Tag: pakistan

pakistan

  • Sindh: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    Sindh: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ অগাস্ট কালো দিন পালন করলেন বালোচ ও সিন্ধের (Sindh) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। এঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরাও। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ অগাস্ট। এদিনই ইংল্যান্ডবাসী দেখলেন এই প্রতিবাদ আন্দোলন। সিন্ধ বালোচ ফোরামের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। সেদিন তারা বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশকে জোর করে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে। তারই প্রতিবাদে এদিন মিছিল হয়েছে।

    প্রতিবাদ মিছিল

    প্রতিবাদ মিছিলে (Sindh) শামিল হওয়া বাসিন্দারা এদিন ট্রাফালগার স্কোয়ার থেকে হেঁটে যান ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত। এই ডাউনিং স্ট্রিটেই থাকেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এদিন সিন্ধ বালোচ ফোরামের তরফে প্রতিবাদীরা প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেন। তাতে বলা হয়েছে, হাজার হাজার বালোচ এবং সিন্ধবাসীর জীবন রক্ষা করুন ব্রিটেনের রাজা। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর প্রতিবাদীরা যান পার্লামেন্ট স্কোয়ারের দিকে। এখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের নেতারা। বক্তৃতা দেন ওয়ার্ল্ড সিন্ধ কংগ্রেস এবং বালোচ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের নেতারা। ছিলেন বিভিন্ন মানবাধিকার কমিশনের কর্তারাও।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বালুচিস্তান এবং সিন্ধ প্রদেশে পাকিস্তান যে নিত্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে, এদিন সেই অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পাকিস্তানের (Sindh) নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে দমন করা হচ্ছে তাঁদের প্রতিবাদী আন্দোলন। বালোচ এবং সিন্ধ প্রদেশে যে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, সে ব্যাপারেও সোচ্চার হন তাঁরা। পাক সরকার বালোচ ও সিন্ধ ভাষাকে দমন করার চেষ্টা করছে। বদলে দিতে চাইছে বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

    আরও পড়ুুন: দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

    পাকিস্তানের ধর্মও চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সিন্ধ প্রদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জোর করে বিয়ে এবং ধর্মান্তকরণের জন্যও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সিন্ধ এবং বালোচ রয়েছেন ১৯ মিলিয়ন। অথচ সিন্ধের প্রধান ভাষা বালোচ নয়। জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে ধর্মও। পাকিস্তানের এহেন আচরণেই ক্ষিপ্ত বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দারা। পাকিস্তানের কবলমুক্ত হতে চান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: ৯ অগাস্ট পার্লামেন্ট ভাঙার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের, চলতি মাসেই ভোট-ঘোষণা পাকিস্তানে?

    Pakistan: ৯ অগাস্ট পার্লামেন্ট ভাঙার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের, চলতি মাসেই ভোট-ঘোষণা পাকিস্তানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। জানা গিয়েছে, আগামী ৯ অগাস্ট সেদেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। পাকিস্তানের সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দেশের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরেই সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। চলতি মাসে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে বলে অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।  

    সম্প্রতি পালার্মেন্টের সদস্যদের এক নৈশভোজে এমন ঘোষণা করেন শেহবাজ

    পাকিস্তানের (Pakistan) বেশ কিছু সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পার্লামেন্টের সমস্ত সদস্যদের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। দিনকয়েক আগেই ১৪ অগাস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিন শেহবাজ শরিফ পদত্যাগ করবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে এদিনের ঘোষণার পরে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে না বলেই মনে করছে সেদেশের (Pakistan) রাজনৈতিক মহল। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরও কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারবেন শেহবাজ শরিফ। তবে নতুন কোনও আইন পাশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারবেন না। 

    ৯ অগাস্ট পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানাবেন শেহবাজ

    সূত্রের খবর চলতি মাসের ৯ তারিখে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দলিলের সই করবেন প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানের (Pakistan) সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি যদি সই না করেন তাহলেও আইন অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে।  এ নিয়ে সে দেশের জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ডন’-কে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর শেহবাজ শরিফ। সেখানে তিনি বলেন সর্বশেষ জনগণনার ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়া উচিত। যদি না কোনও সমস্যা থাকে।  অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Pakistan) সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খান। শেহবাজ শরিফ সংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনও দাবি করেছেন যে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা সামাল দিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড’ এর সঙ্গে ইতিবাচক চুক্তি করতে পেরেছেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনা বাহিনীতে (Indian Army) পাকিস্তানি চর নিয়োগ মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে জানাল সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ওবিসি সার্টিফিকেট কারচুপি করে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে কাজ করছেন এমন চারজনের হদিশ মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে এমন বেশ কিছু নথি তাঁদের কাছে রয়েছে। এমনকী, শংসাপত্রে এসডিও-র সইও রয়েছে। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে এ বিষয়ে এফআইআর দায়ের করে দ্রুত তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশেই বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখেছিল সিবিআই। 

    আদালতে সিবিআই-এর দাবি

    আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই অভিযোগের গুরুতর ভূমিকা রয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারত সহ অন্য রাজ্য থেকে জাল নথি দিয়ে বাহিনীতে নিয়োগ হচ্ছে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ও জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, মহকুমা শাসকের সই করা সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, অথচ তিনি তা স্বীকার করছেন না। শুধু ডোমিসাইল নয় এমন প্রার্থীদের ওবিসি সার্টিফিকেটও দিয়েছেন মহকুমা শাসক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এখনও এমন নিয়োগের চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধু এই রাজ্য নয়, প্রতিবেশী রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এই ধরনের কার্যকলাপের হদিশ পাওয়া গিয়ছে। সিবিআই আদালতকে বলেছে, ‘এখনও অবধি কোনও বিদেশি নাগরিকের এইভাবে চাকরি পাওয়া হদিশ না পাওয়া গেলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। এটা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদের কারণ।’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    এ প্রসঙ্গে বুধবার বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, এই রাজ্য সীমান্তবর্তী হওয়ায় কম নম্বরের মাধ্যমে এখানকার বাহিনীতে নিয়োগের একটা সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিন্‌রাজ্যের নাগরিকেরা জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে, চক্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়ছেন। দ্রুত তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যত দিন না সিবিআই এই তদন্তের রিপোর্ট দিচ্ছে, তত দিন মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে রাজ্যের পুলিশ। 

    সেনাবাহিনীতে পাক নাগরিক!

    ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সত্যিই পাকিস্তানি নাগরিক আছেন কি না, থাকলেও কী ভাবে এলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই সিআইডিকে প্রাথমিক ভাবে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইকেও বিষয়টি দেখতে বলেন। আদালতের বক্তব্য ছিল, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সব সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সেনাছাউনিতে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের নাম জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুম্ন কুমার। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। এই ঘটনায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থৈতিক হাল ভালো নয়। ধার দেনা করে সরকার চালাতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের (India-Pakistan) সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ সহ নানা বিষয়ে শত্রুতা বাড়িয়ে আখেরে লাভ হবে না সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তবে, পাক প্রধানমন্ত্রী আলোচনার প্রস্তাব দিলেও এই নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের এক টেবিলে বসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

    আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান

    ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশ যদি চায় তাহলে যে কোনও বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের (India-Pakistan) আলোচনায় বসতে কোনও সমস্যা নেই। প্রথম থেকেই আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছি। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনও প্রকার ক্ষোভ নেই। আমাদের সমস্যা আমাদেরই মেটাতে হবে। আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার। যুদ্ধ দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় না। আলোচনা অনেক পথ খুলে দেয়। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি।” 

    ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ মানে বিপদ

    আসলে ভারতের সঙ্গে আরও একটা যুদ্ধ মনে পাকিস্তান শেষ হয়ে যাবে। সেটা জানেন শাহবাজ শরিফ। তাই উল্টো সুর গাইতে হচ্ছে তাঁকে। আসলে যতই তিনি আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের কথা বলুন না কেন, পাক সরকার আজও কিন্তু জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি কিন্তু উচ্চ বাচ্চা করেননি। তবে ভারতের (India-Pakistan) মতো শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়াটা এই মুহূর্তে বোকামি হবে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি বলেছেন, “গত ৭৫ বছরে ভারতের সঙ্গে আমাদের তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সেই যুদ্ধের কুফল ভোগ করতে হয়েছে উভয়পক্ষকে। দুই দেশেই বেড়েছে দারিদ্রতা বেকারত্ব। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সম্পদের। অতীতের ভুল থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভারতের মতো পাকিস্তানও পরমানবিক ক্ষমতা ধর দেশ। এই ক্ষমতা আগ্রাসন প্রকাশের জন্য নয়। দেশকে সুরক্ষিত করার কারণে তা করা হয়েছে। আমরা সবাই জানি একটা পারমাণবিক যুদ্ধ কতটা ভয়ংকর হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: “ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে”, বললেন ডোভাল

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিপাকে পড়েই এখন মুখে শাস্তির কথা বলছে পাকিস্তান। বর্তমানে দেউলিয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। তাছাড়া এর আগেও একবার নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছিলেন শরিফ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাক সেনার চাপে বয়ান বদল করেন তিনি। ভারতও এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত। উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ইসলামাবাদকে সেনা সরানোর হুঁশিয়ারি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাস হতে চলল। এখনও নেভেনি উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরের (Manipur) অশান্তির আগুন। এই অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢেলে চলেছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই দুই দেশ নেপালের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্র, জোগাচ্ছে প্রয়োজনীয় অর্থও।

    মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে অস্ত্র, অর্থ

    মায়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারও নিয়ন্ত্রণ করছে ওই দুই দেশের ‘এজেন্ট’রা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, অশান্তির আগুনে ইন্ধন জোগাতে নেপালি ব্যবসায়ীদের কাজে লাগাচ্ছে চিন। এজন্য শি জিনপিংয়ের দেশ নিয়োগ করেছে সে দেশের সিক্রেট সার্ভিসকে। এরাই জোগাচ্ছে অর্থ। মণিপুরে সন্ত্রাসবাদী এবং অস্ত্র অনুপ্রবেশের কাজটিও সুচারুভাবে করতে পাকিস্তান ও চিন ব্যবহার করছে নেপালকে।

    ‘আর একটা কাশ্মীর’

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মণিপুর (Manipur) থেকে উদ্ধার হয়েছে চিনা অস্ত্র। যার অর্থ, বেশ কিছুদিন ধরে মায়ানমারকে ভায়া করে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বেজিং। ২৬ জুলাই মোর্চ এলাকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়িতে। এই ঘটনায় মায়ানমারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। এই এলাকায় মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই চিনে তৈরি। মণিপুরকে ‘আর একটা কাশ্মীর’ বানাতে চেয়েছে ভারতের চির শত্রু ওই দুই দেশ।

    মণিপুরে অশান্তি জিইয়ে রাখার পিছনে চিন ও পাকিস্তানের অতি-সক্রিয়তার কারণ এই মণিপুর দিয়েই সাউথ এশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। নিত্য অশান্তি লেগে থাকলে ভারত সরকার যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কোনও উন্নয়ন করেনি, তা ফলাও করে বলতে পারবে। যদিও তথ্য বলছে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে যে চিনের হাত রয়েছে, তা দাবি করেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানেও। তিনি বলেন, “অস্থিরতা সৃষ্টি করতে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় জড়িত একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে বেজিং। সীমান্ত রাজ্যগুলিতে এই অস্থিরতা বৃদ্ধি দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।” নারাভানে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করে আসছে চিন। এখনও জারি রেখেছে সেই সাহায্য।” শান্তি ফেরাতে প্রশাসন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন সেনাকর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Pakistan: হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করল পাক মুসলমান যুবক!

    Pakistan: হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করল পাক মুসলমান যুবক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে ধর্মান্তরণের ঘটনা। এবং এবারও ঘটনাস্থল সেই পাকিস্তান (Pakistan)। অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হওয়া সত্ত্বেও চলছে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা। জানা গিয়েছে, এক হিন্দু ব্যবসায়ীর তিন মেয়েকে অপহরণ করে একজন মুসলমান। পরে তাঁদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় অপহরণকারীকে। ওই তিন মহিলাকে দীক্ষিত হতে হয় ইসলাম ধর্মে।

    ইসলাম ধর্মে দীক্ষা

    পাকিস্তান হিন্দু সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঢারকি এলাকায় বাস করেন হিন্দু ব্যবসায়ী লীলা রাম। দিন কয়েক আগে তাঁরই তিন মেয়েকে অপহরণ করে এক দুর্বৃত্ত। বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় তাকে। পরে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেওয়া হয় তাঁদের। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তানের হিন্দু সংগঠন দারাওয়ার লেটহ্যাড। অপহরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে তিন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে এবং ধর্মান্তরিত করার তীব্র প্রতিবাদও করেছে ওই সংগঠন।

    হিন্দু সংগঠনের প্রতিবাদ

    সংগঠনের (Pakistan) তরফে শিব কাচ্চি বলেন, “ধর্মান্তরিত করেছেন একজনই। তাঁর নাম পির জাভেদ আহমেদ কোয়ারদি। পরে তিন মহিলাকে ওই মুসলমানকে বিয়ে করতে হয়।” সংগঠনের অভিযোগ, তাদের তরফে বারংবার জোর করে ধর্মান্তরনের প্রতিবাদ জানানোর পরেও হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না।

    কাচ্চি জানান (Pakistan), লীলা রামের তিন মেয়েকে বিয়ে করেছে একজনই। সে-ই এঁদের অপহরণ করেছিল। সীমা হায়দরের ঘটনার পরে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সীমা হায়দর চার সন্তানের জননী। ভারতের শচিন মিনার সঙ্গে থাকবেন বলে ভারতে চলে আসেন। তার পর থেকেই পাকিস্তানে বেড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। পাকিস্তানে সব চেয়ে বড় সংখ্যালঘু হলেন হিন্দুরা। এঁদের সিংহভাগই থাকেন সিন্ধ প্রদেশে। সেখানেই তাঁরা তাঁদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষা শেয়ার করেন মুসলমান প্রতিবেশীদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    সিন্ধ প্রদেশে এই ঘটনা এই প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই উমেরকোট শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বিবাহিত এক হিন্দু মহিলাকে। তাঁকেও ধর্মান্তরিত হতে চাপ দেওয়া হয়। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। গত (Pakistan) বছরের জুন মাসেও করিনা কুমারি নামে এক তরুণী আদালতে জানিয়েছিলেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়, পরে দীক্ষিত করা হয় ইসলাম ধর্মে। গত বছরের মার্চ মাসে সাতরণ ওদ, কবিতা ভিল এবং অনিতা ভিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আটদিনের মধ্যে তাঁদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে বাধ্য করে তিন মুসলমান যুবক।

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Imran Khan: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের?

    Imran Khan: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইফার গেট কেলেঙ্কারি মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সুপ্রিমো ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আশিফ শুক্রবার জানান, তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি উন্মোচন করে জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছেন বলে অভিযোগ।

    সাইফার কী

    দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, সাইফার হল একটি সরকারি শ্রেণিবদ্ধ নথি, যেটি কখনও প্রকাশ যায় না বা কারও সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। পাক সংবিধানের ৬ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধানের ওপর ৬ নম্বর ধারা প্রয়োগ হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।” প্রসঙ্গত, ইমরানের এক পদস্থ প্রাক্তন সহযোগী সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের দূত ওয়াশিংটনকে যে সাইফার পাঠিয়েছিলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে, ইমরান তাকে হাতিয়ার করেছেন রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে।

    সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক আগের দিনই সে দেশের আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারারও প্রায় একই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি নথি প্রাকাশ্যে এনে জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগ রয়েছে ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর জেল হবে। ইসলামাবাদে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী বলেন, ইমরান সাইফারকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ক্ষোভ উগরে দিলেন হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা, কেন?

    এ বিষয়ে পাকিস্তান ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তাঁকে তলবও করেছিল। তিনি বলেন, “সাইফারকে নির্বিচারে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছিলেন ইমরান খান। এটা তৎকালীন মুখ্যসচিব আজম খানের স্বীকারোক্তি থেকেই স্পষ্ট।” তাঁর দাবি, তিনি যখন সরকারি এই নথি নিয়ে ইমরানের (Imran Khan) সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, তখন ইমরান উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি একে আমেরিকার ভুল বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে যদি গোপন নথিটি প্রকাশ করা হয় এবং নিজের স্বার্থে তার বিষয়বস্তু ফাঁস করা হয়, তবে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ইমরানের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    Jammu & Kashmir: ভারত সরকারের মাইনে নিয়েও রেখেছিলেন জঙ্গি-যোগ, ভূস্বর্গে বরখাস্ত তিন কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করছেন ভারত সরকারের। ফি মাসে মাইনে বাবদ নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকাও। অথচ নিয়মিত পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) তিন সরকারি কর্মী। জঙ্গি-যোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিন কর্মীকে। যে তিনজনকে বরখাস্ত করার কথা জানা গিয়েছে সোমবার, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক ফাহিন আসলাম, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল আরশিদ আহমেদ থোকের এবং রাজস্ব দফতরের আধিকারিক মুরুয়া হুসেন মির।

    বরখাস্তের কারণ

    জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা তাঁদের বরখাস্ত করেন। সংবিধানের ৩১১ (২)(সি) ধারায় বরখাস্ত করা হয়েছে ওই তিনজনকে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিলেন ওই তিনজন। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের রসদ সরবরাহ, জঙ্গিদের মতাদর্শ প্রচার এবং জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজও করছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের।

    কে এই ফাহিম?

    জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jammu & Kashmir) ফাহিমকে যে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য তাঁর কোনও ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি, হয়নি পুলিশ ভেরিফিকেশনও। কোনও বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি। এহেন ফাহিমই উপত্যকায় জঙ্গিবাদের মূল প্রচারক। ২০০৮ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হয় ফাহিমকে। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। প্রথমে তাঁকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। গিলানি ঘনিষ্ঠ ফাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কাশ্মীরি আর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী ইয়াসিন মালিকের। এই ইয়াসিনকে এনআইএর স্পেশাল কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁকে।  

    আরও পড়ুুন: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উপত্যকায় ফাহিম জঙ্গিদের (Jammu & Kashmir) হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। ২০০৮, ২০১০ ও ২০১৬ সালে যে হিংসাত্মক আন্দোলন হয় উপত্যকায়, তার আয়োজক ছিলেন ফাহিমই। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হত, তারও মূল মাথা ছিলেন তিনিই। কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহিত হয়েছে ৩৭০ ধারা। তারপর থেকে একটু একটু করে শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে। এমতাবস্থায়ও ফাহিম পড়ুয়াদের মধ্যে বপন করে যাচ্ছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতার বীজ। জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে তাঁর কার্যকলাপ বিপজ্জনক বলেও দাবি প্রশাসনের।

    এদিকে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফের ব্যর্থ করে দেওয়া হল অনুপ্রবেশ। রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত পুঞ্চে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালালে মৃত্যু হয় দুই অনুপ্রবেশকারীর। প্রসঙ্গত, ১০ জুলাইও রাজৌরি সেক্টরে নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি করে মারে এক অনুপ্রবেশকারীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    Attack on Pak Hindu Temple: পাকিস্তানে পরপর ভাঙা হল দুই মন্দির! বুলডোজারের পর রকেট হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত হিন্দু মন্দির (Attack on Pak Hindu Temple)। গত ২৪ ঘণ্টায় সিন্ধ প্রদেশে দু’টি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতেই পাকিস্তানের করাচিতে একরকম নিঃশব্দে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি হিন্দু মন্দির। মারি মাতার সেই ১৫০ বছর পুরনো মন্দিরটি ভেঙে শপিং কমপ্লেক্স উঠবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ফের পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় এলাকায় ধ্বংস করা হল আরও একটি হিন্দু মন্দির! এবার রীতিমতো রকেট হামলা চালিয়ে ভাঙা হয়েছে মন্দিরটি (2 Hindu Temples)।

    মন্দিরে রকেট হামলা

    সিন্ধ প্রদেশের কাশমোড় অঞ্চলে রবিবার সকালে একদল দুষ্কৃতী রকেট লঞ্চার নিয়ে আক্রমণ শানায় একটি হিন্দু মন্দিরে (Attack on Pak Hindu Temple)। ওই  এলাকায় বহু সংখ্যক হিন্দু পরিবারের বাস। যে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে বছরে একবার করে পুজো দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, রবিবার দুষ্কৃতীরা একেবারে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে মন্দির চত্বরে এবং রকেট হামলায় মন্দির ধ্বংস করে। ঘটনাচক্রে সে সময়ে মন্দিরটি বন্ধ ছিল বলে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। মন্দির সংলগ্ন হিন্দু জনবসতির উপরও নির্মম অত্যাচার ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত-ফ্রান্স বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’, মোদির সঙ্গে সেলফি পোস্ট আপ্লুত মাক্রঁর

    সিন্ধের ঘটনায় (Attack on Pak Hindu Temple) এখনও কাউকে ধরা যায়নি। মোট ৯ জন বন্দুকবাজ জড়িত ছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। স্থানীয় হিন্দুদের বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, কারও ক্ষতি না হলেও, এই হামলার জেরে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা আতঙ্কিত। পুলিশের কাছে স্থানীয়দের সুরক্ষারও আবেদন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী তথা বাগরি সম্প্রদায়ের সদস্য ডাঃ সুরেশ জানান, ‘ডাকাত দলের প্রত্যেকের হাতে ছিল বন্দুক। রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে মন্দির ধ্বংস করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাতে ওই ডাকাতদল সফল হয়নি। কারণ, রকেট লঞ্চারটি কাজ করেনি। তার ফলে বড় কোনও বিপদ ঘটেনি।’

    করাচিতে ধ্বংস ১৫০ বছরের পুরনো মন্দির

    অন্যদিকে, করাচির সোলজার বাজারে অবস্থিত ১৫০ বছরের মারি মাতার মন্দিরের (Attack on Pak Hindu Temple) জমি শপিং প্লাজার এক প্রোমোটারকে চড়া দামে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাক সরকারের বিরুদ্ধে। সেই মতোই শুক্রবার মধ্যরাতে বুলডোজার এনে মন্দির ভাঙা শুরু হয়ে যায়। পুলিশ ছিল ঘটনাস্থলেই। তবে অভিযোগ, বাধা দেওয়া দূরের কথা, দাঁড়িয়ে দেখেছে তারা। এই মন্দিরে আগেও ঝামেলা হয়েছে। গত বছরের জুনেই এই মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের খবর মিলেছিল। ওই মন্দিরের পুরোহিত রাম নাথ মিশ্র জানান, ‘প্রথমে স্থানীয় কর্তপক্ষ বলেছিল মন্দিরের মূল দ্বার ও একটি দেওয়াল ভাঙা হবে। কিন্তু লোডশেডিং করে পুরো মন্দির গুঁড়িয়ে দিল ওরা। ১৫০ বছর ধরে এই মন্দির রয়েছে। বহু ভক্ত সমাগম হয়। আসলে অনেকটা অংশ জুড়ে এই মন্দির। যা ভুয়ো কাগজ বের করে বানিজ্যিক সংস্থাকে বেচে দেওয়া হয়েছে। মন্দির পুরানো হয়ে গিয়েছে, বিপজ্জনক বলে এভাবে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া অনুচিত। আশা করব প্রশাসন প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেবে।’ উল্লখ্য, পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের কাছে হিন্দু সংগঠনগুলি সুবিচারের দাবি জানিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Uttar Pradesh: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    Uttar Pradesh: ভারতের ‘নুন’ খেয়ে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ধৃত উত্তর প্রদেশের যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের খেয়ে আক্ষরিক অর্থেই বনের মোষ তাড়াচ্ছিলেন তিনি। ভারতের খেয়ে তথ্য পাচার করছিলেন পাকিস্তানে (Pakistan)। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) চরবৃত্তি করার অভিযোগে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এক যুবককে গ্রেফতার করল এটিএস। মহম্মদ রইস নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিলেন ওই যুবক।

    দেশের বুকে ছুরি

    ভারতের ক্ষতি করার চেষ্টা অবশ্য এই প্রথম নয়। কেউ কোনও পাক সুন্দরীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে আইএসআইকে তুলে দিয়েছেন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য। কেউ আবার টাকার বিনিময়ে ছুরি মেরেছেন দেশের বুকে। এটিএস সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের গোন্ডা জেলার (Uttar Pradesh) তারাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন মুম্বই। সেখানে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আরমান নামের এক যুবকের। পুলিশি জেরায় রইস জানিয়েছেন, আরমানই তাঁকে প্রলোভিত করেছিলেন চরবৃত্তিতে।

    গুপ্তচরবৃত্তির প্রস্তাব

    উত্তর প্রদেশের ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি আরমানকে আরব আমিরশাহিতে চাকরি খুঁজে দিতে বলেছিলেন। তখন আরমান তাঁকে আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার প্রস্তাব দেয়। তার বিনিময়ে মোটা টাকা মিলবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল আরমান। সে এও জানিয়েছিল, তাকে কিছু করতে হবে না। সে নিজেই রইসের নম্বর আইএসআইয়ের এজেন্টদের দিয়ে দেবে। তারাই যোগাযোগ করে নেবে। ২০২২ সালে ভিন দেশের একটি নম্বর থেকে (Uttar Pradesh) ফোন আসে রইসের কাছে। ফোনের অন্য দিকে থাকা মানুষটি জানিয়েছিল, তার নাম হুসেন। সে পাকিস্তানি গুপ্তচর। রইসকে ভারতীয় সামরিক সেনাঘাঁটিগুলি সম্পর্কে তথ্য চালান করার দায়িত্ব দিয়েছিল হুসেন। এজন্য রইসকে ১৫ হাজার টাকাও পাঠানো হয়। তার পরেই কয়েকজন বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে রইস তথ্য পাচার করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: সিবিআইয়ের নজরে ১৪টি পুরসভা! পুর দুর্নীতির আড়ালে কীসের আঁচ?

    উত্তর প্রদেশের বিশেষ ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, “রইস নামের এক যুবককে এটিএস গ্রেফতার করেছে। তিনি গোন্ডার বাসিন্দা। তাঁকে এটিএস দফতরে তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।”

    পাকিস্তানে তথ্য পাচারের অভিযোগে দিন কয়েক আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ডিআরডিও বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকর। মহারাষ্ট্রের এটিএস গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। তিনি অবশ্য টাকা নয়, প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে  তথ্য পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর রইসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তথ্য পাচার করেছেন টাকার লোভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share