Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

https://madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-354th-copy

ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে নরেন্দ্রদাদি অনেক ভক্ত বসিয়াছেন। গিরিশও আসিয়া বসিলেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- আমি নরেন্দ্রকে আত্মার স্বরূপ জ্ঞান করি। আর আমি ওর অনুগত।

গিরিশ- আপনি কারও অনুগত নন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (হাস্য)- ওর মদ্দে ভাব (পুরুষ ভাব) আর আমার মেদি ভাব (প্রকৃতি ভাব)। নরেন্দ্র উঁচু ঘর অখণ্ডের ঘর (Ramakrishna)।

গিরিশ বাহিরে তামাক খাইতে লাগিলেন।

নরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- গিরিশ ঘোষের সঙ্গে আলাপ হল। খুব বড়লোক। মাস্টারের প্রতি আপনারই কথা হচ্ছিল।

শ্রী রামকৃষ্ণ- কী কথা?

নরেন্দ্র- আপনি লেখাপড়া জানেন না, আমরা সব পণ্ডিত। এইসব কথা হচ্ছিল (হাস্য)।

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্র (পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র)

মণি মল্লিক (ঠাকুরের প্রতি)- আপনি না পড়ে পণ্ডিত।

শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রদাদির প্রতি)- সত্য বলছি আমি বেদান্ত আদি শাস্ত্র পড়ি নাই বলে একটু দুঃখ হয় না। আমি জানি বেদান্তে সার। ব্রহ্ম সত্য় জগত মিথ্যা। আবার গীতার সার কী। গীতা ১০ বার বললে যা হয় ত্যাগী ত্যাগী।

শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়। তারপর সাধন ভজন। একজন চিঠি লিখেছিল চিঠিখানি পড়া হয়নি। হারিয়ে গেল। তখন সকলে মিলে খুঁজতে লাগল। যখন চিঠিখানা পাওয়া গেল পড়ে দেখলে পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাবে আর একখানা কাপড় পাঠাবে। তখন চিঠিটা ফেলে দিলে। আর সন্দেশ আর একখানা কাপড় জোগাড় করতে লাগল। তেমনি শাস্ত্রের সার জেনে নিলে আর বই পড়বার কী দরকার। এখন সাধন ভজন।

এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কি করছিলে? আমি খাই দাই থাকি। গিরিশ আপনার কথা আর কি বলব। আপনি কি সাধু?

শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই।

গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আমি লাল পেড়ে কাপড় পড়ে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল আজ বড় যে রং লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম কেশবের মন ভোলাতে হবে (Kathamrita) তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share