Tag: tmc

tmc

  • TMC: শ্রমিক সংগঠনের সভার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ভাঙচুর নেতার গাড়ি, জখম চালক

    TMC: শ্রমিক সংগঠনের সভার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ভাঙচুর নেতার গাড়ি, জখম চালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) তৃণমূলের (TMC) ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কয়েকজন ঠিকা শ্রমিক কারখানার গেটে কাজে যোগদান করতে গেলে তাঁদের উপরে ইটবৃষ্টি করে তৃণমূলেরই একাংশ, এমনই অভিযোগ। এই ঘটনায় মাথা ফেটে যায় শেখ সামসুদ্দিন নামক এক ঠিকা শ্রমিকের। তাঁকে তড়িঘড়ি ডিএসপি মেন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, এদিন যখন তাঁরা কাজে যোগদান করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় শেখ গোলাম রসুলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাঁদের উপর হামলা চালায়। সূত্রের খবর, এই গোলাম রসুল তৃণমূল করেন। দিনকয়েক আগে জেলার নেতৃত্ব ডিএসপির সাত শ্রমিক নেতাকে বহিষ্কার করে। এই ঘটনা তারই জের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি-র ডাকে বিশাল শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা দুপুর সাড়ে তিনটের সময় দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের মেন গেট এলাকায়। সমাবেশের প্রধান বক্তা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই এদিন সকালে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত হন তৃণমূল নেতা।

    আক্রান্ত এক নেতা কী বলছেন?

    আজ আমি গাড়ি করে যখন প্ল্যান্টে ঢুকছিলাম, তখন বহিরাগত ২৫-৩০ জন আমাদের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে কর্মীও ছিল, ছিল গোলাম রসুলও। গাড়ি ঘুরিয়ে যখন চলে যেতে উদ্যোগী হই, তখন পিছন থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। আমার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। চালকের মাথায় আঘাত লাগে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় চিকিৎসার জন্য। গাড়িচালক হামলাকারীদের সবাইকে চেনে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেই সবার নাম জানা যাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, গেটে ঢোকার সময় আমাদের কর্মীদের সঙ্গে কারও কোনও বচসা হয়নি। তাঁর দাবি, দলের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি তৃণমূল করেন। ২০০৪ সালের পর থেকে আইএনটিটিইউসির (TMC) সদস্য। তারপরেও এই ধরনের হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    কী জবাব দিলেন অভিযুক্ত?

    যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই গোলাম রসুল বলেন, আমি তো এসব কিছুই জানি না। এখানে ছেলেরা সব ঝান্ডা বাঁধছিল। আমিও ছিলাম। এখানে আজ একটা (TMC) প্রোগ্রাম আছে। ওরা এটা নিয়ে একটা নোংরা রাজনীতি করছে। আমার নামে যে ওরা অভিযোগ করেছে, আমি তা এখনও শুনিনি। এমনকি কাকে মারধর করা হয়েছে, সে খবরও আমরা জানি না। সাংবাদিকদের মুখ থেকেই যা শোনার শুনছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    Threat: তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপম দত্তের পর এবার আপনার নম্বর, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার অভিযোগ উঠল আনিসুর রহমান ওরফে গুড্ডু রহমান নামে তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাপুটে এক নেতার সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রায় দেখা যায়। ফলে, তৃণমূল কর্মী হয়ে দলীয় কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ওই কাউন্সিলরকে হুমকি (Threat) দেওয়া হল?

    মূলত বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরকে হুমকির (Threat) মুখে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া ৪ নম্বর রেলগেটের পাশে একটি বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছে, সেই নির্মাণে কাউন্সিলর গিয়ে বাধা দেওয়ায় তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। কামারহাটির গুড্ডুর বিরুদ্ধে ওই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর মার্চ মাসে পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে। সেই কাউন্সিলরের মতো কামারহাটি পুরসভার ওই কাউন্সিলরের হাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় বলেন, আসলে এলাকার মানুষের জন্য আমরা কাজ করি। আমার ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে কাজ করতে বাধা দিয়েছি। এরপরই ওই গুড্ডু আমাকে ফোন করে হুমকি (Threat)  দিতে থাকে। পানিহাটি কাউন্সিলরের মতো আমার হাল হবে বলে হুমকিও দেয়। আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

     এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, এই বিষয়ে আমি খোঁজ নেব। গুড্ডু আমাদের দলেরই কর্মী। তাই, এই ধরনের হুমকির (Threat) ঘটনা ঘটে থাকলে তা ঠিক নয়। এরকম অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তাই, এখনই এই বিষয়ে কিছু বলছি না। অভিযোগ সত্য হলে দলগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     বিষয়টি সম্পর্কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি-র রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য জয় সাহা বলেন, নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরাই অভিযোগ করছে। বেআইনি নির্মাণ করবে আর কাউন্সিলরকে টাকা দেবে না এটা কখনও হয়? এসব করেই এই দলটাই শেষ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অপেক্ষা করুন, সব ফাঁস করব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন। বুধবার ট্যুইট-বার্তায় এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের সভা থেকে এই মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানা…

    এর প্রেক্ষিতেই তৃণমূল সুপ্রিমোর পাল্টা দাবি, প্রমাণ করে দেখাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেবেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। আপনি আমার জন্য কিম্ভূত, কিমাকার শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটা লজ্জাজনক। এর আগে আপনি এরকমই অবমাননাকর শব্দ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকেও। এর পরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন। সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামিকাল আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, আপনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, মেদিনীপুরের কথা বারবার বলতে থাকেন কেন জানেন? কারণ অবচেতনে আপনি ঠিকই জানেন, ২০১১ সালে আপনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, কারণ আমি তখন ওই জেলাগুলোর দায়িত্বে ছিলাম। আপনার মূল্যহীন ভাইপো তখন কোথাও ছিল না। ২০১১ সালের জুলাইয়ের পরে তাঁর প্রবেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    প্রসঙ্গত, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই অভিযোগ (অমিত শাহকে ফোন) মিথ্যা। শুভেন্দুকে ভুঁইফোড় এবং কিম্ভূতকিমাকার সম্বোধন করে মমতা বলেন, দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সমর্থন নেই বলেই এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    Mukul Roy: ‘কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না, ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই’, বললেন মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC)-সঙ্গ অস্বীকার করলেন প্রবীণ নেতা তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল। বুধবার সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না। তাই ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই।

    মুকুল রায় (Mukul Roy)…

    তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দূরত্ব হেতু ২০১৭ সালে ঘাসফুল শিবির থেকে সরে আসেন মুকুল রায়। পরে যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পায় বিজেপি। ২ থেকে ১৮টিতে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ মুকুল ফ্যাক্টরের পক্ষেই সওয়াল করে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী হন মুকুল। জয়ীও হন। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে পরেই তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তিনি (Mukul Roy) ফেরেন ঘাসফুল শিবিরে। পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ। এনিয়ে বিধানসভায় হইচই হয় বিস্তর।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মুকুলের এই ‘দলবদলে’র কারণে স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান বিজেপি নেতৃত্ব। এমতাবস্থায় স্ত্রী বিয়োগ হয় মুকুলের। তারপর বেশ কিছুদিন আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মুকুলকে। বুধবার সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি আমি। আমি সব সময় বিজেপির সঙ্গে থাকব। দল আমাকে যে কাজ দেবে, তাই করব। মুকুল দিল্লি যাওয়ার পরে মিসিং ডায়েরি করেন পুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, তাঁর বাবার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁর বদনাম করার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও দাবি শুভ্রাংশুর। ছেলের দাবি উড়িয়ে দিয়ে মুকুল (Mukul Roy) দাবি করেন, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। জেলা সভানেত্রীও দলীয় ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের কী অবস্থান, তা জানিয়ে দিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    গত মঙ্গলবার তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও অন্যান্য নেতৃত্ব। দিলীপ বর্মনকে দেখেই তিনি অন্য নেতাদের মাধ্যমে তাঁকে সেই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতে বলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযোগ জমা পড়ায় জেলা নেতৃত্ব সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেই নির্দেশ অমান্য করে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় জেলা নেতৃত্ব মঙ্গলবার তাকে সেখান থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য?

    এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের জেলা সভানেত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ বর্মন। তিনি যে জেলা সভানেত্রী তথা জেলা কমিটিকে মানেন না, সেকথাও বুধবার সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, শিলিগুড়ি পুরভোটে আমাকে এখান থেকে কেউ টিকিট দেয়নি। কলকাতা থেকে আমার টিকিট এসেছে। আর ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। কাজেই তৃণমূলের (TMC) এখানকার নেতানেত্রীরা আমাকে জেতাননি।  তাই, এখানে কে কী বলছেন, আমি সে নিয়ে ভাবতে রাজি নই। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের আমন্ত্রণেই আমি গিয়েছিলাম। আমি গোটা ঘটনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC)  জেলা সভানেত্রী?

    এদিকে দিলীপ বর্মনের এই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বারবার দিলীপ বর্মনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিতর্কিত অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল।  জেলা কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দিলীপ বর্মন দলীয় কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন না। সেইমতো মঙ্গলবার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি থেকে তাঁকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন না। এটা আমাদের দলগত সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই তথা সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। সোমবার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরের সভা থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধানকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত।

    সুকান্তের দাবি 

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) বলেন, ‘এখানকার সবথেকে বড় মহাপুরুষ মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধান লুটেপুটে খাচ্ছেন। সাগরে স্নানঘাটের জন্য ৫৬ কোটি টাকা এসেছিল। কিন্তু ৫৬টি ইট পর্যন্ত গাঁথা হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। আপনাদের কাছে কোনও তথ্য থাকলে আমাদের জমা দিন। আমরা সেগুলি নিয়ে আদালতে যাব। ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।’

    আরও পড়ুন: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) বক্তব্য, ‘এই জামাই আর শ্বশুর মিলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে, আমার কাছে খবর এসেছে। আপনারা তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে, আমার কাছে জমা করুন। আমি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করব এই জামাই আর শ্বশুরের বিরুদ্ধে সিবিআই করানোর জন্য, ইডি করানোর জন্য। আমরা নাটবোল্টু টাইট দেব, আর সিবিআই আসবে। সিবিআই দেখলে এখন নেতা-মন্ত্রীরা পাঁচিল টপকে পালাচ্ছে। ও তো সমুদ্রের মধ্যে কুমিরের সামনে ঝাঁপ দেবে। তা ছাড়া উপায় থাকবে না।’ পাল্টা সাগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেছেন, ‘পার্টিকুলারলি আমাকে নিশানা করেছে। সাহস থাকলে প্রমাণ করুক। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) যে অভিযোগ করেছেন, তা পুরো মিথ্যা, ভিত্তিহীন।’ বিধায়কের জামাই স্বপন প্রধানও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    TMC: ভোটে প্রার্থী হতে চান না তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, প্রার্থী করতে চান না স্ত্রীকেও! কেন?

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার বোমাবাজির ঘটনাও ঘটছে। দলীয় কর্মী খুন হওয়ার নজিরও রয়েছে। সেখানে আলিপুরদুয়ারে একেবারে অন্য চিত্র ধরা পড়ল। আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। এই আসনটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। তিনি স্ত্রীকেও এবার ভোটে প্রার্থী করতে চান না।

    পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে চান না কেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য?

    আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে কল কল করে বয়ে গেছে পাহাড়ি নদী কালকূট। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। কিন্তু, পাহাড়ি কালকূট নদীর ভাঙনে বিঘার পর বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এর আগে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে রবিবাবু এলাকাবাসীকে ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভোটারদের কাছে তা রাখতে পারেননি। সেই লোকলজ্জায় আর মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবেন না তিনি। দলকে সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস বলেন, “এবার আমার এলাকার পঞ্চায়েতের আসন মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। দল স্ত্রীকে প্রার্থী করার কথা বলেছিল, না করে দিয়েছি। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও নদীভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় আমার পক্ষে আর ভোটের সময় গিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মুখ নেই। তাই, আমি ও আমার পরিবারের কেউ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র আলিপুরদুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, “তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি করে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। তারা আর এলাকার উন্নয়ন করবে কিভাবে? ভাঙন প্রতিরোধ করার বিষয়ে কারও কোনও উদ্যোগ নেই। দেরি হলেও ওই পঞ্চায়েত সদস্য সেটা বুঝতে পেরেছেন জেনে ভাল লাগছে।”

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলার কার্যকরি সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখুন, ওই নদীবাঁধ নির্মাণের জন্য টাকা এসেছিল। তৃণমূল নেতারা সেই টাকা দুর্নীতি করে খেয়ে ফেলেছেন। নাহলে ওই এলাকায় আধিকারিকরা বার বার যাওয়ার পরেও বাঁধ নির্মাণ হবে না কেন?”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক অবশ্য বলেন, “কে প্রার্থী হবেন আর কে হবেন না, তা ঠিক করবে দল। তবে, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। সমস্যার কথা জানি। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, কাজ  হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    BJP: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, পুরসভায় দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকদিন আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, নতুন করে এই ঘটনায় আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। দণ্ডিকাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতারির ঘটনায় খুশি নয় বিজেপি (BJP)। এর আগেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতাদের দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বালুরঘাটসহ সব থানায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি (BJP)। এমনকী, জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি দিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই একই দাবিতে ১৭ এপ্রিল বনধ ডেকে ছিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। দুই দিনাজপুরে বনধে ভালো সাড়া পড়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতে মঙ্গলবার ফের আন্দোলনে নামল বিজেপি (BJP) ।

    পুরসভায় অবস্থান করে কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    দণ্ডিকাণ্ড ইস্যুতে মঙ্গলবার বালুরঘাট পুরসভায় অভিযান চালায় বিজেপি (BJP)। বালুরঘাট টাউন বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন দুপুরে বালুরঘাট পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে বালুরঘাটে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির-র বালুরঘাট টাউনের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত, বিজেপির (BJP) প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিল শেষে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। বিজেপি-র টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে আমরা আরও বড় আন্দোলনে নামব। এর পাশাপাশি ৮ দফা দাবিও ছিল। অবস্থান বিক্ষোভের পর পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছি। মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমাদের আন্দোলন থামবে না।

    বিজেপি-র (BJP) আন্দোলন নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    দণ্ডিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী পুরসভায় আসছেন না। এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, পুরসভার কাজকর্মে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। আর দাবিদাওয়া যে কেউ করতেই পারে। আইন আইনের পথে চলবে। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিকাদার-আবৃত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা কমিটি। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কমিটি আলিপুরদুয়ারের শাসকদলের অন্দরে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরখানেক আগে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়ির সভায় ঠিকাদারদের সম্পর্কে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। অনেকেই শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় ঠিকাদারি চালাত বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে অভিযোগ গিয়েছিল। অভিষেক জেলায় এসে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিকাদারি করলে দল করা যাবে না। ফলে, দলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা অনেকেই আশায় ছিলেন, ঠিকাদারমুক্ত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরকেই এবারে দলের জেলা কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হবে। আর বাস্তবে নতুন কমিটি দেখে কর্মীরা হতবাক। নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্য, এই ঠিকাদারদের দলে নেওয়ার অর্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করা। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।

    জেলা কমিটিতে কতজন ঠিকাদার রয়েছে, জানেন?

    ১২৭ জনের জেলা কমিটিতে আলিপুরদুয়ার শহর এলাকারই প্রায় ১০ জনের মতো প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ঠাঁই পেয়েছেন। এছাড়াও নামে-বেনামে ছোটখাট আরও কুড়িজন মতো ঠিকাদার রয়েছেন গ্রামাঞ্চলে, যাঁরা শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের ব্যবসাকেই মূলত ফুলেফেঁপে তুলেছেন। তৃণমূলের (TMC) জেলা কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন ঠিকাদাররা। আর জেলা কমিটিতে ঠিকাদারদের পদ দেখে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই হতাশা শাসকদলকে আরও অনেকটাই বিপাকে ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন চিন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। চিন্ময়বাবু বলেন, নিজের পেশাকে অস্বীকার করতে পারি না। তবে, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করব।

    জেলা কমিটিতে ঠিকাদার থাকা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের (TMC) আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, বিভিন্ন পেশার মানুষ দলের জেলা কমিটিতে রয়েছেন। এনিয়ে কোথাও কোনও বিরোধ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, দলের যুবরাজ ঠিকাদারদের দলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, জেলা নেতৃত্ব সে কথা কি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গা কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল (TMC) দলটাই তো এখন ঠিকাদারদের দ্বারা পরিচালিত। তারাই লুটেপুটে খাবে, সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না। এই নতুন কমিটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাধারণ মানুষের জন্য এই দল আর কাজ করবে না। এটা ব্যবসাদার, ঠিকাদারদের পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে রাজ্যজুড়ে। অন্যদিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে দিকে দিকে। সোমবার সকালেই আরামবাগে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা, যার জেরে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিন সেই পানীয় জলের দাবিতেই পিএইচই-র জলাধারের সামনে গ্রামের মহিলাদের বিক্ষোভে (Demonstration) উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলে। তাঁদের এই আন্দোলনে যোগ দিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মণ্ডল।

    কী অভিযোগ ঘিরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা?

    আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কিছুটা অংশে জল পরিষেবা দিয়ে থাকে পিএইচই এবং কিছুটা অংশে আসানসোল পুরসভা। তীব্র গরমে বেশ কয়েকদিন ধরে গোবিন্দপুর গ্রামে পিএইচই’র জল পরিষেবা অত্যন্ত অনিয়মিত বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সোমবার গ্রামের বেশ কিছু মহিলা একত্রিত হয়ে পিএইচই’র জলাধারের সামনে উপস্থিত হয়ে তীব্র বিক্ষোভে (Demonstration) ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এই তীব্র গরমেও জল পাচ্ছেন না তাঁরা। মহিলাদের আসতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল এসে উপস্থিত হন সেখানে। তিনিও অভিযোগ করেন, জল পরিষেবা মানুষকে দিতেই হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে পিএইচই জল দিচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগকে সমর্থন করে পিএইচইর আধিকারিকদের জল সরবরাহের ক্ষেত্রে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।

    কী বলছেন এখানকার কর্মীরা?

    বিক্ষোভ (Demonstration) প্রসঙ্গে এখানকারই এক অপারেটর বললেন, গরমের সময় এধরনের সমস্যা একটু হয়ে থাকে। সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যে কোনও কারণে হতে পারে। পুরসভা এবং পিএইচই মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে এখানে কর্মীরা থাকেন না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, এতবড় প্রজেক্টে লোক না থাকলে কি চলে?  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share