Tag: news in bengali

news in bengali

  • Basanti Puja 2024: আজ বাসন্তী পুজোর সপ্তমী, জেনে নিন এই উৎসবের ইতিহাস

    Basanti Puja 2024: আজ বাসন্তী পুজোর সপ্তমী, জেনে নিন এই উৎসবের ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জিকা অনুসারে, এখন চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের তিথি চলছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্ল তিথিতে আয়োজিত হয় নবরাত্রি উৎসবের। অবাঙালি সম্প্রদায়ের কাছে এটি চৈত্র নবরাত্রি নামেও পরিচিত। নয় রাত ধরে দেবী দুর্গার নয় রূপের আরাধনা করা হয়। আর এই সময়ে মহা ধুমধামের সঙ্গে বাঙালি মেতে ওঠে বাসন্তী পুজোয় (Basanti Puja 2024)। বাসন্তী পুজোই হল বাঙালির আসল দুর্গাপুজো। পরে শরত্‍কালে শারদীয়া নবরাত্রির সময় রামচন্দ্রের অকাল বোধন মেনে দুর্গাপুজোর প্রচলন হয়। এই নবরাত্রির (Navratri 2024) সপ্তমী থেকে নবমী, তিন দিন ধরে চলে বাসন্তী পুজো। দুর্গাপুজোর মতোই সব নিয়ম আচার মেনে বাসন্তী পুজো করা হয়। বসন্ত কালে এই দুর্গা পুজো হয় বলে একে বাসন্তী পুজো বলা হয়ে থাকে।

    মঙ্গলবার অন্নপূর্ণা পুজো, বুধবার রামনবমী (Ram Navami)

    রবিবার, পয়লা বৈশাখের দিন থেকে শুরু হয়েছে বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। গতকাল ছিল ষষ্ঠী। আজ সোমবার, ১৫ এপ্রিল, বাসন্তী পুজোর সপ্তমী তিথি। সেই হিসেবে, ১৬ তারিখ অষ্টমী তথা অন্নপূর্ণা পুজো। পরের দিন, অর্থাৎ, ১৭ তারিখ পালিত হবে রামনবমী। পঞ্জিকা মতে, ১৬ এপ্রিল পড়ছে রামনবমীর তিথি। ওই দিন দুপুর ১টা ২৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে রামনবমীর তিথি। আর তিথি চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৭ এপ্রিল দুপুর ৩টে ১৪ মিনিটে শেষ হচ্ছে রামনবমীর তিথি। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, যেহেতু উদয়া তিথি ধার্য করা হয়, সেই নিয়মেই ১৭ এপ্রিল রামনবমীর (Ram Navami) তিথি পালিত হবে।

    এবছর দেবী এসেছেন ঘোটকে…

    শাস্ত্র মতে, দেবীর আসা ও যাওয়ার বাহনের উপর নির্ভর করে গোটা বছর কেমন কাটতে চলেছে। দেবী দুর্গা কোনও বছর ঘোড়া, কোনও বছর হাতি, আবার কোনও বছর নৌকায় আসেন। চলতি বছরে চৈত্র নবরাত্রিতে দেবীর আগমন (Basanti Puja 2024) হবে ঘোটক বা ঘোড়ায়। ঘোড়ায় চড়ে দেবীর মর্ত্যে আগমন জ্যোতিষ অনুসারে শুভ লক্ষণ হিসাবে মানা হয় না। এর ফলে ক্ষমতার পরিবর্তন ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

    রাজা সুরথ ও বাসন্তী পুজোর ইতিহাস

    পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজা সুরথ বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024) নামে প্রসিদ্ধ হয়। দেবী দুর্গার প্রথম পুজারী হিসাবে চণ্ডীতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে। পরে রাবণ বধের উদ্দেশে শ্রীরামচন্দ্র অকাল বোধন করেন এবং তখন থেকে দূর্গাপুজো শরৎকালে শুরু হয়।

    রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্তবংশী রাজা (চিত্রগুপ্তের বংশধর) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দূর্গা সপ্তশতী দেবী মাহাত্ম্য এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে। সুরথ সুশাসক ও যোদ্ধা হিসেবে বেশ খ্যাত ছিলেন। কোনও যুদ্ধে নাকি তিনি কখনও হারেননি। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য একদিন তাঁকে আক্রমণ করে এবং সুরথ পরাজিত হন। এই সুযোগে তাঁর সভাসদরাও লুটপাট চালায়। কাছের মানুষের এমন আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যান সুরথ। বনে ঘুরতে ঘুরতে তিনি মেধাসের আশ্রমে পৌঁছান। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজা শান্তি পান না। এর মধ্যে একদিন তাঁর সমাধির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জানতে পারেন, সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও তিনি স্ত্রী-ছেলের ভালোমন্দ এখনও ভেবে চলেছেন।

    তাঁরা দুজনেই তখন ভাবলেন, যাদের কারণে তাদের সব কিছু হারিয়েছে, তাদের ভালো আজও তারা কামনা করছেন। ঋষিকে একথা বলায়, তিনি বলেন সবই মহামায়ার ইচ্ছা। এরপর ঋষি মহামায়ার কাহিনি বর্ণনা করেন। ঋষির উপদেশেই রাজা কঠিন তপস্যা শুরু করেন। পরে মহামায়ার আশীর্বাদ পেতেই বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষে রাজা পুজো শুরু করেন। শুরু হয় বাসন্তী পুজো (Basanti Puja 2024)। এই পুজো এখন কয়েকটি বাড়িতেই শুধু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে মিঠুনের মেগা রোড শো, সমর্থকদের তীব্র উচ্ছ্বাস

    Jalpaiguri: বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে মিঠুনের মেগা রোড শো, সমর্থকদের তীব্র উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে দেখতে পাবার আশায় কেটে গেছে গোট বিকেল। তাঁকে মানে তিনি হলেন মহাগুরু বিশিষ্ট অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে রোড শো করতে আজ আসেন তিনি। তাঁকে ঘিরে উত্তরবঙ্গে লোকসভার ভোটের প্রচার এখন তুঙ্গে। নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস।

    নব বর্ষের দিনেই প্রচারে মিঠুন (Jalpaiguri)

    রবিবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে জলপাইগুড়ির-ময়নাগুড়ি (Jalpaiguri) শহরে রোড শো করেন মহাগুরু। তাঁর রোড শো এবং এই প্রচারকে ঘিরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে গোটা ময়নাগুড়ি শহর। এতো মানুষের সমাগম দেখে আপ্লুত স্বয়ং মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন বিকেল ৫টায় ময়নাগুড়ি শহরে এসে পৌঁছান তিনি। ময়নাগুড়ি শহরের ১৪ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন সুভাষ নগর থেকে র‍্যালি শুরু হয়। এরপর র‍্যালিটি শুরু হয়ে ময়নাগুড়ি দুর্গাবাড়ী মোর হয়ে দেবীনগর এলাকা হয়ে ময়নাগুড়ি সিনেমাহল মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে তাঁর র‍্যালির গতি কিছুটা শ্লথ করতে হয় কারণ মানুষের ব্যাপক ভিড় ছিল। হুড খোলা গাড়িতে তিনি এদিন রোডশো করেন। প্রচুর মানুষ সাথে একবার করে তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর আবদার করেন। যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের আবদার মেটাতে গাড়ি থেকেই হাত মেলান তিনি। তাঁর ছোঁয়া পেয়ে অনেকেই খুশি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার জয়ন্ত রায়। মিছিলটি গোটা শহর পরিক্রমা করে ৮ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন বিবেকানন্দপল্লীতে শেষ হয়।

    আরও পড়ুন: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    ৫০ হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন

    জলপাউগুড়িতে (Jalpaiguri) আজকের র‍্যালিতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সামিল হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিন তাঁকে দেখতে ময়নাগুড়ি শহর একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তাঁকে দেখা এবং বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য প্রচুর মানুষ এদিন যোগদান করেছিলেন। শুধু শহর থেকেই নয় আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ এদিন এসেছেন। শ্রীদাম রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমার বাড়ি ময়নাগুড়ি শহর থেকে প্রায় ১৬ কিমি দূরে পানবাড়িতে। সেখান থেকে আমি এসেছি দেখার জন্য।” আবার নিরুপমা ভৌমিক নামে ষাটোর্ধ এক মহিলা বলেন, “ছোট থেকে তাঁকে পর্দায় দেখেছি। তাঁর ছবি, অভিনয়, নাচ দেখে বড় হয়েছি। সামনে থেকে দেখতে পাবো কোনোদিন ভাবতেই পারিনি। তাই তাঁকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে নারাজ ছিলাম। সেই জন্য কোনোরকমে নাওয়া-খাওয়া সেরে তাঁকে দেখতে বিকেল থেকে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অনেকে আবার শুধু তাঁর জন্যই এসেছেন সভায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভক্ত বলেন, “যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী রয়েছেন ভোট তিনি সেখানেই দেবেন। সব মিলিয়ে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে রোড-শো সুপারহিট ৷ এই উত্তাপের প্রতিফলন হবে আগামী ১৯শে এপ্রিল ভোট বাক্সে বলে মনে করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই রবিবার বাংলা নববর্ষের দিনেও চুটিয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। জনসংযোগ বাড়াতে এবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ করতে দেখা গেল বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে (Subhas Sarkar )। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

    জুতো পালিশ করে প্রচার (Subhas Sarkar)

    রবিবার ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের (B.R Ambedkar) জন্মদিন উপলক্ষে বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে লালবাজার পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রায় অংশ নেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। সেখানেই হুড খোলা গাড়িতে চড়ে নিজের জুতো পালিশ করলেন তিনি। মিছিলে প্রচার চালাতে চালাতে হঠাৎই তিনি নিজের হাতে তুলে নেন নিজের জুতো। গাড়িতে দাঁড়িয়েই ব্রাশ দিয়ে সেই জুতো পালিশ করতে শুরু করেন তিনি।

    সুভাষ সরকারের বক্তব্য (Subhas Sarkar )

    বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar ) বলেন, “নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে কোনও কাজই ছোটো নয়। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকর দলিত ও অত্যন্ত নিম্নবর্গ থেকে উঠে এসে সংবিধান প্রণয়নের মতো মহান কাজ করেছিলেন। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নাম করে তিনি বলেন, “অম্বেডকরের স্বপ্ন আজ পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের সেই ভাবনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আজ জুতো পালিশ করলাম।”

    তৃণমূলের কটাক্ষ

    জুতো পালিশের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটা কি জনগণের জুতো পালিশ হচ্ছে। সেটা তো হয়নি। জনগণকে তো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। এসব করে নাটক করছেন সুভাষবাবু (Subhas Sarkar )। এতে কি ভোট বাড়ে।”

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    নানা প্রচারের প্রার্থীরা

    যদিও এমন ঘটনা আশ্চর্যের নয়। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এর আগে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে কখনও চুল কাটতে দেখা গিয়েছে ,কখনও আবার দেখা গেছে চা, চপ, পাঁপড় ভেজে তা বিক্রি করতে। কোনও প্রার্থীকে আবার দেখা গেছে টোটো চালাতে, কাউকে আবার দেখা গেছে সবজি বিক্রি করতে। তাই এই কাজকে জনগনের হয়ে  অম্বেডকরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ছাড়া আর কিছুই না বলে মনে করেন না সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar )।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour), পড়ল বোমা, চলল গুলি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের রবীন্দ্রনগরের চার নম্বর ওয়ার্ডের গুলজার বাগ এলাকায় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির মাঝেই আচমকাই বোমা পড়তে শুরু করে এলাকায়। প্রায় ২৫টি বোমা পড়ে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে চলে গুলিও। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, “শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে একটি শিশুও আহত হয়েছে। আরও এক ব্যক্তি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” এই ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গোলাব, মিনু আরও একজন ছিল। বোমা ফেলছিল তারা। এখন হুমকি দিচ্ছিল যে গোটা পাড়ার মানুষকে মেরে ফেলব তারা। আমার বাড়ির পাশেও বোমা ফেলে। একই ভাবে আমার ঘরে বৃদ্ধ মা রয়েছেন। গুন্ডারা বলছে উড়িয়ে দেব সব।”

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) একপক্ষের অভিযোগ, জমি দখলে বাধা দিলে অপরপক্ষের লোকজন ঝামেলা শুরু করে, তারপরেই শুরু হয় মারধর, আশান্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রবীন্দ্রনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে নামানো হয় র‍্যাফ। এরপর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    আগেও বোমাবাজি হয়েছে

    উল্লেখ্য এর আগেও গত ১৮ মার্চ ওই একই জায়গায় বোমা বাজির ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার ফের একই ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী। তবে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কেন বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) গড়ে এমন বোমাবাজি অশান্তির ঘটনা ঘটছে? নাকি ভোটের মুখে এসব বোমাবাজি, গোলাগুলির ঘটনা কি ইচ্ছে করেই ঘটাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল! সাধারণ মানুষের মনে এক প্রকার আতঙ্ক যে সৃষ্টি হয়েছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষ মনে করছেন। যদিও গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কোনও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev-Hiran: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    Dev-Hiran: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি লোকসভা ভোটের (lok sabha vote), আর এরই মধ্যে আবারও হিরণের নিশানায় তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev-Hiran)। ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে এর আগে একাধিকবার দেবকে নিশানা করেছেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি ফের প্রচারে নেমে ঘাটালের তৃণমূল তারকা প্রার্থী দেবকে নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি। “গরু পাচারের টাকা খেয়েছেন দেবও। ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!” ভোটপ্রচারে (election campaign) বেরিয়ে কার্যত এমনই আক্রমণ করলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ।

    কী বলেছিলেন হিরণ (Dev-Hiran)?

    বৃহস্পতিবার, লোকসভা ভোটের প্রচারে সবং ব্লকের ৭ নম্বর নারায়ণবাড় অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Dev-Hiran)। সেখানে ভোটপ্রচারের সময় তিনি বলেন, ‘‘দেব, ভোট শেষ হলেই কলকাতায় পালিয়ে যান। এবারে ভোটের পরে কেউ পালাতে দেবে না। ভোটের পরে আপনাকে সবাই জবাব দেবে। ভোটের আগে আপনাকে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করছে না। কারণ আমরা চাই, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। ভোটের আগে কেউ কাউকে অ্যারেস্ট করবে না। কিন্তু ভোটের পরে আপনাকে তিহাড়ে জেলে (tihar jail) যেতে হবে। কারণ, গরু চুরির টাকা নিয়েছেন আপনিও।’’

    আরও পড়ুন: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    দেবের পাল্টা জবাব

    হিরণের (Dev-Hiran) আক্রমণে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী (TMC candidate) যে চাপে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শনিবার বিকেলে তিনি সবং ব্লকের তেমাথানি বাজার, চাঁদকুড়ি বাজার, বড়সাহারা কালীমন্দির, খড়িকা বাসস্ট্যান্ড, দশগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, দেহাটি বাসস্ট্যান্ড-সহ বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে দেব বলেন, ‘‘হিরণ কে? তিনি বিজেপি প্রার্থী। ভগবান তো নন। আমার কাছে মানুষই ভগবান। মানুষ ভোটটা দিয়ে তাঁকেই বুঝিয়ে দেবেন, তিনি কত ভোটে হারবেন। ভগবান হচ্ছে মানুষ, হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় (hiran chatterjee) নন।’’ যদিও দেবকে (Dev) হারিয়ে ঘাটাল জয় করতে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এখন পালা শুধু অপেক্ষার। সমস্ত জল্পনার অবসান হবে ৪ জুনেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    Sheikh Shahjahan: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার শিরোনামে শেখ শাহজাহান (sheikh shahjahan)। এবার খোদ ইডির (ED) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সোজা আদালতে চিঠি দিলেন সন্দেশখালির (sandeshkhali) এই ত্রাস। ইডির হেফাজতে ‘জোর করে’ বয়ান লেখানো হয়েছে তাঁকে, এই মর্মেই অভিযোগ তুলে আদালতে আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী। তবে এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবীরা আদালতে দাবি করে বলেন, “এই চিঠি শাহজাহানের লেখা নয়, তাঁর আর্জির চিঠিকে কোনও ভাবেই যেন আদালতের রেকর্ডে না রাখা হয়। এই চিঠি গৃহীত হলে এতদিন শাহজাহান যে বয়ান দিয়েছেন, তার আর গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।”

    উল্লেখ্য সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ একই ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য শেখ শাহজাহান কি একই রাস্তা অবলম্বন করছেন? কার্যত নয়া ফন্দি!

    ঠিক কী হয়েছিল (Sheikh Shahjahan)?

    প্রসঙ্গত, শনিবারই শেষ হয় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে (bankshall court) তোলা হলে প্রশ্ন-উত্তর চলাকালীনই তাঁর আইনজীবী প্রকাশ্যে আনেন শাহজাহানের লেখা ওই চিঠির প্রসঙ্গ। আদালত কক্ষেই পড়ে শোনানো হয় সেই চিঠি। চিঠির বয়ান শুনেই কার্যত শোরগোল পড়ে যায় আদালত কক্ষে।

    শাহজাহানের লেখা চিঠিতে কী ছিল?

    শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লেখা চিঠিতে যা ছিল তা হল, “গত ১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকাকালীন আমাকে দিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে। একই ভাবে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পছন্দের বয়ান না দিলে আমি, আমার ভাই এবং আত্মীয়দের মাদক মামলায়, জড়িয়ে দেওয়া হবে।”

    পরবর্তী শুনানি ১৫ এপ্রিল

    এরপরেই চিঠির বয়ান নিয়ে ইডির আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন আদালতে। ওই চিঠি আদৌ শাহজাহানের (sheikh shahjahan) লেখা কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই চিঠি কি আবেদন পত্র? তা নিয়েও সওয়াল করেন ইডির আইনজীবীরা। একই ভাবে শাহজাহানের এই চিঠির আবেদন পদ্ধতি এবং বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের তরফ থেকে জানানো হয় চিঠি গ্রহণ করা হলেও ইডির স্পেশাল কোর্টে আগামী ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর”, বিস্ফোরক দিলীপ

    কুন্তল ঘোষও চিঠি দিয়েছিলেন

    উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যও একই ভাবে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। রাজনীতির একাংশের মানুষ অবশ্য মনে করছেন, ধৃত তৃণমূল নেতা তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বাঁচার কৌশল করছেন। এখন শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) তদন্ত আগামী দিনে কোন পথে এগিয়ে যায় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল। সাফ জানানো হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) রিপোর্টে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এক ডজন সুপারিশও করেছে কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

    এক ডজন সুপারিশ কমিশনের (Sandeshkhali Incident)

    সন্দেশখালিকাণ্ডে ২১ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ১২ দফা সুপারিশ করেছেন কমিশনের দলের সদস্যরা। এই সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে, আইনের শাসন সম্পর্কে সন্দেশখালিবাসীর (Sandeshkhali Incident) আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাঁরা যৌন অপরাধের শিকার, তাঁদের কাউন্সেলিং করানো, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনী যে জমি দখল করেছে, সেই জমিও প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সন্দেশখালি এলাকা থেকে গত কয়েক বছরে যেসব মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে, তাদের উদ্ধারে তদন্ত চালানোর কথাও বলা হয়েছে সুপারিশে। এই এক ডজন সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করছে, দু’মাসের মধ্যে তা জানাতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    কেলেঙ্কারিতে যুক্ত শাহজাহানের ভাইও!

    এদিকে, সরকারি অর্থ তছরুপ এবং মহিলাদের যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির ও সঙ্গী শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident)। সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে এমনই অভিযোগ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের সেই বয়ানের ভিত্তিতেই ইডির বিশেষ আদালতে এমনতর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার আলমগির, শিবপ্রসাদ এবং জনৈক দিদার মোল্লাকে আদালতে হাজির করানো হয়। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ইডি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালতে ইডির তরফে বলা হয়, জমি দখলের টাকা পাচার করতে শাহজাহানের সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা গিয়েছে আলমগির, শিবু এবং দিদারের অ্যাকাউন্টে। তারা সেই টাকা কীভাবে রোজগার করেছে, তা জানতে সন্দেশখালির বেশ কিছু বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই কলঙ্ক মুছতে তড়িঘড়ি তাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির কর্তারা। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সন্দেশখালি থেকে বের হচ্ছে একের পর কেলেঙ্কারির কেউটে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনারা শুধু রাজনৈতিক দুর্নীতির কথাই শোনেন। যাঁরা তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েছেন, তাঁরাই সেগুলো ছড়িয়ে থাকেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি জানান, ইডির মোট মামলার মাত্র তিন শতাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।

    ইডির হাতে গ্রেফতার অফিসারও (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধীদের দমন করতে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এই প্রসঙ্গেরই জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইডি বহু দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে গ্রেফতার করেছে। সেই সব অফিসার, অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ীর কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি রেয়াত করেনি কংগ্রেস, কেজরিওয়াল এবং কবিতাকেও।” তিনি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালের আগে ইডি মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। গত ১০ বছরে সেটাই এক লাখ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালের আগে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল নগদ ৩৪ লাখ টাকা। সেখানে আমার আমলে উদ্ধার হয়েছে ২২০০ কোটিরও বেশি টাকা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থায় যারা মুনাফা দেখেছে, তারাই অন্যায় হয়েছে বলে গোল বাঁধিয়ে মানুষের কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছে।”

    ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবেই’

    দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইডির হাতেই গ্রেফতার হয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির এমএলসি কে কবিতা, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে আয়কর দফতর। এর পরে পরেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার সরকারের লড়াই চলবেই। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেই ফের চলবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান।” প্রধানমন্ত্রী আরও একবার মনে করিয়ে দেন, “গত দশ বছর ধরে আমাদের সরকারের প্রধান ফোকাসই হল সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা। বিভিন্ন স্তরে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি আমরা।”

    আরও পড়ুুন: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BR Ambedkar: সংবিধান প্রণেতা অম্বেডকরের জন্মদিন, চেনেন এই মহান মানুষটিকে?

    BR Ambedkar: সংবিধান প্রণেতা অম্বেডকরের জন্মদিন, চেনেন এই মহান মানুষটিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাঙালি পালন করে নববর্ষ হিসেবে। আর তামাম ভারত এই দিনে স্মরণ করেন সংবিধান প্রণেতা ডক্টর ভীমরাও রামজি অম্বেডকরকে (BR Ambedkar)। তাঁর নেতৃত্বেই গড়া হয়েছিল সংবিধান কমিটি। যে সংবিধান গৃহীত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। সময় যত গড়িয়েছে, দেশ যত এগিয়েছে, অম্বেডকর ততই পরিচিতি লাভ করেছেন ন্যায় ও সাম্যের মূর্ত প্রতীক হিসেবে।

    অম্বেডকর আখ্যান (BR Ambedkar)

    নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় একাধিকবার সংশোধন করা হয়েছে সংবিধান। যদিও অটুট রয়েছে অম্বেডকরের নেতৃত্বে তৈরি সংবিধান। তফশিলি সম্প্রদায়ের এই মানুষই জন্মেছিলেন ১৮৯১ সালের ১৪ এপ্রিল। মধ্যপ্রদেশের মহউ ক্যান্টনমেন্টে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অম্বেডকর (BR Ambedkar)। মহারাষ্ট্রের সাতারায় প্রাথমিক স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বম্বের (অধুনা মুম্বই) এলফিনস্টোন হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। ১৯১২ সালে বম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ পাশ করেন। কলেজে অসাধারণ দক্ষতার কারণে এমএ এবং পিএইচডি করার জন্য ১৯১৩ সালে বরোদা রাজ্যের মহারাজা তাঁকে বৃত্তি দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠও নেন তিনি। তাঁর থিসিসের শিরোনাম ছিল ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসন ও অর্থ’। সেখান থেকে অম্বেডকর চলে যান লন্ডনে। ভর্তি হন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে। আইন (BR Ambedkar) পড়ার জন্য ভর্তি হন গ্রেস ইনে। অর্থাভাবে ১৯১৭ সালে দেশে ফেরেন অম্বেডকর। ১৯১৮ সালে সিডেনহাম কলেজ, মুম্বইয়ের রাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক হন তিনি।

    গণপরিষদে নির্বাচিত

    ১৯৪৬ সালে ভারতের গণপরিষদে নির্বাচিত হন অম্বেডকর। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন ভারতের দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। পরে নির্বাচিত হন গণপরিষদের খসড়া কমিটির চেয়ারপার্সন। গণপরিষদের তৎকালীন সদস্য মহাবীর ত্যাগী অম্বেডকরকে ‘প্রধান শিল্পী’ আখ্যা দিয়েছিলেন। অম্বেডকর সম্পর্কে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, “চেয়ারে বসে এবং প্রতিদিনের কার্যধারায় দেখছি, আমি বুঝতে পেরেছি যে অন্য কেউ এত উদ্যমে থাকতে পারেন না। এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ড্রাফটিং কমিটির সদস্যরা ও বিশেষ করে এর চেয়ারম্যান ডঃ অম্বেডকর তাঁর স্বাস্থ্যের কথা না ভেবেই কাজ করে গিয়েছেন। তিনি কেবল তাঁর নির্বাচনকে ন্যায্যতা দেননি, বরং তিনি যে কাজটি করেছেন, তাতে দীপ্তি যোগ করেছেন।”

    আরও পড়ুুন: বাংলা নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি! সঙ্কল্পপত্রে কী রয়েছে জানেন?

    ১৯৫২ সালে প্রথম লোকসভা নির্বাচনের পর অম্বেডকর রাজ্যসভার সদস্য হন। এই বছরই কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়। পরের বছরই ওই একই ডিগ্রি দেয় হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও। দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে ১৯৫৫ সালে তাঁর স্বাস্থ্য একেবারেই ভেঙে পড়ে। ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে ঘুমঘোরে না ফেরার দেশে চলে যান অম্বেডকর।

    অম্বেডকর ছিলেন সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে। মহিলাদের অধিকারের দাবিতে সওয়াল করেছেন নানা সময়। লিঙ্গ বৈষম্য, সমাজ থেকে অস্পশ্যতা দূর করতে এবং দলিত মহিলাদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময় উচ্চবর্ণের লোকজন যে কলে জলপান করত, সেখানে তাঁকে জল খেতে দেওয়া হয়নি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও তা ভুলে যাননি তিনি। এই প্রেক্ষিতেই তিনি লিখেছিলেন বিশ্বখ্যাত বই ‘দ্য আনটাচেবল’। সমালোচকদের একাংশের মতে, যা তৎকালীন সমাজের জীবন্ত দলিল।

    অম্বেদকর (BR Ambedkar) দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং অস্পৃশ্য বা দলিতদের সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন। অম্বেডকর একজন খ্যাতনামা আইনবিদ, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। তিনি দলিত বৌদ্ধ আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে প্রায়ই শোনা গিয়েছে অম্বেডকরের অবদানের কথা। শুক্রবারই রাজস্থানের বারমেরে বিজেপির এক নির্বাচনী জনসভায় বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে (মোদি ফের ক্ষমতায় এলে সংবিধান বদলে দেবে বলে প্রচার করছেন বিরোধীরা) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাবাসাহেব অম্বেডকর স্বয়ং থাকলে, তিনিও আজ আর সংবিধান ধ্বংস করতে পারবেন না। সরকারের কাছে সংবিধান হল গীতা, কোরান, বাইবেল।” দিন কয়েক আগের আরও একটি সভায় ভূস্বর্গে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “অম্বেডকরের আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন (BR Ambedkar)।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: বাংলা নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি! সঙ্কল্পপত্রে কী রয়েছে জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বাংলা নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি! সঙ্কল্পপত্রে কী রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল। তার আগে ১৪ এপ্রিল ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)। ঘটনাচক্রে এই দিনটি বাংলা নববর্ষ। এই দিনেই ইস্তাহার প্রকাশ করবে পদ্ম-পার্টি। বিজেপির ইস্তাহারের নাম ‘সঙ্কল্প পত্র’। ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ইস্তাহার কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজনাথ। ইতিমধ্যেই এই কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’বার। ইস্তাহার তৈরিতে বিজেপি দেড় মিলিয়নেরও বেশি প্রস্তাব পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে।

    বিজেপির সঙ্কল্পপত্র

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বিজেপির সঙ্কল্পপত্রে (Lok Sabha Elections 2024) আলোকপাত করা হবে মূলত উন্নয়নের ওপর। সমৃদ্ধশালী ভারত, মহিলা, যুব, গরিব এবং কৃষকের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, থাকছে তাও। যেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যাবে, সেগুলির ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। আলোকপাত করা হবে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের ওপরও। ইস্তাহারের থিম, ‘মোদির গ্যারান্টি: ডেভেলপড ইন্ডিয়া ২০৪৭’।

    ইস্তাহার কমিটি

    বিজেপির এই ইস্তাহার কমিটিতে রয়েছেন ২৭ জন। কমিটির আহ্বায়ক নির্মলা সীতারামন। সহ-আহ্বায়ক পীযূষ গয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে কমিটিতে জায়গা হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং ভূপেন্দ্র যাদবের। বিজেপি শাসিত (Lok Sabha Elections 2024) চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। এঁরা হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এই কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই। যেমন ওই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কমিটিতে জায়গা দেওয়া হলেও, ঠাঁই হয়নি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তারিক মনসুর ও অনিল অ্যান্টনি অবশ্য রয়েছেন ওই সাতাশজনের কমিটিতে।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরাবে তালিবান সরকার! স্বাগত জানাল ভারত

    বাংলা নববর্ষের দিন বিজেপি ইস্তাহার প্রকাশ করলেও, কংগ্রেসের ‘ন্যায়পত্র’ (ইস্তাহারের পোশাকি নাম) প্রকাশিত হয়েছে ঢের আগে। এই ইস্তাহারে মূলত ২৫টি বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের ইস্তাহারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, তা কীভাবে রূপায়িত হবে, তার কোনও সঠিক দিশা নেই। কংগ্রেসের ইস্তাহারকে ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share