Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    PM Modi: লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গল-এর অন্যতম দেশ আর্জেন্টিনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের সফরে আর্জেন্টিনায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতীয় সময় শনিবার সকালে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় এজেইজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Argentina)। ৫৭ বছর পরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন ওই দেশে। ২০১৮ সালে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতেও আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, দু’দিনের এই সফরে মোদি আর্জেন্টিনার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভারতের যে সহযোগিতা চলছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। আলোচনা করবেন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির উপায় নিয়ে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আর্জেন্টিনার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য বুয়েনোস আইরেসে পৌঁছেছি। আমি রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মিলের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে আগ্রহী।” এই পর্বে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি দেশ সফর করবেন। এটি তাঁর তৃতীয় গন্তব্য। এদিন হোটেলে পৌঁছানোর পর প্রবাসী ভারতীয়রা ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দেন। চিৎকার করেন ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলেও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে একটি নৃত্যও পরিবেশন করা হয় প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য

    এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল লিখেছেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব অর্জন করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি সরকারি সফরে আর্জেন্টিনার প্রাণবন্ত শহর বুয়েনোস আইরেসে অবতরণ করেছেন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। ৫৭ বছরের মধ্যে এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্জেন্টিনা সফর, যা ভারত-আর্জেন্টিনা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর সফরকালে মোদি প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ-সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে ভারত-আর্জেন্টিনা (Argentina) অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে রাষ্ট্রপতি মিলের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করবেন (PM Modi)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক সফর ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বহুমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করবে।”

    আর্জেন্টিনার খনিজ সম্পদ

    দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা লিথিয়াম, তামা এবং শেল গ্যাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। যা এই দেশটিকে ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি অংশীদার করে তুলছে। বিশেষ করে এমন একটা সময়ে যখন ভারত তার জ্বালানির উৎস বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করছে। আর্জেন্টিনায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেল গ্যাসের মজুত রয়েছে। এর বেশিরভাগই এখনও অনুসন্ধান করা হয়নি। এই দেশে রয়েছে চতুর্থ বৃহত্তম শেল তেলের ভান্ডার। এছাড়াও দেশটিতে রয়েছে প্রচলিত তেল ও গ্যাসেরও বিপুল ভান্ডার।

    লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের একটি

    মনে রাখতে হবে, আর্জেন্টিনা লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেলের তিনটি দেশের একটি। বাকি দু’টি দেশ হল – বলিভিয়া ও চিলি। লিথিয়াম ট্রায়াঙ্গেল হল একটি অঞ্চল যা আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত এবং দক্ষিণ আমেরিকার এই তিনটি দেশের সীমান্তে বিস্তৃত। এই অঞ্চল লিথিয়াম সম্পদের জন্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। লিথিয়াম ভারতবর্ষের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রিক যানবাহন ও গ্রিড স্টোরেজের রিচার্জেবল ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়। ভারতের পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্যের জন্য এটি অত্যাবশ্যক (Argentina)। ভারত ইতিমধ্যেই আর্জেন্টিনার লিথিয়াম সংগ্রহের দিকে একটি পদক্ষেপ করেছে। খনিজ বিদেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ভারত সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ) আর্জেন্টিনার ক্যাটামার্কা প্রদেশে লিথিয়ামের ভান্ডারের খোঁজ চালানোর অধিকার পেয়েছে। আর্জেন্টিনা একটি বৃহৎ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্প, ‘আর্জেন্টিনা এলএনজি’, বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল এখনও পর্যন্ত অপ্রচলিত থাকা ভাকা মুইর্তা শেল গঠনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করা। এটি আর্জেন্টিনার নিউকেন অববাহিকায় অবস্থিত একটি বিশাল শেল গঠন, যা বিপুল পরিমাণ অপ্রথাগত তেল ও গ্যাসের জন্য পরিচিত (PM Modi)।

    এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য

    জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনা ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৩০ মিলিয়ন টন পর্যন্ত এলএনজি রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ধাপে ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছে। দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে এলএনজি রফতানি বাড়ানোর কথাও ভাবছে এবং ভারতের উৎপাদন-পূর্ব খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আগ্রহ দেখিয়েছে (Argentina)। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার সঙ্গে সঙ্গে ভারত ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর জ্বালানি সরবরাহ নির্ভরতা কমাতে চাইছে। বাজারের ওঠানামা এড়াতেও তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করতে চাইছে। আর্জেন্টিনা-সহ পাঁচটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সেই দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

    বিকল্প জ্বালানির খোঁজ

    গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যখন যুদ্ধভেরী বাজছে, সেই সময় ভারত উপলব্ধি করেছে যে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল একাধিক বিকল্প থাকা। আমেরিকার হুমকি সত্ত্বেও, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের পর সস্তায় রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি করার ভারতের সিদ্ধান্ত, তার জ্বালানি সরবরাহকে বৈচিত্র্যময় করার ভারতের কৌশলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই মোদি সরকার এমন দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের (Argentina) জন্য কাজ করছে যারা ভারতের সম্ভাব্য জ্বালানি অংশীদার হতে পারে (PM Modi)।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: ভারতীয় শিকড়ের প্রশংসা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিহারের মেয়ে’ বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত ভারত ও ত্রিনিদাদ। ক্যারিবিয়ান এই দ্বীপপুঞ্জে ৪০ শতাংশ মানুষই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারকে বিহারের মেয়ে বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago)৷ তাঁর জন্য উপহার হিসেবে সরযু নদী এবং মহাকুম্ভের পবিত্র জলও নিয়ে এসেছেন বলে জানালেন মোদি৷ পাঁচটি দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো পৌঁছছেন ভারতের মোদি। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর। তাঁকে ঘিরেই আয়োজন করা হয়েছিল এক জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অফ অনার।

    বিহারের মেয়ে কমলা

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Trinidad and Tobago) সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসরকে “বিহারের মেয়ে” বলে অভিহিত করেন। স্থানীয় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, কমলা প্রসাদ-বিসেসরের পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার জেলা থেকে এসেছিলেন এবং তিনিও সেই স্থান পরিদর্শন করেছেন। মোদি বলেন, “আমরা শুধু রক্ত বা পদবিতে নয়, আত্মিকভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত। ভারত তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তোমাদের সাদরে স্বাগত জানায়। কমলা জির পূর্বপুরুষরা বিহারের বক্সার থেকে এসেছিলেন। তিনি নিজেও সেখানে গিয়েছেন। মানুষ তাঁকে বিহারের মেয়ে বলে মনে করে।” তাই কমলার জন্য মোদি উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন মহাকুম্ভের পবিত্র জল এবং রাম মন্দিরের একটি প্রতিরূপ। প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের হাতে। এদিন কমলা প্রসাদ বিসেসারের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদি। এই বৈঠক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা

    কমলা প্রসাদ-বিসেসরের রাজনৈতিক জীবন বহু ঐতিহাসিক প্রথমের সাক্ষী। ১৯৮৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন কমলা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিরোধী দলনেত্রী হন তিনি। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ নেশনসের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন। ভারত ও উপমহাদেশের বাইরের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “বিহারের ঐতিহ্য ভারতের গর্ব, সারা বিশ্বের গর্ব… বিহার বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পৃথিবীকে পথ দেখিয়ে এসেছে। ২১শ শতাব্দীতেও বিহার থেকে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে।” উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিহারের বক্সারের ভেলপুরের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ৷

    গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথা

    ত্রিনিদাদে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে আলাদা করে গিরমিতিয়া সম্প্রদায়ের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ উনিশ ও বিশ শতাব্দীতে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু শ্রমিককে ব্রিটেন অধীনে থাকা কয়েকটি দেশে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা ৷ সেই সূত্র ধরেই অন্য আরও কয়েকটি জায়গার মতো ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয় ভারতীয়দের আসা ৷ এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদি বলেন, “প্রবাসী ভারতীয় দিবসে আমি গিরমিতিয়া সম্প্রদায়কে সম্মান জানাতে উদ্যোগ নিয়েছি ৷ তাঁদের জন্য যা যা করা দরকার সেটা আমি করেছি ৷” তাঁর মতে, এ দেশে ভারতীয় আসা এবং তারপর নিজের যোগ্যতায় দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার নেপথ্যে আছে লড়াকু মানসিকতা ৷

    ভারতীয় পোশাকে স্বাগত মোদি

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পৌঁছনোর পর সেখানকার প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসার ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে সম্মান জানানোর জন্য ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘দ্য অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় নরেন্দ্র মোদিকে। হোটেলে পৌঁছনোর পরে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ‘মোদি, মোদি’ ধ্বনিতে স্বাগত জানান। এক অর্কেস্ট্রা পারফরম্যান্সের পর পরিবেশিত হয় ভজন। এই সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালুর সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সে দেশের সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ারও কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামে রাস্তা ত্রিনিদাদে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ২৫ বছর আগের ত্রিনিদাদ সফরের স্মৃতিও স্মরণ করেন এবং বলেন, সেই সময় থেকে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন, জানিয়ে দেন ত্রিনিদাদে বেনারস, পাটনা, কলকাতা ও দিল্লির নামেও রাস্তার নামকরণ হয়েছে। মোদি বলেন, “এই দ্বীপে নবরাত্রি, মহাশিবরাত্রি ও জন্মাষ্টমী উৎসাহ, শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে পালন করা হয়। চৌতাল ও বৈঠক গান এখানেও সমানভাবে জনপ্রিয়। আমি এখানে অনেক পরিচিত মুখ দেখতে পাচ্ছি।” বৃহস্পতিবার মোদির ত্রিনিদাদ আগমনে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। পিয়ারকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ-বিসেসর, সঙ্গে ছিলেন ৩৮ জন মন্ত্রী ও চারজন সংসদ সদস্য। তাঁকে গার্ড অফ অনারও প্রদান করা হয়।

    ত্রিনিদাদে ভারতের ছোঁয়া

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রায় ৪০% মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ৫,৫৬,৮০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে প্রায় ১,৮০০ জন এনআরআই, বাকিরা স্থানীয় নাগরিক যাদের পূর্বপুরুষরা ১৮৪৫ থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে ভারতে থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। যদিও ত্রিনিদাদ ও টোবাগো আয়তনে ভারতের জোধপুর থেকেও ছোট, তবুও দেশটির সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের খাবার, সংগীত, ভাষা ও ধর্মীয় উৎসবে এখনও স্পষ্টভাবে ভারতীয় ঐতিহ্যের ছাপ দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন ঘোষণা করেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ষষ্ঠ প্রজন্মকেও এবার থেকে ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (OCI) কার্ড প্রদান করা হবে।

    ত্রিনিদাদে হিন্দুত্বের বিকাশ

    এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফর এবং ১৯৯৯ সালের পর প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সফরে এই দেশে এলেন। মোদির কথায়, “ভারত এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছক, এই কামনা করি।” ত্রিনিদাদের প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, “শ্রী রামের প্রতি আপনাদের বিশ্বাসের কথা জানি। ভগবান রামের পবিত্র শহর এত সুন্দর যে তার মহিমা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। আমি নিশ্চিত যে আপনারা সকলেই রামলালার অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছেন। আপনারা অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সময় পবিত্র জল এবং শিলা পাঠিয়েছিলেন, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।” এরপরই মোদি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, এ বছরের শুরুর দিকে মহাকুম্ভ মেলা হয়েছিল ৷ আমার সৌভাগ্য আমি সেই জল আপনাদের জন্য নিয়ে আসতে পেরেছি ৷”

  • PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    PM Modi in Ghana: ঘানার জাতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত মোদি, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মোদি ম্যাজিক ঘানায়। তিন দশকে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘানায় পা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Ghana)। সে দেশের দ্বিতীয় জাতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার পঞ্চদেশ সফরের প্রথমে ঘানা গিয়েছেন তিনি। এটি পশ্চিম আফ্রিকায় তাঁর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। আক্রার কোটোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে কুর্নিশ জানানো হয়। ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেলে স্বাগত জানান ঘানার কচিকাঁচারা।

    ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তি

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগেই বুধবার ঘানা গিয়েছেন তিনি। এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ঘানা’ (Officer of the Order of the Star of Ghana) প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন,‘‘ঘানার জাতীয় সম্মানে ভূষিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের বিষয়। আমি প্রেসিডেন্ট মাহামা, ঘানা সরকার এবং ঘানার জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে আমি বিনীতভাবে এই সম্মান গ্রহণ করছি। এই সম্মান আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি, আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের প্রতি এবং ভারত ও ঘানার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতি উৎসর্গ করছি।’’ এরই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সম্মানের ফলে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেল।

    উষ্ণতার আলিঙ্গন

    আক্রায় পা রেখেই এদিন ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে আলিঙ্গন করেন ঘানার প্রেসিডেন্টও। সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। স্থানীয় রীতি মেনেও অভ্যর্থনা করা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছতেই মোদিকে ঘিরে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ স্তোত্র গাইতে শুরু ঘানার বাচ্চারা। হাসিমুখে তাদের গান শোনেন প্রধানমন্ত্রী, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘানার মাটিতে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন প্রেসিডেন্টের বিমানবন্দরে আসা তাঁর জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। যৌথ বিবৃতি জারি করার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘ভারত-ঘানা বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে আমাদের ভাগ করা মূল্যবোধ, সংগ্রাম এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন। যা অন্যান্য দেশগুলিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’’

    গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

    বুধবারই ঘানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আর্থিক-প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুই দেশের আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। তিনি ঘানাকে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার “আশার আলো” হিসেবে প্রশংসা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘‘আজ আমরা ঘানার জন্য আইটেক (ITEC) এবং আইসিসিআর (ICCR) স্কলারশিপ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তরুণদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হবে। কৃষি খাতে, আমরা প্রেসিডেন্ট মহামার ফিড ঘানা কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে পেরে খুশি হব।’’ এর পাশাপাশি, জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘানার নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাব দেন মোদি। ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জোড়

    প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেভারত-ঘানা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।  মোদি বলেন, “ভারত শুধু ঘানার উন্নয়নের অংশীদার নয়, সহযাত্রী। ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানায় ৯০০টির বেশি প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আজ আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছি।” ফিনটেক (FinTech) খাতে, ঘানার সঙ্গে ভারতের ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন মোদি। এছাড়াও, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান ও খননের ক্ষেত্রেও ভারতীয় সংস্থাগুলি ঘানার সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান তিনি। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বকালে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করাকে “গর্বের বিষয়” বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি, ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের কাছে ঘানার প্রধান রফতানি পণ্য সোনা। ঘানা বর্তমানে একটি বড় অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং মোদি এই বিষয়ে ঘানাকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

    সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘানার সহযোগিতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেন যে, দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্কারের ক্ষেত্রেও দুই দেশে দৃষ্টিভঙ্গি এক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” “ঐক্যের মাধ্যমে নিরাপত্তা” মন্ত্রে দুই দেশ এগিয়ে যাবে বলে জানান মোদি। এই খাতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সরবরাহ ও সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে। ঘানা থেকে আজ, বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদ, টোবাগোর উদ্দেশে রওনা দেবেন মোদি। আগামী শনিবার সেখান থেকে পৌঁছবেন আর্জেন্টিনায়। তারপর ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে নামিবিয়া সফরে যাবেন তিনি।

  • SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    SAARC: ভারতকে রুখতে সার্কের বিকল্প মঞ্চ তৈরি করছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে ভারত। বিশ্বমঞ্চের সমস্ত ফোকাস কেড়ে নিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। অতএব, দ্রুত রুখতে হবে ভারতকে! সেই কারণেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হচ্ছে নয়া জোট (SAARC)। অন্তত পাকিস্তানের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে (China) এমনই প্রতিবেদন। তাতে বলা হয়েছে, চলতি মাসে চিনে গিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন চিনা উপবিদেশমন্ত্রী সুন ওয়েইডং, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত বিদেশসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। সার্কের প্রতিপক্ষ হিসেবে জোট গড়তেই হয়েছে ওই বৈঠক।

    বাংলাদেশের বক্তব্য (SAARC)

    বৈঠক শেষে বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান বলেন, “এই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। নতুন করে কোনও জোট তৈরির আলোচনা হয়নি।” এই বৈঠক নিয়ে বিবৃতিও দিতে চায়নি বাংলাদেশ। যদিও বৈঠক শেষে পাকিস্তানের তরফে আলাদা করে জারি করা হয়েছে বিবৃতি।

    সার্কভুক্ত দেশ

    ১৮৮৫ সালে ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা-সহ মোট সাতটি দেশ মিলে গঠিত হয় সার্ক। দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শক্তিশালী জোট করতেই এই গোষ্ঠী তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। পরবর্তীকালে এই গোষ্ঠীতে যোগ দেয় আফগানিস্তান। এর পর সার্কের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৮। ২০১৪ সালে শেষবারের মতো নেপালের কাঠমান্ডুতে বৈঠক হয়েছিল সার্কের সদস্যদের। তারপর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে এই গোষ্ঠী। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এহেন পরিস্থিতিতে ভারতকে এড়িয়ে নয়া জোট গঠনে উদ্যোগী হয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    পাকিস্তানের ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ নামের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯ জুন চিনের কুনমিংয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মূলত সার্কের আওতাভুক্ত দেশগুলিকেই বৈঠকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতের তালিকায় অবশ্য ঠাঁই হয়নি ভারতের (SAARC)।

    প্রসঙ্গত, ভারত উন্নত আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংযোগের জন্য সার্ককে ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও, পাকিস্তান সেটিকে বারবারই কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে। বৃহত্তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সার্কে উল্লেখযোগ্য অর্থ দিয়ে থাকে। সদস্য দেশগুলির মধ্যে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সার্ক উন্নয়ন তহবিল এবং নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ এশিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো (China) উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারত (SAARC)।

  • PM Modi: ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের অমূল্য অবদানের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই দুই পেশাকে তিনি সমাজের দুটি ‘স্তম্ভ’ বলেও অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুই স্তম্ভ একদিকে (Mann Ki Baat) যেমন স্বাস্থ্যরক্ষায় নিয়োজিত, অন্যদিকে তেমনি অর্থনৈতিক জীবনের পথপ্রদর্শক।” তিনি বলেন, “১ জুলাই আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাকে সম্মান জানাই-চিকিৎসক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এই দুই পেশাই সমাজের এমন স্তম্ভ, যারা আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করে তোলে। চিকিৎসকেরা আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষক, আর সিএ-রা আমাদের অর্থনৈতিক জীবনের দিশারী। আমি সমস্ত চিকিৎসক এবং সিএ-দের জানাই আমার শুভকামনা।”

    পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব (PM Modi)

    এদিনের মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের দিকটিও। তিনি বলেন, “এই মাসে আমরা সবাই মিলে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উদযাপন করেছি। আমি আপনাদের হাজার হাজার বার্তা পেয়েছি। অনেকেই আমাকে তাঁদের সেই বন্ধুদের কথা জানিয়েছেন, যাঁরা একাই পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ শুরু করেছিলেন এবং পরে গোটা সমাজই তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আমাদের পৃথিবীর জন্য এক বিশাল শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    দেশের নানা প্রান্তের মানুষের উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “পুনের রমেশ খারমালে, তাঁর কাজের কথা জানলে আপনি আকও বেশি করে অনুপ্রাণিত হবেন। যখন সবাই সপ্তাহ শেষে বিশ্রাম নেন, তখন রমেশজি এবং তাঁর পরিবার কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। জানেন কোথায় যান? জুন্নারের পাহাড়ের দিকে। রোদ হোক বা খাড়া চড়াই, তাঁদের যাত্রা থেমে থাকে না। তাঁরা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেন, জল ধরে রাখার জন্য খাল খোঁড়েন এবং বীজ বপন করেন। মাত্র দু’মাসে তাঁরা ৭০টি খাল খুঁড়েছেন (Mann Ki Baat)।”

    গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ওখানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ‘মিশন ফর মিলিয়ন ট্রিজ’ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য লক্ষ লক্ষ গাছ রোপণ করা। এই অভিযানের একটি বিশেষ দিক হল ‘সিঁদুর বন’।” িতিন বেলন, “এই বনটি অপারেশন সিঁদুরের বীর সৈনিকদের উৎসর্গ করা হয়েছে। যাঁরা দেশের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে এখানে সিঁদুর গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। এখানেই আর একটি অভিযানকে নতুন গতি দেওয়া হয়েছে — ‘এক পেড মা কে নাম’। এই অভিযানের অধীনে দেশে কোটি কোটি গাছ লাগানো হয়েছে। আপনিও আপনার গ্রাম বা শহরে চলতে থাকা এমন অভিযানে অংশ নিন (Mann Ki Baat)।”

  • PM Modi: এবার ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রীকে, কী বললেন মোদি?

    PM Modi: এবার ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রীকে, কী বললেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে ভূষিত করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। শনিবার জৈন সন্ন্যাসী আচার্য শ্রী ১০৮ বিদ্যানন্দজি মহারাজের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই উপাধিতে (Dharma Chakravarti) ভূষিত করা হয় তাঁকে। সম্মানিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই অনুষ্ঠানে আপনারা আমাকে ‘ধর্ম চক্রবর্তী’ উপাধিতে সম্মানিত করেছেন। আমি নিজেকে এই উপাধির যোগ্য মনে করি না। তবে আমাদের সংস্কৃতিতে যেটি সাধুদের কাছ থেকে পাওয়া যায়, তাকে প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তাই আমি এই প্রসাদ বিনম্রভাবে গ্রহণ করছি এবং মা ভারতীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।”

    শতবর্ষ উদ্‌যাপন (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, শতবর্ষ উদ্‌যাপনের মাধ্যমে এই মহাত্মার প্রতি জাতীয়ভাবে এক বছরের শ্রদ্ধাঞ্জলি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ও দিল্লির ভগবান মহাবীর অহিংসা ভারতী ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়  এই অনুষ্ঠানের। এদিন বক্তৃতা দিতে গিয়ে আচার্য বিদ্যানন্দ মুনিরাজ কীভাবে ১৯৮৭ সালের এই দিনে ‘আচার্য’ উপাধি লাভ করেছিলেন, সেই বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দিনটি আরও একটি কারণে বিশেষ। কারণ ২৮ জুন ১৯৮৭ সালে আচার্য বিদ্যানন্দ মুনিরাজ আচার্য উপাধি লাভ করেছিলেন। এটি কেবল একটি সম্মান নয়, বরং এটি ছিল একটি ‘পবিত্র ধারা’, যা জৈন সংস্কৃতিকে আত্মসংযম ও করুণার ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করেছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, এই শততম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করতে গিয়ে আমরা সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের কথা স্মরণ করছি। এই উপলক্ষে  আমি আচার্য শ্রী মুনিরাজজির চরণে প্রণাম জানাই। আমি প্রার্থনা করি, তাঁর আশীর্বাদ চিরকাল আমাদের সঙ্গে থাকুক। তিনি বলেন, এই শতবর্ষ উদ্‌যাপন কেবল একটি সাধারণ অনুষ্ঠান নয়। এটি একটি সময়পর্বের স্মৃতি এবং এক তপস্বী জীবনের স্মরণ। আজকের এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্যও আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত হল বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত সংস্কৃতি। হাজার হাজার বছর ধরে আমরা অমর রয়েছি। কারণ আমাদের চিন্তাধারা অমর, আমাদের দর্শন অমর। এই দর্শনের উৎস আমাদের ঋষি, সন্ন্যাসী ও আচার্যগণ (Dharma Chakravarti)।”

    প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে আচার্যর স্মৃতিতে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন।

  • PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    PM Modi: আট দিনে ৫ দেশ সফর করবেন মোদি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র আট দিন। তার মধ্যেই পাঁচটি দেশ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জুলাই মাসের এই বিদেশ সফরের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ। এবার ব্রিকস (BRICS Summit) সম্মেলন হচ্ছে ব্রাজিলে। সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে যাওয়ার পথে তিন দেশ এবং আসার পথে একটি দেশ ঘুরে ভারতে ফিরবেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি।

    যাওয়ার পথে কোন কোন ৩ দেশ (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, আগামী ২ জুলাই রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রথমে যাবেন পশ্চিম আফ্রিকার ঘানায়। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী গত তিন দশকে ঘানায় পা রাখেননি। এই সময়সীমায় মোদিই প্রথম। ২-৩ জুলাই তিনি থাকবেন ঘানায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল ঘানার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বন্ধন জোরদার করা, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতা নিশ্চিত করা। ঘানা থেকে তিনি উড়ে যাবেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয়। ৩-৪ জুলাই এই দেশে থাকবেন তিনি। ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম সে দেশে পা রাখবেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন কার্লা কাংগালু এবং প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিশ্বেশ্বরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই দেশের সংসদে যৌথ সমাবেশে বক্তৃতাও দেবেন তিনি। এখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনায়। সেখানে থাকবেন ৪-৫ জুলাই।

    ব্রিকস শেষে যাবেন কোন দেশে

    সে দেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা, কৃষি, খনি, তেল ও গ্যাস, বাণিজ্য, বিনিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত ও আর্জেন্টিনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সফর। আর্জেন্টিনা থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যাবেন ব্রাজিলে, ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে। সেখানে তিনি গ্রহণ করবেন প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভারের আতিথ্য। ৫-৮ তারিখ পর্যন্ত তিনি থাকবেন ব্রাজিলে। এখানেই কয়েকটি দেশের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। আলাদা করে ব্রাসিলিয়া শহরে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা মোদির। ব্রাজিল থেকে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকারই নামিবিয়ায় (BRICS Summit)। সেখানে তিনি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট নেটুম্বো ন্যান্ডি নাইতওয়ার সঙ্গে। তারপর ফিরবেন নয়াদিল্লি (PM Modi)।

  • Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে হবে ব্রিকস সম্মেলন (BRICS Summit)। এই সম্মলেনেই যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলে এবার হবে সপ্তদশ ব্রিকস সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে ৬ জুলাই। তবে প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও, চিনের তরফে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং।

    ব্রিকসে থাকছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)

    জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের (চিনের রাজধানী) তরফে ব্রাজিল সরকারকে জানানো হয়েছে অন্য কর্মসূচি থাকায় এবার ব্রিকস সম্মলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না স্বয়ং চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর বদলে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেবারও প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে ভারতে এসেছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী। মাস সাতেকের মধ্যেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দু’বার বৈঠক হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের। একবার গত নভেম্বরে ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এবং চলতি বছরের মে মাসে ফের বেজিংয়ে চায়না-সেলাক ফোরামের সময়। সূত্রের খবর, ব্রিকস সম্মলেন চিনা প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন শি জিনপিং। এ ছাড়া আরও কোনও ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকেননি তিনি।

    চিনের বক্তব্য

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Xi Jinping) দিতে গিয়ে বলেন, “শি জিনপিংয়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করা হবে। চিন ব্রাজিলের ব্রিকস সম্মেলনের সভাপতিত্বকে সমর্থন করে এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা বজায় রাখতে চায়।” তবে চিনা প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে থকছেন না জেনে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল প্রশাসনের কর্তারা। সে দেশের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা মে মাসে বেজিং সফর করেছিলেন সদিচ্ছা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে। তিনি আশা করেছিলেন শি-ও পাল্টা সফরে আসবেন।

    মোদিকে ভোজে আমন্ত্রণ জানানোয় গোঁসা চিনের!

    সূত্রের খবর (BRICS Summit), ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকের ধারণা, এতে চিনা প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব কিছুটা খাটো হতে পারে। সেই কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট যে যোগ দেবেন না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই। যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার শীর্ষ বিদেশনীতি উপদেষ্টা সেলসো আমোরিম বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে (Xi Jinping) বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেই সময় আমোরিম চিনা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ওয়াং ই-কে মনে করিয়ে দেন যে, চিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও নিজের দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প সত্ত্বেও ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। আমোরিম বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (BRICS Summit) প্যারিস চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে।”

    যোগ দিচ্ছেন না পুতিনও!

    কেবল চিনা প্রেসিডেন্ট নন, ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ঝুঁকি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনের অবস্থান বরাবরই আগ্রাসী (Xi Jinping) ও দৃঢ়। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইজরায়েল-ইরাকও। বিশ্বজুড়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আয়োজিত হচ্ছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত। অভিযোগ, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় সেখানকার শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযোগেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব পুতিন (BRICS Summit) সে দেশে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সেই কারণেই ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)।

    ব্রিকস হল একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এটি গঠিত হয়েছে পাঁচটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে। এর সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কলেবরে বেড়েছে (BRICS Summit) ব্রিকস। নয়া সদস্য হয়েছে ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Xi Jinping)।

  • PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: জরুরি অবস্থা জারির ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’, কংগ্রেসকে শানিত আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। আজ, বুধবার ওই দিনটির পঞ্চাশ বছর পূর্তি। দিনটিকে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ষড়যন্ত্রের একটি প্রধান উদাহরণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি একে ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের (Emergency) অন্যতম অন্ধকার অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস কর্তৃক জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে শুধু সংবিধানের আত্মাকেই লঙ্ঘন করা হয়নি, গণতন্ত্রকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।”

    প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট (PM Modi)

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটিতে লেখেন, “কোনও ভারতীয় কখনও ভুলবে না কীভাবে আমাদের সংবিধানের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছিল, সংসদের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছিল এবং আদালতগুলোকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। ৪২তম সংশোধন তাদের (কংগ্রেসের) ষড়যন্ত্রের এক প্রধান নিদর্শন। দরিদ্র, প্রান্তিক ও নিপীড়িত মানুষদের বিশেষভাবে টার্গেট করা হয়েছিল, তাঁদের মর্যাদাকেও অপমান করা হয়েছিল।” ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ – এই একুশ মাস দেশে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই পর্বে দেশে এক দমনপীড়নের ঢেউ নেমে এসেছিল। লাখ লাখ মানুষকে বিনা কারণে কারাবন্দি করা হয়। স্তব্ধ করে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ। এই ‘এমার্জেন্সি’র সময় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে সংবিধানের মূল চেতনা লঙ্ঘনের, মৌলিক অধিকার স্থগিত করার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দমন করার এবং রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ নাগরিকদের জেলে পাঠানোর জন্য কাঠগড়ায় তোলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক অন্ধকারতম অধ্যায় শুরু হয়েছিল — এমার্জেন্সি জারি করা হয়েছিল। দেশবাসী এই দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করে। এই দিনে ভারতের সংবিধানে লিপিবদ্ধ মূল্যবোধকে পদদলিত করা হয়েছিল, মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল এবং বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র ও সাধারণ নাগরিককে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। যেন সেই সময়ের কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকেই বন্দি করে ফেলেছিল!”

    প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমরা সেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রণাম জানাই, যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অটল ছিলেন! এঁরা ছিলেন ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী —যাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন একটিমাত্র লক্ষ্য নিয়ে: ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে রক্ষা করা এবং সেই আদর্শগুলিকে সংরক্ষণ করা, যাঁদের জন্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের সম্মিলিত সংগ্রামের ফলেই তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন করতে এবং নতুন নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য হতে হয়েছিল, যাতে তারা বিপুল ভোটে হেরে যায় (Emergency)।”

    বিকশিত ভারতের স্বপ্ন

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা আমাদের সংবিধানে বর্ণিত নীতিগুলোকে ফের একবার আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও করছি। আমরা যেন উন্নতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারি এবং গরিব ও প্রান্তিক মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।” প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে অভ্যন্তরীণ অশান্তির আশঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই জরুরি অবস্থা ঘোষণার নেপথ্যে ছিল ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিচার বিভাগের কিছু পদক্ষেপ, যা শাসক দলের নেতৃত্বের বৈধতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রেস নোটে কিছু ব্যক্তিকে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে আদেশ অমান্য করতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এটি ছিল ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা। পূর্ববর্তী দুটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল চিন (১৯৬২) ও পাকিস্তানের (১৯৭১) সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের সময় (PM Modi)।

    জরুরি অবস্থা

    প্রসঙ্গত, আজ থেকে ৫০ বছর আগে দেশে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ছ’বছরের জন্য সংসদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল তাঁকে। তার পরেই দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনিও এই দিনটিকে ভারতের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও মঙ্গলবার দিল্লির প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন (PM Modi)।

  • The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    The Emergency Diaries: বুধেই প্রকাশ ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ’-এর, কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন। পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন কংগ্রেসের ইন্দিরা গান্ধী। এই জরুরি অবস্থারই ৫০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বুধবার একটি বই (The Emergency Diaries) প্রকাশ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বইটিতে তাঁর সেই সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বইটির উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বইটির নাম ‘দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ – ইয়ার্স দ্যাট ফরজড আ লিডার’।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ বইটি জরুরি অবস্থার সময়ে আমার যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে। এই বই লেখার সময় বহু পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে।” তিনি লিখেছেন, “আমি সকলের কাছে আহ্বান জানাই — যাঁরা সেই অন্ধকার দিনগুলোর স্মৃতি মনে রাখেন বা যাঁদের পরিবার সেই সময় কষ্ট পেয়েছিল, তাঁরা যেন তাঁদের অভিজ্ঞতা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। এটি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত লজ্জাজনক সময়ের ব্যাপারে যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। এক্স হ্যান্ডেল তিনি লেখেন, “জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন আমার জন্য একটি শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ছিল। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার গুরুত্ব আবারও প্রমাণ করেছিল। একইসঙ্গে, আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম।” বইটির ভূমিকা লিখেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া, যাঁকে মোদি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন অন্যতম পুরোধা বলে অভিহিত করেছিলেন।

    দেশজুড়ে জারি জরুরি অবস্থা

    আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল ২১ মাস ধরে। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নানা সময় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছর জরুরি অবস্থার দিনটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। জরুরি অবস্থা জারির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে এক গুচ্ছ পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্ধকার অধ্যায়

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়ের ৫০ বছর পূর্ণ হল। ভারতের মানুষ দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে। এই দিনে ভারতীয় সংবিধানের মূল্যবোধ সরিয়ে রেখে মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বহু রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের ভাবনা যেভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছিল, কোনও ভারতীয় তা কোনওদিন ভুলবেন না।” সংবিধানের আদর্শকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (The Emergency Diaries)।

    ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’

    ১৯৭৮ সালে নরেন্দ্র মোদির বয়স ছিল ২৭। সেই সময়ই তিনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁর প্রথম বই ‘সংঘর্ষ মা গুজরাট’। এই বইতেও তিনি তুলে ধরেছিলেন জরুরি অবস্থার সময় তাঁর অভিজ্ঞতা ও সম্মিলিত প্রতিরোধের বর্ণনা। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাবুভাই জসভাই প্যাটেল কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি ব্যাপক ও বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতির জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছিল (PM Modi)। প্যাটেল নিজেই বইটিকে ‘তথ্যের সম্পদ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময়ের কথা স্মরণ করে মোদি জরুরি অবস্থাকে ‘আপদা মে অবসার’ (কঠিন সময়ে সুযোগ) হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাঁকে বিভিন্ন নেতা ও মতাদর্শের সঙ্গে সহযোগিতা করার সুযোগ করে দিয়েছিল (The Emergency Diaries)।

    আরএসএসের যুব প্রচারক

    জরুরি অবস্থার সময় মোদি ছিলেন আরএসএসের একজন যুব প্রচারক। তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে। সেখানে তিনি যুব আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর মোদি সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সর্বোচ্চ সেন্সরশিপ সত্ত্বেও তিনি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা সভার আয়োজন করেছিলেন, করেছিলেন প্রচারও (PM Modi)।

    ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’

    নাথ জাগদা এবং বসন্ত গজেন্দ্রগড়করের মতো প্রবীণ আরএসএস নেতাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। কীভাবে আরএসএসের মতাদর্শ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার উপায়ও খুঁজে বের করেছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় আত্মগোপন করে আরএসএস। সেই সময় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গুজরাট লোক সংগ্রাম সমিতি’। মাত্র ২৫ বছর বয়সে মোদি হয়ে ওঠেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক (The Emergency Diaries)।

    ছদ্মবেশে মোদি

    জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে মোদির বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং চিঠিপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সেই সময়ও কৌশলে আরএসএসের বার্তা প্রচার করেছিলেন তিনি। গ্রেফতারি এড়াতে নানা সময় ছদ্মবেশও ধারণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। কখনও সেজেছিলেন স্বামীজি, কখনও আবার শিখ। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর মোদির সক্রিয়তা জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করে। সেই সময় তাঁকে নিযুক্ত করা হয় (PM Modi) দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাটের সম্ভাগ প্রচারক হিসেবে। সেই সময় তাঁর কাজ ছিল আরএসএসের অফিসিয়াল নিবন্ধ রচনা করা (The Emergency Diaries)।

LinkedIn
Share