Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sadhvi Pragya: উল্টো করে ঝুলিয়ে মার, আরএসএস নেতাদের নাম বলতে চাপ, ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলে সাধ্বী প্রজ্ঞার ওপর

    Sadhvi Pragya: উল্টো করে ঝুলিয়ে মার, আরএসএস নেতাদের নাম বলতে চাপ, ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলে সাধ্বী প্রজ্ঞার ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় ১৭ বছর পর বেকসুর খালাস সাধ্বী প্রজ্ঞা (Sadhvi Pragya)। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় বিজেপি নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর-কে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল। এই ঘটনায় তাঁর উপর বছরের পর বছর ধরে চলে নির্মম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। দীর্ঘ নয় বছর কারাবন্দি অবস্থায় থাকতে হয় তাঁকে। ২০০৮ সালে মহারাষ্ট্রের এটিএস (ATS) সাধ্বী প্রজ্ঞাকে গ্রেফতার করে (Malegaon Blast)।
    তিনি নিজেই জানিয়েছেন, প্রথম দিন থেকেই তাঁকে কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই নির্যাতন করা হয়।

    সাধ্বী প্রজ্ঞা কী বলেছিলেন অত্যাচার নিয়ে?

    জবানবন্দিতে সাধ্বী প্রজ্ঞা (Sadhvi Pragya) বলেন: “সেই দিনগুলি ছিল আমার জীবনের এক বিভীষিকা। ১৩ দিন ধরে আমাকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছিল।
    প্রথমেই কোনও প্রশ্ন না করেই চওড়া বেল্ট দিয়ে মারধর করা হয়, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়, আমাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং নগ্ন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দিনরাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলেছিল। একজন নারী হিসেবে (Malegaon Blast) এমন অভিজ্ঞতা যেন আর কোনো নারীর না হয়।”

    তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হতো না, হাত-পা ফুলে যাওয়া পর্যন্ত মারধর করা হতো

    তিনি (Sadhvi Pragya) আরও জানান, তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হতো না। হাত-পা ফুলে যাওয়া পর্যন্ত মারধর করা হতো, পরে তা লবণ জলে ডুবিয়ে রাখা হতো। তাঁকে জোর করে অশ্লীল সিডি শুনতে বাধ্য করা হতো। বারবার তাঁকে বলা হতো শীর্ষস্থানীয় আরএসএস নেতাদের নাম করে স্বীকারোক্তি দিতে। তাঁর ওপর চালানো হয় নার্কো টেস্ট, পলিগ্রাফ টেস্ট-সহ নানা বৈজ্ঞানিক নির্যাতনমূলক প্রক্রিয়া।

    এই নির্যাতনের উদ্দেশ্য ছিল তথাকথিত “গেরুয়া সন্ত্রাস” প্রমাণ করা এবং হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা। তবে, দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে, ২০২৫ সালে আদালত তাঁকে সম্পূর্ণভাবে বেকসুর খালাস দেয়। সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, “হিন্দুত্ব জয়ী হয়েছে, ভগবান জয়ী হয়েছেন। আমি আশাবাদী, ঈশ্বরই একদিন দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেবেন।” ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোপাল কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হন সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং সেই থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ ঘটে।

  • Sacred Piprahwa Relics: ১২৭ বছর পরে দেশে ফিরল ‘পিপ্রাহওয়া’ বুদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ

    Sacred Piprahwa Relics: ১২৭ বছর পরে দেশে ফিরল ‘পিপ্রাহওয়া’ বুদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২৭ বছর পরে দেশে ফিরল ‘পিপ্রাহওয়া’ বুদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ। এই পিপ্রাহওয়া ধ্বংসাবশেষ-কে (Sacred Piprahwa Relics) মনে করা হচ্ছে ভারতের সাংস্কৃতিক যাত্রাপথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ভারতের আত্মপরিচয়ের আধার হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। এইভাবে পিপ্রাহওয়া ধ্বংসাবশেষের দেশে প্রত্যাবর্তন, ভারতের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে— বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।

    সহায়তা করেছে ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন

    এই ঐতিহাসিক উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রক। তাদের পাশাপাশি সহায়তা করেছে ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন। প্রসঙ্গত, এই পবিত্র ধ্বংসাবশেষ (Sacred Piprahwa Relics) আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৯৮ সালে। এর আবিষ্কারক ছিলেন ব্রিটিশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম ক্ল্যাক স্ট্যান্ডফোর্ড পেপে। এই আবিষ্কারটি হয়েছিল ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী বস্তি জেলা অঞ্চলে। এটি ছিল পিপ্রাহওয়া স্তুপ—
    যেটিকে অনেকে মনে করেন গৌতম বুদ্ধের ‘মহাভিনিষ্ক্রমণ’-এর (অর্থাৎ, রাজ্য ও ভোগবিলাস ত্যাগ করে সত্যের সন্ধানে যাত্রা) প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক স্থান।

    এই আবিষ্কারের ফলে পাওয়া গিয়েছিল (Sacred Piprahwa Relics)

    স্বর্ণমুদ্রা

    বিভিন্ন অলংকার

    মানুষের হাড়ের ধ্বংসাবশেষ

    ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা প্রাচীন শিলালিপি

    প্রাকৃত ভাষার ব্যবহার

    মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা (India)

    এই আবিষ্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ—ধ্বংসাবশেষসহ—ব্রিটিশ উপনিবেশের সময় ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সংগ্রহশালায় (মিউজিয়ামে) সংরক্ষণ করা হয়। অনেক বছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাবশেষ ভারতের নাগরিকদের নাগালের বাইরে ছিল। অবশেষে ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন, যা একটি স্বশাসিত আন্তর্জাতিক সংস্থা। তারা এই ধ্বংসাবশেষ (Sacred Piprahwa Relics) ফেরত আনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহাসিক স্তুপ, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সারনাথ, কুশীনগর, বোধগয়া, লুম্বিনীসহ একাধিক পবিত্র বৌদ্ধ তীর্থক্ষেত্রের উন্নয়নে ব্যাপক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবনার নিরিখে নয়, বরং ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, সহিষ্ণুতা ও প্রাচীন ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগগুলিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে।

  • Mamata Govt Fake Voter Card: মমতা সরকার বিপাকে, পলাশ নামে মালদার ভোটার কার্ড নিয়ে বাংলাদেশি শেখ মঈনুদ্দিন গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশে

    Mamata Govt Fake Voter Card: মমতা সরকার বিপাকে, পলাশ নামে মালদার ভোটার কার্ড নিয়ে বাংলাদেশি শেখ মঈনুদ্দিন গ্রেফতার মধ্যপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিহারের মতো বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। মোট নাম বাদ পড়ছে ৬৫ লক্ষ ২০ হাজার। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন হলে প্রায় এক কোটি নাম বাদ পড়তে পারে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি যে খুব একটা মিথ্যে নয় তার প্রমাণ মিলল ফের। বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা শেখ মঈনুদ্দিন দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘পলাশ অধিকারী’ নামে ভারতের নাগরিক হিসেবে জীবন কাটাচ্ছেন। হিন্দু পরিচয়ে, মালদার এক স্থানীয় পরিবারের সদস্য হিসেবে দিন গুজরান করছেন পলাশ। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় পলাশ গ্রেফতার হওয়ার পর সামনে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    রমেশের ছেলে পলাশ

    মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে সম্প্রতি ধরা হয় পলাশ অধিকারীকে। অভিযোগ তিনি বাংলাদেশি। কিন্তু পলাশের কাছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ছিল সে সঙ্গে সঙ্গে ইত্যাদি দেখিয়ে প্রমাণ করল সে খাঁটি ভারতীয় এবং একজন হিন্দু। সে কোনমতেই বাংলাদেশি নয়। তখনো পুলিশের সন্দেহ সে বাংলাদেশি। শেষ পর্যন্ত তাকে আদালতে তোলা হল। আদালত জিজ্ঞাসা করল- আপনার নাম? অভিযুক্ত উত্তর দিলেন পলাশ অধিকারী। বয়স? ৪২। বাবার নাম? রমেশ অধিকারী। ঠিকানা? কাশিমপুর, মালদা, পশ্চিমবঙ্গ। ভোটার লিস্ট এবং আধার কার্ড মিলিয়ে দেখা গেল পলাশ যা যা বলছে সবই সত্যি। রমেশ অধিকারীর চার ছেলে পলাশ, সুব্রত, মিহির, সৌমেন ও রাহুল। কিন্তু পুলিশ তখনও অভিযোগ করে যাচ্ছে সে বাংলাদেশি। কিন্তু তা কি করে হয়? রমেশ অধিকারী ভারতীয়। তার জন্ম ১৯৬২ সালে মালদায়। ১৯৮৪ সাল থেকে সে নিয়মিত ভোট দিচ্ছে এবং তার পরিবারের একজন স্ত্রী ও চার পুত্র সবাই এখন ভোটার তালিকায় যুক্ত। তাহলে কি পুলিশ ভুল বলছে? খোলা হলো নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা। সেখানেও একই ছবি। রমেশ বাবু ভারতীয় ও হিন্দু অতএব তাঁর স্ত্রী সহ চার ছেলেও ভারতীয়। তাহলে পলাশ অধিকারীকে ছেড়ে দেওয়া হোক।

    কীভাবে হলেন ভারতীয়

    পলাশের উচ্চারণ, স্থানীয় ভাষা ও পারিবারিক তথ্য নিয়ে কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ে পুলিশের। সব কিছু দেখে বিচারকের সন্দেহ হয়। তিনি বলেন ২০০২ সালের এসআইআর এর রেকর্ড খোলা হোক। রেকর্ড দেখে সামনে এল আসল সত্য। রমেশবাবুর দুই ছেলে সুব্রত ও সৌমেন। একজনের বয়স ২৮ একজনের ৩০। তাহলে পলাশ ও রাহুল কার ছেলে? ২০১০ সালের রেকর্ড খোলা হল সেখানেও রমেশ বাবুর দুই ছেলে সুব্রত ও সৌমেন। সেখানেও পলাশ ও রাহুলের নাম নেই। খোলা হল ২০১৫ সালের রেকর্ড সেখানে রমেশ বাবুর চার ছেলে হয়ে গেল। চলে এলো পলাশ ও রাহুলের নাম। সঙ্গে সঙ্গে পলাশের অভিযোগ ২০১৫ সালে তার নাম ভোটার লিস্টে উঠেছে। বেশ ভালো কথা। এবার চেক করা হলো রমেশ বাবুর রেকর্ড। দেখা গেল রমেশবাবু বিবাহ করেছেন ১৯৯৩ সালে। প্রথম সন্তান সুব্রত জন্মগ্রহণ করে ১৯৯৫ সালে তার বয়স বর্তমানে ৩০, দ্বিতীয় সন্তান সৌমেন জন্মগ্রহণ করে ১৯৯৭ সালে তার বয়স বর্তমানে ২৮। তাহলে ৪২ বছর বয়সী পলাশ কিভাবে রমেশ বাবুর পুত্র হন? কোনভাবেই যখন কিছু মেলানো গেল না তখন বেরিয়ে এলো আসল সত্য। বায়োমেট্রিক যাচাইয়ে ধরা পড়ে পলাশ অধিকারী আসলে শেখ মইনুদ্দিন। বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা, আহমেদপুরে। আরও আশ্চর্যের বিষয়ে রমেশ অধিকারী এই শেখ মইনুদ্দীনকে চেনেন না। জিজ্ঞাসা করা হল রাহুল অধিকারীর কথা। রমেশ তাঁর নামই শোনেননি। আদালতে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন রমেশ।

    কীভাবে ভারতীয় নথি পেল মঈনুদ্দিন?

    তদন্তে উঠে এসেছে যে, মঈনুদ্দিন ২০১২ সালে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে পৌঁছে যায় মধ্যপ্রদেশে। এই সময়েই স্থানীয় দালালদের সহায়তায় সে জোগাড় করে, জাল পশ্চিমবঙ্গের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট। ভোটার আইডি, যেখানে রমেশ অধিকারীর ছেলের নাম হিসেবে নিজেকে নিবন্ধন করে মঈনুদ্দিন। নাম নেয় পলাশ। আধার কার্ড, ভোটার আইডির ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

    ‘রাহুল অধিকারী’ কে? আরও একজন অনুপ্রবেশকারী?

    ২০১৫ সালের তালিকায় থাকা অপরিচিত নাম ‘রাহুল অধিকারী’ নিয়েও চলছে তদন্ত। অনুমান করা হচ্ছে, তিনিও শেখ মঈনুদ্দিনের মতোই আরেক বাংলাদেশি, যিনি একই চক্রের মাধ্যমে ভারতের বৈধ নথি পেয়েছেন। মালদার স্থানীয় কিছু সচেতন নাগরিক অভিযোগ করছেন, পঞ্চায়েত ও রাজনৈতিক নেতারা বহু বছর ধরেই এই অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিষয়ে অবগত। ভোট ব্যাংক বজায় রাখতে এসব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বৈধতা দেওয়া হয়েছে।

    সন্ত্রাসবাদ সংযোগের আশঙ্কা

    গোপন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, শেখ মঈনুদ্দিন পূর্ব ভারতে সক্রিয় কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। যদিও এখনো পর্যন্ত সরাসরি কোনো সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তদন্তকারী সংস্থা ধারণা করছে সে একটি রিক্রুটার ও কুরিয়ার হিসেবে কাজ করত। এই ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তির জালিয়াতির গল্প নয়, এটি একটি সিস্টেমের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি এবং একটি গভীর নিরাপত্তাজনিত সংকেত। প্রশাসনের দুর্বলতা, রাজনৈতিক স্বার্থ এবং সীমান্ত এলাকায় নথিপত্র জালিয়াতির সহজলভ্যতা জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এ কথা বারবার বলছে কেন্দ্র। তাই ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রয়োজন। কিন্তু ভোট-ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে উদাসীন।

     

     

     

  • Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ মামলায় (Malegaon Blast Case) অভিযুক্ত সাতজনকেই বেকসুর খালাস করে দিল মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur) এবং সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিতও। বৃহস্পতিবার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কেবল সন্দেহের বশে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেও জানিয়েছে আদালত। বিচারক একে লাহোটি বলেন, “সমাজে এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু কেবল নৈতিকতার যুক্তিতে আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না।”

    মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ (Malegaon Blast Case)

    ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাসের রাতে মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর শহর মালেগাঁওয়ের ভিক্কু চৌকের কাছে ঘটেছিল শক্তিশালী বিস্ফোরণ। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। জখম হয়েছিলেন ১০০জনেরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি বাইকে রাখা ছিল দুটি বোমা। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে ছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গ্রেফতার করা হয় ভোপালের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত-সহ সাতজনকে। পরে অবশ্য সবাই জামিন পান। এই মামলায় (Malegaon Blast Case) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল প্রজ্ঞার নাম। কারণ যে বাইকটিতে বোমা রাখা ছিল, সেটি নথিভুক্ত ছিল প্রজ্ঞার নামেই। অভিযোগ উঠেছিল, বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিলেন প্রজ্ঞাই।

    আদালতের বক্তব্য

    এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ফরেন্সিক পরীক্ষায় এটি প্রমাণ হয়নি যে বাইকটি প্রজ্ঞার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বিস্ফোরণের ঘটনার দু’বছর আগেই সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন প্রজ্ঞা।” ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার হাত থেকে মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইনে করা মামলা বলবৎ ছিল। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালত জানায়, এই মামলায় ইউএপিএ প্রযুক্ত (Pragya Thakur) হয় না। রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, “পুলিশ ও তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার কোনও জোরালো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তাই তাঁদের বেনিফিট অফ ডাউটের সুবিধা দিয়ে নিরপরাধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এই মামলায় যে সাতজন অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা হলেন ভোপালের প্রাক্তন বিজেপি এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর, তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রাহিরকর, সুধাকর দ্বিবেদী, সুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নি।”

    তদন্তভার যায় এনআইএয়ের হাতে

    তদন্তভার এনআইএয়ের হাতে যাওয়ার পর আদালতে জমা পড়ে একের পর এক চার্জশিট। জমা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। ২০১৮ সালে শুরু হয় বিচার। সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই গঠন করা হয় চার্জ। বিচার চলাকালীন আদালত খতিয়ে দেখে ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশেষ আদালতে কয়েকশো পাতার তথ্যপ্রমাণ পেশ করে এনআইএ। ১৯ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। কিন্তু মামলার (Malegaon Blast Case) প্রকৃতির কারণে, যেখানে এক লাখেরও বেশি পৃষ্ঠার প্রমাণ ও নথি রয়েছে, রায় দেওয়ার আগে সমস্ত রেকর্ড পর্যালোচনা করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন ছিল। মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন প্রজ্ঞা

    এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাত অভিযুক্তই। আদালতের রায় শোনার পর প্রজ্ঞা (Pragya Thakur) বলেন, “এই মামলা আমার পুরো জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা দোষী, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন (Malegaon Blast Case)।” তিনি বলেন,  “আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, যাদের তদন্তের জন্য ডাকা হয়, তার পেছনে কোনও ভিত্তি থাকা উচিত। আমাকে ডাকা হয়েছিল, আমাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল এবং নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এতে আমার পুরো জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমি এক সাধু জীবন যাপন করছিলাম। কিন্তু আমাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তখন কেউ স্বেচ্ছায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমি বেঁচে আছি, কারণ আমি একজন সন্ন্যাসিনী।”

    আইনজীবীর বক্তব্য

    অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সুধাকর ধর দ্বিবেদীও। তাঁর আইনজীবী রঞ্জিত সাঙ্গালে বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর দেরি হওয়ার পরে ৩২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ৪০ জন সাক্ষীর বিরোধিতা, ৪০ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর জবানবন্দি বাতিল এবং ৪০ জন সাক্ষীর মৃত্যুর পর আজ ন্যায় বিচার হল (Pragya Thakur)। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। সব অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে (Malegaon Blast Case)।”

  • Kamikaze Drone: হায়দরাবাদের হস্টেলে ২০ বছরের দুই পড়ুয়ার চমক! কলকাতার ছেলের তৈরি কামিকাজে ড্রোন কিনল সেনা

    Kamikaze Drone: হায়দরাবাদের হস্টেলে ২০ বছরের দুই পড়ুয়ার চমক! কলকাতার ছেলের তৈরি কামিকাজে ড্রোন কিনল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা সিনেমায় সম্ভব নয়, তা বাস্তবে করে দেখাল কলকাতার ছেলে শৌর্য। রাজস্থানের বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হস্টেলে অসাধ্যসাধন! ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে উড়তে পারে, সাধারণ ড্রোনের তুলনায় গতিবেগ ছয় গুণ বেশি, এক কিলোগ্রাম পর্যন্ত বোমা বইতে পারে, ধরতে পারবে না রেডারও ভারতীয় সেনার জন্য এমনই আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করেছে রাজস্থানের জয়ন্ত খত্রী এবং কলকাতার শৌর্য চৌধুরী। তাঁদের তৈরি এই কামিকাজে ড্রোন (Kamikaze Drone) সকলকে চমকে দিয়েছে। জয়ন্ত ও শৌর্য-র লক্ষ্যই হল আত্মনির্ভর ভারত। বিদেশি ড্রোনের উপর ভারতীয় সেনার নির্ভরতা কমানোর জন্যই এই প্রযুক্তির প্রতি মননশীল হন তাঁরা।

    সিনেমাকে হার মানাল বাস্তব

    থ্রি-ইডিয়টস সিনেমায় জয় লোবোর ড্রোন তৈরির স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার কলেজের হস্টেলের ঘরেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্নকে সফল করল হায়দরাবাদ বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (BITS) পিলানির দুই ছাত্র। হস্টেলের ঘরে বসে সামান্য কিছু সরঞ্জাম ব্যবহার করে আত্মঘাতী মানববিহীন উড়ুক্কু যান বানিয়েছেন কলকাতার ছেলে শৌর্য ও রাজস্থানের জয়ন্ত। শৌর্য ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছেন। আর জয়ন্ত পড়াশোনা করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। তাঁরা দু’জনে মিলে একটি স্টার্ট-আপও খুলেছেন।

    কীভাবে সেনার নজরে

    জয়ন্ত জানিয়েছেন যে প্রাথমিকভাবে ড্রোন তৈরি করার পরে যাঁদের যাঁদের সম্ভব, তাঁদের ইমেল করেছিলেন। লিঙ্কডইনে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের প্রত্যুত্তর দেন একজন কর্নেল। হাতেকলমে ড্রোন দেখাতে তাঁদের চণ্ডীগড়ে যেতে বলা হয়। চণ্ডীগড়ে সেনা অফিসারদের সামনে দু’টি ড্রোন প্রদর্শন করেন শৌর্য ও জয়ন্ত। তার মধ্যে একটি ছিল আত্মঘাতী শ্রেণির অর্থাৎ কামিকাজে। অপরটি নজরদারির। পরীক্ষামূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে মানববিহীন উড়ুক্কু যানগুলির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ছিলেন ফৌজি জেনারেলরা। ওখান থেকেই বাহিনীকে নজরদারি ড্রোন সরবরাহের বরাত পেয়ে যান জয়ন্ত ও শৌর্য। বর্তমানে তাঁদের তৈরি ড্রোন জম্মু, হরিয়ানার চণ্ডীমন্দির, বাংলার পানাগড় এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় ফৌজ।

    রেডারে ধরা যাবে না

    শৌর্য জানিয়েছেন, তাঁরা যে ড্রোন তৈরি করেছেন, তা সাধারণ ‘আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যেল’-র (ইউএভি) থেকে অনেক বেশি গতিশীল। একেবারে নিখুঁতভাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল যে দুই পড়ুয়ার তৈরি করা ড্রোনের নাগালই পাবে না শত্রুপক্ষ। কারণ রেডারে ধরা যাবে না কামিকাজে ড্রোনকে। ফলে অনায়াসে শত্রুদের নাকানি-চোবানি খাইয়ে দেওয়া যাবে। হায়দরাবাদের বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, রোবোটিক্সের প্রতি আগ্রহ থেকে ধীরে ধীরে শৌর্য ও জয়ন্তের মধ্যে গড়ে ওঠে নিবিড় সম্পর্ক। প্রথম থেকেই ফৌজি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার একটা নেশা ছিল তাঁদের। এই উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি ক্লাব চালু করেন তাঁরা। স্টার্টআপ সূচনার নীল নকশাও তৈরি হয় সেখানে। মাস দুই আগে শুরু হওয়া স্টার্টআপ এর নাম দেওয়া হয় ‘অ্যাপলিয়ন ডায়নামিক্স’।

    ড্রোনকে আরও ঘাতক করে তোলার পরিকল্পনা

    ‘অ্যাপলিয়ন ডায়নামিক্স’-এ সামরিক ড্রোন নিয়ে কাজ করছেন হায়দরাবাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় বর্ষের অন্তত ছ’জন পড়ুয়া। উল্লম্ব ভাবে ওঠানামায় সক্ষম মানববিহীন উড়ুক্কু যান তৈরিতে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছেন তাঁরা। চলছে স্থায়ী ডানাওয়ালা (Fixed Wing) ড্রোন তৈরির কাজও। কারণ, ফৌজকে শুধুমাত্র আত্মঘাতী ড্রোন সরবরাহ করে ক্ষান্ত থাকতে নারাজ জয়ন্ত এবং শৌর্য। এর পাশাপাশি কৃত্রিম মেধা বা এআই (AI) ব্যবহার করে ড্রোনকে আরও ঘাতক করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ‘অ্যাপলিয়ন ডায়নামিক্স’-এর। স্টার্টআপটির সঙ্গে জড়িতেরা মাঝেমধ্যেই সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং অফিসারদের ড্রোন সংক্রান্ত নানা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। জয়ন্ত ও শৌর্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিআইটিএস পিলানির অধ্যাপক সঙ্কেত গোয়েল।

    আধুনিক যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার

    ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ফৌজি অভিযানগুলিতে ড্রোনের ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়তে শুরু করে। ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বর্তমানে যুদ্ধ বা জঙ্গি দমন অভিযানে মানববিহীন উড়ুক্কু যানের ব্যবহার ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এত দিন পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সক্ষম ড্রোন ছিল আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং তুরস্ক-সহ হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছে। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতের নামও। চলতি বছরের মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে চলা সংঘর্ষে ভারতীয় ড্রোনের পরাক্রম প্রত্যক্ষ করে বিশ্ব। সূত্রের খবর, ওই সংঘাতে ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি স্কাইস্ট্রাইকার আত্মঘাতী মানববিহীন যানটির বহুল ব্যবহার করে সেনা। পাক ভূমির একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে এগুলি আছড়ে পড়েছিল।

  • New UPI Rules: ১ অগাস্ট থেকে ইউপিআই-তে আসছে বড় বদল, জেনে নিন কোন কোন নিয়মে পরিবর্তন?

    New UPI Rules: ১ অগাস্ট থেকে ইউপিআই-তে আসছে বড় বদল, জেনে নিন কোন কোন নিয়মে পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ বা ইউপিআইয়ের (New UPI Rules) নিয়মে আসছে বড় বদল। ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ‘ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ বা এনপিসিআই। অগাস্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই বদলে যাবে ইউপিআই-এর পুরনো নিয়ম। পেটিএম, জিপে এবং অন্য অনলাইন পেমেন্ট সকলের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এর জেরে লেনদেনের সময়ে বিভ্রাট অনেকাংশে দূর হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ইউপিআইয়ের নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    অপ্রয়োজনীয় ট্র্যাফিক কমানো লক্ষ্য

    এনপিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী মাস থেকে ইউপিআই ব্যবহারকারীরা দিনে সর্বাধিক ৫০ বার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স পরীক্ষা করতে পারবেন। পাশাপাশি ফোন নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপর দিনে সর্বাধিক নজর রাখা যাবে ২৫ বার। সিস্টেমে অপ্রয়োজনীয় ট্র্যাফিক কমাতে এই ঊর্ধ্বসীমার নিয়ম চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের যুক্তি, অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অনেক সময়ে ধীর গতিতে কাজ করে সিস্টেম, যার জেরে লেনদেনের সময়ে দেখা দেয় বিভ্রাট। এনপিসিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একদিনে আপনি কতবার ইউপিআই পেমেন্ট করতে পারবেন সেই দিকেও এবার জোর দেওয়া হবে। সেখানে যদি দিনে ২০ বার তার বেশি পেমেন্ট করা হয় সেখানে বাড়তি টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে। অগাস্ট মাস থেকে আপনি ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে যদি আপনাকে ৫ লাখ টাকা বা তার বেশি পেমেন্ট করতে হয় তাহলে সেখানে স্বাস্থ্যক্ষেত্র এবং শিক্ষার দিক থেকে এটি করা যেতে পারে।

    অটো-পেমেন্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘টাইম স্লট’

    ইউপিআইয়ে (New UPI Rules) অটো-পেমেন্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ‘টাইম স্লট’ চালু করছে এনপিসিআই। ফলে ১ অগাস্ট থেকে এই ডিজিটাল মাধ্যমে দিনের মধ্যে যখন-তখন অটো-পেমেন্ট, সাবস্ক্রিপশন, ইউটিলিটি বিল এবং ইকুইডেটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট বা ইএমআইয়ের টাকা জমা করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের স্লট মেনে সংশ্লিষ্ট অর্থ পাঠাতে পারবেন ব্যবহারকারী। রিপোর্ট অনুসারে, এই সময় সকাল ১০টার আগে বা দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে হবে। এছাড়াও, রাত ৯.৩০ টার পরেও স্লটটি স্থির থাকবে। ইউপিআইয়ের এই নতুন নিয়ম সমস্ত প্ল্যাটফর্মের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যে ব্যবহারকারীরা দিনের মধ্যে একাধিক বার ব্যালেন্স চেক করেন না বা অটো-পেমেন্টের সুবিধা নেন না, তাঁরা এর প্রভাব সে ভাবে বুঝতে পারবেন না।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়া আরও গ্রহণযোগ্য

    মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার দিকে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে। আর সে কারণে জোর দেওয়া হয়েছে অনলাইন পেমেন্টের দিকে। ক্যাশলেস ইকোনমি গঠনে ইউপিআই লেনদেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এবার সেই ব্যবস্থা আরও কঠিন হতে চলেছে। বর্তমানে প্রায় ৬০০ কোটির বেশি ইউপিআই লেনদেন হয়। এই সমস্ত নতুন নিয়মের জন্য কাউকে বিশেষ কিছু করতে হবে না। আপনার ইউপিআই থেকে এগুলি নিজে থেকেই আপডেট হয়ে যাবে। তবে নিজের সর্বোচ্চ লিমিট সর্বদাই নজরে রাখতে হবে। তবে যারা খুচরো ব্যবসা করেন তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম খানিকটা হলেও সমস্যা তৈরি করতে পারে।

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হালটা যে নরেন্দ্র মোদির হাতে, মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে তা বুঝিয়ে দিল ‘হাতি’। ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করেও, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর (American Bullying) ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত পেনাল্টিও দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, নয়াদিল্লি অসহনীয় নন-মানিটরি ট্রেড ব্যারিয়ার্স বজায় রেখেছে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনছে এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন চাপকে প্রতিহত করছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়েছে। কারণ ওরা অনেক বেশি শুল্ক নেয়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি হারে শুল্ক নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ওদের সঙ্গে ব্যবসায় অনেক বিরক্তিকর বাধা রয়েছে, যার সঙ্গে আর্থিক কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ওরা সব সময় সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ কেনে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার জ্বালানিও ওরা সব চেয়ে বেশি কেনে।” তিনি লিখেছেন, “যখন সকলে চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যালীলা বন্ধ করুক, তখন এসব কাজ ভালো নয়। তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলির জন্য একটি জরিমানাও নেওয়া হবে ১ অগাস্ট থেকে।”

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ। বরং নিজের অবস্থানেই অটল রয়েছে ভারত। অর্থনৈতিক অধীনতার বদলে অগ্রাধিকার দিয়েছে কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে (Donald Trump)। সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গীকে ১৫ শতাংশ বা তারও কম হারে শুল্কের সুবিধা দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বন্ধুদেশ’ হওয়ায় ভারতও তেমনটাই আশা করেছিল। ভারতের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি আমেরিকার কৃষিপণ্যকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিত এবং নিজস্ব শিল্প রক্ষার নীতি শিথিল করত, তাহলে মার্কিন শুল্কে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। ভারত তা তো করেইনি, উল্টে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে কঠোর অবস্থান নেয় মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থানেই ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প বুঝে যান, এই দেশ নয়া ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং (American Bullying) ‘মোদির ভারত’।

    বন্ধুদেশকে শাস্তি

    বন্ধুদেশকে শাস্তি দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেটি হল ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জেরে ভারত-পাক যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে রাশ টেনেছিলেন তিনি। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রত্যাশী ট্রাম্পের এহেন দাবিকেও নস্যাৎ করে দেয় নয়াদিল্লি। বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান অনুনয়-বিনয় করায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয় (Donald Trump)। বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে এক নম্বরে, চারে রয়েছে ভারত। তাই ফোর্থ হওয়া স্টুডেন্টটি যেভাবে ‘ফার্স্টবয়’কে উপেক্ষা করছে, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ট্রাম্প। অথচ মোদি জমানায় ভারত বরাবর তা-ই করে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র  

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন রক্তচক্ষুর ভয়ে যখন বিড়াল সেজে বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে সেঁধিয়ে গিয়েছে টেবিলের তলায়, সেই সময়ও রাশিয়া থেকে বীর-বিক্রমে নিয়মিত তেল কিনে চলেছেন “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র মানুষের (নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এভাবেই পরিচয় দেন) দেশ। তার জেরে ব্যয় কমেছে ভারতের জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম, কমতে থাকে রাশিয়ার তেলের দর (American Bullying)। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচিয়ে তিনি আদতে আরও বেশি করে মজবুত করেছেন দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি।

    বন্ধুত্বের বার্তা

    ২০২০ সালে গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র আয়োজন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। পরে ট্রাম্পও পাল্টা বন্ধুত্বের বার্তা দিতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’র। তার পরিণতি যে এমন হবে, চার বছর পরে মার্কিন কুর্সিতে ফিরে তা ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আশা ছিল, ভারত আর পাঁচটা দেশের মতোই মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করতে পারবে না (Donald Trump)। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবেন মোদি। কিন্তু তা না হওয়ায় বড্ড হতাশ হয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। এহ বাহ্য। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র কিংবা যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে আসছে রাশিয়া থেকে। সেই নেহরু জমানা থেকে শুরু করে ভায়া অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং হয়ে বর্তমানে মোদি আমলেও ছেদ পড়েনি তাতে। কারণ মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রচিত হয়েছে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে (American Bullying)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা তারও আগে বিভিন্ন সংঘাতের সময় বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো।

    ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা

    অথচ ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা আফগানিস্তানে মুজাহিদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিয়েছিল। যার জেরে তখন ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজারের দোর। সেই সময়ও প্রকৃত বন্ধুর মতোই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এমতাবস্থায় ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা তাঁর দেশ যদি আশা করে, ভারত দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা অস্ত্র ব্যবসার কার্যকর সামঞ্জস্যতা, প্রশিক্ষণ প্রোটোকল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ছিঁড়ে বেরিয়ে স্রেফ মার্কিন খামখেয়ালিপনা মেটাতে পদক্ষেপ করবে, তবে তা হবে আদতে অবাস্তব এবং মূর্খের স্বর্গে বাস করার শামিল (Donald Trump)। বস্তুত, এই ঘটনা কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী ট্রাম্পের আগ্রাসী এবং লেনদেন নির্ভর কূটনীতির সামনে নতিস্বীকার না করে ভারত তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, ভারত কোনও বৈশ্বিক শক্তির তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। হবে না ‘জো হুজুরে’র মতো ধামাধারীও। তা সে সামরিক সিদ্ধান্তই হোক কিংবা জ্বালানি কেনা কিংবা বাণিজ্য নীতি – ভারত সিদ্ধান্ত নেবে তার জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই, অন্য কোনও দেশকে খুশি করতে নয়।

    কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত

    ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত মোদির ভারত। বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকা ভেবে ছিল, চাপে পড়ে বাপ বলবে ভারত। তবে তা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ তামাম দুনিয়াকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে (American Bullying), কোনও মূল্যেই ভারত তার সার্বভৌমত্ব বিক্রি করবে না, এমনকি পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছেও নয়। ভারত কারও উপগ্রহ হয়ে থাকতে চায় না, চায় না কৃপার পাত্র হয়ে থাকতে, সে নিজেই হতে চায় গ্রহ, বাঁচতে চায় নিজের শর্তে। মোদির ভারত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, বরং চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

    ওহ, ডার্লিং ইয়ে হ্যায় নয়া ইন্ডিয়া (Donald Trump)!

  • Amit Shah: ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব’’! রাজ্যসভায় শাহের নিশানায় কংগ্রেস

    Amit Shah: ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব’’! রাজ্যসভায় শাহের নিশানায় কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে (বর্তমান) পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিল কংগ্রেস। বিজেপি তা ফিরিয়ে আনবে। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংসদের বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ‘অপারেশন মহাদেব’-এর সাফল্যের জন্য ভারতীয় সেনাকে কুর্নিশ জানান। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, দেশে তোষণের রাজনীতি করাই কংগ্রেসের উদ্দেশ্য। তাদের অগ্রাধিকার সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করা নয়, বরং ভোটব্যাঙ্ক।

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর কংগ্রেসের সৃষ্টি

    ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গাফিলতিতেই জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের দখলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন শাহ। বিরোধী দল কংগ্রেসের বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীর, তা পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিলেন, আমরা ফিরিয়ে আনব!’’ জওহরলাল নেহরুর জমানায় সিন্ধু জলবন্টন চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানকে অন্যায্য সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন শাহ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা কখনও পাকিস্তানকে ৮০ শতাংশ জল দেওয়ার বন্দোবন্ত করব না।’’ এ দিন রাজ্যসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনায় আগাগোড়া কংগ্রেসকে নিশানা করেন অমিত শাহ। সঙ্গে পিওকে পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে চিন্তা করতে হবে না। কংগ্রেস পিওকে-এর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি সেই জমি ফিরিয়ে আনবে। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘১৯৭১-এর যুদ্ধে ভারতের হাতে ৯৩,০০০ পাকিস্তানি সেনা বন্দি ছিল, সেই সময়ে চাইলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনা যেত। কিন্তু কংগ্রেস পারেনি।’’

    পাকিস্তানের মিত্র কংগ্রেস

    ইউপিএ জমানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হতো না বলেও অভিযোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান তখন ভারতকে ভয়ই পেত না। আমরা শুধু ডসিয়ার পাঠিয়ে যেতাম। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে পাকিস্তানকে ব্রহ্মোস মিসাইল পাঠিয়ে উত্তর দেওয়া হয়। অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানে ভয় তৈরি করেছে। ভয় থেকেই শান্তি আসে।’’ পহেলগাঁওয়ে হামলার পরে কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অমিত শাহ। টেনে আনেন চিদম্বরমের মন্তব্য। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘চার জঙ্গি যে পাকিস্তান থেকেই এসেছিল তার কী প্রমাণ আছে?’’অমিত শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিনচিট দিয়েছে। কিন্তু মোদি সরকার চুপ করে বসে থাকেনি। যতদিন পি চিদাম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, ততদিন আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি। ’’

    কাশ্মীরে সন্ত্রাসের জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস

    কংগ্রেস আমলের কথা মনে করিয়ে বুধবার শাহ বলেন, “আমাদের কাছে যদি পাক অধিকৃত কাশ্মীর থাকত তাহলে সন্ত্রাসবাদীরা কখনওই আসত না। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ কংগ্রেসের উপহার।” তাঁর দাবি, কংগ্রেস যেভাবে ৩৭০ ধারা সমর্থন করেছিল, তা আদতেই কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদ, বিচ্ছন্নতাবাদীদের হাত শক্ত করেছিল, তাঁদের উৎসাহিত করেছিল। ওই কথা বলেই থামেননি শাহ। তিনি আরও বলেন, “আমি যদি সেখানে থাকতাম, তাহলে দেশকে ভাঙতে দিতাম না। কংগ্রেস দীর্ঘ কয়েক দশক শাসন করলেও সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদের সমস্যার সমাধানে কিছু করেনি বলেও এ দিন অভিযোগ করেন অমিত শাহ। শাহের জোরাল দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের জন্য ১০০ বছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।” এদিন শাহের কথায় বারবার ফিরে ফিরে আসে অপারেশন সিঁদুর থেকে অপারেশন মহাদেবের প্রসঙ্গ। কীভাবে অপারেশন চলেছিল, কীভাবে জঙ্গিদের খতম করা হয়েছে তার বিশদ বিবরণও দেন।

    ‘অপারেশন মহাদেব’ প্রসঙ্গ

    গত সোমবার সংসদে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিতর্কের সূচনার পরেই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন সন্ত্রাসবাদী, সুলেমান শাহ ওরফে হাসিম মুসা, জিবরান এবং হামজা আফগানি শ্রীনগরের অদূরে ভারতীয় সেনার প্যারাকমান্ডো বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়। এই ঘটনা নিছক কাকতালীয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীদের একাংশ। শাহ বুধবার বলেন, ‘‘ওই সন্ত্রাসবাদীদের কী আরও কিছু দিন বাঁচিয়ে রাখা উচিত ছিল? কেন ওদিন হত্যা করা উচিত হয়নি? কারণ ওদিন রাহুল গান্ধীর বক্তৃতা ছিল? এভাবে চলতে পারে না। গোটা দেশ দেখছে যে কংগ্রেসের অগ্রাধিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল নয়, বরং রাজনীতি, ভোট ব্যাঙ্ক।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার এবং আরও অনেকে চেয়েছিলেন, যেন তিন সন্ত্রাসবাদীর মাথায় গুলি করা হয়। অপারেশন মহাদেবে তাদের সেই পরিণতি হয়েছে।’’ রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ পহেলগাঁওয়ের হত্যাকারীদের নিধনের অভিযানের ‘অপারেশন মহাদেব’ নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস এই অপারেশনের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আসলে কংগ্রেস প্রতিটি বিষয়কে হিন্দু-মুসলিম দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। অপারেশন মহাদেবে হিন্দু-মুসলিম খুঁজবেন না। ভুলে যাবেন না ছত্রপতি শিবাজি তাঁর সেনারা শত্রু নিধনের সময় ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি দিতেন।’’

  • Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা (Donald Trump)। এর প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলল নয়াদিল্লি। সাফ জানিয়ে দিল, দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত সরকার। বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতের (Indias Reaction) বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই শুল্কের কী প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।

    ভারতের বিবৃতি (Donald Trump)

    বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার এর প্রভাব খতিয়ে দেখছে। একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং দুই দেশই উপকৃত হবে এমন একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তির জন্য গত কয়েক মাস ধরে ভারত এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে। আমরা সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের স্বার্থরক্ষা ও তাঁদের উন্নয়নকেই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারের ওই বিবৃতিতে এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত সরকার। উদাহরণ হিসেবে সম্প্রতি ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই স্বাক্ষরিত হয় ওই চুক্তি। ওই চুক্তিতে আদতে লাভবান হবে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশই।

    রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক ভালো চোখে দেখেনি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই কারণেই নয়াদিল্লির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি একটি জরিমানাও চাপানো হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই পেনাল্টির পরিমাণ কত বা কী হতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে তার উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা বন্ধ না করলে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে (Donald Trump)।

    বুধবার বিকেলে ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের পাতায় তিনি এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে ভারতকে (Indias Reaction) বন্ধুরাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেও, নয়াদিল্লি চড়া হারে শুল্ক নেয় বলে অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাশিয়া থেকে ভারত যে অস্ত্র এবং জ্বালানি কিনছে, সে কথাও সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তার পরেই ২৫ শতাংশ হারে শুল্কের ঘোষণা।

    এর পরেই বিবৃতি জারি করে ভারত। জানিয়ে দেয়, সরকার দেশের কৃষক, উদ্যোগপতি, ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প রক্ষার ওপর সব থেকে বেশি জোর দেয় (Indias Reaction)। জাতীয় স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য সরকার সব রকম পদক্ষেপ করবে (Donald Trump)।

  • Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দুর্গ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে (Kerala Nuns Arrest)। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ওই দুই সন্ন্যাসিনীর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Kerala Nuns Arrest)

    সংসদের জিরো আওয়ারে এই ইস্যুটি তুলে ধরেন কংগ্রেস সাসদ কেসি বেণুগোপাল এবং কে সুরেশ। তাঁরা বলেন, “ঘটনাটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও আতঙ্কজনক। কারণ সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা ক্যন্সার আক্রান্ত রোগীদের সেবা-সুশ্রুষা করে সমাজসেবা করছিলেন।” বেণুগোপালের অভিযোগ, বজরং দলের সদস্যরা তাঁদের গায়ে হাত তুলেছেন এবং মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, এই দুই সন্ন্যাসিনী আগ্রার পথে যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্গ রেলস্টেশনে আটকানো হয় তাঁদের। বেণুগোপাল বলেন, “এই দুই সন্ন্যাসিনী গত পাঁচ দিন ধরে কোনও কারণ ছাড়াই জেলে রয়েছেন। কী নিষ্ঠুরতা! দেশ কি একটি কলার প্রজাতন্ত্র (banana republic) হয়ে গিয়েছে? আমরা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তাঁদের মুক্তির আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বজরং দলের বক্তব্যেরই শুধু পুনরাবৃত্তি করছেন। এটা লজ্জার ব্যাপার!” সুরেশ বলেন, “সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা সমাজসেবার কাজ করছিলেন। আমি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাই। উভয় সন্ন্যাসিনীই নির্দোষ।”

    বিজেপির তোপ

    যদিও দুর্গের সাংসদ বিজেপির বিজয় বাঘেল বলেন, “কংগ্রেস সাংসদরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছেন। ছত্তিশগড় সরকার যে সন্ন্যাসিনীদের গ্রেফতার (Kerala Nuns Arrest) করেছে, তাঁদের সমর্থন করছেন।” তাঁর দাবি, ছত্তিশগড়ের তিন আদিবাসী কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে দুর্গ রেলস্টেশনে আনা হয়েছিল। ধৃত সন্ন্যাসিনীদের মধ্যে একজন আগ্রা থেকে এবং অন্যজন জব্বলপুর থেকে এসেছেন। বাঘেল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ায় সেখানে ভিড় জমে যায়। তার মধ্যে যেমন বজরং দলের সদস্যরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও।” কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এটি একটি ষড়যন্ত্র। সংবেদনশীল ছত্তিশগড় সরকারের বদনাম করতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এসব করা হচ্ছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “তাহলে কি (Chhattisgarh) আমাদের রাজ্যের মেয়েদের রক্ষা করা আমাদের উচিত নয় (Kerala Nuns Arrest)?”

LinkedIn
Share