Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    Operation Mahadev: কাশ্মীরে ‘অপারেশন মহাদেব’ সেনার, পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজন জঙ্গি খতম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সংসদে আলোচনা শুরুর আগেই উপত্যকায় জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা নিল ভারতীয় সেনা। ‘অপারেশন মহাদেব’ অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পাকিস্তানি জঙ্গির। অনুমান করা হচ্ছে, মৃত এই তিন জঙ্গি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল। যদিও এই বিষয়ে সেনার তরফে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    কী হয়েছিল

    সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে শ্রীনগরের দাচিগাম জঙ্গল এলাকায় অভিযানে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। সেনার চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অপারেশন মহাদেব এখনও চলছে। যে এলাকার অন্তর্গত এই ঘটনাস্থল,তা দাচিগাম নামে পরিচিত। সেখানের লিদওয়াসে এই গুলির লড়াই চলছে। ঘটনার আগে, পুলিশ, সেনা, সিআরপিএফ-র এক যৌথ বাহিনী দাচিগাম ন্যাশনাল ফরেস্টের কাছে একটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেই যৌথ অপারেশনের সময়ই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ দুইপক্ষের গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। যেহেতু এই গুলির লড়াই মহাদেব পর্বত এলাকায় চলছে সম্ভবত সেই কারণেই এই অপারেশনের নাম ‘অপারেশন মহাদেব’।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা

    প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। অনুমান করা হচ্ছে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গিরা। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও সন্ত্রাসে তিন পাক জঙ্গি যুক্ত ছিল বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। মৃত ৩ জঙ্গি সেই পাক জঙ্গি দলের কেউ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে সেনা।

  • ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) মোট ৭.৮৯ কোটি নথিভুক্ত ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটিরও বেশি মানুষ স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে তাঁদের গণনার ফর্ম জমা দিয়েছেন। ২৪ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলেছে। এতে ৯১.৬৯ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন। রবিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    এসআইআর প্রক্রিয়া (ECI)

    কমিশন এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে একটি ব্যাপক ও সফল নাগরিক অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। এর লক্ষ্য হল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকাগুলির যথার্থতা বাড়ানো। জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গণনা প্রক্রিয়া বিহারের ৩৮টি জেলায়ই ভোটার রেকর্ড যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআরের প্রধান লক্ষ্য ছিল সমস্ত ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তারা আরও জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার, বুথ লেভেল এজেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ভূমিকাও এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুথ লেভেল এজেন্টদের সংখ্যা ১৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। িসিপএেমর ১০৮৩ শতাংশ, কংগ্রেসের ১০৫ শতাংশ এবং সিপিআইয়ের ৫৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপির সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। আর আরজেডি এবং জেডিইউয়ের বুথ লেভেল এজেন্টের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিন দফায় ফর্ম বিলি

    বুথস্তরের (Bihar) অফিসাররা প্রতিটি নথিভুক্ত ভোটারের বাড়িতে গিয়ে অন্তত তিন দফায় ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করেন (ECI)। শহরাঞ্চলের ভোটার, প্রথমবারের তরুণ ভোটার এবং বিহার থেকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত ভোটারদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রবাসী ভোটারদের কাছে পৌঁছতে ২৪৬টি পত্রিকায় একটি পুরো পাতাজুড়ে হিন্দিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিহারের প্রধান নির্বাচনী অফিসার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লেখেন, যাতে তারা বিহার থেকে আগত অভিবাসীদের গণনায় অংশগ্রহণের জন্য সাহায্য করে (Bihar)। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ২৯ লক্ষ ফর্ম অনলাইনে পূরণ বা ডাউনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ লক্ষেরও বেশি ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছে (ECI) ডিজিটাল মাধ্যমে।

  • PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    PM Modi: প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকীতে গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে মোদি, প্রার্থনা করলেন শিব মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, ২৭ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তামিলনাড়ুর গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম মন্দিরে যোগ দেন চোল সম্রাট প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ঐতিহাসিক এই শিব মন্দিরে তিনি প্রায় ২০ মিনিট ধরে প্রার্থনা করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রার্থনার পর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এই ভূমি বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ভূমি। আমি কাশী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এখানে এসে যখন ‘ওম নমঃ শিবায়’ ধ্বনি শুনি, তখন অভিভূত হয়ে পড়ি। এই পবিত্র মন্দিরে আমি ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি।” তিনি আরও বলেন, “শিবের শক্তি এবং মন্ত্রের আধ্যাত্মিক প্রভাব আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি চাই, ভগবান শিব সকল ভারতবাসীকে আশীর্বাদ করুন।” প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে চোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস ও তাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম রাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘটনাক্রমে আমি গতকালই মালদ্বীপ সফর সেরে ফিরেছি, আর আজ এখানে এসে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি (Gangaikonda Cholapuram Temple)।”

    রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রথম রাজেন্দ্র চোলের স্মরণে একটি স্মারক মুদ্রা (কয়েন) উদ্বোধন করেন। ঐতিহ্যবাহী চোল শৈলীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ধুতি ও সাদা জামা পরে উপস্থিত হন, যা উপস্থিতদের নজর কাড়ে। এদিন তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী জেলার রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কনভয় চলাকালীন রাস্তার দুই ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন। তাঁরা জাতীয় পতাকা ও ব্যানার হাতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। রাস্তাজুড়ে ছিল ‘ভারত মাতার জয়’ ও ‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ’ ধ্বনি। আশেপাশের ভবনের ছাদ, ব্যালকনি ও রাস্তার মোড়ে উৎসুক মানুষ ভিড় জমিয়েছিল তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য। এই জনসমাগম ও উৎসাহ দেখেই বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত সর্বত্র সমান।

  • Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    Mig 21: ৬২ বছর পর অবসর নিচ্ছে ‘নায়ক’ মিগ-২১! ভারতীয় সেনার হাতে এল ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বিমান বাহিনীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী এবং বহু ঐতিহাসিক যুদ্ধের সাক্ষী মিগ-২১ যুদ্ধবিমান (Mig 21) অবশেষে অবসর নিতে চলেছে। বিমান বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের বিমানঘাঁটিতে ২৩ স্কোয়াড্রন (প্যান্থার্স) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ উড়ান সম্পন্ন করে বিদায় জানানো হবে এই কিংবদন্তি যুদ্ধবিমানকে। ৬২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় আকাশকে রক্ষা করার পর অবশেষে এর স্থানে যোগ দিচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে (Fighter Jet) তৈরি তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান, যা আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সেন্সর এবং যুদ্ধক্ষমতা নিয়ে সজ্জিত।

    মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী (Mig 21)

    ১৯৬৩ সালে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া এই যুদ্ধবিমানটি তৈরি হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন দ্বারা। মিগ-২১ একাধিক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে—১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, কার্গিল সংঘাত, ২০১৯ সালের বালাকোট অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই যুদ্ধবিমানেই ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উইং কমান্ডার (বর্তমানে গ্রুপ ক্যাপ্টেন) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে তাড়া করে আকাশযুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন। শত্রুপক্ষের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ার পরে তিনি ধরা পড়েন, তবে দু’দিনের মধ্যে পাকিস্তান কূটনৈতিক চাপের মুখে তাঁকে ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেয় (Mig 21)। এই সাহসিকতার জন্য তাঁকে (Fighter Jet) বীর চক্র সম্মানে ভূষিত করা হয়।

    প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত

    তবে মিগ-২১ (Mig 21) নিয়ে বিতর্কেরও অভাব ছিল না। দীর্ঘ কার্যকালজুড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ও যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগে বিমানটি ‘ফ্লাইং কফিন’ বলেও সমালোচিত হয়েছে। তবুও ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ইতিহাসে মিগ-২১ এর অবদান অস্বীকার করা যায় না। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আশার খবর—প্রায় ১৫ মাস অপেক্ষার পরে প্রথম দফায় তিনটি অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হাতে পেয়েছে ভারত। বছরের শেষে আরও তিনটি কপ্টার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই মার্কিন-নির্মিত অ্যাপাচে AH-64E হেলিকপ্টারগুলি যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকর আক্রমণ ও নজরদারি চালাতে সক্ষম, যা সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    PM Modi: মোদির ‘মন কি বাত’-এ উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাত’-এর ১২৪তম পর্বে উঠে এল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম থেকে মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লার প্রসঙ্গ। রবিবার সম্প্রচারিত ‘মন কি বাত’-এর (Mann ki Baat) ১২৪তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ভারতের মহাকাশ অভিযানে সাফল্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর শহীদদের স্মরণ, স্বদেশী আন্দোলন, এবং ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক।

    শুভাংশু শুক্লা ও ভারতের মহাকাশ গবেষণা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ভারতের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, যা দেশের জন্য এক গর্বের বিষয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, আগামী ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ পালিত হবে। এই দিনে দেশের নাগরিকরা ‘নমো অ্যাপে’ পরামর্শ ও মতামত জানাতে পারবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সাফল্য এবং অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করব। বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে অনেক ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে।” প্রধানমন্ত্রী এদিন চন্দ্রযান-৩ এর কথাও স্মরণ করেন, যা ভারতের মহাকাশ অভিযানে এক ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনা করেছে।

    ক্ষুদিরামের প্রসঙ্গ (Mann ki Baat)

    ‘মন কি বাত’-এ প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসু-র আত্মবলিদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯০৮ সালে মুজাফফরপুরে যখন তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়, তখন তাঁর মুখে ভয় ছিল না, বরং ছিল আত্মবিশ্বাস। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন। এই আত্মত্যাগের ফলেই আমরা আজ স্বাধীন।তিনি অগাস্ট মাসকে ‘বিপ্লবের মাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ১৫ অগাস্ট আমাদের সেইসব শহীদদের স্মরণ করার দিন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯০৫ সালের ৭ অগাস্ট থেকে শুরু হয় স্বদেশী আন্দোলন। এই উপলক্ষে প্রতিবছর ৭ আগস্ট ‘জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তিনি জানান, ভারতের তাঁত শিল্প দিনে দিনে শক্তিশালী হচ্ছে এবং স্থানীয় শিল্পীদের অবদান জাতির গৌরব বাড়াচ্ছে।

    শিবাজী মহারাজের ১২টি দুর্গ পেয়েছে হেরিটেজ স্বীকৃতি, যা দেশের জন্য গর্বের

    আলোচনায় উঠে আসে অলিম্পিক ও অলিম্পিয়াড প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতীয় খেলোয়াড় ও ছাত্রছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য অর্জন করছে। সবশেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ইউনেস্কো সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের’ স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ভারতের গৌরবময় ইতিহাসের নিদর্শন।

  • Udaipur Files: ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি হিন্দুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?’, ‘উদয়পুর ফাইলসে’র মুক্তি রদে প্রশ্ন

    Udaipur Files: ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি হিন্দুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য?’, ‘উদয়পুর ফাইলসে’র মুক্তি রদে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবি ‘উদয়পুর ফাইলস’ (Udaipur Files) মুক্তির দাবিতে লড়ছে সুপ্রিম কোর্টে। এই ছবিটি মুক্তির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছিল (Film) কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের শুনানি দিল্লি হাইকোর্টকে করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৮ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সূ্র্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    মাথা কেটে হত্যা (Udaipur Files)

    ২০২২ সালে মাথা কেটে হত্যা করা হয়েছিল উদয়পুরের পেশায় দর্জি কানাইয়া লালকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তৈরি হয়েছে ‘উদয়পুর ফাইলস’। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি অনিশ দয়ালের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ছবি মুক্তি পাবে কিনা, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকারই। তার পর গত ২১ জুলাই ছায়াছবিটির কয়েকটি দৃশ্য বাদ দেওয়ার শর্তে মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জমিয়ত উলেমা হিন্দ। এই মামলার নাম ‘মহম্মদ জাভেদ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া এবং জানি ফায়ারফক্স মিডিয়া বনাম মৌলানা আরশাদ মাদানি’।

    মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন  

    যাঁরা ছবিটির বিরুদ্ধে তাঁদের দাবি, ছবিটি সম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়। তাই কখনওই মুক্তি পাওয়া উচিত নয় (Film)। আবেদনকারীদের তরফে বলা হয়েছে এটি একটি উসকানিমূলক চলচ্চিত্র। এই ছবির মুক্তি বন্ধে নিয়োগ করা হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটা অবাক করার মতো বিষয়, যে অনেকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে (Udaipur Files) সওয়াল করেন। কিন্তু যখন এই ধরনের কোনও সিনেমার কথা আসে, তখন তাঁরাই সেই স্বাধীনতার বিরোধিতায় সরব হন। প্রশ্ন উঠছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি কেবলমাত্র ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? ভারত যদি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয়, তাহলে সেই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করার দায় শুধুই হিন্দুদের ওপর বর্তায়, না কি সবাইকেই সেটা মান্যতা দিতে হয় (Film)?

    ছবিটির মুক্তিতে অনুমোদন

    জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) ছবিটির মুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে এবং সমস্ত বিতর্কিত দৃশ্য মুছে ফেলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন, তার পরেও কেন সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে এটি প্রদর্শন বন্ধ করা হয়? আবেদনকারীদের যুক্তি, সিনেমাটি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু আমরা কি অস্বীকার করতে পারি যে ২০২২ সালের ২৮ জুন উদয়পুরে ইসলামি উগ্রবাদী রিয়াজ আত্তারি ও গউস মোহাম্মদ দর্জি কানহাইয়া লাল তেলিকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে? এক উগ্রপন্থী এই হত্যার ঘটনা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। খুনিরা দাবি করেছিল, এটি বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে সমর্থন করায় কানহাইয়া লালের ওপর একটি সামাজিক পোস্টের প্রতিশোধ। এই নির্মম ইসলামি উগ্রচিন্তাধারার ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হয় (Udaipur Files)।

    সমাজে সচেতনতা বাড়তেই তৈরি করতেই ছবি

    পরিচালক ভারত এস শ্রিনেত এই উগ্র মানসিকতার বিষয়ে সমাজে সচেতনতা বাড়তেই তৈরি করেছেন ‘উদয়পুর ফাইলস’। তা সত্ত্বেও মহম্মদ জাভেদ, মৌলানা আরশাদ মাদানি এবং আরও কয়েকজন চেষ্টা করছেন যাতে ছবিটি কখনওই মুক্তি না পায়। যদিও সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, ছবিটিতে ৫৫টি কাট দেওয়া হয়েছে। সব উসকানিমূলক বিষয়বস্তু বাদ দেওয়া হয়েছে। যোগ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ডিসক্লেমারও। তাঁর দাবি. ছবিটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিবরণ তুলে ধরে (Udaipur Files)।

    সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা

    সলিসটির জেনারেল আদালতে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। ছবিতে এমন কিছু নেই যা বিদেশ নীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা কোনও সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করে। গল্পটি ভারসাম্যপূর্ণ। এতে ইতিবাচক চরিত্র রয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে এটি বাস্তব ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি কল্পকাহিনি।” আদালতকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে যে, ছবিটির সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন কীভাবে কাজ করেছে। তাতে বিদেশমন্ত্রকেরও মতামত অন্তর্ভুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, ছবিটির মোট ১৩ মিনিট অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাও মার্জিত এবং নিরপেক্ষ। প্রবীণ আইনজীবী গৌরব ভাটিয়া লড়ছেন ছবি নির্মাতাদের পক্ষে। তিনি আদালতকে এও জানিয়েছেন, ছবিটি মুক্তির আগে যে ছ’টি প্রধান পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল, তার সবই ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। এর পরেও কেন মহম্মদ জাভেদ ও মৌলানা আরশাদ মাদানির পক্ষে দাঁড়ানো আইনজীবীরা এখনও ছবিটির মুক্তির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন, তা (Film) নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Udaipur Files)।

    মামলাকারীদের আইনজীবীদের যুক্তি

    মামলাকারীদের তরফে লড়ছেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং মেনকা গুরুস্বামী। তাঁদের যুক্তি, চলচ্চিত্রটি চার্জশিটের অনুকরণে তৈরি এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে। এই যুক্তি দুর্বোধ্য। বিশেষ করে যখন ছবিটির উদ্দেশ্য সমাজকে জাগ্রত করা। ভয়াবহ ঘটনাটি কোটি কোটি ভারতীয়কে ভাবতে বাধ্য করেছিল, কীভাবে একটি সুস্থ গণতন্ত্রে ধর্মীয় ঘৃণা প্রতিরোধ করা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যারা আদালতে এই ছবির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের উচিত কানাইয়া লালের পরিবারের যন্ত্রণা বোঝার চেষ্টা করা (Udaipur Files)।

    হতাশ কানাইয়া লালের ছেলে

    এদিকে, কানাইয়া লালের ছেলে ইয়শ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এই ছবিটি বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে মাত্র তিন-চার দিন আগে। আর সেটা সঙ্গে সঙ্গেই শুনানি পেয়ে যাচ্ছে। অথচ আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চেয়ে যে আবেদন প্রায় তিন বছর আগে করেছিলাম, তার এখনও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। এই মামলায় ১৫০টিরও বেশি সাক্ষী ছিল, যার মধ্যে ১৫-১৬ জন আজও আদালতে হাজিরই হয়নি। কোনও ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করা হয়নি। প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকেই শাস্তিও দেওয়া হয়নি।” তিনি বলেন, “যখন কেউ সত্যিটা সামনে আনার জন্য একটি সিনেমা বানায়, তখন পুরো ব্যবস্থাটাই যেন তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দ বা মৌলানা মাদানির মতো সংগঠনগুলো ছবিটি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানায় (Film)। আর তিন দিনের মধ্যেই সিনেমাটির মুক্তি পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কী দারুণ ব্যবস্থা!”

    জঙ্গিদের প্রতি এত দরদ কেন

    তিনি বলেন, “অথচ খুনিদের শাস্তি দিতে এত তৎপরতা কোথায়? এই প্রশ্ন আমাদের ব্যথিত করে। আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অথচ আজও বিচার হয়নি। যখন একটি সিনেমা দেশের মানুষকে সাম্প্রদায়িকতা ও জেহাদি মতাদর্শ সম্পর্কে সচেতন করতে চায়, তখন সেটাকে দমন করা হয়। কেন? এ কেমন মানসিকতা? যেসব জঙ্গি আমার বাবাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের সত্যটা আজ স্পষ্ট। তবুও কিছু সংগঠন যেন সেই দেশবিরোধী শক্তির পাশেই দাঁড়াচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন, “জঙ্গিদের প্রতি এত দরদ কেন (Udaipur Files)?”

  • Haridwar: মনসা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬

    Haridwar: মনসা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে আগে পুজো দেবেন, তা নিয়ে হুড়োহুড়ি। তার জেরে ঘটে গেল পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা। রবিবার সাত সকালের ওই ঘটনায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৬ জন। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু পুণ্যার্থী (Mansa Devi Temple)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। হরিদ্বারের (Haridwar) মনসা মন্দিরের ওই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন গাড়োয়াল ডিভিশনাল কমিশনার বিনয়শঙ্কর পাণ্ডে। তিনি বলেন, “ঘটনায় কমপক্ষে ছ’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।” উদ্ধারকারীরা মৃত ও আহতদের শনাক্ত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।

    শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর (Haridwar)

    মর্মান্তিক এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হওয়ার খবরটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এসডিআরএফ, স্থানীয় পুলিশ এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছি। আমি মাতারানির (মনসা দেবী) কাছে সকল ভক্তের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি।”

    পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি

    হরিদ্বারের ওই মনসা মন্দিরটি খুবই জাগ্রত বলে ভক্তদের বিশ্বাস। তাই প্রতিদিনই পুণ্যার্থীদের ভিড় হয় মন্দিরটিতে। আজ, রবিবার, ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাপক ভিড় হয়েছিল মন্দিরে। মন্দিরটি পাহাড়ের কোলে। বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি পার হয়ে পৌঁছতে হয় মন্দিরে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আচমকাই ওই সিঁড়িতে পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। একে অন্যের ওপর পড়ে যান। তাঁদের টপকেই মন্দিরে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন অন্যরা (Haridwar)। তার পরেই ঘটে মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনা।

    গাড়োয়াল বিভাগের কমিশনার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে উদ্ধার কাজে গতি আনার নির্দেশও দিয়েছি।” এদিকে, ঘটনার (Haridwar) বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একে একে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছচ্ছে ঘটনাস্থলে। আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালে। সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (Mansa Devi Temple)। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।

  • Rudra Bhairav: ‘অল-আর্মস ব্রিগেড’ গঠনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, জানালেন সেনা প্রধান

    Rudra Bhairav: ‘অল-আর্মস ব্রিগেড’ গঠনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, জানালেন সেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অল-আর্মস ব্রিগেড’ গঠনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই ব্রিগেডের নাম হবে ‘রুদ্র’ (Rudra Bhairav)। এই ব্রিগেডে পদাতিক বাহিনী, যান্ত্রিক পদাতিক, সাঁজোয়া ইউনিট, আর্টিলারি, বিশেষ বাহিনী (Arms Brigades) এবং ড্রোন এক সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে শনিবার ঘোষণা করেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। এদিন ছিল ২৬তম কারগিল বিজয় দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি ঘোষণা করেন এই খবর। সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন সেনাবাহিনীর দু’টি পদাতিক ব্রিগেড ইতিমধ্যেই ‘রুদ্র’ ব্রিগেডে রূপান্তরিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত লজিস্টিক সাপোর্ট এবং যুদ্ধ-সহায়তা দেওয়া হবে।

    সেনা প্রধানের বক্তব্য (Rudra Bhairav)

    সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল বলেন, “আজকের ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলির সফলভাবে মোকাবিলা করছে না, বরং এটি দ্রুতই একটি রূপান্তরকামী, আধুনিক ও ভবিষ্যৎ-নির্ভর বাহিনী হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আওতায় ‘রুদ্র’ নামক নতুন সর্বাঙ্গীণ ব্রিগেড গঠনের কাজ শুরু হয়েছে এবং আমি তা শনিবার অনুমোদন করেছি। এই ব্রিগেডে থাকবে পদাতিক বাহিনী, যান্ত্রিক পদাতিক, সাঁজোয়া ইউনিট, আর্টিলারি, বিশেষ বাহিনী এবং ড্রোন। সবই উপযুক্ত সরবরাহ ও যুদ্ধ সহায়তা ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকর হবে।” তিনি জানান, সীমান্তে শত্রুর ওপর আঘাত হানতে চটপটে ও মরণঘাতী বিশেষ বাহিনী ‘ভৈরব’ লাইট কমান্ডো ব্যাটালিয়নও গঠন করা হয়েছে।

    সাজানো হচ্ছে বাহিনী

    তিনি বলেন, “প্রতিটি ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নে এখন ড্রোন প্লাটুন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর্টিলারির গোলাবারুদের শক্তিও বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে ‘দিব্যাস্ত্র ব্যাটারি’ ও লয়টার মিউনিশন ব্যাটারির মাধ্যমে। আর্মি এয়ার ডিফেন্সে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে আমাদের সামরিক শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।” তিনি বলেন, “ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান এবং সীমান্তজুড়ে (Rudra Bhairav) ক্রমাগত শত্রুতার পরিবেশের কারণে আর্মি এয়ার ডিফেন্সকে দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও মারাত্মক রূপে সাজানো হচ্ছে। আমরা সীমান্তে নতুন রাস্তা ও পরিকাঠামো তৈরি করছি। পাশাপাশি যুদ্ধ, অ্যাডভেঞ্চার ও হেরিটেজ ট্যুরিজমের উন্নয়নও করা হচ্ছে।” সেনা সর্বাধিনায়ক বলেন, “৬-৭ মে রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ন’টি জঙ্গিঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ওই হামলায় কোনও (Arms Brigades) নিরীহ নাগরিকের ক্ষতি করা হয়নি। এটি শুধু ভারতের একটি প্রতিক্রিয়া ছিল না, বরং একটি স্পষ্ট বার্তা – যারা সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেয়, তারা আর রেহাই পাবে না (Rudra Bhairav)।”

  • Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    Aadhaar Card: আপনার আধার কার্ডটি জাল না আসল বুঝবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ইউআইডিএআই অনুমোদিত আধার কার্ডের গুরুত্ব ও ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে এ সংক্রান্ত জালিয়াতিও। তাই জাল আধার কার্ড (Aadhaar Card) ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Govt)। জেনে নিন কীভাবে চিনবেন জাল আধার কার্ড। এখন প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে কীভাবে জাল আধার কার্ড বানিয়ে উপভোক্তার নামে ব্যাংক থেকে ঋণ তুলে নেওয়া হচ্ছে। কিংবা অন্য কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপে আপনাকে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে ইউআইডিএআই (UIDAI) আধারে উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। এরই একটি হল আধার কার্ডে সুরক্ষিত কিউআর কোড।

    ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার (Aadhaar Card)

    এখন থেকে ব্যবহারকারীরা ইউআইডিএআইয়ের অফিসিয়াল কিউআর স্ক্যানার অ্যাপ ব্যবহার করে এই কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গই যাচাই করতে পারেন কার্ডধারীর নাম, জন্ম তারিখ এবং ছবি। যদি এই তথ্য মিলে না যায় বা কিউআর কোড না থাকে, তাহলে সেই আধার কার্ডটি জাল হওয়ার সম্ভাবনাই। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আধার ডেটাবেসের যথার্থতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউআইডিএআই ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে ১.৫৫ কোটি মৃত ব্যক্তির নথিপত্র সংগ্রহ করেছে (Aadhaar Card)। তাঁদের আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করতেই এটা করা হয়েছে।

    সরকারি বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে

    এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর পর তাঁর আধার নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করতে সংশ্লিষ্ট আধার নম্বরধারীকে মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৃত্যু শংসাপত্র পাওয়ার পর মাই আধার পোর্টালে সেই মৃত্যুর তথ্য রিপোর্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও আধার নম্বর কখনওই অন্য কোনও ব্যক্তিকে ফের দেওয়া হয় না। তাই (Modi Govt) কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাঁর আধার নম্বর নিষ্ক্রিয় করা অত্যন্ত জরুরি যাতে পরিচয় চুরি বা অননুমোদিত ব্যবহার প্রতিরোধ করা যায় (Aadhaar Card)।

  • Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    Agra Conversion Gang: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের সঙ্গে মিলল পাক যোগের প্রমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের (Agra Conversion Gang) সঙ্গে এবার উঠে এল পাক যোগের প্রমাণ। আগ্রার পুলিশ কমিশনার জানান, এই চক্রটির সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) কয়েকজনের যোগাযোগ ছিল। এরাই তরুণ-তরুণীদের প্রভাবিত করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উৎসাহিত করত। গত সপ্তাহেই এই চক্র ভেঙে দেওয়া হয়। ওই সপ্তাহে ছ’টি রাজ্য থেকে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১০জনকে। তদন্ত শুরু হয়েছিল আগ্রা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই বোনের সন্ধান করতে গিয়ে। এদেরই একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একে-৪৭ রাইফেল হাতে নিজের ছবি পোস্ট করেছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে চারজনকে গ্রেফতার করে।

    পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য (Agra Conversion Gang)

    শনিবার আগ্রা পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানান, কখনও কখনও অনলাইন গেমের মাধ্যমে ধর্মান্তরনের উদ্দেশ্যে নিশানা করা হত তরুণদের। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হ্যান্ডলাররা এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করত। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রটি পরিচালনা করছিল দিল্লির বাসিন্দা আবদুল রহমান। তার আদত নাম ছিল মহেন্দ্র পাল। পরে সে প্রথমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। তারও পরে দীক্ষিত হয় ইসলাম ধর্মে। এর পরেই সে কাজে লেগে যায় ধর্মান্তকরণ চক্রে। এই চক্রের টার্গেটে পড়া মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি, আলিগড় ও রায়বেরেলি এবং হরিয়ানার ঝাঝ্জর ও রোহতক-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে (Agra Conversion Gang)।

    হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কানে ঢালা হত বিষ

    কমিশনার কুমার বলেন, “মেয়েদের ইসলামি বিশ্বাসসম্পন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলানো হত। হিন্দুধর্ম সম্পর্কে তাদের কানে ঢালা হত বিষ। পাকিস্তানে থাকা তানভির আহমেদ ও সাহিল আদিম নামের দুই হ্যান্ডলার এই কাজে তাদের সাহায্য করত। এরপর ওই মেয়েদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হত। সেখানেও তাদের নিয়মিত মগজধোলাই করা হত। যদি মেয়েদের পরিবার এর প্রতিবাদ করত, তাহলে তাদের মনও পরিবারের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলা হত।” তিনি বলেন, “এই চক্রের অন্তত তিনজন সদস্য ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানে এবং তারা সেখান থেকে যোগাযোগ করত। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজর এড়াতে সিগন্যাল অ্যাপও ব্যবহার করা হত।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ধর্মান্তরণকারীরা আরও একটি কৌশল ব্যবহার করত। অনলাইন গেম খেলার সময় তাদের সঙ্গে কথা বলত। কথোপকথন শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলে তাদের প্রভাবিত করা হত। পরে করা হত ধর্মান্তরিত (Agra Conversion Gang)।

LinkedIn
Share