Tag: news in bengali

news in bengali

  • Daily Horoscope 09 November 2025: বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 09 November 2025: বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 503: “আমি ঈশ্বরের দাস, আমি ঈশ্বরের সন্তান,—এর নাম পাকা-আমি, এতে কোনও দোষ নাই”

    Ramakrishna 503: “আমি ঈশ্বরের দাস, আমি ঈশ্বরের সন্তান,—এর নাম পাকা-আমি, এতে কোনও দোষ নাই”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    অহংকারই বিনাশের কারণ ও ঈশ্বরলাভের বিঘ্ন

    পূর্বকথা—কেশব ও গৌরী—সোঽহম্‌ অবস্থার পর দাসভাব 

    “কেশব সেনকে বলেছিলাম, ‘অহং ত্যাগ করতে হবে।’ তাতে কেশব বললে, — তাহলে মহাশয় দল কেমন করে থাকে?

    “আমি বললাম (Kathamrita), ‘তোমার এ কি বুদ্ধি!—তুমি কাঁচা-আমি ত্যাগ কর,—যে আমিতে কামিনী-কাঞ্চনে আসক্ত করে, কিন্তু পাকা-আমি, দাস-আমি, ভক্তের আমি,—ত্যাগ করতে বলছি না। আমি ঈশ্বরের দাস, আমি ঈশ্বরের সন্তান,—এর নাম পাকা-আমি। এতে কোনও দোষ নাই’।”

    ত্রৈলোক্য—অহংকার যাওয়া বড় শক্ত। লোকে মনে করে, বুঝি গেছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—পাছে অহংকার হয় বলে গৌরী ‘আমি’ বলত না—বলত ‘ইনি’। আমিও তার দেখাদেখি বলতাম ‘ইনি’; ‘আমি খেয়েছি,’ না বলে, বলতাম ‘ইনি খেয়েছেন।’ সেজোবাবু তাই দেখে একদিন বললে, ‘সে কি বাবা, তুমি ও-সব কেন বলবে (Kathamrita)? ও-সব ওরা বলুক, ওদের অহংকার আছে। তোমার তো আর অহংকার নাই। তোমার ও-সব বলার কিছু দরকার নাই।’

    “কেশবকে বললাম, ‘আমি’টা তো যাবে না, অতএব সে দাসভাবে থাক;—যেমন দাস। প্রহ্লাদ দুই ভাবে থাকতেন, কখনও বোধ করতেন ‘তুমিই আমি’ ‘আমিই তুমি’—সোঽহম্‌। আবার যখন অহং বুদ্ধি আসত, তখন দেখতেন, আমি দাস তুমি প্রভু! একবার পাকা ‘সোঽহম্‌’ হলে পরে, তারপর দাসভাবে থাকা। যেমন আমি দাস।”

    ব্রহ্মজ্ঞানের লক্ষণ—ভক্তের আমি—কর্মত্যাগ

    কাপ্তেনের প্রতি—“ব্রহ্মজ্ঞান হলে কতকগুলি লক্ষণে বুঝা যায়। শ্রীমদ্‌ভাগবতে জ্ঞানীর চারটি অবস্থার কথা আছে—(১) বালকবৎ, (২) জড়বৎ, (৩) উন্মাদবৎ, (৪) পিশাচবৎ। পাঁচ বছরের বালকের অবস্থা হয়। আবার কখনও পাগলের মতন ব্যবহার করে।

    “কখনও জড়ের ন্যায় থাকে। এ অবস্থায় কর্ম করতে পারে না, কর্মত্যাগ হয়। তবে যদি বল জনকাদি কর্ম করেছিলেন; তা কি জানো, তখনকার লোক কর্মচারীদের উপর ভার দিয়ে নিশ্চিত হত। আর তখনকার লোকও খুব বিশ্বাসী ছিল।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ কর্মত্যাগের কথা বলিতেছেন, আবার যাহাদের কর্মে আসক্তি আছে, তাহাদের অনাসক্ত হয়ে কর্ম করতে বলছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—জ্ঞান হলে বেশি কর্ম করতে পারে না।

    ত্রৈলোক্য—কেন? পওহারি বাবা এমন যোগী কিন্তু লোকের ঝগড়া-বিবাদ মিটিয়ে দেন,—এমন কি মোকদ্দমা নিষ্পত্তি করেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—হাঁ, হাঁ,—তা বটে। দুর্গাচরণ ডাক্তার এতো মাতাল, চব্বিশ ঘন্টা মদ খেয়ে থাকত, কিন্তু কাজের বেলা ঠিক,—চিকিৎসা করবার সময় কোনরূপ ভুল হবে না। ভক্তিলাভ করে কর্ম করলে দোষ নাই। কিন্তু বড় কঠিন, খুব তপস্যা চাই!

    “ঈশ্বরই সব করছেন, আমরা যন্ত্রস্বরূপ। কালীঘরের সামনে শিখরা বলেছিল, ‘ঈশ্বর দয়াময়’। আমি বললাম, দয়া কাদের উপর? শিখরা বললে, ‘কেন মহারাজ? আমাদের উপর।’ আমি বললাম, আমরা সকলে তাঁর ছেলে; ছেলের উপর আবার দয়া কি? তিনি ছেলেদের দেখছেন; তা তিনি দেখবেন না তো বামুনপাড়ার লোকে এসে দেখবে? আচ্ছা, যারা ‘দয়াময়’ বলে, তারা এটি ভাবে না যে, আমরা কি পরের ছেলে?”

    কাপ্তেন—আজ্ঞা হাঁ, আপনার বলে বোধ থাকে না।

  • Ramakrishna 504: “যতদিন সংসারে ভোগ করবার ইচ্ছা থাকে, ততদিন কর্মত্যাগ করতে পারে না”

    Ramakrishna 504: “যতদিন সংসারে ভোগ করবার ইচ্ছা থাকে, ততদিন কর্মত্যাগ করতে পারে না”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    অহংকারই বিনাশের কারণ ও ঈশ্বরলাভের বিঘ্ন

    পূর্বকথা—কেশব ও গৌরী—সোঽহম্‌ অবস্থার পর দাসভাব 

    ভক্ত ও পূজাদি—ঈশ্বর ভক্তবৎসল—পূর্ণজ্ঞানী 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তবে কি দয়াময় বলবে না? যতক্ষণ সাধনার অবস্থা, ততক্ষণ বলবে। তাঁকে লাভ হলে তবে ঠিক আপনার বাপ কি আপনার মা বলে বোধ হয়। যতক্ষণ না ঈশ্বরলাভ হয় ততক্ষণ বোধ হয়—আমরা সব দূরের লোক, পরের ছেলে।

    “সাধনাবস্থায় তাঁকে সবই বলতে হয়। হাজরা নরেন্দ্রকে একদিন বলেছিল, ‘ঈশ্বর অনন্ত তাঁর ঐশ্বর্য অনন্ত। তিনি কি আর সন্দেশ কলা খাবেন? না গান শুনবেন? ও-সব মনের ভুল (Kathamrita)।’

    “নরেন্দ্র অমনি দশ হাত নেবে গেল। তখন হাজরাকে বললাম, তুমি কি পাজী! ওদের অমন কথা বললে ওরা দাঁড়ায় কোথা? ভক্তি গেলে মানুষ কি লয়ে থাকে? তাঁর আনন্ত ঐশ্বর্য, তবুও তিনি ভক্তাধীন! বড় মানুষের দ্বারবান এসে বাবুর সভায় একধারে দাঁড়িয়া আছে। হাতে কি একটি জিনিস আছে, কাপড়ে ঢাকা! অতি সঙ্কোচভাব! বাবু জিজ্ঞাসা করলেন, কি দ্বারবান, হাতে কি আছে? দ্বারবান সঙ্কোচভাবে একটি আতা বার করে বাবুর সম্মুখে রাখলে — ইচ্ছা বাবু ওটি খাবেন। বাবু দ্বারবানের ভক্তিভাব দেখে আতাটি খুব আদর করে নিলেন, আর বললেন, আহা বেশ আতা! তুমি এটি কোথা থেকে কষ্ট করে আনলে?

    “তিনি ভক্তাধীন! দুর্যোধন অত যত্ন দেখালে, আর বললে, এখানে খাওয়া-দাওয়া করুন; ঠাকুর (শ্রীকৃষ্ণ) কিন্তু বিদুরের কুটিরে গেলেন। তিনি ভক্তবৎসল, বিদুরের শাকান্ন সুধার ন্যায় খেলেন!

    “পূর্ণজ্ঞানীর আর-একটি লক্ষণ—‘পিশাচবৎ’! খাওয়া-দাওয়ার বিচার নাই—শুচি-অশুচির বিচার নাই! পূর্ণজ্ঞানী ও পূর্ণমূর্খ, দুইজনেরই বাহিরের লক্ষণ একরকম। পূর্ণজ্ঞানী হয়তো গঙ্গাস্নানে মন্ত্রপাঠ করলে না, ঠাকুরপূজা করবার সময় ফুলগুলি হয়তো একসঙ্গে ঠাকুরের চরণে দিয়ে চলে এল, কোনও তন্ত্র-মন্ত্র নাই (Kathamrita)!”

    কর্মী ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ—কর্ম কতক্ষণ?

    “যতদিন সংসারে ভোগ করবার ইচ্ছা থাকে, ততদিন কর্মত্যাগ করতে পারে না। যতক্ষণ ভোগের আশা ততক্ষণ কর্ম।

    “একটি পাখি জাহাজের মাস্তুলে অন্যমনস্ক হয়ে বসে ছিল। জাহাজ গঙ্গার ভিতর ছিল, ক্রমে মহাসমুদ্রে এসে পড়ল। তখন পাখির চটকা ভাঙলো, সে দেখলে চতুর্দিকে কূল কিনারা নাই। তখন ড্যাঙায় ফিরে যাবার জন্য উত্তরদিকে উড়ে গেল। অনেক দূর গিয়ে শ্রান্ত হয়ে গেল, তবু কূল-কিনারা দেখতে পেলে না। তখন কি করে, ফিরে এসে মাস্তুলে আবার বসল (Ramakrishna)।

  • Elon Musk: ইতিহাসের সামনে মাস্ক! ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার দোরগোড়ায় টেসলার সিইও

    Elon Musk: ইতিহাসের সামনে মাস্ক! ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার দোরগোড়ায় টেসলার সিইও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়ার পথে ইলন মাস্ক। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে থাকা টেসলার সিইও এবার ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা সম্প্রতি মাস্কের জন্য এক বিশাল বোনাস পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, যা তাঁকে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যক্তি করে তুলতে পারে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রায় ৭৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন। বৈঠকে মাস্ক বলেন, “আমরা যে পর্যায়ে পৌঁছতে যাচ্ছি, তা শুধু টেসলার ভবিষ্যতের একটি নতুন অধ্যায় নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ নতুন বই।”

    কর্পোরেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ

    টেসলার এই নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, যদি মাস্ক কোম্পানির নির্ধারিত দীর্ঘমেয়াদি কর্মক্ষমতা লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন, তাহলে তিনি ১ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মাস্ক কোনো নিয়মিত বেতন গ্রহণ করেন না — তার আয় পুরোপুরি স্টক অপশনের ওপর নির্ভরশীল। নতুন এই প্যাকেজের আওতায় আগামী দশকে তিনি টেসলার প্রায় ৪২৩.৭ মিলিয়ন শেয়ার পেতে পারেন। যদি কোম্পানির বাজারমূল্য ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়, তাহলে মাস্কের আয় প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে।

    টেসলার কাছে চ্যালেঞ্জ

    চলতি আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৫-’২৬) এখনও পর্যন্ত টেসলা যে দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে, এমনটা নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে কমেছে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভির চাহিদা। এর প্রভাব টেসলার ব্যবসায় পড়েছে। সেখান থেকে সংস্থাকে কী ভাবে মাস্ক সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান, সেটাই এখন দেখার। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেসলার এই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে কোম্পানির শেয়ারমূল্য বর্তমান স্তর থেকে প্রায় ৪৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে হবে। যদি সেটাই ঘটে, তাহলে টেসলা এনভিডিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির আসনে বসবে। অর্থাৎ, মাস্কের সম্পদও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। অনুমান করা হচ্ছে, যদি মাস্ক এই প্যাকেজের ১২টি কিস্তির সবকটিই পান, তাহলে তার দৈনিক আয় হবে প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বেতন পরিকল্পনাকে ইতিমধ্যেই কর্পোরেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

    লগ্নিকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

    গত বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর স্টকে লগ্নিকারীদের নিয়ে বার্ষিক সভার আয়োজন করে টেসলা। সেখানে মাস্কের স্টক-ভিত্তিক ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দেন ৭৫ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার। বাকি ১৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা অবশ্য রয়েছে টেসলার সিইও-র হাতেই। এই ভোটাভুটির পর তাঁর বিপুল বেতনে সংস্থার পরিচালন গোষ্ঠীর যে সিলমোহর পড়তে চলেছে, তা একরকম স্পষ্ট হয়ে যায়। ভোটাভুটি শেষ হতেই মাস্কের নামে জয়ধ্বনি দেন টেসলার শেয়ার হোল্ডারেরা। আর তাই সভাশেষের ভাষণে তাঁদেরও কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দেন মার্কিন ধনকুবের।

    আগামী এক দশকে আরও কয়েকজন ট্রিলিয়নিয়ার

    বিশ্বে আগামী এক দশকে আরও কয়েকজন ট্রিলিয়নিয়ার উঠে আসতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হল—

    এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং, যার কোম্পানি সম্প্রতি ৫ ট্রিলিয়ন ডলার মার্কেট ক্যাপ ছুঁয়েছিল,

    ভারতের গৌতম আদানি,

    ইন্দোনেশিয়ার প্রাজোগো পাংগেস্তু,

    অ্যামাজনের জেফ বেজোস,

    অরাকলের ল্যারি এলিসন,

    মেটার মার্ক জাকারবার্গ,

    এবং এলভিএমএইচের বার্নার্ড আরনল্ট।

     

  • Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    Amit Shah: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে এনডিএ”, এবার দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিহারে ফের সরকার গড়ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ৬ নভেম্বর প্রথম দফার নির্বাচন শেষে এমন প্রত্যয় ঝরে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। এবার একই দাবি করলেন শাহ।

    শাহের দাবি (Amit Shah)

    তিনি বলেন, “বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ১৬০টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে এনডিএ।” শাহ জানান, রাজ্যে অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে সীমাঞ্চলগুলিতে, যেখানে ২৪টি আসন রয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই নির্মূল করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অনুপ্রবেশকারী, তাদের বেআইনি ব্যবসা এবং বেআইনি দখলের কারণে পুরো সীমাঞ্চল এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এখানকার আইনশৃঙ্খলার ওপর। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পাঁচ বছরে আমরা অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেব। বন্ধ করে দেব তাদের বেআইনি ব্যবসা। একে একে প্রতিটি বেআইনি দখলও সরিয়ে দেব।”

    পঞ্চ পাণ্ডবের জয়!

    তিনি বলেন, “যেভাবে মানুষ আমাদের সমর্থনে উল্লাস প্রকাশ করছেন, তাতে মনে হয় বিহারের মানুষ এনডিএর সঙ্গে, বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। আমরা ১৬০ আসনের অনেক বেশিই পাব। এনডিএ ন্যূনতম ১৬০ আসন পাবে। আমি এটিকে পঞ্চ পাণ্ডবের লড়াই বলি। কারণ এনডিএর পাঁচ সহযোগী দল হল, জেডিইউ, বিজেপি, এলজেপি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চ। সবাই একজোট, কোনও বিবাদ নেই। বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত আমরা নরেন্দ্র মোদিজি এবং নীতীশ কুমারজির নেতৃত্বে যৌথ প্রচার চালাচ্ছি (Amit Shah)।”

    প্রথম দফায় ৬৪.৬৬ শতাংশের রেকর্ড ভোটদানের হার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির এই প্রবীণ নেতা জানান, বিহারের স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এরও এখানে ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, “এসআইআরও ভোটের শতাংশ বাড়ার একটি কারণ। কারণ যে সব ভোট অপচয় হত, যাঁরা মারা গিয়েছেন বা অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করছেন, তাঁদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে (NDA) দু’দফায়। মঙ্গলবার হবে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন। এই পর্যায়ে ভোট হবে ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে শুক্রবার (Amit Shah)।

  • SIR: এসআইআর জুজুর ভয়েই কি রাতারাতি খালি হয়ে গেল গুলশন কলোনি?

    SIR: এসআইআর জুজুর ভয়েই কি রাতারাতি খালি হয়ে গেল গুলশন কলোনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন পাঁচেক আগেও যেখানে লাখ দুয়েক লোকের বসবাস ছিল, এখন সেখানে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধুই বহুতল। কোনওটায় একজন, কোনওটায় বা দু’জনের হাতে বিএলও তুলে দিলেন এনুমারেশন ফর্ম (SIR)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসআইআর জুজুতে রাতারাতি ফাঁকা হয়েছে ‘মিনি বাংলাদেশ’ (Bangladeshi) নামে খ্যাত কসবার গুলশন কলোনি। কসবার এই এলাকা প্রায়ই থাকে খবরের শিরোনামে। তবে সেসব খবর কোনও ইতিবাচক কারণে হয়, বরং নেতিবাচক কারণে সংবাদ মাধ্যমে জায়গা করে নেয় গুলশন কলোনি। এই কলোনির জনসংখ্যা কমবেশি ২ লাখ। শহর কলকাতার এই কলোনি অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা। কলোনি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের একটা অংশের দাবি, “গুলশন কলোনি যেন মিনি বাংলাদেশ! শুধুই বহিরাগতের ভিড়!”

    গুলি-বোমা-বন্দুকের কান ফাটানো আওয়াজ (SIR)

    এই কলোনিতে নিত্যদিনই লেগে থাকে ক্যাচাইন। সামান্য ঝুট-ঝামেলা হলেই এলাকায় শুরু হয়ে যায় দুষ্কৃতিরাজ। গুলি-বোমা-বন্দুকের কান ফাটানো আওয়াজে এবং ভয়ে ঘরে সেঁধিয়ে যায় কলোনির লোকজন। এহেন একটি কলোনিতেই শনিবার শুরু হল এসআইআর। এই কলোনির প্রায় প্রতিটি বাড়িই ৫ থেকে ৬ তলা। প্রতি ফ্লোরে রয়েছে কমপক্ষে ৪টি করে ফ্ল্যাট। পাড়া রয়েছে অনেকগুলি। এক একটি পাড়া চিহ্নিত হয়েছে ইংরেজি অ্যালফাবেট দিয়ে। এর মধ্যে ৩০৪ নম্বর পার্টে রয়েছে এম, এন, এল এবং পি – এই চারটি পাড়া। একটি বুথে বাড়ি রয়েছে হাজার আড়াই। অথচ বুথের মোট ভোটার (SIR) মাত্র ১ হাজার ৭০০ (Bangladeshi)।

    এসআইআর শুরু গুলশন কলোনিতে

    এদিন এক একটি বহুতলে ঢুকলেন বিএলও। তখনই বের হল ঝুলি থেকে বেড়াল! অতি কষ্টে কোনও একটি ফ্লোরের কোনও একটি ফ্ল্যাটে রয়েছেন একজন ভোটার। নিজের কাছে থাকা তালিকার সঙ্গে নাম মিলিয়ে দেখে নিয়ে তাঁর হাতে তুলে দিলেন এমুনারেশন ফর্ম। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি গেলেন পাশের বহুতলে। কিন্তু সেখানেও তো খাঁ খাঁ দশা! তাহলে কি এতদিন ধরে গুলশন কলোনিতে বসত করত বহিরাগতরাই? বিএলও ওয়াসিম আক্রম বলেন, “এক তলা থেকে চার তলায় উঠলাম। শুধু একজনের নাম পেয়েছি। আর কেউ নেই। আর পুরো যা আছে, কেউ বলছে বিহার, কেউ বলছে রিপন স্ট্রিটের বাসিন্দা। অন্য জায়গা থেকে এসে এখানে থাকছে, অথচ ভোটার কার্ড নেই (Bangladeshi)।”

    ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই এই এলাকার ভোটার নয়

    লাখ দুয়েক জনসংখ্যার এই কলোনিতে ভোটার (SIR) রয়েছেন ২০ হাজারের মতো। যার অর্থ হল, কলোনির ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই এই এলাকার ভোটার নয়। প্রশ্ন হল, তারা কারা? কেনই বা ডেরা বেঁধেছে গুলশন কলোনিতে? এদিন বিএলও ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে ছিলেন কেবল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিএলএ ২ মিনাজ শেখ। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার দাবি, “গুলশন কলোনির অনেকেই অন্য এলাকার ভোটার। কিন্তু তালিকায় ঠিকানা বদল করেননি।” তাঁর মতে, গুলশন কলোনি সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই এলাকাটিকে সবার চোখে খাটো করেছে। গুলশন কলোনি এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।

    কলোনিতে বহিরাগতদের ভিড়!

    এই কলোনিতে যে বহিরাগতদের ভিড়, মাস দুয়েক আগেই তা ফাঁস করেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এলাকায় ব্যাপক অশান্তির (SIR) প্রসঙ্গে সজল বলেছিলেন, “ওখানে কলকাতা পুলিশ দিয়ে হবে না। বাংলাদেশ পুলিশকে ডাকতে হবে। গুলশন কলোনি মানে রোহিঙ্গাদের কলোনি। তিন হাজার ভোটার রয়েছে। অথচ এলাকার বাসিন্দা ২ লাখ। এ রকম গুলশন কলোনি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় দু-চারটে করে তৈরি হয়েছে। পুরো বেআইনি জগৎ (Bangladeshi)।” সজল যে ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেছিলেন, তা হল গত ১১ সেপ্টেম্বর ভরসন্ধেয় গুলশন কলোনিতে ব্যাপক গোলা-গুলি চলে। হয় বোমাবাজিও। কলোনির অটোস্ট্যান্ডে এসে পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সূর্য ডোবার পরে এলাকায় আঁধার ঘনাতেই ফের শুরু হয় বোমাবাজি। ওই দিনই মাঝরাতে দুষ্কৃতীরা গিয়ে বোমা ছোড়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের বাড়ি লক্ষ্য করে। সেই ঘটনার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। স্থানীয়দের একাংশের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুলশন কলোনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই ঘটনার নেপথ্যে ছিল শাসক দলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মিনি ফিরোজ ও তাঁর দলবল।

    বিপাকে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, গুলশন কলোনি এলাকাটি কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকার (SIR) বিধায়ক তৃণমূলের জাভেদ আহমেদ খান। তিনি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মন্ত্রীও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সাড়ে ১১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছিলেন জাভেদ। পরের বিধানসভা নির্বাচনে সেই জাভেদই জয়ী হন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়ে। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। এসআইআর হওয়ার পর (Bangladeshi) জাভেদের গদি টিকবে কি? আপাতত কোটি টাকার প্রশ্ন সেটাই (SIR)।

  • Parliaments Winter Session: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু ১ ডিসেম্বর থেকে, জানালেন রিজিজু

    Parliaments Winter Session: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু ১ ডিসেম্বর থেকে, জানালেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliaments Winter Session) শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ওই মাসেরই ১৯ তারিখ পর্যন্ত। শনিবার এই ঘোষণা করেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ওই দিনগুলিতে শীতকালীন অধিবেশনের ডাক দেওয়ার সরকারের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।

    রিজিজুর বক্তব্য (Parliaments Winter Session)

    এক্স হ্যান্ডেলে রিজিজু লিখেছেন, “ভারতের মাননীয়া রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু সংসদের #শীতকালীন_অধিবেশন ১ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আহ্বান করার সরকারি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন (সংসদীয় কার্যসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভরশীল)।” তিনি এও বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক হবে, এমন একটি গঠনমূলক ও অর্থবহ অধিবেশন প্রত্যাশা করছি।”

    শীতকালীন অধিবেশনের গুরুত্ব

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের শীতকালীন অধিবেশন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। বিতর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় আবারও সংসদের দুই কক্ষে আলোচনার কেন্দ্রে আসতে পারে। অনুমান, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে এসআইআর (বিশেষ নিবিড় সংশোধন) এবং তথাকথিত ভোট জালিয়াতি ইস্যুতে বিরোধী দল সরকারকে চাপে ফেলতে পারে। এদিকে, শীতকালীন অধিবেশনের স্বল্প সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লিখেছেন, “ঘোষণা করা হয়েছে যে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি অস্বাভাবিকভাবে দেরিতে এবং সংক্ষিপ্ত রাখা হয়েছে। কার্যদিবস হবে মাত্র ১৫ দিন। এতে কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে (Parliaments Winter Session)?”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর সংসদের বাদল অধিবেশন চলেছিল ২১ জুলাই থেকে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত। সেবার কার্যদিবস ছিল ২১টি। ওই অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। লোকসভায় পেশ হয়েছিল ১৪টি বিল। এর মধ্যে পাশ হয়েছিল ১২টি বিল। এই অধিবেশনে রাজ্যসভায় অনুমোদন হয়েছিল ১৫টি বিল। এই তালিকায় ছিল আয়কর বিল ২০২৫ও (Kiren Rijiju)। পরে অবশ্য এই বিলটি প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। যদিও বিরোধীদের ঘোরতর প্রতিবাদ সত্ত্বেও পাশ হয়েছে লোকসভা অনলাইন গেমিং বিল ২০২৫-এর প্রচার ও নিয়ন্ত্রণ (Parliaments Winter Session)।

  • Ontario Motion: হিন্দু-বিদ্বেষের নিন্দে করে প্রস্তাব পাশ কানাডার শহরে

    Ontario Motion: হিন্দু-বিদ্বেষের নিন্দে করে প্রস্তাব পাশ কানাডার শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার কোনও প্রদেশে এই প্রথম হিন্দু-বিদ্বেষের (Anti Hindu) নিন্দে করা হল। অন্টারিও (Ontario Motion) প্রদেশের শহর মিসিসাগায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে ‘মিসিসিগায় হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষ মেনে নেওয়া’ শীর্ষক প্রস্তাব। কানাডায় একে হিন্দু-কানাডিয়ানদের জন্য ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

    সরকারি বিবৃতি (Ontario Motion)

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মিসিসাগা সিটি কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণার সব ধরনের প্রকাশ — মৌখিক, শারীরিক, ডিজিটাল বা প্রাতিষ্ঠানিক — এবং হিন্দু ব্যক্তিবিশেষ, সংগঠন বা মন্দির লক্ষ্য করে পরিচালিত যে কোনও বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা করে।” ভারতে জন্মেছিলেন দিপিকা দামরলা। বর্তমানে তিনি কানাডীয় সিটি কাউন্সিলের সদস্য। তিনিই এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন। পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “মিসিসাগা সিটি অন্টারিওর প্রথম শহর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষের ঘটনা মেনে নিল। ওই প্রস্তাব সর্বসম্মত সমর্থনের জন্য মিসিসাগা কাউন্সিলকে ধন্যবাদ এবং সকল বক্তাকে ধন্যবাদ।” এর পরেই দামরলার নয়া পোস্টের কমেন্ট বিভাগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ‘অ্যান্টি-ইন্ডিয়া হেট’।

    হিন্দু-বিদ্বেষীদের উপদ্রব

    অবশ্য এই প্রথম নয়, তিনি যখন কানাডায় বাড়তে থাকা হিন্দু-বিদ্বেষীদের উপদ্রব, মন্দির ভাঙচুর ও হয়রানির ঘটনার মাঝে হিন্দুদের জন্য ইতিবাচক খবর শেয়ার করছিলেন, তখনও কিছু লোক তাঁকে লক্ষ্য করে বলেছিল, ‘গো ব্যাক টু ইন্ডিয়া’। এই বিতর্কেরও জবাব দিয়েছিলেন দামরলা। এবারও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রস্তাব ভারত নিয়ে নয়, বরং কানাডার হিন্দুদের নিয়ে, এবং এর সঙ্গে ভারতীয়দের কোনও সম্পর্কই নেই। এক ইউজার প্রশ্ন তুলেছেন, “আমাদের কেন অ্যান্টি-হিন্দু ঘৃণার জন্য আলাদা প্রস্তাবের প্রয়োজন?” এরও জবাব দিয়েছেন কানাডীয় সিটি কাউন্সিলরের এই সদস্য। তিনি বলেন, “এটি বিশেষ কোনও আইনের ব্যাপার নয়। বিষয়টি হল এই ঘৃণাকে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা এবং ঘটনা যে ঘটছে, তা মেনে নেওয়া, যেমন এই পোস্টের কিছু মন্তব্যে দেখা গিয়েছে (Anti Hindu)। আমরা যদি একে নাম না দিই এবং প্রকাশ্যে না বলি, তবে এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই স্বাভাবিকীকরণ ইতিমধ্যেই ঘটছে (Ontario Motion)।”

    ‘হিন্দু কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনে’র মত

    ‘হিন্দু কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনে’র মতে, কাউন্সিলর জো হর্নেক প্রস্তাবটির সমর্থনে দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে ভাষণ দিতে গিয়ে হিন্দু কানাডিয়ানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। এর ফলে সমস্ত বাসিন্দার ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে মিসিসাগা সিটি কাউন্সিল আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে যে তারা যেন পিল আঞ্চলিক পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে ধর্ম-সংশ্লিষ্ট ঘৃণার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। এ ক্ষেত্রে মিসিসাগার ইতিবাচক পদক্ষেপ এসেছে ঠিক সেই সময়, যখন আলবার্টার ওয়েনরাইট কানাডার প্রথম পুরসভা হিসেবে হিন্দুফোবিয়াকে একটি উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে (Ontario Motion)।

    ‘কোহনা কানাডা’র বক্তব্য

    “তৃণমূল-স্তরের অধিকার রক্ষার সংগঠন” ‘কোহনা কানাডা’ এই প্রস্তাব পাস হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তারা লিখেছে, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কারণ মিসিসাগা দ্বিতীয় কানাডিয়ান শহর যারা এই অবস্থান নিয়েছে এবং তার হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রকাশ্যে আশ্বাস দিয়েছে। এটি বহু বছর ধরে মন্দির ও হিন্দুদের ওপর হিংসা বৃদ্ধির পর এক বিশাল স্বস্তি।” সংগঠনটি এই পদক্ষেপকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেছে। প্রশংসা করেছে কাউন্সিলর দামেরলারও। কারণ এই প্রস্তাবটি এসেছে এমন একটা সময় (Anti Hindu), যখন গত বছর প্রায় এই সময়ই হামলা হয়েছিল হিন্দু মন্দিরে, মধ্যযুগীয় কায়দায় অত্যাচার চালানো হয়েছিল ভক্তদের ওপর। ট্যুইট-বার্তায় হিন্দু কানাডিয়ান ফাউন্ডেশন লিখেছে, “হিন্দু কানাডিয়ানদের জন্য এক ঐতিহাসিক জয় – মিসিসাগায় অ্যান্টি-হিন্দু বিদ্বেষের কথা মেনে নেওয়া হল: প্রস্তাব পাস হয়েছে (Ontario Motion)।”

    গণেশের মূর্তি ভাঙচুর

    সংস্থাটি এও উল্লেখ করেছে যে, এই প্রস্তাবটি হিন্দু কানাডিয়ানদের বাস্তব অভিজ্ঞতাকে স্বীকার করার এবং তাঁদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সাংস্কৃতিক সম্মান পাওয়ার অধিকারকে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রতীক। প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘এটি শুধুমাত্র কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি নৈতিক অবস্থান, একটি প্রকাশ্য ঘোষণা যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণাকে উপেক্ষা করা হবে না বা লঘু করে দেখা হবে না।’ প্রসঙ্গত, কানাডায় ক্রমেই বাড়ছে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা। হিন্দু কাউন্সিল অফ কানাডা জানিয়েছে, গত বছর অগাস্টে হিন্দু দেবতা গণেশের মূর্তি ভাঙচুর করা হয় এবং মিসিসাগার একটি কমিউনিটি (Anti Hindu) হলে হিন্দুবিরোধী মন্তব্য স্প্রে-পেইন্ট করা হয়। গত কয়েক বছরে হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে (Ontario Motion)।

  • Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৯ নভেম্বর। এদিন থেকেই ফের শুরু হবে অসমের (Assam) বনভূমিতে বাংলাদেশি মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drives)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বয়ং। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অসমে নেপালের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, এভাবে সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উচ্ছেদ অভিযান থামানো যাবে। কিন্তু দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই আশা পূরণ করতে পারিনি। ৯ নভেম্বর থেকে গোয়ালপাড়া জেলার দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ফের শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।”

    দখলদার উচ্ছেদ অভিযান (Assam)

    জানা গিয়েছে, বনবিভাগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ১ হাজার ১৪৩ বিঘে বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে। ৯ নভেম্বরের আগেই বনভূমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে ৩০০-রও বেশি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বহু অবৈধ দখলদার বনভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছে। দোহিকোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি হাতির বাসস্থান হলেও, অবৈধ দখলদারির জেরে ব্যাঘাত ঘটছে হাতির জীবনযাত্রার। তাই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ–হাতি সংঘাত বাড়ছে দ্রুত।

    অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

    প্রসঙ্গত, গায়ক জুবিন গর্গের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অসমে একদল মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। গায়কের অকাল প্রয়াণের বিচার দাবি করার নামে ওই গোষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। ১৫ অক্টোবর বকসা জেলা জেলের সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর ব্যাপক হামলা হয় (Assam)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যানবাহনে (Eviction Drives)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ জখম হন। পরে জানা যায়, এই হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে পরিচালিত একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঘটনার পর পুলিশ ১১ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৯ জনই মুসলমান, বাকিরাও স্থানীয় নয় (Assam)।

  • HAL-GE Jet Engine Deal: মার্কিন জিই এরোস্পেস থেকে ১১৩টি জেট ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ৮ হাজার ৮৭০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর

    HAL-GE Jet Engine Deal: মার্কিন জিই এরোস্পেস থেকে ১১৩টি জেট ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ৮ হাজার ৮৭০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শুল্ক-সংঘাতের আবহের মধ্যে মার্কিন সংস্থার সঙ্গে বিরাট বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত। দেশীয় তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্য ১১৩টি অত্যাধুনিক শক্তিশালী ‘এফ-৪০৪ আইএন২০’ ইঞ্জিন কিনতে প্রায় ৮ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল। শুক্রবারই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

    তেজস জেট উৎপাদনের সমস্যা দূর হবে

    এই চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৭ সাল থেকে ইঞ্জিন পেতে শুরু করবে ভারত। ২০৩২ সালের মধ্যে সবকটি ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হ্যালের তরফে জানানো হয়েছে, এই চুক্তির ফলে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান উৎপাদনে বিশেষ সুবিধা হবে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৬২,৩৭০ কোটি টাকায় ৯৭টি ৪.৫ প্রজন্মের হালকা ‘মাল্টি রোল সুপারসনিক’ যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক-১এ কেনার চুক্তি করেছিল। ২০২৭-২৮ থেকে সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। ছ’বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। মার্কিন সংস্থার সঙ্গে এই ইঞ্জিন-চুক্তি তেজস সরবরাহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন ইঞ্জিন পেলে সময়মতো যুদ্ধবিমান সরবরাহে সমস্যা হবে না বলে হ্যাল সূত্রের খবর।

    ১০ বছরের প্রতিরক্ষা সমঝোতা ভারত-আমেরিকার

    গতমাসের শেষ দিকে, আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত ও আমেরিকা। সেখানে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটার হেগসথের৷ ওই বৈঠকের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি করেন, ওই চুক্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এর মাধ্যমে। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হল হ্যাল-জিই ইঞ্জিন চুক্তি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দশ বছরের জন্য হওয়া এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার প্রশ্নে আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

LinkedIn
Share