একজন একটি ভাগবতের পণ্ডিত চেয়েছিল (Ramakrishna)। তার বন্ধু বললে, একটি উত্তম ভাগবতের পণ্ডিত আছে। কিন্তু তার একটু গোল আছে। তার নিজের অনেক চাষবাস দেখতে হয়। চারখানা লাঙ্গল, আটটা হেলে গরু। সর্বদা তদারক করতে হয়। অবসর নাই (Kathamrita)। যার পণ্ডিতের দরকার সে বললে আমার এমন ভাগবতের পণ্ডিতের দরকার নাই। যার অবসর নাই (Ramakrishna), লাঙ্গল হেলে গরু ওয়ালা ভাগবত পন্ডিত আমি খুঁজছি না, আমি এমন ভাগবত পণ্ডিত চাই যে আমাকে ভাগবত শোনাতে পারে।
শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- এক রাজা রোজ ভাগবত শুনত। পণ্ডিত পড়া শেষ হলে রাজাকে বলত, রাজা বুঝেছো? রাজাও রোজ বলে, আগে তুমি বোঝো। পণ্ডিত বাড়ি গিয়ে রোজ ভাবে, রাজা এমন কথা বলে কেন যে তুমি আগে বোঝো। লোকটা সাধন-ভজন করত। ক্রমে চৈতন্য হল। তখন দেখলে যে হরিপাদপদম্মই সার। আর সব মিথ্যা। সংসারে বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে এল। কেবল একজনকে পাঠালে রাজাকে (Kathamrita) বলতে যে রাজা এইবার বুঝেছি (Ramakrishna)।
তবে কি এদের ঘৃণা করি? না ব্রহ্মজ্ঞানী তখন আনি। তিনি সব হয়েছেন। সকলেই নারায়ণ। সব যোনীই মাতৃ যোনী। তখন বেশ্যা ও সতীলক্ষ্মীতে কোন প্রভেদ দেখিনা।
(সব কলাইয়ের ডালের খদ্দের, রূপ ঐশ্বর্যের বশ)
কি বলবো? সব দেখছি কলাইয়ের ডালের খদ্দের (Kathamrita)। কামিনী কাঞ্চন ছাড়তে চায় না। লোকে মেয়ে মানুষের রূপে ভুলে যায়। টাকা ঐশ্বর্য দেখলে ভুলে যায়। কিন্তু ঈশ্বরের রূপ দর্শন করলে (Ramakrishna) ব্রহ্মপদ তুচ্ছ হয়।
রাবণকে একজন বলেছিল, তুমি সব রূপ ধরে সীতার কাছে যাও। রামরূপ ধরো না কেন? রাবণ বললে, রামরূপ হৃদয় একবার দেখলে রম্ভা তিলোত্তমা এদের চিতার ভস্ম বলে বোধ হয়। ব্রহ্মপদ তুচ্ছ হয়। পরস্ত্রীর কথা তো দূরে থাক (Ramakrishna)।
সব কলাইয়ের ডালের খদ্দের। শুদ্ধ আধার না হলে ঈশ্বরের শুদ্ধাভক্তি হয় না। এক লক্ষ্য হয় না, নানাদিকে মন থাকে।
Leave a Reply