Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Arunachal Clash: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    Arunachal Clash: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হল ভারত ও চিনের সেনা। অরুণাচলের তাওয়াংয়ে ফিরে এল লাদাখের গালওয়ানের ছবি। সংবাদ সংস্থা এনআইএ সূত্রে খবর, ২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডের মতো প্রাণহানি না ঘটলেও শুক্রবার রাতের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছেন।

    সংঘর্ষের ঘটনা

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’মেনে গালওয়ানের মতোই তাওয়াংয়েও দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরের  কোনও পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। শুক্রবার রাতে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা ‘দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিরোধ’করে। সে সময় সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হন। হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান ‘সামান্য আহত’ হন বলে সেনা সূত্রে খবর। 

    সেনার এক সূত্রের মতে, ভারতীয় সেনা রুটিনমাফিক প্যাট্রলিং করছিল। টহলদারির সময়ে চিনা সেনার অন্তত ৩০০ জনের একটি দল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করার চেষ্টা করে। এমনকি রীতিমতো ভারতের ভুখণ্ডে পা রাখারও চেষ্টা হয় বলে ওই সেনা সূত্র জানিয়েছেন। তাঁরা ভারতীয় সেনার টহলদারির কাজে বাধা দেয়। এলাকা দখল নিয়ে বাদানুবাদ শুরু করে লাল ফৌজ। যদিও পাল্টা প্রস্তুত ছিল ভারতীয় সেনাও। চিনের সমস্ত ছক ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর তা করতেই সংঘাতে ভারত এবং চিনের বাহিনী জড়িয়ে পড়ে বলে দাবি ওই কর্তার। শুধু তাই নয়, ধাক্কা দিয়ে সীমান্ত থেকে লাল ফৌজকে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা বার করে দেয় বলেও দাবি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভারত এবং চিনের বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি চলে বলে জানাচ্ছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক। ভারতীয় জওয়ানদের আঘাত খুব একটা গুরুতর নয়। তাঁদের হাতে, পায়ে এবং পিঠে লেগেছে। এমনকি মুখেও ঘুষির কারণে আঘাত লেগেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ভারতীয় সেনার থেকে অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছে চিনের জওয়ানরা। 

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে কুখ্যাত জঙ্গির দোতলা বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের  ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনের সেনা অনুপ্রবেশ করে। তখনই চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। তাওয়াং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। আর এই সমস্ত অঞ্চলে একাধিকবার চিনের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। তবে গালওয়ানের পর এটিই বড় ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পরেই সমস্ত এজেন্সিগুলিকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    Calcutta Medical College Hospital: খুলল না মেডিক্যালের জট, অনশন না তুললে বৈঠক নয়, জানাল স্বাস্থ্য ভবন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল বৈঠক। ছাত্র নির্বাচন সময় মতো করার দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতির সমাধান সূত্র খুঁজতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাদের পাশপাশি স্বাস্থ্য সচিবের বৈঠকে থাকার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা মতো বৈঠক মঙ্গলবার হল না। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পড়ুয়ারা অনশন না তুললে কোনও আলোচনা হবে না। আগে পড়ুয়ারা অনশন তুলে হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবেন। তারপরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হবে। 

    স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে ফোন করেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে যখন কথা বলতে পড়ুয়ারা নারাজ, তখন স্বাস্থ্য ভবন কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারবে না। তিনি পড়ুয়াদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেখানে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি তাহলে স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকে কীভাবে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে? পরে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অনশন না তুললে বৈঠক হবে না। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৈঠক হবে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কোনও জিনিস অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পড়ুয়াদের সঙ্গে সুপারের ঘরে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কিন্তু, সেই বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। এরপরেই স্বাস্থ্যভবন থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রোগীদের স্বার্থে হাসপাতালের ভিতরে কোনও রকমের আন্দোলন করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এ কথা জানানো হলেও ২২ ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় রয়েছেন পড়ুয়ারা। শুক্রবার পাঁচ জন ছাত্র অনশন শুরু করেন। তার মধ্যে গতকাল একজন অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। এই অবস্থায় জট কবে কাটবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তিনি আবারও স্বাস্থ্য সচিবকে ফোন করে বৈঠক হবে কি না সে বিষয়টি জানতে চাইবেন।

    পড়ুয়ারা অবশ্য জানাচ্ছেন, নির্ধারিত দিনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে স্বাস্থ্য ভবনের এত অনীহা কেন! রাজ্যের শাসক দলের ইচ্ছেতেই সিদ্ধান্ত বদল কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। পড়ুয়াদের হোস্টেল থেকে ফি নেওয়া হয়, রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে  কোথায় কত টাকা নেওয়া হবে, বাড়তি টাকা নেওয়া হবে কিনা, সেটাও ঠিক করেন শাসক দলের কয়েক জন নেতা। কোনও সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ম মাফিক হয় না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে সেটা আরেকবার স্পষ্ট হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: নিয়োগ দুর্নীতি কি স্বাস্থ্য দফতরেও? জেলাস্তরে গঠিত সিলেকশন কমিটি বাতিল করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য। এবার পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় স্বাস্থ্য দফতরে (health department) নিয়োগের জন্য জেলাস্তরে গঠিত ২৮ জনের সিলেকশন কমিটি (selection committee) বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।  এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতা। 

    আদালতের অভিমত

    উচ্চ আদালতের অভিমত, গত বছর ২৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগের জন্য যে সিলেকশন কমিটি গঠন করেছিল, তার মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা উচিত। এর ফলে প্রার্থীদের সিলেকশন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টরকে হাইকোর্টের নির্দেশ, দু’সপ্তাহের মধ্যে সিলেকশন কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে। চেয়ারম্যান হিসাবে এমন গুরুত্বপূ্র্ণ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে হবে যাঁর বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকবে না। যিনি অরাজনৈতিক ব্যক্তি হবেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য সরকার গঠিত মনোনয়ন কমিটির মাথায় কোনও নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাখা হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব হবে।

    আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হয়েছে লালন শেখ, বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে দাবি সিবিআইয়ের

    প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। সেই কমিটিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, গৌতম দেব, চন্দ্রনাথ সিংহ, শান্তা ছেত্রী, মলয় ঘটক, অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ানের মতো তৃণমূলের একাধিক নেতামন্ত্রী। তারপরই এই কমিটিকে নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পীযূষ পাত্র। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ১১,৫২১ পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, মনোনয়ন কমিটির প্রায় সকল সদস্যই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। ফলে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ বা দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • FIFA World Cup: কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নতুন বল! জানেন এর বৈশিষ্ট্য?

    FIFA World Cup: কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নতুন বল! জানেন এর বৈশিষ্ট্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবল মহাযুদ্ধ শেষের পথে। বাকি আর মাত্র চারটি ম্যাচ। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের জন্য নতুন বল নিয়ে এল ফিফা। বিশ্বকাপের গ্রুপ স্তর থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো খেলা হয়েছে আল রিহলা বলে। বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো খেলা হবে আল হিলম বলে। আরবি ভাষায় আল রিহলার অর্থ যাত্রা আর আল হিলম শব্দের অর্থ স্বপ্ন। এই বল পায়ে কারা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে। এখন আর্জেন্টিনা বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে এই বল মাঠে নামার অপেক্ষায়।

    নয়া চমক-স্বপ্নের বল

    প্রতিবার বিশ্বকাপের বল নিয়ে কিছু না কিছু কথা ওঠেই। এবার যেমন অনেক ফুটবলার দাবি করেছেন, আল রিহলা বলের জন্যই কাতার বিশ্বকাপে ফ্রি-কিক থেকে সেভাবে গোল হচ্ছে না। আল রিহলা বাতাসে ভেসে থাকলে অদ্ভুত আচরণ করছে। এমনই মত অনেক ফুটবলারের। তাই কী বল পরিবর্তন? তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানায়নি ফিফা। নতুন এই বল আল হিল্‌মেও থাকছে আল রিহলার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। অ্যাডিডাস সংস্থা এবার বলের ভিতরে রেখেছে সেন্সর ও বিশেষ ধরনের চিপ। ম্যাচের আগে প্রতিটা বলকে চার্জ দেওয়া হয়। এর ফলে বলের ভিতরে থাকা চিপ ও সেন্সর কাজ করে। ম্যাচের প্রতিটা মুহূর্তের আপটেড ট্র্যাক করে বল। আল হিলমেও একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ম্যাচের প্রতি মুহূর্তের ট্র্যাক করতে সুবিধা হয় অফিসিয়ালদের। বল প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এটাকে কানেকটেড বল বলা হয়েছে। এরফলে ট্র্যাক অনেক দ্রুত করা যায় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। অফসাইড-এর ক্ষেত্রে নির্ভুল সিদ্ধান্ত পেতে সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি থাকবে এই বলে। এবারের বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ দেখা গিয়েছে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই। ‘আল হিলম’ এবং ‘আল রিহালার’ মধ্যে বস্তুগত কোনও পার্থক্যই নেই। প্রযুক্তি থেকে বলের ডিজাইন, আকার- সব একই। তবে নতুন বলে ব্যবহৃত হচ্ছে কাতারি পতাকার রং। 

    আরও পড়ুন: “তুমিই আমার কাছে সর্বকালের সেরা…”, রোনাল্ডোকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা বিরাটের

    রাজধানী দোহা সংলগ্ন মরু এলাকার সূক্ষ্ম ইঙ্গিত তুলে ধরা হয়েছে নতুন ‘আল হিলম’ বলে। অ্যাডিডাস জেনারেল ম্যানেজার নিক ক্রেইগ বলেছেন, “ক্রীড়া শক্তির আলোক বিচ্ছুরণের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে একত্রিত করার ঘটনাকে প্রতিনিধিত্ব করছে আল হিলম। এই খেলার প্রতি প্যাশনের জন্য দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ সমর্থক প্রতিদিন ফুটবলের খোঁজ খবর রাখছে। ফুটবলের বৃহত্তম মঞ্চের শেষ পর্যায়ের লড়াইয়ে সমস্ত অংশগ্রহণকারী দলগুলির জন্য শুভকামনা রইল।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টি বিজেপির! বিস্ফোরক ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থেকে বড় ভবিষ্যৎবাণী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari )। রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) সভা থেকে আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঙ্কার দিলেন সেখানকার ভূমিপুত্র। তিনি বলেন, ‘১৭টি পঞ্চায়েতের (Panchayat) মধ্যে ১২টি বিজেপির ঝুলিতে যাবে। ১৭টির মধ্যে ১২টি পঞ্চায়েতের প্রধান হবে বিজেপির। আর বাকি পাঁচটির প্রধান কে হবেন, সেটিও বিজেপির সদস্যরাই ঠিক করবেন।’ না! এখানেই থেমে থাকেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি আরও জানান,২টি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির ঝুলিতে যাবে। 

    কুণালকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন গোকুলনগরে, তখন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জনসংযোগ সারলেন সোনাচূড়ায় ! আর তাঁদের চ্যালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জ ঘিরেই ফের তেতে উঠল নন্দীগ্রামের মাটি। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে ৩৬০০ বুথ কর্মীকে নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় পূর্ব নির্ধারিত জনসংযোগ কর্মসূচি – চাটাই বৈঠকে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, সম্প্রতি কুণাল ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া, নেতা ও কর্মীদের একাংশ ফের বিজেপিতে ফিরে যান শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, যত চাটাই সভা হবে, দলে ততই ছাঁটাই হবে।

    আরও পড়ুন: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বিরোধী দলনেতার

    গাড়ি নয় বাইকে করে প্রচার করুন

    পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথকে বিজেপির দুর্গ করে তুলতে হবে, এই বার্তা দিয়ে এদিনের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু ঘোষণা করেন যে, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গ্রামে গ্রামে গাড়ি করে নয়, পঞ্চায়েত ভোটে বাইক ও টোটো চড়ে ঘুরবেন তিনি। কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যদি প্রকৃত গরীব মানুষজন বাড়ি না পেয়ে  শাসক দল ঘনিষ্ঠরা বাড়ি পান তাহলে প্রতিবাদ হবে’। বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী  পঞ্চায়েতে শাসক দলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে  আলোচনা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    Suvendu Adhikari: আজ হাজরায় শুভেন্দুর মেগা সমাবেশ! কী খোলসা করবেন? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর ধামাকার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর রাজ্যে ‘পালাবদলের’ দিন। আজ, সোমবার তার শুরু। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় হাজরায় সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। 

    সুকান্ত-শুভেন্দু পাশাপাশি

    এদিন কেন্দ্রীয় নেতাদের বাদ দিয়েই বিজেপি তৃণমূলের খাস তালুক হাজরায় মেগা সমাবেশের আয়োজন করেছেন যা রাজ্য বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। এই সভায় দশ হাজার জমায়েতের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। উত্তর কলকাতার জমায়েত হবে ম্যাডক্স স্কোয়ারে। দক্ষিণ কলকাতা জেলার কর্মীরা সরাসরি হাজরা মোড়ে আসবেন। আর দক্ষিণ ২৪পরগনা থেকে যাঁরা আসবেন তাঁরা দক্ষিণ শহরতলির কোথাও জমায়েত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    হটুগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে সভা

    ৩ ডিসেম্বর, ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে, হটুগঞ্জে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ মমতার এলাকায় সভা করবেন শুভেন্দু-সুকান্ত। আগামীকাল হাজরা মোড়ে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। এদিন হাজরার জনসভায় মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। ভোটের বাংলায় দুই শীর্ষ নেতার ভোকাল টনিকের অপেক্ষায় এখন রাজ্যের গেরুয়া শিবির। তবে শুধু পদ্মশিবিরই নয়, হাজরার সভায় বাড়তি নজর শাসক দলেরও। শুভেন্দুর সভা নিয়ে প্রথমে আইনি জটিলতা থাকলেও বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানায় হাজরায় ১২ ডিসেম্বর ও কাঁথিতে ২১ ডিসেম্বর শুভেন্দু সভা করতে পারবেন। তবে মেনে চলতে হবে শব্দবিধি। 

    ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি

    গত কয়েকমাস ধরেই, বারে বারে ডিসেম্বর নিয়ে নতুন নতুন সব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে ডিসেম্বর নিয়ে কৌতুহলের পারদও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে! আর এবার তো সরাসরি তারিখও বলে দিয়েছেন তিনি! এই আবহে এই দিনটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। এদিকে, আজই ৩ দিনের মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। গত ২ বছর ধরে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। এবার তাদের লক্ষ্য মেঘালয়।

    আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকার সোনা, গ্রেফতার ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ramakrishna Sarada Mission: সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান

    Ramakrishna Sarada Mission: সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা (Sarada Math president) প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা (Pravrajika Bhaktiprana)। রবিবার রাত ১১টা ২৪ মিনিট নাগাদ তিনি ইহলোক ছেড়ে চলে যান।  দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে ভক্তিপ্রাণা মাতাজি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৭ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীণ সন্ন্যাসিনীকে। হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, ফুসফুসেও সংক্রমণ ছড়িয়ে ছিল। তীব্র জ্বরেও আক্রান্ত ছিলেন। রবিবার দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক হয়ে যায়।  বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতে তাঁর দেহ আনা হয় টালিগঞ্জে মাতৃ ভবনে। সকাল ১০টা নাগাদ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে সারদা মঠে। 

    কর্মযোগী

    ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সহ অধ্যক্ষা পদে নিযুক্ত হন প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণা। ২০০৯ সালে সঙ্ঘের তৃতীয় অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণার মৃত্যুর পরে, ওই বছরের ২ এপ্রিল ওই পদে বসেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। টানা ১৩ বছর তিনি অধ্যক্ষা পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সারা জীবন সমাজ ও মানব কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। তার আগে দীর্ঘ সময় তিনি টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ওই হাসপাতাল ১০ শয্যার প্রসূতি সদন থেকে ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত হয়। সেখানে সকলের কাছে তিনি ছিলেন ‘বড় মা’ নামে পরিচিত। ধাত্রী বিদ্যায় পারদর্শী মাতাজি আপন স্নেহে ও মমতায় সারদা মাতৃভবনকে মা ও শিশুদের চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য হাসপাতাল হিসেবে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    পূর্বাশ্রম

    ১৯২০ সালের অক্টোবরে কলকাতাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।   ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ছিল অগাধ। যোগাযোগ ছিল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গেও। সারদেশ্বরী আশ্রম ও হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে তিনি নার্সিং প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৫০ সালে টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন। ১৯৫৩ সালে ভক্তিপ্রাণা মাতাজীকে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষা দেন শ্রী রামকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ শিষ্য তথা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ। অনেকের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন পূর্বাশ্রমের নাম কল্যাণীদি হিসেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

  • Mohan Bhagwat: প্রতিটি গ্রামে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি করে শাখা থাকা উচিত, দাবি ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: প্রতিটি গ্রামে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি করে শাখা থাকা উচিত, দাবি ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিটি গ্রামে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি করে শাখা থাকা উচিত। প্রত্যন্ত গ্রামও যেন সংগঠনের আওতায় থাকে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে একথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান (RSS) মোহন ভাগবত। সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে, বলেও জানান তিনি।

    কী বললেন সঙ্ঘ প্রধান

    অসম ইউনিটের কর্মী শিবিরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রবিবার সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বলেন,  “সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে, জাতি-ধর্মের পার্থক্য না করে সকল মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটিই হিন্দুত্বের মূল মন্ত্র। সমগ্র সমাজের জন্য কাজ করতে গেলে সঙ্ঘ সেবকদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তাই দেশের প্রতিটি গ্রামে সংগঠনের একটি শাখা থাকা উচিত, বলে জানান মোহন ভাগবত।”

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    আরএসএস-এর অসম ইউনিটের তিনদিনের রুদ্ধদ্বার শিবিরের শেষে ভাগবত বলেন, “ভারতের গর্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে সঙ্ঘ সেবকদের কাজ করতে হবে। দেশের আদর্শ হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। তাই এই ঐক্যের কথা মাথায় রেখে দেশের সকল নাগরিকদের জন্য জাতির কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের জাতির জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ১৯২৫ সালে মানব সম্পদ বিকাশের লক্ষ্যে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের মতামতের পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু মনের নয়।” প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালেই আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মোহন ভাগবত আগেও বলেছিলেন, ভারতীয়রা এক। এখানে যাঁরা বসবাস করেন তাঁরা সবাই হিন্দু বলে জানান তিনি। যাঁরা ভারতকে তাদের ‘মাতৃভূমি’ বলে মনে করে এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায় এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস এবং আদর্শ যাই হোক না কেন, এই পথে এগোনোর চেষ্টা করেন, তারা সকলেই হিন্দু, বলে ঘোষণা করেছিলেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    মোহন ভাগবতের কথায়, আরএসএস তার শতবর্ষ উদযাপন করতে চলেছে। প্রতি বছর তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে এই সংগঠন। নতুন নতুন সেবকরা দেশ গঠনের কাজে ব্রতী হয়। একটা দুর্বল সমাজ কখনও রাজনৈতিক স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারে না। তাই সমাজকে শক্ত করতে হবে, বলে জানান ভাগবত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • FIFA World Cup: মেসিকে আলাদা করে আটকানোর কিছু নেই! দাবি ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার পেটকোভিচের

    FIFA World Cup: মেসিকে আলাদা করে আটকানোর কিছু নেই! দাবি ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার পেটকোভিচের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনালে মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া। অনেকে এই ম্যাচটাকে এল এম টেনের দ্বৈরথ হিসাবে দেখছেন। কারণ, একদিকে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি, অন্য দিকে লুক মড্রিচ। দুজনেই খেলেন ১০ নম্বর জার্সি পরে। তবে ধারে ভারে মেসি অনেক এগিয়ে। তিনি একাই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের রং। শুধু গোল করা নয়, গোল করানোর ক্ষেত্রেও তাঁর জুড়ি মেল ভার। মেসির পায়ে বল মানেই বিপক্ষ ডিফেন্স আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে আটকানোর জন্য একজন বা দুজন নয়, একাধিক ফুটবলের ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই দৃশ্য নতুন নয়। কিন্তু সেমি ফাইনালে মেসিকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে না ক্রোয়েশিয়া।

    কী বলছেন ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার

    ক্রোট স্ট্রাইকার ব্রুনো পেটকোভিচের কথায়, “আমরা টিম গেমে বিশ্বাসী। কোনও একজন ফুটবলারকে আটকানোর কোনও পরিকল্পনা করিনি। পুরো আর্জেন্টিনা দলকে কীভাবে রুখে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা আমাদের সবাইকে করতে হবে। তাহলেই মিলবে ফাইনালের টিকিট।” মেসিকে কি তাহলে আপন মনে খেলবেন, সে তো আরও বিপজ্জনক? পেটকোভিচ বলেছেন, “মেসিকে আটকানোর জন্য আমাদের আলাদা করে কাউকে রাখা হবে না। আর্জেন্টিনা দলটা খুই ভালো। আরও অনেক ফুটবলার আছে, যারা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। তাই আমরা গোটা দলকে আটকানোর কথা বলছি। বাকিরা আটকে গেলে মেসি একা কিছু করতে পারবে না। আমরা যদি মেসিকে রোখার জন্য বেশি পরিকল্পনা করি তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: “তুমিই আমার কাছে সর্বকালের সেরা…”, রোনাল্ডোকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা বিরাটের

    ব্রাজিলের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে ১১৭ মিনিটের মাথায় ক্রোয়েশিয়ার হয়ে সমতা ফিরিয়েছিল পেটকোভিচের গোল। তার পরে পেনাল্টিতে ব্রাজিলকে হারিয়েছিলেন তাঁরা। তেকাঠির নীচে লিভাকোভিচ থাকায় তাঁরা অনেক ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি নিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন পেটকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘‘পেনাল্টি নেওয়ার সময় মানসিক দৃঢ়তা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেই সময় মাথার উপর প্রচণ্ড চাপ থাকে। কিন্তু দলে লিভাকোভিচের মতো গোলরক্ষক থাকলে চাপ অনেকটাই কমে যায়।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Air Pollution: দিল্লি দূরে নয়! কলকাতার কিছু এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা রাজধানীর থেকেও বেশি

    Air Pollution: দিল্লি দূরে নয়! কলকাতার কিছু এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা রাজধানীর থেকেও বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরুতেই শহরে বাড়ছে দূষণের পরিমাণ। বায়ুদূষণে এবার দিল্লিকে ছুঁতে বসেছে কলকাতা। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কলকাতার কিছু এলাকায় দূষণের মাত্রা রাজধানীর থেকেও বেশি। বাতাসে দূষণের পরিমাণ কতটা তা দেখা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দিয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে,এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা AQI  শূন্য থেকে ৫০ হলে, সেখানকার বাতাসের মান ভাল।  AQI ৫১ থেকে ১০০-র মধ্যে হলে তা satisfactory বা সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০ হলে তা মডারেট বা পরিমিত। AQI ২০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত থাকলে সেখানকার বাষুদূষণ poor বা খারাপ। এই বাতাসে বেশিক্ষণ থাকলে ফুসফুসের সমস্যা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত পৌঁছে গেলে তা ভীষণই উদ্বেগের। এরকম জায়গায় বেশিক্ষণ নিঃশ্বাস নিলে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। আর AQI ৪০১- ৫০০ হলে তা সিভিয়ার, মারাত্মক উদ্বেগের। সারা বছর AQI ২০০-র আশপাশে ঘোরাফেরা করলেও, শীতের সময় দূষণের মাত্রা বাড়ে।  গত ২ দিনে, কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় দেখা যাচ্ছে, AQI ৩০০-র ওপরে।

    কলকাতার এখন অবস্থা

    ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপ অনুযায়ী, বালিগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া, ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় দূষণের মাপ ধরা পড়েছে অনেকটাই বেশি। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার এই বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকরা। দীপাবলিতে মহানগরে যে পরিমাণ দূষণ ছিল ডিসেম্বরের প্রথম রবিবার তা ছাপিয়ে গেল৷ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপ অনুযায়ী, রবিবার শহরে দূষণের সূচক ছিল ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই-এর মধ্যে। এখানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দূষণের সূচক ছিল ৩২৮ একিউআই। যাদবপুরে ৩১৩, সল্টলেকে ৩০২, বালিগঞ্জে ২৯৯ এবং আরবিইউতে ছিল ২৯১ একিউআই। এই অবস্থায় বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের শারীরিক সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। বায়ুদূষণ নিয়ে বোস ইনস্টিটিউটের পূর্বাভাস, ২০১৯ সালের তুলনায় এবছর শীতে কলকাতায় বায়ুদূষণ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

    আরও পড়ুন: মাত্রা ছাড়া বায়ুদূষণ দেশের রাজধানীতে, স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল

    নিয়ন্ত্রণের উপায়

    বোস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দুই বছর করোনা অতিমারির কারণে দূষণ কম ছিল৷ কিন্তু, করোনা কাটার পরেই দূষণও বেড়েছে। এই অবস্থায় দূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই ইনস্টিটিউটের মতে, ২০২৩ সালে রাজ্যে এরোসল দূষণ ৮% বৃদ্ধি পাবে। যা এরোসল দূষণের মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ রেড জোনে ঢুকে পড়বে। দেশে এরোসল দূষণের ক্ষেত্রে বিহারের পরেই পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করবে। গবেষণাপত্রে পশ্চিমবঙ্গের এরোসল দূষণের পরিমাণ কমানোর জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে। চিরাচরিত জ্বালানির পদ্ধতি থেকে তৈরি হওয়া দূষণ এরোসেল দূষণের প্রধান কারণ। সম্প্রতি এলপিজি দাম বৃদ্ধির ফলে গরিব মানুষেরা আবার চিরাচরিত কাঠ, কয়লা দিয়ে রান্নার পদ্ধতিতে ফিরে গেছে। পাশাপাশি রাস্তার ধারে খাবারের দোকানগুলির সংখ্যাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলি বন্ধ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share