Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সরকারি জমির অবাধ ব্যবহার সম্পর্কে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলার একটি পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য একটি হিন্দু সংগঠনকে (Hindu Community) অনুমতি দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) মাদুরাই বেঞ্চ। গত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে খ্রিস্টান ইস্টার উদযাপনের জন্য এই স্থানটি একচেটিয়াভাবে সংরক্ষিত ছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি বলেছেন, দেশের সংবিধান ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে সকল ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে নিশ্চয়তা দেয়। আর তাই হিন্দু সংগঠনের পক্ষে রায় দেয় কোর্ট।

    অন্যায্য আচরণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Madras High Court)

    আদালত (Madras High Court) ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, এই অধিকার রক্ষা করা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তব্য। তারা কেবল সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কথা উল্লেখ করে কোনও অনুষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করতে পারে না। পরিবর্তে, পুলিশকে অবশ্যই একজন ব্যক্তির অধিকারের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং উদ্ভূত যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। কালীয়াম্মন মন্দিরের কাছে একটি উন্মুক্ত জন সাধারণনের ময়দানে অন্নধনম অনুষ্ঠান (Hindu Community) করতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাঠ ব্যবহারের অনুমতি তো দেওয়াই হয়নি, উল্টে তাঁকে পাবলিক রাস্তার পাশে একটি জায়গায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে তাঁর প্রতি অন্যায্য আচরণ মনে করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত পুলিশকে জিজ্ঞাসা করে কেন অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে? পুলিশের উত্তর, এটি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা তাদের।

    জমির মালিকানা সরকারের

    মামলা চলাকালীন জানা গিয়েছে ১০০ বছর আগে ময়দানের একপাশে একটি মঞ্চ করা হয়। আর এই মঞ্চ কেবলমাত্র ইস্টারের উৎসবের সময়ে খ্রিষ্টানরাই ব্যবহার করতে পারত। তবে ২০১৭ সালে শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত ১০০ বছর ধরে যারা অনুষ্ঠান করে আসছে কেবলমাত্র তারাই পারবে এই অনুষ্ঠান করতে। তবে মামলায় উঠে আসে জমির মালিকানার অধিকার রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। তাই বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন বলেন, সরকারি জমিতে সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত।

    আদালত গ্রামের জনসংখ্যার দিকেও নজর দিয়েছে। যেখানে প্রায় ২,৫০০ খ্রিস্টান পরিবার এবং ৪০০ হিন্দু পরিবার রয়েছে। মনে হচ্ছে পুলিশ কেবল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরোধিতাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হিসাবে উল্লেখ করেছে। বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথন তাই প্রশাসনের এই ভাবনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্যান্য ধর্মের লোকদের (Hindu Community) অংশগ্রহণ থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

  • 150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপন পর্বে ১০০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রার প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারক সংগঠন আর্য সমাজের (150 Years Arya Samaj) ১৫০ বছর অর্থাৎ সার্ধশতবর্ষের পূর্তিকে মাথায় রেখে ১৫০ টাকার স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে মোদি সরকার। আর্য সমাজের বিশেষ প্রতীক হল জ্ঞান, আলো এবং সত্যের চিন্তা। এই ভাবনাকেই মাথায় রেখে ১৫০ টাকার মুদ্রায় দেবনাগরী লিপিতে খোদাই করে পবিত্র গায়েত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

    বর্ণ বৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার বিরোধী আর্য সমাজ (150 Years Arya Samaj)

    ব্রিটিশ ভারতের ১৮৭৫ সালে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষকে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক জাগরণের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় কাজ করেছে আর্য সমাজ। ‘বিশ্বকে মহৎ করুণ’-এই নীতিবাক্য নিয়ে শিক্ষা, নারীর সম্মান, ক্ষমতায়ন, বৈদিক মূল্যবোধের বার্তাকে সকল জনসমাজের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। তবে গায়েত্রীমন্ত্রের গভীর আধ্যাত্মিক শিকড় এবং সংস্কার মূলক ভবানার কথাকেই বেশি বেশি করে প্রচার করত এই সংগঠন। তাঁদের আরেকটি বড় কাজ ছিল সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, অস্পৃশ্যতা, জাতিগত বৈষম্য সহ একাধিক সামাজিক কুপ্রথাগুলি থেকে মানুষকে বাঁচানো। হিন্দু সমাজের মধ্যে সংস্করণ আনাই ছিল আসল উদ্দেশ্য।

    উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা

    নতুন স্মারক মুদ্রাটি ১৫০ টাকার। এটি নিকেল এবং রূপার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি। স্থায়িত্ব এবং মূল্যের বিচারে এই মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম এবং আর্য সমাজের প্রতীক। এই মুদ্রায় গাঁথা গায়েত্রী মন্ত্র (Gayatri Mantra) স্বয়ং ঈশ্বর জ্ঞানের প্রতীক। এই মুদ্রা স্বামী দয়ানন্দের (150 Years Arya Samaj) দৃষ্টিভঙ্গিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরে। এই প্রতীকী মুদ্রার মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা, জ্ঞান প্রদীপের প্রকাশ দিয়ে হিন্দু সমাজের জাগরণের বিরাট কাজ করেছেন স্বামী দয়ানন্দ। একদিকে খ্রিষ্টান মিশনারি এবং অপর দিকে কট্টর ইসলাম দুইয়ের মধ্যে হিন্দু সামজকে সংহত করার কাজ করেছে আর্য সমাজ। ভারতীয়ত্ববোধ, ভারতীয় ইতিহাস, মূল্যবোধ, ধর্মচিন্তা, দর্শন, সাহিত্যকে উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। পরাধীন ভারতে ভারতীয়দের মধ্যে ভারতীয়ত্ববোধের জাগরণ ঘটিয়েছে আর্য সমাজ। ভারত কীভাবে শতশত বর্ষ ধরে নিজের জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আর্য সমাজ। এই সামাজিক সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।

  • Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রাসপূর্ণিমায় দেব দীপাবলি (Dev Deepavali) উদযাপনে বারাণসীর রাজঘাটে বিরাট প্রস্তুতির আয়োজন করেছে যোগী সরকার। কাশীধাম (Varanasi) জুড়ে রাতভর পালিত হবে দেব দীপাবলি। দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা এই আলোর উৎসব উদযাপন দেখে ভিড় করবেন। কাশীর গঙ্গাবক্ষের ঘাটগুলিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে পালিত হয় দেব দীপাবলি। এই বছর লেজার শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের বিশেষ আয়োজন করেছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যে এখন থেকেই ভক্তদের সমাগম হতে শুরু করেছে তীর্থধাম শিবনগরী।

    রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে (Dev Deepavali)

    দেব দীপাবালি (Dev Deepavali) উপলক্ষে এই ভব্য আয়োজনকে সামনে রেখে বারাণসীর বিভাগ কমিশনার এস রাজলিঙ্গম বলেন, “মানুষ এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহী হয়ে রয়েছেন। এই বছর গঙ্গার ঘাটে ঘাটে দেব দীপাবলির আয়োজন করা হবে। গতবারের মতো এই বারেও লেজার শো-এর আয়োজন করা হবে। রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে। অনেক শিল্পীরা থাকবেন। সকলের সহযোগিতা এবং উদ্যোগ দেব দীপাবলির অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করবে।”

    ১ নভেম্বর থেকে শুরু অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর ৫ নভেম্বর পালিত হবে দেব দীপাবলির আসল উৎসব। কাশী (Varanasi) এখন দেবদীপাবলির জন্য সম্পূর্ণভাবে সেজে উঠেছে। রাজঘাটে ইতিমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বড় বড় শিল্পীরা যোগদান করেছেন। প্রতিদিনের পরিবেশনায় উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন পণ্ডিত মাতা প্রসাদ, পণ্ডিত রবিশঙ্কর মিশ্র, দিবাকর কাশ্যপ, পণ্ডিত সন্তোষ নাহার, পদ্মশ্রী গীতা চন্দন, বিদুষী কবিতা দ্বিবেদী, পদ্মশ্রী মালিনী অবস্থি, রাহুল রহংসী, রাহুল রাজকন্যা।

    ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে

    কাশীর অর্ধচন্দ্রাকৃতি গঙ্গারঘাটগুলিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে ৫ নভেম্বর ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। তবে সরকারি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সমস্ত প্রদীপ গোবর থেকে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত প্রদীপ পরিবেশ বান্ধব, ঐতিহ্যবাহী এবং গুণমান সম্পন্ন। পরিবেশের সঙ্গে সবরকম ভারসাম্য বজায় রেখে এই প্রদীপ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনও উৎসব পার্বন যাতে পরিবেশ বান্ধব হয় সেই দিকে বিচার করেই এই ভাবনাকে বাস্তবায়ন করেছে যোগী সরকার। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গঙ্গা মহোৎসব (Varanasi) পালন করা হবে। এরপর ৫ নভেম্বর পূর্ণিমায় পালিত হবে দেব দীপাবলি (Dev Deepavali)। বাংলায় অবশ্য এই সময় রাস পূর্ণিমা বা রাস মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। শান্তিপুর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর এবং কোচবিহারের রাস জগৎ বিখ্যাত।

  • Daily Horoscope 02 November 2025: কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 02 November 2025: কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবারের বন্ধু ও সদস্যদের সঙ্গে পার্টি করতে পারেন।

    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে রোম্যান্টিক ডিনারে যেতে পারেন।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    বৃষ

    ১) কোনও কাজ করতে নিজের শক্তি ব্যবহার করতে পারেন, তা না-হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    ২) রেগে গিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যার মুখোমুখি হবেন।

    ৩) চাকরিতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে এবার স্বস্তি পাবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি অবসাদপূর্ণ থাকবে।

    ২) সন্তানের কেরিয়ারের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    কর্কট

    ১) শারীরিক সমস্যা থাকলে তাতে উন্নতি হবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ৩) বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কাজের কারণে দৌড়ঝাপ করতে হবে।

    ৩) তখনই ভালো অর্থ উপার্জনে সফল হবেন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

    ২) সব পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকুন।

    ৩) নিজের কাজের চেয়ে বেশি অন্যের কাজে মনোনিবেশ করবেন, যার ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

    তুলা

    ১) পারিবারিক জীবনে সঙ্গীর সঙ্গে একা কিছু সময় কাটাবেন, তাঁর চিন্তাভাবনা বুঝবেন।

    ২) সাবধানে গাড়ি চালান, তা না-হলে দুর্ঘটনা সম্ভব।

    ৩) বাবার স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকতে হবে, শারীরিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজ কোনও নতুন কাজ শুরু করতে পারেন।

    ২) অংশীদারীর কাজ করবেন না।

    ৩) জীবনসঙ্গীর পরামর্শের দ্বারা লাভ হবে।

    ধনু

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সমস্ত বিবাদের সমাধান হবে।

    ৩) কোনও পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যার জন্য বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে রয়েছেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে ভালো কিছু করার জন্য কেউ আপনাকে উৎসাহিত করতে পারে।

    ২) ছোটখাটো বিষয়ের কারণে অবসাদগ্রস্ত থাকবেন।

    ৩) আপনার কোনও ভুল পরিবারের সদস্যদের সামনে আসতে পারে।

    কুম্ভ

    ১)  সহকর্মীরা কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, এর ফলে চিন্তিত হবেন।

    ২) পরিবারে নতুন অতিথি আগমনের সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ৩) ভাই-বোনের মধ্যে বিবাদ সমাপ্ত হবে।

    মীন

    ১) সরকারি চাকরিজীবীরা লাভান্বিত হবেন।

    ২) ভালো কাজে নিজের শক্তি ব্যবহার করুন।

    ৩) এদিক-ওদিক বসে সময় নষ্ট করবেন না।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU) ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ক্যাম্পাসে বিরাট মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে। ক্যাম্পাসে বিদ্যার্থী পরিষদ কতটা শক্তিশালী তাকেই প্রদর্শিত করেছে এই মিছিলে। ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরে সরব হতে দেখাও গিয়েছে। একই ভাবে জাতীয়তাবাদী স্লোগান ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারত মাতা জয়ধ্বনি’-তে ক্যাম্পাস বিরাট ভাবে আলোড়িত হয়।

    কয়েকশত ছাত্রের মিছিল (JNUSU)

    ৩১ অক্টোবর রাতে জেএনইউতে মশালের লাল আগুনের মহামিছিল ক্যাম্পাসকে দারুণ ভাবে শিহরিত করে তুলেছিল। ক্যাম্পাসের গঙ্গা ধাবা থেকে মিছিল শুরু হয় এবং বরাক হস্টেল পর্যন্ত পদযাত্রা করে শেষ করা হয়। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি। এই মশাল যাত্রা ছিল বাম-নকশালদের লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যাত্রা। কয়েক’শ ছাত্র, অধ্যাপক, গবেষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী যোগদান করেন। তবে আগামী ছাত্র সংসদের নির্বচানে এবিভিপি বিশেষ ভাবে আশাবাদী। এই মশাল মিছিলে যোগদান করে নেতৃত্ব দেন এবিভিপির কেন্দ্রীয় প্যানেলের প্রার্থীরা। সভাপতি পদপ্রার্থী দাঁড়িয়েছেন বিকাশ প্যাটেল, সহসভাপতি পদে প্রার্থী তানিয়া কুমারী, সাধারণ সম্পাদক পদে পদপ্রার্থী রাজেশ্বর কাণ্ডদুবে আর যুগ্ম সম্পাদক অনুজ।

    বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে

    এবিভিপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী প্রচার প্রধান অরুণ শ্রীবাস্তব বলেন, “আজ আমরা ক্যাম্পাসে একটি বড় মশাল মিছিল করেছি। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে। নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মুক্তি চায়। এই বছর ক্যাম্পাসের সকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা চরম তুঙ্গে। প্রত্যকে পদে এবিভিপি জয়ী হবে।” উল্লেখ্য গত বছর এবিভিপির তরফে যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিল।

    উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ আফজল গুরু, ইয়াকুব মেমনরে মতো জঙ্গির মৃত্যুদিন পালন করে ভারতকে ভাগ করার স্লোগান তুলেছিল। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিরাট ঝড় উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জার এবং ভারতের জন্য অত্যন্ত খারাপ বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মনেও ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।

  • ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    ICC Women’s World Cup: নয়া চ্যাম্পিয়নের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব! ফাইনালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাপ আর ঠোঁটের মধ্যে রয়েছে একটু ফারাক। অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। সেমিফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। ফাইনালে (ICC Women’s World Cup) যে দলই জিতুক মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে এবার দেখা যাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে রবিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পটেল স্টেডিয়ামের বাইশ গজ পরীক্ষা নেবে দু’দলের। প্রথম বার ফাইনালে উঠেছেন লরা উলভার্টেরা। প্রথম বার ট্রফি জয়ে মরিয়া হরমনপ্রীত কৌরেরাও। শক্তির বিচারে তুল্যমূল্য লড়াই হতে পারে দু’দলের।

    ঘরের মাঠে এগিয়ে ভারত

    ভারতের বিশ্বকাপ অভিযান মোটেই মধুর ছিল না। দারুণ শুরু করেও পরপর ৩টি ম্যাচ হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে সেই দুর্দশা কাটিয়ে পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই সেমিফাইনালে ওঠে ভারত। সেখানে তাদের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। আর সেই ম্যাচ রুদ্ধশ্বাসভাবে জিতে নেয় ভারতের মেয়েরা। সেমিফাইনালে জেমাইমা দারুণ পারফর্ম করেন। তিনি ১২৭ রানে ছিলেন অপরাজিত। তার ব্যাটের উপর ভর করেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতে ভারত। পৌঁছে যায় ফাইনালে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফাইনালে এগিয়ে রয়েছে ভারত। কারণ, প্রথমত দেশের মাটিতে হচ্ছে খেলা। ফলে দর্শকরা সাপোর্টে থাকবে। পিচও চেনা। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে হরমনপ্রীত ব্রিগেড। তার ফলে আত্মবিশ্বাস থাকবে বেশি। সেটাও ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অতীত রেকর্ডে কে এগিয়ে

    ওডিআইতে এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা ৩৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ভারতের মেয়েরা জিতেছে ২০ বার। আর প্রোটিয়াদের জয় ১৩ বার। এক ম্যাচ অমীমাংসিত। এ বার দেখার রবি-রাতে কোন দল করে বাজিমাত। বিশ্বকাপে যে টিমই জিতবে, সেটি তাদের প্রথম খেতাব। ওডিআই ফর্ম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকলেও, এবারের ওডিআই বিশ্বকাপে লিগ পর্যায়ের ম্যাচে হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam) সেই ম্যাচে তিন উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল। ৪৮.৫ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে ৭৭ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। রবিবারও তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে তৈরি।

    ভারতের মূল শক্তি ব্যাটিং

    হরমনপ্রীতের দলের মূল শক্তি ব্যাটিং। মহিলাদের এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার স্মৃতি মন্ধানা। বিশ্বকাপে ফর্মে আছেন ওপেনার। আটটি ম্যাচে করেছেন ৩৮৯ রান। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। তাঁর সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শেফালি বর্মা। এক বছর পর এক দিনের ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছেন। ছন্দে রয়েছেন। অনুশীলনে বড় শট নিচ্ছেন আত্মবিশ্বাসী শেফালি। মন্ধানা-শেফালি ওপেনিং জুটি জমে গেলে পাওয়ার প্লে-তেই ম্যাচের রাশ নিয়ে নিতে পারে ভারত। শুধু ওপেনিং নয়, ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারও বিশ্বের অন্যতম সেরা। জেমাইমা, হরমনপ্রীত ফর্মে ফিরেছেন। দীপ্তি শর্মা, রিচা ঘোষের মতো আগ্রাসী ব্যাটার নামেন পাঁচ থেকে সাত নম্বরের মধ্যে। রয়েছেন আমনজ্যোৎ কৌরের মতো ব্যাটিং অলরাউন্ডার। হরলিন দেওলের মতো ব্যাটারকে সেমিফাইনালে খেলায়নি ভারত। মুম্বইয়ের চেনা পিচে এই ব্যাটিং লাইন আপের পক্ষে বড় রান তোলা অসম্ভব নয়। এ বারের বিশ্বকাপেই তিনটি ম্যাচে ভারত ৩৩০ বা তার বেশি রান তুলেছে। ব্যাটিং নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের প্রধান শক্তি।

    দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী

    ভারতীয় দলের আর এক শক্তির জায়গা স্পিন বোলিং। রাধা যাদব, দীপ্তি, স্নেহ রানা এবং শ্রী চরণির মতো স্পিনার রয়েছেন। বিশ্বকাপে ভাল ফর্মে রয়েছেন তিন জনই। দীপ্তি ১৭ উইকেট নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। চরণি ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। চার স্পিনার মিলে আট ম্যাচে নিয়েছেন ৪১টি উইকেট। ভারতীয় বোলারেরা নিয়েছেন ৬৯টি উইকেট। অর্থাৎ, ৫৯.৪২ শতাংশ উইকেট নিয়েছেন স্পিনারেরাই। মুম্বইয়ের ২২ গজে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট নেওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন নয়। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পারফরম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করবে স্পিনারদের উপর। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও বেশ শক্তিশালী। উলভার্টদের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, প্রথম থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারেন প্রোটিয়া ব্যাটারেরা। জন্টি রোডসের দেশের মহিলা দলের ফিল্ডিংও বেশ ভাল। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তির আর একটি জায়গা হল জোরে বোলিং।

    ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের খুঁটিনাটি

    ম্যাচটি কখন শুরু হবে: ভারতীয় সময় অনুসারে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টে নাগাদ। ম্যাচের আগে ২.৩০মিনিটে টস হবে।

    কোথায় দেখা যাবে: ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটির লাইভ টেলিকাস্ট দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। এখানে ইংরেজি, হিন্দি এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় খেলা দেখতে পারবেন। মোবাইলে এই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে। পাশাপাশি জিও হটস্টার ওয়েবসাইটে।

  • Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    Ford in India: ট্রাম্পের কথাকে গুরুত্বই দিল না মার্কিন সংস্থা! ভারতে ৩২৫০ কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা ফোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগল, অ্যাপলের পর এবার ফোর্ড (Ford Cars)! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কথা উপেক্ষা করে ভারতেই বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করল আরও এক মার্কিন সংস্থা। তামিলনাড়ুর প্ল্যান্টে ফের লগ্নির কথা জানিয়েছে আমেরিকান গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোর্ড মোটর্স কোম্পানি। ভারতে গাড়ির অত্যাধুনিক ইঞ্জিন তৈরির জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার লগ্নি করবে মার্কিন অটোমেকার সংস্থা। বিশ্ব বাণিজ্যের দোলাচল পরিস্থিতি, সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমাগত ‘হুমকি’র মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে ফোর্ড।

    ট্রাম্পের কথা না শুনেই বিনিয়োগ

    তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কাছে অবস্থিত মারাইমালাই নগরে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট রয়েছে ফোর্ড মোটর্সের। কিন্তু গত চার বছর ধরেই এই প্ল্যান্ট রয়েছে বন্ধ। এক বছর আগে এই প্ল্যান্ট খোলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল ফোর্ড। কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্ববাণিজ্যে জটিলতা তৈরি হয়। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন মার্কিন সংস্থাকে আমেরিকার মাটিতে উৎপাদনের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। ভারতে বিনিয়োগ নিয়ে সরাসরি অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন। তার পরেই ফোর্ডের বিনিয়োগের বিষয়টি থমকে ছিল। শুক্রবার ট্রাম্পের আপত্তিতে কর্ণপাত না করে ভারতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা করল বিশ্বের প্রথম সারির অটোমেকার সংস্থা।

    ভারতে লগ্নি, খুশি মার্কিন সংস্থা

    ফোর্ড মোটর্স কোম্পানির আন্তর্জাতিক মার্কেটের প্রেসিডেন্ট জেফ ম্যারেনটিক বলেছেন, ‘ফোর্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং নেটওয়ার্কে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই প্ল্যান্টকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে আমরা খুশি।’ ফোর্ড তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, প্রাথমিক বিনিয়োগ ৬০০ টিরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এই বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হলে, এই প্ল্যান্টটি প্রতি বছর ২,৩৫,০০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের ক্ষমতা রাখবে। অনুমান করা হচ্ছে যে ২০২৯ সালের মধ্যে এই প্ল্যান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে মূলত গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করবে ফোর্ড। সেই প্ল্যান্টে থাকবে ইঞ্জিন তৈরির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক মানের গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করা হবে চেন্নাইয়ের প্ল্যান্টে। সেই সমস্ত ইঞ্জিন রফতানি করা হবে আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে ভারতে তৈরি ইঞ্জিন আমেরিকায় পাঠাবে না ফোর্ড।

    মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্ন সফলে এক ধাপ

    ট্রাম্পের নীতি আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে সেখানে উৎপাদন করতে চাপ দিচ্ছে। তা সত্ত্বেও ফোর্ডের মতো কোম্পানিগুলি ছাড়াও অ্যাপল ও গুগল এখন ভারতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আমেরিকান কোম্পানিগুলি এখনও ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারকে উচ্চ ব্যয় ও কঠোর বাণিজ্য নীতির একটি ভাল বিকল্প হিসেবে দেখছে। ফোর্ড শুক্রবার চেন্নাইতে উৎপাদন পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে। ২০২১ সালে ভারতীয় বাজারে কোম্পানির কাজ বন্ধ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে চেন্নাইয়ের ওই প্ল্যান্টে সরাসরি শতাধিক কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি ওই প্ল্যান্টকে কেন্দ্র করে ইনডিরেক্ট এমপ্লয়মেন্টের বড় সম্ভাবনা তৈরি হবে। যা মেক-ইন-ইন্ডিয়া স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে দেওয়ায় সহায়ক হবে।

  • Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল ব্যাঙ্কিং (Bank News) ও টাকা সংক্রান্ত নিয়ম (Financial Rule Change)। গ্রাহক হিসেবে আপনার জীবনেও পড়তে পারে একাধিক প্রভাব। পরিষেবা পেতে কি আরও বেশি খরচ হবে? ব্যাঙ্কিং নিয়ম থেকে আধার একাধিক ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে ৫টি নিয়ম। আসুন দেখে নিই কোন কোন নিয়ম বদলে যাচ্ছে।

    এসবিআইতে অতিরিক্ত চার্জ (Financial Rule Change)

    ১ নভেম্বর থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড (Financial Rule Change) ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। ক্রেড বা মোবিকুইক-এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে করা শিক্ষা-সম্পর্কিত পেমেন্ট যেমন স্কুল বা কলেজের ফিতে ১ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। আবার যদি ১০০০ টাকার বেশি এসবিআই কার্ডের (Bank News) সঙ্গে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট লোড অর্থাৎ পেটিএম বা ফোন-পে করেন তাহলে ১ শতাংশ ফি করে চার্জ দিতে হবে।

    আধার আপডেট

    শিশুদের জন্য আধার কার্ড আপডেটের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে ইউআইডিএআই। শিশুদের জন্য বায়োমেট্রিক আপডেট এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে আধার কার্ডে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর আপডেটের জন্য খরচ হবে ৭৫ টাকা। আঙুলের ছাপ বা চোখের স্ক্যান খরচ হবে ১২৫ টাকা। তবে কোনও প্রকার নথি ডাউনলোড না করেই মৌলিক বিবরণ- যেমন নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা—আপডেট করতে করতে পারবেন।

    জিএসটিসিতে সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে জিএসটি কাঠামোতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। আগের চারটি স্ল্যাব ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ, ২৮ শতাংশ–কে আরও সরলীকরণ করা হয়েছে। ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ স্ল্যাব বাদ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত, বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকারক পণ্যের উপর এখন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি হারে প্রযোজ্য হবে। সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতেই এই সরলীকরণ করা হয়েছে।

    লকারে মনোনয়ন সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank News) জন্য মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলিকে (Financial Rule Change) সংশোধন করা হয়েছে। এখন একটি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট, লকার, নিরাপদ করতে সর্বাধিক চারজন মনোনীত করা যেতে পারে। মনোনীত ব্যক্তির নাম সংযোজন করবে। ফলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই তহবিল থেকে সব এক্সেসকে সহজ করা হবে।

    পেনশনে সুবিধা

    তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুখবর বার্তা রয়েছে। জাতীয় পেনশন ব্যবস্থায় ইউনিফায়েড পেনশন স্কিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই পরিষেবায় যে সব গ্রাহকরা সুবিধা পেতে চান, দ্রুত আবেদন করতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে কর্মীরা নিজেদের বিকল্পগুলিকে পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা করার বিশেষ সুযোগ পাবেন।

  • India-US Relationship: শুল্কযুদ্ধের আবহে স্বাক্ষরিত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি, আগামীদিনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

    India-US Relationship: শুল্কযুদ্ধের আবহে স্বাক্ষরিত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি, আগামীদিনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্ক-সংঘাত, নয়া ভিসা-নীতির আবহেই নতুন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত-আমেরিকা। নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দশ বছরের জন্য হওয়া এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার প্রশ্নে আরও কাছাকাছি এনে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটার হেগসথের৷

    ভারত ও আমেরিকার মজবুত সম্পর্ক 

    শুক্রবার এক্স পোস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ এ কথা জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালমপুরে শুক্রবার আসিয়ান প্রতিরক্ষা সম্মলনের ফাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে হেগসেথের বৈঠক হয়। সেখানেই সই হয় দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। তার পরে এক্স পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আস্থাভাজন হেগসেথ লিখেছেন, ‘‘আমি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ১০ বছরের আমেরিকা-ভারত প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত করেছি।’’ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি, ওই চুক্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এর মাধ্যমে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এখন ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বেশি করে সমন্বয় করে চলেছি ৷ আগের থেকে আরও বেশি পরিমাণে তথ্য় ভাগ করে নিচ্ছি ৷ প্রযুক্তিগত দিক থেকে আদান-প্রদানও বেড়েছে ৷ অতীতে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক কখনও এতটা মজবুত হয়নি ৷’’

    সম্পর্ক আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা

    সম্প্রতি ভারতের উপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর৷ তারপর থেকে ভারত ও আমেরিকার তরফে সেই সম্পর্ককে আবারও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন৷ দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকও হতে চলেছে দিন কয়েকের মধ্যে ৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ সরকারি সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ায় রাজনাথ-হেগসেথ আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জিই অ্যারোস্পেসের এফ৪০৪ ইঞ্জিনের সরবরাহ। এই ইঞ্জিনের সরবরাহে দেরি হওয়ায় ভারতীয় বায়ুসেনাকে চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী তেজস যুদ্ধবিমান দিতে সমস্যায় পড়েছে রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)।

    ভারত-মার্কিন সখ্য জরুরি

    আমেরিকার সঙ্গে এই ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি আগেও করেছে ভারত ৷ ২০১৫ সালে হওয়া দশ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়াতেই এবার নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হল দুটি দেশ৷ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তিনি মনে করেন, এমনিতেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গভীর সমন্বয় আছে৷ এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। সোশাল মিডিয়ায় করা পোস্টে রাজনাথ লেখেন, ‘‘ভারত ও আমেরিকার প্রতিরক্ষা সমঝোতাকে নতুন দিশা দেখাবে এই চুক্তি ৷ আমাদের পারস্পরিক সমঝোতা যে আগামী দশকে আরও বেশি মজবুত হতে চলেছে সেটা এই চুক্তি থেকেই স্পষ্ট ৷ আগামিদিনে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান ভিত্তিই হতে চলেছে প্রতিরক্ষা ৷ ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা যাতে মুক্ত ও অবাধ কিন্তু নিয়মবদ্ধ ভাবে পরিচালিত হতে পারে তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সখ্য জরুরি ৷’’

    চুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    রাজনাথ সিং ও হেগসেথের সাক্ষাৎ কেবল চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশলগত আলোচনার অংশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই নতুন চুক্তি ভারত–মার্কিন প্রতিরক্ষা কাঠামোকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শক্তিশালী করবে, যা দ্বিপাক্ষিক সামরিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে। নতুন চুক্তির মূল কাঠামো তিনটি স্তম্ভকে কেন্দ্র করে গঠিত। উভয় দেশের মিলিতভাবে লজিস্টিক সুবিধা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সেনা বাহিনীর সরঞ্জাম ব্যবহার সহজতর হবে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও প্রযুক্তির যৌথ উৎপাদন এবং উন্নয়নকে উৎসাহ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভারতের স্বদেশী প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও আধুনিকীকরণকে সহায়তা করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই চুক্তি ভারতের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ইন্টারঅপারেবিলিটি বা মিলিত কার্যক্ষমতাও বাড়াবে। এর মাধ্যমে উভয় দেশ একে অপরের সেনা ঘাঁটি, লজিস্টিক সুবিধা ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করতে পারবে, যা দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় এবং কৌশলগত প্রস্তুতিতে এক বড় দিক পরিবর্তন আনবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এই চুক্তি চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষভাবে দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত মহাসাগরে বেজিংয়ের আক্রমণাত্মক নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে।

  • New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    New Website of EC: চালু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন ওয়েবসাইট, মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে একযোগে বাংলাতেও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে এসআইআর। শোরগোল চলছে ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট নিয়ে। যদিও সূত্রের খবর, ওই বছরের ভোটার লিস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভোটার লিস্টের ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের পুরনো ওয়েবসাইটও বাতিল হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তে চালু হয়েছে নতুন ওয়েবসাইট (New Website of EC)। এই ওয়েবসাইটেই মিলবে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা।

    কেন চালু হল নয়া ওয়েবসাইট

    গত ২৭ অক্টোবর, সোমবার রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর ঘোষণা হয়। ঘটনাচক্রে, তার পরদিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল রাজ্যের সিইও দফতরের ওয়েবসাইটটি। তা নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয়েছিল জনগণের মধ্যে। কারণ, বহু মানুষই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখতে চাইছিলেন, যা ওই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়ার কথা ছিল। সেই ওয়েবসাইট অকেজো হয়ে পড়ায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নতুন ওয়েবসাইট চালু করল সিইও দফতর। ওয়েবসাইটটির নাম— https://ceowestbengal.wb.gov.in/ । সিইও দফতর সূত্রে খবর, এই ওয়েবসাইট থেকেই ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এসআইআর সংক্রান্ত কাজকর্মও হবে এই ওয়েবসাইটে।

    কী ভাবে খুঁজবেন ভোটার তালিকা

    উল্লিখিত ওয়েবসাইটে (New Website of EC) ক্লিক করলেই যে পাতাটি আপনার মোবাইল, কম্পিউটার বা ডিজিটাল স্ক্রিনে খুলবে, সেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলার নাম লেখা থাকবে। আপনি বা আপনার বাবা-মা ২৩ বছর আগে যে জেলার ভোটার ছিলেন, প্রথমে সেই জেলার নামে ক্লিক করতে হবে। তখন খুলে যাবে সংশ্লিষ্ট জেলার বিধানসভাগুলির নাম। তখন আপনি যে বিধানসভা এলাকার ভোটার ছিলেন, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলে খুলে যাবে ভোটকেন্দ্রের (পোলিং স্টেশন) নাম। ‘স্ক্রল’ করে সেই কেন্দ্রের নামে ক্লিক করলেই আপনি দেখতে পাবেন ভোটার তালিকা।

    কী সমস্যা হতে পারে

    কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিষয়ে সমস্যা হতে পারে। অনেক জায়গায় একটি ভোটকেন্দ্রে একাধিক বুথ থাকে। অর্থাৎ, একটি বড় স্কুলে উপরতলা, নীচের তলা মিলিয়ে চারটি-পাঁচটিও বুথ হয়। ২৩ বছর আগের বুথ বা পার্ট নম্বর স্মরণে থাকলে আপনি এক বারেই সেই তালিকা পেতে পারেন। একান্তই মনে না থাকলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সবকটি কক্ষের তালিকাই মিলিয়ে দেখতে হবে।

    পাশে রয়েছে কমিশন

    এসআইআর (SIR) নিয়ে যতরকম জটিলতা তৈরি করা সম্ভব তার চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস। মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চলছে জোর কদমে। সোশাল মিডিয়া পোস্টে যে যার মতো ভাসিয়ে দিচ্ছে মিথ্যে। লক্ষ্য একটাই রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করা। কিন্তু এসআইআর নিয়ে সবরকম জটিলতা কাটাতে মানুষের পাশে আছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এসআইআরের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন বিএলও-রা। এই কাজটি শুরু হবে ৪-নভেম্বর, চলবে এক মাস, অর্থাৎ ৪-ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথমেই দেখা হবে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কিনা। বিএলও-রা রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে যাবেন। যে বাড়ির ঠিকানা আছে, সেখানেও যাবেন, যে বাড়ির ঠিকানা নেই, সেখানেও যাবেন। অর্থাৎ যেখানেই মানুষ বাস করেন, সেখানেই যাবেন। কেউ বাদ যাবে না। এনুমারেশন ফর্ম ভর্তি করবেন। সেখানে লেখা হবে প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের বয়স, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য। তার জন্য যাঁরা ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট দেখতে চান, কমিশনের নতুন ওয়েবসাইটে গিয়ে সহজেই তা করতে পারবেন।

LinkedIn
Share