Tag: news in bengali

news in bengali

  • Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    Pakistan: ফের বালুচিস্তান থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ, প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বালুচিস্তান (Balochistan) থেকে লোপাট হয়ে যাচ্ছেন আস্ত মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকিস্তানের (Pakistan) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তার পর থেকে আর খোঁজ মিলছে না তাঁদের। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন স্থানীয়রা। জোরালো হচ্ছে প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার দাবিও।

    নিখোঁজ একই পরিবারের ২ (Pakistan)

    ‘দ্য বালুচিস্তান পোস্টে’র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কেচ জেলার বুলেদা তহসিলের মেনাজ এলাকায় এক বাড়িতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে দুই ভাইকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। তার পর আর খোঁজ মেলেনি তাঁদের। নিখোঁজ দু’জনের একজন জহির, অন্যজন ওয়াসিম। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা রহিম জানের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা দু’জনেই পেশায় কৃষক, কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁদের পরিবার অবিলম্বে ওই দুই ভাইয়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। আর একটি ঘটনায়, পাক সেনাবাহিনী ব্রাহুই ভাষার কবি আতা অঞ্জুমকে মাস্তুংয়ে তাঁর বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁরও খোঁজ মিলছে না। বালুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংগঠন ভয়েস ফর বালুচ মিসিং পারসন্স ঘটনাটিকে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে (Pakistan)।

    নিখোঁজ চাঙ্গেজ ইমামও

    তুরবতেও ঘটেছে আরও একটি ঘটনা। সেখানে গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন চাঙ্গেজ ইমাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি তুরবত কেন্দ্রীয় কারাগারের ওয়ার্ডার। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে তুরবতে নিজের বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। আর ফিরে আসেননি। তাঁর মোটরসাইকেলটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার প্রতিবাদে পুরো প্রদেশে অব্যাহত প্রতিবাদ। খুজদারে ৫ নভেম্বর নাল এলাকা থেকেও অপহৃত হন একজন। হুজাইফা গফ্ফার নামের ওই ব্যক্তির স্বজনরা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে নাল সিপেক রোড অবরোধ করেন। প্রতিবাদকারীরা তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দাবি জানান। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয় বালুচ ইয়কজেহতি কমিটি।

    ইউনিয়ন কাউন্সিল কিল্লি কোচা বুলেদার ভাইস চেয়ারম্যান পাজির নাসির প্লিজাই ৮ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের (Balochistan) মতো নিখোঁজ হন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আটক করা হয়েছিল তাঁকে। কয়েক মাসের আন্দোলনের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ফের নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট করে হক দো তেহরিক বালুচিস্তান (Pakistan)।

  • BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    BBC: ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি, তার পরেও আদালতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) কাছে ক্ষমা চাইল বিবিসি (BBC)। এই সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পরেই ক্ষমা চেয়ে নেন বিবিসি কর্তৃপক্ষ। অবশ্য ভুল স্বীকার করে নিলেও, ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেছে বিবিসি। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থার দাবি, এই মানহানি মামলার কোনও ভিত্তি নেই। ট্রাম্প প্রশাসনকে লেখা একটি চিঠিতে সংস্থার তরফে চেয়ারম্যান সামির শাহ লিখেছেন, “সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য বিবিসি ক্ষমাপ্রার্থী।” তাঁর দাবি, সংস্থাটি সাংবাদিকতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।

    মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি (BBC)

    ১৩ নভেম্বর বিবিসি তাদের কারেকশন অ্যান্ড ক্ল্যারিফিকেশন বিভাগে জানিয়েছে, প্যানোরামা অনুষ্ঠানটি সমালোচনার পর ফের পরীক্ষা করা হয়েছে। কারণ এতে ট্রাম্পের বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল। বিবিসির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,  “আমরা স্বীকার করি যে আমাদের সম্পাদনা অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ধারণা তৈরি করেছে যে আমরা বক্তৃতার একটি একটানা অংশ দেখাচ্ছি, অথচ বাস্তবে তা ছিল বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতি। এর ফলে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসাত্মক কাজের আহ্বান জানিয়েছিলেন।” বিবিসির তরফে ক্ষমা চাওয়ার কারণ ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তিনি এক মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করবেন।

    ‘ফাইট লাইক হেল’

    প্রসঙ্গত, প্যানোরামায় ট্রাম্পের ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের বক্তৃতার বিভিন্ন অংশ জোড়া দিয়ে এমনভাবে দেখানো হয়েছিল যেন তিনি (Donald Trump) তাঁর সমর্থকদের ‘ফাইট লাইক হেল’ এবং তাঁর সঙ্গে ক্যাপিটল ভবনের দিকে মিছিল করতে উৎসাহিত করছেন (BBC)। ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা ক্যাপিটল ভবনের দিকে হাঁটব…আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। এবং আমরা লড়ব। আমরা ভীষণভাবে লড়ব।” এর পরেই ট্রাম্পের হুমকি এবং তার পর বিবিসি কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা এও স্বীকার করেছে যে, প্যানোরামার অনুষ্ঠানটি এমন ভুল ধারণা দিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি হিংসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর কখনওই ওই অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছে বিবিসি।

    ক্যাপিটল হিলে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর হামলা হয় ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে। অভিযোগ, সেখানে হামলা চালিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। যদিও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ওই নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। বিবিসির তরফে ট্রাম্পকে নিয়ে যে তথ্যচিত্র সম্প্রচার করা হয়, তাতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকে কার্যত কাঠগড়ায় তোলা হয় বলে অভিযোগ (BBC)। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প যেসব বক্তৃতা দিয়েছিলেন (Donald Trump), সেগুলি এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ওই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দিয়েছিলেন তিনি। আর এখানেই আপত্তি হোয়াইট হাউসের। প্রেস সচিবের দাবি, এভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হয়েছে।

    প্রবল বিতর্ক

    বিবিসির ওই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। ঘটনার দায় ঘাড়ে নিয়ে সপ্তাহের প্রথমেই ইস্তফা দেন সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও খবর সম্প্রচার বিভাগের প্রধান ডেবোনার টারনেস। পরে ওয়াশিংটনের চাপে পড়ে দফায় দফায় ক্ষমাও চেয়েছে ব্রিটিশ এই সংবাদ সংস্থা। যদিও তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মানহানির জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের শর্ত মানতে রাজি নয়।

    কী বললেন ট্রাম্প

    এর পরেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন মামলা করার কথা (Donald Trump)। তিনি বলেন, “আমরা ১ বিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করব। সম্ভবত আগামী সপ্তাহের কোনও এক সময়। আমার মনে হয়, আমাকে এটা করতেই হবে। ওরা প্রতারণা করেছে, সেটা মেনে নিয়েও নিয়েছে। আমার মুখ থেকে বের হওয়া কথাগুলি বদলে দিয়েছে। ভুয়ো খবর কথাটা দারুন চালু। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট নয়। এটি তো ভুয়োর চেয়েও বেশি, এটি দুর্নীতি বিষয়ক। ওরা প্রায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে বক্তৃতার দু’টি অংশ এক সঙ্গে কেটে নিয়েছিল। একটায় আমাকে খারাপ লোক বানিয়ে দিচ্ছিল, আর অন্যটা ছিল অত্যন্ত শান্ত একটি বক্তব্য।” ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আপনি ভাবতে পারেন, বিবিসি ভুয়ো খবর প্রচার করে! এই ঘটনায় ব্রিটেনের মানুষও খুব রেগে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কেলেঙ্কারিতে স্যার কিয়ার স্টারমার খুবই লজ্জিত। এ নিয়ে আমি কথা বলব তাঁর সঙ্গে (BBC)।” ট্রাম্প বলেন, “তারা (বিবিসি) আমায় একটি সুন্দর চিঠি লিখেছে। বলেছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কিন্তু আপনি যদি বলেন এটি অনিচ্ছাকৃত, তবে আমি মনে করি অনিচ্ছাকৃত হলে ক্ষমা করতে হয় না।”

  • Digital Data: ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন রূপায়ণে বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Digital Data: ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন রূপায়ণে বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিপিডিপি (ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন) অ্যাক্ট (Digital Data) বাস্তবায়নের পথে বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইনের চূড়ান্ত নিয়মাবলী প্রকাশ (Protection Law) করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এর ফলে ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্রাইভেসি কাঠামোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হল।

    নয়া আইন (Digital Data)

    নয়া আইন চালু হওয়ায় এখন থেকে কোনও সংস্থা, সরকারি দফতর এবং ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি কীভাবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং তা প্রসেস করবে, তা নিয়ে বহুদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটল। শুধু তাই নয়, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির ১৮ বছরের নীচের কাউকে প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করার আগে সম্মতি নিতে হবে তাঁদের বাবা-মায়ের। সরকার অবশেষে ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদে পাস হওয়া ডিপিডিপি আইনের কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে।

    সম্মতিভিত্তিক কাঠামো

    জানা গিয়েছে, বহু প্রতীক্ষিত এই নিয়মগুলি একটি সম্মতিভিত্তিক কাঠামো নিশ্চিত করবে, যা সোশ্যাল মিডিয়া, ই-কমার্স, গেমিং, ব্যাংকিং, পেমেন্ট এবং সরকারি সেবা ব্যবহারের জন্য অনলাইনে যাওয়া ইউজারদের ডেটা সুরক্ষিত রাখবে। আইন ভাঙলে কোম্পানি ও সংস্থাগুলিকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে। গুরুতর ডেটা সুরক্ষা ব্যর্থতা ও লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি টাকার শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, কোনও তথ্য চুরি হলে কোম্পানিগুলিকে তা দ্রুত জানাতে হবে ইউজার এবং নয়া ডেটা প্রোটেকশন বোর্ডকে। তবে এই নিয়মগুলি ধাপে ধাপে কার্যকর করা হবে। বড় ধরনের ব্যাক-এন্ড পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করেই সরকার কোম্পানিগুলিকে সময় দিয়েছে ১৮ মাস (Digital Data)।

    ইউজারদের জানাতে হবে

    সরকার জানিয়েছে, কোনও তথ্য চুরি হলে তা অবিলম্বে ইউজারদের জানাতে হবে সহজ ভাষায়, যাতে চুরির ধরন ও সম্ভাব্য পরিণতি, সমস্যা সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপ, (Protection Law) এবং সহায়তার জন্য যোগাযোগের বিবরণ  স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা থাকে। সরকার আরও জানিয়েছে, এই আইন সাতটি মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই নীতিগুলি হল সম্মতি ও স্বচ্ছতা, উদ্দেশ্য-সীমাবদ্ধতা, ডেটা-সংযম, যথার্থতা, সংরক্ষণসীমা, নিরাপত্তা সুরক্ষা, এবং জবাবদিহি।

    উদারনীতির জন্য লবিং

    শিশুদের অনলাইন ডেটা সম্পর্কিত বিষয়ে, যেখানে বিগ টেক এবং অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলি উদারনীতির জন্য লবিং করে আসছিল, সেখানে নতুন আইন বাধ্যতামূলক করেছে যে ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের আগে কোম্পানিগুলিকে অবশ্যই যাচাইযোগ্য সম্মতি জোগাড় করতে হবে। তবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং রিয়েল-টাইম নিরাপত্তা—এ ধরনের অত্যাবশ্যক উদ্দেশ্যে কিছু সীমিত ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সহায়তা পাওয়ার পরেও আইনানুগ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে সম্মতি অবশ্যই আইনানুগ অভিভাবকের কাছ থেকে নিতে হবে। শিশুর ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য যাচাইযোগ্য পারিবারিক/অভিভাবকের সম্মতি পেতে, কোম্পানিগুলিকে উপযুক্ত প্রযুক্তিগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে (Digital Data)।

    ডেটা ফিডিউশিয়ারি

    নয়া নিয়মে স্পষ্টভাবে ডেটা ফিডিউশিয়ারি সম্পর্কে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নানা নাগরিক অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন তথ্য কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হবে, সেই বিষয়ে সম্মতি দেওয়া (Protection Law), তা প্রত্যাহার করা কিংবা সেই তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করার অধিকার দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি নেওয়া, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে তথ্য ব্যবহার এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির মতো মূল বাধ্যবাধকতাগুলি আইন প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে (Digital Data)।

  • Daily Horoscope 16 November 2025: ধর্মস্থানে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 16 November 2025: ধর্মস্থানে যেতে পারেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) যে কোনও কাজে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) স্ত্রীর কারণে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) শত্রুভয় কাটাতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে আরও বেশি।

    সিংহ

    ১) কাজের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ ঘটতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে পারবে না।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) আর্থিক টানাটানির যোগ।

    ২) কর্মস্থলে পদন্নোতির যোগ রয়েছে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল হবে।

    ২) ভ্রমণে গেলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) সতর্কতা অবলম্বন করুন সব কাজে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের উপদেশে কর্মে উন্নতি।

    ৩) অলসতা ত্যাগ করুন।

    মকর

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় শুভ ইঙ্গিত।

    ৩) বড়দের কথা মেনে চলুন।

    মীন

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভপ্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে একটু কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 510: “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী, আমার ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে”

    Ramakrishna 510: “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী, আমার ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুলাই
    কামিনী-কাঞ্চনত্যাগ ও পূর্ণাদি

    বিনোদ, দ্বিজ, তারক, মোহিত, তেজচন্দ্র, নারাণ, বলরাম, অতুল 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারের প্রতি— আচ্ছা, লোকের তিল তিল করে ত্যাগ হয়, এদের কি অবস্থা।

    “বিনোদ বললে, ‘স্ত্রীর সঙ্গে শুতে হয়, বড়ই মন খারাপ হয় (Kathamrita)।’

    “দেখো, সঙ্গ হউক আর নাই হউক, একসঙ্গে শোয়াও খারাপ। গায়ের ঘর্ষণ, গায়ের গরম!

    “দ্বিজর কি অবস্থা! কেবল গা দোলায় আর আমার পানে তাকিয়ে থাকে, একি কম? সব মন কুড়িয়ে আমাতে এল, তাহলে তো সবই হল।”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার? 

    “আমি আর কি?—তিনি। আমি যন্ত্র, তিনি যন্ত্রী। এর (আমার) ভিতর ঈশ্বরের সত্তা রয়েছে! তাই এত লোকের আকর্ষণ বাড়ছে। ছুঁয়ে দিলেই হয়! সে টান সে আকর্ষণ ঈশ্বরেরই আকষর্ণ।

    “তারক (বেলঘরের) ওখান থেকে (দক্ষিণেশ্বর থেকে) বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। দেখলাম, এর ভিতর থেকে শিখার ন্যায় জ্বল্‌ জ্বল্‌ করতে করতে কি বেরিয়ে গেল,—পেছু পেছু!

    “কয়েকদিন পরে তারক আবার এল (দক্ষিণেশ্বরে)। তখন সমাধিস্থ হয়ে তার বুকে পা দিলে (Kathamrita)— এর ভিতর যিনি আছেন।

    “আচ্ছা, এমন ছোকরাদের মতন আর কি ছোকরা আছে!”

    মাস্টার — মোহিতটি বেশ। আপনার কাছে দু-একবার গিয়েছিল। দুটো পাশের পড়া আছে, আর ঈশ্বরে খুব অনুরাগ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— তা হতে পারে, তবে অত উঁচু ঘর নয়। শরীরের লক্ষণ তত ভাল নয়। মুখ থ্যাবড়ানো।

    “এদের উঁচুঘর। তবে শরীরধারণ করলেই বড় গোল। আবার শাপ হল তো সাতজন্ম আসতে হবে। বড় সাবধানে থাকতে হয়! বাসনা থাকলেই শরীরধারণ।”

    একজন ভক্ত — যাঁরা অবতার দেহধারণ করে এসেছেন(Kathamrita), তাঁদের কি বাসনা — ?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) — দেখেছি, আমার সব বাসনা যায় নাই। এক সাধুর আলোয়ান দেখে বাসনা হয়েছিল, ওইরকম পরি। এখনও আছে। জানি কিনা আর-একবার আসতে হবে।

    বলরাম (সহাস্যে) — আপনার জন্ম কি আলোয়ানের জন্য? (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)— একটা সৎ কামনা রাখতে হয়। ওই চিন্তা করতে করতে দেহত্যগ হবে বলে। সাধুরা চারধামের একধাম বাকী রাখে। অনেকে জগন্নাথক্ষেত্র বাকী রাখে। তাহলে জগন্নাথ চিন্তা করতে করতে শরীর যাবে।

    গেরুয়া পরা একব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করিয়া অভিবাদন করিলেন। তিনি ভিতরে ভিতরে ঠাকুরের নিন্দা করেন, তাই বলরাম হাসিতেছেন। ঠাকুর অন্তর্যামী, বলরামকে বলিতেছেন — “তা হোক, বলুকগে ভণ্ড।”

  • India vs South Africa:  সব ছাপিয়ে প্রশ্নের মুখে ইডেনের ২২ গজ, রবিতেই শেষ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ?

    India vs South Africa: সব ছাপিয়ে প্রশ্নের মুখে ইডেনের ২২ গজ, রবিতেই শেষ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডেন টেস্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই পিচ নিয়ে প্রচুর জল্পনা হয়েছে। খেলা শুরু হতেই পিচ নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে উঠল। ম্যাচের যা পরিস্থিতি, তাতে রবিবার তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। ইডেন গার্ডেন্সের ২২ গজে ব্যাটারদের ‘অসহায়তা’ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পিচের মান নিয়ে। অনিল কুম্বলে, চেতেশ্বর পুজারাদের মতো বিশেষজ্ঞেরা বিরক্ত। ম্যাচের প্রথম দিনের খেলার পরই পিচের সমালোচনা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ। দু’দিনে পড়ল ২৬ উইকেট, সর্বোচ্চ রান ৩৯।

    ইডেনের পিচ নিয়ে বিরক্ত প্রাক্তনরা

    ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি এমন উইকেট তৈরি করেছেন, যেখানে খেলা পাঁচ দিনই গড়াবে। কিন্তু ম্যাচ বলছে অন্য কথা। সুজন দাবি করেছিলেন, স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করেছেন। ব্যাটার-বোলার সকলেই কিছু না কিছু সাহায্য পাবেন। দর্শকেরা উপভোগ্য টেস্ট ক্রিকেট দেখতে পাবেন চার-পাঁচ দিন ধরে। যদিও খেলার গতিপ্রকৃতি তা বলছে না। অসমান বাউন্স থাকা পিচকে বিপজ্জনক বললেন পুজারা। শনিবার চা বিরতির সময় পিচ নিয়ে আলোচনার সময় কিছুটা বিরক্ত মনে হল ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই পিচ ব্যাটারদের সাহায্য করছে না। আউটগুলো দেখলেই ব্যাটারদের অসহায়তা বোঝা যাবে। তাদের বিশেষ কিছু করার থাকছে না। বল কোন উচ্চতায় আসবে বোঝা যাচ্ছে না। কোনও বল লাফিয়ে উঠছে। আবার কোনওটা নেমে যাচ্ছে। পিচে বেশ কিছু ছোট ফাটল তৈরি হয়েছে। বল পড়ে প্রত্যাশার থেকে বেশি ঘুরছে।’’

    পিচ নিয়ে বিরক্তি দু’শিবিরেই

    পিচ নিয়ে বিরক্তি রয়েছে দু’শিবিরেই। প্রথম দিন চা বিরতির পর থেকেই ধুলো উড়তে শুরু করেছিল ইডেনের পিচে। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই ফাটল দেখা গিয়েছে। অসমান বাউন্সের সমস্যা তো রয়েছেই। খুশি নন কুম্বলেও। শনিবার বুমরার হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা একটা বলে জোর বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকেলটন। বড় আঘাত পেতে পারতেন তিনি। তা দেখে কুম্বলে বলেন, ‘‘পিচ কেমন আচরণ করবে বোঝাই যাচ্ছে না। এমন পিচ প্রত্যাশিত নয়। ভারতকে এখানে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে। আমার তো মনে হচ্ছে তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করাই কঠিন হবে বেশ। জয়ের লক্ষ্য ১৪০-১৫০ রানের বেশি হলে ভারতীয় দলকেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’’

    ইডেনের পিচে সমস্যায় ব্যাটাররা

    ঘরের মাঠে ভারতীয় দল কোনও সুবিধা পাচ্ছে না। ইডেন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮৯ রানেই অলআউট হয়ে গেল ভারতীয় দল। গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে বল হাতে জাদু দেখিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। আর শনিবার বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেন সাইমন হার্মার। তিনি মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সুবিধা করতে পারছেন না প্রোটিয়া ব্যাটারেরাও। জাডেজা, কুলদীপ, অক্ষরেরা বল ঘোরাচ্ছেন। বাউন্সও পাচ্ছেন! বল পিচে পড়ার পর কেমন আচরণ করবে বোঝা যাচ্ছে না। বাভুমা ছাড়া কেউ লড়াই করতে পারলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন ২৯ রানে। ৭৮ বলের ইনিংসে প্রমাণ করে দিলেন তাঁর রক্ষণ কতটা মজবুত।

    দায় এড়াতে পারবেন না সৌরভও

    দ্বিতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ৬৩ রানে। তাদের হাতে রয়েছে ৩ উইকেট। বাভুমারা সুবিধাজনক জায়গায় নেই ঠিকই। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে এই রানটা তোলাও কঠিন হতে পারে। শুভমন ব্যাট করতে না পারলে আরও কঠিন। স্বাভাবিক ভাবেই পিচের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে সিএবিকে। নিশ্চিত ভাবে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (ICC)। সিএবি-র সভাপতি হিসেবে দায় এড়াতে পারবেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। এখন একমাত্র ভারতের জয়ই ইডেনের মান বাঁচাতে পারে।

  • Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিন শনিবারই বিজেপি (Bihar Poll Victory) থেকে বহিষ্কার করা হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংকে (BJP)। বরখাস্ত করা হয়েছে বিজেপিরই এমএলসি অশোক আগরওয়ালকেও। শুক্রবারই প্রকাশিত হয় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ৮৯টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। তার পর শনিবারই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল দলের দুই নেতার ওপর।

    সাসপেনশান লেটার (Bihar Poll Victory)

    আরকে সিংকে সম্বোধন করে সাসপেনশান লেটারে লেখা হয়েছে, “আপনার কার্যকলাপ দলের বিরুদ্ধে। এটি দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে। দল এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং এটি দলের ক্ষতি করেছে।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “অতএব, নির্দেশ অনুসারে আপনাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং কেন আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপি সূত্রে খবর, সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল, সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন (Bihar Poll Victory)।

    দল বিরোধী কাজের অভিযোগ

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় চলতি মাসের ৬ এবং ১১ তারিখে। এর আগে অক্টোবর মাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে ভোটারদের অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা নেতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে জেডিইউয়ের অনন্ত সিং এবং বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর মতো বেশ কয়েকজন এনডিএ প্রার্থীও ছিলেন। সম্রাট বিহারের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।আরকে সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলবিরোধী মন্তব্য ও আচরণের জেরে বারবার ক্ষতি হয়েছে দলের। কাটিহারের মেয়র ঊষা আগরওয়ালকেও এই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিহার বিজেপির প্রধান অরবিন্দ শর্মা এদিন সকালে ওই তিন নেতার কাছে শোকজ-সহ বরখাস্তের নোটিশ পাঠান। সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে (BJP) তাঁদের আচরণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সংগঠনের ভাবমূর্তিরও (Bihar Poll Victory)।

  • Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসনের জেরে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির কুর্সিতে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে (Bihar Election) চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্নাতীত সাংগঠনিক দক্ষতা এবং এনডিএর সুশাসন বিহারে বিজেপির বিপুল জয়ের নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে আগের সব নির্বাচনী ফলের চেয়ে ঢের বেশি। শতাংশের বিচারে এই হার ৯০ এর ওপর। যে কোনও মানদণ্ডেই এটি একটি চমকপ্রদ সাফল্য। তবে বিহারের এই নির্বাচন মোটেই ছিল না নিছক কেক-ওয়াক। নীতীশ কুমার প্রায় দু’দশক ক্ষমতায় থাকার পর আরও একটি মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তাই রাজ্যজুড়ে ছিল প্রবল অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট হাওয়া। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী লড়াইয়ে এনডিএকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    চাণক্যের প্রস্তুতি (Bihar Election)

    বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার চার–পাঁচ মাস আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য অমিত শাহ। তিনি শুধু বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই নয়, এনডিএর জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছিলেন। জোট সঙ্গীদের বিশ্বাস এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ভিত মজবুত করে তুলতেই ওই বৈঠক করেছিলেন শাহ। তাঁর পদ্ধতিগত সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি এনডিএকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আরভি), উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির দলের সঙ্গে। নির্বাচনের ঢের আগেই এই জোট ঠিক করে ফেলেছিল আসনভিত্তিক জাতিগত সমীকরণের কাজ (Amit Shah)।

    ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক

    নির্বাচনের আগে শাহ জেলা পর্যায়ে অন্তত পাঁচটি সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন। ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক করেছিলেন আরও পাঁচটি। সব মিলিয়ে তিনি বিহারে জনসভা করেছিলেন ৩৫টি, করেছিলেন একটি রোড-শো-ও। প্রতিটি সফরেই তিনি কোর গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করেছিলেন, যাতে সার্বিক সমন্বয় ও স্বচ্ছতা বজায় থাকে (Bihar Election)। শাহ বুথ-স্তরের শক্তিশালী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেন, বুথকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই ভোট সর্বাধিক করার মূল চাবিকাঠি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি জোটকে জেডিইউ এবং চিরাগ পাসওয়ানের দলের মধ্যে থাকা প্রাথমিক বিরোধ কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করেছে (Amit Shah)। যদিও শাহ আর বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদে নেই, তবুও দল এখনও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁর পরামর্শের ওপর নির্ভর করে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা কিংবা দিল্লির কিংমেকারও আসলে তিনিই।

    এবার মিশন বেঙ্গল!

    এতদসত্ত্বেও এখনও মিশন সম্পূর্ণ হয়নি শাহের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কেরল ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে আক্রমণাত্মক প্রচারের কথা ঘোষণা করেছেন, তখন শাহ নিয়ে ফেলেছেন আরও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সেটি হল তৃণমূলের কবল থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্ত করা। শাহ যখন দলীয় সভাপতি ছিলেন, তখন ২০১৯ সালে বিজেপি এ রাজ্যে বিজেপি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ১৮টিতে। ২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপির আসনসংখ্যা বেড়েছিল পাঁচ গুণ। প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলার জঙ্গলরাজ খতম করার অঙ্গীকার করেছেন, তখন আসন্ন লড়াই আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Bihar Election)।

    শাহি ভূমিকা

    বিহারে এনডিএকে জেতানোর গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই শাহ টানা ১৯ দিন ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন এ রাজ্যে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তৃণমূলস্তরে লড়াইয়ের কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়নও করেন তিনি। যার জেরে বিহারে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একক বৃহত্তম দল হিসেবে (Amit Shah)। বিহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ভাবনা ছিল, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সেই ভাবনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে শাহ নির্বাচনের প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক খতিয়ে দেখেন। গ্রহণযোগ্য আসন-বণ্টন নির্ধারণ থেকে শুরু করে নারী শক্তি ও যুব শক্তির মাধ্যমে প্রো-ইনকামবেন্সি ওয়েভ তৈরি করা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহ।

    বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা

    শাহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমে জানান, পাটনায় টানা তিনদিন থাকার সময় তিনি তাঁর পুরো সময়সূচি খালি রেখে এমন সব বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাঁরা দলের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে আস্তিন গুটোচ্ছিলেন। তাঁর হস্তক্ষেপের জেরেই মাথা তুলতে পারেননি বিদ্রোহীরা। বরং যেসব আসনে বিদ্রোহীরা পথের কাঁটা হতে পারতেন, সেখানে বিজেপি আরও বেশি করে আসন জেতে (Bihar Election)। সেই সময় প্রায় ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী বিদ্রোহ করে দলবিরোধী কাজকর্ম করতে শুরু করেন। শাহ স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের সঙ্গে কৌশল ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন, এবং শেষমেশ সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্ত করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসেন। এর পুরো ক্রেডিটই প্রাপ্য শাহের (Amit Shah)। বিহারে শাহের টিমের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, “শাহ প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিদ্রোহীরা রাজি হন। এবং এটাই ছিল সেই বড় কারণগুলির একটি, যা বিজেপি এবং জেডিইউ প্রার্থীদের বাড়তি মাইলেজ দিয়েছিল (Bihar Election)।”

    রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “শাহের পদ্ধতির সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং উজ্জ্বল দিক হল, তিনি যেভাবে জেডি(ইউ) এবং এলজেপি(আরভি)-র মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ করেছেন এবং উভয় দলের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছে।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ইউনিটের পক্ষ থেকে শাহই ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি বিভাগীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছেন এবং কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন পূরণে।

    বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, বিহার বিজয়ের পর, এবং তার আগে যেভাবে তিনি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনও সামলেছেন, তা বিবেচনা করলে আবারও প্রমাণিত হয় (Amit Shah), শাহই বিহার এনডিএ এবং বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’। প্রতিটি নির্বাচনী কাজ তিনি যেভাবে মিশন মোডে পরিচালনা করেছেন, তা অসাধারণ। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বিরোধীদের বার্তা–প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে আঘাত হেনেছে। তাই পর্যুদস্ত হয়েছে মহাগঠবন্ধন (Bihar Election)।

  • Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    Caste Politics: জাতপাতের রাজনীতি নয়, বিহারে জয় এনডিএর সুশাসনেরই ফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন জাতপাতের রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছিল বিহারের রাজনীতি (Caste Politics)। তবে সেই এঁদো গলির সেই রাজনীতিকে ছাপিয়ে গিয়ে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বুঝিয়ে দিল, রাজ্যের উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন সুশাসন (Good Governance), যে সুশাসন দিয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। এই সুশাসনের ঝড়েই কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন।

    রাহুলের অস্ত্র ভোঁতা (Caste Politics)

    তার পরেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোটের অন্দরে। হারের দায় কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ‘ইন্ডি’ (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) জোটের নেতারা। রাজনীতির ময়দানে রাহুলকে প্রায় দেখাই যায় না বলে বিরোধীদের দাবি। বিহারে ভোট প্রচারে বেরিয়ে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। তারপর আর তাঁর পাত্তা পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের খবর, লাতিন আমেরিকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছে তিনি সেই সময় ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন।

    সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি

    কংগ্রেসের এই নেতা যখন বিদেশে দেশের গায়ে কালিমা লাগাতে ব্যস্ত (Caste Politics), তখন সপ্তাহের সাতদিনই চব্বিশ ঘণ্টা করে খেটে চলেছিলেন এনডিএর নেতা-কর্মীরা। এটি যদি বিহার ভোটে এনডিএর বিপুল জয়ের রুপোর কাঠি হয়, তবে সোনার কাঠিটি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসন। বিহারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৪টি জায়গায়। তিনি তাঁর প্রচার শুরু করেছিলেন জননায়ক কর্পূরী ঠাকুরের পৈতৃক গ্রাম সমস্তিপুর জেলা থেকে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরীকে ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়েছিল। এই জেলা থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে এনডিএর তরফে প্রধানমন্ত্রী বিহারবাসীকে এই বার্তা দেন যে, এনডিএ একটি পরিষ্কার, সৎ এবং প্রান্তিক মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল সরকার উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই গুণগুলি কর্পূরী ঠাকুরের সঙ্গে বেশ মেলে। তারই সুফল মিলেছে সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, সমস্তিপুর-সহ প্রধানমন্ত্রী যেসব জায়গায় প্রচার করেছেন, সেই সব জায়গায় ভোটদানের হার ছিল চোখ ধাঁধানো।

    এক্স ফ্যাক্টর!

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর এই বিপুল জয়ে কাজ (Caste Politics) করেছে আরও একটি ফ্যাক্টর। সেটি হল, বিজেপি সঠিক নির্বাচনী ইস্যুগুলিকে চিহ্নিত করে তুলে ধরেছে জনগণের দরবারে (Good Governance)। গত দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব কল্যাণমূলক কর্মসূচি, যেগুলি নারী, প্রবীণ এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহায় হয়ে উঠেছিল, সেগুলি মোদির প্রতি জনগণের ভরসা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিহারের জঙ্গলরাজের সঙ্গে সুশাসনের (এনডিএ জমানায়) তুলনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটাই ব্যাপক প্রভাব ফেলে ইভিএমে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের জমানা দেখা ভোটাররা তো বটেই, এনডিএর সুশাসন দেখা নতুন ভোটাররাও ভরসা করেছেন মোদির ওপর। তার জেরেই বিহারে জয়জয়কার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর।

    সুশাসনের ফিরিস্তি

    বস্তুত (Caste Politics), নির্বাচনী ময়দানে বিজেপি নেতাদের এই শানিত এবং দূরদর্শী আক্রমণের সামনে বিরোধীদের কার্যত অসহায় দেখিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব জনতা জনার্দনের এই আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে, জঙ্গলরাজ নয়, নয়া মহাগঠবন্ধনের সরকার রাজ্যবাসীকে উপহার দেবে সুশাসন (Good Governance)। বস্তুত, আরজেডি যে সুশাসন দিতে পারে, তা আদৌ বিশ্বাস করেননি ভোটাররা। আর তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে। বিজেপির একাধিক মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন প্রচারে বেরিয়ে এনডিএ জমানার সুশাসনের ফিরিস্তি দিয়েছেন, তখন জঙ্গলরাজের স্মৃতি ফিকে করে সুশাসনের আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মহাগঠবন্ধনের নেতারা। তেজস্বী নন, বিহারবাসী আস্থা রেখেছেন মোদির সুশাসনের ওপরই (Caste Politics)।

    সাংগঠনিক শক্তি

    সাংগঠনিক শক্তিও বিজেপির বিপুল জয়ের অন্যতম একটি স্তম্ভ। ভোটের আগে আগেও যখন বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দশা, তার ঢের আগেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়ে মহগঠবন্ধনকে মাত দিয়ে দেয় এনডিএ। ঘর গুছোতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলেছিলেন বিরোধীরা। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে এনডিএ বিহারবাসীর মনে এই বার্তা গেঁথে দিতে সক্ষম হয়েছিল যে, ‘হামারা সব এক হ্যায়’। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ (Good Governance) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন। দক্ষ হাতে পরিচালনা করেছিলেন নির্বাচনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড। তৃণমূলস্তরে প্রচার পরিচালনার জন্য দেশজুড়ে ৯০০ জনেরও বেশি প্রবীণ নেতাকে মোতায়েন করা হয়েছিল মাস দুয়েক ধরে। স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রতিটি ভোটারের  দুয়ারে। এসবের পাশাপাশি সংঘের প্রচ্ছন্ন সমর্থনের ফসলও কুড়িয়েছে বিজেপি।

    নির্বাচনী ফলের বার্তা

    বিহারের এই নির্বাচনী ফল থেকে এটা স্পষ্ট যে বিহারে অবসান হয়েছে জাতপাতের রাজনীতির যুগ। যার জেরে আরজেডির গড় বলে খ্যাত রাঘোপুর আসনে জিততে নাকানিচোবানি খেতে হয় যাদবকুলোদ্ভূত তেজস্বীকে (Caste Politics)। এই যাদব বংশেরই তেজস্বীর দাদা তেজপ্রতাপও আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে নিজে দল গড়েও ডুবেছেন স্বখাত সলিলে। এসবের একটাই অর্থ, জাতপাতের রাজনীতির পাঁকে আর না জড়িয়ে বিহারবাসী বেছে নিয়েছেন সুশাসন এবং উন্নয়নের রাজনীতি (Good Governance)।

    এই রাজনীতির জেরেই বিহারের প্রত্যন্ত এলাকায়ও ফুটবে উন্নয়নের পদ্মফুল (Caste Politics)।

  • Maithili Thakur: মৈথিলী ম্যাজিকে মাত! সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক, তাঁর হাত ধরেই আলিনগরে প্রথমবার জয়ী বিজেপি

    Maithili Thakur: মৈথিলী ম্যাজিকে মাত! সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক, তাঁর হাত ধরেই আলিনগরে প্রথমবার জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৈথিলী ম্যাজিকে বুঁদ হয়ে রয়েছে আলিনগর। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়েই জিতলেন বিহারের সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর (Maithili Thakur)। তাঁর হাত ধরে আলিনগর কেন্দ্রে প্রথমবার জয়ী হল বিজেপি। ১১ হাজারেও বেশি ভোটে আরজেডি প্রার্থীকে হারিয়েছেন তরুণী গায়িকা। মাত্র ছ’বছর বয়সেই গানের তালিম শুরু করেছিলেন মৈথিলী ঠাকুর। তারপর বিহারের ঐতিহ্যবাহী পল্লিগীতি, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে হারমোনিয়াম ও তবলা বাজানোতেও অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন মধুবনীর এই শিল্পী। এবার রাজনীতিতে ঢুকে প্রথম প্রতিযোগিতাতেই নজর কাড়লেন তিনি। শুধু বিহার নয়, বর্তমানে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়কও মৈথিলি ঠাকুর। ২০০০ সালের ২৫ জুলাই জন্ম মৈথিলির। তিনি দেশের প্রথম জেন জি বিধায়ক।

    মৈথিলী ম্যাজিক আলিনগরে

    মুসলিম ভোটের দৌলতে ২০০৮ সাল থেকেই আলিনগর কেন্দ্রে মহাগঠবন্ধন জয় পেয়ে এসেছে। এবার সেই আসনে জয় পেল বিজেপি। আর সেটা উচ্চবর্গীয় ঠাকুর সম্প্রদায়ের মৈথিলীর হাত ধরেই। মৈথিলীকে নিয়ে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। দেশে-বিদেশে নানা অনুষ্ঠানের ডাক তো বটেই, একইসঙ্গে ফেসবুক-ইউটিউবে তাঁর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার লক্ষ ছাড়িয়েছে। এহেন এক জনপ্রিয় শিল্পীকে ভোটের লড়াইয়ে নামিয়ে বিজেপি যে কোনও ভুল করেনি সেটাই প্রমাণিত হল। লোকসঙ্গীতের পরিচিত মুখ মৈথিলী ঠাকুর যখন রাজনীতিতে নামেন, তখন অনেকেই তাঁকে ‘নতুন মুখ’ হিসেবে দেখেছিলেন। কিন্তু ফলিত ভোটের ধারা বলছে অন্য গল্প। তিনি ২০২৫ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন এবং আরজেডি–র প্রবীণ নেতা বিনোদ মিশ্রকে ১২ হাজারেও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন। তিনিই বিহারের সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক।

    মৈথিলীর বড় হওয়া

    ২৫ জুলাই ২০০০ সালে বিহারের মধুবনীতে জন্ম মৈথিলীর, সঙ্গীত-সমৃদ্ধ পরিবারে বড় হয়ে ওঠা। বাবা ও দাদুর কাছে শেখা শাস্ত্রীয় ও লোকসঙ্গীত। মাত্র ১১ বছর বয়সে সা রে গা মা পা জুনিয়র প্রতিযোগিতা ও ১৫ বছর বয়সে ইন্ডিয়ান আইডলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম নজর কাড়েন মৈথিলী। এবার রাজনীতির ময়দানেও তিনি নজর কাড়লেন। ছেলেবেলায় তাঁকে নিয়ে সঙ্গীতের ভালো তালিমের জন্য পরিবার দিল্লির দ্বারকায় চলে গিয়েছিল। ২০১৭ সালের টিভি রিয়্যালিটি শো ‘রাইজিং স্টার’-এ রানার-আপ হয়ে মৈথিলী পরিচিতি পান। ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে মধুবনীর অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তিনি আগেই অটল মিথিলা সম্মান পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২১ সালে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে তাঁকে লোকমাত সুর জ্যোৎস্না জাতীয় সংগীত পুরস্কার দেওয়া হয়। বিধায়ক হয়ে এবার তাঁর লক্ষ্য মধুবনী শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

    গানে গানে উদযাপন

    বিহারে (Bihar Election Result) সুনামি এসেছে। গেরুয়া সুনামি। আরও শক্তি বাড়িয়ে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি-জেডিইউ জোট। আর সেই পালে ভর দিয়েই প্রথমবার জিতলেন মৈথিলী। সঙ্গীত জীবনে একাধিক মাইলফলক স্পর্শ করার পর মৈথিলী ঠাকুর এবার রাজনৈতিক অঙ্গনে এক প্রতিশ্রুতিময় পথচলার দিকে এগোচ্ছেন। ভোটের ময়দানে তিনি নবজাতক। জয়ের পর মৈথিলী বলেন,  ‘এটা স্বপ্নের মতো। আমার কাছ থেকে মানুষের অনেক প্রত্যাশা আছে। বিধায়ক হিসাবে এটি আমার প্রথম মেয়াদ হবে এবং আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আমি আমার এলাকাবাসীর ঘরের মেয়ে হয়ে তাঁদের সেবা করব। আমি এই মুহূর্তে শুধু আলিনগরকেই দেখতে পাচ্ছি এবং কীভাবে সেখানে কাজ করব সেই ভাবনাচিন্তা করছি’।  মৈথিলী নিজে গায়িকা। ভজন গান। তাই গানে গানে এখন তাঁর জয় সেলিব্রেট করছে বিহার।

LinkedIn
Share