Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • Google in India: আমেরিকার পর ভারতে সর্ববৃহৎ এআই হাব! এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ গুগলের

    Google in India: আমেরিকার পর ভারতে সর্ববৃহৎ এআই হাব! এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ গুগলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বাইরে বৃহত্তম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) হাব খুলতে চলেছে গুগল। ভারতের প্রথম এআই হাব তৈরি হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। গুগলের (Google in India) সিইও সুন্দর পিচাই মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। সেই অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বাজারে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

    ভারতে গুগলের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ

    ভারতে এই হাব তৈরির পরিকল্পনাকে ‘একটি যুগান্তকারী উন্নয়ন’ বলে অভিহিত করেছেন পিচাই। গুগলের (Google in India) ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও জানিয়েছেন যে, এই হাবটি গিগাওয়াট-স্কেল কম্পিউট ক্ষমতা, একটি নতুন আন্তর্জাতিক সাব-সি গেটওয়ে এবং বৃহৎ আকারের শক্তি পরিকাঠামোর সমন্বয় হিসেবে গড় উঠবে। গুগল এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই পিচাই এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, “এর মাধ্যমে আমরা ভারতের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যবহারকারীদের কাছে আমাদের সেরা প্রযুক্তি পৌঁছে দেব, দেশজুড়ে এআই উদ্ভাবন এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করব।” গুগল আদানি গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে এআই ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাসটি তৈরি করবে। এটি ভারতে গুগলের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ।

    ভারতে এক যুগান্তকারী উন্নয়ন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে গুগল এআই হাব চালু হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন। বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স-এ শেয়ার করা একটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাণবন্ত শহর বিশাখাপত্তনমে গুগল এআই হাব চালু হওয়ায় আমি আনন্দিত। এই বহুমুখী বিনিয়োগ, যার মধ্যে গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার পরিকাঠামো অন্তর্ভুক্ত, আমাদের বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন যে নতুন এআই হাব প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করতে এবং সরকারের ‘সবার জন্য এআই’ লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। “এটি প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী শক্তি হবে। এটি ‘সবার জন্য এআই’ নিশ্চিত করবে, আমাদের নাগরিকদের কাছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেবে, আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি নেতা হিসেবে ভারতের স্থান সুরক্ষিত করবে।”

    আদানিকনেক্সের সঙ্গেই চুক্তি গুগলের

    আদানি এন্টারপ্রাইস-এর অধীনে থাকা আদানিকনেক্সের সঙ্গেই চুক্তি হয়েছে গুগলের (Google in India)। আগামী পাঁচ বছরে দুই সংস্থার উদ্যোগে এআই ডেটা সেন্টার ক্যাম্পাস ও নতুন সবুজ শক্তি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী চুক্তি। তেমনই বলছে আদানিদের সংস্থা। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেন, “এই ঐতিহাসিক প্রকল্পে গুগলের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আদানি গ্রুপ গর্বিত যা ভারতের ডিজিটাল ভূদৃশ্যের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।”

    বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর লক্ষ্যে পদক্ষেপ

    গুগলের (Google in India) তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এটি ভারত সরকারের ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যাতে এআই-চালিত পরিষেবার সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করা যায়। এই উদ্যোগ ভারত এবং আমেরিকা উভয়ের জন্যই যথেষ্ট অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ তৈরি করবে- একই সঙ্গে এআই সক্ষমতার ক্ষেত্রে প্রজন্মগত পরিবর্তনের পথিকৃৎ হয়ে উঠবে।” গুগলের এই হাব ভারতে ডিজিটাল যুগের যাত্রার একটি নতুন অধ্যায় বলে বর্ণনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “এই ডিজিটাল পরিকাঠামো ভারতের এআই ভিশনের লক্ষ্য পূরণে আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতে ডিজিটাল অর্থনীতিতে এআই পরিষেবা একটি নতুন দিক হিসেবে সামনে উঠে এসেছে। আমরা আমাদের যুব সমাজের বিকাশে এই নতুন পরিষেবা ব্যবহার করতে মুখিয়ে আছি।”

    ভারতের প্রথম গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার

    দিল্লিতে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গুগল (Google in India) ক্লাউডের সিইও থমাস কুরিয়ান বলেন, বিশাখাপত্তনমে এআই হাব ‘ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যতে একটি যুগান্তকারী বিনিয়োগ’। তিনি বলেন, “শিল্পে শীর্ষস্থানীয় এআই পরিকাঠামো সরবরাহ করে, আমরা ব্যবসাগুলিকে দ্রুত উদ্ভাবন করতে সক্ষম করছি এবং বৃদ্ধির জন্য সুযোগ তৈরি করছি। এই অংশীদারিত্ব ভারত ও মার্কিন সরকারের প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে যে এআইকে দায়িত্বশীলভাবে কাজে লাগানো এবং সমাজের কল্যাণে একে কাজে লাগানো।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশ। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন, “আমরা ভারতের প্রথম সত্যিকারের গিগাওয়াট-স্কেল ডেটা সেন্টার এবং ভারতে গুগলের প্রথম এআই হাবের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত, যা রাজ্যের ব্যবসা এবং স্টার্টআপগুলির জন্য উদ্ভাবন, এআই গ্রহণ এবং দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার প্রতি আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”

     

     

     

  • PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    PM Modi: কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, কী নিয়ে আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কানাডার বিদেশমন্ত্রী (Canadian FM) অনিতা আনন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আনন্দ এই প্রথম ভারত সফরে এসেছেন। চলতি সফরে তাঁর তিনটি দেশে যাওয়ার কথা। সেই সফরে বেরিয়েই আনন্দ প্রথম এসেছেন ভারত সফরে। সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সফরকে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের একটি সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

    মোদি-আনন্দ সাক্ষাৎ (PM Modi)

    এদিন কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন চলতি বছরের জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে “প্রধানমন্ত্রী বিদেশমন্ত্রী আনন্দকে স্বাগত জানান এবং উল্লেখ করেন যে তাঁর এই সফর ভারত–কানাডা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে নতুন গতি সঞ্চারের চলমান প্রচেষ্টায় সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার গুরুত্বও তুলে ধরেন (PM Modi)।

    কী বললেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে নিজের সাক্ষাৎ সম্পর্কিত বিস্তারিত শেয়ার করে আনন্দ লেখেন, “আজ সকালে আমি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী @নরেন্দ্রমোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এই বছরের গ্রীষ্মে জি৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী @মার্ককার্নি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের গতিকে ভিত্তি করে কানাডা ও ভারত আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে—একইসঙ্গে আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা আলোচনা বজায় রেখে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কও সম্প্রসারিত করছে।”

    রবিবার আনন্দ পৌঁছন নয়াদিল্লিতে। বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। আলোচনার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝুঁকি কমাতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনর্গঠনের জন্য দুই দেশের সম্পর্ককে সর্বাঙ্গীনভাবে আরও মজবুত করা উচিত।” চলতি সফরে আনন্দের (Canadian FM) বৈঠক করার কথা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গেও। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হবে। নয়াদিল্লি সফর শেষে কানাডার বিদেশমন্ত্রী যাবেন চিন এবং সিঙ্গাপুরে (PM Modi)।

  • PM Modi: ‘দেশে তৈরি ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন’, আমলাদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ‘দেশে তৈরি ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফোকাস করুন’, আমলাদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র লক্ষ্য পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাই বিদেশি প্রযুক্তির ওপর দেশের নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছেন তিনি। সেই কারণে দেশীয় ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media Platforms) তৈরিতে দেশবাসীকে উৎসাহিত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তাঁর সরকার। ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ আমলাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয় বলে সূত্রের খবর।

    শক্তিশালী ইকোসিস্টেম (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সচিব টিভি সোমনাথন শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি বৈঠকে আলোচিত ২৮টি বিষয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করার আহ্বান জানান। এই পরিকল্পনার অন্যতম মূল লক্ষ্যই হল ভারতেই ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। এ জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দেশের যুবসমাজকে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং দেশে নিজস্ব ডিজিটাল পরিকাঠামো স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে।

    ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’

    সোমনাথন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবন বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায় হিসেবে ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহারেরও সুপারিশ করেছেন। অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে ছিল সরকারের যোগাযোগ কৌশলকে আরও শক্তিশালী করা, শিক্ষা, ক্রীড়া ও পর্যটনের মতো ক্ষেত্রগুলিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং ভারতীয় প্রতিভা ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরার পর্যায়ে নিয়ে আসাও (PM Modi)। ভারতে প্রায় ৯৬.৯ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। এঁদের অধিকাংশই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব এবং এক্স-এর মতো বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেওয়া মোদি সরকারের সেই প্রচেষ্টার সঙ্গেই মিলে যায়, যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করছেন, বিশেষ করে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, তখন থেকে।

    ভারতীয় কোম্পানি যেমন জোহো (Zoho) ইতিমধ্যেই মেসেজিং অ্যাপ চালু করেছে। এটি ধীরে ধীরে হোয়াটসঅ্যাপের একটি দেশীয় বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়ও হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ পদস্থ মন্ত্রীরাও সরকারি কাজে ভারতীয় এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। তা সত্ত্বেও ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্র এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির দখলেই রয়েছে (Social Media Platforms)। মোদি সরকারের আশা, স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে এই প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব (PM Modi)।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হয়ে গেল কৃষি খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের, জানুন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কৃষি (Farmers) খাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এগুলি হল ‘পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনা’ এবং ‘ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশন’। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।

    দুই প্রকল্পে ব্যয় (PM Modi)

    নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থায় (IARI) এক বিশেষ কৃষি অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিএম ধন ধান্য কৃষি যোজনার ব্যয় ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর লক্ষ্য হল কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ফসলের বৈচিত্র্যকরণ ও টেকসই কৃষি পদ্ধতির প্রসার, পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে ফসল কাটার পর সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি, সেচ ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ এবং নির্বাচিত ১০০টি জেলার কৃষকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা সহজ করা।ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার জন্য মিশনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এর উদ্দেশ্য হল ডালের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, চাষের এলাকা বাড়ানো, ক্রয়, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ-সহ সম্পূর্ণ ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করা এবং ফসল কাটার পর ক্ষতির পরিমাণ কমানো।

    কৃষকদের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তিনি তাঁদের মনে করিয়ে দেন, তাঁর সরকার কৃষক কল্যাণ, কৃষিতে আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধ। এই কর্মসূচিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রসার, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষককেন্দ্রিক নানা উদ্যোগের মাধ্যমে অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য উদযাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পশুপালন, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে ৫ হাজার ৪৫০ কোটিরও বেশি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি প্রায় ৮১৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বলেও সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    উদ্বোধন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্প

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যেসব প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন, তার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু ও জম্মু-কাশ্মীরে কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আমরেলি ও বানাসে উৎকর্ষ কেন্দ্র, অসমে রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশনের অধীনে একটি আইভিএফ ল্যাবরেটরি, মেহসানা, ইন্দোর ও ভিলওয়ারায় মিল্ক পাওডার উৎপাদন কারখানা এবং অসমের তেজপুরে প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে একটি মাছের খাদ্য উৎপাদন কেন্দ্র। এর পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি এবং ওড়িশায় বিভিন্ন আধুনিক মৎস্য ও কৃষি পরিকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বেশ কয়েকটি (Farmers) প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায় একটি যৌথ কোল্ড চেইন ও মানোন্নয়ন পরিকাঠামো (রশ্মি বিকিরণ) ইউনিট, উত্তরাখণ্ডে ট্রাউট মৎস্য খামার, নাগাল্যান্ডে একটি ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক, পুদুচেরির কারাইকালে একটি স্মার্ট ও মাছ ধরার বন্দর, এবং ওড়িশার হীরাকুদে একটি অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক।

    সরকারি উদ্যোগের সাফল্য

    এদিনের অনুষ্ঠানে (PM Modi) বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার কৃষক উৎপাদক সংস্থার মাধ্যমে ৫০ লাখ কৃষকের সদস্যপদ, যার মধ্যে ১ হাজার ১০০টি সংস্থা ২০২৪–২৫ সালে বার্ষিক ১ কোটি টাকারও বেশি টার্নওভার অর্জন করেছে। অন্যান্য সাফল্যের মধ্যে ছিল প্রাকৃতিক কৃষি বিষয়ে জাতীয় মিশনের অধীনে ৫০ হাজার  কৃষকের সার্টিফিকেশন, ৩৮ হাজার মৈত্রীর (গ্রামীণ ভারতের বহুমুখী কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তিবিদ) সার্টিফিকেশন এবং ১০ হাজারটিরও বেশি বহুমুখী ও ই-প্যাকস ইউনিটের অনুমোদন ও কার্যকলাপ শুরু। এছাড়াও, বেশ কিছু প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি, দুগ্ধ ও মৎস্য সহায়ক সমবায় গঠন এবং শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতি তাদের কার্যকলাপে বৈচিত্র্য এনে প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্র এবং কমন সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আশা, এই দুই নয়া প্রকল্প ভারতের কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, আত্মনির্ভরতা ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে বলেও এদিন আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    কী বলেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই (Farmers) কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, “চাল ও গম উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভর। কিন্তু ডাল উৎপাদনে এখনও বিদেশের ওপর নির্ভরশীল। চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টন ডাল আমদানি করতেই হয়। সরকারের লক্ষ্য হল আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ডাল উৎপাদনে দেশ আত্মনির্ভর হবে।” তিনি জানান, কৃষকরা যে পরিমাণ ডাল উৎপাদন করবেন, তার ১০০ শতাংশই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে কিনে নেবে সরকার। উৎপাদন বাড়াতে ধান ও গম চাষের জমিতে ফসল কাটা হয়ে গেলে সেটিকে ডাল চাষের জন্য ব্যবহার করা হবে। সয়াবিনের সঙ্গেও ডাল চাষ করতে উৎসাহ দেওয়া হবে কৃষকদের (PM Modi)।

  • Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    Benjamin Netanyahu: বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে মোদির, মন্ত্রিসভার বৈঠক থামিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোন ধরলেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তামাম বিশ্বে দিনের পর দিন তাঁর জনপ্রিয়তার পারা যে বাড়ছে, তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি একাধিকবার। আবারও একবার মিলল তার প্রমাণ। বৃহস্পতিবার সিকিউরিটি ক্যাবিনেট বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। সেই সময় ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বন্ধুর ফোন ধরতে বৈঠক স্থগিত করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। গাজা শান্তি পরিকল্পনার জন্য তাঁকে অভিনন্দনও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ওই একই ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও কথা বলেন মোদি।

    নেতানিয়াহুকে ফোন মোদির (Benjamin Netanyahu)

    ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির জন্য অভিনন্দন জানাতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলাম। আমরা বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার জনগণকে উন্নত মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত চুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমি আবারও বলেছি যে, যে কোনও রূপে সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়।”

    ইজরায়েলের বিবৃতি

    মোদি-নেতানিয়াহু কথোপকথন প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠক চলাকালীনই ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের বৈঠক থামিয়ে দিয়ে মোদির সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। এই কথোপকথনের সময় ইজরায়েল-ভারত বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার বার্তা দেন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের প্রতি ভারতের সমর্থনের জন্য মোদিকে ধন্যবাদও জানান তিনি। উভয় নেতাই ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছিলেন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের। তিনি ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন বলেও উল্লেখ (Benjamin Netanyahu) করেন। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, বন্দিদের মুক্তি এবং গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে এবং স্থায়ী শান্তির (PM Modi) পথ প্রশস্ত হবে। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তির অধীনে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে ইজরায়েলের গারদে আটক শত শত প্যালেস্তাইন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে (Benjamin Netanyahu)।

  • PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    PM Modi: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে যাও, মোদি বলছেন ঘরে এসো”, মার্কিন নাগরিকের মুখে মোদি-স্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ট্রাম্প বলছেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি (PM Modi) বলছেন, ঘরে ফিরে এসো ভাইরা।” ঠিক এই ভাষাতেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুণ্ডপাত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Indian Visa) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বেঙ্গালুরুবাসী এক মার্কিন নাগরিক। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি গর্বের সঙ্গে তাঁর ৫ বছরের ভারতীয় ভিসার ছবি প্রদর্শন করেছেন। সেখানেই তিনি মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন ট্রাম্পকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি পরিচিত টনি ক্লোর নামে। যদিও তাঁর আসল নাম ক্লোর অ্যান্থনি লুইস।

    মার্কিন নাগরিকের মোদি-স্তুতি (PM Modi)

    তিনি লিখেছেন, “এটা এখন আনুষ্ঠানিক! ভারত বিদেশি ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্মাতাদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিচ্ছে। আমি সদ্য ৫ বছরের একটি মোটা ভারতীয় ভিসা পেয়ে গিয়েছি।”  এর পরেই তিনি লেখেন, “ট্রাম্প বলেন বিদেশিরা ফিরে গিয়ে পাথর ভাঙুক, আর মোদি বলেন, ঘরে ফিরে এস ভাইরা।” তিনি তাঁর পোস্টটি শেষ করেন তাঁর ভিসার একটি ছবি দিয়ে। এতে প্রথমে তাঁর ছবি, তারপর নাম দেখানো হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বরে ইস্যু করা বি-১ ভিসার মেয়াদ বৈধ ২০৩০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এছাড়াও এতে উল্লেখ রয়েছে যে, ভারতে তাঁর একটানা থাকা  ১৮০ দিনের বেশি হতে পারবে না।

    নেটিজেনদের বক্তব্য

    এক মার্কিন নাগরিকের এহেন মোদি-স্তুতিতে খুশি নেটিজেনরা। একজন মজার ছলে লিখেছেন, “অবশেষে, অভিনন্দন—এই প্রথমবার আমি একটি ‘ইন্ডিয়ান ভিসা ফ্লেক্স’ দেখলাম।” আর একজন মন্তব্য করেছেন, “ভারতে স্বাগতম।” অন্য একজন লিখেছেন, “ভারত (PM Modi) জানে যে ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে ব্লকচেইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। এই ধরনের ৫ বছরের ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়, যেখানে অন্য দেশগুলি প্রতিভাবান মানুষদের দূরে ঠেলছে, সেখানে ভারত বলছে ‘এস, আমাদের সঙ্গে এসে দেশ গড়ে তোলো’। টনি, ভারতে স্বাগতম।” আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, “ধুর, আমি জানতামই না যে ভারতীয় ভিসা পাওয়া একটা ‘ফ্লেক্স’ অর্থাৎ গর্বের বিষয়।”

    প্রসঙ্গত, বিদেশিদের বি-১ ভিসা (Indian Visa) দিচ্ছে ভারত। ভারতীয় দূতাবাসের সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী,  “যাঁরা ভারতে কোনও শিল্প বা ব্যবসা করতে চান বা এর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চান, অথবা শিল্পজাত পণ্য, বাণিজ্যিক পণ্য বা ভোক্তা সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে চান, তাঁদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য (PM Modi)।”

  • Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Narendra Modi: নবরাত্রি থেকেই ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি চালু, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে সোমবার নবরাত্রি থেকেই লাগু হবে নতুন কাঠামোয় জিএসটি। দেশবাসীকে নবরাত্রি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমনটাই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নতুন প্রজন্মের পণ্য ও পরিষেবা কার্যকর (GST tax) হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন মোদি। উল্লেখ্য গত ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনেই দিল্লির লালকেল্লা থেকে নতুন প্রজন্মের পণ্য এবং পরিষেবা করে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদি। এবার তা কার্যকর হচ্ছে।

    ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ জিএসটি (Narendra Modi)

    রবিবার বিকেল ৫ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “দেশকে আত্মনির্ভর করা কথা ভেবে সোমবার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। দেশবাসীকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যকে সাশ্রয়ী করা হবে। দেশের সঞ্চয় বৃদ্ধি যেমন পাবে, তেমনি খাবার সামগ্রীরও দাম কম হবে। সাধারণ মানুষ নিজের নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় খুব সহজলভ্য হবে। অন্ন, স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট ছাড় দেওয়া হবে।” পাশাপাশি জিএসটিকে (GST tax) ‘সাশ্রয়ী উৎসব’ বলে সকল বর্গের মানুষের সুবিধার কথা রূপে মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দেশের রাজ্যগুলিকে উৎসবমুখর দিনগুলিতে বার্তা দিয়ে বলেন, “বর্তমানে আমাদের দেশে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন বিদেশি পণ্যে ভরে গিয়েছে। তাই এই বিদেশি পণ্য নয় স্বদেশী পণ্যের দিকে ঝোঁক বাড়াতে হবে। সকলকে মেড ইন ইণ্ডিয়ার পণ্য কিনতে হবে। প্রত্যেক বাড়িকে স্বদেশী পণ্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যে স্বদেশী পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বিনিয়োগের পরিবেশ যাতে বেশি বেশি করে বৃদ্ধি পায়, সেই দিকে চেষ্টা করতে হবে। কেন্দ্র রাজ্য এক সঙ্গে এগিয়ে গেলে তবেই দেশ স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।”

    জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে

    জিএসটি (GST tax) পরিষেবায় ৪টি স্ল্যাব থেকে কমিয়ে এখন মাত্র ২ টি স্ল্যাব করা হয়েছে। ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে কর। জীবনদায়ী ওষুধের মধ্যে বেশ কিছু ওষুধকে কর মুক্ত করা হয়েছে। আবার চিকিৎসা সামগ্রীর মূল্য সাশ্রয় করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে চাষের উপকরণ, যন্ত্রপাতি এবং বীজ সংগ্রহে ট্যাক্স মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সাবান, জীবন বিমা, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটিতে করের হার কমানো হয়েছে। মোদি সরকার যে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে বিরাট ছাড় দিতে চলেছে সেই কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশ থেকে ১ হাজার ৩০০-রও বেশি উপহার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে দেবী ভবানীর একটি মূর্তি, অযোধ্যার রাম মন্দিরের একটি মডেল এবং ২০২৪ প্যারা-অলিম্পিক গেমস থেকে পাওয়া ক্রীড়া স্মারকও। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ই-নিলামে (E Auction) তোলা হয়েছে এগুলিই। এদিনই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন। এদিনই অনলাইনে নিলামের সপ্তম সংস্করণের সূচনা হয়েছে। এই ই-নিলাম চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।

    বেস প্রাইস (PM Modi)

    পিএম মেমেন্টোজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেবী ভবানীর মূর্তিটির বেস প্রাইস ধরা হয়েছে ১ কোটি ০৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, আর রাম মন্দিরের মডেলের বেস প্রাইস ৫.৫ লাখ টাকা। সংস্কৃতি মন্ত্রকের কর্তারা জানান, এই দুটি সামগ্রী-সহ প্যারা-অলিম্পিক পদকজয়ীদের তিন জোড়া জুতো (প্রতিটি জোড়ার বেস-প্রাইস ৭.৭ লাখ টাকা) বেস প্রাইসের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে। ই-নিলামের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সূক্ষ্ম সূচিকর্ম করা পশমিনা শাল, রাম দরবারের একটি তাঞ্জোর চিত্রকর্ম, ধাতুর তৈরি নটরাজ মূর্তি, গুজরাটের রঙ্গন আর্টে আঁকা ‘ট্রি অফ লাইফ’ এবং হাতে বোনা নাগা শাল (PM Modi)।

    ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প

    উল্লেখ্য, ই-নিলামের প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া হাজার হাজার অনন্য উপহার নিলামে তোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের জন্য।” কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১,৩০০-রও বেশি উপহার অনলাইনে নিলামে তোলা হবে।” এসব সামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টে। আগের বছরগুলির মতো এবারও ই-নিলাম থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ ব্যয় করা হবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “ই-নিলাম (E Auction) শুধু ইতিহাসের একটি অংশ সংগ্রহের সুযোগই নয়, বরং একটি মহৎ মিশনে অংশগ্রহণের সুযোগও — আমাদের পবিত্র নদী গঙ্গা সংরক্ষণে (PM Modi)।”

  • PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা নয়া ভারত। এই ভারত কাউকে ভয় পায় না। নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও (Nuclear Threats) ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা ঘরে ঢুকে শত্রুদের নিকেশ করে আসতে পারে।” বুধবার ৭৫তম জন্মদিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর এলাকায় সরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ফের একবার পাকিস্তান ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের ভিডিওর কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, “আমাদের সেনারা পাকিস্তানের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে।”

    জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক। পাকিস্তানের চোখের পলক পড়ার আগেই অপারেশন সিঁদুরে ওদের হাঁটু ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারের কাছে সর্বোচ্চ প্রাধান্য হল ভারতমাতাকে রক্ষা করা। পাকিস্তানি জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল। আমরা অপারেশন সিঁদুরে ওদের নাম ও নিশান মুছে দিয়েছি। চোখের পলক পড়ার আগেই ওদের ধরাশায়ী করে দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী।” তিনি বলেন, “গতকালই দেশ তথা তামাম বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে আর এক জঙ্গি কীভাবে কেঁদে কেঁদে বর্ণনা দিয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারই পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে যে নতুন ভারত কেবল দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসের জবাবই দেয় না, বরং কারও পারমাণবিক হুমকিকেও ভয় পায় না।”

    আসিম মুনিরের হুমকি

    তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পরমাণু যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। ইসলামাবাদ বলছে, ভবিষ্যতে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে অর্ধেক দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।” এর পরেই মোদি (PM Modi) বলেন, “নতুন ভারত এমন হুমকিকে ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা যেভাবে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের খতম করেছে, তেমনই দেশের মাটিতে ঢুকে যারা নাশকতা চালাতে আসবে, তাদেরও ধ্বংস করবে (Nuclear Threats)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আমরা জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দিয়েছি। জইশের জঙ্গিরাই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছিলেন, “ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে ভাওয়ালপুরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে মাসুদ আজহারের পরিবার।”

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তা

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তায় দেখা গিয়েছে, এই জঙ্গি নেতাকে ঘিরে রয়েছেন পাক সেনার কয়েকজন আধিকারিক। অপারেশন সিঁদুরের পর এতদিন ধরে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল জইশ নেতারা। এই প্রথম তাঁরা সংগঠনের বিরাট ক্ষতির কথা কবুল করে নিলেন নিজেরাই। শুধু তাই নয়, তিনি জইশের দিল্লি ও মুম্বই হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তানের বালাকোট অঞ্চলের গুরুত্বের কথাও। তিনি (PM Modi) বলেন, “তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর আমির-উল-মুজাহিদিন মওলানা মাসুদ আজাহার পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তাঁর চিন্তা ও কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বালাকোটের মাটি তাঁকে আশ্রয় দেয়। এখানকার প্রতিটি (Nuclear Threats) কণা তাঁর কাছে ঋণী। সেই আজাহারই দিল্লি ও মুম্বইকে কাঁপিয়েছিল।”

    জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

    ইলিয়াসের দাবি, ‘ভাওয়ালপুরে নিহত জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সরাসরি দেওয়া হয়েছিল পাক সেনার সদর দফতর থেকে। সেনাপ্রধানের নির্দেশে সেখানে পাঠানোও হয়েছিল জেনারেলদের। তার পরে পাক সেনা ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করে, যাতে ভাওয়ালপুর ও জইশের যোগসূত্র প্রকাশ্যে না আসে।’ জইশ কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। সেটি হল, অপারেশন সিঁদুরের পর পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের এই অভিযান নাড়িয়ে দিয়েছে তাদের নেটওয়ার্কের ভিত। ভিডিওতে ইলিয়াস স্বীকার করেন, ৭ মে ভাওয়ালপুরে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের সদর দফতরে ভারত যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ। সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। ভাওয়ালপুর ছাড়াও পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আরও আটটি জঙ্গি ঘাঁটিও চোখের নিমেষে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বিমান বাহিনী।

    সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বিজেপির সেবা পক্ষ অভিযানেরও সূচনা করেন। ফি বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা নানান সেবামূলক কাজ করেন। ধরের ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, দেশে শুরু হচ্ছে সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান। এই অভিযানে বিনামূল্যে ওষুধ ও নানান টেস্টের সুবিধা পাবেন মহিলারা। এতে উপকৃত হবেন ৪ কোটিরও বেশি মহিলা। মানসিক স্বাস্থ্য, অ্যানিমিয়া ও লাইফস্টাইল সংক্রান্ত রোগের সুবিধাও মিলবে সেবা পক্ষের ওই বিশেষ শিবিরে (Nuclear Threats)। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সাটাইল রিজিওন অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওই অনুষ্ঠানে। বলেন, “দেশের কোটি কোটি মা-বোন আমায় আশীর্বাদ করেছেন। ধরে দেশের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক দেশের শিল্পকে নয়া শক্তি দেবে। কৃষকরা পাবেন ন্যায্য মূল্য (PM Modi)।”

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিনে ‘সেবা পক্ষ’ পালন, ১৫ দিনে বিজেপির কী কী কর্মসূচি?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিনে ‘সেবা পক্ষ’ পালন, ১৫ দিনে বিজেপির কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সেবা সপ্তাহ’ (Seva Parva) পালন করবে বিজেপি। বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর পূর্ণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, নানারকম সামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করা হবে। গোটা সপ্তাহ দেশের প্রতিটি প্রান্তে সেবামূলক কাজে যুক্ত হবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় বাদনাওয়ার তহসিলের ভেনসোলা গ্রামে একটি বিশাল টেক্সটাইল পার্ক উদ্বোধন করতে চলেছেন। এই টেক্সটাইল পার্কটি “পিএম মিত্রা” (PM MITRA – PM Mega Integrated Textile Region and Apparel) প্রকল্পের অধীনে তৈরি হচ্ছে, যার লক্ষ্য ভারতে বিশ্বমানের টেক্সটাইল হাব গঠন করে রফতানি ও কর্মসংস্থানে গতি আনা।

    “সেবা পর্ব” হিসেবে পালন

    প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্ম ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর গুজরাটের মেহসানা জেলায়। বিজেপি প্রতি বছর এই দিনটিকে “সেবা পর্ব” হিসেবে পালন করে, যা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলে। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রক্তদান শিবির, হাসপাতাল ও স্কুলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন। গত কয়েক বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন উপলক্ষে নানান জাতীয় ও সামাজিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

    ২০২৪: ওড়িশার ভুবনেশ্বরে নারী-কেন্দ্রিক একটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন তিনি।

    ২০২৩: ঐতিহ্যবাহী শিল্পী ও কারিগরদের জন্য “পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা” চালু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে তিনি দিল্লিতে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপো সেন্টার উদ্বোধন করেন ও দিল্লি এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস লাইনের সম্প্রসারিত অংশের সূচনা করেন।

    ২০২২: জন্মদিনে আফ্রিকা থেকে আনা চিতাকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করে “চিতা পুনর্বাসন প্রকল্প”-এর সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ২০২১: কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযানের গতি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

    ২০২০: অতিমারির কারণে জন্মদিন পালন হয় নিঃশব্দে, “সেবা সপ্তাহ” নামের সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে।

    ২০১৯: গুজরাটের কেভাড়িয়ায় “নমামি নর্মদা” উৎসবে অংশ নেন এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটির কাছে এক বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘স্বস্থ নারী, সশক্ত পরিবার অভিযান’

    প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্মদিন কেবল ব্যক্তিগত উদযাপন নয়, বরং তা পরিণত হয়েছে এক জাতীয় কর্মসূচিতে—যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকদের মধ্যে সেবা ও উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৭ ​​সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে তাঁর জন্মদিনে ‘স্বস্থ নারী, সশক্ত পরিবার অভিযান’ শুরু করতে চলেছেন। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দেশব্যাপী এই অভিযানটি নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার উন্নত অ্যাক্সেস, উপযুক্ত যত্নআত্তি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে তা পরিচালিত হবে। এছাড়াও এই উদ্যোগের আওতায় সারা দেশে আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির, কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার (সিএইচসি) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ৭৫,০০০ স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা হবে। এই শিবিরগুলি সরকারের স্বাস্থ্যসেবার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাল রেখে নারী ও শিশুদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য চাহিদা পূরণ করবে।

    ‘সেবা পাক্ষিক’ পালন

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য জুড়ে একযোগে স্বাস্থ্য শিবির এবং কার্যক্রমের পরিকল্পিত সংখ্যা বিবেচনা করে প্রচারণার মাত্রা একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ডও তৈরি করতে পারে। এক বিজেপি কর্মীর কথায়, “সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পক্ষের অংশগ্রহণ এটিকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে একটি করে তুলবে।” বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি, যার মধ্যে দিল্লিও রয়েছে, প্রচারণার অংশ হিসেবে একাধিক কার্যক্রমের আয়োজন করতে চলেছে। জাতীয় রাজধানীতে নতুন হাসপাতাল ব্লকের উদ্বোধনের পাশাপাশি কর্তব্য পথে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী ১৫ দিনের সেবা পাখওয়াড়াও (Sewa Pakhwada) বা ‘সেবা পাক্ষিক’ পালিত হবে। বিশ্বকর্মা পুজো থেকে শুরু করে নবরাত্রি পর্যন্ত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর টানা এই অনুষ্ঠান চলবে। এই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পালন করা হবে। সেবা পাক্ষিকের আওতায় রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান, ক্রীড়া উৎসব, প্রদর্শনী, সংলাপ কর্মসূচি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

    ‘মোদি বিকাশ ম্যারাথন’ দৌড়ের আয়োজন

    স্বাস্থ্যই সম্পদ। তাই শরীরকে তরতাজা রাখতে ‘মোদি বিকাশ ম্যারাথন’ দৌড়ের আয়োজনও করা হবে। এদিকে বিজেপির যুব সংগঠন কলকাতা সহ দেশের ৭৫টি শহরে ‘নমো যুব রান’-এর আয়োজন করছে। এতে প্রত্যেক শহরে ১০ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে মোদির জন্মদিন উপলক্ষে সেবা পাক্ষিকের কর্মসূচি দুটি ধাপে হবে। প্রথম ধাপে, ১৭ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে ১,০০০ জেলার বিভিন্ন স্থানে রক্তদান শিবির আয়োজন করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি মণ্ডলে রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতাল, পরিবহন কেন্দ্র, মন্দির, পার্ক ও ঐতিহ্যবাহী স্থানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘বিকশিত ভারত’ বিষয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করবে।

LinkedIn
Share