Tag: pakistan

pakistan

  • Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্ত পার সন্ত্রাস বন্ধ না করলে আলোচনা শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নয়াদিল্লিতে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবককে এই কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও সীমান্ত পার সন্ত্রাসে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে এদিন জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় জয়শঙ্করের।

    ভারত-জার্মান চুক্তি

    সোমবার রাজধানীতে হায়দরাবাদ হাউসে মোবিলিটি পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত-জার্মানি। এই অংশীদারিত্বের চুক্তিতে সই করেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাসিন্দার পরস্পরের দেশে গিয়ে গবেষণা, পড়াশোনা এবং চাকরি করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এবং জার্মানির মধ্যে এই চুক্তি প্রকৃতপক্ষে আগামিদিনে আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত্তির সংকেত বলা যেতে পারে। একই সুর জার্মান বিদেশমন্ত্রীর মুখেও। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। এমন সময়ে আমাদের একসঙ্গে চলাটা গুরুত্বপূর্ণ।’রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে তৈরি হওয়া অশোধিত তেল সঙ্কট নিয়েও এদিন কথা হয় ভারত এবং জার্মানির।  রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের পক্ষে ফের একবার সওয়াল করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন ভারতীয়দের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে কথা

    আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং পাকিস্তান-সৃষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি নিয়েও এদিন জার্মান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিয়ে যথেষ্ট বিস্তারিত কথা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। পাকিস্তানকে আমরা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে সংযুক্ত করি, কিন্তু সন্ত্রাস চললে কথা এগোনো যায় না। জার্মানি বিষয়টি বুঝেছে।” চিন প্রসঙ্গে সরব হয়ে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, “গোটা অঞ্চলই দেখেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে চিন কী ভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা নতুন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতি তৈরি করছি, সেখানে চিনের ভূমিকাকে নতুন করে দেখা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে জার্মানি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায়। ভারত বিশ্বের অনেক দেশের কাছে এখন রোল মডেল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ODI World Cup: ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত বড় শক্তি, কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না! রামিজকে পাল্টা অনুরাগ ঠাকুরের

    ODI World Cup: ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত বড় শক্তি, কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না! রামিজকে পাল্টা অনুরাগ ঠাকুরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে হতে চলা একদিনের বিশ্বকাপ (ODI World Cup) ক্রিকেটকে বয়কটের কথা বলেছিলেন পাকিস্তান বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। তারই পাল্টা দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিশ্ব ক্রিকেটে বড় শক্তি ভারত। আইসিসির অর্থনৈতিক ভিত্তিও বটে। তাই ভারতে বিশ্বকাপের আসর বসবেই। আর সব দলকেই এখানে খেলতে আসতে হবে, বলে জানান অনুরাগ।

    বড় শক্তি ভারত

    সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার তথা পিসিবির চেয়ারম্যান রামিজ রাজা জানিয়েছিলেন ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে না গেলে পাকিস্তান কেন ভারতে যাবে? পাক বোর্ডের প্রধান বলেন,  “পাকিস্তান যদি ভারতে গিয়ে পরের বছর বিশ্বকাপ (ODI World Cup) না খেলে তা হলে কেউ সেটা দেখবে? আমাদের পরিষ্কার কথা, ভারত যদি এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে আসে, তা হলেই আমরা ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলব। যদি ওরা না আসে, তা হলে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপ করতে পারে ওরা।” এ প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। বিশ্বে খেলার দিক থেকে ভারত বড় শক্তি এবং কেউ এটাকে এড়িয়ে যেতে পারবে না।’ এই এশিয়া কাপ ইস্যুতে আগেও মন্তব্য করেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেছিলেন, ‘BCCI পাকিস্তানের ব্ল্যাকমেল চিঠির যথাযথ উত্তর দেবে এবং ওডিআই বিশ্বকাপ অবশ্যই ভারতে আয়োজিত হবে এবং এখানে সব দেশ খেলবে।’

    আরও পড়ুন: কোকেন আসক্তি থেকে রিহ্যাবের ভয়াবহতা, আত্মজীবনীতে ‘খুল্লমখুল্লা’ আক্রম

    ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব

    ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করবে পাকিস্তান, কিন্তু ভারত জানিয়ে দিয়েছে তারা খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। তারবদলে নিরপেক্ষ ভেনুতে হবে ম্যাচ। এরপর পাকিস্তান শিবির থেকে ভারতে আয়োজিত হতে চলা বিশ্বকাপ (ODI World Cup) বয়কটের দাবি তোলা হয়। দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্কের মধ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে দুই দেশের সরকারের। কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করে দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্ক। সেই কারণেই দুই দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট বন্ধ। দেখা হয় শুধু আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বোর্ড সচিব জয় শাহ কিছু দিন আগে বলেছিলেন, আগামী বছর এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্রতিযোগিতা পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের নয়া সেনাপ্রধান আসীম মুনির, কেন জানেন?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের নয়া সেনাপ্রধান আসীম মুনির, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নয়া সেনাপ্রধানের (Pakistan Army Chief) নাম ঘোষণা করল পাকিস্তান (Pakistan)। নতুন সেনাপ্রধান হতে চলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির (Asim Munir)। এই আসীম মুনির এক সময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ছিলেন। তিনি এখন জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ারের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন। চলতি মাসেই পাক সেনাপ্রধানের (Pakistan Army Chief) পদে অবসর নেবেন জাভেদ বাজওয়া। এই পদে তিনি ছিলেন ছ’বছর। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীই এ খবর জানিয়েছেন। নয়া সেনা জেনারেল পদে আসীম মুনিরের নিয়োগ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ বলেন, সেনাপ্রধান পদে আসীম মুনিরের নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে। যা কিছু করা হয়েছে, তা আইন ও সংবিধান মেনেই। প্রসঙ্গত, এদিন সেনাপ্রধান পদে মুনিরের নাম ঘোষণা করেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ-ই।

    কাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হল মুনিরকে?

    প্রসঙ্গত, পাক সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’জনের একটি নামের তালিকা আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Pakistan PM Shehbaz Sharif) অফিসে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা সবাই সিনিয়র-মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ এবং কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের।

    আরও পড়ুন: ইতালির এই শহরে বসবাস করলেই পাবেন ২৫ লক্ষ টাকা, যাবেন নাকি?

    তালিকায় ছ’জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর ছিল, সেনাপ্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরনো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে সেই মুনিরের নামেই সিলমোহর দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    Pakistan Army Chief: পাকিস্তানের পরবর্তী সেনাপ্রধান কে? কার কার নাম গেল প্রধানমন্ত্রীর কাছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বর্তমান সেনা প্রধান কমার জাভেদ বাজওয়ারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কে বসবেন পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধানের পদে (Pakistan Army Chief)?  জানা গিয়েছে, সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে ছ’ জনের একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) অফিসে পাঠানো হয়েছে। যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে, তাঁরা সবাই সিনিয়র মোস্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল। প্রধানমন্ত্রীর অফিস যে নামে সিলমোহর দেবে, তিনিই বসবেন বাজওয়ারের চেয়ারে।

    যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে…

    সেনা হেডকোয়ার্টার্সের তরফে যাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য, তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনীর, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা, কোর কমান্ডার রাওয়ালপিন্ডি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুমান মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট ন্যাশনাল ডিফেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈয়জ হামিদ, কোর কমান্ডার বাহাওয়ালপুর এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ আমের, কোর কমান্ডার গুজরানওয়ালা।

    তালিকায় ছ’ জনের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর, আপাতত সেনা প্রধানের (Pakistan Army Chief) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনজন। এঁরা হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজাহার আব্বাস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ সামসাদ মির্জা এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসীম মুনির। মির্জা এবং আব্বাসকে ভারত সংক্রান্ত পুরানো ঘোড়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার সময় পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ছিলেন মুনির। এই মুনির সেই সময় পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    জানা গিয়েছে, সেনা প্রধান (Pakistan Army Chief) পদে নাম চূড়ান্ত করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বর্তমান সেনা প্রধান বাজওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডি জি আএসআই-ও। পরে এদিনই আরও একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খাওয়াজা আসিফ, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট মালিক আহমেদ খান এবং অর্থমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে। পরে শরিফ আরও একটি বৈঠক করেন পিপিপি সহকারি চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে। বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। জানা গিয়েছে, শরিফ চাইছেন আসীম মুনিরই হোন পরবর্তী সেনা প্রাধান। আর জারদারি চাইছেন বাজওয়ারের মেয়াদ বাড়ানো হোক আরও ছ মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • BSF: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    BSF: ফের পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামাল বিএসএফ, মিলল মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পাকিস্তানি (Pakistan) ড্রোনকে (Drone) গুলি করে নামাল বিএসএফ (BSF)। সোমবার রাতে সীমান্তে টহল দিচ্ছিল বিএসএফের একটি দল। আচমকাই কানে আসে শব্দ। শূন্য থেকে ভেসে আসা ওই শব্দের উৎস লক্ষ্য করেই গুলি চালায় বিএসএফ। তখনই দেখা যায় আকাশ থেকে খসে পড়েছে একটা অতিকায় ড্রোন। পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দিন দুই আগেও ওই এলাকায় একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ। আটচল্লিশ ঘণ্টা পরে ফের সেই একই ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই ড্রোনের মাধ্যমেই পাচার করার চেষ্টা চলছিল মাদক।

    বিএসএফের বিবৃতি…

    ঘটনার পরে পরে বিএসএফের (BSF) তরফে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে বলা হয়, ২৮ নভেম্বর রাত ১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ আধিকারিকরা অদ্ভুত আওয়াজ পেয়েছিলেন। তখনই খেয়াল করেন, পাকিস্তানের দিক থেকে একটি সন্দেহজনক ড্রোন ভারতীয় ভূখণ্ডের ভিতর অমৃতসর গ্রামীণ ডেলার ছহরপুর গ্রামের কাছে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোনটিকে গুলি ছুঁড়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। গুলি লেগেই সেটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। সূত্রের খবর, পরে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় একটি হেক্সাকপ্টার উদ্ধার করে বিএসএফ। এর সঙ্গে সঙ্গে সাদা পলিথিনে মোড়া সন্দেহজনক কিছু বস্তুরও হদিশ মেলে ছহরপুর গ্রামের একটি খেতে।

    জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই আরও বেশি করে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদত দেওয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাবের খালিস্তান জঙ্গিদেরও নানাভাবে সাহায্য করছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। এসব কারণেই চিনের তৈরি ড্রোনের মাধ্যমে তারা কখনও অস্ত্র, কখনও বা মাদক পাচার করছে ভারতে। দিন কয়েক আগে একটি ড্রোনের মাধ্যমে পাঞ্জাবের মাটিতে অস্ত্র ফেলেছিল পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এক পাকিস্তানির! গুলি করে মারল বিএসএফ, ধৃত আরও ১

    প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছিলেন, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে দুরন্ত ভূমিকা নিয়েছে ভারতীয় সেনা। তিনি এও বলেছিলেন, ওরা এখন পিস্তল গ্রেনেড এবং মাদক ঢুকিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। আমরা তা সফল হতে দেব না। তিনি জানিয়েছিলেন, লঞ্চপ্যাডগুলিতে এই মুহূর্তে অন্তত ১৬০ জন সন্ত্রাসবাদী ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে। এর মধ্যে ১৩০জন পিরপাঞ্জালের উত্তর দিকে লুকিয়ে, আর বাকি ৩০ জন দক্ষিণ দিকে। পুরো এলাকা ধরলে ৮২জন পাকিস্তানি ও ৫৩ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী স্রেফ সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Imran Khan: ‘দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব’, জনসভায় ঘোষণা ইমরানের

    Imran Khan: ‘দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব’, জনসভায় ঘোষণা ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাদেশিক আইনসভা থেকে দলের সব বিধায়ককে সরিয়ে নেব। শনিবার এক জনসভায় এমনই ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। সপ্তাহ তিনেক আগে লং মার্চ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান ও তাঁর দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় ইমরানকেও। সুস্থ হয়ে এদিন তিনি যোগ দেন সমাবেশে। সেখানেই জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সমস্ত প্রাদেশিক আইনসভা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে দলের বিধায়কদের।

    লং মার্চ…

    এদিন রাওয়ালপিন্ডি শহরে জনসভার আয়োজন করেছিল ইমরানের (Imran Khan) দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (PTI)। ওই সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন বছর সত্তরের ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ পর্যন্ত যে লং মার্চের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।

    ইমরানের (Imran Khan) দলের তরফে এদিন ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আমরা এই সরকারের অংশ হতে চাই না। আমি আমার দলের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলব। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা সমস্ত প্রাদেশিক বিধানসভা থেকে আমাদের বিধায়কদের সরিয়ে নেব। দেশে অশান্তি এবং হিংসা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়াই বরং ভাল।

    আরও পড়ুন: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার

    প্রসঙ্গত, সপ্তাহ তিনেক আগে পাক পঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে ‘স্বাধীনতা’ পদযাত্রার সময় জাফর আলি চকের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক আততায়ী ইমরানকে (Imran Khan) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে ইমরান বলেছিলেন, আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি মানুষের জন্য, পাকিস্তানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সেই ঘটনার পর এদিন প্রথম জনসভায় অংশ নেন ইমরান।

    এদিনের সভায় দলীয় কর্মীদের উদীপ্ত করতে ইমরান বলেন, ভয় একটা জাতিকে দাসে পরিণত করে। ওই সভায় তিনি এও স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেননি। তার পরেই ইমরান বলেন, আমরা ইসলামাবাদ পর্যন্ত আর লং মার্চ করব না। তিনি বলেন, দেশে নৈরাজ্য হোক, তা আমি চাই না। আমি এই দেশের কোনও ক্ষতি হোক, চাই না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Modi on Terrorism: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    Modi on Terrorism: “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে মূল্য চোকাতেই হবে”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্তাসবাদকে সমর্থন করাই কিছু দেশের বিদেশ নীতি। কোনও কোনও দেশ প্রত্যক্ষভাবে এই কাজ করছে। আর কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদে যুক্ত দেশগুলির দোষ আড়াল করে সন্ত্রাসবাদে পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে। কেউ আবার সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে এর মূল্য চোকাতেই হবে। ‘নো মানি ফর টেরর’- শীর্ষক বৈঠকে নাম না করে এভাবেই চিন এবং পাকিস্তানকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi on Terrorism)। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদি বলেন, “সন্ত্রাসের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই সমান ক্রোধ এবং প্রত্যাঘাত প্রয়োজন।”    

    দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আয়োজিত তৃতীয় ‘নো মানি ফর টেরর মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অন কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং’-এ ৭০টির বেশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ থাকার কারণে এই বৈঠকে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। ইসলামাবাদকে সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধেও। সুকৌশলে এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছে জিনপিং- এর দেশ।  

    আরও পড়ুন: কয়েদিকে আরামের মালিশ! জেলে সত্যেন্দ্র জৈনের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “জিরো টলারেন্স নীতি না নিলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পাওয়া কঠিন।” মোদি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এটি মানবতা, স্বাধীনতা এবং সভ্যতার উপর আক্রমণ। এর কোনও সীমানা নেই। শুধুমাত্র একটি অভিন্ন, ঐক্যবদ্ধ এবং শূন্য-সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে পারে। দশকের পর দশক ধরে বিভিন্ন নাম এবং রূপ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ভারতকে আঘাত করার চেষ্টা করেছে। আমরা বহু প্রাণ হারিয়েছি। তবুও সাহসিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। সন্ত্রাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।” 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে বলেন, “আল কায়দার পাশাপাশি লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয়। তাদের দমন করা প্রয়োজন।”  

    সন্ত্রাসবাদের কারণে ধুঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি 

    মূলত আর্থিক তছরুপ, মাদক পাচার, অপহরণের মুক্তিপণের টাকাই সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান দেয়। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে প্রতি বছর বিশ্ব জিডিপির ২-৫% অর্থ (২-৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর্থিক তছরুপে চলে যায়। মাদক পাচারে প্রতিবছর বেরিয়ে যায় প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।    

    বিগত কয়েক বছরে সন্ত্রাসবাদের কারণে ভারী মূল্য চোকাতে হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিকে। ২০০০- ২০১৯ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের কারণে ৯০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ২০১৪ সালে। সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসআইএস- এর বাড়বাড়ন্ত হলে এক বছরেই বিশ্ব অর্থনীতি খোয়ায় ১১৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

    বিশ্ব অর্থনীতি ধুঁকলেও, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফোরবসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএসআইএস- এর বার্ষিক লেনদেন ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হামাসের ১ বিলিয়ন। কিছু কিছু সংগঠন ২০১৬-২০১৮- এর মধ্যে নিজেদের আয় দ্বিগুণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, হিজবুল্লার আয় ৫.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। তালিবানদের ৪০০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৮০০ মিলিয়ন হয়েছে। আলকায়দার আয় ১৫০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আফগানিস্তান, পুরো একটি দেশই এখন তালিবানদের হাতে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Khalistani Terrorist: পঞ্জাব রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু পাকিস্তানে

    Khalistani Terrorist: পঞ্জাব রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) হরবিন্দর সিং রিন্ডা নিহত। এ+ ক্যাটাগরির জঙ্গি ছিল রিন্ডা (Harwinder Singh Rinda)। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩৫ খুন ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে। এ বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট হামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল সে।

    পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল এই জঙ্গি। সেখান থেকেই ওই দেশের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে নাশকতা চালাত রিন্ডা। সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বাব্বর খালসার সদস্য ছিল। মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, রিন্ডা লাহোরের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। 

    কী কী অভিযোগ রয়েছে জঙ্গির বিরুদ্ধে?  

    চলতি বছরের মে মাসে মোহলিতে পঞ্জাব পুলিশের ইন্টিলিজেন্স হেড কোয়ার্টারে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেই হামলার মূল চক্রী রিন্ডা, বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই মাসেই হরিয়ানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পিছনেও ছিল রিন্ডার হাত। নওনশরে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অফিসেও হাত গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালায় রিন্ডা। গোয়েন্দা সংস্থার মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল ৩৫ বছরের এই জঙ্গির নাম। শুধু পঞ্জাব নয়, রিন্ডার নামে মহারাষ্ট্র, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গে  একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুলির অংশ উদ্ধার করল দিল্লি পুলিশ, পাঠানো হল ডিএনএ পরীক্ষায়        

    পঞ্জাবের তরণতারণে জন্ম রিন্ডার। পরবর্তীতে মহারাষ্ট্রে থাকা শুরু করে। কিন্তু তরণতারণেই অপরাধ জীবনের সূত্রপাত। সেখানে ২০০৮ সালে ব্যক্তিগত শত্রুতায় একজনকে খুন করে সে। তরণতারণের সরপঞ্চ হত্যায়ও নাম জড়ায় রিন্ডার। শুধু খুন বা নাশকতা নয়, সীমান্তে মাদক প্রচারেও জড়িত ছিল সে। এরপর, রিন্ডা পঞ্জাবের তরন তারান জেলার সরহালি গ্রাম থেকে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায় পাড়ি দিয়েছিল। তারপরই কোনও এক সুযোগে সে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও বহু অপরাধকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিল সে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩০টি মামলায় সে পলাতক আসামী হিসেবে চিহ্নিত ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    Citizenship Act: ৯ রাজ্যে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ-মুসলিম (Non Muslims) শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে গুজরাটে (Gujarat)। এবার ওই কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গেল দেশের অন্যত্রও। জানা গিয়েছে, দেশের নটি রাজ্যের ৩১ জেলার জেলাশাসক ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ওই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানরা।

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট ২০২১-২২। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১ হাজার ৪১৪ জন শরণার্থী এসেছেন ভারতে। এঁদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব আইনে (Citizenship Act) ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।  

    দেশের মধ্যে গুজরাটেই প্রথম শুরু হয়েছে এভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে গুজরাটে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act), ১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তিন দেশ থেকে আসা যেসব শরণার্থী গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বসবাস করছেন, তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক, কে কে লড়ছেন জানেন?

    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনেও (Citizenship Act) পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিম এই সমস্ত শরণার্থীদের দেওয়া যায়। তবে যেহেতু তা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং সরকার এখনও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করে উঠতে পারেনি, এই আইনের আওতায় এখনও নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি কাউকেই।

    কোন কোন রাজ্য পেয়েছে ক্ষমতা?

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৯ জেলার কালেক্টর এবং নটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এঁরা উল্লিখিত শরণার্থীদের শংসাপত্র দিতে পারবেন। যে রাজ্যগুলিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল, গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই ক্ষমতা এখনও দেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Imran Khan: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার

    Imran Khan: নতুন জীবন পেলাম! বললেন ইমরান, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসছে করাচি থেকে পেশোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লং মার্চে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তাঁকে আক্রমণের ছক বহুদিন ধরেই করা হয়েছিল। এর পিছনে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এমনই দাবি করেছে  ইমরানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফ (PTI)। বৃহস্পতিবার হামলার পর দলের সাধারণ সম্পাদক আর্শাদ উমর বলেন, “তিন জনের উপর সন্দেহ রয়েছে পার্টি চেয়ারম্যান ইমরান খানের। এর মধ্যে প্রথম নামটি হল প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এছাড়াও প্রাণঘাতী হামলার নেপথ্যে অন্তর্দেশীয় মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মেজর জেনারেল ফয়জল নাসিরের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।”

     

    ইমরানের উপর হামলার পরই পাকিস্তানের একাধিক শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। করাচির অন্তত ১৭টি জায়গায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা। পেশোয়ারে কোর কমান্ডার হাউসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। পিটিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। “আমরা শুধু ইমরান খানের একটা নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। দাবিপূরণ না হলে বা আরও স্পষ্ট করে বললে এই নেতারা পদত্যাগ না করলে, দেশজুড়ে আমরা আন্দোলনে নামব। ইমরান খানের উপর হামলা মানে পাকিস্তানের উপর হামলা। আমরা কিছুতেই এটা মেনে নেব না। প্রয়োজনে গোটা পাকিস্তানে আগুন জ্বলবে।”

    আরও পড়ুন: এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান! ক্ষুব্ধ ভারত, জানেন তার কারণ?

    বৃহস্পতিবার, পাক পঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে ‘স্বাধীনতা’ পদযাত্রার সময় জাফর আলি চকের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক আততায়ী ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত ইমরান খান বিপদ মুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। হাসপাতালে ইমরান বলেন, “আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। আমি মানুষের জন্য, পাকিস্তানের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।” এই ঘটনার ইতিমধ্যেই নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কী ভাবে পুলিশের সামনেই ইমরানের উপর হামলা হল, তা জানতে অন্তর্দেশীয় মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের আইজি এবং মুখ্য সচিবের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। গতকালের গুলিচালনার ঘটনায় ইমরান খান ছাড়াও কমপক্ষে ১৫ জন পিটিআই সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে সিন্ধ প্রদেশের প্রাক্তন গভর্নর ইমরান ইসমাইল ও প্রাক্তন মন্ত্রী ফয়সল জাভেদও রয়েছেন। গুলিচালনার পরই পুলিশ ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

LinkedIn
Share