Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে ইউপিআই (UPI) লেনদেন বিনামূল্যই থাকবে। লেনদেনে লাগবে না কোনও রকম অতিরিক্ত চার্জ। এমনটাই সুনিশ্চিত করে জানালেন ভারতীয় রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। নতুন চার্জের একটা ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়তেই একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টে মডেলের স্থায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো গুজব রটে গিয়েছিল, তাই এবার গভর্নরের সিদ্ধান্তে কাটলো ধোঁয়াশা।

    ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ে প্ল্যাটফর্ম (UPI)

    গত বুধবার আরবিআই-এর (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে ভারতের ডিজিটেল পেমেন্ট ইন্টারফেস লেনদেন (UPI) ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যে থাকবে। কোনও রকম চার্জ স্বরূপ টাকা দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উভয়েই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সারা ভারত জুড়ে ডিজিটাল লেনদেনকে আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য করতে ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রাখা হবে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা

    তবে ভারতের ইউপিআই (UPI) লেনদেন এখন বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বিল পরিশোধ, কেনাকাটায় এখন একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হল এই ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা। তবে ইউপিআই পরিষেবায় একটা বিশেষ খরচ আছে। এখন গ্রাহকদের দিতে না হলেও আগামীদিনে এইম খরচ তো বহন করতেই হবে। তবে গ্রাহক নিজে বহন করবেন নাকি সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে তাও একবার ভালো করে ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভাবে কোনও কিছু কার্যকর হচ্ছে না।

    পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেণ্ট সিস্টেমস অ্যাক্ট অবশ্য নিজের আইনের বলে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে গ্রহক ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী যেই হন না কেন অতরিক্ত কর চাপানোর অনুমতি দেয় না। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং গ্রামীণ গ্রহকদের বেশি বেশি পরিমাণে ডিজিটাল পরিষেবায় যাতে অংশগ্রহণ বাড়ে সেই দিকেই ইঙ্গিত দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার।

  • Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু হয়েছে কর্নাটক (Karnataka) কংগ্রেসে। মাত্র চার মাসের মধ্যে মাণ্ড্য জেলার এক প্রাক্তন সাংসদ ও তিনজন বর্তমান বিধায়ক-সহ দলের চার নেতাকে প্রকাশ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে অভিযোগ (Karnataka)

    দলের শৃঙ্খলা কমিটির পাঠানো ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা দলকে বিব্রত করেছেন এবং কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে প্রতি মাসেই অন্তত একজন বা দু’জন কংগ্রেস সাংসদ প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সিদ্দারামাইয়ার বদলে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, অথবা বছরের শেষের আগে তাঁকে সেই পদে উন্নীত করা হবে। এতে দলীয় ঐক্যে ফাটল চওড়া হয়েছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার নিজেরাই বারবার কোনও ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

    শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়েছেন, তাঁরা হলেন কুনিগালের বিধায়ক এইচডি রঙ্গনাথ এবং মাণ্ড্যর প্রাক্তন সাংসদ এলআর শিবরাম গৌড়া। এর আগেও মাত্র কয়েক মাস আগে চন্নাগিরির বিধায়ক শিবগঙ্গা ভি বাসবরাজ এবং রামনগরার বিধায়ক ইকবাল হুসেনকে একই ধরনের মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ১ জুলাই শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রামনগরার কংগ্রেস বিধায়ক ইকবাল হুসেন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যেই পাঁচ বছর এবং আরও আড়াই বছর – মোট সাড়ে সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “ডিকে শিবকুমার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং দলকে ১৪০টি আসন এনে দিয়েছেন। ২০২৮ সালে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” তিনি কবুল করেন, দলের হাইকমান্ড প্রকাশ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা না করার নির্দেশ দিলেও তিনি এই মতামত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে জানিয়েছেন (Karnataka)।

    বাসবরাজের ভবিষ্যদ্বাণী

    বাসবরাজ এবারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। অগাস্ট মাসে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে এবং শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাঁর এই মন্তব্য শিবকুমার সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন। যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রঙ্গনাথ শিবকুমারকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে উল্লেখ করেন এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কৃতিত্ব দেন তাঁকেই। তিনি শিবকুমারকে উদীয়মান তারকা এবং সারা ভারতের নেতা বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, একদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি এই পদে বসার যোগ্য।

    কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনেই এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং আমি একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে চলছি।” তিনি আরও জানান, তিনি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জিসি চন্দ্রশেখরকে এই বিষয়ে মন্তব্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি যা বলছে, তার প্রতি আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই (Karnataka)।” মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন। মাঝপথে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই। দশেরা উদ্‌যাপনের সময়ও তিনি ফের বলেছিলেন, “কংগ্রেস সরকার ব্যক্তিগত অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।”

    দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    এই প্রথম নয় যে কর্নাটক কংগ্রেসের দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্টকে ঘিরে দলটির মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছিল। ওই সমীক্ষায় কর্নাটকের জাতি অনুযায়ী প্রকৃত জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ পায়, যা লিঙ্গায়ত, ভোক্কালিগা এবং কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা আশঙ্কা করেছিল, এই তথ্য রাজ্যের সংরক্ষণ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে (Karnataka)।

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে এই সমীক্ষার ফল এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে তর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি দেখিয়ে দিয়েছিল যে জাতি, সম্প্রদায় ও নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা বিভক্ত। এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ বিবাদের প্রেক্ষিতে দলটি আবারও ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, যখন দলটি সরকারে একটি স্থিতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, সেই সময় (Karnataka)।

  • Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    Ladakh: বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস তৈরি করল বিআরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের (বিআরও) ‘প্রজেক্ট হিমাংক’ আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করল। বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরচালিত সড়ক নির্মাণে নিজেরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Guinness World Record) ভেঙে তৈরি করেছে এই ইতিহাস (Ladakh)। সংস্থার বিবৃতি অনুযায়ী, লেহ জেলার লিকারু-মিগ লা-ফুকচে সড়কপথে ১৯ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মিগ লা পাসে সফলভাবে পৌঁছেছে বিআরওর দল, যা এর আগে উমলিং লা-এ থাকা ১৯ হাজার ০২৪ ফুটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।

    মিগ লা পাসে উড়ল তিরঙ্গা (Ladakh)

    উল্লেখ্য, স্থানীয় লাদাখি ভাষায় ‘লা’ শব্দের অর্থ ‘পাহাড়ি গিরিপথ’। লাদাখের প্রেক্ষাপটে “লা” শব্দটি তিব্বতি ভাষা থেকে এসেছে, যা স্থানীয় লাদাখিদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। “লাদাখ” নামটিও এসেছে এই “লা” (গিরিপথ) এবং “দাখ” (দেশ বা ভূমি)-এর সংমিশ্রণ থেকে, যার অর্থ দাঁড়ায় “উচ্চ গিরিপথের দেশ”। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের খবর এল বুধবার, যখন প্রজেক্ট হিমাংকের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার বিশাল শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বিআরও দল মিগ লা পাসে পৌঁছে জাতীয় পতাকা এবং বিআরওর পতাকা উত্তোলন করেন।

    কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

    লিকারু থেকে মিগ লা পাস হয়ে ফুকচে গ্রাম পর্যন্ত এই সংযোগ কৌশলগত ও পরিকাঠামোগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হানলে সেক্টর থেকে ইন্দো-চিন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত ফুকচে সীমান্ত গ্রাম পর্যন্ত তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ হিসেবে কাজ করবে (Ladakh)। উল্লেখ্য, হানলে এমন একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার যেখানে নানান বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছুদিন আগে এটি পরিদর্শন করেছিলেন।

    বিআরও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতগিরিপথগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিকে সংযুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের ১৪টি সর্বোচ্চ মোটরচালিত গিরিপথের মধ্যে ১১টিই তাদের দ্বারা নির্মিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

    কৌশলগত গুরুত্বের বাইরে মিগ লা গিরিপথ লাদাখের পর্যটনে বড় ধরনের উন্নতি সাধন করবে বলেই আশা কর্তৃপক্ষের। বিআরও জানিয়েছে, সিন্ধু উপত্যকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট ও পাস পর্যন্ত রোমাঞ্চকর যাত্রা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দেয়। যদিও এই পথ ভ্রমণকারীদের জন্য ভয়াবহ (Guinness World Record) চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করে। এটি একইসঙ্গে অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দুঃসাহসিক অভিযানের অভিজ্ঞতা দেয় (Ladakh)।

  • RSS at 100: “সংঘ রাষ্ট্র সেবায় নিবেদিতপ্রাণ”, শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অমিত শাহ

    RSS at 100: “সংঘ রাষ্ট্র সেবায় নিবেদিতপ্রাণ”, শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিজয় দশমীর দিনে নাগপুর সদর দফতরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) শতবর্ষ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। ১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনেই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। পরাধীন ভারতে পাঠান, মুঘল, ব্রিটিশদের অত্যাচারে ভারতীয় হিন্দু সমাজকে খণ্ড খণ্ড করে বিভাজিত করে রাখার চক্র চরম সীমায় ছিল। দেশ স্বাধীন হলে হিন্দু সমাজের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোন স্রোতে বইবে, তাই সমগ্র ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজে জাগরণ এবং সমাজপরিবর্তন করে রাষ্ট্রকে পুনঃনির্মাণ করতে সংঘের কাজ শুরু হয়। এবার শতবর্ষে পদার্পণ করার পর আরএসএসকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah) শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। তিনি বলেন, “সংঘের স্বয়ংসেবকরা রাষ্ট্র এবং ভারতীয় সমাজের জন্য সেবা-সুরক্ষায় সবরকম ভাবে নিবেদিতপ্রাণ।”

    সংঘের যাত্রাপথ মহাযাত্রাপথ (RSS at 100)

    সংঘের শতবর্ষ পদার্পণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমিত শাহ (Amit shah) বলেন, “আমি একজন গর্বিত স্বয়ং সেবক। সংঘ গত ১০০ বর্ষে অসংখ্য নেতা তৈরি করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS at 100)। সংঘের শতবর্ষ পূর্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাদের এই মহাযাত্রাপথে আরএসএসের নিবেদিতপ্রাণকে প্রণাম জানাই। ভারতমাতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত কাজে নিযুক্ত করায় প্রত্যেকের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।”

    অনুপ্রবেশ বিরোধী আন্দোলনেও সংঘ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বয়ংসেবকদের (RSS at 100) ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “দেশের জন্য সেবা করতে স্বয়ং সেবকরা সমস্ত অবসর জীবন ও আরামকে ত্যাগ করে থাকেন। সংঘের প্রচারকরা সব কিছু ত্যাগ করে দেশের জন্য সর্বস্ব নিয়োগ করেন। গত ১০০ বছর ধরে এইভাবেই কাজ চলছে সংঘের। আমি নিজেও একজন সামান্য স্বয়ংসেবক হয়ে গর্বিত। এতো পুরাতন একটি সংগঠনের উত্তরসূরী আমরাও। দেশের জন্য সংঘকাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। যেমন- হায়দ্রাবাদ ভারতে অন্তর্ভুক্তিকরণ, জরুরি অবস্থার সময় আন্দোলন করা, গোয়ার জন্য আন্দোলন, এককথায় সকল ক্ষেত্রেই সংঘ সামাজিক আন্দোলন করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে যেকোন যুদ্ধ বা দুর্যোগের পরিস্থিতিতে সংঘ সব সময় ভারতীয় সেনাকে সমর্থন করে নানা কাজ করেছে। ধারা ৩৭০ অবলুপ্তি, উত্তর-পূর্বে অনুপ্রবেশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘের ভূমিকাও প্রশংসনীয় ছিল।”

  • Operation Sindoor: ‘‘শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত’’! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ১০টি পাক বিমান ধ্বংস হয়েছে, ফের জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    Operation Sindoor: ‘‘শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত’’! ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ১০টি পাক বিমান ধ্বংস হয়েছে, ফের জানালেন বায়ুসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় পাক বিমানবাহিনীর ৮-১০টি সামরিক বিমান ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এমনটাই ফের একবার ব্যক্ত করলেন এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং (ACM Amar Preet Singh)। কয়েকদিন আগে, রাষ্ট্রসংঘের সভায় ভারতের সামরিক অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে এসেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Pak PM Shehbaz Sharif)। শুক্রবার, তারই জবাব দিয়ে ফের একবার পাকিস্তানকে সত্যিটা মনে করালেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান।

    কী বললেন বায়ুসেনা প্রধান?

    আগামী ৮ অক্টোবর, ৯৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস (IAF Raising Day) উদযাপন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তার আগে, শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অমরপ্রীত। সেখানেই বায়ুসেনা প্রধান (ACM Amar Preet Singh) বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের চার-পাঁচটি এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান এবং একটি নজরদারি বিমান মাঝ-আকাশে ধ্বংস করেছে ভারত। এছাড়া, পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে থাকা আরও ৪-৫টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়েছে। এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং আরও জানান, শুধু যুদ্ধবিমান নয়, পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটিতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের নিখুঁত প্রত্যাঘাতে ওদের (পাকিস্তান) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, রেডার সিস্টেম, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, রানওয়ে ও হ্যাঙ্গারও বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল।

    ‘‘অপারেশন সিঁদুর ইতিহাসে স্থান পাবে’’

    অমরপ্রীত সিংয়ের (ACM Amar Preet Singh) দাবি, এই অভিযানে (Operation Sindoor) সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেয় দীর্ঘ পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। সবচেয়ে দূরের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছিল ৩০০ কিমিরও বেশি গভীরে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই পরিস্থিতি পাল্টে দেয়।’’ তাঁর কথায়, অপারেশন সিঁদুর ছিল শল্যচিকিৎসার মতো নিখুঁত আঘাত, ন্যূনতম ক্ষয়ক্ষতি। বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেন, ‘‘আমরা নিখুঁত ভাবে নিশানা করতে পেরেছি, অপারেশন সিঁদুরের এক রাতেই ওদের কাবু করতে পেরেছি। আমাদের তরফে হতাহতের সংখ্যা ছিল ন্যূনতম। সব মিলিয়ে এটি ছিল ১৯৭১-এর পর প্রথম প্রকাশ্যে আসা সর্ববৃহৎ অভিযান। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ইতিহাসে স্থান পাবে।’’

    পাকিস্তানের ‘‘মনোহর কাহানিয়া’’-কে কটাক্ষ

    অন্যদিকে, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপতিত করার মিথ্যা দাবির জন্য তিনি পাকিস্তানকে উপহাস করেন এবং সেগুলিকে ‘‘মনোহর কাহানিয়া’’ বা রম্য রচনা বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের দাবিকে ব্যঙ্গ করে বায়ুসেনার প্রধান (ACM Amar Preet Singh) বলেন, ‘‘যদি ওরা মনে করে যে আমাদের ১৫টি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে, আমি আশা করি তারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত এবং যখন তারা আবার যুদ্ধ করতে আসবে তখন তারা আমার তালিকা থেকে ১৫টি কম বিমানের ব্যবস্থা করবে।’’

  • RSS at 100: ‘‘বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত’’, সংঘের শতবর্ষে বললেন রাধাকৃষ্ণণ

    RSS at 100: ‘‘বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত’’, সংঘের শতবর্ষে বললেন রাধাকৃষ্ণণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘বিশ্বে সর্বোৎকৃষ্ট জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত। বর্তমান সময়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) ভূমিকা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।’’ আরএসএস-এর শতবর্ষ পূর্তিতে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে মত প্রকাশ করেছেন দেশের নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “নিঃস্বার্থ সেবা বলতে যা বোঝায় তাই করে আরএসএস। শুক্রবার বিজয়দশমীতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। নাগপুরের মুখ্যকার্যালয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত শুভ সূচনা করেছেন। উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।

    অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরায়ণ (RSS at 100)

    উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan) নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “ভারতে নানাবিধ সামাজিক সংগঠনের মধ্যে সর্বাধিক রাষ্ট্রবাদী সংগঠনের ভূমিকা পালন করছে আরএসএস (RSS at 100)। বিগত ১০০ বছর ধরে এই সংগঠন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছে। ব্যক্তি নির্মাণ, চরিত্র গঠন, দেশাত্মবোধ এই সংগঠনের প্রধান আদর্শ। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরায়ণ এবং দায়িত্বশীল হয়ে সমাজে সব সময় কাজ করে চলে আসছে আরএসএস। সকল ভাবনায় দেশের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে এই সংগঠন।”

    বৈচিত্রের মধ্যে একতার খোঁজ করে

    উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণ (CP Radhakrishnan) আরও বলেন, “১৯২৫ সালের বিজয় দশমীর দিনে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার আরএসএসকে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যুব সমাজকে শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা দানের কাজ করে আসছে আরএসএস (RSS at 100)। যুব সমাজকে শক্তিশালী এবং অভ্যন্তরীণ চরিত্র গঠন করে স্বেচ্ছায় সেবা প্রদানের কাজ করে আসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। সেবার পরম ধর্মকেই নীতিবাক্য মনে করে সংঘ। বন্যা, দুর্বিক্ষ, ভূমিকম্প এবং দুর্যোগে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে স্বয়ংসেবকরা। সংঘ জাতি-বর্ণ-ভাষার বৈচিত্রের মধ্যে একতার খোঁজ করে। ভারত বিশ্বে তাই দ্রুত সর্ব শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করবে।”

  • Rajnath Warns Pakistan: ‘‘ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত’’, স্যর ক্রিক নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    Rajnath Warns Pakistan: ‘‘ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত’’, স্যর ক্রিক নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্যর ক্রিক (Sir Creek) নিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি কড়া হুঁশিয়ারি (Rajnath Warns Pakistan) দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বললেন, ‘স্যর ক্রিক এলাকায় পাকিস্তানের যে কোনও আগ্রাসনের যোগ্য দেওয়া হবে যা ইতিহাস এবং ভূগোল দুটোই বদলে দিতে পারে ভারত।’

    কী বললেন রাজনাথ?

    বৃহস্পতিবার দশেরার দিনে গুজরাটের ভুজ সীমান্ত ঘাঁটিতে সেনাদের সঙ্গে অস্ত্রপুজো করে তিনি বলেন, “ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিএসএফ যৌথভাবে এবং সজাগভাবে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করছে। যদি পাকিস্তান স্যর ক্রিক (Sir Creek) এলাকায় আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করে বা কোনও প্রকার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা করে, তবে এমন জবাব দেওয়া হবে যা ইতিহাস ও ভূগোল দুই-ই বদলে দেবে ভারত।’’ এই প্রসঙ্গে তিনি ইসলামাবাদকে স্মরণ (Rajnath Warns Pakistan) করিয়ে বলেন, ‘‘১৯৬৫ সালের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী লাহোরে পৌঁছনোর ক্ষমতা প্রদর্শন করেছিল। ২০২৫ সালে এসে পাকিস্তানের মনে রাখা উচিত যে করাচি যাওয়ার একটি পথ এই প্রণালীর মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।’’ রাজনাথ স্পষ্ট করে দেন, লেহ হোক বা স্যর ক্রিক— ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি ভাঙার চেষ্টা করা হলে, ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অক্ষম করে দেবে।

    কী এই স্যর ক্রিক?

    স্যর ক্রিক (Sir Creek) হল গুজরাটের কচ্ছের রণ এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রণালী। সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি হয়েছে এই খাঁড়ি। দুই দেশের মধ্যে সমুদ্র সীমান্ত হিসেবে এই এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্যর ক্রিককে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ। ১৯৯৯ সালে স্যর ক্রিক এলাকাতেই অনুপ্রবেশকারী পাক নজরদার বিমানকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই ঘটনায় ১৬ জন পাক সেনা নিহত হয়েছিলেন।

    স্যর ক্রিক অঞ্চলে নির্মাণ পাক সেনার

    সম্প্রতি স্যর ক্রিক (Sir Creek) অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনার বেশ কিছু নির্মাণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। স্যর ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানি সেনা বেশ কিছু সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। যে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখছে ভারতীয় সেনা। যা নিয়ে শুরু বিতর্ক। এই অঞ্চলে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফের বিশেষ বাহিনী ‘ক্রিক ক্রোকোডাইল’। রাজনাথ বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও, স্যর ক্রিক এলাকায় সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে। ভারত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু পাকিস্তানের উদ্দেশ্যের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে (Rajnath Warns Pakistan)। ওদের অভিপ্রায় স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনী স্যর ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় যেভাবে সামরিক পরিকাঠামো সম্প্রসারণ করেছে, তাতে তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।’’

  • PM Modi: ‘‘সংঘ পুণ্যময় অবতার, শাখা অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল’’, আরএসএসের শতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য মোদির

    PM Modi: ‘‘সংঘ পুণ্যময় অবতার, শাখা অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল’’, আরএসএসের শতবর্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য মোদির

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: নেশন ফার্স্ট। অর্থাৎ দেশ আগে। ঠিক এমন মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। ২০২৫ সালের বিজয় দশমীতেই শতবর্ষে পদার্পণ করেছে আরএসএস। এবার এই সামাজিক সংগঠনের হয়ে সমাজমাধ্যমে কলম ধরেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। বুধবার নতুন দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সেখাওয়াত এবং সংঘের (RSS at 100) সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবেলের উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদি শতবর্ষ উপলক্ষে ডাকটিকিট এবং মুদ্রা প্রকাশ করেছেন। শতবর্ষের এই পুরাতন সামাজিক সংগঠন কীভাবে ব্যক্তি নির্মাণ করে? ব্যক্তি থেকে পরিবার এবং পরিবার থেকে দেশ তথা সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের কথাই বৃহস্পতিবার, বিজয় দশমীর দিন নিজের পোস্টে তুলে ধরেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরএসএস-এর উপর একটি বিশেষ প্রবন্ধ রচনা করেছেন। সেই প্রবন্ধে সংঘের কাজ সম্পর্কে নানা দিক তুলে ধরেছেন। এরপর নিজের লেখাটি যে ব্লগে প্রকাশ পেয়েছে তা এক্স হ্যান্ডলের তুলে ধরেছেন। মোদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ সম্পর্কে লিখেছেন, “একশ বছর আগে বিজয়দশমীর দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য স্বয়ং সেবক এই সংকল্পকে বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আমি সংঘের (RSS at 100) প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করছি। গত ১০০ বছর ধরে ভারত নির্মাণ এবং সেবা কাজে আরএসএস ব্যাপক ভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে।”

    অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল শাখা

    আরএসএস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, সংঘ হল পুণ্যময় অবতার। স্বয়ংসেবকরা সামজসেবা, শিক্ষা, নারীর প্রগতি, জনজাতি সমাজের কল্যাণ, জরুরি সঙ্কটের সময় ত্রাণকাজ, এককথায় সকল স্তরে আরএসএস সামাজিক দায়বদ্ধতায় এগিয়ে থেকে কাজ করে আসছে গত ১০০ বছর ধরে। আরএসএস হল একটি নদীর মতো। তার সঙ্গে স্পর্শে থাকা সব কিছুকেই লালন পালন করে সে। নিজের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে নেয়। দেশপ্রেম, ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরম্পরা, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন এবং ইতিহাসবোধের প্রতি শ্রদ্ধা ভাবকে পুনঃস্মরণ করার কাজ করে সংঘ। সংঘের শাখায় নিয়মিত স্বয়ংসেবকরা এই সব অনুশীলন করেন। মোদির ভাবনায় শাখাই (RSS at 100) হল অহংকার মুক্তির আশ্রয়স্থল। আবার এই শাখাই মানুষকে নিঃস্বার্থ করে। এই দুইয়ে সমন্বয়েই ব্যক্তি নির্মাণ হয়।

    শতবর্ষে মাইলফলেক সংঘ

    অপর দিকে ব্রিটিশ ভারত তথা পরাধীন ভারতেও শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সংঘ নিজের মতো করে সমাজ-রাষ্ট্র-দেশ জাগরণের নিরলস ভাবে কাজ করে গিয়েছে। সামাজিক মুক্তি, বৈষম্য এবং অস্পৃশ্যতার বিরদ্ধে আরএসএস লাগাতার অভিযান চালিয়ে হিন্দু সমাজকে এক করার কাজ করে গিয়েছে। জাতিভেদ বর্ণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সংগঠন। সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত এলাকায় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের এক ও অখণ্ডতার বার্তা দেয় সংঘ। সামাজিক সম্প্রীতি, ধর্মান্তরণ, হিন্দুত্ব জাগরণে বিশেষ বিশেষ অভিযান চালিয়েছে সঙ্ঘ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, “আদিবাসী, বনবাসী, তফশিলি জাতিকে মুখ্যধারায় আনার জন্য সামাজিক কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে আরএসএস। সংঘ নিপীড়িত মানুষের পাশে বারবার দুর্যোগে ত্রাণ নিয়ে সবার আগে পৌঁছে গিয়েছে। সংঘের স্বয়ংসেবকরা মনে করেন সর্বপরি রাষ্ট্র আগে। তাইতো দেশ ভক্তি, রাষ্ট্রভক্তির সঙ্গে কোনও দিন আপোষ করেনা স্বয়ংসেবকরা।” সংঘ কাজের মধ্যে জনসংখ্যার ভারসাম্য, পারিবারিক মূল্যবোধ, পরিবেশ রক্ষা, আত্মীয়তা বোধ, স্ব-এর বোধ এবং নাগরিক কর্তব্যের মতো বিষয়গুলিকে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাই সংঘ (RSS at 100) কাজের এই দৃষ্টান্তগুলি শতবর্ষে মাইলফলেকের মতো কাজ করবে।

  • RSS at 100: শতবর্ষের সূচনায় দেশের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তায় বিশেষ জোর ভাগবতের

    RSS at 100: শতবর্ষের সূচনায় দেশের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তায় বিশেষ জোর ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দশমীর দিন থেকেই শতবর্ষে পা দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবেক সংঘ বা আরএসএস (RSS at 100)। এদিন নাগপুরের রেশমবাগে ডক্টর কেশব বলিরাম হেড গেওয়ারের স্মৃতিসৌধে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সরসংঘ চালক মোহন রাও ভাগবত (Mohan Bhagwat)। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে স্বয়ংসেবকদের বিশেষ বার্তাও দেন ভাগবত। জাতীয় নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সুরক্ষা এই দুই বিষয়কে নিয়ে আগামীদিনে ভারতকে আরও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন। তাই সংঘ মনে করে সমাজের প্রত্যেক বর্গের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং সৌভাতৃত্ব একান্ত প্রয়োজন।

    তেগ বাহাদুর-মহাত্মা গান্ধী- লালা বাহাদুরকে স্মরণ (RSS at 100)

    ১৯২৫ সালে ব্রিটিশ পরাধীন ভারতে কলকাতার অনুশীলন সমিতি থেকে দীক্ষা নিয়ে কেশবজি হিন্দু সমাজকে একত্রিত করা এবং ভারত রাষ্ট্রের পুনঃনির্মাণের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS at 100) নামে কাজ শুরু করেন মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। এরপর থেকে আরএসএস গত ১০০ বছর ধরে সংঘ ব্যক্তি নির্মাণ, সমাজ গঠন, হিন্দু সমাজের একত্রীকরণ, ভারত রাষ্ট্রের পুনঃজাগরণ সংকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্র ভক্তিই আরএসএসের প্রধান সংকল্প। শতবর্ষ সূচনার ভাষণে মোহন ভাগবত বলেন, “রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের শতবর্ষের সঙ্গে গুরু তেগ বাহাদুরের ৩৫০ তম জন্মবার্ষিকীও পালিত হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা অর্জনই মূল লক্ষ্য ছিল না, ভারতের ‘স্ব’-কে খোঁজ করাও স্বাধীনতা উত্তর ভারতের প্রধান সংকল্প। গান্ধীজি এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মজয়ন্তীও বটে। নিজের নিজের নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কর্ম আমাদের বুঝিয়েছে কীভাবে একজন সাধারণ ব্যক্তি প্রকৃত মানুষ হতে পারেন। ভারত এবং বিশ্বকে মাথায় রেখে আমাদের স্বভাব এবং প্রকৃতিকে নির্ধারণ করতে হবে।”

    হিন্দুত্বের বিশ্বাস এবং ঐক্য

    মহাকুম্ভমেলা সম্পর্কে ভাগবত (RSS at 100) বলেন, “এই বছর মহাকুম্ভে সারা বিশ্বের হিন্দুরা বৃহৎ মাত্রায় পুণ্যস্নান করেছেন। দেশের পুরাতন সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার আরও একবার পুনঃজাগরণ ঘটেছে। তীর্থযাত্রীদের ভিড় পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা রেকর্ড গড়েছে। চমৎকার ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় কোনও রকম ফাঁক ছিল না। প্রাচীন সভ্যতার শিকরের সন্ধানে সমস্ত হিন্দু সমাজ এক হয়েছে। সমগ্র ভারত জুড়ে হিন্দুত্বের বিশ্বাস এবং ঐক্যের ঢেউকে জাগিয়ে তুলেছে।”

    পেহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে

    পেহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে আরএসএস (RSS at 100) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওতে পাকিস্তানি জঙ্গিরা অতর্কিত হামলা করেছিল। ধর্ম জিজ্ঞাসা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করেছিল লস্করের জঙ্গিরা। সারা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। সরকার এবং ভারতীয় সেনার উদ্যোগে পাল্টা অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) করা হয়। হামলার সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের সঠিক প্রত্যঘাত করা হয়েছিল। ভারতের সশস্ত্র সেনা বাহিনীর অসামান্য কর্মকুশলতায় মন জয় করেছে সাধারণ ভারতীয়দের মনকে। সেই সময় ভারতের অভ্যন্তরে এবং বাইরের দেশগুলির মনোভাবও সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা গিয়েছিল। তাই সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে কূটনীতি এবং নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের ভালো করে ভাবতে হবে। সম্প্রতি সময়েই প্রথমে শ্রীলঙ্কা, এরপর বাংলাদেশ আর তারও পরে নেপালের অস্থির রাজনীতি আমাদের নিজেদের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে নিয়ে ভাবায়।”

    মার্কিন বাণিজ্যনীতি

    মার্কিন বাণিজ্যনীতি নিয়ে সরসঙ্ঘ চালক (RSS at 100) ভাগবত বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন শুল্ক নীতি বাস্তবায়ন করেছে তা তাদের নিজস্ব স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই করেছে। এর দ্বারা সকলেই প্রভাবিত হচ্ছে। পৃথিবী একে অপরের উপর নির্ভরশীলতার সঙ্গে চলে; যে কোনও দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক এভাবেই বজায় থাকে। কোনও দেশই বিচ্ছিন্নভাবে টিকে থাকতে পারে না। এই নির্ভরতা বাধ্যবাধকতায় পরিণত হওয়া উচিত নয়। আমাদের স্বদেশীর উপর নির্ভর করতে হবে এবং আত্মনির্ভরতার উপর মনোনিবেশ করতে হবে। তবুও আমাদের সকল বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের ইচ্ছা এবং বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে।”

    পরিবেশ ভাবনা

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে। ভূমিধ্বস এবং অবিরাম বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। গত ৩-৪ বছর ধরে এই প্রবণতাকে দারুণ ভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হিমালয় আমাদের সুরক্ষা প্রাচীর এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য জলের প্রধান উৎস। যদি উন্নয়নের নামে পরিকল্পনার অভাব হয় তাহলে তো দুর্যোগগুলিও আরও মারাত্মক নেবে। তাই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্তগুলিকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। হিমালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তাজনক। ঠিক এইভাবেই পরিবেশ নিয়েও মত প্রকাশ করেন সঙ্ঘের সর সংঘ (RSS at 100) চালক ভাগবত (Mohan Bhagwat)।

  • PM Modi: জন্মজয়ন্তীতে মহাত্মা গান্ধী ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: জন্মজয়ন্তীতে মহাত্মা গান্ধী ও লালবাহাদুর শাস্ত্রীকে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম হেল্প ডেস্ক: ২ অক্টোবর গান্ধীজির (Gndhi Anniversary) জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই দিনে আবার জন্ম হয়েছিল দেশের আরও এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর। তাঁর প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন মোদি। ভারতের ইতিহাস পরিবর্তন এবং সমাজ জাগরণে এই দুই দেশনায়কের কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে দেশের প্রতি আত্মত্যাগ, সেবা, করুণা এবং অহিংসার কথাকে স্মরণ করে আজকের দিনের প্রাসঙ্গিকতাকেও তুলে ধরেন মোদি।

    মানব ইতিহাসের গতিমুখকেই বদলে দিয়েছেন (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “অদম্য সাহস এবং সরলতা কীভাবে পরিবর্তনের হাতিয়ার হয় এবং ক্ষমতাকে পরিবর্তন করার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে তা একমাত্র গান্ধীজিকে (Gndhi Anniversary) না দেখলে বোঝাই যায় না। বাপুর অসাধারণ জীবন দিয়ে মানব ইতিহাসের গতিমুখকেই বদলে দিয়েছেন। আজকের ভারতকে বিকশিত ভারত বা উন্নত ভারত গড়তে এই বাপুর কথা জানা এবং বোঝা একান্ত প্রয়োজন।” ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবু। তাঁর সম্পূর্ণ নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাঁর কর্মকাণ্ড তাঁকে জাতির জনক এবং বাবু বলে অভিহিত করেছে। অহিংসার দ্বারা ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার পক্ষপাতী ছিলেন গান্ধিজি।

    গান্ধির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন চাচা নেহেরু

    দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীকেও স্মরণ করে বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁকে নীতিতে অসাধারণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রনায়ক বলে অভিহিত করেছেন মোদি। তাঁর সততা, দৃঢ় সংকল্প, নম্রতা ভারতকে শক্তিশালী করেছে। নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি বার্তা লিখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চাচা নেহেরুর নেতৃত্ব, সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁর দেওয়া ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’-এর ডাক এক প্রকার জন আন্দোলন ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিরাট কার্যকর ছিল। তাঁর নেতৃত্ব দেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। তিনি গান্ধির (Gndhi Anniversary) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন। একজন সাধারণ নাগরিক থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি দেশের প্রত্যেক মানুষের জন্য আদর্শ।”

LinkedIn
Share