Tag: Madhyom

Madhyom

  • Supreme Court: রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে বিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে বিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিল অনুমোদনে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আদালতের কাজ নয়। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, রাজ্যপাল কোনও বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। হয় সেটাতে সম্মতি দিতে হবে। নয় বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, সংবিধান ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা রেখেছে, আর সেই জায়গায় সময়সীমা চাপিয়ে দেওয়া হলে সেই নমনীয়তায় ব্যাঘাত ঘটবে। তাতে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হবে।

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কাছে কোনও বিল পাঠানো হলে তাঁদের কী করা উচিত, এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশ্ন উঠছিল। তামিলনাড়ুর করা মামলার রায়ে সেই বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, লোকসভা বা বিধানসভা থেকে পাশ হওয়া বিলগুলিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালদের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না ৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিল আটকে রাখতে পারেন না ৷ এটা আদতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি লঙ্ঘন করার সামিল। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সুর্যকান্ত, বিক্রম নাথ, পিএস নরসিমহা ও এএস চন্দরকর। ‘প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স’ মামলায় বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া, ক্ষমতা পৃথকীকরণকে অসম্মান করার সামিল ৷ শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, ২০০ এবং ২০১ অনুচ্ছেদ আদতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ভারসাম্য রক্ষার জন্যই তৈরি করা হয়েছে ৷ ফলে সময়সীমা আরোপ করলে এর বিপরীত অবস্থানে যাওয়া হবে।

    কী করবেন রাজ্যপাল

    কোনও বিল রাজ্যের আইনসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে গেলে, তাঁর কী করণীয়, তা ব্যাখ্যা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানায়, রাজ্যপালের সামনে তিনটি সাংবিধানিক বিকল্প রয়েছে। ১) বিলটিতে সই করা, ২) সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো, ৩) সম্মতি না-দিয়ে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠানো। একই সঙ্গে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, এই তিনটি বিকল্পের মধ্য থেকে কোনটি বেছে নেবেন— এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপালই। এটি আদালতের বিবেচনার বিষয় নয় বলে জানায় সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি গভাই বলেন, “রাজ্যপালকে কত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেই সময়সীমাও আদালত নির্ধারণ করে দিতে পারে না।” একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি তাঁদের কাজ কী ভাবে করছেন, তা আদালতের বিচারযোগ্য নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে কোনও পদক্ষেপ না-করা, অনির্দিষ্ট কাল ধরে বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করা এবং সেটির কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়া—এই সমস্ত ক্ষেত্রে আদালত সীমিত নির্দেশ দিতে পারে, যাতে তাঁরা দায়িত্ব পালন করেন।

    কী করতে পারে আদালত

    বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের কাজের উপর সাধারণ ভাবে বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ করা যায় না। তবে দীর্ঘ দিন ধরে নিষ্ক্রিয়তা থাকলে সাংবিধানিক আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৩ উদ্ধৃত করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও বিল নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে রাষ্ট্রপতিকে প্রতি বার শীর্ষ আদালতের মতামত চাইতেই হবে— এমন বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ১৪২ অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের ক্ষমতা পূরণ করতে পারে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, বিল আইনে পরিণত না হলে, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।

    কোন প্রক্ষিতে এই অভিমত

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ বছরের মে মাসে সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কোনও আদালত কি রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিতে পারে? বিশেষত তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির এই প্রশ্ন ছিল। সংবিধানের ১৪৩ ধারা প্রদত্ত বিশেষ অধিকার বলে শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে ১৪টি প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। যার ফলে ওই রায় পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স বেঞ্চ তৈরি হয়। বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । তার পরেই এই বিষয়ে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যাখ্যা করতে শীর্ষ আাদালতের সামনে ১৪টি প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির থেকে মতামত নেওয়ার পর গত জুলাই মাস থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলার শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল, তারা রাজ্যপালকে বিল সইয়ের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিরোধী।

  • Taliban Trade Minister: ৫ দিনের ভারত সফরে আফগানিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী, সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান?

    Taliban Trade Minister: ৫ দিনের ভারত সফরে আফগানিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী, সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই পোক্ত হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক (Taliban Trade Minister)! মাসখানেক আগেই ভারতের (India) মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন তালিবান প্রশাসনের এক শীর্ষ মন্ত্রী। তার রেশ কাটার আগেই বুধবার নয়াদিল্লিতে এলেন তালিবান সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ নুরউদ্দিন আজিজি। তাঁর আগে গত মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সেবার তিনি ভারতে ছিলেন ৬ দিন। আর বাণিজ্যমন্ত্রী এসেছেন ৫ দিনের ভারত সফরে। তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রীদের ঘন ঘন ভারত সফরে রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের।

    কাবুলে এয়ারস্ট্রাইক (Taliban Trade Minister)

    আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যখন ভারত সফরে ছিলেন, সেই সময়ই রাজধানী কাবুলে এয়ারস্ট্রাইক করেছিল পাকিস্তান। তারপর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিন সীমান্ত বন্ধ ছিল আফগানিস্তানের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কও তলানিতে ঠেকে। পাকিস্তানের আর পাঠানো হচ্ছে না আফগানিস্তানের আপেল, টোম্যাটো-সহ একাধিক পণ্য। প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানের বাজারে গিয়ে এসব কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তদেরও। এহেন আবহে আফগানিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর ভারত সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলাচল করছে পণ্যবাহী বিমান।

    ট্রেড কমিটি গঠন

    অক্টোবর মাসে মুত্তাকির ভারত সফরের সময়ই ঠিক হয়, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের জন্য একটি ট্রেড কমিটি গঠন করবে দুই দেশ। মূলত খনিজ, শক্তিসম্পদ এবং পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। মুত্তাকির নয়াদিল্লি সফরের পরেই ফের চালু হয় কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। জানা গিয়েছে, চলতি ভারত সফরে আজিজি যেতে পারেন ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে। ভারতের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেবেন পাঠানদের দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী। নুরউদ্দিনের ভারত সফর উপলক্ষে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের (Taliban Trade Minister) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সরকারি সফরে ভারতে এসেছেন আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ নুরউদ্দিন আজিজি। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।”

    ডুরান্ড লাইন

    প্রসঙ্গত, ডুরান্ড লাইন বরাবর পাকিস্তান ও পাঠান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের কেন্দ্রে রয়েছে টিটিপি। আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের অভিযোগ, পাক সরকার এবং পাকিস্তানি সেনা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করছে। আর পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালিবান সরকার আশ্রয় এবং (India) মদত দিচ্ছে টিটিপি সদস্যদের। এই টিটিপিই হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বাইতুল্লাহ মেহসুদের নেতৃত্বে পাকিস্তানের ফেডারেল শাসিত উপজাতি এলাকার বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে একজোট করে গঠন করা হয় টিটিপি। এই গোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিকভাবে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আল-কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাক সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় এর জন্ম। বর্তমানে টিটিপির মূল লক্ষ্য হল, পাকিস্তানের সরকারকে সরিয়ে তাদের নিজস্ব মতাদর্শে একটি ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

    ভারত আফগানিস্তানের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার

    প্রসঙ্গত, ভারত বর্তমানে আফগানিস্তানের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। মানবিক সহায়তা, খাদ্যশস্য, চিকিৎসা সামগ্রী এবং পরিকাঠামো প্রকল্পে দিল্লির ভূমিকা তালিবানের (Taliban Trade Minister) কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নূরউদ্দিনের এই সফর ভারত-আফগান বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ভূরাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আফগানিস্তান যখন ক্রমেই পাকিস্তান থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে, তখন ভারতের সঙ্গে (India) ঘনিষ্ঠতা পাকিস্তানের কূটনৈতিক চাপে আরও অক্সিজেন জোগাবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তালিবান প্রশাসনের ভারত সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আটকে থাকা প্রকল্প – সব দিকেই নয়া সমীকরণ গড়ে উঠতে পারে।

    ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক

    বস্তুত, আশরাফ গনির আমলে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ মজবুত হয়েছিল। আফগানিস্তানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগও করেছিল নয়াদিল্লি। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরে গেলে পতন হয় গনি সরকারের। আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাদের। কূটনৈতিক স্বীকৃতি না দিলেও, তালিবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার দরজা একেবারে বন্ধ করে দেয়নি ভারত।

    ভারতের গুরুত্ব

    চলতি বছরের শুরুর দিকেই দুবাইয়ে মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠক হয় ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রির। বস্তুত, ওই বৈঠকের পর থেকে ক্রমশ মসৃণ হতে থাকে আফগানিস্তান-ভারতের সম্পর্ক। দুবাইয়ের ওই বৈঠকে তালিবান সরকার ভারতকে এক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করে। এর পর মে মাসে মুত্তাকির সঙ্গে কথা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। তার পর অক্টোবরে ভারতে (India) আসেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি। তার আগেই অবশ্য দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার পরে ওই ঘটনার নিন্দে করেছিল তালিবান সরকার।

    ভারত-আফগান সম্পর্কের জল কোন দিকে গড়ায়, এখন সেটাই দেখার (Taliban Trade Minister)।

  • Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    Rafale Jets: রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চিনের! এআই ছবি-ভুয়ো ভিডিও ব্যবহার বেজিংয়ের, দাবি মার্কিন রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে নিজেদের স্বার্থে ভুয়ো প্রচার চালিয়েছিল চিন। বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি আমেরিকার। আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে, এআই ব্যবহার করে এবং ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগিয়ে রাফালে ধ্বংসের খবর ছড়িয়েছিল চিন। সঙ্গী হয় পাকিস্তানও। কিন্তু আমেরিকার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাফাল নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছে চিন। প্রাথমিকভাবে বেজিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাফালের জনপ্রিয়তা কমিয়ে বিকল্প হিসেবে নতুন প্রযুক্তির চিনা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানকে তুলে ধরা। তাই অপারেশন সিঁদুরের সময়টাকেই হাতিয়ার করে চিন।

    কেন অপপ্রচার চালায় চিন

    চলতি বছর মে মাসে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনই রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে চিন। ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তত ৩টি রাফাল যুদ্ধবিমান নামিয়েছে তারা। শুরুতে পাকিস্তানের সেই দাবি নিয়ে ভারত মুখ খোলেনি। এবার জানা গেল, ভারতীয় বায়ুসেনার গর্ব রাফাল যুদ্ধবিমানের সুনাম নষ্ট করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জঘন্য ষড়যন্ত্র করেছে চিন। সম্প্রতি ‘আমেরিকা-চিন ইকোনমিক অ্যান্ড সিকিওরিটি রিভিউ কমিশন’-এর এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়াতে মরিয়া বেজিং, ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে।

    ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সময় থেকেই চিন এই ‘তথ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছিল। এআই দিয়ে তৈরি ভাঙা রাফালের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ভুয়ো সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে চিন, এমনটাই দাবি আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে। ভুয়ো ছবি দেখিয়ে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের ব্যবহার করা জে-৩৫ যুদ্ধবিমানের সামনে টিকতে পারেনি ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আসলে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সাফল্যকে খাটো করে এবং রাফালকে দুর্বল প্রমাণ করে ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলির কাছে নিজেদের যুদ্ধবিমান বেচতে চেয়েছিল শি জিনপিংয়ের দেশ। আমেরিকার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিনা উস্কানিতে পাকিস্তানের হামলার পরে ভারত যখন তার যোগ্য জবাব দিচ্ছিল, তখন নেপথ্যে থেকে পাকিস্তানের হয়ে এই ডিজিটাল যুদ্ধ চালায় চিন। এমনকি এই সুযোগে পাকিস্তানের কাছে ৪০টি জে-৩৫ বিমান বিক্রির প্রস্তাবও দেয় তারা।

    ফ্রান্সের সংস্থার দাবি

    চিনের এই হীন চক্রান্ত ফাঁস হতেই আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাফাল প্রস্তুতকারী ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের কর্তারা বলছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর বিভিন্ন দেশে গিয়ে রাফাল সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। ওই দেশগুলি যাতে রাফাল না কেনে সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে ওই দুই দেশ। তাদের মূল উদ্দেশ্য, রাফাল যুদ্ধবিমানের ‘সুখ্যাতি’ নষ্ট করা। ফ্রান্সের শীর্ষকর্তারা দাবি করেছেন, রাফাল নিয়ে পাকিস্তানের দাবি সত্যি নয়। রাফাল নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ফ্রান্স দাবি করে, তাদের যুদ্ধবিমান নিখুঁত। রাফালের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার অভিযান চলছে এবং ফরাসি আধিকারিকেরা তার মোকাবিলার চেষ্টা করছেন, দাবি করেছিল সে দেশের সরকার। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ফরাসি গোয়েন্দা সূত্র উল্লেখ করে একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমানের বিক্রি কমানোর জন্য চিনের মদতে এই ধরনের প্রচার চলছে। এ বার মার্কিন রিপোর্টও একই দাবি জানাল। রাফাল নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের একটি চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারত-পাক সংঘাতের পর সেই চুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। রাফাল জেটের কার্যক্ষমতা নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠে ইন্দোনেশিয়া সরকার। মার্কিন রিপোর্টে দাবি, এতেও চিনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। পাকিস্তান চিনের তৈরি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ২০২৫ সালের জুন মাসে পাকিস্তানের কাছে আরও ৪০টি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান, কেজে-৫০০ বিমান এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে চিন। প্রায় একইসঙ্গে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দও বৃদ্ধি করেছে।

    দেশের ভিতরে অপপ্রচার

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের ভিতরে কারা সেদিন চিনের এই মিথ্যা আখ্যানের পালে হাওয়া দিয়েছিল? কারা কয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে জানতে চেয়েছিল? তিনি কারও নাম করেননি, তবে তিনি যে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কথাই বলতে চেয়েছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্রহ্মস মিসাইল, রাফাল যুদ্ধবিমানের মতো অস্ত্রের সামনে পাকিস্তানের হাল খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের মুখ বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে এবং ভুয়ো দাবি করছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ দাবি করছিল যে ভারতের নাকি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। প্রমাণ হিসেবে দাবি করছিল যে “সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তারই মধ্যে এখন মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাফাল ধ্বংস করার যে দাবি করছিল পাকিস্তান, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও জাল ছিল। এর পিছনে চিনের একটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল। মার্কিন কমিশন এটিকে চিনের ব্যাপক ‘গ্রে জোন কৌশল’-র অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে, যেখানে সরাসরি সামরিক সংঘাত ছাড়াই ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করা হয়।

  • Al Falah University: দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই আল ফালাহ্-র ১০ কর্মী-পড়ুয়া নিখোঁজ, বন্ধ ফোনও! কোথায় তাঁরা?

    Al Falah University: দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই আল ফালাহ্-র ১০ কর্মী-পড়ুয়া নিখোঁজ, বন্ধ ফোনও! কোথায় তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blast) কাণ্ডে নতুন মোড়। জঙ্গি তৈরির কারখানা হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falah University) থেকে ১০ জন নিখোঁজ। এঁরা হয় ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া অথবা কর্মী। গোয়েন্দা সূত্রে বুধবার এ খবর জানা গিয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে তিন জন কাশ্মীরি। এই ১০ জনের সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। দিল্লিতে লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণে জড়িতেরা সকলেই আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। ওই ঘটনার পরে হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযান শুরুর পরেই ১০ জনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

    আল ফালাহ্-র ১০ জন কোথায়

    দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blast) কাণ্ডের পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। সুইসাইড বম্বার উমর-উন-নবি এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছিলেন। তবে যোগসূত্র এখানেই শেষ হচ্ছে না। ফরিদাবাদ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত শাহিন শাহিদও আল ফালাহ্-র চিকিৎসক ছিলেন। ইতিমধ্যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) প্রতিষ্ঠাতা জওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন আল ফালাহ্-র ১০ জন পড়ুয়া। রাতারাতি যেন উবে গিয়েছেন তাঁরা। আল ফালাহ-কে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ মনে করছেন তদন্তকারীরা। এ খান থেকেই শুরু হয়েছে দিল্লি বিস্ফোরণের সলতে পাকানোর কাজ। ১০ জন পড়ুয়া রাতারাতি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে সেই ধারণা আরও শক্ত হচ্ছে।

    জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ১০ জন!

    লালকেল্লা বিস্ফোরণের (Delhi Blast) তদন্তে জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়েছিল। সে সময় সামনে আসে আল-ফালাহ্-র একাধিক ব্যক্তির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি। তাঁদের মধ্যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) কর্মী। কেউ বা আবার পড়ুয়া। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সঙ্গে কি বিস্ফোরণ কাণ্ডের কোনও যোগ আছে? তাঁরাও কি ‘ডক্টর্স মডিউল’-এর সঙ্গে যুক্ত? এই প্রশ্নে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে নারাজ গোয়েন্দারা। যদিও নিখোঁজ এই ১০ জনের জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে তাদের হদিশ পাওয়াই তদন্তকারীদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

    দিল্লি বিস্ফোরণের পিছনে কি জইশ?

    ইতিমধ্যেই দিল্লির লাল কেল্লার (Delhi Blast) সামনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার সম্ভাব্য ভরকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falah University)। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, জইশ ই মহম্মদ এর পিছনে কলকাঠি নেড়েছে। নতুন করে ‘ফিদায়েঁ’ বা আত্মঘাতী হামলার জন্য অর্থ সংগ্রহ শুরু করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। পাকিস্তানের একটি অ্যাপ ‘সদা পে’ ব্যবহার করে পাকিস্তান রুপিতে ২০ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়েছে। এবার জামাতের মহিলা জঙ্গিদের নেতৃত্বে হামলা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়াকে জইশের মহিলা শাখা জামাত উল মোমিনাতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে ভারতের হামলায় সাদিয়ার স্বামী নিহত হন। এই অপারেশনে আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক শাহিন শাহিদের কোড নেম ছিল ‘ম্যাডাম সার্জন’। সম্ভবত তার উপরেই গোটা হামলার অর্থ জোগাড়ের দায়িত্ব ছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

  • SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    SIR: এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, পেয়েছেন রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। আদতে বাংলাদেশের নাগরিক (SIR)। তাতে কী? সে দেশের সুযোগ-সুবিধা তো নিচ্ছেনই, একই সঙ্গে ভোগ করছেন ভারতীয় নগরিকত্বের যাবতীয় সুবিধাও (Bangladeshi)। আজ্ঞে, হ্যাঁ। শুনতে অবাক লাগলেও তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সৌজন্যে এমনই আজবকাণ্ড ঘটে চলেছিল। রাজ্যে এসআইআর জুজু ধেয়ে আসতেই একে একে ঝুলি থেকে বের হচ্ছে বিড়াল।

    রেশন তুলেছেন অনুপ্রবেশকারীরা! (SIR)

    ফেরা যাক খবরের মূলে। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগেই শুরু হয়েছে ভোটার-তালিকা ঝাড়াই-বাছাইয়ের কাজ। সেজন্য চালু হয়েছে এসআইআর। তখনই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক খবর, যা শুনলে কপালে চোখ উঠতে বাধ্য। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় ঢোকা এই অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেরই রয়েছে ভোটার কার্ড, আধার কার্ডও জোগাড় করে ফেলেছেন এঁদের অনেকেই। নিয়মিত রেশন তোলার পাশাপাশি অনেকে আবার এ রাজ্যে ভোটও দিয়েছেন দু’-তিনবার। আর এর বদলে মিলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানও। যা পাওয়ার হক নেই কোনও বিদেশিরই। এসআইআরের নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারেই। এবার সেটাই শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে। তার পরেই পোঁটলা-পুঁটলি গুছিয়ে পিলপিল করে রাজ্যের নানা সীমান্তে ভিড় করছেন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় যাঁরা প্রতীক্ষা করছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করেই মিলেছে এসব তথ্য (SIR)।

    বোমা ফাটালেন আনোয়ারা বিবি!

    স্বরূপনগরের এই সীমান্তেই দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের (Bangladeshi) সাতক্ষীরার বাসিন্দা রোকেয়া বিবি। তিনি জানান, বাংলাদেশের নাগরিক। তবে ভোট দিতেন এ রাজ্যে। লকডাউনের সময় পদ্মার ওপর থেকে দালালদের হাত ধরে ঢুকে পড়েছিলেন এপার বাংলায়। ঠাঁই জুটেছিল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। কাগজকুড়ুনির কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি জানান, ৩-৪ বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করেছেন। তাতে টাকাও ঢুকেছে। দিয়েছেন ভোটও। এই সাতক্ষীরায়ই ফিরে যাচ্ছেন আনোয়ারা বিবিও। তাঁরও বাড়ি সেখানেই। তিনিও কবুল করলেন, এ রাজ্যে ভোট দিয়েছেন। বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে জেনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, “আমরা এখানে থাকব বলে কাগজপত্র সব করে দিল। আর এখন থাকতে পারছি না। আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই বাংলাদেশেই ফিরে যাচ্ছি।” শুধু কী তাই? আদতে বাংলাদেশের নাগরিক, অথচ বাংলায় ঢুকে পড়ে কাগজপত্র সব জোগাড় করে বসে পড়েছেন সরকারি চাকরির পরীক্ষায়ও। এফআরআরও-চিঠিতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এ ব্যাপারে (SIR) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (Bangladeshi)।

    গুচ্ছের প্রশ্ন

    এখানেই উঠছে রাশি রাশি প্রশ্ন। নজরদারি এড়িয়ে এরা কীভাবে পদ্মার এপাড়ে এলেন? এতদিন এখানে থাকলেনই বা কীভাবে? ভারতে বসবাসের কাগজপত্রই বা জোগাড় করলেন কীভাবে? রাজ্যের বিরোধী দলের অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বদান্যতায় এঁরা জোগাড় করেছেন জাল কাগজপত্র। দিয়েছেন ভোটও। যার জেরে বুথ ফেরত সমীক্ষার যাবতীয় প্রেডিকশনের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে বারবার জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এঁদের অনেক প্রার্থীই আবার জয়ী হয়েছেন লাখ লাখ ভোটে। তা নিয়ে তাঁদের গর্ব করতেও দেখা গিয়েছে প্রকাশ্য সভায়।

    প্রতারকদের অভিশম্পাত!

    স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেকপোস্টের কাছে এখন ওপারে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন শয়ে শয়ে বাংলাদেশি। কেউ কাকভোরে, কেউ আবার রাতের আঁধারেই এখানে চলে এসেছেন (SIR)। আবার অনেকেই আসছেন দিনের বেলায়। সবাই ইতিউতি দাঁড়িয়ে বসে রয়েছেন কখন ফিরবেন নিজের দেশে, তার অপেক্ষায়। শিশুর কান্না, পরিবারের উদ্বেগ, দেশে ফিরে গিয়ে কী করবেন – এসবেরই ছাপ অপেক্ষারত অনুপ্রবেশকারীদের চোখেমুখে। এঁদের মধ্যে (Bangladeshi) যাঁরা টাকা-পয়সা দিয়ে কাগজপত্র বানিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের অনেকেই আবার অভিশম্পাত দিচ্ছেন প্রতারকদের। জানা গিয়েছে, বিএসএফ ইতিমধ্যেই আটক করেছেন ৩০০ জনকে। এঁদের অধিকাংশেরই নথি নেই। সীমান্ত পার হতে গিয়েও ধরা পড়েছে ৪৫ জন। স্থানীয়দের দাবি, সীমান্তে ভিড় করা এই মানুষগুলির সিংভাগেরই বাড়ি সাতক্ষীরা কিংবা খুলনার গ্রামে (SIR)।

    অনিশ্চিত ভবিষ্যত

    একটুকু সুখের আশায় জন্মভূমি বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবাংলায় এসেছিলেন এঁরা। নেতাদের ধরে জুটে গিয়েছিল মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজকর্মও। টাকা-পয়সার বিনিময়ে জোগাড়ও করেছিলেন কাগজপত্র। তবে সেসব কাগজ যে জাল, তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে থাকতে এই দেশটাকেই আপন করে নিয়েছিলেন এঁদের অনেকেই। শাসক দলের ‘ঋণ’ শোধ করতে হাত উপুড় করে তাদের ভোটও দিয়েছিলেন দাবি করলেন অনেকে। তখনও বোঝেননি, যে দেশটায় থাকতে থাকতে ক্রমেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন (Bangladeshi), সেই দেশটাই এখন পর হয়ে গিয়েছে। এবার ফিরতে হবে স্বদেশে, এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে (SIR)।

  • India-US Defence Deal: ভারতকে ৮২৫ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বিক্রিতে সায় ট্রাম্প প্রশাসনের

    India-US Defence Deal: ভারতকে ৮২৫ কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বিক্রিতে সায় ট্রাম্প প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা প্রায় অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। তবে তার আগেই প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটা বড় চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলল দুই দেশ। ভারতকে প্রায় ৯.৩ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮২৫ কোটি টাকা) অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ‘জ্যাভলিন’ ক্ষেপণাস্ত্র, এবং অত্যাধুনিক ‘এক্সক্যালিবার’ আর্টিলারি।

    ৮২৫ কোটি টাকার চুক্তি

    এই চুক্তি যে হতে পারে, সেই খবর আগে থেকেই জানা ছিল। এবার তা অনুমোদিত হল। বুধবার সিলমোহর দিল মার্কিন প্রশাসন। আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তির কথা জানিয়েছে ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পোরেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ)। বিবৃতি অনুযায়ী, ১০০টি এফজিএম-১২৫ জ্যাভলিন মিসাইল, একটি জ্যাভলিন এফজিএম-১৪৮ ক্ষেপণাস্ত্র (ফ্লাই-টু-বাই), ২৫টি লাইটওয়েট কমান্ড লঞ্চ ইউনিট (সিএলইউ) এবং ২১৬টি এক্সক্যালিবার আর্টিলারি রাউন্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ধাপে ধাপে ভারতীয় সেনার হাতে আসবে মোট ১২টি লঞ্চার এবং ১০৪টি ক্ষেপণাস্ত্র। পাশাপাশি, ভারতের অনুরোধে এই প্যাকেজটিতে আরও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে— জ্যাভলিন এলডব্লিউসিএলইউ বা সিএলইউ বেসিক স্কিল প্রশিক্ষক, মিসাইল সিমুলেশন রাউন্ড, ব্যাটারি কুল্যান্ট ইউনিট, ইন্টারেক্টিভ ইলেকট্রনিক টেকনিক্যাল ম্যানুয়াল, জ্যাভলিন অপারেটর প্রশিক্ষণ, অস্ত্রগুলির লাইফটাইম সাপোর্ট, নিরাপত্তা পরিদর্শন, খুচরো যন্ত্রাংশ, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন এবং চেক আউট, প্রযুক্তিগত সহায়তা, টুল কিট, ব্লক ১ সিএলইউ সংস্কার পরিষেবা, এবং লজিস্টিক এবং প্রোগ্রাম সহায়তা সম্পর্কিত আরও অন্যান্য উপাদান।

    জ্যাভলিনের কার্যকারিতা অপরিসীম

    আরটিএক্স এবং লকহিড মার্টিন দ্বারা যৌথভাবে তৈরি জ্যাভলিন মিসাইল বেশ কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে তার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে, যেখানে অনেক রাশিয়ান টি-৭২ এবং টি-৯০ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছিল। এই মিসাইল ইউক্রেন-সহ বিশ্বের অনেক দেশের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলগুলির মধ্যে অন্যতম জ্যাভলিন। যুদ্ধের ময়দানে জ্যাভিলিনের কার্যকারিতা অপরিসীম। মাত্র একজন সৈনিক এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি লঞ্চার রয়েছে, যেটি কাঁধে রেখে নিখুঁত লক্ষ্যে ‘জ্যাভলিন’ ছোড়া যায়। ঠিক যেমন ছোড়া যায় আমেরিকারই তৈরি ‘শোল্ডার ফায়ারড’ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্ট্রিংগার। একটি ‘জ্যাভলিন’-এর ওজন আনুমানিক ২৩ কেজি। বহন করতে পারে সাড়ে আট কেজি বিস্ফোরক। এর লঞ্চার সাধারণত ৬.৪ কেজির হয়ে থাকে। ২,৫০০ মিটার পাল্লার এই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধীর গতিতে ওড়া হেলিকপ্টার ধ্বংস করতেও পটু।

    ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধি

    ডিএসসিএ জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা আরও বাড়াবে, তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা শক্তিশালী করবে এবং আঞ্চলিক হুমকি প্রতিরোধ করবে। এতে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে এই পণ্য এবং পরিষেবাগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে কোনও অসুবিধা হবে না। ডিএসসিএ আরও জানিয়েছে যে, এই চুক্তি মার্কিন-ভারত কৌশলগত সম্পর্ককে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করবে।

  • Bangladesh: দিল্লিতে বৈঠকে ডোভাল-খলিলুর, কী আলোচনা হল ভারত-বাংলাদেশের?

    Bangladesh: দিল্লিতে বৈঠকে ডোভাল-খলিলুর, কী আলোচনা হল ভারত-বাংলাদেশের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে। এহেন আবহে বুধবার দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) খলিলুর রহমান। বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভে অংশ নিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    ডোভালকে আমন্ত্রণ বাংলাদেশে (Bangladesh)

    রহমান অজিত ডোভালকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (CSC) সপ্তম এনএসএ স্তরের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল আজ দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও তাঁর দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তাঁরা কনক্লেভের কাজকর্ম ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। রহমান বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান ডোভালকে।” রহমান সপ্তম এনএসএ সিএসসি বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

    হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড

    গণআন্দোলনের জেরে বাংলাদেশছাড়া হতে হয়েছিল সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তারপরেই দেশের রশি যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। তার পর এটি দু’দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক। দিন চারেক আগে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। দেশ ছেড়ে হাসিনা আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। তার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। পড়শি এই দুই দেশের মধ্যে রয়েছে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি। সেই চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশের (Bangladesh) পক্ষ থেকে ভারতের কাছে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের বৈঠক

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঘোষিত রায়ের বিষয়ে (NSA) অবগত এবং ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারত সব সময় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকবে। ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঘোষিত রায়টির নোট নিয়েছে। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতা-সহ সর্বোত্তম স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে সব সময় গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব (Bangladesh)।”

    একাধিক চ্যালেঞ্জ

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের একটি আদালত পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের জুলাই–অগাস্ট বিদ্রোহের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে (NSA)। এদিকে, দুই দেশের দুই জাতীয় উপদেষ্টার বৈঠকটি এমন একটা সময়ে হয়েছে, যার মাস তিনেক পরেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ভারত প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছে যাতে নির্বাচন স্বাধীন, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে চলা সম্পৃক্ততাকেই প্রতিফলিত করে। ভারত বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে, আর বাংলাদেশ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা চায় (Bangladesh)।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ

    অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সদস্য রাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অজিত ডোভাল যে সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাবেন, সেগুলি হল মলদ্বীপ, মরিশাস, শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ। পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নেবে সিশেলস এবং মালয়েশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অতিথি দেশ হিসেবে (NSA)।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের লক্ষ্য

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ গঠিত হয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যও রয়েছে এই কনক্লেভের (Bangladesh)। এই জোড়া উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের ৭ম বৈঠকটি হবে বিভিন্ন সহযোগিতা স্তম্ভ—যেমন সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধ প্রতিরোধ, সাইবার নিরাপত্তা ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সুরক্ষা, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলা – এসবের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ। ২০২৬ সালের রোডম্যাপ এবং কর্মপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করা হবে এই কনক্লেভে।

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাই এ বারের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল বুধবার দিল্লি পৌঁছবেন খলিলুর। সেই সফরসূচি বদলে ফেলে মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান তিনি (Bangladesh)।

  • Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো নাম বাদ যেতে পারে’! এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো নাম বাদ যেতে পারে’! এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর ইস্যু নিয়ে ফের রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এসআইআর-এর পর রাজ্যে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, মৃত ও অবৈধ ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে রাখতেই এত এসআইআরের বিরোধিতা করছে শাসকদল তৃণমূল। মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, মৃত ভোটার, একই বুথে ডবল ভোট এবং অনুপ্রবেশকারীদের ভোট, তৃণমূলের সাফল্যের অঙ্ক। রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের যন্ত্রণা ও ভেঙে পড়ার কারণ পরিষ্কার। এর কারণ মৃত ভোটার। সকালের পোশাক বদলে বিকেলে ভোট দেওয়া হয়।”

    লক্ষণ এসআইআর আতঙ্ক, রোগ আত্মহত্যা

    ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনকে (এসআইআর) কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা আত্মহত্যার অভিযোগকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে এসআইআর হচ্ছে। কোথাও মৃত্যু হচ্ছে না। এখানেই শুধু হচ্ছে। লক্ষণ এসআইআর আতঙ্ক, রোগের নাম আত্মহত্যা। আমার মনে হয় ভাল চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তবে যদি এই রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’’ পাশাপাশি তিনি আরও জুড়ছেন, ‘‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ। তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা বলে দিচ্ছে আর তৃণমূল নেতারা সেই নিয়ে প্রচার করছেন। এতে কোনও লাভ হবে না।’’

    ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ পড়তে পারে

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আর ওঁর ভাইপো আর প্রতীক জৈন একটা মিটিং করেছেন, আইপ্যাক আর পুলিশ রিপোর্ট করেছে, ১ কোটি ১৫ লক্ষ মতো বাদ যেতে পারে এবং গেলে ওঁরা জিতবেন না, তারপর নতুন করে পুলিশের তালিকা তৈরি করতে বলেছে, যদি পুলিশকে দিয়ে উদ্ধার পাওয়া যায়, নতুন পুলিশের ট্রান্সফার তালিকা তৈরি হচ্ছে, ৭ ডিসেম্বর বের হবে। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর..এনুমারেশন ফর্ম পূরণের কাজ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তখন নিশ্চিতভাবে জানা যাবে কার নাম বাদ গেল, আর কার নাম থাকল।’’ বাংলায় এসআইআর শুরুর পর থেকে শুভেন্দু দাবি করে আসছেন, এক কোটি নাম বাদ যাবে। তার মধ্যে মৃত ভোটার, মাল্টিপেল ডুপ্লিকেট ভোটার, অনুপ্রবেশকারী রয়েছে জানিয়ে তিনি এদিনও বলেন, “২০০২ সালে বাদ গিয়েছিল ২৬ লক্ষ। এবার আরও বেশি নাম বাদ যাবে। আরও বেশি নাম বাদ যেত যদি রাজ্য সরকার সাহায্য করত। এবার ৮০ শতাংশ এসআইআর সফল হবে।”

    ভারতীয় মুসলিমদের বার্তা শুভেন্দুর

    এদিন ফের ভারতীয় মুসলিমদের বার্তা দেন তিনি। বলেন, “বিহারে অনেক রাষ্ট্রবাদী মুসলিম এনডিএ-কে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছেন। এখানেও আমরা রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের কাছে আবেদন করেছি। গরিষ্ঠ সংখ্যক ভারতীয় মুসলমানরা আমাদের ভোট না দিলেও আমরা বারবার বলেছি, এসআইআর নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও চিন্তা নেই।” বিভিন্ন জায়গায় বিএলও-দের বিরুদ্ধে ফর্ম না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে বিএলও-দের সতর্ক করলেন শুভেন্দু। জানালেন, অভিযুক্ত বিএলও-দের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন তাঁরা। কমিশন যাতে ওইসব বিএলও-দের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করে, সেই দাবি জানাবেন। একাংশ বিডিও-র সঙ্গে আইপ্যাকের টিম প্রতিদিন দুপুরে বৈঠক করছেন বলেও অভিয়োগ করেন তিনি।

  • Daily Horoscope 20 November 2025: টাকাপয়সার বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 November 2025: টাকাপয়সার বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ভাই-বোনের পরামর্শে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) শ্বশুরবাড়ির কোনও ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেন এড়িয়ে যান।

    ৩) সন্তানের ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক হন।

    বৃষ

    ১) অন্যের কাছ থেকে কোনও প্রত্যাশা রাখবেন না।

    ২) সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ কমে আসতে পারে।

    ৩) আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে সাফল্য পেতে।

    মিথুন

    ১) শত্রু প্রবল হবে।

    ২) গুজবের কারণে লক্ষ্যচ্যুত হতে পারেন।

    ৩) সন্ধ্যায় অর্থলাভ।

    কর্কট

    ১) টাকাপয়সার বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে।

    ২) সঠিক সুযোগ পাবেন।

    ৩) সমাজসেবা করবেন আজ।

    সিংহ

    ১) ছাত্রছাত্রীরা বিনোদনে সময় ব্যয় করবেন।

    ২) সন্তানের প্রতি নিজের দায়িত্ব পূরণ করুন।

    ৩) আপনার ব্যবহারে সকলে খুশি হবে।

    কন্যা

    ১) পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা হবে, যা আপনাকে কষ্ট দেবে।

    ২) পরিবারের কারও বিয়ের প্রস্তাব আসতে পারে।

    ৩) সন্ধ্যা নাগাদ মন্দিরে দেবদর্শনের জন্য যেতে পারেন।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) নিজের সমস্ত কাজ অন্যের ওপর ছেড়ে দেবেন না, তাঁরা আপনার বিশ্বাসের দুর্ব্যবহার করতে পারেন।

    ৩) সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

    ২) ছাত্রছাত্রীদের নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ৩) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে।

    ধনু

    ১) ভালো সময় কাটাবেন আজ।

    ২) আর্থিক জীবনে সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) বহুদিন ধরে আটকে থাকা টাকা এবার ফিরে পেতে পারেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে।

    ২) সাবধানে গাড়ি চালান।

    ৩) বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সাহায্যে কাজ করুন।

    কুম্ভ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি ক্রয়ের পরিকল্পনা করে থাকলে আজকের দিনটি ভালো।

    ৩) জীবনসঙ্গীর পরামর্শ মেনে চললে ভালো ফল পাবেন।

    মীন

    ১) ব্যবসায় মনোনিবেশ না-করায় সমস্যা হতে পারে।

    ২) আলস্য ত্যাগ করে পুনরায় কাজ শুরু করুন।

    ৩) জীবনসঙ্গীর জন্য উপহার কিনতে পারেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Maharashtra: আস-সালাম ইউনানি মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সোমাইয়ার

    Maharashtra: আস-সালাম ইউনানি মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সোমাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আদিবাসী-অধ্যুষিত আক্কালকুয়া অঞ্চলে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া ইশাআতুল উলুম প্রতিষ্ঠান এবং এর অধীনে থাকা আস-সালাম ইউনানি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা কিরীত সোমাইয়া (Kirit Somaiya)। তিনি এফসিআরএ লঙ্ঘন, সন্দেহজনক ভূমি দখল, হাসপাতালের নথি জালিয়াতি এবং উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত অনিয়মিত ছাত্রভর্তির অভিযোগ করেছেন।

    দিল্লির আল-ফালাহ হাসপাতাল (Maharashtra)

    সোমাইয়া জানান, তদন্তের জন্য তিনি সাক্ষাৎ করেছেন জেলা কালেক্টর, পুলিশ সুপার এবং জেলা স্বাস্থ্য কর্তার সঙ্গে। তাঁর এই সফর দিল্লির আল-ফালাহ হাসপাতাল বিস্ফোরণ তদন্তের প্রেক্ষাপটে বেড়ে ওঠা নজরদারির মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মনোযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। সোমাইয়ার মতে, কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে জামিয়া ইসলামিয়া ইশাআতুল উলুমের এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা ছাত্র রয়েছে, যাদের একটি বড় অংশ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছে।

    ভর্তির হার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে

    অভ্যন্তরীণ নথি উদ্ধৃত করে তিনি দেখিয়েছেন, ভর্তির হার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষে  ভর্তি হয়েছিল ৫ হাজার ৭০৮ জন ছাত্র, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে এই হার বেড়ে হয় ১১ হাজার ১০৮ জন। এর মধ্যে আবার শুধু বিহার থেকেই এসেছেন ৬ হাজার ৫৫৩ পড়ুয়া। এই ভর্তির উদ্দেশ্য এবং ব্যাপ্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগ করেন, এগুলি নিয়ন্ত্রণহীন ধর্মীয় শিক্ষা চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত (Maharashtra)।

    সোমাইয়ার দাবি, আস-সালাম ইউনানি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ অনুমোদন ও বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য ভুয়ো বা বাড়িয়ে রোগীর সংখ্যা দেখাচ্ছে। কলেজ সম্প্রসারণের অছিলায় দখল করা হয়েছে আক্কালকুয়া এলাকার আদিবাসীদের জমি। সভাইয়া বলেন, “এই অনিয়মগুলি আল-ফালাহ প্যাটার্নের প্রতিচ্ছবি।” মহারাষ্ট্রের এই বিজেপি নেতা উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে অনুরোধ করেন আক্কালকুয়া থানার এফআইআর নম্বর ৩০-এর প্রেক্ষিতে দ্রুত (Kirit Somaiya) ব্যবস্থা নিতে। সোমাইয়া অবিলম্বে সরকারি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক তদন্ত এবং দ্রুত বিচার দাবি করে। নন্দুরবার জেলার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সোমাইয়ার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র (Maharashtra)।

LinkedIn
Share