ, সরল এবং স্বচ্ছ করে তোলা, যাতে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ উভয়েরই সুবিধা হয়।

    নতুন জিএসটি কাঠামো

    জিএসটি-র এই নতুন ব্যবস্থায় মূলত দুটি করের হার থাকবে ৫% এবং ১৮%। বর্তমানে দেশে চারটি প্রধান জিএসটি হার রয়েছে: ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। নতুন কাঠামোয় ১২% এবং ২৮% -এই দুটি স্তরকে পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে করের হিসাব রাখা এবং রিটার্ন ফাইল করা অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন জিনিস কোন স্তরে

    যে সমস্ত পণ্যের উপর বর্তমানে ১২% হারে জিএসটি (GST 2.0) নেওয়া হয়, তার প্রায় ৯৯% জিনিসই নতুন ব্যবস্থায় ৫% করের আওতায় চলে আসবে। এর মধ্যে ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোশাক, জুতো এবং অন্যান্য গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকতে পারে। একইভাবে, যে সমস্ত পণ্যের উপর এখন ২৮% কর বসে, তার প্রায় ৯০% জিনিসপত্র ১৮%-এর স্তরে নেমে আসবে। এর ফলে বড় টেলিভিশন, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ক্ষতিকর ও বিলাসবহুল পণ্য

    সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত পণ্যে করের বোঝা কমানো হলেও, ক্ষতিকর এবং অতি-বিলাসবহুল কিছু পণ্যের উপর বাড়তি কর চাপানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল, বিলাসবহুল গাড়ি ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন গুডস’ বা ক্ষতিকর পণ্যের উপর সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত কর বসানো হতে পারে। এর উদ্দেশ্য হল একদিকে যেমন এই সব পণ্যের ব্যবহার কমানো, তেমনই সরকারের রাজস্ব আদায়ও নিশ্চিত করা।

    সাধারণ মানুষের জীবনে কী প্রভাব

    এই প্রস্তাব আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা জিএসটি (GST Reform) কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে কেন্দ্র ও সব রাজ্যের মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। এই পদক্ষেপকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত “নেক্সট-জেনারেশন জিএসটি সংস্কার”-এর প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নতুন জিএসটি ব্যবস্থা চালু হলে সাধারণ মানুষের জীবনে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। এই হার সংস্কার বিষয়ক মন্ত্রীগোষ্ঠীতে কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও কর্ণাটকের মন্ত্রীরা রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই সংস্কার থেকে সম্ভাব্য রাজস্ব হ্রাস নিয়ে বেশ কিছু রাজ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই কারণে, রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দাবি করেছে। উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না বলেন, ১২% ও ২৮% করের স্তর তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে। তিনি জানান, ৫-৭টি পণ্যই মাত্র উচ্চ করের আওতায় থাকবে।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও সহজ কর ব্যবস্থা

    জিএসটি-র (GST Reform) এই পরিবর্তনে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমায় মূল্যবৃদ্ধির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। বিশেষত, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মাসিক খরচের বোঝা কমবে। করের স্তর কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের জন্য জিএসটি রিটার্ন ফাইল করা এবং অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলা আরও সহজ হবে। এর ফলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হবে। দুটি মাত্র করের হার থাকায় পুরো ব্যবস্থাটি আরও স্বচ্ছ হবে এবং কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, এই সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। এখন মন্ত্রিগোষ্ঠীর এই সুপারিশ জিএসটি কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সেখানে সবুজ সংকেত পেলেই দেশজুড়ে চালু হবে ‘জিএসটি ২.০’, যা ভারতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

  • Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলার অভিযোগ ছিল রাজ্যের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এরপরে এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নবান্নকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের সভা থেকে সপ্তম সুরে বলেছিলেন যে, কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ব্যবস্থা নেবেন না। এরপরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারপরেই রাজ্যের ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হল মমতা সরকার। যে তর্জন-গর্জন মুখ্যমন্ত্রী শুনিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামে, তা আর ধোপে টিকল না নির্বাচন কমিশনের সামনে—সাসপেন্ড করতেই হল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও করবেন মুখ্যসচিব।

    ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে গত ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন এবং ওই চিঠিতে (Election Commission) উল্লেখ করা হয় যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে, বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে এবং তাদেরকে সাসপেন্ড করতে হবে। এ জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল (West Bengal)। কিন্তু এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কারোর পানিশমেন্ট হতে দেব না।’’

    ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন

    পরবর্তীকালে ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে (West Bengal) দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন। তারপরেই বৃহস্পতিবার সামনে এল খবর এবং নবান্ন সূত্রে জানা গেল যে, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সামনে মমতার অবৈধ ভোটারদের পক্ষের যে প্রতিবাদ, তা টিকল না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—সরকারি আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে যে তাঁরা অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন যখন পদক্ষেপ করতে বলছে, তখন কেন রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করছিল এতদিন? কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে গিয়ে কি অবৈধ ভোটারদের তালিকায় রেখে দিতে চাইছিল নবান্ন? এ প্রশ্নও উঠছে। তবে এসবের মাঝে ওই আধিকারিকদের সরাতেই হল।

LinkedIn
Share