Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: বিচারপতি ভার্মার আর্জি শোনার প্রয়োজন নেই, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্তর্বর্তী তদন্ত রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা (Justice Yashwant Varma) যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এজি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এই আর্জি শোনার কোনও প্রয়োজন নেই, কারণ বিচারপতি ভার্মা নিজেই সেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় (Supreme Court) অংশ নিয়েছিলেন। রায়দানের সময় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াটি আইনানুগভাবে পরিচালিত হয়েছে। এটি কোনও সমান্তরাল বা অতিসাংবিধানিক বিষয় নয়।” এই মামলার শুনানি শেষে ৩০ জুলাই রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।

    রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে

    প্রসঙ্গত, বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) একটি ‘ইন-হাউস’ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বিচারপতি ভার্মাকে (Justice Yashwant Varma) অপসারণের সুপারিশ করেন। রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।

    বিচারপতি ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল

    এই সুপারিশ ও তদন্ত প্রক্রিয়ার আইনগত বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বিচারপতি ভার্মা। তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তদন্ত আইনসিদ্ধ এবং যথাযথভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। সেই কারণেই বিচারপতি ভার্মার আর্জি গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানানো হয়। এদিনের রায়ের মাধ্যমে কার্যত সুপ্রিম কোর্টের ‘ইন-হাউস’ তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতাকেই সিলমোহর দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এই রায়ের পর বিচারপতি ভার্মার অপসারণের পথে আর কোনও আইনি বাধা থাকল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্নে এই রায়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

  • Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) অগাস্ট মাসের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে ডোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়। যদিও পুতিনের (Putin) সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে এই সফর

    মাত্র একদিন আগেই, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রেক্ষিতে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আনতে পারে আমেরিকা।

    ট্রাম্পকে একহাত নিলেন রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র

    বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলি আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।”

    পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    এমন আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, বৈঠকের জন্য দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তবে কোথায় ও কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অর্থনীতির উপরও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময়েই রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে, এবং ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নয়াদিল্লি তার মোট তেলের চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে পূরণ করে।

  • PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “ভারত কখনওই কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না,” ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না।”  পর পর দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করার পর বৃহস্পতিবারই এমন প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন দিল্লিতে এমএস স্বামীনাথন জন্মশতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির সাফ কথা (PM Modi)

    সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং মৎস্যজীবী ভাই-বোনদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি যে, এর জন্য আমাকে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে, কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত। ভারত দৃঢ়ভাবে তার কৃষকদের পাশে আছে, এবং তাদের কল্যাণের জন্য যা কিছুই করতে হয়, আমি তা-ই করতে প্রস্তুত।” উল্লেখ্য, দেশের কৃষিক্ষেত্রে কার্যত বিপ্লব ঘটিয়েছিল সবুজ বিপ্লব। এই বিপ্লবের স্থপতি ছিলেন কৃষিবিজ্ঞানী স্বামীনাথন। তাঁর জনশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের কৃষক সমাজকেও বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটি এসেছে এমন একটা সময়ে যখন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ভারত একে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অবিবেচনাপ্রসূত বলে অভিহিত করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকেই টার্গেট করেছে। যদিও এই বিষয়ে নয়াদিল্লি (PM Modi) তার অবস্থান স্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “আমাদের আমদানি বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ১৪০ কোটিরও বেশি ভারতীয় নাগরিকের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।” আমেরিকার এই পদক্ষেপকে গভীরভাবে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, অনেক দেশই তাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে এখনও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। কেবলমাত্র ভারতকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য নিশানা করাকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে যে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও আমার সরকার গ্রামীণ জনগণের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    বাধার প্রাচীর কেবল তেল নয়, কৃষিও

    যদিও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তবুও বাজারে প্রবেশাধিকারের চাহিদা, ভর্তুকি কাঠামো এবং খাদ্য নিরাপত্তার অগ্রাধিকারের মৌলিক পার্থক্যের কারণে কৃষিও দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনায় একটি বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারতীয় বাজারে আরও বড় প্রবেশাধিকার চায়। অথচ ভারত চায় তার অভ্যন্তরীণ কৃষি খাতকে সুরক্ষা দিতে। এটি একটি বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হয়।জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) ফসল, স্বাস্থ্য ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্যবিধি মানদণ্ড এবং স্থানীয় জীবিকার সম্ভাব্য বিঘ্ন নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই। এটা আলোচনাকে আরও জটিল করে তোলে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার সবচেয়ে সংবেদনশীল ও বিতর্কিত অংশগুলির একটি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। তবে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ যাতে না থাকে, তাই ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ, এবং ভারত কোনও চাপের কাছেই নত হবে না (PM Modi)।

    বাণিজ্যচুক্তি আপাতত বিশ বাঁও জলে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। এখনও পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে পাঁচ দফায়। আরও আলোচনা হওয়ার কথা। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে একটি অন্তবর্তী সমঝোতা সেরে নিতে চাইছে দুই দেশ। চলতি মাসেই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের ভারতে আসার কথা। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার। এতেই আপত্তি জানিয়েছে ভারত। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদির দেশ (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তার ফলে ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় কোনও পণ্য রফতানি করতে হলে সব মিলিয়ে ভারতকে দিতে হবে ৫০ শতাংশ শুল্ক। পরে ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা হলে দেশগুলির ওপর আরও অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে (PM Modi)।”

  • PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    PM Modi: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধে বদলাচ্ছে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ, ঘনিষ্ঠ হচ্ছে চিন ও ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ! অন্তত এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তিনি ফিরে এলেই, চলতি মাসের মাঝামাঝি মস্কো সফরে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এরই মধ্যে, ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর (SCO Summit) আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের এই কড়া শুল্ক-পদক্ষেপের আবহে চলতি মাসেই চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতেই চিন যাত্রা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর এটাই হতে চলেছে তাঁর প্রথম চিন সফর।

    এসসিও সম্মেলন (PM Modi)

    তিয়ানজিনের উত্তরের বন্দর শহরে আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এসসিও সম্মেলন। সেই কারণেই চিন সফরে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর চিন সফরটি এমন একটা সময়ে হতে যাচ্ছে যখন ভারত একদিকে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত কঠোর নতুন বাণিজ্য শুল্কের প্রভাবের মোকাবিলা করছে, তেমনি অন্যদিকে রাশিয়া থেকে তেলের আমদানির কারণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের মুখোমুখিও হয়েছে। এসসিও সম্মেলনে মোদির উপস্থিতিকে অনেকেই ভারতের কৌশলগত অবস্থান পুনর্বিবেচনার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, বিশেষ করে যখন পশ্চিমী বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    চিন সফরে মোদি

    ২০১৯ সালে শেষবারের মতো চিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিন সংঘর্ষের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে। অবশ্য গত বছরে রাশিয়ার কাজানে আন্তর্জাতিক জোট ব্রিকসের পার্শ্ববৈঠকে সাক্ষাৎ করেন মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তারপর থেকে ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভারত-চিনের সম্পর্ক (SCO Summit)।

    ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকি

    সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকির জেরে কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে পড়শি এই দুই (PM Modi) দেশ। বেজিংও আপ্রাণ চেষ্টা করছে নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করতে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে তারা ব্যবহার করছে যথাক্রমে ‘হাতি’ ও ‘ড্রাগনে’র উপমা। চিনের সাফ কথা, ‘ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে একসঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা না বলে পরস্পরকে সাহায্য করতে হবে। তাতেই লাভ হবে দুই দেশের। যদি এশিয়ার বৃহত্তম দুই অর্থনীতি একজোট হয়, তবে তা লাভজনক হবে সমগ্র বিশ্বের পক্ষেই।’ এহেন আবহে মোদির চিন সফরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তামাম বিশ্ব।

    চিন ঘুরে এসেছেন রাজনাথ-জয়শঙ্কর

    মোদির চিন সফরের আগে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলাদা সম্মেলন হয়ে গিয়েছে। প্রথমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উভয়েই সেই উপলক্ষে চিন সফরে গিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের নাম না (SCO Summit) নিয়েই তাকে আক্রমণ করেন রাজনাথ। সাফ জানিয়ে দেন (PM Modi), সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত কোনও দু’মুখো আচরণ বরদাস্ত করবে না। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ মুহম্মদ। তাঁর সামনেই ভারতের এই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এবার চিনে হবে এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মলেন উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানরা। থাকার কথা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরও। তাই শরিফের উপস্থিতিতে ভারত কী বলে, তা শুনতেও মুখিয়ে রয়েছেন বিশ্ববাসী।

    চিনের বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময় পাকিস্তানের দিকে যারা ঝুঁকেছিল, তাদের মধ্যে ছিল চিনও। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে চিনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ ভোরে ভারত যে সেনা অভিযান চালিয়েছে, তা দুঃখজনক (PM Modi)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান চিরকাল পরস্পরের প্রতিবেশী হিসেবেই বিরাজ করবে। তারাও চিনের প্রতিবেশী। চিন সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধী। দুপক্ষের কাছেই আবেদন, বৃহত্তর স্বার্থে, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সংযত থাকুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে (SCO Summit)।’

    পরে অবশ্য আর একটি বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “চিন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কঠোর বিরোধিতা করে এবং ২২ এপ্রিল সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে। চিন আঞ্চলিক দেশগুলিকে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা জোরদার করার এবং যৌথভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার আহ্বান জানায় (PM Modi)।”

  • US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    US Tariff on India: ‘‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’’! আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের পণ্যে আমেরিকার বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariff on India) আরোপের সিদ্ধান্তের নিন্দা করল বিদেশ মন্ত্রক। বুধবারই ভারতের উপর শুল্কের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। আমেরিকার এই পদক্ষেপ ‘অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক’ বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত।’

    কেন এই পদক্ষেপ

    মঙ্গলবারই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, আমেরিকা ভারতের উপর ‘খুব উল্লেখযোগ্যভাবে’ শুল্ক (US Tariff on India) বৃদ্ধি করতে চলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারত বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আমেরিকা। সেইমতোই রাশিয়ার কাছে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের উপর অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এই মর্মে এক্সকিউটিভ অর্ডারে তিনি সইও করে দিয়েছেন। এরই পাল্টা হিসেবে কড়া বিবৃতি জারি করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতিটি সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে আমেরিকা। আমরা এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছি। আমাদের আমদানি বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। অন্য অনেক দেশ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে একই পদক্ষেপ করছে। তা সত্ত্বেও বাড়তি শুল্ক আরোপের জন্য আমেরিকা বেছে নিচ্ছে ভারতকে, যা দুর্ভাগ্যজনক। এই পদক্ষেপ অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ভারত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’

    কবে থেকে কার্যকর অতিরিক্ত শুল্ক

    ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক (US Tariff on India) নিয়ে মোট ন’দফা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। বলা হয়েছে, রুশ সরকারের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোভাবে তেল কিনে চলেছে ভারত সরকার। এর ফলে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপবে। এই নির্দেশিকার ২১ দিনের মাথায়, মধ্যরাত ১২টা বেজে ১ মিনিট থেকে নয়া হারে শুল্ক কার্যকর হবে আমেরিকার বাজারে এসে পৌঁছনো, গুদাম থেকে বের করা ভারতীয় পণ্যের উপর। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ভারতের উপর ইতিমধ্যে যে শুল্ক, কর, ফি, আরোপ করা হয়েছে, তার উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, আরও যেমন যেমন তথ্য হাতে পাবেন তিনি, এই নির্দেশিকায় তেমন তেমন রদবদলও ঘটাতে পারেন। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যে। তা ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বুধবারের বাড়তি ২৫ শতাংশের ফলে আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতকে আমেরিকায় রফতানি করতে হলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এই ঘোষণার পর আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কের তালিকায় চলে এল ভারতের নাম। এ ছাড়া, ব্রাজিলের পণ্যের উপরেও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

    জাতীয় স্বার্থ দেখেই কাজ করবে দিল্লি

    ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। এখনও পূর্ব ইউরোপে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্ব তাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ বাণিজ্য যে কারণে বড়সড় ধাক্কা খায়। সেই সময়ে রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই সময়। ভারত সারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। এই মুহূর্তে ভারত যে তেল আমদানি করে তার ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে। আমেরিকার লাগাতার হুমকির মুখেও এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধের কথা বলেনি নয়াদিল্লি। আগেই এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। বলা হয়েছিল, জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখে ভারত তার বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ, বাজারে কে কত দাম নিচ্ছে, সেই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করে বলেই ভারত তা কিনে থাকে। ভারত বারবার বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তার বাণিজ্য, বিশেষ করে জ্বালানি আমদানি, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এবং কোনও একক দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমেরিকার বক্তব্য, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার ফলে সেই টাকা ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। যুদ্ধে অর্থসাহায্য হচ্ছে ভারতের দেওয়া টাকায়। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও নীতির ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি করল বলেই, অনুমান আন্তর্জাতিক মহলের।

  • India Philippines Relation: ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত, ফিলিপিন্সের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা মোদির

    India Philippines Relation: ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত, ফিলিপিন্সের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন শুল্ক নীতি নিয়ে ট্রাম্পের হুমকির মাঝেই এবার ফিলিপিন্সের (India Philippines Relation) সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সদ্য ভারতে সফরে এসেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। আর তাঁর এই ভারত সফরের সময়ই ভারত-ফিলিপিন্স কৌশলী অংশিদারিত্বের সমঝোতা হয়। এছাড়াও ভারতীয় পর্যটকদের ভিসা ছাড়াই সেদেশে প্রবেশের বিষয়ে ফিলিপিন্স ছাড়পত্র দিয়েছে। পাশাপাশি ভারতও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দিল্লি-ম্যানিলা আরও বেশি সরাসরি বিমান চলাচল হবে।

    দুই দেশের মধ্যে কোন কোন চুক্তি

    সোমবার, চারদিনের ভারত সফরে এসেছেন ফিলিপিন্সের (India Philippines Relation) প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তাঁর প্রথম ভারত সফর। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারত এবং ফিলিপিন্স ইচ্ছানুযায়ী বন্ধু এবং ভাগ্যানুযায়ী অংশীদার। ভারত মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত, আমরা ভাগ করে নেওয়া মূল্যবোধের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের বন্ধুত্ব কেবল অতীতের বন্ধুত্ব নয়, এটি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। ‘ভারত এবং ফিলিপিন্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উদযাপন করছে এবং এই উপলক্ষে দুই রাষ্ট্রনেতা একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে ৯ টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফিলিপিন্স ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন যে, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য, ভারত-আসিয়ান ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র পর্যালোচনা শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এর সাথে সাথে, একটি দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দিকেও কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আমাদের কোম্পানিগুলি ফিলিপাইনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করছে, যার মধ্যে তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, অটোমোবাইল, পরিকাঠামো, খনিজ পদার্থ রয়েছে।

    অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে ফিলিপিন্স গুরুত্বপূর্ণ 

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন স্পষ্ট করে দেন, ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতিতে ফিলিপিন্স (India Philippines Relation) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এবং ভারতের ‘মহাসাগর’ নীতিরও সহযোগী। মোদি স্পষ্ট জানান,’আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌ-চলাচলের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি।’উল্লেখ্য, রবিবার থেকে ‘বিতর্কিত’ দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত এবং ফিলিপিন্সের নৌবাহিনী যৌথ যুদ্ধমহড়া শুরু করেছে। দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলে বেজিংকে চাপে রাখার জন্য আমেরিকা গত বছর ‘স্কোয়াড’ নামে যে চতুর্দেশীয় সামরিক জোট গড়েছ, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের পাশাপাশি ফিলিপিন্স তার অন্যতম সদস্য। এই আবহে নয়াদিল্লি-ম্যানিলার এই সামরিক সমঝোতা চিনকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতি খুব ভালোভাবে চলছে। বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি অবদান রাখছে ভারত। এমন মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে (Indian Economy) “মৃত” বলে মন্তব্য করার পর এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আর্থিক নীতি কমিটির (MPC) বৈঠক হয়। সেখানেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৫.৫ শতাংশই থাকছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল

    আরবিআই (RBI) সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জয় বলেন, “চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে আইএমএফ ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বলে অনুমান করছে। আমরা প্রায় ১৮ শতাংশ অবদান রাখছি, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি — তাদের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ বা তারও কম।” তিনি বলেন, “আমরা খুব ভালো করছি এবং ভবিষ্যতেও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবো।” তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তিনি বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে মার্কিন শুল্কের বড় কোনও প্রভাব পড়বে বলে আমাদের মনে হয় না।”

    পাশে রয়েছে ভারত সরকার

    ভারত-মার্কিন বানিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনার সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। ওরা একসাথে নিজেদের মৃত অর্থনীতি নিয়ে এগিয়ে যাক।” ভারতের (Indian Economy) রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত নিয়েই ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনে মন্তব্য শুধুমাত্র ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিতে পারে না, বরং ভারতের ওপর ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট শুল্ক বা রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও তৈরি করেছে। আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর পুনম গুপ্ত বলেন, “এই ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের মুদ্রাস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে ভারত যদি রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধও করে দেয়, তাহলেও দেশীয় মুদ্রাস্ফীতির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান আরবিআই গভর্নর। তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরে যদি তেলের দাম বেড়ে যায়, তাহলে সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমাতে পারে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব না পড়ে।”

  • Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Kartavya Bhavan: অত্যাধুনিক সুবিধা ও সজ্জায় সজ্জিত ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ও দফতরগুলিকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসার কথা মাথায় রেখেই অভিন্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয় গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার কমন সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েটের প্রথম বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন, ‘কর্তব্য ভবন ৩’-এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই নতুন ভবনটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের কার্যালয় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে নর্থ ব্লক থেকে পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ভবনে স্থানান্তরিত হবে।

    সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পেপ অংশ

    ভারতের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে। এই মহাপরিকল্পনার অধীনে ইতিমধ্যে নতুন সংসদ ভবন চালু হয়েছে, যা দেশের আইন প্রণয়নের কেন্দ্র। এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রাজপথের (বর্তমানে ‘কর্তব্য পথ’) সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এবার ১০টি কর্তব্য ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। লক্ষ্য, ভারতের প্রশাসনিক পরিকাঠামোকে আরও আধুনিক ও সুসংহত করা। এরই প্রথম ভবনের উদ্বোধন হল বুধবার। গোটা পরিকল্পনা ও রূপায়ণের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।

    উঠে আসছে আরও ৯ কর্তব্য ভবন

    জানা গিয়েছে, ‘কর্তব্য ভবন ৩’ প্রায় দেড় লক্ষ বর্গমিটার আয়তনের একটি আধুনিক অফিস কমপ্লেক্স, যার দুটি বেসমেন্ট এবং সাত তলা জুড়ে বিস্তৃত। এতে স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, গ্রামীণ উন্নয়ন, এমএসএমই, ডিওপিটি, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক থাকবে। ‘কর্তব্য ভবন ১’ ও ‘কর্তব্য ভবন ২’-এর কাজ আগামী মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা। ‘কর্তব্য ভবন ১০’ -এর নির্মাণ কাজ আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। ভবন ৬ এবং ৭-এর প্রকল্পটি ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

    অত্যাধুনিক সুবিধা

    কর্তব্য ভবনটি একেবারে আধুনিক সজ্জা ও সুবিধায় সজ্জিত। নতুন ভবনটি আধুনিক প্রশাসনিক অবকাঠামোর একটি উদাহরণ। এর মধ্যে রয়েছে— আইটি-প্রস্তুত এবং সুরক্ষিত কর্মক্ষেত্র, আইডি কার্ড-ভিত্তিক অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ, সমন্বিত ইলেকট্রনিক নজরদারি এবং একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড সিস্টেম। ছাদে সৌর প্যানেল যা বছরে পাঁচ লক্ষ ইউনিটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে, ৩০ শতাংশ শক্তি সাশ্রয় হবে বলে আশা। এতে থাকছে ডাবল-গ্লেজড কাচের জানলা, সোলার ওয়াটার হিটার, উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বায়ুচলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং বৃষ্টির জল সংগ্রহের সুবিধা। এই নতুন ভবনে থাকছে ৩২৪টি পার্কিং স্লট, ১২০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জিং পয়েন্ট, প্রতিদিন ৬৫০টি যানবাহনকে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা।

  • Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    Ministry of Defence: দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে ৬৭০০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হতে চলেছে ভারতের অস্ত্রভান্ডার। শতাধিক ব্রহ্মস ও উন্নত ড্রোন কিনতে চলেছে ভারতীয় ফৌজ। ইতিমধ্যে অস্ত্র কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬৭ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।

    সামরিক বাহিনীর (Indian Armed Forces) আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে তাতে আরও গতি এসেছে। মঙ্গলবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি (ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি)। সেখানেই অস্ত্র কেনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    ৮৭টি ম্যাল সশস্ত্র ড্রোন

    জানা যাচ্ছে, তিন-বাহিনীর জন্য মাঝারি-উচ্চতায় দীর্ঘক্ষণ আকাশে উড়তে সক্ষম (ম্যাল) সম্পন্ন ৮৭টি সশস্ত্র ড্রোন কেনা হবে। সেই ড্রোনগুলি তৈরি হবে ৬০ শতাংশ দেশীয় উপকরণ দিয়ে। এর জন্য বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করবে একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি। কিনতে খরচ হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই সব ড্রোন কেনার পর ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আরও ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে।

    ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    এর পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতিতে নতুন ১১০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুনিয়ার দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল ব্রহ্মস। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে ভারত। জল, স্থল, আকাশ ও জলের নীচ— এই চার জায়গা থেকেই ছোড়া যায় ব্রহ্মস। এর প্রতিটির জন্য পৃথক সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সামরিক বাহিনী। ব্রহ্মসের গতি শব্দের চেয়ে তিনগুণ। দেশের প্রতিরক্ষাকে মাথায় রেখে এই ব্রহ্মসকে আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে ৫ দফা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্রহ্মসের পাল্লা ও গতি দুটোই বাড়ানো হচ্ছে।

    সাঁজোয়ার জন্য থার্মাল ইমেজার

    নৌবাহিনীর জন্য কমপ্যাক্ট অটোনমাস সারফেস ক্রাফ্ট কেনার অনুমোদন দিয়েছে ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিল। এই স্বয়ংক্রিয় নৌযান সাবমেরিন শনাক্ত করতে পারে। একইসঙ্গে বারাক-১ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আরও উন্নত করা হবে। স্থলসেনার ব্যবহৃত সাঁজোয়া সামরিক যানগুলির আধুনিকীকরণের অঙ্গ হিসেবে তার জন্য থার্মাল ইমেজার সহ উন্নতমানের ড্রাইভার নাইট সাইট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কম আলোয় বা রাতে চালকের দেখতে কোনও অসুবিধা হবে না।

    পাহাড়ি সীমান্তে মাউন্টেন রেডার

    এছাড়া, বায়ুসেনার সি-১৭ ও সি-১৩০জে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি, যাতে যুদ্ধের সময়ে পরিবহণ এবং উদ্ধারকাজে দেরি না হয়। একই সঙ্গে এস-৪০০ লং রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেম-এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বার্ষিক চুক্তির অনুমোদনও মিলেছে। আকাশপথে শত্রুর গতিবিধির উপরে নজর রাখতে পাহাড়ি সীমান্তে বসানো হবে মাউন্টেন রেডার। পাশাপাশি সক্ষম/স্পাইডার মিসাইল সিস্টেমকে আপগ্রেড করে ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কনট্রোল সিস্টেম (IACCS)-এর সঙ্গে যুক্ত করার কাজও চলবে জোরকদমে।

  • PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কৃতিত্ব দেওয়া হল মোদিকে, এনডিএ-র সংসদীয় বৈঠকে সেনাকে কুর্নিশ

    PM Modi: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কৃতিত্ব দেওয়া হল মোদিকে, এনডিএ-র সংসদীয় বৈঠকে সেনাকে কুর্নিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানের পরমাণু ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালানোর পর এই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। মঙ্গলবার সংসদে এনডিএর সংসদীয় বৈঠকে (NDA Parliamentary Meeting) সেনাকে কুর্নিশ জানিয়ে পাশ হল এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কারণে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনাও দেন এনডিএর সাংসদরা। এদিনের বৈঠকে ভাষণও দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংসদের বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের আচরণের তীব্র নিন্দাও করতে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।

    মোদি-স্তুতি (PM Modi)

    ৭ মে-র সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বলা হয়, “অপারেশন সিঁদুর ও অপারেশন মহাদেব চলাকালে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অতুলনীয় সাহস ও অটল নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছে, তার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।” বৈঠকে পাশ হওয়া প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, “তাদের সাহসিকতা আমাদের দেশ রক্ষায় তাদের অটল নিষ্ঠার প্রতিফলন। আমরা পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারানোদের প্রতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানাই।” বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গী দল তেলুগু দেশম পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড এবং অন্যান্য দলের সাংসদরাও এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অসাধারণ নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “তাঁর অটল সংকল্প, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কত্ব এবং দৃঢ় নেতৃত্ব কেবল জাতিকে লক্ষ্যপথে পরিচালিত করেনি, বরং সমস্ত ভারতবাসীর হৃদয়ে ঐক্য ও গর্বের নতুন স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছে।”

    পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন। বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রেক্ষিতে দিন পনেরো পরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, এই হামলা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) ঘটিয়েছে। এটি লস্কর-ই-তৈবার একটি ছদ্মনাম ও প্রক্সি সংগঠন। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত এনডিএ সাংসদরা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, বিহারের মধুবনিতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি অপরাধীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সেই কঠোর অবস্থানেরও প্রশংসা করা হয়, যার মাধ্যমে তিনি একটি “নয়া মানদণ্ড” তুলে ধরেছেন—যা এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভারতের ভবিষ্যৎ কৌশলের ভিত্তি হবে।

    প্রস্তাব পাশ

    “প্রথমত, ভারতের ওপর যদি কোনও জঙ্গি হামলা হয়, তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। আমরা আমাদের শর্তে জবাব দেব। সন্ত্রাসবাদের যে কোনও উৎসস্থানে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে (NDA Parliamentary Meeting)। দ্বিতীয়ত, ভারত (PM Modi) কোনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। যে সমস্ত জঙ্গি ঘাঁটি পারমাণবিক হুমকির ছত্রছায়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানে ভারত নির্ভুল ও কঠোর হামলা চালাবে।” তৃতীয়ত, আমরা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক কোনও সরকার এবং সন্ত্রাসবাদের মাস্টারমাইন্ডদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করব না।”

    স্বদেশায়নের ওপর জোর

    এছাড়াও, অভিযানের পর সরকারের স্বদেশায়নের ওপর জোর এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নিশ্চিত করেছিলেন যে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে বিভিন্ন দলের ৫৯ জন সাংসদ ৩২টি দেশ সফর করবেন। তা করাও হয়। এটি ভারতের অন্যতম একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান, যা তুলে ধরেছে যে ভারত কীভাবে সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে এবং কেন বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে জঙ্গি হামলা গোটা মানবজাতির বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। বিরোধী দলের সাংসদদের অংশগ্রহণ আমাদের গণতন্ত্রের পরিপক্বতা এবং প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কসুলভ মনোভাবকে তুলে ধরে, যিনি বিশ্বাস করেন যে জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে আমরা সকলে একজোট।”

    বিরোধীদের কটাক্ষ

    এদিনের ভাষণে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিরোধীরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা চেয়ে আদতে সরকার পক্ষেরই সুবিধা করে দিয়েছেন। এমন বিরোধী কোথায় পাবেন, যেখানে বিরোধীরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারে? বিরোধীরা এরকম আলোচনার দাবি প্রতিনিয়ত করতে পারেন।” রাহুল গান্ধী সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের অবজারভেশনেই সবটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। গতকাল দেশের শীর্ষ আদালত যেভাবে তিরস্কার করেছে, তারপর আর আমার আর কিছু বলার নেই। আমরা আর কী বলব যখন সুপ্রিম কোর্টই এত বড় কথা বলে দিয়েছে। এটা কেবল নিজের পায়েই কুড়ুল মারা (NDA Parliamentary Meeting) নয়, যাঁড়কে আমন্ত্রণ জানানোর মতো বিপজ্জনকও বটে। আমার সঙ্গে ভগবান রয়েছেন (PM Modi)।”

LinkedIn
Share