Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RBI Gold Reserve: ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ কেজি! সোনা মজুতে রেকর্ড ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    RBI Gold Reserve: ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ কেজি! সোনা মজুতে রেকর্ড ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনা সংরক্ষণে (RBI Gold Reserve) রেকর্ড করল আরবিআই। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য বলছে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আরবিআই-এর মজুত সোনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭৯.৫ টন (৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০০ কিলোগ্রাম)। ২০২০ সালের মাঝেমাঝে সময়ের তুলনায় যা এক-তৃতীয়াংশ বেশি। আরবিআই থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে ডলারের যে মূল্য, ২০২৪-২৫ সালে তার নিরিখে সোনার মজুতের মূল্য ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ভারতে বর্তমানে মোট বৈদেশিক সম্পদের ১২ শতাংশই সোনা

    আরও যে তথ্য সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতে বর্তমানে মোট বৈদেশিক সম্পদের ১২ শতাংশই এখন হল সোনা। গত বছরে মোট বৈদেশিক সম্পদের ৮.৩ শতাংশ ছিল সোনা। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি টানা তিন বছর ধরে এক হাজার টনেরও বেশি সোনা (RBI Gold Reserve) কিনেছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সোনার উপরে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির ৯৫ শতাংশই জানিয়েছে আগামী এক বছরে বিশ্বব্যাপী সোনার মজুত অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির তরফ থেকে সোনার মজুত বর্তমানে ৩৬,০০০ টনে দাঁড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে ব্রেটন উডস যুগে সোনার মজুত সর্বোচ্চ পরিমাণে দাঁড়িয়েছিল এবং তা ৩৮ হাজার টনের কাছাকাছি পৌঁছেছিল।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সোনার প্রতি আকর্ষণের কারণ কী?

    একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে (RBI Gold Reserve), দুই-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বৈচিত্রের কারণে সোনাতে বিনিয়োগ করছে। অন্যদিকে দুই-পঞ্চমাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য তা করছে। সাম্প্রতিককালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে শুল্কনীতি, তাও প্রভাব ফেলেছে এক্ষেত্রে। ভারতের তরফে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আরবিআইয়ের (RBI) সোনার মজুত ছিল ৮২২.১ মেট্রিক টন। অন্যদিকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ তা পৌঁছেছে ৮৭৯.৫৮ টনে। ২০২০ সালের তুলনায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮.১৭ টন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, সোনার মজুত বৃদ্ধিই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির জন্য বেশ ভালো ফলাফল এনেছে।

  • AMCA: ‘অ্যামকা’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হোন, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কাছে আহ্বান কেন্দ্রের

    AMCA: ‘অ্যামকা’ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হোন, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার কাছে আহ্বান কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষায় আরও শক্তি বাড়াচ্ছে দেশ ৷ চিন, আমেরিকা, রাশিয়াকে টেক্কা দিতে এবার পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ্ যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চলেছে ভারত। দেশীয় ‘অ্যামকা’ (AMCA) প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার বিষয়ে জোরকদমে এগোচ্ছে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ADA)। ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরির পথে সম্প্রতি এক বড় পদক্ষেপ করল তারা। দেশের অত্যাধুনিক মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (AMCA) তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ (EOI) প্রকাশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    কী বলা হল বিজ্ঞপ্তিতে

    মোদি জমানায় আত্মনির্ভর ভারত যে ‘অ্যামকা’ (FGFA) তৈরি করছে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিতেই দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে জোরকদমে এগোচ্ছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। সরকারের অ্যামকা প্রোগ্রাম অনুমোদনের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল। এডিএ-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’-এর মূল উদ্দেশ্য হল এমন ভারতীয় সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করা, যারা প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম এবং পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের নকশা, প্রোটোটাইপ নির্মাণ, ফ্লাইট টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশনের মতো জটিল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে। প্রার্থী সংস্থা একক সংস্থা, যৌথ উদ্যোগ বা কনসর্টিয়াম হতে পারে — তবে তা ভারতীয় নাগরিকদের মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে এবং ভারতীয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।

    দেশে উৎপাদন পরিকাঠামো থাকা আবশ্যক

    অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ADA) জানিয়েছে, প্রার্থী সংস্থাগুলির মধ্যে ডিজাইন গ্রহণ, উন্নয়ন ও ইঞ্জিনিয়ারিং, উৎপাদন, সমন্বয়, গঠন, পরীক্ষা, গুণমান ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহক সহায়তার মতো ক্ষেত্রে প্রমাণযোগ্য অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। সংস্থার নিজস্ব উৎপাদন কেন্দ্র অথবা কোনও স্ট্র্যাটেজিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে উৎপাদন পরিকাঠামো থাকা আবশ্যক। নথিতে উল্লেখিত যোগ্যতা ও মূল্যায়ন সূচকের ভিত্তিতে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলিকে বাছাই করা হবে। চুক্তির মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ আট বছর — এই সময়ের মধ্যেই বিমানটির উন্নয়ন, প্রোটোটাইপ, পরীক্ষা এবং সার্টিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এই সংক্রান্ত প্রাক-আলোচনার সভা হবে। ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ অগাস্ট ২০২৫।

    প্রথম অ্যামকা প্রোটোটাইপ ২০২৯ সালের মধ্যে

    আপাতভাবে ২০৩৫ সালের আগে ‘অ্যামকা’ হাতে পাচ্ছে না বায়ুসেনা। কারণ, এটা কারও অজানা নয় যে, যে কোনও যুদ্ধবিমান তৈরি করতে অন্ততপক্ষে ১০-১৫ বছর লাগেই। ফলে, ভারতকে আরও দশটা বছর অপেক্ষা করতেই হবে স্বদেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য। বর্তমানে নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রথম অ্যামকা প্রোটোটাইপ ২০২৯ সালের মধ্যে আকাশে ওড়ার কথা। পুরো উন্নয়ন পর্ব ২০৩৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা, এবং সিরিজ উৎপাদন শুরু হতে পারে ২০৩৫ থেকে। ততদিনে হ্যাল (HAL) তেজস মার্ক-১এ এবং তেজস মার্ক-২ বিমানগুলির চলতি অর্ডারের উৎপাদন শেষ করবে।

    দুটি ধাপে তৈরি করা হবে অ্যামকা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত সংস্থাকে একটি পৃথক উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতের বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রয়োজন মেটানো যায়। এই প্রকল্পে বিড জমা দেওয়ার সম্ভাব্য সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং মহিন্দ্রা গ্রুপ। হ্যাল-ও এই প্রতিযোগিতায় থাকবে, তবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তবেই অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। তেজস এলসিএ-র মতো, অ্যামকাও দুটি ধাপে তৈরি করা হবে। মার্ক-১ সংস্করণে থাকবে মার্কিন জিই এফ-৪১৪ ইঞ্জিন— যেটি তেজস মার্ক-২ জেটেও ব্যবহৃত হবে। ভবিষ্যতের অ্যামকা মার্ক-২ সংস্করণে ব্যবহার করা হবে সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে নির্মিত ইঞ্জিন, যা ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে রূপান্তরিত হবে। এই প্রকল্পের সফলতা ভারতকে বিশ্বে উন্নত বিমান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে। এই প্রকল্প ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও দৃঢ় করবে, বলেই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞ মহলের।

    অ্যামকার মাধ্যমে এলিট ক্লাসে ভারত

    ফিফথ্ জেনারেশনের এই যুদ্ধবিমানে থাকবে দু’টি ইঞ্জিন ৷ সেই সঙ্গে, থাকবে ইলেকট্রনিক পাইলটিং সিস্টেম ৷ ২৭ টন ওজনের এই যুদ্ধবিমানে অনেক বেশি যুদ্ধাস্ত্র বহন করা যাবে ৷ অ্যামকা-র প্রধান বৈশিষ্ট হল, সম্পূর্ণ কনফিগারড্ মিসাইল বহন করা যাবে এই যুদ্ধবিমানে ৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ এতদিন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হাতে ছিল আমেরিকা, রাশিয়া, চিনসহ গুটিকয়েক প্রথম সারির শক্তিসম্পন্ন দেশের কাছে। ভারত এই পঞ্চম প্রজন্মের জেট ফাইটার তৈরির দিকে এগনোয় বিশ্বে এলিট শক্তি বলে যে দেশগুলিকে সমীহ করা হয়, সেই সারিতে চলে আসছে। পঞ্চম প্রজন্মের এই জেট বিমান শত্রু রেডারের চোখে ধুলো দিতে পারদর্শী। শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী এই বিমানে আরও বেশ কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে। সুখোই এসইউ-৩০এমকেআই ফাইটার জেটের উত্তরসূরী হতে চলেছে এই ফাইটার জেট। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধবিমানের ঢালাও উৎপাদন শুরু হবে ২০৩৫ সালের ভিতর। একবার এই বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে চলে আসতে শুরু করলে আকাশের উপর দেশের কর্তৃত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

  • Operation Sindhu: মোদি সরকারের অপারেশন সিন্ধু! ইরান থেকে দেশে ফিরলেন ১১০ পড়ুয়া

    Operation Sindhu: মোদি সরকারের অপারেশন সিন্ধু! ইরান থেকে দেশে ফিরলেন ১১০ পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিন্ধুর (Operation Sindhu) মাধ্যমে ইরান থেকে ১১০ ভারতীয় পড়ুকে নিয়ে আসা বিমান সফলভাবে অবতরণ করল দিল্লিতে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করা পরিবারগুলির মুখে ফুটে উঠল এক স্বস্তির হাসি। জানা যাচ্ছে, ইরান থেকে যে ১১০ জন পড়ুয়াকে উড়িয়ে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯০ জনই জম্মু-কাশ্মীরের ছাত্র-ছাত্রী।

    কী বলছেন পড়ুয়া আমন আজাহার

    ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার আবহে ইরানের আকাশপথ বন্ধ (Operation Sindhu)। সে কারণেই পড়ুয়াদের আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে পার করানো হয়েছে। ওই পড়ুয়াদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমন আজাহার। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরে তিনি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি। আমি কতটা খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। অবশেষে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারলাম। ইরানের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানকার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরাও খুব কষ্টের মধ্যে আছে। যুদ্ধ কখনও কোনও কিছুর সমাধান হতে পারে না, এটা মানবতাকেই ধ্বংস করে।”

    কী বলছেন এক অভিভাবক?

    ওই পড়ুয়াদের পরিবারের সদস্যরা (Operation Sindhu) দিল্লি বিমানবন্দরে, সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং প্রশংসা করেন। কোটা থেকে আসা এক অভিভাবক, যিনি তাঁর ছেলেকে নিতে এসেছিলেন, সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার ছেলে সেখানে এমবিবিএস পড়ছে। আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে এসে ফিরতে পেরেছে। ভারত সরকার বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিল। আমি খুবই খুশি যে আমার ছেলে বাড়ি ফিরতে পেরেছে। আমি এজন্য ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” একই সঙ্গে ওই অভিভাবক ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে ইরানে যে সমস্ত পড়ুয়া এখনও রয়ে গেছেন, তাঁদের যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। জানা যাচ্ছে ইরানে বর্তমানে ১৩ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া রয়েছেন।

    ইরানে থাকা নাগরিকদের জন্য দিল্লির নির্দেশ (Operation Sindhu)

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েল এবং ইরানের (Iran) মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত সরকার ইরানে থাকা নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং একাধিক নির্দেশ জারি করেছে। ভারত সরকার অনুরোধ করেছে, ইরানে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যেন ভারতীয় দূতাবাসের সামাজিক মাধ্যম চ্যানেলে দেওয়া আপডেটগুলি নিয়মিতভাবে অনুসরণ করেন।নয়া দিল্লির এই অনুরোধ ও উদ্যোগের ফলেই ইরান (Iran) থেকে নিরাপদভাবে ১১০ জন পড়ুয়া দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।

  • E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    E AADHAAR: আর হুটহাট ছুটতে হবে না আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ইউআইডিএআই (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)। জানা গিয়েছে, কিউআর কোডের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হবে (E AADHAAR) ডিজিটাল আধার সিস্টেম। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (AADHAAR Card) ডিজিটাল পদ্ধতিতে আধার কার্ড শেয়ার করা যাবে। আঙুলের ছাপ এবং চোখের মণি বাদ দিয়ে আধার কার্ডের বাকি যাবতীয় পরিবর্তনও ডিজিটাল মাধ্যমেই করা যাবে।

    কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন (E AADHAAR)

    আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটি নতুন কিউআর কোড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়ে যাবে। এর ফলে আর কোথাও আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। দেশবাসী তাঁদের আধারের ডিজিটাল ভার্সন শেয়ার করতে পারবেন — পুরো বা আংশিকভাবে গোপন ফরম্যাটে, যেমন তাঁদের পছন্দ। নভেম্বরের মধ্যে ইউআইডিএআই একটি সহজ প্রক্রিয়া চালুর পরিকল্পনা করছে। এটি চালু হলে আধার আপডেট করতে কেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার প্রয়োজন অনেকটাই কমে যাবে।জীবনধারণের প্রমাণ হিসেবে বায়োমেট্রিক তথ্য বাদে, ঠিকানা বা অন্যান্য তথ্যের আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই করা যাবে। কারণ এটি বিভিন্ন সরকারি ডেটাবেসের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে জন্মের শংসাপত্র, মাধ্যমিক পরীক্ষার রেকর্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, রেশন ব্যবস্থা (PDS) এবং এমএনআরইজিএ (MNREGA) সিস্টেম।

    ইউআইডিএআই-র সিইওর বক্তব্য

    এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল নাগরিকদের ঝুট-ঝামেলা পোহানো বন্ধ করা এবং আধার রেজিস্ট্রেশনের সময় ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রবণতা কমানো। এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের সুবিধা বাড়াতে বিদ্যুৎ বিলের রেকর্ডও যুক্ত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ইউআইডিএআই-র সিইও (E AADHAAR) ভুবনেশ কুমার জানান, চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকেই পুরোপুরিভাবে চালু হয়ে যাবে ই-আধার প্রকল্প। নয়া এই সিস্টেম চালু হয়ে গেলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ডের ফটোকপি জমা দেওয়ার আর প্রয়োজন পড়বে না। তার বদলে সাধারণ মানুষ আধার কার্ডের ডিজিটাল ভার্সন জমা দিতে পারবেন। চাইলে আধার কার্ডের মাস্কড ভার্সনও জমা দিতে পারবেন (AADHAAR Card)।  নতুনভাবে তৈরি অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে তিনি জানান, এক লাখ যন্ত্রের মধ্যে প্রায় ২ হাজার যন্ত্র ইতিমধ্যেই এই নয়া সিস্টেম ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, “আঙুলের ছাপ ও আইরিস (চোখের স্ক্যান) দেওয়া ছাড়া বাকি সব কিছু আপনি খুব শীঘ্রই বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।”

    ঝামেলা পোহানোর দিন শেষ

    এখন আধার কার্ড আপডেট করতে হলে কোনও ব্যক্তিকে আধার কেন্দ্রে যেতে হয়। নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন হোক না কেন, প্রতিটি আপডেটের জন্য ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত হতে হয়।   চলতি বছরের নভেম্বর থেকে এই ঝামেলা আর পোহাতে হবে না। তখন ব্যবহারকারীদের কেবলমাত্র একটি ওটিপি-র প্রয়োজন হবে, যার মাধ্যমে তাঁরা বাড়িতে বসেই তাঁদের আধার কার্ডের তথ্য আপডেট করতে পারবেন (E AADHAAR)। যাঁরা ব্যস্ততার কারণে আধার কেন্দ্রে যেতে পারছেন না, তাঁদের জন্য এই পরিবর্তন বিশেষভাবে উপকারী হবে।

    এক নজরে সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া এই অ্যাপ্লিকেশনে কী কী সুবিধা মিলবে।

    এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, নাম এবং জন্মতারিখ সংশোধনের মতো তথ্য আপডেট করার সুবিধা দেবে। মোবাইল ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে কিউআর কোড-ভিত্তিক আধার স্থানান্তর চালু করাকে অপব্যবহার রোধের জন্য অত্যাবশ্যক মনে করা হচ্ছে। এর ব্যবহার হতে পারে হোটেলে চেক-ইন থেকে শুরু করে রেলভ্রমণের সময় পরিচয়পত্র যাচাই পর্যন্ত। কুমার বলেন, “এটি ব্যবহারকারীদের নিজস্ব তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ দেবে এবং শুধুমাত্র সম্মতির ভিত্তিতে তা শেয়ার করা যাবে (E AADHAAR)।”

    এই ব্যবস্থা উপ-রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রারদের দ্বারা সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় প্রতারণামূলক কাজকর্ম রোধেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। কুমার জানান, ইউআইডিএআই রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাজ করছে যাতে সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় আধার যাচাইকরণ অন্তর্ভুক্ত করা যায় এবং জালিয়াতির ঘটনা কমানো যায় (AADHAAR Card)।

    ইউআইডিএআই ইতিমধ্যেই সিবিএসই এবং অন্যান্য পরীক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে যাতে শিক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য তথ্য আপডেট করা যায়। এই আপডেট দুটি বয়সসীমার মধ্যে করতে হবে – পাঁচ থেকে সাত বছর, এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর। এই বিষয়ে তারা একটি বিশেষ প্রচারের পরিকল্পনা করছে, যাতে প্রথম আপডেটের (৫-৭ বছর বয়সী শিশুদের) জন্য ৮ কোটি এবং দ্বিতীয় আপডেটের (১৫-১৭ বছর বয়সীদের) জন্য ১০ কোটি সমস্যার সমাধান করা যায় (E AADHAAR)। এছাড়াও ইউআইডিএআই বিভিন্ন সংস্থা, যেমন নিরাপত্তা সংস্থা এবং হসপিটিলিটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করছে, যেখানে আধার ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তার পরিষেবা বিস্তারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

  • Air India Plane Crash: নাশকতার সম্ভাবনা! বিমান বিপর্যয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের জেরা, কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    Air India Plane Crash: নাশকতার সম্ভাবনা! বিমান বিপর্যয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের জেরা, কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। তদন্তে উড়ান সংস্থার কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। গুজরাটের আমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত গ্রাউন্ড স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও, ১২ জুন উড়ানের আগে যাঁরা বিমান ছাড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন কর্মীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে। উদ্ধার করা হয়েছে ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (DFDR) এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR)। বিমানটির ব্ল্যাক বক্সও উদ্ধার হয়েছে, যা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    বেশ কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত

    সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত এআই ১৭১ বিমানটি ওড়ার আগে সেটির দেখাশোনার কাজে যে কর্মীরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বিমানটি (Air India Plane Crash) ওড়ার সবুজ সঙ্কেত যে কর্মীরা দিয়েছিলেন, এমন বেশ কয়েক জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দাবি ওই সূত্রের। মোবাইলগুলি যাচাই করে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা, এমনই দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইকগামী ওই বিমানটি আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তিনিও ওই বিমানেই ছিলেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাস

    বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা ওই দুর্ঘটনার (Air India Plane Crash) কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্তে যুক্ত হয়েছে বোয়িং, আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) এবং ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA)। ভারতের ডিজিসিএ এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে, উড়ানের ঠিক আগে পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবহারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার একটি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তবে এরপর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এই প্রথমবার কোনো বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার শিকার হলো। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলিধর মোহল জানান, কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি এই দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে জমা দেবে।

  • Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    Maoist Gjarala Ravi: মাও-মুক্ত ভারতের লক্ষ্যে ফের মিলল সাফল্য, খতম আরও ৩ শীর্ষ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ-ওড়িশার সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে (Andhra Pradesh) মাওবাদীদের তুমুল লড়াই। এনকাউন্টারে খতম তিন শীর্ষ মাওবাদী নেতা (Maoist Gjarala Ravi)। বুধবার সকালে এই তথ্য প্রকাশ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। আল্লুরি সীতারামা রাজু জেলায় মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশনে এই সাফল্য পায় যৌথবাহিনী। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারি গজারলা রবি ওরফে উদয়, ইস্টার্ন বিভাগের সেক্রেটারি বরি ভেঙ্কা চৈতন্য ওরফে অরুণা এবং মাওবাদী নেত্রী অঞ্জু। অরুণা মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা চালাপতির স্ত্রী। ২০১৫ সালে খতম করা হয় চালাপতিকে। অরুণা মাওবাদীদের খাতায় নাম লিখিয়েছিল বছর পঁচিশ আগে। সে ছিল মাওবাদীদের অন্ধ্রপ্রদেশ জোনাল কমিটির সদস্য।

    উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত (Maoist Gjarala Ravi)

    পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে উদয়ের বয়স ৬২। সে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। আটের দশকে সে যোগ দেয় মাওবাদীদের পিপলস ওয়ার গ্রুপে। দেশে বহু নাশকতার ঘটনায় নাম জড়ায় তার। ২০০৪-০৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির সঙ্গে মাওবাদীদের শান্তি আলোচনায় যে দল যোগ দিয়েছিল, সেই দলে ছিলেন উদয়ও। পুলিশের দাবি, উদয়ের গোটা পরিবার মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। যৌথবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হয় উদয়ের দাদা আজাদ এবং শ্যালিকা। আত্মসমর্পণ করে উদয়ের ভাই।

    খতম উদয়-সহ তিন মাওবাদী

    পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে মারেদুমিল্লির জঙ্গলে অভিযান চালায় যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী। ওই এলাকায় ১৬ জন মাওবাদীর একটি দল আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর পায় বাহিনী। এর পরেই এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় তল্লাশি। কোণঠাসা হয়ে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দু’পক্ষে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলে। শেষমেশ খতম হয় উদয়-সহ তিন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র (Maoist Gjarala Ravi)।

    জানা গিয়েছে, এওবিএসজেডসি-র স্পেশাল জোনাল কমিটির সেক্রেটারির পাশাপাশি উদয় ছিলেন অন্ধ্র-ওড়িশা বর্ডার জোনাল কমিটির সদস্যও। তার মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। ২৫ লাখ টাকা মাথার দাম ছিল অরুণারও। আরাকুর বিধায়ক কিদারি সর্বেশ্বরা রাও এবং প্রাক্তন বিধায়ক সিভেরি সোমার হত্যাকাণ্ডে অরুণা জড়িত (Andhra Pradesh) ছিলেন। অরুণার বাড়ি বিশাখাপত্তনমের পেন্ডুরথি মণ্ডলের কারাকাভানিপালেম এলাকায় (Maoist Gjarala Ravi)।

  • Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদাউ করে জ্বলছে ইরানের তেলকূপ। সেই আগুনের লেলিহান শিখা যত ছড়াচ্ছে, ততই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশ্বে। না, কোনও পরিবেশজনিত কারণে এই উদ্বেগ নয়। এই উদ্বেগ বিশ্বের চালিকা শক্তিকে ঘিরে। এই চিন্তা জ্বালানি তেলকে (Crude Oil Crisis) ঘিরে।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষের (Israel Iran Conflict) মাঝে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের একের পর এক তেলের খনিতে আছড়ে পড়ছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তেহরানও। ফলে, সংঘর্ষ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই, উল্টে তার পরিধি ও প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি চাপা উৎকণ্ঠা (Crude Oil Crisis)।

    দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ইরান

    কেন? বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। বিশ্বে তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা ওপেক-এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র এটি। ইরান সহ বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলির গোষ্ঠী অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (সংক্ষেপে ওপেক) গড়ে দৈনিক ১২ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করে (Crude Oil Crisis)। এর মধ্যে, ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যার মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ ব্যারেল রফতানি করা হয়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইরান একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি

    তথ্য বলছে, ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষ (Israel Iran Conflict) শুরু হওয়া ইস্তক, বিশ্বের দৈনিক তেল উৎপাদনের পরিমাণ ১২ কোটি থেকে কমে ৯.৭ কোটি ব্যারেল হয়েছে। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই ঘাটতি ইরানের থেকেই উৎপন্ন। ফলে, ইরানের যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব তেলের বাজারে (Crude Oil Crisis)। যুদ্ধ শুরু ইস্তক আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের মানদণ্ড ব্রেন্ট-এর প্রকাশিত দৈনিক মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.২ শতাংশ বেড়েছে। গত ১৪টি সেশনে বেড়েছে ৯ বার! অর্থাৎ, সেশন-প্রতি ১.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি।

    ৮৫ শতাংশ তেল আমদানি করে ভারত

    বিশ্বে তেল আমদানিকারী দেশগুলির অন্যতম ভারত। বর্তমানে, প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তবে, বিগত ২ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়েছে ভারত। এখন এই ৮৫ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ তেলই ভারত কেনে রাশিয়া থেকে। এটা চালু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। সেই সময় অত্যন্ত সুকৌশল অবলম্বন করে রাশিয়া থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি শুরু করে ভারত। একটা সময় ছিল, যখন ভারত ২৭টি দেশ (মূলত ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত) থেকে তেল আমদানি করত। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। ফলে, ভারতের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। যার জেরে দেশের তেল সরবরাহ সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    হরমুজ প্রণালির গুরুত্ব কতটা?

    তবে, ভারতের আশঙ্কা কি একেবারেই নেই? না, অবশ্যই রয়েছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) জেরে যদি হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটা আশঙ্কা (Crude Oil Crisis) তৈরি হতে পারে। কী এই হরমুজ প্রণালি? কোথায় অবস্থিত? কেন এতটা তাৎপর্যপূর্ণ? হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়।হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই হরমুজ প্রণালির উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সবচেয়ে বড় কথা, এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ইরানের হাতে।

    কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?

    মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল মূলত হরমুজ প্রণালি রুট দিয়ে ভারতে আসে। শুধু ভারত নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ। বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) প্রতিদিন এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত।

    ভারতের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৩৩ শতাংশ এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। এই রাস্তা বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ (Crude Oil Crisis) বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    বিকল্প পথ তৈরি ভারতের

    তাহলে ভারতের সামনে উপায় কী? পশ্চিম এশিয়ায় সম্ভাব্য টালমাটাল পরস্থিতির (Israel Iran Conflict) কথা চিন্তা করে আগাম বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছে ভারত। এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত। যেগুলি ভারত মহাসাগর হয়ে আসে। তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে, সেই পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে, তাতে অর্থ ও সময় দুই বেশি ব্যয় হবে। ফলে, বাড়বে তেলের দাম। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    যদিও, দেশে জ্বালানি তেল নিয়ে সঙ্কট তৈরি হবে না বলে অভয় দিচ্ছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের মতে, দাম বাড়লেও, সরবরাহের কোনও ঘাটতি হবে না। তৈরি হবে না দেশে তেলের ভান্ডারগুলিতে যে পরিমাণ তেল মজুত রয়েছে, তাতে কোনও সঙ্কট তৈরি হবে না বলেই আশ্বাস দিচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫৬ লক্ষ ব্যারেল তেল ব্যবহার হয় ভারতে (Israel Iran Conflict)। এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল পরিমাণ তেল হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। বাকিগুলি এখন আসে অন্য রুট দিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে এই রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে দিল্লি। উপরন্তু, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ১০ দিনের তেল।

    ফলে, এখনই ভারতের চিন্তার কিছু নেই (Crude Oil Crisis)।

  • Indian Railway: বাঁধা হল ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এর সংখ্যা, জালিয়াতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, চালু ১ জুলাই থেকে

    Indian Railway: বাঁধা হল ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এর সংখ্যা, জালিয়াতি রুখতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, চালু ১ জুলাই থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর লম্বা হবে না ট্রেনের (Indian Railway) ওয়েটিং লিস্ট। এবার ভারতীয় রেল বেঁধে দিল এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যা। সাধারণত দূরপাল্লা বা মাঝারি দূরত্বে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা অনেক আগেই টিকিট কাটেন। রেলের (Railway) নিয়ম অনুযায়ী, দুই মাস আগে থেকেই সংরক্ষিত টিকিট কাটার সুযোগ পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, বুকিং শুরুর কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের মধ্যেই টিকিট একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়।

    কত টিকিট কাটা যাবে?

    এবার আর ইচ্ছেমতো টিকিট কাটা যাবে না (Indian Railway)। নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ভারতীয় রেল, ওয়েটিং লিস্টে কত টিকিট কাটা যাবে। ভারতীয় রেলের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, যে কোনও শ্রেণির কামরায়, সে স্লিপার হোক বা এসি মোট আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট ওয়েটিং লিস্টে কাটা যাবে। তৎকাল টিকিটের (Indian Railway) ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম চালু হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। রেলসূত্রের খবর, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।

    দালাল চক্র রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত

    তবে কেন এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে? এ বিষয়ে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক এজেন্ট মোটা টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কেটে দেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, সেই টিকিট নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রায় থাকে না। এই দালালচক্রের মোকাবিলা করতেই এবার ওয়েটিং লিস্ট সীমিত করা হচ্ছে। সাধারণত অতীতে ওয়েটিং লিস্টে কত টিকিট কাটা যেতে পারে, এই নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা ছিল না। কোথাও ৩০০, কোথাও আবার ৪০০ পর্যন্ত ওয়েটিং লিস্টে টিকিট কাটা যেত। তবে এবার তা আর সম্ভব হবে না। জালিয়াতি ঠেকাতে আরও কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)।

    তৎকাল টিকিটে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক

    তৎকাল টিকিট কাটার নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। রেলের অধীনস্থ সংস্থা আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে তৎকাল টিকিট কাটতে হলে যাত্রীদের আধার কার্ড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ তৎকাল টিকিট (Railway) কাটতে গেলে এবার আধার কার্ড লাগবেই। আগামী ১ জুলাই থেকেই চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম। শুধু অনলাইনের ক্ষেত্রেই নয়, স্টেশনের কাউন্টারে গিয়েও যাঁরা তৎকাল টিকিট কাটবেন, তাঁদেরও আধার কার্ড দেখাতে হবে।

  • UPI Payments: এবার থেকে আরও দ্রুত লেনদেনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ইউপিআই ব্যবহারকারীরা

    UPI Payments: এবার থেকে আরও দ্রুত লেনদেনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ইউপিআই ব্যবহারকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ১৬ জুন থেকেই ভারতের ইউপিআই (UPI Payments) ব্যবহারকারীরা আরও দ্রুত লেনদেনের সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন। এই মর্মে নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) (NPCI)। এখন থেকে ইউপিআইয়ের লেনদেনের সময় ৩০ সেকেন্ড থেকে কমিয়ে ১৫ সেকেন্ড করা হয়েছে।

    পরিবর্তন প্রযোজ্য কোন কোন ক্ষেত্রে?

    জানা গিয়েছে, এই পরিবর্তন প্রযোজ্য হবে ফোন পে, গুগল পে এবং পেটিএম-এর মতো শীর্ষস্থানীয় পেমেন্ট অ্যাপে। এছাড়াও, এনপিসিআই পেমেন্টের স্থিতি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াটিও সহজ করেছে। আগে ব্যবহারকারীদের লেনদেন সফল হয়েছে কি না, তা জানতে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। এখন সেই সময় কমিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ডে আনা হয়েছে, যার ফলে ব্যবহারকারীরা আরও দ্রুত আপডেট পাবেন এবং পেমেন্টের সময় বিভ্রান্তিও কমবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি কোনও দোকানে ইউপিআই কিউআর স্ক্যান করে ৫০০ টাকা দেয়, তাহলে আগের তুলনায় এখন প্রায় অর্ধেক সময়ে অর্থাৎ প্রায় ১৫ সেকেন্ডেই লেনদেন সম্পন্ন হবে। এর ফলে চেকআউটের সময় দ্রুত নিশ্চিতকরণ সম্ভব হবে এবং ব্যস্ত সময়ে বিভ্রান্তি অনেকটাই কমবে।

    মুলতুবি লেনদেন পরিচালন পদ্ধতিও উন্নত

    এনপিসিআই ব্যাঙ্ক ও পেমেন্ট অ্যাপগুলির জন্য মুলতুবি লেনদেন পরিচালন পদ্ধতিও উন্নত করেছে। আগে কোনও লেনদেনে দেরি হলে তার অবস্থা জানার জন্য ৯০ সেকেন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। নয়া ব্যবস্থায় লেনদেন শুরু হওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই তারা অবস্থা যাচাই করতে পারবে। এর ফলে ব্যর্থ বা বিলম্বিত লেনদেনের আরও দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে (UPI Payments)। যে সব ক্ষেত্রে কোনও পেমেন্ট কখনও ইউপিআই সিস্টেমে পৌঁছায় না (নেটওয়ার্ক সমস্যা বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে), সে সব লেনদেন এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে “ব্যর্থ” বলে চিহ্নিত হবে। এতে সময় বাঁচবে এবং ব্যবহারকারীদের আর অপ্রয়োজনীয়ভাবে স্টেটাস আপডেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

    সিস্টেমে যাতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে, তাই এনপিসিআই স্টেটাস চেকের সংখ্যা সীমিত (NPCI) করেছে। এখন প্রতিটি পেমেন্ট অ্যাপ বা ব্যাংক সর্বোচ্চ তিনবার পর্যন্ত দু’ঘণ্টার মধ্যে, কোনও লেনদেনের স্টেটাস যাচাই করতে পারবে (UPI Payments)।

  • Sarbananda Sonowal: “পাটনায় ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে,” বললেন সোনোয়াল

    Sarbananda Sonowal: “পাটনায় ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে,” বললেন সোনোয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাটনায় ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” সোমবার বিহারের (Bihar) রাজধানী পাটনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় জলপথ-১ (গঙ্গা নদী) সংক্রান্ত পরামর্শমূলক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় পোর্ট, শিপিং ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল (Sarbananda Sonowal)। পাটনায় এই জাতীয় কর্মশালার আয়োজন এই প্রথম। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আজকের এই পরামর্শমূলক কর্মশালায় আমরা আমাদের নদীগুলিকে, বিশেষ করে জাতীয় জলপথগুলিকে, পুনরুজ্জীবিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার পুনরায় অঙ্গীকার করছি যাতে সেগুলি আমাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চালিকা শক্তি হয়ে উঠতে পারে, শুধু অতীতের স্মৃতিচিহ্ন নয়। আইডাব্লুটি হল সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন, ব্যয়-সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থা।” কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “আমি পবিত্র গঙ্গা নদীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এটি এই ভূমির জীবনের, সভ্যতার ও আধ্যাত্মিক শক্তির চিরন্তন উৎস। তাঁর প্রবহমান জলে লুকিয়ে আছে শতাব্দীর সংস্কৃতি, জ্ঞান, জীবিকা ও উত্তরাধিকার। গঙ্গা শুধুই একটি নদী নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের হৃদস্পন্দন। আজ যখন আমরা পাটনায়—এই শহর যিনি নিজে আগলে রেখেছেন, সেখানে একত্রিত হয়েছি, তখন আমরা ফের প্রতিজ্ঞা করছি এই পবিত্র নদীকে জাতির আধুনিক উন্নয়ন ও রূপান্তরের যাত্রার সঙ্গে একত্রিত করার।”

    ওয়াটার মেট্রো (Sarbananda Sonowal)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, বিহার সরকার, বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রণালয় এবং ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মধ্যে একটি যৌথ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে, যাতে বিহারে গঙ্গা নদীর ওপর টেকসই উন্নয়নের সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করা যায়। এর পরেই মন্ত্রী (Sarbananda Sonowal) বলেন, “পাটনায় একটি ওয়াটার মেট্রো চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটি কোচি ওয়াটার মেট্রোর সফল মডেলকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে অনুসরণ করবে। তবে এটা নির্ভর করবে পাটনার ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর। প্রস্তাবিত এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হল গঙ্গার দুই তীরকে সংযুক্ত করা এবং রাজধানী শহরের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন, দক্ষ ও আধুনিক শহরভিত্তিক পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। পাটনায় একটি জাহাজ মেরামত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যাতে অভ্যন্তরীণ জাহাজ পরিবহণ ব্যবস্থার জন্য একটি শক্তিশালী পরিবকাঠামো তৈরি হয়।”

    জাহাজ মেরামত কেন্দ্র

    তিনি বলেন, “এই কেন্দ্রে কেবল জাহাজ মেরামতের কাজই হবে না, বরং নতুন জাহাজ নির্মাণের সুবিধাও থাকবে। এই প্রকল্পগুলি গঙ্গা নদীকে টেকসই শহরভিত্তিক (Bihar) পরিবহণের একটি প্রাণরেখা হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং নদীকেন্দ্রিক পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের জাতীয় প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (Sarbananda Sonowal)।”

LinkedIn
Share