Tag: USA

USA

  • Donald Trump: ফের যৌন হেনস্থায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প! জরিমানা দিতে হবে প্রায় ৪১ কোটি 

    Donald Trump: ফের যৌন হেনস্থায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প! জরিমানা দিতে হবে প্রায় ৪১ কোটি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। ফের যৌন হেনস্থার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল তাঁকে। একই সঙ্গে ৫০ লক্ষ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪১ কোটি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে ম্যানহ্যাটানের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ধর্ষণ করেন ৭৯ বছর বয়সী লেখিকা ই.জিন ক্যারোলকে। ২০১৯ সালে লেখিকার প্রকাশিত একটি বইয়ে এমন গুরুতর অভিযোগ আনা হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে। তারপরেই আদালতে শুরু হয় মামলা।

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় এই মামলার শুনানি

    জানা গেছে, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার ৯ জন বিচারকের বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে যৌন হেনস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায়দান হয়নি বলেই জানা গেছে। মূলত লেখিকার সম্মানহানির ঘটনায় এই রায় দেয় বেঞ্চ। ফৌজদারি আদালতের পরিবর্তে জন আদালতে এই মামলা করেছিলেন লেখিকা। তাই শুধুমাত্র মানহানির ওপরেই এই মামলার রায় দান করে কোর্ট। সেদেশের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, মঙ্গলবার শুনানি চলাকালী কোর্টে হাজির ছিলেন না ট্রাম্প (Donald Trump)। সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে রয়েছে আরও একটি যৌন কেচ্ছার মামলা

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে উঠেছে আরও একটি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। এই মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। অভিযোগ মার্কিন পর্ন তারকা স্টর্মির সঙ্গে ২০০৬ সালে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। এবং এই ঘটনা যাতে বাইরে চাউর না হয় সে কারনে ট্রাম্প, ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে তাঁর আইনজীবী মারফত স্টর্মিকে নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে এই মামলায় গ্রেফতারও হয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার আইন অনুযায়ী, যদি সবগুলি মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হন তবে তাঁর ১৩৬  বছরের সাজা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MQ9B-Predator: আতঙ্কে চিন-পাকিস্তান! ৩০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ভারতের হাতে আসছে আরও ৩০ ‘প্রিডেটর’?

    MQ9B-Predator: আতঙ্কে চিন-পাকিস্তান! ৩০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ভারতের হাতে আসছে আরও ৩০ ‘প্রিডেটর’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিকঠাক চললে অপেক্ষা হয়ত আর কিছুদিনের। টাকাপয়সার লেনদেন ঠিকঠাক হলই তিন দফায় আমেরিকা থেকে ১০টি করে এমকিউ-৯বি (Predator MQ-9B Reaper) সশস্ত্র প্রিডেটর ড্রোন চলে আসবে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন বিভাগ অর্থাৎ স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার হাতে। মাঝেমধ্যেই সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতের আকাশে চলে আসছে পাক ড্রোন। মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চিন (China) সীমান্তবর্তী লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার খুব শীঘ্রই ভারত আমেরিকা থেকে আমদানি করবে অতি উন্নতমানের সশস্ত্র ড্রোন। 

    আধুনিক ড্রোন

    আমেরিকার হানাদার ড্রোনের শিকার হয়েছেন তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর থেকে সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদ। সেই ‘প্রিডেটর ড্রোন’ ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করে আমেরিকা থেকে কিনবে ভারত। ভারতীয় স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার জন্য প্রিডেটরের ‘এমকিউ-৯বি’-র ‘সি গার্ডিয়ান’ (Predator Drone) এবং ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ সংস্করণ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। জেনারেল অ্যাটোমিক্স গ্লোবাল কর্পোরেশনের মুখ্য আধিকারিক বিবেক লাল জানান, এই ড্রোন নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সরকারের মধ্যে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্য়োগে শক্তিশালী সশস্ত্র ড্রোন বানানোর পরিকল্পনাও আছে ভারতের।

    আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকা! জানেন কী কী অস্ত্র কিনতে পারে ভারত?

    ঘাতক ড্রোন

    মার্কিন বায়ুসেনা এই ধরনের সশস্ত্র ড্রোন (Drones) ব্যবহার করে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই প্রিডেটর-বি ড্রোনকে বলেন ঘাতক ড্রোন। উঁচু পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালানো এবং দুর্গম এলাকায় অতর্কিতে শত্রুঘাঁটির উপরে হামলা চালাতে এই ড্রোনের জুড়ি মেলা ভার। এর উন্নত রাডার ও সেন্সর সিস্টেম অনেক উঁচু থেকেই শত্রুঘাঁটি চিনে নিতে পারে। প্রতিপক্ষ টের পাওয়ার আগেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। আমেরিকার তৈরি এই ঘাতক ড্রোনকে ‘এমকিউ-৯ রিপার’ বলা হয়। ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টা ধরে একটানা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের। সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা ১,৭৪৬ কিলোগ্রাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bomb Cyclone: বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ! ৮ ফুট বরফের স্তরে ঢাকা বহু শহর, বম্ব সাইক্লোনে মৃত ৩৪

    Bomb Cyclone: বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ! ৮ ফুট বরফের স্তরে ঢাকা বহু শহর, বম্ব সাইক্লোনে মৃত ৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসব না আতঙ্ক! ক্রিসমাসের সময় বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ। তুষারঝড়ে দেশ জুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪।   বিধ্বস্ত পূর্ব আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশ।  হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তুষারঝড়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কের বাফেলোর। ঝড়ের পরে গোটা শহরটাই প্রায় ৮ ফুট বরফের স্তরের নীচে ঢাকা পড়ে গেছে। 

    তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে

    আমেরিকার এই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে ‘সাইক্লোন বম্ব’। এর ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। ঠান্ডায় প্রায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা এমন যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও দুর্যোগ কবলিতদের উদ্ধারে বাধা পাচ্ছে। বিদ্যুৎহীন একাধিক এলাকা। কোথাও গাড়ির ভিতর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে, কোথাও স্নো-ব্যাঙ্কের নীচ থেকে। বন্ধ শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিষিদ্ধ করা হয়েছে গাড়ির চলাচলও।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রা নামবে -৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে! তুষারঝড়ে কাঁপছে আমেরিকা

    ২ লক্ষ মানুষ অন্ধকারে

    বাফেলোর বাসিন্দা তথা নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্য়াথি হোচুল বলেন, “মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দুপাশে গাড়ির স্তূপ। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। আমরা সকলকে বাড়ির ভিতরেই থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কারণ, বাইরে তাপমাত্রা এত নেমে গিয়েছিল যে, কোনও মুহূর্তেই মানুষ মারা যেতে পারতেন।”আবওহাওয়া দফতরের খবর, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৮ ডিগ্রি নীচে চলে গিয়েছে। প্রবল শীতের কারণে মুহূর্তের মধ্যেই বরফে পরিণত হয়েছে ফুটন্ত জল। আমেরিকায় টানা ৫ দিন ধরে বরফের ঝড় চলেছে। তুষার বর্ষণের পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডা হাওয়া ভুগিয়েছে স্থানীয়দের। যদিও আপাতত সেই হাওয়ার বেগ কিছুটা কমেছে। দুর্যোগে আমেরিকার অন্তত ২ লক্ষ মানুষ বড়দিন কাটিয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা কবে, কখন স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। কারণ অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খুঁটি ডুবে গিয়েছে বরফের আস্তরণে। দেশে যাতায়াত ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • FIFA World Cup: শেষ ষোলোয় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি সেনেগাল, নেদারল্যান্ডসের সামনে আমেরিকা

    FIFA World Cup: শেষ ষোলোয় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি সেনেগাল, নেদারল্যান্ডসের সামনে আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েলসেক হারিয়ে গ্রুপ বি থেকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। ইরানকে হারিয়ে একই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে গিয়েছে আমেরিকা। অন্য দিকে গ্রুপ এ থেকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছে নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল। বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গ্রুপ এ ও বি-কে নিজেদের মধ্যে খেলতে হবে। গ্রুপ এ-র শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে খেলবে গ্রুপ বি-র দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল। আবার গ্রুপ বি-র শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে গ্রুপ এ-র দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল। সেই হিসাবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে সেনেগাল। অন্য দিকে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে আমেরিকা।

    ইরানের স্বপ্নভঙ্গ

    এ বারের বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ ইরানের কাছে। কিন্তু আমেরিকার ফুটবলাররা ভেঙে দিল ইরানের স্বপ্ন। ১-০ গোলে ইরানকে হারিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে পরের রাউন্ডে গেল আমেরিকা। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যেতে হলে আমেরিকার বিরুদ্ধে ড্র করলেই হত ইরানকে। সেই কারণেই হয়তো প্রথম থেকে একটু রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলছিল ইরান। তারই ফায়দা তুলল আমেরিকা।

    দাপুটে জয় ব্রিটিশদের

    ওয়েলসকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল ইংল্যান্ড। গ্রুপ বি-র শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে গেলেন গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। ৩-০ গোলে ওয়েলসকে হারাল ইংল্যান্ড। নায়ক হতে পারলেন না গ্যারেথ বেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে বেলের উপরেই ভরসা করেছিল ওয়েলস। কিন্তু গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না তাঁকে। খেলার শুরু থেকেই দাপট দেখায় ব্রিটিশ ফুটবলাররা। তারই ফল এই জয়।

    আরও পড়ুন: শেষ ষোলোয় ব্রাজিল, পর্তুগাল! গোলের বন্যা ক্যামেরুন-সার্বিয়া ম্যাচে

    দুই দশকের অপেক্ষার পর

    দুই দশক আগে যাঁর নেতৃত্বে বিশ্ব মঞ্চের শেষ ষোলোয় উঠেছিল আফ্রিকার দেশটি, এবার তাঁর কোচিংয়েই আবার শেষ ষোলোয় খেলার টিকিট পেল সেনেগাল। ইকুয়েডরকে এদিন ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বমঞ্চের নক আউট পর্ব নিশ্চিত করল সেনেগাল। দলের হয়ে গোল করেছেন ইয়ান সার ও কোলিবালি। ইকুয়েডরের একমাত্র গোলটি করেছেন কাইসেডো। 

    আয়োজক দেশের বিদায়

    ২টি ম্যাচের ২টিতেই হেরে এদিন খেলা শুরু করেছিল আয়োজক দেশ কাতার। গোড়া থেকেই নেদারল্যান্ডস চেপে ধরে কাতারকে। নিজেদের বাঁচানোর জন্য কাতারের খেলোয়াড়রা পেনাল্টি বক্সেই ভিড় করে থাকে। তার মধ্যেই গোল করার সুযোগ পেয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ২-০ গোলে মানসিক ভাবে দুর্বল কাতারকে হারায় ডাচরা। ৩ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ শীর্ষে থাকল নেদারল্যান্ডস। 

    গতকালের ম্যাচের ফলাফল:

    সেনেগাল ২ : ইকুয়েডর ১

    নেদারল্যান্ডস ২ : কাতার ০

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১ : ইরান ০

    ইংল্যান্ড ৩ : ওয়েলস ০

    আজকের ম্যাচ:

    তিউনিশিয়া-ফ্রান্স (রাত সাড়ে ৮টা)

    অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক (রাত সাড়ে ৮টা)

    পোল্যান্ড-আর্জেন্টিনা (রাত সাড়ে ১২টা)

    সৌদি আরব-মেক্সিকো (রাত সাড়ে ১২টা)

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Donald Trump: ‘আমেরিকাকে আবার মহান ও গৌরবময় করতে…’ ফের হোয়াইট হাউজ দখলের লড়াইয়ে ট্রাম্প

    Donald Trump: ‘আমেরিকাকে আবার মহান ও গৌরবময় করতে…’ ফের হোয়াইট হাউজ দখলের লড়াইয়ে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জল্পনার ইতি করে মঙ্গলবারই যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়েছেন ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের লড়াইয়ে তিনি ফের নিজের দাবি জানাবেন। ট্রাম্প ফের রাজনীতির ময়দানে নামবেন কি না, এই নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা ছিল। গত সপ্তাহেই বড় ঘোষণা করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। এই অবস্থায় জনগণ আশা করেছিল তিনি আবারও রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে নামতে পারেন। আর সেই জল্পনাই সত্যি প্রমাণিত হল।

    আরও পড়ুন: স্পোর্টস সাইকোলজি কোর্সের চাহিদা বাড়ছে ভারতজুড়ে, মিলবে বেতন মোটা অঙ্কের

    ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নথি জমা দিয়েছেন। ট্রাম্প ফ্লোরিডার একটি রিসোর্টে তার সমর্থকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন যে এখন আমেরিকার প্রত্যাবর্তন শুরু হচ্ছে। এই সময় ট্রাম্প তার সমর্থকদের বলেন, “আমেরিকাকে আবার মহান ও গৌরবময় করতে, আজ আমি ২০২৪ সালের নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আমার প্রার্থিপদ ঘোষণা করছি।”

    ট্রাম্পের প্রার্থী হওয়ায় খুশি নয় তাঁর দলই?

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থী হওয়ায় খুশি নয় তাঁরই দলের অনেকে। রিপাবলিকান পার্টির একাংশের মতে, দুর্নীতি, অপরাধমূলক তদন্তে জর্জরিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাইরেও ভবিষ্যতের কথা ভাবা উচিৎ। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেস্যান্টিস পছন্দের প্রার্থী তালিকায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্য একাংশের রিপাবলিকানদের কাছে এখনও অত্যন্ত জনপ্রিয় ট্রাম্প। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রার্থী হবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অনেকেই মনে করছেন, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, ট্রাম্পের বিপরীতে লড়তে পারেন।

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে কী চ্যালেঞ্জ?

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যে এবারের লড়াই অনেক বেশি কঠিন। নিজের দলও এবার তাঁর জন্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস এবং প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও এই বছর রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তালিকায় ছিলেন। এই অবস্থায় ট্রাম্পকে আগে তাঁদের সামনাসামনি দাঁড়াতে হবে। এর পরে, ট্রাম্পকে ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা জিততে হবে। শেষবার ২০২০ সালে, নির্বাচনের ফলাফলের পরে যখন ট্রাম্প পরাজিত হন। সেই সময় তিনি ক্যাপিটল হিলে গায়ের জোড়ে ফলাফল পরিবর্তনের চেষ্টা করেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

       

        

     

     

  • Insects harming plants : কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    Insects harming plants : কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    মাধ্যমে নিউজ ডেস্ক: বর্তমান শতাব্দীতে কীট-পতঙ্গের সংখ্যা ক্রমশ কমেই চলেছে, কিছু কিছু কীটপতঙ্গ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং কিছু কিছু কীটপতঙ্গ বিলুপ্তির পথে। তবুও বহু কীটপতঙ্গ কৃষি ফসলসহ বহু উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকারক। এবং ফলনের প্রভুত ক্ষতিসাধন করে চলেছে। এরফলস্বরূপ প্রতিবছর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের। উদ্ভিদজগতের ক্ষতির নিরিখে আধুনিক তৃণভোজী কীটপতঙ্গ এবং ৬.৭ কোটি বছর আগে ক্রিটেশাস যুগের উদ্ভিদ ও তৃণভোজী কীটপতঙ্গের মধ্যে তুল্যমূল্য বিচার করে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত করেছেন আমেরিকার ওয়াইওমিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

    ক্রিটেশাস যুগের উদ্ভিদ ও কীটপতঙ্গ সংগ্রহ করা হয়েছে সেই যুগের থেকে প্রাপ্ত জীবাশ্ম থেকে। গবেষণাপত্রটি যে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তার নাম ” proceedings of the national academy of sciences”। প্রধান গবেষক এবং পিএইচডি স্নাতক লরেন আজেভেডো-শ্মিডের কথায়, “আমাদের ভূমিকা হল যাঁরা জীবাশ্মর সাহায্যে প্রাচীন উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছেন এবং যাঁরা নব বা বর্তমান উদ্ভিদকূল নিয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের মাঝে সেতু হিসেবে কাজ করা।”

    তিনি বর্তমানে মেইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসেবে কর্মরত। তিনি আরও বলেছেন, “একটি অভূতপূর্ব বিষয় আমাদের গোচরে এসেছে, কিছু কিছু কীটপতঙ্গ ক্রিটেশাস যুগ থেকে আজও সমানভাবে উদ্ভিদকূলের ক্ষতিসাধন করে চলেছে।” ইউডব্লিউ ডিপার্টমেন্ট অফ বোটানি এবং জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক এলেন কুরানো এবং ক্যালিফোর্নিয়া-ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এমিলি মেইনেকের সঙ্গে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন আজেভেডো-শ্মিড।

    গবেষণায় ক্রিটেশাস যুগের শেষকাল থেকে ২০ লক্ষ বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগ পর্যন্ত পোকায় খাওয়া জীবাশ্মযুক্ত পাতাগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং পাশাপাশি বর্তমান যুগ থেকে আজেভেডো-শ্মিডের সংগ্রহ করা পাতার সঙ্গে সেগুলির তুলনা করা হয়েছে। বিস্তারিত গবেষণায় পোকামাকড় দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন ধরণের ক্ষতির দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্লাইস্টোসিন যুগ কিংবা ক্রিটেশাস যুগের তুলনায় সাম্প্রতিক ক্ষতির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    কীটপতঙ্গের দ্বারা উদ্ভিদের ক্ষতির সুনির্দিষ্ট কারণগুলি নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন একটি উষ্ণ জলবায়ু, নগরায়ন এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতির প্রবর্তন সম্ভবত একটি বড় প্রভাব ফেলেছে। নগরায়ন, শিল্পায়নের ফলস্বরূপ জঙ্গলের বাড়তে থাকা সংকোচন বড় প্রাণীর পাশাপাশি কীটপতঙ্গগুলোর ক্ষতি ও তাদের জীবনযাত্রাকেও প্রভাবিত করেছে। শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী যুগে পরিবেশ দূষণের জন্য জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, যার প্রভাব পড়েছে প্রকৃতির উপর এবং এতে বসবাসকারী জীবনকূলের উপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার (Russia) ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে পুতিনকে চাপে ফেলেছিল আমেরিকা (USA)। এবার আমেরিকাকে পাল্টা চাপে ফেললেন পুতিন (Vladimir Putin)। প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (Edward Snowden) নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি। সোমবার স্নোডেনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (NSA) চুক্তিভিত্তিক আধিকারিক ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন তিনি৷ সেই নথিতে প্রকাশ্যে আসে যে শুধু বিদেশ নয়, খোদ মার্কিন নাগরিকদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়। সংস্থাটিতে কর্মরত থাকাকালীনই এই তথ্য ফাঁস করেন তিনি। তাঁর ফাঁস করা তথ্যের কারণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকার ওই গোয়েন্দা বিভাগ। দেশজুড়ে নজরদারির বিরুদ্ধে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার প্রতিবাদে আওয়াজ তোলেন মার্কিন নাগরিকদের একাংশ।      
     
    এনএসএ-র গোপন তথ্য ফাঁস করায় ২০১৩ থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছে মার্কিন সরকার। তারপর থেকেই তিনি রাশিয়ায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আমেরিকা একাধিক বার স্নোডেনকে ফেরানোর কথা বললেও এতদিন রাশিয়া কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে স্নোডেন কাজ করছেন। তাই তাঁকে রক্ষা করে যাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোতেই এত বছর নির্বাসিত ছিলেন স্নোডেন। চাপের মুখে পালাতে বাধ্য হন তিনি। মার্কিন প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে মামলা করেছে।  

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের      

    বিচারের জন্য স্নোডেনকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সরকার। এবার রাশিয়া স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিয়ে আমেরিকার সব চেষ্টাকে মাটি করে দিল। স্নোডেন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে আর আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন না তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার (Russia) ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে পুতিনকে চাপে ফেলেছিল আমেরিকা (USA)। এবার আমেরিকাকে পাল্টা চাপে ফেললেন পুতিন (Vladimir Putin)। প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (Edward Snowden) নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি। সোমবার স্নোডেনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (NSA) চুক্তিভিত্তিক আধিকারিক ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন তিনি৷ সেই নথিতে প্রকাশ্যে আসে যে শুধু বিদেশ নয়, খোদ মার্কিন নাগরিকদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়। সংস্থাটিতে কর্মরত থাকাকালীনই এই তথ্য ফাঁস করেন তিনি। তাঁর ফাঁস করা তথ্যের কারণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকার ওই গোয়েন্দা বিভাগ। দেশজুড়ে নজরদারির বিরুদ্ধে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার প্রতিবাদে আওয়াজ তোলেন মার্কিন নাগরিকদের একাংশ।      
     
    এনএসএ-র গোপন তথ্য ফাঁস করায় ২০১৩ থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছে মার্কিন সরকার। তারপর থেকেই তিনি রাশিয়ায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আমেরিকা একাধিক বার স্নোডেনকে ফেরানোর কথা বললেও এতদিন রাশিয়া কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে স্নোডেন কাজ করছেন। তাই তাঁকে রক্ষা করে যাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোতেই এত বছর নির্বাসিত ছিলেন স্নোডেন। চাপের মুখে পালাতে বাধ্য হন তিনি। মার্কিন প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে মামলা করেছে।  

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের      

    বিচারের জন্য স্নোডেনকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সরকার। এবার রাশিয়া স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিয়ে আমেরিকার সব চেষ্টাকে মাটি করে দিল। স্নোডেন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে আর আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন না তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    S Jaishankar: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) সফর শেষ করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (s Jaishankar)। এই সময় সীমায় তিনি বৈঠক করেছেন ৫০টিরও বেশি। এর মধ্যে ৪০টি বৈঠক হয়েছে মুখোমুখি। বাকিগুলির মধ্যে রয়েছে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং গ্রুপ মিটিংও। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলি হয়েছে তাঁর সম পর্যায়ের মন্ত্রী বা সচিবের সঙ্গে।

    সোমবার ওয়াশিংটনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বৈঠক করেন মার্কিন বাণিজ্য সচিব জিনা রায়মান্ডোর সঙ্গে। সেখানে ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পাশাপাশি দু দেশের মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পেন্টাগনের মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি নয়াদিল্লির একটি পদক্ষেপ।

    চলতি সফরে পাঁচ বাণে আমেরিকাকে বিদ্ধ করেছেন জয়শঙ্কর। এফ-১৬ বিমানের যন্ত্রাংশ প্রদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এগুলো বলে আপনি কাউকে বোকা বানাচ্ছেন না। প্রত্যেকেই জানেন কোথায় এবং কার বিরুদ্ধে এফ-১৬ ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়। একপেশে সংবাদ পরিবেশন করায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিশেষত ওয়াশিংটন পোস্টকেও একহাত নেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমের খবরে চোখ রাখি। আপনারা জানেন, কিছু সংবাদপত্র রয়েছে, তারা জানে না তারা কী সংবাদ পরিবেশন করছে। এমন কী তার নিজের শহরের খবরও কীভাবে পরিবেশন করছে। পাক-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, সততার সঙ্গে বলছি, এটা এমন একটা সম্পর্ক যাতে পাকিস্তানেরও ভাল হবে না, আমেরিকারও লাভ হবে না। আমেরিকার কাছে এই সম্পর্কের মানে কী, এই সম্পর্ক থেকে তারা কীই বা পাবে?

    আরও পড়ুন : একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাওয়া প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সাল থেকে গত চল্লিশ বছর ধরে ভারতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল না। আমি হলফ করে বলতে পারি আমার আত্মীয়, আমার বাবা, দাদু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে কাজ করেছেন। তাই আমি ভাল করেই জানি ভারতের সঙ্গে আমেরিকার গাঁটছড়া বাঁধলে আদতে যে আমেরিকারই লাভ হবে সেকথা আমেরিকাকে বোঝাতে কত বেগ পেতে হয়েছে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, যখন নাচ-গান চলছে তখন যদি আচমকাই ইন্টারনেট কেটে যায়… আপনি যখন মঞ্চে গেলেন আপনি বললেন মানুষের প্রাণহানির চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ইন্টারনেট কেটে যাওয়াটা, তখন আমি আর কীইবা বলতে পারি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। ভারতকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি খেলা। পৃথিবীর সব শক্তিধর দেশই নিজের দলে রাখতে চাইছে ভারতকে। তাই রাশিয়ায় চিনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের ভারতের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। 

    বৃহস্পতিবার থেকে পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়ার (War Games) আয়োজন করেছে রাশিয়া (Russia)৷ চিন (China), ভারতসহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই সামরিক মহড়ায়৷ 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    ভস্তক ২০২২ নামের এই সামরিক মহড়ায় ৫০ হাজারের বেশি সৈন্য অংশ নেবেন৷ ১৪০টি যুদ্ধ বিমান এবং ৬০ টি যুদ্ধ জাহাজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়৷ তবে ২০১৮  সালে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মহড়া। প্রায় তিন লক্ষ সেনা অংশ নিয়েছিলেন৷ সেই সময় প্রায় ১ হাজার যুদ্ধ বিমান এবং ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক ছিল৷   

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বার বার আলোচনায় বসেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় কী করে এই দুই দেশকে একসঙ্গে মহড়ায় রাজী করাল রাশিয়া, তা নিয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    আরও পড়ুন: চিনের অমানবিকতা! উইঘোর বাসিন্দাদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, কোণঠাসা অবস্থায় দুই পুরোনো বন্ধুকে পাশে পেতে চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দা করলেও, প্রকাশ্যে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। প্রবল চাপ সত্বেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। আর সে কারণেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইছেন পুতিন, যেন প্রয়োজন পড়লে দুই দেশই রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারে। 

    অন্যদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষা অংশীদার করতে চাইছে আমেরিকা। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো যাতে খর্ব না হয় তার জন্যে দিল্লিকে অনুরোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন-রাশিয়া অশান্তির মধ্যে ভারতীয়  সেনার এই রাশিয়া সফরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই মহড়া আয়োজন। ভারত-চীনের অংশগ্রহণ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    তবে মহড়ার জন্যে সেনার ছোট দল রাশিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সেনার তিন বিভাগেই মহড়া চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান বা যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে না। সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হচ্ছে সামরিক মহড়ায়। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় যাবে।  

    কূটনৈতিক দিক দিয়ে বরাবরই নিরপেক্ষ থেকেছে ভারত। কিছুদিন পরেই আরণাচলপ্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। চিনের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই হবে এই মহড়া।

    সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি দর ভারতের। সব দেশই চাইছে ভারতের বন্ধুত্বের হাত। শেষ হাসি কে হাসবে তা সময় বলবে। কিন্তু এই অবধি সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share