Tag: Nadia

Nadia

  • Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল বাংলাদেশি এক চোরাচালানকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মধ্য রাতে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়াপোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ রাতেই গুলিবিদ্ধ দেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বাধা পেয়েই গুলি (Nadia)

    সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একদল বাংলাদেশি এদেশে ভীমপুর থানার (Nadia) রানিয়াপোতা বিওপি’র অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার ওপর আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। পালাবার সময় গুলিতে জখম হয় একজন। পরে আরও বিএসএফ কর্মী ঘটনাস্থলে জমায়েত হয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি করার সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং সেখানে তল্লাশি করার সময় উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। গুলি তার পায়ে লাগে। তার পর মৃতদেহ পুলিশমর্গে রাখা হয় ময়নাতদন্ত জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রুজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং সঙ্গে কারা কারা ছিল, সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিশ।

    একের পর এক ঘটনা

    উল্লেখ্য, সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বারবার রুখে দিয়েছে বিএসএফ। কয়েকদিন আগেও বিএসএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার (Nadia)। গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    তারও আগে ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Road: উন্নয়ন সত্যিই যেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে! জমা জলে জাল ফেলে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা

    West Bengal Road: উন্নয়ন সত্যিই যেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে! জমা জলে জাল ফেলে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের এক সময়ের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। তাঁর কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে। দিকে দিকে বেহাল রাস্তা তাঁর সেই কথাকেই যেন কটাক্ষ করছে। সাধারণ মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, উন্নয়ন কাকে বলে। তাঁরা এও বুঝছেন, ভোট আসে ভোট যায়, শুধুই মেলে প্রতিশ্রুতি। গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বেহাল দশা নিয়েই পড়ে থাকে। হেলদোল নেই প্রশাসনের। পরিস্থিতি এমনই যে, ধৈর্যচ্যুত হয়ে চাঁদা তুলে রাস্তা (West Bengal Road) মেরামতির কাজে হাত লাগালেন গ্রামের মানুষ।

    নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দ নগর দক্ষিণপাড়া এলাকার ঘটনা। এলাকার মানুষের দাবি, এই রাস্তা দিয়ে কয়েকশো পরিবার যাতায়াত করে, একটু বৃষ্টি হলেই জমে থাকে এক হাঁটু জল। জল শুকিয়ে যাওয়ার পরে গোটা রাস্তা কাদায় পরিণত হয়। এছাড়াও রাস্তার বেশ কিছু অংশ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বিগত দিনে একাধিকবার তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তা ঠিক করার কাজে হাত লাগানো হয়নি। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে গেলে এক হাঁটু জল ডিঙিয়ে যেতে হয়। জল জমে থাকার কারণে মশার লার্ভা এবং বিষাক্ত পোকামাকড়ের উৎপত্তি হয়।  এলাকার মানুষের সিদ্ধান্ত, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়েও যখন কোনও লাভ হয়নি, তখন নিজেরাই এই রাস্তা ঠিক করবেন। তাই এলাকার মানুষই চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন।

    টাকাই নেই, মেরামতি (West Bengal Road) হবে কী করে?

    যদিও এ প্রসঙ্গে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা তিনি পঞ্চায়েতে জানিয়েছিলেন। অল্পদিনের মধ্যেই রাস্তাটি পাকাপোক্ত ভাবে করার আশ্বাস দিয়েছে পঞ্চায়েত। যদিও বাবলা পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান সুস্মিতা মুন্ডা বলেন, সবেমাত্র তিনি দায়িত্বভার হাতে নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত উন্নয়নের খাতে তাঁর কাছে টাকা এসে পৌঁছায়নি। তাই তিনি কাজ শুরু করতে পারছেন না। তবে খুব তাড়াতাড়ি তাঁর পঞ্চায়েতের যে সমস্ত রাস্তার (West Bengal Road) অবস্থা খুবই বেহাল রয়েছে, সেগুলির দ্রুত কাজ শুরু করবেন। তিনি এও বলেন, আগের পঞ্চায়েত প্রধান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কী কাজ করেছে, তা আমার জানার দরকার নেই। আমি এই পঞ্চায়েতের কীভাবে উন্নয়ন করা যায়ে, সেই চেষ্টা করব।

    রাস্তার জন্য জীবনযাপন দুর্বিষহ

    রাস্তার বেহাল অবস্থার চিত্র দিকে দিকে। নদিয়ার হাঁসখালি থানার দক্ষিণপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবতীতলা ১৫৭ নম্বর বুথ এলাকার কথাই ধরা যাক। অল্প বৃষ্টিতেই এক হাঁটু জল জমে যায়। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় এলাকাবাসীদের। পাশাপাশি এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বেশি ভাড়া দিলেও ভাঙা রাস্তা দিয়ে কোনও টোটো, অটো কিংবা অ্যাম্বুলেন্সের চালক গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না। বেহাল রাস্তার কারণে বর্ষাকালে স্কুল-কলেজে বা প্রাইভেট টিউশনিতে সময়মতো পৌঁছতে পারে না ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করার মূল রাস্তার (West Bengal Road) এই ভগ্নদশার কারণে একপ্রকার এলাকাবাসীদের জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অথচ এই রাস্তাটি কৃষ্ণগঞ্জ ও বাদকুল্লা যাওয়ার রাস্তা।

    মাছ ধরার জাল নিয়ে বিক্ষোভ

    স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দশার কথা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনিক মহল ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কাছে জানানোর পরেও আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। যার কারণে এদিন বাধ্য হয়েই জল জমে থাকা রাস্তায় মাছ ধরার জাল নিয়ে এলাকাবাসীরা রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভে শামিল হন ওই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ-মহিলা, এমনকি বয়স্ক মানুষরাও। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির ব্যবস্থা প্রশাসন না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে তাঁরা বাধ্য হবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিজের বুথে এই রাস্তার (West Bengal Road) বেহাল দশা হলে অন্য জায়গায় কী হতে পারে!

    সেই আশ্বাস!

    এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সদস্যা মুনমুন বিশ্বাস রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, রাস্তাটি মেরামতি করার জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রসেসিং হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার বেরোলেই মেরামতির কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমে যাওয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য ড্রেন তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। এছাড়াও পথশ্রী প্রকল্পের মধ্যেও রাস্তাটির (West Bengal Road) নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন দেখা যাক, কবে রাস্তাটি সারানো হয়, কবে সাধারণ গ্রামের মানুষ দুঃখ-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ অগাস্ট নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এক ছাদের নিচেই সমস্ত রকম পরিষেবা পাওয়ার কথা ছিল রোগীদের। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও তা চালুই হয়নি। ভোট এলে মানুষকে বোকা বানানোর পদ্ধতি মুখ্যমন্ত্রীর! এভাবেই একে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    কেন এই উদ্যোগ?

    বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অচল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রোগীর আত্মীয়রা কখনও কখনও অভিযোগ তোলেন, বিনা পরিষেবায় তাঁদের রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। আবার বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায় বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবি। এবার মূলত সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানো যায় এবং সাধারণ মানুষ আরও উন্নত পরিষেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিয়েই গত অগাস্ট মাসের ৩ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে একটি সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন রোগী যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। শুধু তাই নয়, যে কোনও পরিষেবা পেতে অন্য হাসপাতালে যেন ছুটতে না হয়। সেদিনে তাঁর উদ্বোধনকে সাধুবাদ জানিয়েছিল বিরোধীরাও। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও উদ্বোধন হলেও চালু হল না পরিষেবা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

    এসব কাটমানিরই খেলা, বলছে বিজেপি

    এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন একই ছাদের তলায় বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা মানুষ পাবেন। সেরকম একটি উদ্যোগ ধুমধাম করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেটা উদ্বোধন হওয়ার পর এখনও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটা শুধু মানুষকে দেখানো আমরা কাজ করছি এবং রাজ্য সরকার কাজ করছে। মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন প্রকাশ্য সভায় বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৃথিবীর সব থেকে উন্নত। আমরা সেই উন্নতর নমুনা পাচ্ছি, কোথাও বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে আবার কোথাও নার্স এবং ডাক্তাররা নিগৃহীত হচ্ছেন। একটা অরাজকতার পরিস্থিতি গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর তার অপদার্থতা দিন দিন প্রকাশ পাচ্ছে। এটা আর কিছুই নয়, উদ্বোধন করা মানে জনগণের ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ টাকার একটা অংশ কাটমানিতে চলে যাওয়া। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরাও চাই এই ধরনের উদ্যোগ যাতে বাস্তবায়িত হয় এবং সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পায়।

    কবে চালু হবে, উত্তর মিলল না

    এ বিষয়ে নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ওই প্রকল্পটির পরিকাঠামো গত কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে পরিষেবা। তবে বিস্তারিত বিষয়টি হাসপাতালে সুপার জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু, জেলায় কতজন আক্রান্ত জানেন?

    Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু, জেলায় কতজন আক্রান্ত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) ডেঙ্গিতে লাগাম টানতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর আগে রানাঘাটে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলেজ ছাত্রীর। কলেজ ছাত্রীর নাম সুস্মিতা মণ্ডল। তাঁর বয়স কুড়ি বছর। রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি শান্তিপুর থানার পুলতা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। তাঁকে প্রথমে হবিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁকে রানাঘাটে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। তারপর থেকেই শুরু হয় চিকিৎসার গাফিলতি। যখন পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয় তখন ওই কলেজ ছাত্রীকে নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পরিবারের পরিজনেরা তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই ওই ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছে। সোমবার রাতে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় ওই কলেজ ছাত্রীর। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে। রানাঘাটের ওই  নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। আবারও কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রানাঘাটের ওই বেসরকারি নার্সিংহোম।

    নদিয়া (Nadia) জেলায় ডেঙ্গিতে কতজন আক্রান্ত?

    নদিয়া (Nadia) জেলায় হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না বলে জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৪ হাজার জন আক্রান্ত রয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, অনেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। অনেকের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বক্তব্য, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হরিণঘাটার তৃণমূল কর্মী, নদিয়া জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য

    Nadia: ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হরিণঘাটার তৃণমূল কর্মী, নদিয়া জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছিল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার পর থেকে উধাও অভিযুক্ত নেতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ঘটনার জের কাটতে না কাটতে এবার ডাকাতি করার জন্য জমায়েত হওয়ার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম জাকির হোসেন মণ্ডল ও শ্যামল রায়। তাদের বাড়ি হরিণঘাটা থানা এলাকায়। এই জাকির তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি সে হরিণঘাটার কাষ্ঠডাঙা-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের ছেলে। সে এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ধৃত তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Nadia)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর পাটুলিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জাকির সহ দু’জন ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল। তখনই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। পুলিশের দাবি, তাদের কাছ থেকে লাল রঙের একটি গাড়ি ও একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, দু’টি কার্তুজ ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জাকির আগেও মাদক আইনে গ্রেফতার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটা থানা এলাকায় হিংসা, অশান্তি, সংগঠিত অপরাধের মামলাও রয়েছে। হরিণঘাটা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাষ্ঠডাঙা-২ পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও গত ১১ অগাস্ট প্রধান নির্বাচন নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। প্রধান পদের জন্য দলের বাছাই ছিলেন শুভদীপ সাহা। কিন্তু, সদস্যদের একাংশ চিন্ময় দাস নামে আর এক জনের নাম প্রস্তাব করেন। ভোটাভুটিতে দলের শুভদীপকে হারিয়ে প্রধান হন চিন্ময়। বিজেপি সদস্যরা ভোটে যোগ দেননি। তখনই তৃণমূলের একাংশ অভিযোগ তুলেছিল, প্রধান নির্বাচনের আগের রাতে দলের কয়েকজন নির্বাচিত সদস্যকে অপহরণ করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানো হয়। যদিও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। সূত্রের খবর, এই অপহরণের পিছনে ছিল জাকির।

    ধৃত তৃণমূল কর্মীর বাবা কী সাফাই দিলেন?

    জাকিরের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ছেলে জড়ো হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ। আসলে নদিয়ার (Nadia) আড়ংঘাটায় দলের মিটিং ছিল, জাকির সেখানে গিয়েছিল। তারপর রাতে আকাইপুরে শ্বশুরবাড়িতে খেয়ে ফিরছিল। আর ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল এক জনকে প্রধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আমরা একটা ভাল ছেলেকে প্রধান করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছিলাম। ছেলে কাউকে অপহরণ করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?  

    ডাকাতির মামলায় দলীয় কর্মী গ্রেফতার হওয়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে দল। হরিণঘাটা জুড়ে এই বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে। এই ঘটনায় শাসক দল বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাস ‘দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে মন্তব্য করে আর কোনও কথা বলতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে নেই শিল্প, গড়ে ওঠেনি নতুন কল কারখানা! মেলেনি বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির বরাদ, চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্য রয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশজুড়ে। মাটির পুতুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবদেবীর মূর্তি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায় কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে। বিভিন্ন পুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। পুজো এলেই কাজের বরাত পৌঁছে যায়। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। মূলত বর্তমানে বিভিন্ন ঘরে ঘরেই ছোটখাটো বিশ্বকর্মার পুজো হয়ে থাকে। সেই প্রতিমাও বিক্রি নেই। মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের।

    একসময় বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ব্যস্ত থাকতেন মৃৎশিল্পীরা

    অন্যদিকে,কয়েক দশক আগে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী শিল্পাঞ্চল জুড়ে বড় বড় কলকারখানা থেকে এবং শিল্পপতিদের থেকে বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতেন মৃৎশিল্পীরা। সেখান থেকে তাঁদের মোটা টাকা আয়ও হত। কিন্তু, আস্তে আস্তে গোটা রাজ্যের বড়, মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে ছোটখাটো শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। একাধিক কলকারখানা এখন জঙ্গল এবং আগাছা গ্রাস করে নিয়েছে। সেই কারণে বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার আর আসে না। সেই কারণেই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

    কী বললেন মৃৎশিল্পীরা? (Nadia)

    মৃৎশিল্পীদের মূলত ঠাকুর তৈরির ওপরে তাঁদের সংসার চলে। কিন্তু, বড় বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার না এলে কিভাবে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত তাঁরা। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে দীর্ঘদিনের মৃৎশিল্পী তারক পাল বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলকারখানা এবং শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে যে সমস্ত আমরা বড় বড় বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতাম এখন তা আর আসে না। মূলত ছোট ছোট বাড়ির পুজোর ঠাকুর তৈরির উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেখানে লাভের অংশ নিতান্তই কম। সেই কারণে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই আগের মত যাতে গোটা রাজ্য জুড়ে শিল্প এবং কলকারখানা নতুন করে চালু হোক। তাহলে কিছু আর্থিক দিক থেকে সবল হব। আর এক মৃৎশিল্পী অরবিন্দ পাল বলেন, বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেখানে লাভের শতাংশ অনেকটা কমে গেছে। ঠাকুর তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এখন ডবল দাম দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু, সেই অর্থে আমরা ঠাকুরের দাম বাড়াতে পারিনি। যে কারণে আর্থিক দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণির (Mandarmani) চাঁদপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই যুবতীর পরিচয় পেলেন তদন্তকারীরা। যুবতীর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ খুন করা হয়েছে। মন্দারমণি, চাউলখোলা এলাকায় একটি নারী পাচার চক্র রয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে গরিব মেয়েদের ভাল কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে এসে বিপথে চালিত করে। এই যুবতীও এই ধরনের চক্রের খপ্পড়ে পড়েছিল বলে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mandarmani)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে শনিবার কিংবা রবিবার সোদপুরে বিউটিশিয়ানের কোর্স শিখতে যেতেন মৃত যুবতী। শনিবার দিদির বাড়ি বারাকপুরে থেকে সোদপুরের উদ্দেশে বের হন এবং বাড়িতে ফোন করে জানান ফিরতে রাত হবে। ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধে ৬টার সময় মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাঁর ফোন সুইচ অফ দেখায়। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণি (Mandarmani) কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে সমুদ্রের পাশে বোল্ডারের ওপর একটি অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। এদিকে যুবতীর পরিবার তাহেরপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করে। এরপর জানা যায়, মৃত যুবতীই তাহেরপুরের বাসিন্দা।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    কীভাবে নদিয়ার তাহেরপুর থেকে সোদপুর হয়ে মন্দারমণি (Mandarmani) পৌঁছলেন, তার ব্যাখা নেই পরিবারের কাছেও। যদিও মৃত যুবতীকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন মৃত যুবতীর দাদা দিলীপকুমার পাল। তিনি বলেন, ‘মন্দারমণির চাউলখোলায় একটি বড়সড় চক্র রয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে গরিব বাড়ির মেয়েদের কাজ ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালনা করে। সোদপুর পর্যন্ত এই চক্র কাজ করছে কিনা পুলিশ তদন্ত করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। হয়তো আমার বোনকে এখানে নিয়ে এসে বাজে কাজ করানোর চেষ্টা করেছিল। রাজি হয়নি বলেই বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: এটাই কি উন্নয়ন! অভাবের তাড়নায় দুধের শিশুকে বিক্রি করে দিচ্ছেন মা?

    Shantipur: এটাই কি উন্নয়ন! অভাবের তাড়নায় দুধের শিশুকে বিক্রি করে দিচ্ছেন মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে এক মাসের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুরসভার চেয়ারম্যান সহ পুর প্রতিনিধিরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে। যদিও শিশু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন। নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড় পাড়ার ঘটনা।

    ঘটনাস্থলে পুরসভার চেয়ারম্যান

    শান্তিপুর (Shantipur) পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষের দাবি, হঠাৎই তিনি জানতে পারেন, ওই এলাকার এক গৃহবধূ তাঁর একটি এক মাসের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই গৃহবধূর আরও এক বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। খবর পেতেই নিজে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা করেন তিনি। ওই গৃহবধূকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরবর্তীতে নিজের মুখে স্বীকার করে নেন, হ্যাঁ, তিনি এই কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনা নিন্দনীয় বলেই জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান।

    কী বললেন গৃহবধূ?

    অন্যদিকে গৃহবধুর পরিবারের দাবি, অর্থের অভাবে কোনও রকমে সংসার চলে। যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। বেশ কয়েক হাজার টাকা দেনা হয়ে যায় ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীর। সেই কারণেই বাচ্চাদের মানুষ করতে পারবেন না বলে ওই গৃহবধূ তাঁর নিজের আত্মীয়কে আইনের পথে হেঁটেই  শিশুকন্যাকে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও এসব অস্বীকার করে অভিযুক্ত গৃহবধূর (Shantipur) দাবি, তিনি বাচ্চা বিক্রি করেননি। নিজের ইচ্ছাতেই তাঁর জা-এর কাছে দিয়ে দিচ্ছিলেন। কারণ দেনার দায়ে কর্মসংস্থানের জন্য অন্যত্র চলে যেতেন তিনি।

    তদন্তে শান্তিপুর (Shantipur) থানা

    এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এখন শিশুকন্যা সহ স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রয়েছেন পুলিশের (Shantipur) হেফাজতে। এখন দেখার সত্যিই কি ওই গৃহবধূ নিজে থেকেই তাঁর শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, নাকি ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। এসবই তদন্ত করে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সীমান্তে কাঁটাতার কেটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বিএসফের গুলিতে হত পাচারকারী

    Nadia: সীমান্তে কাঁটাতার কেটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বিএসফের গুলিতে হত পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের সঙ্গে পাচারকারীর গুলির লড়াই! বিএসএফের (Nadia) গুলিতে মৃত্যু এক পাচারকারীর। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার। জানা যায়, গতকাল গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    পরিচয় জানার চেষ্টা

    তবে মৃত ওই পাচারকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিএসএফ এবং কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ওই ব্যক্তির পরিচয় এবং ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে। মূলত ওই ব্যক্তি কী পাচার করত এবং কোন গ্যাঙের সঙ্গে যুক্ত, তাও জানার চেষ্টা করছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (Nadia)। অন্যদিকে ওই পাচারকারীর মৃতদেহ আজ ময়নার তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    আগেও একই ধরনের ঘটনা

    প্রসঙ্গত এর আগেও ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: এক টাকার সুস্বাদু শিঙাড়ায় মজেছেন নদিয়াবাসী

    Nadia: এক টাকার সুস্বাদু শিঙাড়ায় মজেছেন নদিয়াবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এক টাকায় কী পাওয়া যায়? এই প্রশ্ন করলে প্রত্যেককেই মাথা চুলকাতে হবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কিছুই মাথায় আসবে না। উত্তরে হয়তো অনেকেই বলবেন, এক টাকায় এখন আর কিছুই পাওয়া যায় না। কিন্তু, সেই উত্তর যে ভুল, তা প্রমাণ করেছেন নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাসের গোপালচন্দ্র রায়। তাঁর দোকানের শিঙাড়া এখনও এক টাকায় পাওয়া যায়।

    আগে এই শিঙাড়ার কত দাম ছিল? (Nadia)

    ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, বর্তমানে যেখানে জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, সেখানে এক টাকায় শিঙাড়া পাওয়া সত্যিই অদ্ভুত ব্যাপার। যদিও এখন শিঙাড়ার দাম এক টাকা হলেও আগে তা পাওয়া যেত মাত্র কুড়ি পয়সায়। পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে দাম বেড়েছে। ৪০ পয়সা, ৫০ পয়সা থেকে এখন এক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে গোপালবাবু এই শিঙাড়া বিক্রি করে আসছেন নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস মন্দিরের কাছেই। যেহেতু শিবনিবাস মন্দির বহু প্রাচীন এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত, তাই মন্দির চত্বরে কোনওরকম আমিষ খাবার বিক্রির প্রচলন নেই। তাই নিরামিষভাবে তৈরি করেন এই শিঙাড়া। ৫০ বছর ধরে তা বিক্রি করে আসছেন। ক্রেতারা বলেন, গোপালবাবুর শিঙাড়া খুবই সুস্বাদু এবং খুব পরিষ্কার। আর দামেও সস্তা।

    কী বললেন এই শিঙাড়া তৈরির কারিগর?

    গোপালবাবু জানান, যতদিন তিনি বাঁচবেন, ততদিনই এই শিঙাড়া এক টাকাতেই বিক্রি করবেন। এই শিঙাড়ার চাহিদা প্রচুর, তাই দোকান খুললেই শিঙাড়ার জন্য লাইন পড়ে যায়। নদিয়া (Nadia) জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই শিঙাড়া খাওয়ার জন্য এখানে আসেন। তিনি বলেন, আট থেকে আশি, সবাই আমার এই এক টাকার শিঙাড়া খাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে প্রতিদিন। কীভাবে ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করছেন? লাভের অংশই বা কী? এই প্রশ্ন করলে দোকানদার গোপালবাবু জানাচ্ছেন, তাঁর লাভ বিক্রির উপরে। বিক্রির পরিমাণ বেশি হলে লাভ হয় বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share