Tag: Narendra Modi

Narendra Modi

  • PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    PM Modi: দিল্লি জয় অতীত, এবার ভোটমুখী বিহার, তামিলনাড়ুতে নজর মোদির, জনসভা চলতি মাসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিজয় হয়েছে। বিজেপির (BJP) দাবি, তাঁর মিস্টার ক্লিন ইমেজ এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দক্ষতার জেরে আপ দুর্গে বিজেপির ধস নামানো হয়েছে অনায়াস। এ সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কল্যাণে। সেই কারণেই ফের প্রধানমন্ত্রীকেই নির্বাচনী প্রচারে চাইছেন চলতি বছর যে দুই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হবে, সেখানকার নেতা-কর্মীরা। এ বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। এই দুই রাজ্যেই চলতি মাসেই দুটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর ভোট রয়েছে অসমে। সেখানেও একটি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভাগলপুরে জনসভা (PM Modi)

    ২৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের পূর্বাঞ্চলের ভাগলপুরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই তাঁর অসম সফরেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে পদ্ম শিবির। বিহারে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর অসমে ভোট হবে এক বছর পরে। সম্ভবত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম সফরে যাবেন। যেখানে তিনি উদ্বোধন করবেন নতুন পামবান সেতুর। এই সেতু রামেশ্বরম দ্বীপ শহরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে।

    ভিড় টানতে শুরু সলতে পাকানোর কাজ

    গত এক দশক ধরে অসমের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। আর বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় রয়েছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, নীতীশ মাঝেমধ্যেই শিবির বদলে বিপাকে ফেলে গেরুয়া শিবিরকে। তাই বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে সে রাজ্যে। জানা গিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাগলপুরে নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঞ্চে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অসমেও জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সে রাজ্যে নির্বাচন হবে আগামী বছর, তবুও এখন থেকেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন অসমের বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জনসভায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় টানতে জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন এই দুই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই।

    প্রধানমন্ত্রী ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির পরবর্তী কিস্তি প্রদান করবেন। তিনি এদিন কিছু কৃষককে সম্মানিতও করবেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ভাগলপুরে একটি নতুন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী রওনা দেবেন অসমের উদ্দেশে। দুদিনের সফরে অসম যাবেন তিনি। সেখানে তিনি ‘অ্যাডভান্টেজ অসম ২.০’ বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন (BJP)। সারুসজাই স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণও দেবেন। এই অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি শিল্পীর অংশগ্রহণে একটি বিশাল ঝুমুর নৃত্য পরিবেশিত হবে (PM Modi)।

  • Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পরেই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করল টেসলা (Tesla)। আপাতত দিল্লি এবং মুম্বই জুড়ে ১৩টি পদের জন্য কর্মী চাইছে তারা। ভারতে কারখানা তৈরিতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ভাবনা রয়েছে টেসলার। ভারতীয় মার্কেট নিয়ে টেসলা আগেও আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু চড়া আমদানি শুল্কের জেরে ধীরে চলো নীতি নেয় এই সংস্থা। সম্প্রতি ভারত সরকার ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের হাইএন্ড গাড়িতে কাস্টমস ডিউটি কমানোর পরই এ দেশের বাজার নিয়ে ফের ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে টেসলা।

    কোথায় কত কর্মী নিয়োগ

    প্রাথমিক পর্যায়েই (Tesla Recruitment) টেসলা ভারতের জন্য ২ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, সেলস বা অপারেশনে অভিজ্ঞতা (Tesla Plan) থেকে থাকলে আপনিও বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থার অংশ হতে পারবেন বলেই জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। ভারতে বড় মাপের উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে ব্যাটারি উৎপাদনকারী (Elon Musk) সংস্থা টেসলা পাওয়ার। এই সংস্থা ভারতে তার ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবছে। সোমবার টেসলার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। টেসলা পাওয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাবিন্দর খুরানা জানিয়েছেন যে, ‘আমরা ভারতে আমাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। নানারকম উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রতিভাবান ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিই। আমরা আমাদের টিমে সবসময় নতুন প্রতিভাকে স্বাগত জানাতে চাই। আমাদের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিতে তাদের অবদানগুলিকে কাজে লাগাতে পেরে আমরা যারপরনাই খুশি।’

    ১৩টি বিভিন্ন পদে নিয়োগ

    মোট ১৩টি বিভিন্ন পদে হবে এই নিয়োগ। সার্ভিস টেকনিশিয়ান, অ্যাডভাইজরি পদের জন্য মুম্বই ও দিল্লিতে নিয়োগ হবে এবং কাস্টমার এনগেজমেন্ট ম্যানেজার এবং ডেলিভারি অপারেশনস স্পেশালিস্ট পদের জন্য নিয়োগ করা হবে মুম্বইতে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা (Tesla)। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার হয়তো দুপক্ষ সহমত হয়েছে, লিঙ্কডইন পোস্ট থেকেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে।

    টেসলা ভারতে যে সব পোস্টে কর্মী নিয়োগ করবে সেগুলি হলঃ

    সার্ভিস টেকনিশিয়ান

    সার্ভিস ম্যানেজার

    ইনসাইড সেলস অ্যাডভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট সুপারভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট স্পেশালিস্ট

    অর্ডার অপারেশন স্পেশালিস্ট

    সার্ভিস অ্যাডভাইজার

    টেসলা অ্যাডভাইজার

    পার্টস অ্যাডভাইজার

    ডেলিভারি অপারেশন স্পেশালিস্ট

    বিজ়নেস অপারেশন অ্যানালিস্ট

    স্টোর ম্যানেজার

    ভারতীয় বাজারে টেসলার আগ্রহ

    টেসলা (Tesla) ভারতীয় বাজারে প্রবেশের জন্য আগে দুবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু উভয় প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমত, ভারতে উচ্চ আমদানি শুল্ক—যা পূর্বে ১১০% পর্যন্ত ছিল। এই আমদানি শুল্কের ফলে টেসলা গাড়িগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রতিষ্ঠার অনুরোধ। সরকার চাইছিল যে টেসলা আমদানি না করে, বরং ভারতে একটি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করুক, কিন্তু কোম্পানিটি একটি উন্নয়নশীল বাজারে এমন বড় পরিমাণে বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করে। এছাড়া, ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা এখনও বড় বাজারগুলির তুলনায় অনেক কম, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ভারত কি টেসলার জন্য প্রস্তুত?

    ভারতের বাজারে ধীরে ধীরে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বেড়ে চলেছে। টেসলার (Tesla) সম্প্রসারণের ফলে এই বাজার আরও দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। টেসলার এই তৃতীয় প্রচেষ্টা এমন সময়ে আসছে যখন ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে, বিলাসবহুল বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর ১১০% আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৭০% করা হয়েছে, যার ফলে টেসলার গাড়িগুলি এখন আরও যুক্তিসঙ্গত দামে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারটি সম্প্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (FADA) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ৮২,৬৮৮ ইউনিট থেকে ২০২৪ সালে ৯৯,১৬৫ ইউনিট বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা ১৯.৯৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাড়তি চাহিদা, চার্জিং অবকাঠামোর উন্নতি এবং আরও বেশি উৎপাদকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মডেল বাজারে আনার মাধ্যমে, ২০২৫ সালে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি দ্বিগুণ হতে পারে।

    পরিবর্তনের আশা

    চিনের বাজার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় টেসলা ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। তবে, দাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, কারণ টাটা মোটরস, মহিন্দ্রা & মহিন্দ্রা, হুন্ডাই এবং মারুতি সুজুকির মতো কোম্পানিগুলি ভারতের ভোক্তাদের জন্য সস্তা ইভি বিক্রি করছে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার দুপক্ষ সহমত হয়েছে। যদি টেসলা সফল হয়, তবে এর আগমন ভারতীয় গাড়ির বাজারে আমূল পরিবর্তন আনবে।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশের বিষয়টি আমি বন্ধু মোদির ওপরই ছেড়ে দিলাম।” দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক মহলে।

    মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Bangladesh Crisis)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে ইসলামপন্থী শক্তির উত্থান নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি এবং এটি কীভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

    বাংলাদেশের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ভারত যেভাবে দেশটিকে পরিচালিত করতে চায়, সেটিকেই সমর্থন করবে। ট্রাম্পের এই অবস্থান ইউনূস সরকার এবং বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের কৌশল নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা ভারত-বিরোধী এবং পাকিস্তানের সাহায্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা অংশ, পাকিস্তান ও তুরস্কের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকদের, যেমন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সাহায্যের ওপর নির্ভর করছিলেন, যাতে তিনি ক্ষমতায় আরও বেশি দিন (Donald Trump) থাকতে পারেন।

    নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা

    বাংলাদেশের নতুন সরকার, বিশেষ করে (Bangladesh Crisis) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (ADSM) নেতারা, যারা এখন ক্ষমতায় রয়েছেন এবং নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছে, তারা আমেরিকার সমর্থন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (OSF) সাহায্যের আশায় ছিল। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক প্রভাব কমানোর কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম বন্ধ করার কথা বলেন। এর পরেই ইউনূস, এডিএসএম নেতারা এবং বাংলাদেশি ইসলামপন্থীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এডিএসএমের নেতারা যখন শুনেছেন আমেরিকা বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত ভারতের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছে, তখনই ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এক দিকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এবং ওএসএফের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আর অন্যদিকে সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভারতের হাতে ছেড়ে দেওয়া – জোড়া ফলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা।

    ভারতের সাফ কথা

    ভারত অবশ্য প্রথমেই বাংলাদেশকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তবে দুই দেশের মধ্যে যে কোনও গঠনমূলক আলোচনা কেবল তখনই সম্ভব হবে, যখন ঢাকায় একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে (Bangladesh Crisis)। ভারতের এই অবস্থানে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা। কারণ নয়াদিল্লির এই অবস্থান তাদের বৈধতাই অস্বীকার করেছে। ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা মূলত ভারত-বিরোধী। কারণ তারা ইসলামপন্থী। ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা করতেই তারা বেশি আগ্রহী। ট্রাম্পের বক্তব্য তাদের এই ভারত-বিরোধী পরিকল্পনায়ও বাধা সৃষ্টি করেছে। তারা এখন বুঝতে পারছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও অপচেষ্টা করলে নয়াদিল্লি কঠোর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবে (Donald Trump)।

    জোট বাঁধছে বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ

    ট্রাম্পের বক্তব্যে খুশি বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ। বিএনপি চায় বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন হোক। আর ইউনূস নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও প্রশাসনের সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। বিএনপি বারবার বলেছে, নির্বাচনের আগে মৌলিক কিছু সংস্কার করা যেতে পারে, তবে ব্যাপক সংস্কারের জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারেরই ম্যান্ডেট থাকা উচিত (Bangladesh Crisis)। বিএনপির দৃঢ় সন্দেহ, ইউনূস শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং এডিএসএম নেতাদের তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের সময় দিতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তাই তারা এডিএসএম নেতাদের সংগঠিত হওয়ার সময় দিতে চায় না। ফলে বিএনপি ও ইউনূস সরকারের মধ্যে সংঘর্ষের পথ সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে (Donald Trump)।

    ইউনূস সরকারের প্রস্তাব

    বিএনপিকে দুর্বল করতে ইউনূস সরকার দুটি নতুন প্রস্তাব এনেছে— প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং জাতীয় সংসদের জন্য একটি প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ তৈরি করে তাতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সদস্য মনোনীত করা। প্রত্যাশিতভাবেই বিএনপি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কারণ এগুলি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে এবং জাতীয় নির্বাচন আরও পিছিয়ে যাবে। ভারতও চায়, দ্রুত নির্বাচন হোক বাংলাদেশে। কারণ নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা শুধুমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গেই গঠনমূলক আলোচনা করবে। ইউনূস সরকার যারা দেশের চরমপন্থী ইসলামপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তারা বাংলাদেশ জামাতে ইসলামিকে তাদের পাশে পেয়েছে। জামাত স্থানীয় নির্বাচন আগে করা এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। এর জেরেও বিলিম্বত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন।

    বিএনপি-জামাতের মধ্যে বিভেদ

    জামাতের এই অবস্থান বিএনপি এবং জামাতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। একসময় বন্ধুত্ব থাকলেও, এখন তাদের মধ্যে স্পষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপি ও জামাত অতীতেও জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বিএনপি ও জামাত নির্বাচনের পক্ষে এবং সংস্কার নিয়ে পরস্পরবিরোধী ও বিপরীত অবস্থান নিচ্ছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিয়েছে। বিএনপির আশঙ্কা, ইউনূস শাসনব্যবস্থা, বিশেষ করে এডিএসএম নেতারা, গোপনে তাদের দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে (Donald Trump)। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিএনপিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল। আওয়ামি লিগ বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। আর জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মতো অন্যান্য দলগুলি জনসমর্থনহীন প্রান্তিক দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতা!

    বিপদে পড়ে বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতার পথে এগোতে পারে। তারা বলছে, এই জোট গঠন জরুরি, কারণ তারা (বিএনপি নেতারা) মনে করছে যে ইউনুস শাসনব্যবস্থা বিএনপির বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি, জামাত ও ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করতেও এটি প্রয়োজন। কারণ পাকিস্তান ও অন্যান্য ইসলামি দেশগুলোর সহায়তায় তারা বাংলাদেশে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি নেত্রী (Bangladesh Crisis) বলেন, “আওয়ামি লিগ নেতৃত্বশূন্য এবং সংগঠনগতভাবে বিশৃঙ্খল হলেও, তাদের অনেক বাংলাদেশির সমর্থন রয়েছে, এটি অস্বীকার করা যাবে না। তাই আওয়ামি লিগকে একেবারে বাতিল করা যাবে না। আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট বাঁধলে আমাদের লাভ হবে।”

    এছাড়া, বিএনপি বাংলাদেশের ইতিহাস পুনর্লিখন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা মুছে ফেলার প্রস্তাবেরও তীব্র বিরোধিতা করেছে। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি এখন বাংলাদেশে দ্রুত সংসদীয় নির্বাচনের জন্য চাপ দেবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “যত দেরি হবে, ইসলামপন্থীরা তত শক্তিশালী হবে। আমরা ওয়াশিংটনের নতুন প্রশাসনকে এটি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তারা বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচন বিলম্বিত হলে পাকিস্তান ও চিনের মতো শক্তিগুলো সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা (Donald Trump) এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চায় (Bangladesh Crisis)।”

  • Qatars Amir: মোদির আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন কাতারের আমির

    Qatars Amir: মোদির আমন্ত্রণে সাড়া, ভারতে আসছেন কাতারের আমির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমন্ত্রণে ভারত সফরে আসছেন কাতারের আমির (Qatars Amir) তামিম বিন হামাদ আল থানি। ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারত সফর করবেন বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমিরের সঙ্গে মন্ত্রী ঊর্ধ্বতন কর্তা এবং একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল সহ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল থাকবে।

    কাতারের আমির (Qatars Amir)

    প্রসঙ্গত, মোদি জমানায়ই এনিয়ে দু’বার ভারতে আসতে চলেছেন কাতারের আমির। প্রথমবার তিনি ভারতে পা রেখেছিলেন ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। তারপর আসছেন আগামী সপ্তাহে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে তাঁকে। সেখানে তাঁর সম্মানে আয়োজন করা হয়েছে ভোজসভার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। সেখানে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করবেন।

    এস জয়শঙ্কর

    এ বছরের শুরুতে দোহা (কাতারের রাজধানী) সফর করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় তিনি দেখা করেছিলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির (Qatars Amir) সঙ্গে। পরে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লিখেছিলেন, “আজ দোহায় প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। ২০২৫ সালে এটি আমার প্রথম কূটনৈতিক আলোচনা। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি ফলপ্রসূ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের ওপর বিস্তৃত আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রক উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং জনগণের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সহ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কাতারে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায় কাতারের বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায় ও কাতারের অগ্রগতি ও উন্নয়নে তাদের ইতিবাচক অবদানের জন্য তারা প্রশংসিত। আমিরের এই সফর আমাদের ক্রমবর্ধমান (PM Modi) বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও গতিশীল করবে (Qatars Amir)।

  • Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    Donald Trump: ‘বন্ধু’ মোদিতেই ভরসা ট্রাম্পের, বাংলাদেশের বিষয় ছাড়লেন নরেন্দ্রর ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্বনেতা হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! বন্ধু মোদির (PM Modi) ওপর নির্ভরতাও বাড়ছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। তার প্রমাণ মিলল মোদি-ট্রাম্পের বৈঠকে। প্রত্যাশিতভাবেই ওই বৈঠকে উঠেছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পড়শি দেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপরেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যে আমেরিকার কোনও গোপন ভূমিকা নেই, তাও জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    আমেরিকা সফরে মোদি (Donald Trump)

    ফ্রান্স সফর সেরে দুদিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হোয়াইট হাউসে আসেন মোদি (Donald Trump)। সেখানেই হয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। প্রত্যাশিতভাবেই সেই বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। ওই বৈঠকেই ট্রাম্প বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। বহু বছর ধরে এই চেষ্টা চলছে। আমি এ সংক্রান্ত খবরাখবর পড়ছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারটা আমি মোদির ওপরই ছাড়তে চাই।”

    কী বললেন ভারতের বিদেশ সচিব

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠক প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গী, অবস্থান ট্রাম্পকে জানিয়েছেন মোদি। নিজের উদ্বেগও ব্যক্ত করেছেন। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা ওদের সঙ্গে গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল আলোচনা করতে পারব। কিন্তু আপাতত ওখানকার পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে কথা বলছেন।”

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারা হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নয়াদিল্লিকে। হাসিনা সংক্রান্ত নথিপত্রও ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে ভারতে। এর পরেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩২ ধানমন্ডির বাড়ির বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে দেয় উন্মত্ত জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডিতে হাসিনার সুধা সদনেও। হাসিনার কাকার বাড়িতেও হামলা চালায় জনতার একাংশ। ইউনূস ও তাঁর সরকারের উপদেষ্টারা অবশ্য বারবার দাবি করছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত। কয়েকটা জায়গায় অশান্তি হলেও, আইনশৃঙ্খলারক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি সমাল দিচ্ছে। ভারতের উদ্বেগপ্রকাশকে অনভিপ্রেত বলছে ঢাকা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার মোদির (PM Modi) ওপরই ছাড়লেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

  • Modi-Trump Meeting: ‘ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে’, জানিয়েছেন মোদি

    Modi-Trump Meeting: ‘ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে’, জানিয়েছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’হাজার তিরিশ সালের মধ্যে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানান, দু’দেশের মধ্যে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জ্বালানির ব্যবসা আরও মজবুত হবে। পরমাণুক্ষেত্রে বাড়বে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা। ভারত-আমেরিকার মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময় নিয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলস এবং বস্টনে ভারতের নতুন বাণিজ্যিক দূতাবাস হবে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খোলা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফের ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠক 

    এদিন ট্রাম্প জানান, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো এবং আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল ও সামরিক বিমান কেনার ব্যাপারে এদিন মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, “উনি আমার চেয়ে আরও শক্ত এবং ভাল মধ্যস্থতাকারী। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা চলতে পারে না।” উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নিরিখে আমেরিকার থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অর্থাৎ আমেরিকা থেকে ভারতে রফতানি হওয়া পণ্যের তুলনায় ভারত থেকে সে দেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ বেশি। আর এই আবহে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি করে খনিজ তেল কেনার আশ্বাস দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন

    বৃহস্পতিবার, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকেই ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’-এর আদলেই ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট এগেইন’-এর স্লোগান দিয়েছেন মোদি। শক্তি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি-সহ আরও একাধিক খাতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে দুই দেশ। এছাড়াও, মহাকাশ গবেষণায় যৌথ ভাবে কাজ করবে নাসা-ইসরো, সেই প্রতিশ্রুতিটাও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, ভারতের হাত মজবুত করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ট্রাম্পও।

  • Trump Modi Meets: ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে সাফল্য, মুম্বই হামলার অভিযুক্ত রানাকে ভারতে ফেরাতে রাজি আমেরিকা

    Trump Modi Meets: ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে সাফল্য, মুম্বই হামলার অভিযুক্ত রানাকে ভারতে ফেরাতে রাজি আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump Modi Meets)। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় ট্রাম্পের। তারপরই রানাকে প্রত্যর্পণের কথা জানান ট্রাম্প। ভারত বহু বছর ধরেই তাহাউরের প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়ে আসছিল। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের পর ঘোষণা

    বর্তমানে আমেরিকার উচ্চ সুরক্ষা সম্পন্ন জেলে রয়েছেন রানা। গত কয়েক বছর ধরে বারবার তাঁর প্রত্যর্পণের আর্জি জানিয়েছে ভারত। দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছেন রানাও। তাই মোদির (Trump Modi Meets) সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প (Donald Trump) যে ঘোষণা করেছেন, তা ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত, এক দুষ্কৃতীকে আমরা ভারতে প্রত্যর্পণ করছি। আমরা এক ভয়ঙ্কর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি।” এদিন ট্রাম্প যে ঘোষণা করেছেন তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মুম্বই হামলার অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের প্রশংসা করে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

    তাহাউর রানাকে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত

    সম্প্রতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়। ভারত-মার্কিন (Trump Modi Meets) বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়। এর আগে একাধিক ফেডারাল কোর্টে আইনি লড়াইতে হেরে গিয়েছিলেন রানা। গত বছরের ১৩ নভেম্বর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ গত ২১ জানুয়ারি রানার সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পাকিস্তানের নাগরিক তাহাউর রানা পেশায় ব্যবসায়ী বলেই জানা যায়। ২০০৮ সালে তাজ হোটেলে যে জঙ্গি হামলায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়, সেই ঘটনায় জড়িত হিসেবে রানার নাম উঠে আসে। এবার সেই রানাকে ভারতে এনে জেরা করতে পারবেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, রানাকে ভারতে ফিরিয়ে এনে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA), মুম্বই পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং ২৬/১১ হামলায় ভূমিকার কথা মাথায় রেখে কড়া শাস্তির মুখে পড়বেন তিনি।

  • Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    Modi Trump Meeting: আজই বৈঠকে মোদি-ট্রাম্প, আলোচনায় উঠতে পারে কোন কোন প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্স সফর শেষ করে আমেরিকা পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবারই তিনি বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান মার্কিন আধিকারিক ও আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কোয়াত্রা। দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পর এই প্রথম ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মোদি (Modi Trump Meeting)। অনাবাসী ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো এবং শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারির মাঝে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির এই সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত

    দু’‌দিনের আমেরিকা সফরে ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে থাকবেন মোদি। এদিকে, মোদি ব্লেয়ার হাউসে যাচ্ছেন শুনে বহু অনাবাসী ভারতীয় সেখানে জড়ো হন। তাঁদের হাতে ধরা ছিল আমেরিকা এবং ভারতের পতাকা। মোদি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে, ওয়াশিংটনে পৌঁছেই আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিরেক্টর তুলসী গাবার্ডের সঙ্গে দেখা করেন মোদি।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকে গুরুত্ব

    এদিন ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে (Modi Trump Meeting) বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, সুরক্ষা, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। উঠে আসতে পারে বাংলাদেশ ইস্যুও। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে ফেরার পরে নরেন্দ্র মোদির প্রথম ওয়াশিংটন সফরে আমেরিকা থেকে সি-১৩০ হারকিউলিস সামরিক পরিবহণ বিমান, পি-এআইটআই সামুদ্রিক নজরদারি বিমান কেনার চুক্তি করতে পারে দিল্লি। পরমাণু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হবে। জিই এবং ওয়েস্টিংহাউসসংস্থা থেকে পরমাণু চুল্লি কেনার বিষয়েও কথা হতে পারে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে মোদির প্রথম সফরে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নতুন ঘোষণা হতে পারে।

    সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটনে মোদি

    দু’দেশের বৈঠকে এ বার মূলত শুল্ক, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রই প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের আগে গত ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটে মোদি (PM Modi) সরকার ২০টি আমেরিকা থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। আমেরিকার সংস্থাগুলি যাতে ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারে, তার জন্য পরমাণু দুর্ঘটনা দায়বদ্ধতা আইন সংশোধন করার ঘোষণা করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে এই দুই সদর্থক বার্তা নিয়েই ওয়াশিংটন পৌঁছচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

  • Terror Attack on PM Modi: ফ্রান্স সফরের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর বিমানে জঙ্গি হামলার হুমকি! মুম্বই পুলিশে উড়ো ফোন

    Terror Attack on PM Modi: ফ্রান্স সফরের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর বিমানে জঙ্গি হামলার হুমকি! মুম্বই পুলিশে উড়ো ফোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Terror Attack on PM Modi) বিমান উড়িয়ে দেবে জঙ্গিরা! ফোনের ওপার থেকে মুম্বই পুলিশকে এমনই জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবারই এই হুমকি ফোন পেয়ে তদন্তে নেমে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন তিনি। এর পর নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে করতে যাবেন আমেরিকায়। তার আগে মুম্বই পুলিশের কাছে মোদির বিমানে বিস্ফোরণের হুমকি দিয়ে একটি উড়ো ফোন কল আসে।

    মুম্বই পুলিশে উড়ো ফোন

    মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে এক ব্যক্তি জানান, বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে হামলা চালানো হতে পারে। জঙ্গিরা বিমানে বোমা-হামলা করার ছক কষেছে। খবর পাওয়ামাত্রই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। বিভিন্ন সংস্থাকে হুমকি ফোনের বিষয়টি জানানো হয়। তদন্তে নেমে মুম্বইয়ের চেম্বুর থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, তিনিই কন্ট্রোল রুমে ফোন করেছিলেন। গ্রেফতার করে তাঁকে ওই হুমকি ফোনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে এমনই অনুমান পুলিশের।

    বিদেশেই হুমকি

    সোমবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Terror Attack on PM Modi)। ফ্রান্স সফর সেরে যাবেন আমেরিকায়। মঙ্গলবার প্যারিসে এআই সম্মেলনে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার মোদি এবং ম্য়াক্রঁ, দু’জনে মার্সেইতে যুদ্ধের সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানন প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্স সফর সেরে আমেরিকায় পাড়ি দেবেন মোদি। তার মধ্যেই এল প্রাণনাশের হুমকি তবে এটা নতুন নয়, গত বছর ডিসেম্বরে মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুমে হুমকি ফোন এসেছিল। আইএস জঙ্গিযোগের কথাও বলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গত বছর কান্দিবলির বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সি শীতল চৌহানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

  • PM Modi: সন্ধ্যার আগেই খেতে হবে রাতের খাবার, হৃদরোগ-ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে দাওয়াই মোদির

    PM Modi: সন্ধ্যার আগেই খেতে হবে রাতের খাবার, হৃদরোগ-ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে দাওয়াই মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধ্যার আগেই রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। তবেই মিলবে মুক্তি স্থূলতা, হৃদ্‌রোগ, ডায়াবিটিস, উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থেকে। এমনটাই মত দেশের প্রধানমন্ত্রীর। একইসঙ্গে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর পরামর্শও দিয়েছেন মোদি (PM Modi)। এপ্রসঙ্গে তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘ঠিক যেমন একজন কৃষক তাঁর রোজের অভ্যাসে করে থাকেন।’’

    ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের সঙ্গে মত বিনিময়

    প্রসঙ্গত, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানের অষ্টম পর্বে পড়ুয়াদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) পুষ্টিতত্ত্ব নিয়েও নানা কথা বলেন। দিন ওই অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, ওজন যদি কমাতে হয় ও শরীর সুস্থ (Early Dinner Benefits) রাখতে হয়, তা হলে সন্ধ্যা ৭টার আগেই রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে নিতে হবে। উদাহরণ দিয়ে বললেন, “একজন চাষি সন্ধ্যা নামার আগেই রাতের খাওয়া সেরে নেন। বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যেই তাঁদের খাওয়াদাওয়া হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে খুব ভোরে ওঠেন। এই জন্যই তাঁরা এত কর্মঠ। তাঁদের স্বাস্থ্যও ভালো এবং জটিল অসুখবিসুখেও ভোগেন না চট করে।”

    মোদির (PM Modi) টোটকায় সিলমোহর স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সুস্থ থাকতে দু’টি টোটকা জানালেন—এক, সন্ধ্যা ৭টার আগেই খাওয়া দাওয়া সেরে নেওয়া এবং দুই, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া। এতেই পরিপাক প্রক্রিয়া সঠিক নিয়মে চলবে এবং মেদও জমতে পারবে না শরীরে। মোদির এই কথায় সিলমোহর দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে এই বিষয় নিয়েই একটি প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল। সেখানেই গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ৭টার আগে যাঁরা রাতের খাবার খেয়ে নেন, তাঁদের আয়ু ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, তাড়াতাড়ি খাওয়া সারলেএবং হালকা খাবার খেলে ঘুমও ভালো হয়। গবেষকেরা বহু মানুষের ওপরে এই সমীক্ষা চালিয়ে তার ফলাফলও ব্যক্ত করেন।

    পুষ্টি সঙ্গে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক

    বলা হয়, পুষ্টির সঙ্গে ঘুমের সরাসরি যোগসূত্র আছে। হজম যদি ভালো হয় এবং শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান পায়, তা হলে ঘুমের কোনও সমস্যাই হবে না। একইসঙ্গে ঠিক থাকে হরমোনের ভারসাম্যও। শরীরে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত হবে। এরফলে হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ধরেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার আগে রাতের খাওয়া সেরে নিতে হবে। খেতে হবে হালকা খাবার। কার্বোহাইড্রেট না খেতেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়েটে রাখতে হবে অল্প প্রোটিন। সব্জি দিয়ে স্যুপ, একটা রুটি খেলে সবচেয়ে ভালো হয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাতে জাঙ্ক খাবার বা ভাজাভুজি খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। ঘুমোনোর আগে চা, কফি বা মিষ্টি খেলেই কোলেস্টেরল বাড়বে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা। একইসঙ্গে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। হাঁটাহাঁটি, দৌড়নো, জগিং, সাঁতার অথবা যোগব্যায়াম করলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

LinkedIn
Share