Ramakrishna 466: কালি ঘরে কাজ করার সময় মাকে বললাম, “মা, হৃদে বলছে কিছু সিদ্ধাই চাই

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-443th-copy

গভীর ধ্যানে ইন্দ্রিয়ের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মন বহির্মুখী থাকে না—যেন বার-বাড়িতে কপাট পড়ল। ইন্দ্রিয়ের পাঁচটি বিষয়: রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ—বাহিরে পড়ে থাকে।

“ধ্যানের সময় প্রথম প্রথম ইন্দ্রিয়ের বিষয় সকল সামনে আসে—গভীর ধ্যানে সে সকল আর আসে না—বাহিরে পড়ে থাকে। ধ্যান করতে করতে আমাদের কত কি দর্শন হয়। প্রত্যক্ষ দেখলাম—সামনে টাকায় কাঠি, শাল, একখানা সুন্দর টালি—তাদের মধ্যে কি সুন্দর জ্যোৎস্নার আভা—সব বাহিরের বস্তু।

সমস্ত জিনিস বার থেকে দেখা যায়! তাদের ভিতরে দেখলাম— নাড়ীভূড়ি, রক্ত, মল, কফ, নাল, প্রস্রাব এই সব।

[ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — গুরুগিরি ও বেশ্যাবৃত্তি]

শ্রীযুক্ত গিরিশ ঠাকুরের নাম করিয়া ব্যারাম ভাল করিব — এই কথা মাঝে মাঝে বলিতেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি) — যাহারা ঈশ্বরবুদ্ধি তাঁরা সিঁড়াই চায়। ব্যারাম ভাল করা, মোক্ষম লাভ, জিতানো, জলে হেঁটেই চলে যাওয়া — এই সব। যাহারা শুদ্ধভক্ত তাঁরা ঈশ্বরের পাদপদ্ম ছাড়া কিছুই চায় না। হৃদয়ে একদিন বললেম, ‘মা! মার কাছে কিছু শক্তি চাই, কিছু সিঁড়াই চাই।’ আমার বালকের স্বভাব। — কালীঘাটে জপ করিবার সময় মাকে বলিলাম, মা বলছে কিছু সিঁড়াই চাইতে। অমনি দেখিতে দিলেন সামনে এসে পেঁচাটে ফিকে উড়ু হয়ে বসলো—

কালি ঘরে কাজ করার সময় মাকে বললাম, “মা, হৃদে বলছে কিছু সিদ্ধাই চাই।” হঠাৎ সামনে একজন বুড়ো বেশ্যা এসে উবু হয়ে বসে পড়ল। তার বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। ধামা পোঁদ, কালো পেড়ে কাপড় পরা, এবং পড়পড় করে হাগছে। যাদের একটু সিদ্ধাই থাকে, তাদের জন্য এই পরিস্থিতি অবাক করা। অনেকের ইচ্ছা হয় গুরুগিরি করা; পাঁচজনে একসাথে মানে শীর্ষ সেবক হিসেবে আচরণ করছে। মানুষ বলে, “গুরুচরণের ভাইয়েরা আজকাল বেশ কিছু লোক আসছে-যাচ্ছে।” শীষ্য সেবক অনেক হয়েছে, ঘরে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share