Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Kolkata Weather: শুক্রবারও শহরে শীতের আমেজ! কেমন থাকবে বর্ষশেষের রাত?

    Kolkata Weather: শুক্রবারও শহরে শীতের আমেজ! কেমন থাকবে বর্ষশেষের রাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষশেষে ফের শীতের ঝড়ো ইনিংস। কনকনে ঠান্ডাকে সঙ্গী করেই নতুন বছরে পা দিতে চলেছে শহর কলকাতা, বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে ফিরেছে শীতের আমেজ। এক ধাক্কায় ৬ ডিগ্রি নেমেছিল পারদ। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার শহরের  সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বইছে উত্তুরে হাওয়া। তবে, আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডার আমেজ থাকলেও বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এবং নতুন বছরের একেবারে শুরুতে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম কয়েকদিন গায়েব হয়ে যেতে পারে কনকনে হিমেল হাওয়া। 

    শীতের আর একটা স্পেল

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দু’দিন কলকাতায় তাপমাত্রা খুব একটা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে বছর শেষের দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিনে শহরে শীতের আমেজ থাকবে। বছরের প্রথম দিন শীতের রোদ গায়ে মেখেই বনভোজনে যেতে পারবে শহরবাসী।  শুক্রবার সকাল থেকেই শীতের শিরশিরানি ভাব বজায় রয়েছে। সকালে আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। শুক্রবার কলকাতায় আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকবে। আগামী কয়েক দিন সকালের দিকে কোথাও কোথাও কুয়াশা থাকতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও কনকনে ঠান্ডার দাপট বজায় রয়েছে।

    আরও পড়ুন: এক লাফে ৬ ডিগ্রি পারদ পতন, শীত ফিরল কলকাতায়, থাকবে কতদিন?

    এই বছর সেভাবে শীতের দেখা পায়নি বঙ্গবাসী। প্রথমের দিক কিছুটা ঠান্ডা পড়লেও বারে বারে শীতের আমেজে ব্যঘাত ঘটেছে। চলতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে এক ধাক্কায় অনেকটা পারদ নেমেছিল কলকাতায়। কিন্তু বড়দিনের সময় উধাও হয়ে যায় শীত। বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ফের একবার পারদ পতন ঘটেছে বঙ্গে। যদিও  বর্ষবরণের রাতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়বে রাজ্যে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pele: ফুটবল-বিশ্ব সম্রাটহীন! ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন পেলে

    Pele: ফুটবল-বিশ্ব সম্রাটহীন! ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন পেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। হার না মানা মানসিকতা নিয়ে যেমন ফুটবল ময়দান দাপিয়ে বেড়াতেন তেমনই জীবনযুদ্ধে লড়াই চালালেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। মারণরোগ ক্যান্সারের সঙ্গে চোয়ালচাপা লড়াইয়ের পরে শেষমেশ হার মানলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ৮২ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি ফুটবলার। এবার তারাদের সঙ্গে ফুটবল খেলার পালা। তিনবারের বিশ্বকাপজয়ীর মেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পিতার মৃত্যুর খবর জানান। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সারা ফুটবল বিশ্বে। 

    তিন বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ

    বিশ্ব ফুটবলের প্রথম মহাতারকা পেলে। তিনিই বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার যিনি তিন বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন। প্রয়াত হলেন বিশ্বকাপের পরেই। ২০২১ সাল থেকে অন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন পেলে। ৮২ বছরের পেলে চেয়েছিলেন মাঠে বসে কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখবেন। শরীর সায় দেয়নি। সেই কাতার, যেখানে ১৯৭৩ সালে প্রথমবার স্যান্টোসের হয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। শরীরে মারণ রোগের থাবা। তার উপর হৃদযন্ত্রে সমস্যা। হাসপাতালেই থাকতে হয়েছিল তাঁকে। কাতার বিশ্বকাপের সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাঁকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত ২২ ডিসেম্বর ক্যানসারের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যায়। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে বাড়ি ফেরা হয়নি। বড়দিনে বিছানায় অসুস্থ বাবাকে জড়িয়ে ধরে ছবি  পোস্ট করেছিলেন তাঁর কন্যা মেয়ে কেলি। গত শনিবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁর ছেলে এডিসনও। কয়েকদিন ধরে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে তাঁর পাশেই ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। চিরনিদ্রার দেশে পাড়ি জমালেন পেলে।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি, মাতৃবিয়োগের খবর ট্যুইটে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    শতাব্দীর সেরা ফুটবলার

    পেলের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। বাবার দেওয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো।  ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন। পর পর চারটি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন কিংবদন্তি। তার মধ্যে তিন বার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বের আর কোনও ফুটবলারের এই নজির নেই। ‘ফিফা’ ম্যাগাজিনের পাঠক এবং জুরি বোর্ডের বিচারে তিনিই বিংশ শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ ফুটবলার। তবে ইন্টারনেটে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ভোট গিয়েছিল দিয়েগো মারাদোনার পক্ষে। ফিফা শেষ পর্যন্ত যুগ্ম ভাবে শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে দু’জনকেই। দিদি-ভাভার ব্রাজিল যে সুন্দর ফুটবলের জন্ম দিয়েছিল, তাকেই লালন-পালন করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পেলে-গ্যারিঞ্চা। 

     

  • Cristiano Ronaldo: এশিয়ায় রোনাল্ডো! সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরেই সই করলেন সিআর সেভেন

    Cristiano Ronaldo: এশিয়ায় রোনাল্ডো! সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরেই সই করলেন সিআর সেভেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরেই সই করলেন রোনাল্ডো। আড়াই বছরের চুক্তিতে নতুন ক্লাবে যোগ দিয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ২০২৫ সাল পর্যন্ত আল নাসরেই রোনাল্ডোকে খেলতে দেখা যাবে। ক্লাবের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে এই খবর।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লাবের তরফে লেখা হয়, ‘ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে। এই চুক্তির ফলে আমাদের ক্লাব আরও ভাল খেলার জন্য অনুপ্রাণিত তো করবেই, পাশাপাশি আমাদের লিগ, আমাদের দেশ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে। তোমার নতুন ক্লাব আল নাসরে তোমাকে স্বাগত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।’

    চুক্তির অঙ্ক, রোনাল্ডোর স্বপ্ন

    ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীনই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) নিজের চুক্তি বাতিল করেন। একটি সাক্ষাৎকারে কোচ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় রোনাল্ডোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। পর্তুগাল জাতীয় দলের সতীর্থ এবং কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোসের সঙ্গেও তাঁর বিরোধ প্রকাশ্য এসেছিল। তার পর থেকেই নতুন ক্লাব খুঁজছিলেন রোনাল্ডো। চেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলে এমন কোনও ক্লাবে সই করতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলে এমন কোনও ক্লাব তাঁকে নিতে আগ্রহ না দেখানোয় শেষ পর্যন্ত সৌদির আল নাসেরকেই বেছে নিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই শারীরিক পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: ফুটবল-বিশ্ব সম্রাটহীন! ৮২ বছর বয়সে চলে গেলেন পেলে

    সৌদি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রোনাল্ডো এই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বছর ২০০ মিলিয়ন ইউরো করে পারিশ্রমিক পাবেন। সিআর সেভেন নিজে এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমি যে সব ট্রফি জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম, সেই সবকয়টি জিতেছি। আমার মনে হয় এবার আমার এশিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতাটা ভাগ করে নেওয়ার সময় এসেছে। আমি আমার নতুন ক্লাবসতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে ও তাদের সঙ্গে দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’আল নাসর ক্লাবের চেয়ারম্যান মুসাল্লি আল মুয়াম্মার লিখেছেন, ‘এই চুক্তি এক নতুন ঐতিহাসিক মুহূর্ত। রোনাল্ডো নিজে বিশ্বের সকল খেলোয়াড়ের কাছে উদাহরণ। আশা করছি তাঁর উপস্থিতিতে আল নাসের সাফল্য পাবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PM Modi: কর্মে বিরতি নয়, ভার্চুয়ালি থাকবেন রাজ্যের সব অনুষ্ঠানে! মায়ের শেষযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: কর্মে বিরতি নয়, ভার্চুয়ালি থাকবেন রাজ্যের সব অনুষ্ঠানে! মায়ের শেষযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। মায়ের মধ্যেই ঈশ্বরকে দেখেছিলেন। মা বরাবর তাঁকে কাজকেই প্রাধান্য দিতে বলেছেন। তাই মায়ের মৃত্যুর পরও কাজ বিরতি নিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মায়ের শেষযাত্রায় অংশ নেওয়ার পরই ভার্চুয়ালি সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। দেশের প্রতি নিষ্ঠা, দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য এবং রাষ্ট্রধর্ম পালন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বার বার সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

    ভার্চুয়ালি কাজে যোগ

    প্রসঙ্গত আজ সরকারি বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে ঝটিকা সফরে কলকাতা আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা ছাড়াও বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা ছিল হাওড়া স্টেশন থেকে। হাওড়ায় অনুষ্ঠানের পরে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্টের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথাও ছিল তাঁর। তবে শতায়ু মায়ের প্রয়াণের খবরে সকালবেলাতেই তিনি আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, মাতৃবিয়োগ সত্ত্বেও ‘কর্মে’ বিরতি নয়! ভার্চুয়ালি কলকাতার একগুচ্ছ অনুষ্ঠানে থাকবেন মোদি। সবকটি অনুষ্ঠানই তার পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাতে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যোগ দেবেন। ট্যুইটারে এদিন মোদি লেখেন, ‘শততম জন্মদিনে যখন দেখা করেছিলাম, তখন মা একটা কথা বলেছিলেন। যা আমি চিরকাল মনে রাখব। মা বলেছিলেন, “বুদ্ধি দিয়ে কাজ কর, পবিত্রতার সঙ্গে জীবনযাপন কর।” মায়ের সেই আদেশ পালন করে চলেছেন তিনি। মাতৃবিয়োগ সত্ত্বেও দেশের প্রতি দায়িত্ব বজায় রাখছেন। 

    আরও পড়ুন: প্রয়াত নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদি, মাতৃবিয়োগের খবর ট্যুইটে জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    শেষযাত্রায় মোদি

    বরাবরই মায়ের জীবনকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের বাসভবন ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন মাকে। যখনই গুজরাটে গিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চোখ ভিজে গিয়েছে তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পর শোকবার্তাতেও সেই ভাব প্রকাশিত। সকালে মায়ের চলে যাওয়ার খবর নিজেই দিয়েছেন সকলকে। তারপর দিল্লি থেকে সোজা গান্ধীনগরে পৌঁছে গিয়েছেন। ভাইয়ের বাড়ি থেকে শেষযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। কাঁধে বয়েছেন, মায়ের দেহ। ছিলেন শববাহী শকটেও। 

  • Vande Bharat: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে থামবে বন্দে ভারত! বোলপুরে স্টপেজ দিয়ে নয়া সূচি প্রকাশ রেলের

    Vande Bharat: কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে থামবে বন্দে ভারত! বোলপুরে স্টপেজ দিয়ে নয়া সূচি প্রকাশ রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকবির কর্মক্ষেত্র শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ চেয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বাংলার নাগরিক ও জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে এই দাবি করছিলেন। সেই দাবি মেনেই বোলপুরে স্টপেজ দেওয়া হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল নতুন পরিবর্তিত স্টপেজের তালিকা। 

    কখন থামবে বোলপুরে

    বৃহস্পতিবারই নতুন সূচি প্রকাশ করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। তাতে দেখা গিয়েছে বোলপুরেও দাঁড়াবে বন্দে বারত এক্সপ্রেস। বুধবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিনই চলবে বন্দে ভারত। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন ছাড়বে সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে, বোলপুরে দাঁড়াবে ৭টা ৪৩ মিনিট থেকে ৭ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত, নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে। অন্যদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার জন্য এক্সপ্রেস রওনা দেবে বিকেল ৩ টে ৫- এ, এবং বোলপুর পৌঁছবে মিনিটে ৮টা ২২মিনিটে। হাওড়া ঢুকবে রাত্রি ১০টা ৩৫ মিনিটে। 

    কী লিখেছিলেন সুকান্ত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামিকাল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করতে চলেছেন। তার আগে বৃহস্পতিবার এই ট্রেনের সফরসূচি নিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, বছরভর দেশবিদেশের অসংখ্য পড়ুয়া এবং পর্যটক শান্তিনিকেতনে আসেন। কিন্তু বোলপুর শান্তিনিকেতনে নেই বিমান যোগাযোগ। তাই বন্দে ভারত ট্রেন বোলপুর-শান্তিনিকেতনে দাঁড়ালে উপকৃত হবেন বহু মানুষ। বোলপুর-শান্তিনিকেতনে স্টপেজ দেওয়া হলে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই মানুষ সাধুবাদ জানাবেন বলেও রেলমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন সুকান্ত।

    প্রথম দিনের পরিকল্পনা

    বাণিজ্যিক যাত্রা শুরুর আগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সূচনার দিন বেশ কয়েকটি স্টেশনে থামবে। ডানকুনি, কামারকুণ্ডুর মতো ছোট স্টেশনেও দাঁড়াতে পারে বন্দে ভারত। বর্ধমান পৌঁছনোর আগে শক্তিগড়ের মতো আরও চার থেকে পাঁচটি স্টেশনে দাঁড়াতে পারে সেমি-হাইস্পিড ট্রেনটি। এই প্রতিটি স্টেশনেই নতুন ট্রেনকে স্বাগত জানানোর আয়োজন করেছে বিজেপি। কোন সাংসদ বা কোন বিধায়ক কোথায় থাকবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের উপরে।

    আরও পড়ুন: শুধুই কী যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য? অন্যদের থেকে কোথায় আলাদা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস?

    দলীয় সূত্রে খবর, মোদিকে সম্মান জানাতে বিজেপি কর্মীরা মোদির মুখোশ পরে শুক্রবার চা বিক্রি করবেন মালদা টাউন স্টেশনে। প্ল্যাটফর্মে চা বিক্রির জন্য অনুমতি নিয়ে রেখেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু হাওড়া থেকে ট্রেনে করে মালদা যাবেন। সেখানে স্টেশনেই বক্তৃতা দেওয়ার কথা তাঁর। তাঁর সঙ্গে ট্রেনে করে মালদা যাওয়ার কথা সেই জেলার চার বিজেপি বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, জুয়েল মুর্মু এবং চিন্ময় দেববর্মনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার! সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান,কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে এই বিষয়ে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়েছেন তিনি ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলাও চলছে, এর পরে তাঁরা এই কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত চাইবেন।

    শুভেন্দুর কথা

    শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা চাই আধার কার্ডের সঙ্গে একশো শতাংশ সংযোগ থাকা ত্রুটিমুক্ত জব কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করে একশো দিনের বকেয়া টাকা রাজ্যকে দেওয়া হোক।’ গত ১ বছর ধরে একশো দিনের কাজে রাজ্যকে অর্থ দেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের। সম্প্রতি, সংসদে এক প্রশ্নের জেরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজে রাজ্যকে  বকেয়া ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপরেই গত ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যকে একশো দিনের কাজে বকেয়া টাকা দেওয়ার আগে,  ভুয়ো জব কার্ড থেকে রাজ্যের ভাঁড়ারে যাওয়া টাকার হিসাব নেওয়ার জন্য দাবি জানান। 

    আরও পড়ুন: ১৪৫৮ পদে নিয়োগ করতে চলেছে সিআরপিএফ, জানুন বিস্তারিত

    শুভেন্দুর অভিযোগ, ভুয়ো জব কার্ড আছে প্রায় চার লক্ষ ৯ হাজার। তৃণমূলের নেতারা ১৮ বছরের নীচে বয়স হওয়া সত্ত্বেও বহু নামে, বেনামে জব কার্ড তৈরি করে সেই কার্ডের ভিত্তিতে টাকা তুলতেন। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে জব কার্ড তৈরি করে একশো দিনের টাকা আত্মস্যাৎ করার ঘটনাও সামনে এসেছে। কাজের জন্য ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিক এমনকী মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা যিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি, তার নামেও জব কার্ড করে একশো দিনের অর্থ লুঠ করেছে তৃণমূল। এখন, জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তি করতে গিয়েই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ যাতে বাংলার গ্রামে-গঞ্জে প্রভাব না ফেলতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই কেলেঙ্কারি বা নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়ে বিজেপির পাল্টা প্রচার চললেও ‘ন্যায্য বরাদ্দ’ বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটতে চায় না কেন্দ্রীয় সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sri Lanka T20: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে তারুণ্যের উপর ভরসা! একদিনের দলে খুব বেশি পরিবর্তন নেই

    Sri Lanka T20: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে তারুণ্যের উপর ভরসা! একদিনের দলে খুব বেশি পরিবর্তন নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন টি-২০ (Sri Lanka T20) সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন হার্দিক পান্ডিয়া। এখনও ফিট নন রোহিত শর্মা। তাই তাঁকে দলে রাখা হয়নি। তবে একদিনের সিরিজে তিনি খেলবেন, নেতৃত্বও দেবেন। ওয়ান ডে ফরম্যাটে রোহিতের ডেপুটি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হার্দিককেই। যা থেকে স্পষ্ট, ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে হার্দিককেই ভাবছে বিসিসিআই (BCCI)।

    টি-২০ সিরিজের দল

    শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে (Sri Lanka T20) বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আর এক তারকা বিরাট কোহলিকেও। তবে খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে বাদ পড়েছেন লোকেশ রাহুল। টি-২০’র পাশাপাশি একদিনের দলে ব্রাত্য ঋষভ পন্থ। আইপিএলের নিলামে ভালো দর পেয়েছিলেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। তিনি টি-২০ স্কোয়াডে রয়েছেন। ধারবাহিক ভালো পারফরম্যান্সের সুফল পেলেন তিনি। একই সঙ্গে মুকেশ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রাক্তন বিসিসিআই ও সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় ভিশন টোয়েন্টি-২০ চালু করেছিলেন সৌরভ। সেই সুযোগই আমাকে এতদূর আসতে সাহায্য করেছে।’

    টি-২০ বিশ্বকাপের রোডম্যাপ

    ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের রোডম্যাপ এখন থেকেই তৈরি করে ফেলতে চাইছেন জাতীয় নির্বাচকরা। এক্ষেত্রে তারুণ্যের উপরই ভরসা রাখতে চাইছে বোর্ড। সেই কারণে গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে রোহিতের অনুপস্থিতিতে। আর টি-২০ সিরিজে হার্দিকের ডেপুটি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে আর এক তারকা ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদবকে।

    তবে আগামী বছর দেশের মাটিতে রয়েছে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। সেকথা মাথায় রেখে একদিনের সিরিজে খুব বেশি পরিবর্তনের পথে হাঁটেনি জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলী। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলরা খেলবেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজে। তবে শিখর ধাওয়ানকে এতদিন স্ট্যান্ড ইন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে শিখর একদিনের দলে সুযোগ পাননি। যা দেখে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ধাওয়ান নির্বাচকদের র‌্যাডারে নেই।

    আরও পড়ুন: নিজের অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি বিসিসিআই সচিব জয় শাহকে পাঠালেন মেসি

  • Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    Anti Corruption Branch: পুলিশি তদন্তের মুখে খোদ পুলিশ-ই! উত্তরবঙ্গে তিন অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির শিকড় এতটাই গভীর যে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যেরই দুর্নীতি দমন শাখা (Anti Corruption Branch)। সম্প্রতি রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখার (ACB) পাঁচ সদস্যের একটি দল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে হানা দেয়। তাদের নজরে রয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ ইন্সপেক্টর। সঙ্গে বিডিও ও সরকারি আধিকারিকও। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দুর্নীতিদমন শাখার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁদের। 

    সক্রিয় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা

    রাজ্যে তখন সদ্য পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ সালে তৈরি করা হয় রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। উদ্দেশ্য, প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা। এমনকী, পুলিস-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের গ্রেফতারও করেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সম্প্রতি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন একাধিকবার।  এবার পুলিশকর্তা ও সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে একযোগে অভিযান শুরু করল রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা (ACB)। 

    গত সোমবার শিলিগুড়িতে মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেউসার ফ্ল্যাটে হানা দেন দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি ও নগদ টাকা। রেহাই পাননি মালদহের চাঁচলের আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডুও। ইসলামপুরের আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দেয়ে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে পুলিশকর্তা, বিডিও ও সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকী, প্রাথমিক তদন্তে সেই অভিযোগের সত্য়তার প্রমাণ মিলেছে। এরপর অভিযুক্তদের যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। সেকারণেই এই তল্লাশি অভিযান।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন নেজাল ভ্যাকসিন, দাম কত জানেন?

    সঙ্গত কারণেই তল্লাশি

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, এসিবি-র এই সক্রিয়তা আকস্মিক কিছু নয়। শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু ও কয়লা পাচারের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী, কিছু সরকারি আধিকারিক, এক শ্রেণির পুলিশকর্তার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তিতে কালি লেগেছে বলে বিরোধী শিবির যখন সরব, সেই সময়ে কালি মোছার পালা গতি পেয়েছে সঙ্গত কারণেই। দুর্নীতি ঠেকাতে তাই নিচু তলার পুলিশ আধিকারিক থেকে সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এসিবি সূত্রের খবর,রাজ্য সরকারের ১৭ জন অফিসার-কর্মীর বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট’ বা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করেছে এসিবি। চলছে হানাদারিও। গত শুক্র ও শনিবার বর্ধমানের কেতুগ্রাম, বর্ধমান শহর, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গে অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে এসিবি সূত্রের খবর। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন পুলিশ অফিসারও আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, গত সোমবার উত্তরবঙ্গে তিন পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু এসিবি-র তদন্তকারীরা কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি করতে পারেননি। তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানায় ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছে এসিবি।

  • Bomb Cyclone: ভয়ঙ্কর তুষার ঝড় বম্ব সাইক্লোনে বিধ্বস্ত মার্কিন মুলুক! জানেন কেন এই নাম?

    Bomb Cyclone: ভয়ঙ্কর তুষার ঝড় বম্ব সাইক্লোনে বিধ্বস্ত মার্কিন মুলুক! জানেন কেন এই নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার টেক্সাস থেকে কানাডার কিউবেক পর্যন্ত প্রায় ৩,২০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তুষারঝড়ের দাপট চলছে। এই শীতের মরসুমে বিদ্যুৎ ছাড়াই কাটাচ্ছে কানাডার অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া থেকে নিউফাউন্ডল্যান্ড।  ‘বম্ব সাইক্লোনের’ কবলে পড়েছেন আমেরিকায় অন্তত ২০ কোটি বাসিন্দা। বড়দিনের আগে থেকেই ‘বম্ব সাইক্লোনের’ দাপটে জবুথবু মার্কিন মুলুর। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে কানাডাতেও। জো বাইডেনের দেশে এই তুষার ঝড়ের ফলে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলছে প্রবল তুষারপাতও। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বহু জায়গায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্ক থেকে ৪৮ ডিগ্রি নীচে। 

    বম্ব সাইক্লোন কী

    ভয়ঙ্কর তুষার ঝড়ই বম্ব সাইক্লোন। বম্ব সাইক্লোন হল এমন একটি সাইক্লোন যেখানে ভূপৃষ্ঠের সংলগ্ন বাতাস তাড়াতাড়ি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। যার ফলে ব্যারোমেট্রিক চাপ কমতে শুরু করে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ২৪ মিলিবারের ব্যারোমেট্রিক চাপে আকস্মিক হ্রাস ঘটায়। বায়ু এরপর কুণ্ডলীকৃত হয়ে ঝড়ের রূপে ঘূর্ণি তৈরি করে। ঝড়ের কেন্দ্রভাগে বায়ুর চাপ কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১ মিলিবার হারে হ্রাস পেলে তাকে ‘বম্ব সাইক্লোন’ বলা যায়। সাধারণত স্বাভাবিক অবস্থায় বায়ুর চাপ প্রায় ১,০১০ মিলিবার থাকে। তবে আমেরিকা জুড়ে এই ঝড়ের যে দাপট চলছে, তাতে বায়ুর চাপ ১,০০৩ থেকে ৯৬৮ মিলিবার পর্যন্ত হ্রাস পাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

    কেন এই নামকরণ

    এই ঝড়ে চাপের তারতম্যের সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণের সময়ের চাপের তারতম্যকে তুলনা করে ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে বম্ব সাইক্লোন। এছাড়া ঝড়ের শক্তি ও বোমার শক্তিকে ঘিরেও এই নামকরণ। ১৯৮০ সালের একটি গবেষণাপত্রে এই শব্দ দু’টি প্রথম বার ব্যবহার করেছিলেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-র আবহাওয়াবিদ ফ্রেডরিক স্যান্ডার্স এবং জন আর গ্যায়াকুম। ঘূর্ণিঝড়ের মরসুমে ঝড়ের তীব্রতা বোঝাতে তাঁরা এই নামকরণ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ! ৮ ফুট বরফের স্তরে ঢাকা বহু শহর, বম্ব সাইক্লোনে মৃত ৩৪

    ‘বম্ব সাইক্লোন’ দেখা দেয় কেন? 

    ঘূর্ণিঝড়ের তুলনায় ‘বম্ব সাইক্লোন’ হওয়ার জন্য সমুদ্রের জলের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন ড্যানিয়েল। তবে এগুলি স্থলভাগের পাশাপাশি সমুদ্রের উপরেও দেখা দিতে পারে। মূলত শরতের শেষে এবং বসন্তের শুরুতে সবচেয়ে বেশি ‘বম্ব সাইক্লোনের’ দেখা মেলে। ওই সময় হিমশীতল আটলান্টিকের বাতাসের উপর উষ্ণ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বায়ু ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ঝড়ের সৃষ্টি করে। সাধারণত, ঠান্ডা এবং শুষ্ক বায়ু উত্তর দিক থেকে নীচে নামে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু গ্রীষ্মমণ্ডল থেকে উপরে উঠে আসে। এই দুই বিপরীতমুখী বাতাসের সংঘর্ষে ‘বম্ব সাইক্লোন’ তৈরি হয়। এই ঝড় নিম্নচাপের কেন্দ্রের চারপাশে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে সঞ্চালিত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Stridhan: স্ত্রীকে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসার সামিল! অভিমত হাইকোর্টের

    Stridhan: স্ত্রীকে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসার সামিল! অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  স্ত্রীকে স্ত্রীধন অথবা অন্য কোনও অর্থনৈতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করাকেও গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবেই ধরা হবে, বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বেচ্ছায় মেয়ের বাড়ির লোকেরা বিয়ের সময় তাঁকে যে উপহার দিয়ে থাকেন তাই হল স্ত্রীধন। অনেক সময় বিয়ের পরে বউয়ের কাছ থেকে সেই সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়। এবার থেকে এই ধরনের ঘটনাকেও গার্হস্থ্য হিংসা বলেই ধরা হবে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে একথা জানান হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত।

    কী বলল আদালত

    বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত বলেন, ‘‘কোনও আর্থিক বা অর্থনৈতিক সম্পদ থেকে মামলাকারীকে বঞ্চিত করা গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবেই বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে এটা সত্য যে আবেদনকারীকে তাঁর স্ত্রীধন থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। যা অপর পক্ষের হেফাজতে ছিল। এই বাস্তব পরিস্থিতিতে স্ত্রীধন নিজেদের কাছে আটকে রাখাও গার্হস্থ্য হিংসার আওতায় পড়ে।’’ পাশাপাশি, এই মামলায় হাওড়ার এক নিম্ন আদালতের রায়ও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সামন্ত। সেই রায়ে হাওড়ার নিম্ন আদালত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছিল, বিধবাকে শ্বশুর ও শাশুড়ির তরফে কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: শিবঠাকুর মণ্ডল মামলায় জামিন অনুব্রতের! এবার ইডির হাত ধরে দিল্লি যাত্রা?

    প্রসঙ্গত, হাওড়া আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে আসেন ওই মহিলা। ২০১০ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর দু’দিন পরে কোনও আর্থিক সহায়তা ছাড়াই তাঁকে স্বামীর বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। ফিরে পাননি স্ত্রীধনও। এই প্রেক্ষিতে তিনি মামলা করেন আদালতে। নিম্ন আদালত হয়ে সেই মামলা হাইকোর্টে পৌঁছোয়। হাইকোর্টে সুবিচার পেলেন ওই মহিলা, এমনই অভিমত সমাজকর্মীদের। বহু মহিলাকেই এভাবে স্ত্রীধন থেকে বঞ্চিত করা হয়। এবার থেকে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন সুবিচারের আশায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share