Tag: tmc

tmc

  • Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো এক সময় খবরের শিরোনামে থাকত। তিনি মাকে ৩০০ ভরি সোনার গয়না পরাতেন। এবার জেল ফেরত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কালীপুজো ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কেন তৃণমূল নেতার পুজো ঘিরে চর্চা? (Jalpaiguri)

    গত কয়েক বছর ধরে সৈকত ‘যুব ঐক্য’ নাম দিয়ে কালীপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছেন। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়ে গত ১৬ অক্টোবর থেকে সৈকত প্রথমে পুলিশ, তার পরে জেল হেফাজতে ছিলেন। এবার সৈকতের নির্দেশ ছিল, পুজো চালিয়ে যাওয়ার। তবে আড়ম্বর না করার কথা বলা হয়েছিল। ১ নভেম্বর সৈকত জামিন পেতেই পুরো সিদ্ধান্ত বদলে যায়। বড় অনুষ্ঠানেরই পরিকল্পনা হয়। প্রায় একশোটি বিমান টিকিট কাটা হয়েছে শিল্পীদের আসা-যাওয়ার জন্য। কলকাতা থেকে নামী শিল্পীদের আনা হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে আসবে মেয়েদের একটি গানের দল। শিল্পী এবং সঙ্গীদের কয়েক জন আসবেন বিমানে। শুধু বিমান ভাড়াতেই লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। সঙ্গে রয়েছে শিল্পীদের বাকি সঙ্গীদের জন্য ট্রেন ভাড়া। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর তিন দিন টানা সাত জন শিল্পীকে আনতেই প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। মণ্ডপ তৈরিতে পড়ছে প্রায় আট লক্ষ টাকা। চন্দননগর থেকে আসছে আলোকসজ্জা। মণ্ডপের ভিতরে এক রকম, বাইরে এক রকম এবং মঞ্চে আর এক রকম আলোর সাজসজ্জা থাকছে। জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব স্কুলের মাঠে পুজো এবং সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বাঁশের কাজ, আলো মিলিয়ে অন্তত পাঁচটি ডেকোরেটর সংস্থা এবং ইভেন্ট পরিচালনা সংস্থা কাজ করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেল থেকে বেরিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার পুজোর আয়োজন। এক তাড়াতাড়ি এতগুলো টাকা জোগাড় হল কী করে? অন্য পুজোর মতো রসিদ ছাপিয়ে বাড়ি-দোকান থেকে চাঁদা তোলা হয় না সৈকতের পুজোয়। টাকার উৎস নিয়ে তৃণমূল নেতা সৈকত বলেন, মানুষের ভালোবাসাতেই সব জোগাড় হচ্ছে। সদস্য চাঁদা রয়েছে। যাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই, তাঁরা হিংসে থেকে অনেক কিছু বলতে পারেন। এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, তৃণমূল নেতার পুজোর আয়োজন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, চাঁদা তুলে এই পুজো করা সম্ভব নয়। এর পিছনে অর্থের জোগান রয়েছে। তৃণমূল নেতাদের কারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান দিচ্ছেন তার তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amdanga: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে গাছ কাটা, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতারা

    Amdanga: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে গাছ কাটা, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মানে সাত খুন মাফ! দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস করছেন। এভাবে এলাকায় নিজের দাপট দেখান আরাবুল। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার পড়শি জেলা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের গজবন্দ গ্রামের মাঠে সরকারি জমিতে থাকা একের পর বড় বড় গাছ কেটে চুরি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই সরকারি গাছ চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের মাঠে প্রায় ১৫ বিঘা জলাশয় বিশিষ্ট ঝিল রয়েছে। তার চারদিকে লাগানো রয়েছে বড় বড় গাছ। মূলত, জলাশয়ের শোভা বাড়ানোর জন্যই সরকারি এই গাছগুলিকে লাগানো হয়েছে। আর গাছগুলির পরিচর্যা করে থাকে আমডাঙা ব্লক প্রশাসন। আর সেই গাছ অবাধে চুরি হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অ়ঞ্চলের কথায় গাছ কাটা হচ্ছে। অঞ্চলে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই গাছ কাটা চলছে। তাই, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি সামনে আসতেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। গাছ কাটার দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অলোক বাগ। বরং, তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিডিওকে জানানো হয়েছে।

    ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    আমডাঙার বিডিও নবকুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পরই এই বিষয়ে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। গাছ কাটা রুখতে আমরা যথার্থ চেষ্টা করব। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই, সরকারি গাছ কোনওভাবেই আমরা আর কাটতে দেব না। আর কারা গাছ কেটেছে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: পুকুরে মাছচোর সন্দেহে মারধর, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুরে ব্যাপক উত্তেজনা

    Purba Bardhaman: পুকুরে মাছচোর সন্দেহে মারধর, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়ি ভাঙচুরে ব্যাপক উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়ি ঘেরাও করে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। গতকাল মঙ্গলবার তাঁর বাড়ির গেট এবং পাঁচিলের মধ্যে চলল ব্যাপক ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে মন্ত্রীর বাড়িতে গেল বিশাল পুলিশবাহিনী। মন্ত্রীর দাবি চক্রান্ত করে এই আক্রমণ করা হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Purba Bardhaman)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রায়নার (Purba Bardhaman) কামারহাটি গ্রামের বাড়িতে পুকুরে মাছ ধরতে যান এক আদিবাসী যুবক। এই আদিবাসী যুবকের নাম মহেন্দ্র হেমব্রম। এরপর মাছ চুরির অপরাধে মন্ত্রীর কেয়ারটেকর তাঁকে চোর বলে আটক করে রাখে। শুধু তাই নয় অভিযোগ আরও যে তাঁকে ব্যাপক মারধরও করা হয়।

    এরপর মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসী আদিবাসী যুবকের সমর্থনে, হাতে লাঠি, লোহা নিয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় মন্ত্রীর বাড়িতে। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলে পুলিশ বাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করে। এখনও পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি বলে জানা গিয়েছে।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    স্থানীয় এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, “একজন সাধারণ গরিব আদিবাসী যুবককে চোর বলে ধরে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁকে মারধর করা হয়। এলাকায় তৃণমূল মন্ত্রীর আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।”  

    পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বক্তব্য

    রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী এই ঘটনায় বলেন, “ওই রায়নার (Purba Bardhaman) বাড়িতে কেউ থাকে না। আমি গত কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুরে রয়েছি কাজে। কোভিডের সময় অনেক লোক গ্রামে ফিরে এসেছেন। আমি নিজে মাছচাষে উৎসাহ দিয়েছিলাম। আর তাই এই বাড়ির পুকুরে অনেকে মাছ ধরে খান। শুনেছি মাছ নিয়ে গোলমাল হয়েছে। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও পেছন থেকে কেউ ইন্ধন দিয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ তদন্ত করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: সরকারি জমির জাল নথি তৈরি করে চলছে বিক্রি, টিটাগড়ে সক্রিয় জমি মাফিয়ারা

    Titagarh: সরকারি জমির জাল নথি তৈরি করে চলছে বিক্রি, টিটাগড়ে সক্রিয় জমি মাফিয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিটাগড় (Titagarh) পুরসভা জুড়ে জমি মাফিয়ারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সরকারি জমির জাল নথি তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর বিষয়টি সামনে আসতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় পুর কর্তৃপক্ষের। জমি মাফিয়াদেরকে তৃণমূলের একটা অংশ মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সব জেনেও প্রশাসন চুপ রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জমি মাফিয়ারা সরকারি জমি বিক্রি করে দিচ্ছে।

    কীভাবে জালিয়াতির বিষয়টি সামনে এল? (Titagarh)

    টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং খড়দা পুরসভার-১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় টিটাগড় পুরসভার প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘা জমি রয়েছে। রেল লাইনের ধারেই এই জমি রয়েছে। জমির গুরুত্ব অনুসারে অত্যন্ত লোভনীয় প্লট। স্বাভাবিকভাবে দামও চড়া। জমি যে জায়গায় রয়েছে সকলের তা পছন্দ হবে। ফলে জমি মাফিয়ারা সহজেই ভালো দামও পাচ্ছে। আর সেই জমি লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই জমি মাফিয়ারা বেশ কয়েকজনকে এই জমি বিক্রি করেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি মাফিয়াদের কাছ থেকে জমি কেনার পরেই এক ব্যক্তি জমির মিউটেশন করতে পুরসভা এসেছিলেন। পুর কর্তৃপক্ষ জমির অবস্থান তদারকি করতে গিয়ে জানতে পারে, পুরসভার জমি কিনেছে ওই ব্যক্তি। এরপরে জমি মাফিয়াদের জমি জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। তদন্ত নেমে জানতে পারে ওই এলাকায় এরকম অনেককেই জমি বিক্রি করেছে জমি মাফিয়ারা। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে পুর কর্তৃপক্ষ।

    পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    পুরসভার (Titagarh) চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ বলেন, জমির কিছু দালাল এই বেআইনি কারবার করছে। টিটাগড় পুরসভার সাড়ে তিনশো বিঘা জমির বেশ কিছুটা বিক্রি করে দিয়েছে তারা। আমাদের কাছে যারা আসছে তাদের ক্ষেত্রেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত জমিতে আমরা পুরসভার বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি। আর জমি কেনার ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পরেই জমি কেনার জন্য সকলকে আবেদন জানাচ্ছি। যে বা যারা এভাবে জাল নথি তৈরি করে সরকারি জমি বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।। কাউকে রেয়াত করা হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    Singur: সেই সিঙ্গুরেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! জমি অধিগ্রহণে গিয়ে এবার ঘাড়ধাক্কা খেল মমতার দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। নিয়ম মেনে জমি অধিগ্রহণ করে টাটা গোষ্ঠী হুগলির সিঙ্গুরে (Singur) ন্যানো কারখানা তৈরি করছিল। ৯০ শতাংশ কারখানা তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। দো-ফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না, এই অজুহাত দেখিয়ে চাষিদের বন্ধু হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের আন্দোলনে পিছু হটতে বাধ্য হয় টাটা গোষ্ঠী। সিঙ্গুর আন্দোলনের উপর ভর করে রাজ্যে বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর এক যুগ কেটে গিয়েছে। এবার সেই সিঙ্গুর, সেই জমির গেরো! আর তাতেই মমতা সরকারের আমলে জুয়েলারি হাবের ভবিষ্যৎ শিকেয়। আপাতত হন্যে হয়ে জমি খুঁজছে হুগলি জেলা প্রশাসন। এলাকার মানুষের বাধায় জুয়েলারি হাব করার জন্য তৃণমূল সরকার সিঙ্গুরে জমি পায়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত এই কাজ করা হবে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Singur)

    এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সিঙ্গুরে (Singur) নসিবপুর পঞ্চায়েতে সরকারি খাস জমিতে ০.২৩ একর জমিতে সিঙ্গুর ইমিটেশন জুয়েলারি ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, সেখানে ৩৮টি ইউনিট থাকবে। এর মাধ্যমে হাজার পাঁচেক মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ পাবেন, মিলবে নানা ধরনের সুবিধা। গত মার্চ মাসেই সরকারি কর্তারা জমি মাপতে এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে তাঁরা বাধা পান। টাটাদের যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একইভাবে এলাকার মানুষ সরকারি ওই আধিকারিকদের বাধা দেন। ব্লক প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা পৌঁছলেও জট কাটেনি। এলাকার মানুষ সরকারি আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়ে বলেছিলেন, এই জমি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তা কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসন বহু চেষ্টা করেও চাষিদের মন জয় করতে পারেনি। আর তাই বছরের প্রায় প্রথম দিক থেকে জমি নিয়ে এই হাব তৈরিতে সমস্যা হলেও বছর শেষেও এই সমস্যা মিটল না। সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টুম্পা ঘোষ বলেন, ‘জায়গাটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’ বিরোধীদের বক্তব্য, এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে সিঙ্গুরেও মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। চাষিরাও আর দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না। এই সিঙ্গুর তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছে, এই সিঙ্গুরই তৃণমূলকে ডোবাবে।

    কী বললেন জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার?

    জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সুমনলাল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গুরে (Singur) জুয়েলারি হাবের জন্য আগে যে জমি দেখা হয়েছিল সেখানে কিছু সমস্যা আছে। আমরা নতুন জমি খুঁজছি। আমরাও চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব জমি খুঁজে এই ক্লাস্টারের কাজ চালু করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Bankura: বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাঁকুড়া, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মৃতের নাম শুভদীপ মিশ্র। তিনি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের কাছে বুধবার সকালে বটগাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন শুভদীপবাবু। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ায় এলাকার মানুষের অনেকটাই কাছের হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ভালো সংগঠক ছিলেন। মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। গত সাতদিন আগে তিনি উধাও হয়ে যান। মঙ্গলবারই বাড়ি ফেরেন। এরপরই এদিন সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির কাছে একটি বটগাছের ডালে নাইলন দড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। দেহের সঙ্গে বাঁধা ছিল হাত। প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের দাবি জানানো হয়। এভাবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তার পর ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ দেহ নিতে গিলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। দোষীদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামের মানুষ। ভাঙচুর করা হয় প্রতিবেশী এক মহিলার বাড়িও। ওই মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের তিনজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা প্রথমে বাধা দেন।খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি যান। মৃতের গলা থেকে ফাঁস খুলে দেহ গাড়িতে চাপিয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই শালতোড়ার বিধায়ক পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ পাঁজাকোলা করে বিধায়ককে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, পরিবারের দাবি, দীপুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি তদন্তের দাবি জানালে আমাকেও হেনস্তা করেছে পুলিশ। রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আমরা তদন্তের দাবি থেকে নড়ছি না। এর পর আমরা গঙ্গাজলঘাটি থানা ঘেরাও করব। প্রয়োজনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন তিনি ট্যুইট করে স্পষ্ট বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী শুভদীপের জনপ্রিয়তা মানতে পারেনি তৃণমূল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে শুভদীপকে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ, সিবিআই তদন্ত চাই’।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাটি-২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, ঘটনা আত্মহত্যা কি না তা তো তদন্তেই বোঝা যাবে। পারিবারিক কারণেই এই ঘটনা বলে আমার ধারণা। প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরে এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: উর্দি পরে মঞ্চে উঠে তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নিলেন থানার আইসি

    Uttar Dinajpur: উর্দি পরে মঞ্চে উঠে তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে সংবর্ধনা নিলেন থানার আইসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুজোর সময় মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি দেবদূত গড়মের হাতে উপহার তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নবমীর রাতের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। উর্দি পড়ে থানার মধ্যে সেই উপহার নেন থানার আইসি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে উর্দি পরে মঞ্চে হাজির থানার আইসি। এই ঘটনায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পুলিশ দলদাস। শাসক দলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। বিরোধীদের আনা অভিযোগ যে সত্যি তা এই ঘটনার মধ্যে দিতে আরও একবার প্রমাণিত হল। বিতর্কিত এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার চোপড়া হাই স্কুল মাঠে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Uttar Dinajpur)

    তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিজয়া সন্মেলনীর অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এবারে বিতর্ক দেখা দিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ায়। মঙ্গলবার চোপড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সন্মেলনীর মঞ্চে দেখা গেল চোপড়া থানার আইসি সঞ্জয় দাসকে।  রীতিমতো উর্দি পরে অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি। মঞ্চে ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে সংবর্ধনা দিতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে। মঞ্চে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হামিদুল রহমানও। প্রকাশ্যে দলীয় মঞ্চে উর্দি পড়ে পুলিশ অফিসার কেন উঠলেন তা জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, দলের নির্দেশে ব্লকে এবং জেলা স্তরে বিজয়া সন্মেলনীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই উপলক্ষেই হয়ত দলের আমন্ত্রণে আইসি সাহেব অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন। এতে রাজনীতির কিছু দেখছি না। বিরোধীরা এটা নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার (Uttar Dinajpur) সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন বলেন, পুলিশকে  দলদাসে পরিণত করেছে তৃণমূল। যে কারণে রাজনৈতিক মঞ্চেও হাজির হতে দ্বিধা করছে না পুলিশ। পুলিশের এই ভাবমূর্তি জনগণের কাছে নষ্ট হচ্ছে। এই আইসি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে। তিনি আর থানার আইসি নন, তিনি এখন তৃণমূলের আইসি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস! দাপট দেখাচ্ছেন আরাবুল

    South 24 Parganas: সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস! দাপট দেখাচ্ছেন আরাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড় কি তৃণমূলের মুক্তাঞ্চল! তৃণমূলের নেতারা যা খুশি করে বেড়াচ্ছেন, বলে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। দুদিন আগেই প্রকাশ্য মঞ্চে শওকত মোল্লা বিরোধীদের বুথে কাজ না করার নিদান দিয়েছিলেন। এবার ভাঙড়ের আর এক দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া বামনঘাটা বাজার এলাকায়। সেচ দফতরের জায়গা দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করছেন আরাবুল এবং তাঁর অনুগামীরা। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বামনঘাটা বাজারের পাশে খাল রয়েছে। তার পাশে সেচ দফতরের জমির উপর কংক্রিটের পার্টি অফিস তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেচ দফতরের যে জমিতে পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে ইতিমধ্যেই কংক্রিটের থাম বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু বামনঘাটা বাজারেই তৃণমূলের সাতটি পার্টি অফিস রয়েছে। তারপরও নিজের ক্ষমতা দেখাতে কি নতুন পার্টি অফিস তৈরি করেছেন আরাবুল, তা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন আরাবুল?

    তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, বাম আমলে এই জেলায় (South 24 Parganas) এরকম বহু পার্টি অফিস সরকারি জমিতে ওরা করেছিল। তাছাড়া ওই জায়গায় আগে থেকেই পার্টি অফিস ছিল। কিন্তু, জায়গাটি কর্মীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। তাই, আমরা সেখানে নতুন পার্টি অফিস করছি। আর সেচ দফতরের প্রয়োজন হলে তখন ওই জায়গা ছেড়়ে দেব।

    ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী কী বললেন?

    আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, এলাকায় সিন্ডিকেট চালানোর জন্য আরাবুল এবং তাঁর বাহিনী ওই পার্টি অফিস তৈরি করাচ্ছে। বামনঘাটার প্রধান ও উপপ্রধানও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব এই অনৈতিক কাজ বন্ধ করার জন্য। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ

    Hooghly: তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারকেশ্বর (Hooghly) পুরসভার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে হুগলিতে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন পুরসভার প্রাক্তন এবং বর্তমান চেয়ারম্যান। উল্লেখ্য পাল্টা অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন দু’জনেই।

    উল্লেখ্য ২০১০ সাল থেকেই পুরসভার বোর্ড দখল করে তৃণমূল। এরপর থেকেই পুরসভার আয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই জন্য তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ করা হয়। মোট দশতলা বিল্ডিং এবং ৭২ টি ফ্ল্যাট থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

    ফ্ল্যাট দুর্নীতি  (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে যখন ফ্লাটের কাজ শুরু হয় সেই সময় তারকেশ্বর (Hooghly) পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন স্বপন সামন্ত। বর্তমানের চেয়ারম্যান হলেন গৌতম কুণ্ডু। প্রথমে ফ্ল্যাট বুকিং করা হয়েছিল পুরসভার অফিস থেকেই। এরপর স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের কাছে সানফ্লাওয়ার নামক একটি অফিস খোলা হয়। বলা হয়েছিল দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট দিয়ে দেওয়া হবে। থাকবে আরও অতিরিক্ত নানা সুবিধা। অভিযোগ আরও ওঠে, এমনকী নিয়মের বাইরে গিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় ফ্ল্যাটগুলির। তবে ক্রেতারা ফ্ল্যাটের চাবি পেলেও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চনার কথা জানিয়ে অভিযোগ তোলেন।

    নেই সুযোগ সুবিধা

    স্থানীয় (Hooghly) মানুষের অভিযোগ যে পানীয় জলের সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেই। নেই বিদ্যুতের পরিষেবা। দশতলার উপরে উঠতে গেলে মাত্র একটি লিফট রাখা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য নেই বিশেষ লাইসেন্স। এমনকি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন মানুষ জানিয়েছেন এখানে বসবাস করার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই।

    পুরসভার বক্তব্য

    তারকেশ্বর পুরসভার (Hooghly) তরফ থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডু বলেন, “ফ্ল্যাট নিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে কিছু কাজ বাকি আছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।” তবে তিনি এই সকল সমস্যার জন্য প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন। অপর দিকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত বর্তমান চেয়ারম্যানকে পাল্টা কাঠগড়ায় তোলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে বিধায়ক-বক্ল সভাপতির দ্বন্দ্ব! তীব্র উত্তেজনা হাওড়ায়

    Howrah: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে বিধায়ক-বক্ল সভাপতির দ্বন্দ্ব! তীব্র উত্তেজনা হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া সম্মেলনীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এলো। নিজের এলাকায় দলের বিজয়া সম্মেলনীতে বিধায়ককে ব্লকের নাম নীল স্টিকার দিয়ে ঢাকতে হল। বালিখাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হল তৃণমূল বিধায়ককে। যদিও তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের সব জেলার ব্লক স্তরে বিজয়া সম্মেলনী করতে হবে। আর এই সম্মেলনীতে মুখ পুড়ল বালির (Howrah) তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়ের।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Howrah)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিতে (Howrah) বিজায় সম্মেলনীর কথা ঘোষণা করে নাম, স্থান এবং তারিখ দিয়ে পোস্টার বানিয়ে এলাকায় প্রচার শুরু করেছিলেন বিধায়ক। কিন্তু বালি ব্লকের যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিধায়কের এই প্রচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তৃণমূল অফিসে অভিযোগ করা হয়। এরপর রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয় ব্লক তৃণমূলের তরফ থেকে যা ঠিক করা হবে সেই অনুযায়ী বিজয়া সম্মেলনী করতে হবে। আর এরপর বিধায়কের দেওয়া পোস্টার থেকে ব্লকের নামের উপর স্টিকার লাগাতে হয়। দলের কাছে বিধায়কের ভূমিকা কী তাও প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনায়।

    ব্লক যুব তৃণমূলের বক্তব্য

    বালি (Howrah) ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “রবিবার দলের নির্দেশ মেনেই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় নিজের ইচ্ছে মতো কোনও রকম আলোচনা না করেই সিদ্ধন্ত নিয়েছিলেন। দল তাঁর সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেয়নি। আর তাই তাঁর অনুষ্ঠানে যে ব্যানার বানানো হয়েছিল সেখানে তৃণমূল ব্লকের নাম ব্যবহার করতে পারবেন না বলে, দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    বিধায়কের বক্তব্য

    বালির(Howrah) তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিজয়া সম্মেলনীর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।” কিন্তু তাঁর সম্মেলনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। সেই সঙ্গে বালি ব্লকের নাম নীল কাগজ দিয়ে অদৃশ্যমান করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল ব্লকের নাম। এই ঘটনায় বালি বিধায়ক এবং বালি বক্লের যুব তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব যে প্রকাশ্যে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share