Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Modi Meets Carney: মোদি-কার্নি  বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’, নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত ভারত ও কানাডা

    Modi Meets Carney: মোদি-কার্নি বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’, নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত ভারত ও কানাডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-কানাডা সম্পর্কে নতুন মোড়। কানাডার (Modi Meets Carney) সঙ্গে ভারতের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। কানাডায় জি৭ বৈঠকে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কার্নির আমন্ত্রণেই মোদির এই সফর। কানাডার (India Canada) কানানাসকিসে জি৭ সম্মেলনের ফাঁকেই দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হয়। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে তাঁরা উভয় দেশেই নতুন হাইকমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য নিয়মিত কনসুলার পরিষেবা পুনরায় চালু করা যায়।

    মোদির অভিনন্দন, বৈঠক ফলপ্রসূ

    কানাডা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে (Modi Meets Carney) সফলভাবে জি৭ সম্মেলন আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “ভারত ও কানাডা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে কাজ করে এই বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” এক্স -এ পোস্ট করে মোদি জানান, “প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা বাণিজ্য, শক্তি, মহাকাশ, ক্লিন এনার্জি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও সারসহ একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেছি।” কানাডায় জি৭ সম্মেলনে সন্ত্রাস দমনে ভারতের অবস্থানের কথা বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর জন্য মঙ্গলবার ওই সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের ধন্য়বাদও জানান। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে ‘মানবতা’-র উপর হামলা বলে মন্তব্য করেন। এদিন জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেন মোদি।

    নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে ঐকমত্য

    ভারত ও কানাডা (India Canada) ঘোষণা করেছে, তারা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগ করবে। এর মাধ্যমে নাগরিক এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিকে এগনো যাবে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই নেতা পারস্পরিক সম্মান, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।” মোদি আরও বলেন, “জি-৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে ধন্যবাদ জানাই। ২০১৫ সালের পর আবার কানাডায় আসার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।” তিনি বলেন, ভারত-কানাডা সম্পর্ক বহু দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। “অনেক কানাডিয়ান কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগ করেছে। একইভাবে ভারতীয় কোম্পানিও কানাডায় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এই দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করে মানবতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।”

    নিজ্জর হত্যা ও সম্পর্কের অবনতি

    ২০২৩ সালের জুন মাসে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। কানাডা ভারতের কয়েকজন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার হাইকমিশনার ও পাঁচজন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নেয় এবং পাল্টা কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। ভারতের অভিযোগ, কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার খালিস্তানপন্থীদের কার্যকলাপে প্রশ্রয় দেন। চলতি বছর মার্চ মাসে অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। ট্রুডোর পদত্যাগের পর ভারত আশা করে, নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে।

    ভারত-কানাডা সম্পর্কের উন্নতি

    মার্ক কার্নি ক্ষমতায় এসেই ভারতের (India Canada) সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দিয়েছিলেন। জি৭ সম্মেলনে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে বলে দাবি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। উভয় দেশই একে অপরের রাজধানীতে হাইকমিশনারদের পুনরায় নিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে বলেই খবর। সম্প্রতি দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থা আবার যোগাযোগ শুরু করেছে। কানাডা এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘দুই দেশের বন্ধুত্বকে মজবুত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী আমরা।’’ কার্নির দাবি, ‘‘দুই দেশই জ্বালানি নিরাপত্তা থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) সহযোগিতার কথা ভাবছে।’’ উল্লেখ্য, কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ, যা দেশটির জনসংখ্যার ৪.৫ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ৭.৭ লক্ষ শিখ সম্প্রদায়ের। এছাড়া প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয় ছাত্র, পেশাদার ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কানাডায় বসবাস করছেন। ২০২২ সালে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতীয় শিক্ষার্থীরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ (৪১ শতাংশ)। তবে সাম্প্রতিক অভিবাসন নীতির পরিবর্তনের ফলে ভারতীয় ছাত্র ও কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় উভয়েই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

  • PM Modi in Cyprus: ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের’’! সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    PM Modi in Cyprus: ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয়ের’’! সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Cyprus)। সোমবার তাঁকে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ মাকারিও থার্ড’ সম্মান দেন সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডুলিডেস। এই স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি জানান, ভারতের সঙ্গে সাইপ্রাসের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে এই সম্মানকে দেখছেন তিনি। এরপরই সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসকে পাশে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বললেন, ‘ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার সংঘাত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি, এই যুগ যুদ্ধের যুগ নয়। তবে সন্ত্রাসেরও নয়। এই যুগ মানবতার প্রতি আহ্বানের সময়। ’

    বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের সম্মান

    তিন দেশ সফরের প্রথম পর্যায়ে রবিবার ভূমধ্য সাগরের পূর্ব দিকের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে পৌঁছন মোদি। সোমবার, সম্মান পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মান আসলে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের। এই সম্মান তাঁর ব্যক্তিগত সম্মান নয়। ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর আদর্শকে সম্মান জানাল সাইপ্রাস। ভারত-সাইপ্রাস সম্পর্ক এবং দুই দেশের ‘পারস্পরিক বোঝাপড়া’-এর প্রতি এই সম্মান উৎসর্গ করেন মোদি। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে থাকার জন্য সাইপ্রাসকে ধন্যবাদও জানান তিনি। মোদি বলেন, ‘‘এটা শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতীয় এই সম্মানের দাবিদার। ভারতীয়দের সক্ষমতা, ভারতের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং বসুধৈব কুটুম্বকম দর্শনের সম্মান। এই সম্মান দুই দেশের শান্তি, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতীক।’’

    সাইপ্রাস সফর কৌশলগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ

    পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক গভীরতর হওয়ার সময়েই প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সাইপ্রাস সফর কৌশলগত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানের মতোই তুরস্ক ও সাইপ্রাসের মধ্যেও সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব চলাকালীন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। ভারতের সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে তারা। অন্যদিকে, সন্ত্রাসবাদে বিরোধিতা করেছে সাইপ্রাস। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছে সাইপ্রাস। পাকিস্তানের জঙ্গি মদতের কথা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলোচনার কথাও বলেছে তারা। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বারবার সমর্থন করেছে সাইপ্রাস। তাই ভারত-পাক সংঘাতের আবহেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সাইপ্রাস সফর ভারতের পক্ষে লাভজনক হতে পারে।

    ভারত-সাইপ্রাস দীর্ঘদিনের সম্পর্ক

    ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ সাইপ্রাস। এই পরিকাঠামো প্রকল্প ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দশকের বেশি সময়ের পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটা প্রথম সাইপ্রাস সফর। ১৯৮২ সালে সাইপ্রাস সফরে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী এবং ২০০২ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকলেও, এই পর্যায়ের বৈঠক অন্যতম বিরল ঘটনা। সফরে গিয়ে প্রথমেই সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাজধানী নিকোসিয়ায় হয় বৈঠক। এরপর সাইপ্রাসের বন্দর শহর লিমাসোলে সে দেশের ব্যবসায়িক মাথাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। মোদি আশাবাদী, ভবিষ্যতে ভারত এবং সাইপ্রাসের মধ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছোবে। দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিষয়েও হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের পর্যটন শিল্প বৃদ্ধির উপর জোর দেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘সাইপ্রাস ভারতীয়দের কাছে অন্যতম পছন্দের পর্যটনের জায়গা।’’

    সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণ

    ২০২৬ সালের প্রথমার্ধেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করতে চলেছে সাইপ্রাস। এই মুহূর্তে ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তাগত সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাইছে ভারত। নিকোসিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির বন্ধুত্ব এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে সাইপ্রাস এক গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। তাঁর এই সফর ভারতের সঙ্গে সাইপ্রাসের বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনে আরও মজবুত করবে বলে আশাবাদী মোদি। সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্টকে ভারতে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।

    কানাডার পথে মোদি

    রবিবারই ত্রিদেশীয় সফরের উদ্দেশে ভারত ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কানাডায় জি৭ বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। এ ছাড়া, ক্রোয়েশিয়াতেও যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। ত্রিদেশীয় সফরে মোদির সঙ্গে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমলে খালিস্তানি ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। বর্তমানে সেখানে মসনদ বদলেছে। মার্ক কার্নির নয়া সরকার নয়াদিল্লির সঙ্গে বিরোধ মেটাতে তৎপর। এই আবহে ১৬-১৭ জুন জি৭ সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি, ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা পাকিস্তানকে ফের বেআব্রু করার সুযোগ পাবেন মোদি। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা, সুরক্ষা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরবেন তিনি।

     

     

     

     

     

  • India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    India-Cyprus CEO forum: ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব! ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালুর পথে ইউপিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পর এবার সাইপ্রাসেও চালু হতে চলেছে ইউপিআই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) রবিবার ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) এই কথা জানান। ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব, অর্থনৈতিক শক্তি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, ভারতের ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) বর্তমানে বিশ্বে ডিজিটাল লেনদেনের ৫০ শতাংশ পরিচালনা করছে। তাঁর কথায়, ভারত যেভাবে প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে, তা আজ গোটা বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ।

    সাইপ্রাসে ইউপিআই

    ইউপিআই শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, এটি ভারতের ডিজিটাল বিপ্লব ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রকাশ। ভারত-সাইপ্রাস সিইও ফোরামে (India-Cyprus CEO forum) প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “ফ্রান্সের মতো অনেক দেশ ইতিমধ্যে ইউপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সাইপ্রাসকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলোচনা চলছে। আমি একে স্বাগত জানাই। গত ৬০ বছরে এই প্রথম একই সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। গত ১০ বছরে দেশে এক ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি তার অন্যতম বড় উদাহরণ। আজ বিশ্বের ৫০ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন ভারতে হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “গত এক দশকে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে এবং শীঘ্রই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার দিকে দ্রুত এগোচ্ছে। আজ ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া উদীয়মান অর্থনীতি।”

    ভবিষ্যতমুখী পরিকাঠামো 

    প্রধানমন্ত্রী ভারতের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, দেশের পরিকাঠামো গঠনে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এবারের বাজেটে চালু হয়েছে নতুন ‘ম্যানুফ্যাকচারিং মিশন’, যার লক্ষ্য হলো ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, বায়োটেকনোলজি এবং সবুজ উন্নয়ন খাতে উৎপাদনকে উৎসাহিত করা। মোদি বলেন, “আমরা সামুদ্রিক ও বন্দর উন্নয়নে জোর দিচ্ছি। জাহাজ নির্মাণ ও ভাঙাড়ি খাতেও নতুন নীতির কথা ভাবা হচ্ছে। অসামরিক বিমান চলাচল খাতেও দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। উদ্ভাবন ভারতের অর্থনৈতিক শক্তির বড় স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। আমাদের এক লক্ষেরও বেশি স্টার্টআপ শুধু স্বপ্ন নয়, সমাধান বিক্রি করছে।” উল্লেখ্য, রবিবার পাঁচ দিনের ত্রিদেশীয় সফরে রবিবার (১৫ জুন) সাইপ্রাসে (India-Cyprus CEO forum) পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস হয়ে কানাডায় যাবেন তিনি। পরে সেখান থেকে যাবেন দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্র ক্রোয়েশিয়ায়। সোমবার সাইপ্রাস থেকেই কানাডার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা মোদির। কানাডায় জি-৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

  • Army Day Parade: মিথ্যে খবরের ভিত্তিতে মোদিকে আক্রমণ কংগ্রেসের, মুখে ঝামা ঘষে দিল হোয়াইট হাউস

    Army Day Parade: মিথ্যে খবরের ভিত্তিতে মোদিকে আক্রমণ কংগ্রেসের, মুখে ঝামা ঘষে দিল হোয়াইট হাউস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিশানা করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মোদি সরকারের সমালোচনা (Army Day Parade) করেন। ভারতের বৈশ্বিক মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কংগ্রেসের পোস্ট (Army Day Parade)

    পোস্টে জয়রাম রমেশ লেখেন, “মোদি সরকার বলছে যে অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মার্কিন সেনাবাহিনী দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা নিঃসন্দেহে এক গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। ট্রাম্প প্রশাসন বারবার এমন বার্তা দিচ্ছে যা শুধুমাত্র এই অর্থেই বোঝা যায় যে, আমেরিকা ভারত ও পাকিস্তানকে সমানভাবে দেখছে। প্রধানমন্ত্রী সদ্য এমন একটি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়েছেন যারা সারা বিশ্বে আমেরিকা-সহ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। সেই মুহূর্তেই ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এমন সংবাদ আসছে, যা ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও অস্বস্তিকর করে তুলছে।” কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত নিজের একগুঁয়েমি এবং মর্যাদার ভাবনা সরিয়ে রেখে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ও সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা, যাতে দেশ তার সম্মিলিত ইচ্ছা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারে এবং দেশের সামনে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করা যায়। দশকব্যাপী কূটনৈতিক অগ্রগতি যেন সহজে নষ্ট না হয় (Army Day Parade)।”

    মিথ্যে খবর!

    যদিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে — এই খবরটি সর্বৈব মিথ্যে। কারণ হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনও বিদেশি সেনা কর্তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। হোয়াইট হাউসের এক কর্তা বলেন, “এটি মিথ্যে। কোনও বিদেশি সামরিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও, রমেশ এই খবরের সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করেননি, যার ভিত্তিতে তিনি ভারতের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে খাটো করছিলেন। অবশ্য এই প্রথম (PM Modi) নয় যে, কংগ্রেসের কোনও নেতাকে মিথ্যে প্রচার করতে দেখা গেল। অতীতেও একাধিকবার কংগ্রেস নেতারা এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন (Army Day Parade)।

  • PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    PM Modi: অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা, তিন দেশে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে কানাডা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে এবার আয়োজন করা হয়েছে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের (G7 Summit)। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ পেয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। কানাডা যাওয়া-আসার পথে আরও দুই দেশে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এই দেশগুলি হল সাইপ্রাস এবং ক্রোয়েশিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তারপর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। খালিস্তানপন্থী ইস্যুতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। তারপর এই প্রথম কানাডায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬-১৭ জুন কানাডার কানানাস্কিস সফর করবেন। এখানেই হবে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন। এতেই যোগ দেবেন তিনি। এই সম্মলেন তিনি বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন।

    বিদেশ সফর শুরু (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এবারের বিদেশ সফর শুরু হবে ১৫ জুন, রবিবার। ১৫-১৬ জুন তিনি সফর করবেন সাইপ্রাস। ১৬-১৭ জুন তিনি যোগ দেবেন কানাডায় জি৭ সম্মেলনে। ১৮ জুন আনুষ্ঠানিক সফর করবেন ক্রোয়েশিয়া। তারপরেই দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও কানাডাকে উদ্দীপ্ত গণতন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, নয়াদিল্লির বিশ্বাস, জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পার্শ্ববৈঠক মত বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথ অনুসন্ধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দেবে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    শনিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “গত সপ্তাহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছিলেন। সেই আলাপচারিতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রীকে জি৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান (G7 Summit)। আপনারা জানেন, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হয়েছে (PM Modi)।”

  • PM Modi: “এটা সামাজিক মাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না,” ইউনূসকে সটান জবাব মোদির

    PM Modi: “এটা সামাজিক মাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না,” ইউনূসকে সটান জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, আপনি একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।” বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের প্রশ্নে মহম্মদ ইউনূসকে (Md Yunus) নাকি এই ভাষায়ই জবাব দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূস চেয়েছিলেন, ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণগুলো যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন ইউনূস? (PM Modi)

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। পরে লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউনূস জানান, ভারত তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় তিনি হতাশ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন,  “আমি যখন প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই, তখন আমি শুধু তাঁকে এটুকুই বলেছিলাম — আপনি যদি ওঁকে আশ্রয় দেন, আমি আপনাকে সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করতে পারি না। কিন্তু দয়া করে আমাদের সহায়তা করুন যাতে উনি যেভাবে বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা বন্ধ করা যায়।” তিনি জানান, এর জবাবেই নাকি মোদি দৃঢ়ভাবে বলেন, “এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম —আপনি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।”

    পরিস্থিতিকে বিস্ফোরক আখ্যা

    অসন্তুষ্ট ইউনূস এই পরিস্থিতিকে বিস্ফোরক বলে অভিহিত করেন। তাঁর দাবি, হাসিনার বক্তব্যগুলো বাংলাদেশে অস্থিরতা উসকে দিচ্ছে। তবে নয়াদিল্লিকে ডিজিটাল অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণের ডাক দেওয়ায় তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা কর্মী এবং আঞ্চলিক বিশ্লেষকদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইউনূস। তাঁরা এটিকে এমন একটি সরকারের বিপজ্জনক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হিসেবে দেখছেন, যে সরকার ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করেছে এবং একটি অস্থায়ী সরকারের ছদ্মবেশে বিরোধী কণ্ঠ দমন করতে চাইছে (PM Modi)।

    মোদির সাফ কথা

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়লেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচার বন্ধে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির দৃঢ় অবস্থান ভারতের সাংবিধানিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল অধিকার রক্ষায় তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে। যখন বিশ্বের বিভিন্ন কর্তৃত্ববাদী সরকার মতপ্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে প্রতিবাদ দমন করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, তখন ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক বিদেশি নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেয় – গণতান্ত্রিক নীতিগুলির সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না (Md Yunus)।

    নয়াদিল্লির সন্দেহের তালিকায় ইউনূস

    ভারতের অবস্থান ইউনূসের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার সম্পূর্ণ বিপরীত। ক্ষমতায় আসার পর থেকে নোবেলজয়ী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা ইউনূস একটি ক্রমবর্ধমান দমনমূলক প্রশাসন পরিচালনা করছেন। তাঁর অস্থায়ী সরকার রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, বিরোধীদের বিরুদ্ধে আইনি বিচার শুরু করেছে, এমনকি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। পুরো ঘটনাপ্রবাহকে সন্দেহের চোখে দেখছে নয়াদিল্লি, বিশেষ করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাজনীতিকরণের পটভূমিতে (PM Modi)।

    ইউনূসের চিন প্রীতি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউনূসের আবেদন — হাসিনার ডিজিটাল কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য – ভারতের প্রতি বৃহত্তর শত্রুতার একটি অংশমাত্র। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়ে তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে “স্থলবেষ্টিত” আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশকে “সাগরের রক্ষক” ঘোষণা করায় ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। ইউনূস বলেন, “ভারতের পূর্বাঞ্চল, যা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত, তা স্থলবেষ্টিত। তাদের সাগরে কোনও প্রবেশাধিকার নেই। আমরা এই অঞ্চলের একমাত্র সাগরের রক্ষক।” বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসের এই ধরনের বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশ ভূগোলকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বঙ্গোপসাগরীয় প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ইউনূসের এহেন মন্তব্যকে অনেকেই প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে দেখছেন (Md Yunus)।

    ভারতের প্রতি এই প্রচ্ছন্ন হুমকি!

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক নেতারা ইউনূসের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। তাঁরা একে উসকানিমূলক এবং পড়শি কূটনীতির চেতনার বিরুদ্ধে বলে অভিহিত করেন। বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের চিনের প্রতি আকর্ষণ এবং ভারতের প্রতি এই প্রচ্ছন্ন হুমকি একটি বিপজ্জনক কৌশলগত মোড় নির্দেশ করে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বিঘ্নিত করতে পারে (PM Modi)। ইউনূস চাইছেন ভারত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সেন্সরশিপ চালু করুক। যেমনভাবে তাঁর নিজের দেশেই তিনি দমন করেছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, দমন করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বরকে, সর্বক্ষণ চাপের মধ্যে রয়েছে সে দেশের গণমাধ্যম (PM Modi)।

  • PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    PM Modi: তৃতীয় দফার প্রথম বছরেই ‘গল্পে’র মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোদি, জানুন কীভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের তৃতীয় দফার প্রথম বর্ষপূর্তি (Modi 3.0 Anniversary)। গত দুই মেয়াদের তুলনায় কম সংখ্যা নিয়ে তৃতীয়বার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ তাদের তৃতীয় মেয়াদ শুরু করে। তাই সরকার গড়তে বিজেপিকে নির্ভর করতে হয় তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর মতো জোটসঙ্গীদের ওপর। তার পর অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এই সরকার এক বছরও টিকবে না। অনেকে আবার বলেছিলেন, ২০২৫ সালেই অকাল নির্বাচন হতে চলেছে। কিন্তু ‘বিজ্ঞ’দের সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে তৃতীয় দফায়ও দিব্যি একটা বছর অতিক্রান্ত করে ফেলল মোদি সরকার। শুধু তাই নয়, এই পর্বে তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে, গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিল পাশ করিয়ে এবং বড় কোনও বাধা ছাড়াই জোটসঙ্গীদের সন্তুষ্ট করে রাখতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোড় ঘুরিয়েছেন মোদি (PM Modi)

    তৃতীয় দফার মেয়াদে গত এক বছরের মধ্যেই পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও দিল্লির মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়েছে পদ্ম-পার্টি। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন ওয়াকফ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে। বড় কোনও বিপর্যয় ছাড়াই তারা জোটসঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। তৃতীয় মোদি সরকার যখন প্রথম বর্ষপূর্তি পালনের উদ্যোগ করছিল, তখন সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ একপ্রকার আইসিংয়ের মতো কাজ করেছে, যা জনমতকে কেন্দ্রের পক্ষে আরও দৃঢ় করেছে (Modi 3.0 Anniversary)।

    একের পর এক নির্বাচনে জয়

    ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য পদ্ম-পার্টি সম্পর্কে একটি দুর্বল দলের ধারণা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ওই বছরই জুন মাসে হরিয়ানায় ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জেতে বিজেপি। অথচ, অক্টোবর মাসে ৯০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৮টি আসন জিতে নেয় গেরুয়া শিবির। নভেম্বরে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ২৮৮টির মধ্যে ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি একাই দখল করে ১৩২টি আসন। শতাংশের বিচারে সাফল্যের হার ৮৯ (PM Modi)। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জেতে বিজেপি। সেখানে তারা আম আদমি পার্টির এক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৭০টির মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়লাভ করে। এটি ছিল দিল্লিতে ১৯৯৮ সালের পর বিজেপির প্রথম জয়।

    একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার গত এক বছরে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ সব আইন পাশ করেছে, তা তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সদিচ্ছার প্রমাণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫। বিরোধীদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে লোকসভায় ২৮৮ ভোট ও রাজ্যসভায় ১২৮ ভোটে বিলটি পাস করায় মোদি সরকার। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল, ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং ভারতীয় বায়ু যান বিধেয়ক, বিল ২০২৪ (Modi 3.0 Anniversary)। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের এনডিএ সঙ্গীদের, বিশেষ করে টিডিপি এবং জেডিইউকে পরিচালনা করেছে। প্রথমদিকে জোটসঙ্গীরা ওয়াকফ বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, পরে সরকার আলোচনার মাধ্যমে এবং যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে এই সমস্যার সমাধান করে। চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমার উভয় নেতাই বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁরা এনডিএ ছাড়বেন না (PM Modi)।

    বিজেপির ক্রেডিট

    মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর জোটে কিছুটা টানাপোড়েন দেখা দেয় যখন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে আচমকাই নিজের গ্রামে ফিরে যান। তখন গুজব ছড়ায় যে দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হবে। শিন্ডে শুরুতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছিলেন না। তবে বিজেপি দ্রুত দিল্লিতে শিন্ডে ও অজিত পওয়ারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসে এবং শহর উন্নয়ন ও জন নির্মাণ-সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব শিন্ডের দলকে দিয়ে সমর্থন নিশ্চিত করে। প্রশমিত হয় উত্তেজনা। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। মোদি সরকারের (Modi 3.0 Anniversary) এই পদক্ষেপ যুগান্তকারী হিসেবে প্রমাণিত হয় (PM Modi)।

    মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কগুলিকে ধ্বংস করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের দরবারে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃঢ় সংকল্পই প্রদর্শন করে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে মোদি সরকারকে দলমত নির্বিশেষে সমর্থন করে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল। কারণ শশী থারুর ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো বিরোধী দলের নেতারাও ভারতের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’-র পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে ভারতের তরফে বিভিন্ন (Modi 3.0 Anniversary) দেশে পাঠানো প্রতিনিধিদলে যোগ দেন। ভারতের এই পদক্ষেপে মোদির ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে (PM Modi)।

  • PM Modis Achievements: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য,” তোপ ভূপেন্দ্রর

    PM Modis Achievements: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য,” তোপ ভূপেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালকে মনে রাখা হবে সন্দেশখালির জন্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জন্য, সরকারি টাকার হিসেব না দেওয়ার জন্য।” মঙ্গলবার কলকাতায় কথাগুলি (PM Modis Achievements) বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব (Bhupendra Yadav)।

    টাকা লুটল কে? (PM Modis Achievements)

    নরেন্দ্র মোদি সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে গোটা দেশেই সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করছে বিজেপি। সেই কর্মসূচিতেই যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। বৈঠকে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। এই বৈঠকেই ভূপেন্দ্র বলেন, “সিএজি রিপোর্ট বলছে, বাংলায় দু’লাখ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পে কাজ শেষের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। এই অর্থ কোথায় গেল? এই টাকা লুটল কে?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে এইমস দিয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে বানিয়েছে। নিউ আলিপুরদুয়ার, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সংস্কার করা হয়েছে। ডেডিকেটেড করিডর দিয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে নগর গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প হচ্ছে ওই শহরগুলিকে দূষণমুক্ত, নিরাপদ ও সস্তা জ্বালানি দেওয়ার জন্য।”

    শুধুই তোষণের রাজনীতি

    রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ভূপেন্দ্র বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রী রোডম্যাপ তৈরি করেছেন। কিন্তু সেই রোডম্যাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্রিয়, ইতিবাচক, গঠনমূলক মানসিকতার রাজ্য সরকার প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “শুধু তোষণের রাজনীতি, শুধু মহিলাদের ওপর অত্যাচার আর বাংলা থেকে মেধার বহির্গমন, এ সবই হল সরকারের অপশাসনের নমুনা। এগুলো বদলানো জরুরি।” ভূপেন্দ্র বলেন, “দুর্নীতির নিরিখে দেশে শীর্ষে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে এবং ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, দুলাখ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে, তার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না (PM Modis Achievements)।”

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে প্রণাম করতে ইচ্ছে করে। আধুনিক ভারতের বিভিন্ন কার্যকলাপের পীঠস্থান হল বাংলা। এক সময় বলা হত, পশ্চিমবঙ্গ যেটা ভাবে গোটা দেশ পরে ভাবে। আর এখন ছ’মাস ছাড়াই শুনতে হয় মহিলার অত্যাচার। মুর্শিদাবাদের ঘটনা তো রয়েছেই।” এর পরেই মন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bhupendra Yadav) শাসনকে মানুষ মনে রাখবে সন্দেশখালির ঘটনার জন্য (PM Modis Achievements)।”

  • India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    India Bangladesh: ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতা’র বার্তা! ইদের শুভেচ্ছা মোদিকে, ভারতকে পাশে চাইছেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India Bangladesh) সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। তবু সৌজন্য রক্ষা করল দিল্লি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিঠি লিখে মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছো জানান তিনি। প্রত্যুত্তরে চিঠি লেখেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও। মোদিকে (PM Modi) শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনূস তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেছেন। মোদি তাঁকে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তা-ও প্রকাশ্যে এনেছেন।

    মোদির শুভেচ্ছা

    গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ইদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়ে ইউনূসকে চিঠি লেখেন। তাতে লেখা ছিল, “সকল ভারতীয় ও ভারত সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের (India Bangladesh) মানুষকে পবিত্র ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অঙ্গ এই উৎসব। এ দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম নাগরিক এই উৎসব পালন করেন। এই উৎসব আমাদের আত্মত্যাগের মূল্য বুঝতে শেখায়। আমাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলে সহানুভূতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের বোধ, শান্তির পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যা প্রয়োজন।” মহম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্যের কামনাও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ইউনূসের উত্তর

    মোদির (PM Modi) এই চিঠির জবাব ইউনূস দিয়েছেন ৬ জুন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইদ উপলক্ষে আপনার সুচিন্তিত বার্তার আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক মূল্যবোধেরই প্রতিফলন। আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে ভারতের সকল জনগণকে আমি ইদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।’’ ইউনূস আরও লেখেন, ‘‘ইদ বিভিন্ন সম্প্রদায়কে কাছে আনে উৎসব, আত্মত্যাগ এবং সংহতির চেতনায়। এই উৎসব সারা বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর সুবিধার্থে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আমি নিশ্চিত আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমঝোতা দুই দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ মোদির সুস্বাস্থ্য এবং ভারতের (India Bangladesh) জনগণের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে চিঠি শেষ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

    পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতে (India Bangladesh) চলে এসেছিলেন তিনি। তার পর বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার বুকে চলতে থাকে ভারত-বিদ্বেষের চেষ্টা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। এই আবহে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমঝোতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

  • Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    Extreme Poverty Rate: ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিশ্বব্যাংকের মুখে শোনা গেল মোদি-স্তুতি। কারণ কী জানেন? কারণ মোদি জমানায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে চরম দারিদ্র্য। তামাম বিশ্বের মতো করোনা অতিমারির ধাক্কা লেগেছিল ভারতেও। সেই অভিঘাত কাটিয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে (Extreme Poverty Rate) ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের (World Bank) সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবেও গত এক দশকে ভারতে চরম দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২০১১-১২ সালে যেখানে চরম দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ৫.৩ শতাংশ। বলা বাহুল্য, এই পুরো সময়টাই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত (Extreme Poverty Rate)

    বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ওই এক দশকে ২৬ কোটি ৯০ লাখের কিছু বেশি মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছে ভারত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নিরিখে একে উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের করোনা অতিমারি পর্বে ভারতে অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে গিয়েছিলেন বলে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাংকের পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছিল।

    অতিমারি পর্বের ধাক্কা

    অতিমারি পর্বের সেই ধাক্কা সামলে মোদি জমানায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি। ২০১১-১২ সালে ভারতে চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে সাড়ে সাত কোটিতে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, ২০১১-২৩ সালের মধ্যে নিম্ন-মধ্য আয়ের দারিদ্র্যও ৫৭.৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্যের সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলার খরচের ক্ষমতাসীমা মেনে চলত। ২০২১ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ৩ মার্কিন ডলার। তার পরেও ভারতে কমেছে দরিদ্র্যের সংখ্যা।

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট

    বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ ও শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্য হ্রাসে ভারত অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্য ২০১১-১২ সালে ১৮.৪ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ২.৮ শতাংশে নেমেছে। শহুরে এলাকায় এই হার ১০.৭ শতাংশ থেকে ১.১ শতাংশে কমেছে। গ্রামীণ ও শহুরে দারিদ্র্যের ব্যবধানও ৭.৭ শতাংশ পয়েন্ট থেকে মাত্র ১.৭ শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা বার্ষিক ১৬ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয় (Extreme Poverty Rate)। আয়ের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ অ্যাক্সেসের মতো ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাঙ্কের বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুসারে, ভারতের অ-আর্থিক দারিদ্র্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৫-’০৬ সালে এই সূচক ছিল ৫৩.৮ শতাংশ, যা ২০১৯-২১ সালে ১৬.৪ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.৫ শতাংশে। এই অগ্রগতি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বৃদ্ধির ফল।

    চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যা

    উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের মতো পাঁচটি রাজ্য ২০১১-১২ সালে ভারতের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ নিয়ে গঠিত ছিল। এই রাজ্যগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসে দুই-তৃতীয়াংশ অবদান রেখেছে (World Bank)। তবে এই রাজ্যগুলি এখনও ২০২২-’২৩ সালে দেশের চরম দরিদ্র্য জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৯-’২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ নিয়ে গঠিত (Extreme Poverty Rate)।

    মোদির ক্রেডিট

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প এই সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আয়ুষ্মান ভারত, জন ধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা এবং পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনার মতো প্রকল্পগুলি মৌলিক পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়িয়েছে এবং দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলির কার্যকর করায় প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

    দারিদ্র্যের মানদণ্ড

    এই অগ্রগতি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। তবে বিশ্বব্যাংক এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, দারিদ্র্যের মানদণ্ড খুবই কম হতে পারে। ২.১৫ মার্কিন ডলার প্রতিদিনের সীমা মাসিক ৫ হাজার ২০০ টাকার কম খরচের সমতুল, যা বাস্তব জীবনে পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। এছাড়া, আয়ের বৈষম্য এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব বৈষম্য ডেটাবেস অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারতের আয়ের গিনি সূচক ৫২ থেকে ৬২-তে উন্নীত হয়েছে এবং শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিম্ন ১০ শতাংশের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি আয় করে (Extreme Poverty Rate)। ওই রিপোর্টে দারিদ্র্য হ্রাসের ভিত পোক্ত করতে বিশ্বব্যাংক শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে আরও উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে (World Bank)।

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায় যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে আগেও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা ভারত বর্তমানে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে (Extreme Poverty Rate)।

LinkedIn
Share