Author: suman-das

  • SIR: বঙ্গে এসআইআর শুরু নভেম্বরে শেষ জানুয়ারিতে, জানাল নির্বাচন কমিশন

    SIR: বঙ্গে এসআইআর শুরু নভেম্বরে শেষ জানুয়ারিতে, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শুরুতেই হতে চলেছে এসআইআর। দ্রুত ভোটার তালিকা সংশোধন এবং পরিমার্জন করে করা হবে এসআইআর (SIR)। এই কাজকে সম্পন্ন করতে বুধবার থেকে একাধিক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-দের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) সুখবীর সিং ও বিবেক যোশী।

    জানুয়ারির মধ্যেই হবে কাজ শেষ (SIR)

    গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুই দিন দিল্লিতে এই বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা মতোই কাজ হয়েছে। বৈঠকের শেষে একটি বিশেষ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দুইদিন জুড়ে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল এসআইআর (SIR) এবং প্রস্তুতি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যেই এই কাজ শেষ করতে হবে। উপস্থিত মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার বা সিওদের তা নিয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একটি বিবৃতি দিয়ে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “সিইওদের ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন সংক্রান্ত প্রস্তুতির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাঁদের মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা।”

    ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকেই নজর

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতো গোটা দেশজুড়েই এসআইআর (SIR) হবে। তবে কোথায় কোন রাজ্যে কোন সময়ে হবে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমিশনের ইঙ্গিত ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকেই। কারণ ভোটের আগে ভাগেই এই রাজ্যগুলিতে নিবিড় তালিকার কাজ শেষ করতে চাইছে কমিশন। গত দুই দিনের বৈঠকে সামনেই ভোট রয়েছে এমন কেন্দ্র শাসিত এবং রাজ্যগুলিকে নিয়েই বৈঠক করা হয়েছে। এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিয়েছেন মনোজ আগরওয়াল। একই ভাবে তামিলনাড়ু এবং অসমের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে কমিশন। তবে এসআইআর-এর আবহেই বাংলার ৬০০ জন বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের শোকজের নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন (Election Commission)। ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে কেন অনীহা দেখাচ্ছেন? এই বিষয়ে কারণ দেখাতে বলেছে কমিশন। তবে বিএলও-র কাজে সাধারণত দায়িত্বে থাকেন রাজ্য সরকারের কর্মী বা স্কুল শিক্ষকেরা। ফলে কাজ ফেলে বা স্কুলের পড়ানো ছেড়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজে অনীহা দেখাচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি উল্টো। যেহেতু এই রাজ্যে তৃণমূল এসআইআর চায় না, তাই কাজ না করার জন্য বিএলওদের আগেই ধমকি দেওয়া হয়েছে। এমন কি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় দেখে নেওয়ার কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ফলে নিবিড় তালিকা সংশোধন নিয়ে কর্মীদের মনে ভয়ের একটা বিষয় তো রয়েই গিয়েছে।

  • Pakistan: টমেটো ৬০০ টাকা কেজি! আফগান সংঘর্ষের ফলে পাকিস্তানে অগ্নিমূল্য সবজি, প্রবল ক্ষোভ জনমানসে

    Pakistan: টমেটো ৬০০ টাকা কেজি! আফগান সংঘর্ষের ফলে পাকিস্তানে অগ্নিমূল্য সবজি, প্রবল ক্ষোভ জনমানসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জঙ্গি হামলা করে পাকিস্তানকে এখন কড়া মাসুল গুনতে হচ্ছে। অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কায় কার্যত নাজেহাল এই সন্ত্রাসের মদতপুষ্ট রাষ্ট্রটি। এবার আফগানিস্তানের সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষে পাকনাগরিকদের জীবন এখন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। দেশের আম জনতার দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী এবং পানীয় পণ্যে লেগেছে আগুন (Food Crisis)। গত একমাসে ৩০-৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে। অত্যধিক অগ্নিমূল্যে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন চরম বিপাকে। টমেটোর কেজি ছুঁয়েছে ৬০০ টাকা। এই রকম খবর কেবল বাইরের দেশের নয় খোদ পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক সংবাদ মাধ্যম এই তথ্য তুলে ধরেছে। একে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি হিংসাত্মক কার্যকলাপ এবং অপর দিকে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে না পারার অক্ষমতা শাহবাজ শরীফের সরকারকে বিরাট বেকায়দায় ফেলেছে। ইতিমধ্যে সাধারণ নাগরিকের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

    কাঁচামালের আমদানি নেই (Pakistan)!

    পাকিস্তানের (Pakistan) সংবাদ মাধ্যম বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, আফগানিস্তান সীমান্তে চলমান সংঘর্ষ-উত্তেজনার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম আকাশছোঁয়া। রাওয়ালপিন্ডি শহরে টমেটোর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকা প্রতি কেজি। স্থানীয় সবজি (Food Crisis) ব্যবসায়ী ইউনিয়ানের সভাপতি গোলাম কাদের বলেন, “টমেটোর চাহিদা খুব বেশি। অপর দিকে চাহিদার তুলনায় আমদানি নেই। আফগানিস্তান থেকে টমেটো রফতানি বন্ধ রয়েছে। কাঁচামালের সরবরাহ ঠিক করে না হলে দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।”

    সবজির অগ্নিমূল্য

    পাকিস্তান (Pakistan) দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন রাওয়ালপিন্ডিতে সবজির দাম নিয়ে বলেছে, দাম বেশি হওয়ার কারণে ছোট ছোট সবজি বিক্রেতারা টমেটো, মটর, আদা, রসুন বিক্রি ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছেন। রসুনের বাজার মূল্য দৈনিক ৪০০-তে পৌঁছে গিয়েছে। আদার দাম হয়েছে ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি। পিঁয়াজের দাম ১২০ টাকা প্রতি কেজি এবং মটরের দাম ৫০০ টাকা। ক্যাপসিকামের প্রতিকেজি (Food Crisis) মূল্য হয়েছে ৩০০ টাকা। ঢেঁড়সের দামও পৌঁছে গিয়েছে একই স্তরে। শসা ১৫০ টাকা কেজি এবং লাল গাজর ২০০ টাকা কেজি হয়েছে। লেবু হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি। এছাড়াও ছোট ছোট ছোলার দাম হয়েছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। এই ভাবে চড়া দামে জীবন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    আকাশ ছোঁয়া ফলের বাজার

    শুধু সবজির বাজারই আকাশছোঁয়া (Food Crisis) নয়। একইভাবে আগুন লেগেছে ফলের বাজারেও (Pakistan)। আপেলের মূল্য হয়েছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি। আঙুর ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডালিমের মূল্য ৪০০ টাকা প্রতি কেজি। পেয়ারার দাম কেজিতে ১৭০ টাকা। একটি নারকেলের মূল্য ৪০০ টাকা। এক ডজন কলার মূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কমলালেবুর দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অগ্নিমূল্যে আমজনতার জীবন এখন নাভিশ্বাসে উঠেছে।

    কেন সংঘাত?

    আফগানমুলুকে পাকিস্তানের (Pakistan) বিমান হামলার ঘটনা তালিবানের প্রশাসন মোটেও ভালো নজরে নেয়নি। সেই সঙ্গে শরণার্থীদের সঙ্গে পাকিস্তান আর্মির অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার দুই দেশের সম্পর্ক এখন একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। এক্স হ্যান্ডলে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা একে অপরের নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ এড়ানোর বিষয় এবং পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করে সমাধানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই বক্তব্যের বাইরে অন্যকোনও বক্তব্যকে অবৈধ হিসেবে ধরা হবে। তবে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয় কাবুলে পাকিস্তানের বিমান হামলার ঘটনা থেকেই। পাকিস্তানের একমন্ত্রী অবশ্য সমস্ত কিছুর জন্য ভারতকেই দায়ী মনে করেছেন। তবে আজ এই পাকিস্তান যে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য ক্রমেই ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে একথা আন্তর্জাতিক গবেষকদের অধিকাংশইরাই মনে করছেন।

  • ChatGPT Atlas: গুগলকে টেক্কা দিতে বাজারে আসছে ওপেনএআই ব্রাউজার ‘অ্যাটলাস’

    ChatGPT Atlas: গুগলকে টেক্কা দিতে বাজারে আসছে ওপেনএআই ব্রাউজার ‘অ্যাটলাস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের জনপ্রিয় ব্রাউজার ক্রমকে টেক্কা দেওয়ার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলেজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাপোর্ট যুক্ত ওয়েব ব্রাউজার বাজারে আনতে চলেছে চ্যাটজিপিটি-র নির্মিতা ওপেনএআই (Open AI)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত এই ওয়েব ব্রাউজারের নাম চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস (ChatGPT Atlas)। তবে, প্রাথমিকভাবে এই ব্রাউজার কেবলমাত্র অ্যাপলের ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া যাবে।

    একটি পেইড এজেন্ট মোড

    ওপেনএআই (Open AI) জানিয়েছে, গ্রাহকদের জন্য নতুন এআই সাপোর্ট যুক্ত ওয়েব ব্রাউজার অ্যাটলাস একটি পেইড এজেন্ট মোড চালু করবে। আর এতেই গ্রাহকরা যে কোনও জিনিসকে সার্চ করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্রাউজারে গুগলের যে একাধিপত্য রয়েছে তা সকলেই জানেন। এবার এই একচ্ছত্র আধিপত্যের বিরুদ্ধে এইআইযুক্ত নতুন ওয়েব ব্রাউজার লঞ্চ করতে চলেছে ওপেন এআই। গ্রহকরা যেভাবে গুগুলে সার্চ করেন ঠিক একই ভাবে ওপেন এআই-এর মাধ্যমে সার্চ করতে পারবেন। এখানে সব সময় এজেন্ট মোডকে সক্রিয় রাখা হবে। আবার এতে চ্যাটজিপিটি (ChatGPT Atlas) গ্রাহকদের জন্য টাকার বিনিময়ে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে আবার চ্যাটবটও থাকবে। এই চ্যাটবট দ্রুতগতির মাধ্যমে কাজ করবে। ব্রাউজার যাতে ভালো ভাবে কাজ করতে পারে সেই ভাবেই কাজ করবে এই সিস্টেম।

    আগামীদিনে বিরাট পরিবর্তন আনবে

    গুগল নিজের সিস্টেমের মধ্যে এআইকে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করেছে। যেকোনও কিছু সার্চ করার ক্ষেত্রে গুগলের জেমিনি এআই-এর দ্বারা জেনারেটেড জবাবই বেশি বেশি করে দিয়ে থাকে। গ্রাহকরাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমেই উত্তর বেশি বেশি করে গ্রহণ করে থাকেন। আর তাই সার্চ ইঞ্জিনে গুগলকে টেক্কা দিতেই চ্যাটজিপিটি-র নির্মাতা ওপেন এআই (Open AI) নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি আগামীদিনে বিরাট পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    যদিও সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে জায়ান্ট গুগল আগেই বাজারে এসে গিয়েছে জেমিনি। এটা এখন সব থেকে বড় শক্তিশালী জেমিনি এআই। এটা গুগলের লেটেস্ট লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল যা পাল্লা দেবে ওপেন এআই-এর চ্যাটবোট চ্যাট জিপিটি ৪-কে (ChatGPT Atlas)। গুগল বার্ড-কে আরও শক্তিশালী করবে এই জেমিনি এআই।

  • Trinidad-Tobago: ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে তৈরি হবে অযোধ্যার আদলে রাম মন্দির

    Trinidad-Tobago: ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে তৈরি হবে অযোধ্যার আদলে রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং প্রগতিকে বৃদ্ধি করতে এবার ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে (Trinidad-Tobago) রাম মন্দিরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ওই দেশের সরকার। এই সিদ্ধান্ত হিন্দু আস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিশ্বজুড়ে হিন্দু সমাজের জন্য এই রাম মন্দির হবে আরও এক গভীর অনুপ্রেরণার কেন্দ্র। ক্যারিবীয় দেশের স্থানীয় হিন্দু সংগঠন এবং সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এই মন্দির হবে ধর্ম, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার অন্যম পীঠস্থান। মর্যাদাপূর্ণ পুরুষোত্তম ভাগবান রাম চন্দ্রের (Ram Mandir) আদর্শ এবং ধর্মচিন্তাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আরও এক প্রায়োগিক দিক বলে মনে করেছেন রাম ভক্তগণ।

    দুই দ্বীপপুঞ্জে হিন্দুর জন্য ধর্মকেন্দ্র (Trinidad-Tobago)

    পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধে হিন্দুধর্মের সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে রাম মন্দির প্রধান পীঠস্থানে পরিণত হবে। এই বছর শুরুতে অযোধ্যা থেকে রামলালার মূর্তি নিয়ে আসার জন্য সাধু-সন্ত সমাজের সঙ্গে কথা বলেন ওই দেশের মন্ত্রী ব্যারি পদরথ। এবার তাঁর মন্দির নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভারত সরকারের কাছে সবরকম সহযোগিতার প্রার্থনা করেছেন। উল্লেখ্য ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোকে (Trinidad-Tobago) রামায়ণের দেশ বলা হয়। তবে ভারতের বাইরে বিশ্বের আরেক প্রান্তে হিন্দু সভ্যতার স্থাপত্য এবং ভাস্কর্যকে তুলে বিশেষ ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন মন্ত্রী পদরথ। তিনি বলেন, “রাম লালাকে (Ram Mandir) ঘিরে এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা পূর্ণ সমর্থন করে সবরকম কাজ করবো। ইতিমধ্যে ভারত সরকারের কর্মকর্তারা সদর্থক আলোচনা করেছেন কীভাবে মন্দিরের কাজের জন্য সহযোগিতা হবে। সেই সঙ্গে দুই দ্বীপপুঞ্জ জাতির জন্য একটি সম্ভাব্য পর্যটন কেন্দ্র হিসবেও রাম মন্দিরকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ভারতীয় সংস্কৃতি ধর্ম বিশ্বাস এবং আস্থা এখানে বহু প্রজন্মের মানুষ বহন করছেন। শুধু মন্দির গড়াই প্রধান লক্ষ্য নয়, তাকে ঘিরে আরও নানা রকম সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরের কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। ”

    ১০০০০ ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন

    নিউইয়র্কের ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা প্রেম ভান্ডারী উত্তর আমেরিকার ভক্তদের জন্য একটি অযোধ্যা নগরীর পরিকল্পনা করেছেন। এই নগরী হবে ওই দেশের আধ্যাত্মিক এবং ধর্মচর্চার প্রধান ক্ষেত্র। যাঁরা ভারতে যেতে পারবেন না বা শরীরিক ভাবে অক্ষম তাঁদেরকেই এই নির্মিত অযোধ্যা নগরীতে প্রভু রামলালার দর্শন করাবেন। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসারের কাছে প্রেম ভান্ডারী প্রথমে মন্দির নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য ২০২৫ সালের মে মাসেই ত্রিনিদাদে অযোধ্যার রামমন্দিরের রাম লালা মূর্তির একটি প্রতিরূপ উন্মোচন করেছিলেন। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোয় (Trinidad-Tobago)  মন্দির স্থাপনার জন্য অযোধ্যার শ্রীরাম মন্দির (Ram Mandir) সংস্থার সভাপতি অমিত আলাঘ যৌথভাবে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছিলেন। রামলালার মূর্তি উন্মোচনের সময় দেশের পোর্ট অফ স্পেনে ১০০০০ ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন। আর তার ঠিক কয়েকমাস পরেই এই মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রবাসী হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। উল্লেখ্য এখানে ২০ অক্টোবর হাজার হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ।

  • Golden Quadrilateral 2.0: সোনালী চতুর্ভুজ ২.০! হাইস্পিড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার

    Golden Quadrilateral 2.0: সোনালী চতুর্ভুজ ২.০! হাইস্পিড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কেন্দ্রগুলিকে সংযুক্ত করতে হাইস্পিড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে গোল্ডেন কোয়াড্রিলেটারল ২.০ –এর (Golden Quadrilateral 2.0) নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিকল্পনায় ভারতের পূর্ব-পশ্চিম এবং উত্তর-দক্ষিণ রুট বরাবর প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করিডরের নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

    ২০৪৭ সালে বৃহত্তর যোগাযোগের মাধ্যম (Golden Quadrilateral 2.0)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার দেশের চার মেগাসিটি দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতাকে সংযুক্ত করতে সোনালি চতুর্ভুজ নির্মাণের প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। তাতে দেশের সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে নেওয়া এই গোল্ডেন কোয়াড্রিলেটারল ২.০ (Golden Quadrilateral 2.0) প্রকল্পের দুটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। নতুন এক্সপ্রেসওয়েগুলি (New High Speed-expressway) দেশের ক্রমবর্ধমান যানজটপূর্ণ মহাসড়কের উচ্চ-গতির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। সেই সঙ্গে মালবাহী গাড়ি, লরি, ট্রাক চলাচল আরও সহজ হবে। ভারতের অভ্যন্তরে রাজ্যগুলির মধ্যে পণ্য সরবরাহ খরচ অনেক কম হবে। বর্তমানে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ গতি সম্পন্ন বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হবে ভারতের বাণিজ্য কেন্দ্রগুলি। সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে ২০৪৭ সালের মধ্যে বৃহত্তর যোগাযোগের মাধ্যেম নির্মাণেরও লক্ষ্য মাত্রাকে ঠিক করা হয়েছে।

    প্রতি কিমি নির্মাণের খরচ ৪০ কোটি টাকা

    কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ দফতর ইতিমধ্যে ৯০০০ কিমি এক্সপ্রেসওয়ে (Golden Quadrilateral 2.0) প্রকল্পের কাজকে অনুমোদন করেছে। ২০২৫-২৭ সালের মধ্যে আরও ১০,০০০ কিমি একপ্রেসওয়ের প্রকল্পকে অনুমোদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি কিলোমিটার নির্মাণে আনুমানিক ৪০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এই পরিকল্পনাকে (New High Speed-expressway) আগামী প্রজন্মের জন্য সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল বলে উল্লেখ করেছেন।

  • Ramakrishna 488: “‘কলঙ্ক সাগরে ভাসে, তবু কলঙ্ক না লাগে গায়, তখন পাঁকাল মাছের মতো থাকতে পারে”

    Ramakrishna 488: “‘কলঙ্ক সাগরে ভাসে, তবু কলঙ্ক না লাগে গায়, তখন পাঁকাল মাছের মতো থাকতে পারে”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    শ্রীরামকৃষ্ণ ও বিদ্যার সংসার—ঈশ্বরলাভের পর সংসা

    “চাতক তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে,—সাত সমুদ্র যত নদী পুষ্করিণী সব ভরপুর! তবু সে জল খাবে না! ছাতি ফেটে যাচ্ছে তবু খাবে না! স্বাতী নক্ষত্রের বৃষ্টির জলের জন্য হাঁ করে আছে! ‘বিনা স্বাতীকি জল সব ধূর!”

    দুআনা মদ ও দুদিক রাখা

    “বলে দুদিক রাখব। দুআনা মদ খেলে মানুষ দুদিক রাখতে চায়, আর খুব মদ খেলে কি আর দুদিক রাখা যায়!

    “ঈশ্বরের (Ramakrishna) আনন্দ পেলে আর কিছু ভাল লাগে না। তখন কামিনী-কাঞ্চনের কথা যেন বুকে বাজে। (ঠাকুর কীর্তনের সুরে বলিতেছেন) ‘আন্‌ লোকের আন্‌ কথা, কিছু ভাল তো লাগে না!’ তখন ঈশ্বরের জন্য পাগল হয়, টাকা-ফাকা কিছুই ভাল লাগে না!”

    ত্রৈলোক্য—সংসারে থাকতে গেলে টাকাও তো চাই, সঞ্চয়ও চাই (Kathamrita)। পাঁচটা দান-ধ্যান—

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কি, আগে টাকা সঞ্চয় করে তবে ঈশ্বর! আর দান-ধ্যান-দয়া কত! নিজের মেয়ের বিয়েতে হাজার হাজার টাকা খরচ—আর পাশের বাড়িতে খেতে পাচ্ছে না। তাদের দুটি চাল দিতে কষ্ট হয়—অনেক হিসেব করে দিতে হয়। খেতে পাচ্ছে না লোকে,—তা আর কি হবে, ও শালারা মরুক বাঁচুক,—আমি আর আমার বাড়ির সকলে ভাল থাকলেই হল। মুখে বলে সর্বজীবে দয়া!

    ত্রৈলোক্য—সংসারে তো ভাল লোক আছে,—পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি, চৈতন্যদেবের ভক্ত। তিনি তো সংসারে ছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তার গলা পর্যন্ত মদ খাওয়া ছিল, যদি আর একটু খেত তা হলে আর সংসার করতে পারত না।

    ত্রৈলোক্য চুপ করিয়া রইলেন। মাস্টার গিরিশকে জনান্তিকে বলিতেছেন (Kathamrita), ‘তাহলে উনি যা লিখেছেন ঠিক নয়।’

    গিরিশ—তা হলে আপনি যা লিখেছেন ও-কথা ঠিক না?

    ত্রৈলোক্য—কেন, সংসারে ধর্ম হয় উনি কি মানেন না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হয়,—কিন্তু জ্ঞানলাভ করে থাকতে হয়, ভগবানকে লাভ করে থাকতে হয়। তখন ‘কলঙ্ক সাগরে ভাসে, তবু কলঙ্ক না লাগে গায়।’ তখন পাঁকাল মাছের মতো থাকতে পারে। ঈশ্বরলাভের পর যে সংসার সে বিদ্যার সংসার। কামিনী-কাঞ্চন তাতে নাই, কেবল ভক্তি, ভক্ত আর ভগবান। আমারও মাগ আছে,—ঘরে ঘটিবাটিও আছে,—হরে প্যালাদের খাইয়ে দিই, আবার যখন হাবীর মা এরা আসে এদের জন্যও ভাবি।

  • Ramakrishna 487: “চাতক তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে,—সাত সমুদ্র যত নদী পুষ্করিণী সব ভরপুর! তবু সে জল খাবে না!”

    Ramakrishna 487: “চাতক তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে,—সাত সমুদ্র যত নদী পুষ্করিণী সব ভরপুর! তবু সে জল খাবে না!”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল

    শ্রীরামকৃষ্ণ ও বিদ্যার সংসার—ঈশ্বরলাভের পর সংসার

    সন্ধ্যা হইল। বলরামের বৈঠকখানায় ও বারান্দায় আলো জ্বালা হইল। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) জগতের মাতাকে প্রণাম করিয়া, করে মূলমন্ত্র জপ করিয়া মধুর নাম করিতেছেন। ভক্তেরা চারিপার্শ্বে বসিয়া আছেন ও সেই মধুর নাম শুনিতেছেন। গিরিশ, মাস্টার, বলরাম, ত্রৈলোক্য ও অন্যান্য অনেক ভক্তরা এখনও আছেন। কেশবচরিত গ্রন্থে ঠাকুরের সংসার সম্বন্ধে মত পরিবর্তনের কথা যাহা লেখা আছে, ত্রৈলোক্যের সামনে সেই কথা উত্থাপন করিবেন, ভক্তেরা ঠিক করিয়াছেন। গিরিশ কথা (Kathamrita) আরম্ভ করিলেন।

    তিনি ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন, “আপনি যা লিখেছেন—যে সংসার সম্বন্ধে এঁর মত পরিবর্তন হয়েছে, তা বস্তুতঃ হয় নাই।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্য ও অন্যান্য ভক্তদের প্রতি)—এ-দিকের আনন্দ পেলে ওটা ভাল লাগে না, ভগবানের আনন্দলাভ করলে সংসার আলুনী বোধ হয়। শাল পেলে আর বনাত ভাল লাগে না!

    ত্রৈলোক্য—সংসার যারা করবে তাদের কথা আমি বলছি,—যারা ত্যাগী তাদের কথা বলছি না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ও-সব তোমাদের কি কথা!—যারা ‘সংসারে ধর্ম’ ‘সংসারে ধর্ম’ করছে, তারা একবার যদি ভগবানের আনন্দ পায় তাদের আর কিছু ভাল লাগে না, কাজের সব আঁট কমে যায়, ক্রমে যত আনন্দ বাড়ে কাজ আর করতে পারে না,— কেবল সেই আনন্দ খুঁজে খুঁজে বেড়ায়! ভগবানের আনন্দের কাছে বিষয়ানন্দ আর রমণানন্দ! একবার ভগবানের আনন্দের আস্বাদ পেলে সেই আনন্দের (Kathamrita) জন্য ছুটোছুটি করে বেড়ায়, তখন সংসার থাকে আর যায়।

    “চাতক তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে,—সাত সমুদ্র যত নদী পুষ্করিণী সব ভরপুর! তবু সে জল খাবে না! ছাতি ফেটে যাচ্ছে তবু খাবে না! স্বাতী নক্ষত্রের বৃষ্টির জলের জন্য হাঁ করে আছে! ‘বিনা স্বাতীকি জল সব ধূর!”

    দুআনা মদ ও দুদিক রাখা 

    “বলে দুদিক রাখব। দুআনা মদ খেলে মানুষ দুদিক রাখতে চায়, আর খুব মদ খেলে কি আর দুদিক রাখা যায়!

    “ঈশ্বরের আনন্দ পেলে আর কিছু ভাল লাগে না। তখন কামিনী-কাঞ্চনের কথা যেন বুকে বাজে। (ঠাকুর কীর্তনের সুরে বলিতেছেন) ‘আন্‌ লোকের আন্‌ কথা, কিছু ভাল তো লাগে না!’ তখন ঈশ্বরের জন্য পাগল হয়, টাকা-ফাকা কিছুই ভাল লাগে না!”

  • SIR: একাধিক বিএলওকে শোকজ! এসআইআর করতে আরও তৎপর কমিশন

    SIR: একাধিক বিএলওকে শোকজ! এসআইআর করতে আরও তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর (SIR) শুরুর আগেই কমিশন শোকজ করল একাধিক বিএলওকে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের জন্য ব্লক স্তরের অফিসারদের কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক সরকারি কর্মীরা এই কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। নিজের নিজের দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় নির্বাচন কমিশন (Election Commision) কারণ জানতে চেয়ে শোকজ করেছে। অপর দিকে এসআইআর-এর কাজে গেলে উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবিও তুলতে শোনা গিয়েছে কর্মীদের মুখে।

    হুমকিকে শক্ত হাতে দমন করা হবে (SIR)

    রাজ্যে এসআইআর (SIR) নিয়ে প্রথম থেকেই খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের অনেক নেতামন্ত্রীরা রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের প্রকাশ্যে ভয় দেখিয়েছিলেন। পাল্টা নির্বাচন কমিশন রাজ্যে এসআইআর-এর কাজকে থমকে রাখেনি। তালিকা সংশোধনের কাজে গতিকে বাড়াতেই কোনও রকম আপস নয় বলে সাফ জানিয়েছে কমিশন। কিন্তু বিএলও-দের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরও শতাধিক বিএলও কাজ করতে চাইছেন না। কমিশন (Election Commision) স্পষ্ট জানিয়েছে, কারণে যদি সন্তোষ জনক না হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কমিশনের এক উচ্চ কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, বিএলওরা মাঠে নেমে কাজ করছেন। যদি কোনও রকম রাজনৈতিক হিংসার হুমকি আসে তাহলে তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। আর যদি তাতেও কাজ না করতে চান, তাহলে কমিশনের নির্দেশ অমান্য করা হবে বলে ধরা হবে।

    কমিশন আরও সক্রিয়

    এই রাজ্যে বিএলওদেরকে (SIR) শাসক দল তৃণমূল আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছে, বেশ কিছু এলাকায় নাম তোলা নিয়ে বিএলওদের চাপের মুখেও ফেলা হয়েছে। তবে কর্মীদের মধ্যে একাংশের অভিযোগ খোদ কলকাতা, কসবা, খিদিরপুর, গুলশান কলোনির মতো এলাকায় প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। আসলে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দিতে গেলেই শাসকদলের রোষের মুখে পড়তে পারেন। তাই স্থান বিশেষে চাপের মুখে রয়েছে বিএলওরা। এই অবস্থায় কমিশনের (Election Commision) কাছে নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছে। ফলে কমিশনের শোকজের নোটিশ বিরাট তাৎপর্যবাহী বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ এসআইআর নিয়ে রাজ্য সরকারের চেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকায় নির্বাচন কমিশন।

  • Turkey-Azerbaijan: মুখ ফিরিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরোধিতা করে বিরাট আর্থিক ক্ষতি তুরস্ক-আজারবাইজানের

    Turkey-Azerbaijan: মুখ ফিরিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিরোধিতা করে বিরাট আর্থিক ক্ষতি তুরস্ক-আজারবাইজানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) নিয়ে ভারতের বিরোধিতা করে সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক এবং আজারবাইজান (Turkey-Azerbaijan)। গত এপ্রিল-মে মাসে কাশ্মীরের পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা প্রত্যাঘাত ইস্যুতে শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং তাদের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিল এই দুই দেশ। প্রতিবাদ হিসেবে ভারতীয়রা সবরকম ভাবে বয়কট করেছে এই দুই দেশকে। যার ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে ভারতীয় পর্যটকরা ভ্রমণক্ষেত্র হিসেবে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে তুরস্ক এবং আজারবাইজানকে। আর্থিক ভাবে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই দুই মুসলিম রাষ্ট্র। একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের জুন থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা কমেছে পাকিস্তানের পরমমিত্র দুই দেশের।

    জঙ্গিদের পরোক্ষ মদত করেছিল (Turkey-Azerbaijan)!

    সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে, আজারবাইজানে (Turkey-Azerbaijan) ৭০ শতাংশ এবং তুর্কিতে ৩৮ শতাংশ ভারতীয়রা ভ্রমণ কমিয়ে দিয়েছেন। পেহেলগাঁও হামলার পর ভারতের সঙ্গে এই দুইদেশের কূটনৈতিক লড়াইতে ভারতীয়রা বিরাট ধাক্কা দিয়েছে। পাকিস্তানের ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের শাখা সংগঠন টিআরএফ-এর জঙ্গিরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পেহেলগাঁওতে ২৬ জন ভারতীয়কে ধর্ম জিজ্ঞেস করে হত্যা করেছে। কলমা পড়ার ফতোয়া দিয়ে নবদম্পতিদের চিরতরে সিঁদুর মুছে দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পাল্টা প্রত্যাঘাত হিসেবে ভারতীয় সেনা অপারেশন সিঁদুর করে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে ৯টি বড় বড় জঙ্গিশিবির ধ্বংস করেছিল। পাকসেনা ছাউনি এবং জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিকে ধূলিসাৎ করে দেয়। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে চুরমার করে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ভারতের ডিজিএমওকে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করে পাক সেনা। উল্লেখ্য যুদ্ধকালীন (Operation Sindoor) সময়ে তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করেছিল। একই ভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে আজারবাইজান প্রকাশ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে নিন্দা করেছিল। কূটনৈতিক ভাবে ইসলামাবাদকে সমর্থন করেছিল এই দুই দেশ।

    পাকিস্তান কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছিল

    ভারতের ক্ষতি চায় এমন জঙ্গি উৎপাদনকারী দেশকে সমর্থন করায় তুরস্ক আর আজারবাইজানের (Turkey-Azerbaijan) বিরুদ্ধে সামরিক এবং কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রত্যেক ভারতীয়দের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। এখানেই শেষ ছিল না, পরবর্তী সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনা প্রধান আসিম মুনির আঙ্কারা এবং বাকুতে গিয়ে তুরস্ক-আজারবাইজানের ব্যাপক প্রশংসা করেন। এরপর ভারতীয়দের আর কিছু বুঝতে বাকি ছিল না ভারতের জন্য এই দুই রাষ্ট্রের মনোভাব কী। ভারতের রাজপথে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে বয়কটের ডাক ওঠে দুই দেশের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবাদকে (Operation Sindoor) যারা পূর্ণ সমর্থন করে তাদের দেশে যাওয়াকে নিষিদ্ধ করার অভিযান শুরু হয়। দেশবাসীরা তাই অভিযানে সামিল হন।

    পর্যটক সংখ্যার অনুপাতে কত কম?

    ভারতের নীতিকে বিরোধিতা করে পাকিস্তানকে সমর্থন করার পর কীভাবে পর্যটকদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে আসুন এক নজরে দেখে নিই। আজারবাইজানে (Turkey-Azerbaijan) মোট ৭০ শতাংশ কমেছে ভারতীয় পর্যটক। ২০২৪ সালের জুন মাসে ভারতীয় পর্যটক ছিল ২৮ হাজার ৩১৫, জুলাই মাসে ছিল ২০ হাজার ১২৪, অগাস্ট মাসে ছিল ২১ হাজার ৩১৭। অপরদিকে ২০২৫ সালে এই পর্যটকদের সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে জুন মাসে ৯ হাজার ৯৩৪, জুলাই মাসে ৪ হাজার ৬৬৫ এবং অগাস্ট মাসে ৬ হাজার ০৩২। ২০২৪ সালে ছিল ৬৯ হাজার ৫৭৬ পর্যটক আর এবার হয়েছে ২০ হাজার ৬৩১ পর্যটক। মোট ক্ষতি ৪৯০০ পর্যটক।

    তুরস্কের ক্ষেত্রে ঘটেছে ২০২৪ সালের জুন মাসে পর্যটক ছিল ৩৮ হাজার ৩০৭, জুলাই মাসে ছিল ২৮ হাজার ৮৭৫, অগাস্ট মাসে ছিল ২৬ হাজার ৭৮১। এইবার ২০২৫ সালের জুন মাসে পর্যটক নেমে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২৫০, জুলাই মাসে ১৬ হাজার ৮২৫ এবং অগাস্ট মাসে ১৭ হাজার ৬৪৯। ২০২৪ সালে মোট সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৯৬৩ জন আর এবারে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৫৪৪ জন।

    প্যাকেজ বাতিল করেছে একাধিক সংস্থা 

    তবে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বয়কটের ডাক না দিলেও ভ্রমের জন্য প্রথম সারির অ্যাপ যেমন মেক মাই ট্রিপ, ইজি মাই ট্রিপ-এর তরফে ভ্রমণের জন্য জনসাধারণকে উক্ত দুই দেশের সমস্ত প্যাকেজ বাতিল করেছিল। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে দেশের স্বার্থে ভারতীয়রা যে সব সময়ে এগিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

  • Ramakrishna 486: “জয় শচীনন্দন, গৌর গুণাকার, প্রেম-পরশমণি, ভাব-রস-সাগর”

    Ramakrishna 486: “জয় শচীনন্দন, গৌর গুণাকার, প্রেম-পরশমণি, ভাব-রস-সাগর”

    ৪৪ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১২ই এপ্রিল
    সংকীর্তনানন্দে ভক্তসঙ্গে

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—তুই বাপ-মাকে খুব ভক্তি করবি।—কিন্তু ঈশ্বরের পথে বাধা দিলে মানবিনি। খুব রোখ আনবি—শালার বাপ!

    ছোট নরেন—কে জানে, আমার কিছু ভয় হয় না।

    গিরিশ বাড়ি হইতে আবার আসিয়া উপস্থিত। ঠাকুর ত্রৈলোক্যের সহিত আলাপ করিয়া দিতেছেন; আর বলিতেছেন, ‘একটু আলাপ তোমরা কর।’ একটু আলাপের পর ত্রৈলোক্যকে বলিতেছেন, ‘সেই গানটি আর একবার,’—ত্রৈলোক্য গাইতেছেন (Kathamrita):

    ঝিঁঝিট খাম্বাজ—ঠুংরী

    জয় শচীনন্দন, গৌর গুণাকার, প্রেম-পরশমণি, ভাব-রস-সাগর।
    কিবা সুন্দর মুরতিমোহন আঁখিরঞ্জন কনকবরণ

    ঝিঁঝিট খাম্বাজ—ঠুংরী 

    জয় শচীনন্দন, গৌর গুণাকার, প্রেম-পরশমণি, ভাব-রস-সাগর।
    কিবা সুন্দর মুরতিমোহন আঁখিরঞ্জন কনকবরণ,
    কিবা মৃণালনিন্দিত, আজানুলম্বিত, প্রেম প্রসারিত, কোমল যুগল কর
    কিবা রুচির বদন-কমল, প্রেমরসে ঢল ঢল,
    চিকুর কুন্তল, চারু গণ্ডস্থল, হরিপ্রেমে বিহ্বল, অপরূপ মনোহর।
    মহাভাবে মণ্ডিত হরি রসে রঞ্জিত, আনন্দে পুলকিত অঙ্গ,
    প্রমত্ত মাতঙ্গ, সোনার গৌরাঙ্গ,
    আবেশে বিভোর অঙ্গ, অনুরাগে গরগর।
    হরিগুণগায়ক, প্রেমরস নায়ক,
    সাধু-হৃদিরঞ্জক, আলোকসামান্য, ভক্তিসিন্ধু শ্রীচৈতন্য,
    আহা! ‘ভাই’ বলি চণ্ডালে, প্রেমভরে লন কোলে,
    নাচেন দুবাহু তুলে, হরি বোল হরি বলে,
    অবিরল ঝরে জলে নয়নে নিরন্তর!
    ‘কোথা হরি প্রাণধন’ — বলে করে রোদন,
    মহাস্বেদ কম্পন, হুঙ্কার গর্জন,
    পুলকে রোমাঞ্চিত, শরীর কদম্বিত,
    ধুলায় বিলুণ্ঠিত সুন্দর কলেবর।
    হরি-লীলা-রস-নিকেতন, ভক্তিরস-প্রস্রবণ;
    দীনজনবান্ধব, বঙ্গের গৌরব, ধন্য ধন্য শ্রীচৈতন্য প্রেম শশধর।

    ‘গৌর হাসে কাঁদে নাচে গায়’—এই কথা শুনিয়া ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া দাঁড়াইয়া পড়িলেন,-একেবারে বাহ্যশূন্য!

    কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া—ত্রৈলোক্যকে অনুনয় বিনয় করিয়া বলিতেছেন, “একবার সেই গানটি!—কি দেখিলাম রে।”

    ত্রৈলোক্য গাইতেছেন:

    কি দেখিলাম রে, কেশব ভারতীর কুটিরে,
    অপরূপ জ্যোতি; গৌরাঙ্গ মূরতি, দুনয়নে প্রেম বহে শত ধারে।

    গান সমাপ্ত হইল। সন্ধ্যা হয়। ঠাকুর এখনও ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)—বাজনা নাই! ভাল বাজনা থাকলে গান খুব জমে। (সহাস্যে) বলরামের আয়োজন কি জান,—বামুনের গোড্ডি (গরুটি) খাবে কম, দুধ দেবে হুড়হুড় করে! (সকলের হাস্য) বলরামের ভাব,—আপনারা গাও আপনারা বাজাও! (সকলের হাস্য)

LinkedIn
Share