Ramakrishna 394: ঠাকুর পল্টুর দিকে তাকাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, ছেলে মানুষ কিনা তাই হেসে গড়াগড়ি দিচ্ছে

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-393th-copy

ঠাকুরের জন্য মোহিনী মোহন চ্যাংড়া করিয়া সন্দেশ আনিয়াছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ- সন্দেশ কার?

বাবুরাম- মোহিনীকে দেখাইয়া দিলেন।

ঠাকুর ‘প্রণব’ উচ্চারণ করিয়া সন্দেশ স্পর্শ করিলেন ও কিঞ্চিৎ গ্রহণ করিয়া প্রসাদ করিয়া দিলেন। অতঃপর সেই সন্দেশ লইয়া ভক্তদের দিতেছেন। কী আশ্চর্য, ছোট নরেনকে ও দুই-একটি ছোকরা ভক্তকে নিজে খাওয়াইয়া দিতেছেন।

শ্রী রামকৃষ্ণ মাস্টারের প্রতি- এর একটি মানে আছে। নারায়ণ শুদ্ধাত্মাদের ভিতরে বেশি প্রকাশ। ও দেশে যখন যেতুম, ঐরূপ ছেলেদের কারও কারও মুখে নিজে খাবার দিতাম। চিনে শাঁখারি বলত, উনি আমাদের খাইয়ে দেন না কেন? কেমন করে দেব, কেউ ভাজ মেগো, কেউ অমুক মেগো। খাইয়ে দেবে?

সমাধি মন্দিরে ভক্তদের সম্বন্ধে মহাবাক্য?

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শুদ্ধ ভক্তদিগকে পাইয়া আনন্দে ভাসিতেছেন ও ছোট খাটটিতে বসিয়া বসিয়া তাহাদিগকে কীর্তনীয়া ঢং দেখাইয়া হাসিতেছেন। কীর্তনি সেজেগুজের সম্প্রদায়ের সঙ্গে গান গাইতেছে কীর্তনি দাঁড়াইয়া হাতের রঙিন রুমাল মাঝে মাঝে ঢং করিয়া কাশিতেছে। নথ তুলিয়া থুথু ফেলিতেছে। আবার যদি কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি আসিয়া পড়ে গান গাইতেই তাহাকে অভ্যর্থনা করিতেছে ও বলিতেছে, আসুন আবার মাঝে মাঝে হাতের কাপড় সরাইয়া তাবিজ অনন্ত ও বাউটি ইত্যাদি অলংকার দেখাইতেছে।

অভিনয় দৃষ্টি ভক্তরা সকলেই হো হো করিয়া হাসিতে লাগিলেন। পল্টু হাসিয়া গড়াগড়ি দিতেছেন। ঠাকুর পল্টুর দিকে তাকাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, ছেলে মানুষ কিনা তাই হেসে গড়াগড়ি দিচ্ছে।

শ্রীরামকৃষ্ণ- পল্টুর প্রতি সহাস্যে তোর বাবাকে এসব কথা বলিস নি। যাও একটু টান ছিল তাও যাবে। ওরা একে ইংলিশ ম্যান লোক।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share