Author: ishika-banerjee

  • WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    WTC Final 2025: ২৭ বছরে ‘শাপমোচন’! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ১৯৯৯! বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে জুটেছিল চোকার্স তকমা। সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই তা মুছল দক্ষিণ আফ্রিকা। অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, জ্যাক কালিস, এবি ডিভিলিয়ার্সেরা যা পারেননি, তা করলেন টেম্বা বাভুমা, এডেন মার্করাম, কাগিসো রাবাডারা। ২৭ বছর পর আরও এক বার আইসিসি ট্রফি জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার সাড়ে তিন দশক পর টেস্ট ক্রিকেটের সিংহাসনে বসল তারা। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর কোনও আইসিসি ট্রফি ঘরে তুলল প্রোটিয়ারা।

    মার্করাম-বাভুমার লড়াকু ইনিংস

    এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য দেয়। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ২১২ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রান করে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ১৩৮ রানেই সব উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের লিড পেলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এখান থেকে ক্রিজ ধরে রাখেন এইডেন মার্করাম এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তৃতীয় উইকেটে দুজনের মধ্যে ১৪৭ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথ তৈরি করে দেয়। মার্করাম ১০১ বলে ১১টি চারের সাহায্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বাভুমা ৬৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। তারপর এই জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। লর্ডসে ইতিহাস গড়ে এই প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারালো প্রোটিয়ারা। ব্যর্থ হল না বাভুমা এবং মার্করামের লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নজির গড়লেন টেম্বা বাভুমা। জয়ের নিরিখে অপরাজিত থেকে দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন তিনি। বাভুমার নেতৃত্বে ফাইনাল সহ ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ৯টি জয় ও ১টি ড্র করেছে প্রোটিয়ারা।

    বহু অপেক্ষার ফল

    দ্বিতীয় ইনিংসে কামিন্স, স্টার্ক, হেজলউডদের তেমন সুযোগ দিলেন না বাভুমা ও মার্করাম। উল্টে যত সময় গড়াল তত কাঁধ ঝুঁলে গেল কামিন্সদের। নইলে কেন এত রক্ষণাত্মক হয়ে পড়লেন অসি অধিনায়ক। যেখানে উইকেট তোলা ছাড়া গতি নেই সেখানে বাউন্ডারিতে ফিল্ডার রাখলেন। বোঝা গেল, দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের পথে বিলম্ব করা ছাড়া আর কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। হার মেনে নিয়েই বোধহয় চতুর্থ দিন খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাদের শরীরী ভাষা সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল। তাই কামিন্স, স্টার্কেরা একক দক্ষতায় উইকেট তুললেও তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় আটকাতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স, মুখে তৃপ্তির হাসি প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেমি স্মিথের। বোঝা যাচ্ছিল এই জয় যে তাদের কাছে বহু অপেক্ষার ফল। অধরা মাধুরী স্পর্শ করার আনন্দ।

  • NIA: অসম বিস্ফোরণকাণ্ডে পরেশ বড়ুয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল এনআইএ-র

    NIA: অসম বিস্ফোরণকাণ্ডে পরেশ বড়ুয়াসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে গত বছর একাধিক আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন আলফা (আই) প্রধান পরেশ বড়ুয়াসহ (Paresh Baruah) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে শুক্রবার চার্জশিট দায়ের করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। শনিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে এনআইএ (NIA)। অনেক নামে পরিচিত পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম-ইন্ডিপেন্ডেন্ট (আলফা-আই) এর চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার-ইন-চিফ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কোন কোন ধারায় অভিযুক্ত পরেশ

    এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Baruah) সঙ্গে অভিজিৎ গগৈ এবং জাহ্নু বড়ুয়াকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসাম জুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ব্যাহত করার জন্য গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটানোর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এর সাথে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে এনআইএ অভিযোগপত্রে জানিয়েছে।

    কোন কোন ধারায় অভিযুক্ত পরেশ

    গত বছর স্বাধীনতা দিবসের এই ঘটনার পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তদন্তের দায়িত্ব নেয় এনআইএ (NIA)। তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, মৃত্যু বা আহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি করা এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডিগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি গুয়াহাটি আদালতে হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আটের দশকের গোড়া থেকেই সার্বভৌম অসমের দাবিতে উত্তপ্ত হয়েছিল ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্য। পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Baruah) নেতৃত্বে আগুন জ্বলেছিল অসমে। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০-এ আলফাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও হামলা চালিয়ে গিয়েছে বিচ্ছিন্নবাদীরা। বছর চারেক আগে শোনা যায়, পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা জঙ্গিরা চিনের ইউনান প্রদেশে ঘাঁটি গেড়েছে। সেখান থেকেই ভারতে নাশকতার চক্রান্ত চলছে।

  • Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    Indian Army: পালানোর পথ নেই! ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এআই চালিত নতুন অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের মুকুটে যুক্ত হল আরেকটি পালক। উচ্চ পার্বত্য এলাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল ভারত। এআই চালিত এই লাইট মেশিন গান (LMG) সিস্টেম, শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে (Indian Army) চলে আসবে বলে খবর। আগামীতে সেনার আঙিনায় নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে এআই চালিত এই মেশিনগান, অভিমত সমর বিশেষজ্ঞদের।

    এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা

    সূত্রের খবর, এই নতুন এআই সিস্টেম কেবল সেনাবাহিনীর (Indian Army) শক্তি বৃদ্ধি করবে না, বরং সীমান্তে মোতায়েন সৈন্যদের জীবনের নিরাপত্তাও দেবে। তাঁদের কাজকে আরও সুগম করে দেবে। বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে দেশীয়ভাবে তৈরি এই এআই-নির্ভর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়ে গেল ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায়, ভারতের দুর্গম সীমান্ত অঞ্চলে। এই আধুনিক প্ল্যাটফর্ম (AiD-AWSSA|LW) হালকা এবং ছোট অস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লাইট মেশিনগান সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ, স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশে স্থিতিশীল কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। আধুনিক এই অস্ত্রটি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের আওতায় তৈরি হয়েছে।

    প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য

    থার্মাল ও অপটিক্যাল সেন্সর ফিউশন—নির্ভুল লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক

    ব্যালিস্টিক কম্পেনসেশন—বাতাস, দূরত্ব এবং তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়

    এনক্রিপটেড রিমোট কমান্ড ফিচার—নিরাপদ দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা

    বিএসএস অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অস্ত্রের (AI-Enabled Light Machine Guns) মূল প্রযুক্তি একটি উন্নত মাল্টি-সেন্সর এআই মডিউল যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রু-বন্ধু শনাক্ত করতে পারে। উপযুক্ত সময়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও সক্ষম এই অস্ত্র। এটি ঘাঁটি প্রতিরক্ষা, কনভয় সুরক্ষা এবং সীমান্ত নজরদারির মত ক্ষেত্রে মোতায়েন করা যাবে। যেখানে জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রতিনিয়ত শত্রুপক্ষের হামলার ভয় থাকে সেখানে এই অস্ত্র উপযোগী। সংস্থার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই এআই মডিউলটি প্ল্যাটফর্ম-অ্যাগনস্টিক, অর্থাৎ বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গেই একত্রিত করা যায়—যেমন হালকা মেশিন গান, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, রিমোট ওয়েপন স্টেশন প্রভৃতি।

  • Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    Boundary Catch Rule: কঠিন হবে ফিল্ডারদের কাজ, বদলাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে ক্যাচ ধরার নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাতে চলেছে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ (Boundary Catch Rule) ধরার নিয়ম। এখন বাউন্ডারি লাইনের কাছে যে ভাবে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়ে ক্রিকেটারেরা ছয় বাঁচান বা ক্যাচ ধরেন, আগামী দিনে তা আর করা যাবে না। এবার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে ফিল্ডারদের। ক্যাচ ধরার নিয়মে পরিবর্তন করতে চলেছে আইসিসি এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (MCC)। আগামী মাস থেকেই বাউন্ডারি লাইনের ধারে চোখ ধাঁধানো ‘বানি হপ’ ক্যাচ ধরার নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

    ‘বানি-হপ’ ক্যাচ কী?

    অনেক সময়েই দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে লাফিয়ে বলটিকে মাঠের ভিতরে এনে ক্যাচ ধরেন ফিল্ডাররা। এই ধরনের ক্যাচকে বলা হয় ‘বানি-হপ’ ক্যাচ। এই ক্যাচের নিয়মেই পরিবর্তন আনতে চলেছে এমসিসি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের জর্ডান সিল্কের ক্যাচ ধরা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে প্রথম বার লাফিয়ে ভাল ভাবে বল ধরতে পারেননি ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বল ধরে মাঠের ভিতরে পাঠান তিনি। তার পর ভিতরে ঢুকে ক্যাচ সম্পূর্ণ করেন। সেই বিতর্কের পর নিয়ম পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়।

    নতুন নিয়ম

    নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে একাধিক বার স্পর্শ করা যাবে না বল। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে শূন্যে (লাফিয়ে) থাকলে এক বার বল ছুঁতে পারবেন। তার পর ক্যাচ ধরতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতর ঢুকে। অনেক সময় চার বা ছয় বাঁচানোর জন্য ফিল্ডারেরা লাফিয়ে বল মাঠের মধ্যে (বাউন্ডারি লাইনের ভিতর) পাঠিয়ে দেন। নতুন নিয়মে বল ‘ডেড’ না হওয়া পর্যন্ত ফিল্ডারকে থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে। ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে গেলে, চার বা ছয় দেওয়া হবে। পরিবর্তন আনা হচ্ছে রিলে নিয়মেও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দু’জন ফিল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাচ ধরা হয়, যা পরিচিত রিলে ক্যাচ নামে। অনেক সময়েই একজন ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনের বাইরে থেকে বলটি ঠেলে দেন ভিতর। অন্য একজন সেই ক্যাচ ধরেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দু’জনকেই থাকতে হবে বাউন্ডারি লাইনের মধ্যে। তা না হলে, বাউন্ডারি বা ছক্কা হিসেবে গণ্য করা হবে।

    কবে থেকে চালু নয়া নিয়ম

    আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জুন মাসের শেষ দিকে নতুন নিয়ম চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনে যুক্ত হবে নতুন নিয়ম। আগামী জুলাই থেকেই কার্যকর হবে নতুন নিয়ম। আগামী বছরের অক্টোবরে এমসিসির ক্রিকেট ম্যানুয়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হবে নিয়মটি।

  • Israel Iran War: গোপনে ইরানের মাটিতেই ড্রোন ঘাঁটি ইজরায়েলের! ‘রাইজিং লায়ন’ বহু বছরের পরিকল্পনার ফসল?

    Israel Iran War: গোপনে ইরানের মাটিতেই ড্রোন ঘাঁটি ইজরায়েলের! ‘রাইজিং লায়ন’ বহু বছরের পরিকল্পনার ফসল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছায়া ইরান-ইজরায়েল (Israel Iran War) যুদ্ধেও। অপারেশন ‘স্পাইডার ওয়েবে’র কায়দায় অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ (Operation Rising Lion)। সূত্রের খবর, ইরানের মাটিতেই গোপনে ড্রোন ঘাঁটি বানায় ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। দিনের পর দিন গাড়িতে করে ড্রোন পাচার করা হয় ইরান সীমান্তের ভিতর। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে এই অপারেশনের প্রস্তুতি সেরে রাখে মোসাদ। শুক্রবার একযোগে ইরানের ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

    বহু বছর ধরেই অভিযানের প্রস্তুতি

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজরায়েল (Israel Iran War) বহু বছর ধরেই এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমনকি, গোপনে ইরানের রাজধানী তেহরানের নিকটে একটি ড্রোন ঘাঁটিও স্থাপন করে ফেলে তেল আভিভ। জানা গিয়েছে, সেই ঘাঁটি থেকেই অস্ত্রে সজ্জিত ড্রোন ব্যবহার করে মূল হামলা শুরু হয়। ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার কর্মীরা বছরের পর বছর ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে, বলে খবর। যার কথা ঘুণাক্ষরে জানতেও পারেনি তেহরান। শুক্রবারের এই একটা অপারেশনের জন্য বছরের পর বছর ধরে ইরানের সীমান্ত পেরিয়ে গাড়িতে চাপিয়ে ড্রোন পাচার করা হয়েছে তেহরানে। একসঙ্গে অনেকগুলো নয়, অল্প অল্প করে। যাতে এক আধটা ট্রাক ধরা পড়ে গেলেও অপারেশনের পরিকল্পনা ভেস্তে না যায়।

    কীভাবে চলে ইজরায়েলি হামলা

    ইজরায়েলি (Israel Iran War) সেনার বক্তব্য, ইরানের মাটিতে ড্রোন জমিয়ে কার্যত স্তূপ তৈরি করে ফেলা হয়েছিল। শুক্রবার হামলার সময় রিমোটের সাহায্যে ড্রোনগুলি ইজরায়েলে বসেই সক্রিয় করা হয়। একটার পর একটা ড্রোন গিয়ে তেহরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চারে হামলা চালায়। যার ফলে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে। আর তখনই চূড়ান্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। একেএকে প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান উড়ে যায় মিসাইল নিয়ে। মিসাইলগুলি নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত করে পশ্চিমী ইরানের সামরিক অস্ত্রঘাঁটিতে।

    হামলায় বিপুল ক্ষতি ইরানের

    হামলায় ইরানের (Israel Iran War) কয়েক ডজন রেডার, সারফেস টু এয়ার মিসাইল নষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি ইজরায়েলি সেনার। এমনকী, ইজরায়েলি সেনা ভিডিও প্রকাশ করে প্রমাণ দিয়েছে কীভাবে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল পর্যন্ত আইডিএফ ধ্বংস করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তবে ইজরায়েলের মূল টার্গেট ছিল ইরানের পারমাণবিক গবেষণাগার। ইরানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম এনরিচমেন্ট সাইট নাতাঞ্জের কাছে আছড়ে পড়ে ইজরায়েলের বিমানহানা। ইজরায়েলের অভিযোগ, এখানেই বছরের পর বছর ধরে সামরিক কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের জন্য পরীক্ষা চালাচ্ছিল তেহরান। হামলায় যে তাদের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে সে কথা স্বীকার করেছে ইরান। তবে ইরানের দাবি, তিনটি নয়, একটি গবেষণাকেন্দ্রেই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তির নিয়ামক সংস্থাও সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে। এখানে মাটির নিচে অনেকটা গভীরে পারমাণবিক গবেষণা চালাত ইরান। আন্ডারগ্রাউন্ড সেই এলাকার সেন্ট্রিফিউজ, ইলেক্ট্রিক্যাল রুম-সহ যাবতীয় পরিমকাঠামোই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে দাবি ইজরায়েলের। ইজরায়েলের সেনার তরফে এই হামলার থ্রিডি ভিডিও অ্যানিমেশন প্রকাশ করা হয়েছে।

    মোদি-নেতানিয়াহু ফোনালাপ

    পরবর্তীতে ইজরায়েলের (Israel Iran War) উপর পাল্টা হামলা চালায় ইরানও। ৮০০ এর বেশি ড্রোন নিয়ে হামলা চালায় ইরান। ক্রজ মিসাইল নিয়েও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। যদিও ইরানের হামলা ব্যর্থ বলে দাবি করছে ইজরায়েল। তবে সেসবে পাত্তা না দিয়ে গর্জে উঠেছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আলি খামেনেই। তাঁর সাফ কথা, কঠোর সাজা পেতে প্রস্তুত থাকুক ইজরায়েল। দুই দেশের সংঘাত নিয়েই এখন মাথা ব্যথা বাড়ছে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। ইরানের উপর হামলার পরই ভারতের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তাঁদের মধ্যে আলোচনার প্রসঙ্গে মোদি জানান, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ”আমি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছি এবং দ্রুত শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি।”

    উদ্বিগ্ন ভারত

    শুক্রবার ভোর রাতে ইরানের (Israel Iran War) পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান-সহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৪ শীর্ষ সামরিক কর্তা। মৃত্যু হয়েছে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীর। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের হামলার পরই নোটাম জারি করে ইরান। বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই দেশের আকাশপথ। এই আবহে শুক্রবার ৯টি দেশে বিমান পরিষেবা স্থগিত এবং বাতিল করে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এদিকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগেই বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ইরান-ইজরায়েল সম্পর্কের অবনতিতে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গোটা পরিস্থিতির দিকে তাঁদের নজর রয়েছে। একইসঙ্গে ভারত দুই দেশকে ‘উসকানিমূলক কোনও পদক্ষেপ’ না করার আহ্বানও জানায়।

  • Air India Plane Crash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়র কমিটি গঠন করল কেন্দ্র

    Air India Plane Crash: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়র কমিটি গঠন করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ (Ahmedabad) বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা করল ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ১২ জুন আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট এআই-১৭১ ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)।

    বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন

    অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইসিএও) নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিধি অনুসারে আমেদাবাদে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার তদন্ত হবে। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিমান চলাচলে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা থামানো নিয়েও কাজ করবে। শনিবার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিশেষজ্ঞ কমিটি দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করবে এবং বর্তমানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর (এসওপি) এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা পর্যালোচনা করবে। কমিটির প্রধান লক্ষ্য হবে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিমান দুর্ঘটনা রোধে একটি শক্তিশালী কাঠামো তৈরি করা এবং সেই অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা। মন্ত্রক আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এই কমিটি অন্যান্য সংস্থার পরিচালিত আনুষ্ঠানিক তদন্তের বিকল্প নয় বরং এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং মূলত প্রতিরোধমূলক ও ব্যবস্থাপনাগত দিকগুলোতে আলোকপাত করবে।

    সক্রিয় সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আমেদাবাদ (Ahmedabad) সিভিল হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে ৭০-৮০ জন চিকিৎসকের একটি দল মৃতদেহের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ময়নাতদন্তে নিয়োজিত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাঁচজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। ফরেনসিক টিম ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করছে এবং অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাচ্ছে। মিলেছে অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাক (Air India Plane Crash) বক্সের খোঁজ। জানা গিয়েছে, মেঘানিনগরের যে মেডিক্যাল হস্টেলের উপর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমানটি ভেঙে পড়েছিল সেই বিল্ডিংয়ের ছাদেই ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ মিলেছে। যেটি উদ্ধার করেছে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি টিম। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের শেষপ্রান্তে থাকা কমলা রঙের এই ডিভাইসটি দুর্ঘটনার তদন্তে বেশ খানিকটা সহায়তা করতে পারে।

  • Indian social security: ২০১৫ সালে ছিল ১৯%, ২০২৫ সালে ৬৪%! সামাজিক সুরক্ষায় ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল ভারত

    Indian social security: ২০১৫ সালে ছিল ১৯%, ২০২৫ সালে ৬৪%! সামাজিক সুরক্ষায় ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর আদর্শে চালিত হয়ে ভারত সামাজিক সুরক্ষায় (Indian social security) ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করল। সারা বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্য। ইন্টার ন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (ILO)-এর আইএলওস্ট্যাটের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ভারতের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় থাকা জনসংখ্যা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) প্রকাশিত ‘বিশ্ব সামাজিক সুরক্ষা প্রতিবেদন’-এ উঠে এসেছে যে, ভারত সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে যেখানে মাত্র ১৯% জনসংখ্যা এই সুরক্ষার আওতায় ছিল, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩ শতাংশে। অর্থাৎ, বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৪ কোটি মানুষ কোনো না কোনো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন।

    উন্নত ভারতের দিকে এক ধাপ

    ভারতের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, “বিশ্বের মধ্যে ভারতই সামাজিক সুরক্ষার (Indian social security) ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুত অগ্রগতি করেছে।” তিনি জানান, দেশে কোটি কোটি মানুষ আজ বিভিন্ন খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করছেন, যা সরকারের প্রতিশ্রুতি ও অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে। মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের ১১৩তম অধিবেশনে আইএলও-র ডিজি গিলবার্ট এফ. হৌংবো-র সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে মোদি সরকার দরিদ্রদের জন্য একাধিক কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাতীয় স্তরে সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়েও আইএলও-র ডিজিকে অবহিত করেন। আইএলও-র সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকার এই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছে আইএলও?

    রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে কর্মরত এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রম অধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর কাজ করে। তারা ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ মূল্যায়ন করে থাকে — যার মধ্যে রয়েছে বেকার ভাতা, পরিবার ও শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বার্ধক্য ভাতা, কর্মসংস্থানকালীন দুর্ঘটনা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, অসুস্থতা ভাতা এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য সুবিধা। আইএলও (ILO)-র স্বীকৃতি পেতে হলে, কোনো দেশের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পকে আইনি স্বীকৃতি, কার্যকর বাস্তবায়ন এবং গত তিন বছরের রিপোর্ট পেশ করতে হয়। এইসব প্রয়াসের উল্লেখ করে আইএলও ভারতের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং নিজের ড্যাশবোর্ডে সরকারিভাবে জানিয়েছে যে, ভারতের জনসংখ্যার ৬৪.৩% অর্থাৎ ৯৪ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে অন্তত একটি সামাজিক সুরক্ষা সুবিধার আওতায় আছে। ২০১৫-য় এই হার ছিল মাত্র ১৯%। সুবিধাপ্রাপকের হিসাব অনুসারে ভারত এখন বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় ৯৪ কোটি নাগরিক সামাজিক সুরক্ষার (Indian social security) আওতায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গরীব এবং শ্রমিক শ্রেণীর জন্য কল্যাণকর নীতির ওপর ভারতের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন আইএলও-র ডিজি।

    ভারতের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

    ভারত সরকার ‘আয়ুষ্মান ভারত’, ‘ই-শ্রম পোর্টাল’, ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা’, ‘অটল পেনশন যোজনা’সহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্প দেশের গরিব ও প্রান্তিক জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আইএলও (ILO) প্রাথমিকভাবে ৪৮.৮% কভারেজ মূল্যায়ন করেছে। তারা জানিয়েছে, এটি এখনো অসম্পূর্ণ। এখনো দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ বাকি রয়েছে। যখন তা সম্পূর্ণ হবে, তখন ভারতের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ ১০০ কোটিরও বেশি নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

    ডিজিটাল শক্তি ও স্বচ্ছতার দিকেও জোর

    ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক ভারতের সামাজিক সুরক্ষা তথ্য সংকলনের প্রথম পর্যায় চালু করে। এই পর্যায়ে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক ও গুজরাট রাজ্যের কেন্দ্রীয় ও নারী-কেন্দ্রিক প্রকল্পভুক্ত উপভোক্তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্ত্রী মাণ্ডব্য বলেন, “ভারত ২০২৫ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ, যারা তাদের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ ডিজিটাল মাধ্যমে নথিভুক্ত করেছে। এটি ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তি এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রতিফলন।” এই উল্লেখযোগ্য সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সামাজিক সুরক্ষা পরিমণ্ডল তৈরি করতে সরকারের লাগাতার প্রয়াসের প্রমাণ, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

     

     

  • WTC Final 2025: বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নীরবতা পালন ক্রিকেটারদের

    WTC Final 2025: বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নীরবতা পালন ক্রিকেটারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (WTC Final 2025) তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে দুই দেশের ক্রিকেটাররা আমেদাবাদ (Ahmedabad Plane Crash) বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করলেন। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা – উভয় দলের ক্রিকেটাররাই কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামেন। বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। উড়ানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ ক্রীড়া মহলও। শুক্রবার, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে টিম ইন্ডিয়া নেমেছিল ইন্টার-স্কোয়াড অনুশীলন ম্যাচে। সেখানেও নীরবতা পালন করা হয়। ক্রিকেটাররা কালো আর্মব্যান্ড পরেন।

    শোকজ্ঞাপন ২২ গজেও

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। মোট ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এবার শোকজ্ঞাপন ২২ গজেও। ইংল্য়ান্ডে খেলতে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল, আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে দু দেশের পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ। আজ থেকে ভারত ও ভারতীয় এ দল ইন্ট্রা স্কোয়াড ম্য়াচ খেলতে নামবে। আবার ইংল্যান্ডেই লর্ডসে এই মুহূর্তে চলছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। দিনের খেলা শুরুর আগেই দুটো ম্য়াচেই প্লেয়ারদের দেখা গেল কালো আর্মব্য়ান্ড পরে মাঠে নামতে। বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হওয়া যাত্রীদের ও মেডিক্যাল কলেজের প্রয়াত স্টুডেন্টদের আত্মার শান্তি কামনায় কিছুক্ষণ মৌনব্রত পালন করার পরই খেলা শুরু হয়।

    ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা

    বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে অজিরা। নবম উইকেট পেতে দেরি হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। রাবাডা ফেরান নাথান লিয়ঁকে। মাত্র ২ রানে সাজঘরে ফেরেন এই অফ স্পিনার। তবে, উইকেটের অন্যপ্রান্তে থিতু হয়ে লড়াই জারি রাখেন মিচেল স্টার্ক। হ্যাজেলউডও স্টার্ককে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়া ২১২ রানের বেশি তুলতে পারেনি। মনে করা হচ্ছিল প্রোটিয়ারা দারুণ জায়গায় রয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছয় ৪ উইকেটে ৪৩ রানে। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়। ম্যাচে ফিরতে গেলে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। সেই লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলেন বাভুমা এবং বেডিংহ্যাম। তাঁদের জুটিতে উঠল ৬৪ রান। এরপর এক প্রকার সেট হয়েই সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৩৬ রানের মাথায় তাঁকে ফেরান প্যাট কামিন্স।

  • Sunjay Kapur: একটা মৌমাছি কেড়ে নিল প্রাণ! পোলো খেলতে খেলতেই মৃত্যু করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের?

    Sunjay Kapur: একটা মৌমাছি কেড়ে নিল প্রাণ! পোলো খেলতে খেলতেই মৃত্যু করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোলো খেলতে যাওয়াই কাল হল। মাঠেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন করিশ্মা কাপূরের প্রাক্তন স্বামী শিল্পপতি সঞ্জয় কাপূর। বৃহস্পতিবার সকালেও টের পাননি যে তাঁর শিয়রে মৃত্যু এসেছে। এই দিন বেলায় লন্ডনের এক ক্লাবে পোলো খেলতে যান সেখানেই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ একটা মৌমাছি গলায় ঢুকে যায় সঞ্জয়ের। চেষ্টা করে সেটা বার করতে না পারায় ঘাবড়ে যান, বিচলিত হয়ে যান। চিকিৎসা করার কোনও সুযোগ দেননি সঞ্জয়। ৭ ঘণ্টা আগে আমেদাবাদে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে টুইট করেছিলেন তিনি। সমবেদনা জানিয়েছিলেন সেই সব পরিবারকে।

    করিশ্মার বাড়ির সামনে ভিড়

    ২০০৩ সালে শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরকে বিয়ে করেন করিশ্মা কাপূর। দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। সামাইরা ও কিয়ান। প্রায় ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল করিশ্মা-সঞ্জয়ের। কিন্তু সঞ্জয়ের সঙ্গে সুখী ছিলেন না অভিনেত্রী। বিয়ের পর থেকে নাকি গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হতে হয় করিশ্মাকে। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে সঞ্জয়। সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান। মূলত গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা তাঁর। ভারতীয় মুদ্রায় ১০,৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে সঞ্জয়ের। বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেরদের তালিকায় তিনি রয়েছে ২৭০৩ নম্বরে। ২০১৬ সালে করিশ্মা ও সঞ্জয়ের বিচ্ছেদ হয়। তার পর মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই করিশ্মার বাড়ির সামনে ছবিশিকারিদের ভিড়। কাঁদো কাঁদো মুখে গাড়ি থেকে নেমে সোজা ঢুকে গেলেন করিনা কপূর। থমথমে মুখ নিয়ে করিশ্মার বাড়িতে ঢোকেন মালাইকা আরোরা, সইফ আলি খানেরা।তারকাদের ভিড় সামলাতে এ দিন রাত থেকেই করিশ্মার বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা। অবাঞ্ছিত ঘটনা রুখতে বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে এ দিন রাতে পাহারা দিতে দেখা যায়। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেননি করিশ্মা, এমনকি কোনও বিবৃতিও দেননি।

    সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় ছিল সঞ্জয়

    সঞ্জয় কাপূর পোলো খেলাকে শুধু খেলা নয়, জীবনের একটা বড় অংশ হিসেবে দেখতেন। ঘোড়া ও খেলার প্রতি গভীর ভালবাসার জন্যই তাঁর এই খেলায় প্রবেশ এবং পরবর্তী সময়ে একটি নিজস্ব পোলো টিম ‘ওরাস’ গঠন। সেদিন তিনি খেলছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী জয়সল সিং-এর দল ‘সুজন’-এর বিরুদ্ধে। খেলাই হয়ে উঠল জীবনের শেষ অধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয় ছিল সঞ্জয়। তিনবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রথম বিয়ে হয় মুম্বইয়ের ডিজাইনার নন্দিতা মহতানির সঙ্গে, সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০০০ সালে। ২০০৩-এ বিয়ে করলেন বলিউড ডিভা করিশ্মা কাপুরকে। তাঁদের দুই সন্তান — সামাইরা ও কিয়ান। ২০১৬-তে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন দুই অভিভাবক মিলেই।

  • Israel Iran War: অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’! ইরানে আকাশপথে হামলা ইজরায়েলের, পালটা ড্রোন-হানা তেহরানের

    Israel Iran War: অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’! ইরানে আকাশপথে হামলা ইজরায়েলের, পালটা ড্রোন-হানা তেহরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যেও শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। ইরানের (Israel Iran War) সেনাঘাঁটি ও পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল। শুক্রবার ভোর রাতে ইরানের উপরে হামলা করে ইজরায়েল। ৩৩০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। মূলত ইরানের পরমাণু ও মিসাইল ঘাঁটিগুলিতেই হামলা করেছে ইজরায়েল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও। এই হামলার প্রত্যাঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে হামলা চালাল ইরান।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরদিনই বড়সড় হামলা চালাল তেল আভিভ। গোটা ইজরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সেদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাতজ জানান, ইরানের পালটা প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ। শুক্রবার সকালে অপারেশন রাইজিং লায়ন (Operation Rising Lion) শুরু করে তেল আভিভ। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তবে ইরানের কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে, তা খোলসা করেনি ইজরায়েল। এই হামলায় নিহত হয়েছে ইরানের রেভেলিউশনারি গার্ডের প্রধান হোসেন সালামি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশিদের। ইজরায়েলি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানীও।

    কেন এই অভিযান

    ইরানের (Israel Iran War) এক ডজন পরমাণু ও মিসাইল কেন্দ্রগুলিতে হামলা করেছে ইজরায়েল। তেহরানের উত্তর-পূর্বে বিস্ফোরণ ও কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নাতানজ সাইট, যেখানে ইউরেনিয়ামের ভাণ্ডার, সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের মুখপাত্রের দাবি, ইরান পরমাণু বোমা বানাচ্ছিল। তা থেকে ইজরায়েলকে রক্ষা করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণু হামলার সম্ভাবনা যতক্ষণ না প্রতিহত করা হচ্ছে, ততদিন অভিযান চলবে। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন এই অভিযান চলবে। এই আক্রমণ আসলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। আপাতত আগামী কয়েকদিন ইরানের উপর হামলা চলবে বলেই জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

    পালটা হামলা ইরানের

    অন্যদিকে, ইরানের (Israel Iran War) জাতীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাদের রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামির। এছাড়াও দুই পরমাণু বিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি-দাভানি এবং মহম্মদ মেহদি তেহরানচির মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। তেহরানের বেশ কয়েকটি জনবসতি এলাকায় ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে ইরানের দাবি। প্রচুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এই হামলার পালটা দেওয়ার হুঙ্কারও দিয়েছে ইরান। ইতিমধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বড়সড় শাস্তি ভুগতে হবে ইজরায়েলকে। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, ইজরায়েলে ড্রোন-হানা চালায় ইরান।

    আমেরিকার ভূমিকা নেই

    যদিও দু’পক্ষের এই সংঘাতের মধ্যে জড়াতে চাইছে না আমেরিকা। একটি বিবৃতি দিয়ে আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো বলেন, “আজ ইজরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক পদক্ষেপ করেছে। আমরা এই হানার সঙ্গে যুক্ত নই। আমাদের এখন লক্ষ্য হল ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীকে সুরক্ষিত রাখা।” একই সঙ্গে ওই বিবৃতিতে রুবিয়ো বলেছেন, “ইজরায়েল আমাদের জানিয়েছে যে, তারা বিশ্বাস করে আত্মরক্ষার স্বার্থে এই বিমানহানা জরুরি ছিল। আমাদের বাহিনীকে রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসন সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।” ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পেন্টাগন জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেন আমেরিকার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত কোথাও বা কোনও কিছুতে হামলা না-চালায়। ইতিমধ্যেই পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা নিয়ে আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে বোঝাপড়া কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। এই বিষয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও।

    মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট আকাশসীমা বন্ধ

    ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইজরায়েলে ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তেল আভিভ বিমানবন্দর। অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ ইরানের আকাশপথ। তাদের প্রতিবেশী ইরাকের আকাশসীমাও আপাতত বন্ধ। তার প্রভাব পড়তে পারে ভার‍ত থেকে ওড়া বিমানগুলির উপরেও। বাতিল হতে পারে একাধিক আন্তর্জাতিক উড়ান। মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে বিমানগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

LinkedIn
Share