Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারত (RBI)। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতীয় রুপির (Rupee) ব্যবহার বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির জন্য বিশেষ রুপি ভস্ত্রো অ্যাকাউন্ট (Special Rupee Vostro Accounts সংক্ষেপে  SRVA) খোলার প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য রুপিতে অর্থ জমা ও ব্যবহার করতে পারে। ফলে ভারতীয় রফতানিকারী এবং আমদানিকারীদের ডলার বা ইউরোর মতো তৃতীয় পক্ষের কোনও মুদ্রার প্রয়োজন হয় না।

    নয়া নিয়ম (RBI)

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলার ক্যাটাগরি-১-এ অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের জন্য এসআরভিএ খোলার আগে আর আরবিআইয়ের আগাম অনুমতি নিতে হবে না। আগে প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে আরবিআইয়ের অনুমোদন নিতে হত। এতে সব কাজে দেরি হত। এই পরিবর্তনের ফলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ হবে। বিদেশি ব্যাঙ্কের জন্য এই রুপি অ্যাকাউন্ট দ্রুত খোলার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আরবিআইয়ের আশা, বাণিজ্য নিষ্পত্তির গতি বাড়বে, ভারতের বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে রুপিকে একটি নির্ভরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

    আববিআইয়ের সার্কুলার

    এই পদক্ষেপটি সার্কুলার নং আরবিআই/২০২৫-২৬/৭১ এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় এবং আরবিআইয়ের চিফ জেনারেল ম্যানেজার এন সেন্টিল কুমার স্বাক্ষর করেন। এটি বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA), ১৯৯৯-এর ১০(৪) ও ১১(১) ধারা অনুসারে গৃহীত হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী ব্যবস্থার থেকে ভিন্ন, যেখানে প্রতিটি এসআরভিএ খোলার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্কের পৃথক অনুমোদন প্রয়োজন হত। বর্তমান বিশ্বে স্থানীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১ মার্কিন ডলারের মূল্যমান ৮৬.৭০ রুপিতে পৌঁছেছে। বিদেশি মুদ্রার অস্থিরতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক পথজুড়ে নিষেধাজ্ঞার চলমান প্রভাব, এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক দেশের অর্থনীতিকে তাদের লেনদেন নিষ্পত্তির বিকল্প বৈচিত্র্যময় করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং মলদ্বীপের সঙ্গে মউ (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যা স্থানীয় মুদ্রায়, বিশেষত রুপিতে লেনদেনকে (Rupee) সক্ষম করবে।

    ভারতীয় রুপির কাঠামো

    ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ জুলাই ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য ভারতীয় রুপির কাঠামোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার পর এসেছে। ওই কাঠামোর অধীনে ভারতীয় রফতানিকারী ও আমদানিকারীদের জন্য বিশেষ ভোস্ট্রো রুপি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল, যাতে তাঁরা তৃতীয় দেশের মুদ্রা, যেমন ডলার বা ইউরো ব্যবহার না করেই রুপিতে পণ্য বিল, অর্থপ্রদান এবং বাণিজ্যিক লভ্যাংশ পেতে পারেন (RBI)। নয়া ব্যবস্থায় এসআরভিএর জন্য আরবিআইয়ের আগাম অনুমতির প্রয়োজন নেই। এডি ক্যাটেগরি-১ ব্যাঙ্কগুলি এখন তাদের সম্পর্ক থাকা বিদেশি সমতুল্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরাসরি এসআরভিএ খুলতে পারবে, আরবিআইয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে এবং ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের সদস্য ও গ্রাহকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। প্রক্রিয়াগত বাধা দূর হলেও ব্যাঙ্কগুলিকে এখনও বিদ্যমান ফেমা আইন, কেওয়াইসি নির্দেশিকা, অর্থপাচার প্রতিরোধ নীতি এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিধি মেনে চলতে হবে।

    সুবিধা পাবেন কারা

    ভারতের বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিরা এখন তাঁদের ভারতীয় রুপি অ্যাকাউন্ট, বিশেষ নন রেসিডেন্ট রুপি অ্যাকাউন্ট এবং এসআরভিএতে থাকা ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিদেশে নন-ডেট (non-debt) উপকরণে, যেমন এফডিআইয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ভারতীয় রফতানিকারীরা এখন বিদেশে বিদেশি মুদ্রায় মনোনীত (Rupee) অ্যাকাউন্ট খুলে রফতানি থেকে প্রাপ্ত আয় নিতে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবেন (RBI)। প্রশ্ন হল, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? প্রথমত এর কার্যকরী দক্ষতা। অনুমোদনের ধাপ বাতিল হওয়ায় বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের অনবোর্ডিং সময়সীমা কমবে। দ্রুত কার্যকরী প্রক্রিয়াকরণ মানে ব্যবসায়িক চুক্তি প্রক্রিয়াগত জটিলতা বা বিলম্ব ছাড়াই সম্পন্ন হবে। দ্বিতীয়ত, এটি রুপিকে একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নিষ্পত্তি মুদ্রা করার প্রচেষ্টার অংশ। তৃতীয়ত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য (RBI) রুপিতে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চতুর্থত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য আইএনআরে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়।

    ডলার সংকটে সুফল দেবে

    এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পঞ্চমত, আইএনআরে চালান করার ফলে বহু বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ধাপ বাদ যায়, যা কিছু অংশীদারের জন্য ভারতীয় পণ্য ও সেবাকে তুলনামূলকভাবে সস্তা (Rupee) করে তুলতে পারে। ষষ্ঠত, বর্তমানে ২০টিরও বেশি দেশে ৮০টির বেশি এসআরভিএ কার্যকর রয়েছে। এটি ডলার-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলেও ভারতের শক্তিশালী বাণিজ্য প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

  • Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কিংবা ভোটার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমাণের চূড়ান্ত নথি হতে পারে না। অন্যান্য নথির সাপেক্ষে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (Supreme Court On SIR) ইস্যুতে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, সেই সময় কার্যত বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিল শীর্ষ আদালত। ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দিল, তালিকা ত্রুটিমুক্ত করাই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের উদ্দেশ্য, এতে কমিশনের কোনও ভুল নেই।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court On SIR) বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ভারতের নাগরিক হিসেবে আধার কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। আধার আইনের ৯ ধারা দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাবে। বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন করে লাখ লাখ নাম বাতিল করেছে। এই মর্মে বেশ কিছুদিন আগেই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস, তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এর আগেই আদালতে জানিয়েছিল, আধার কখনও স্থায়ী বাসিন্দার উপযুক্ত প্রমাণ হতে পারে না। তাই আধার কার্ড থাকলেই ভোটদানের অধিকার থাকতে পারে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ কমিশনের সেই যুক্তিকেই সমর্থন করেছে। তারা পরিষ্কার জানিয়েছে, মূলত বিশ্বাসের অভাবে এসআইআর নিয়ে বিবাদের এই ইস্যুটি তৈরি হয়েছে। আর অন্য কিছু নয়। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কিংবা বাতিলের অধিকার রয়েছে কমিশনের।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে কমিশনের এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একঝাঁক আবেদন পেশ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন তার শুনানিতে কমিশন জানায়, বিহারের ভোটার সংখ্যা ৭.৯ কোটি। এর মধ্যে সাড়ে ছ’কোটি ভোটারকেই নিজেদের বা বাবা-মায়ের কোনও নথি পেশ করতে হয়নি।’ এর প্রেক্ষিতেই আবেদনকারী আরজেডি নেতা মনোজ ঝায়ের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে শীর্ষ আদালত জানায়, ৭.৯ কোটির মধ্যে যদি ৭.২৪ কোটি ভোটার এসআইআর প্রক্রিয়ায় সাড়া দিয়ে থাকেন, তাহলে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়ার তত্ত্ব খাটে না।’ সিব্বলের যুক্তি, বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য নথি সংগ্রহে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিচারপতি সূর্য কান্ত তখন বলেন, ‘বিহারে কারও নথি নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি। বিহারে এই অবস্থা হলে দেশের অন্যান্য অংশে কী ঘটবে?’ শুধুমাত্র আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করে কমিশন ভোটার তালিকায় নাম তুলবে না, তার সঙ্গে আরও কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। তার কারণ কমিশন জানিয়েছে, অনেক জায়গায় ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি হয়েছে।

    আধার পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক

    আবেদনকারীদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন যে, আধার, রেশন এবং সচিত্র পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও ভোট আধিকারিকরা সেগুলি কোনও প্রমাণ বলেই গ্রহণ করতে চাইছেন না। এর জবাবে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘এই নথিগুলি প্রমাণ করে যে আপনি ওই এলাকায় বাস করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে আধার বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কোনও আবেদনকারী বা ভোটার আধার দেখিয়ে নিজেকে নাগরিক হিসাবে দাবি করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে যা বলেছে তা সঠিক।’

    বুধবার ফের শুনানি

    এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আপত্তি জানান প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক সিংভি ও প্রশান্ত ভূষণ। সেই সঙ্গে মৃত, স্থানান্তর বা অন্য কেন্দ্রে নাম রেজিস্টার করা ৬৫ লক্ষ ভোটারের তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্নও তোলেন। কমিশনের তালিকায় মৃত হিসেবে নাম থাকা ভোটারদের এদিন আদালতে হাজির করেন রাজনৈতিক অধিকারকর্মী যোগেন্দ্র যাদব। সিবাল যুক্তি দেন, একটি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে, ১২ জনকে কমিশন মৃত হিসেবে ঘোষণা করলেও তাঁরা জীবিত। কমিশনের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, খসড়া তালিকায় এধরনের কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে তা শুধরে নেওয়া যাবে। আজ, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি।

  • NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন (NYT) কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর পর বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইন্ডি’জোটকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সরাসরি আক্রমণ করে বসেন ভারতের নির্বাচন কমিশনকে। তাঁর আক্রমণের জেরে হাতে তাস পেয়ে যায় বিভিন্ন বিদেশি সংবাদ মাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এবং ‘আল জাজিরা’ও। তারা প্রকাশ করছে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন। রাহুল গান্ধীর ভিত্তিহীন অভিযোগগুলিকে প্রকাশ করা হয়েছে বেশ রসিয়ে। রাহুলের এই আলটপকা মন্তব্যের জেরে যে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে বোধ বোধহয় ছিল না কংগ্রেসের এই ‘পাপ্পু’র।

    সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল (NYT)

    জানা গিয়েছে, সোমবার ইন্ডিজোটের নেতারা সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল করতে শুরু করেন। পরে সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর পর্যন্ত পদযাত্রাও করেন। এই মিছিল থেকে কিছুক্ষণের জন্য দিল্লি পুলিশ আটক করে রাহুল ও তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কাকে। এর জেরে বিরোধী নেতা ও পুলিশ কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধ্বস্তি। তাঁরা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েও পড়েন। সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের মতো কয়েকজন নেতা আবার পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড টপকেও এগিয়ে যান।

    রসিয়ে খবর বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    ইন্ডিজোটের এই পদযাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ (NYT) করেছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’। হেডলাইনে তারা লিখেছে, ‘ইন্ডিয়ান ল-মেকার্স ডিটেইনড ফর প্রোটেস্টিং ইলেকশন ইরেগুলারিটিজ’, যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ভারতীয় আইনপ্রণেতারা আটক”। বস্তুত নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই শিরোনাম আসলে বিরোধীদের কারচুপির অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা।

    রসিয়ে খবরটি পরিবেশন করেছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ও। তারা আবার কৌশলে বিহারে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Rahul Gandhi) কর্তৃক পরিচালিত নিয়মিত বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা মহড়াকে অভিহিত করেছে ‘বিতর্কিত ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা’ বলে (NYT)।

  • Lord Ram: “মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রামের”, বিতর্কিত মন্তব্য তামিল কবির, কঠোর পদক্ষেপের দাবি বিজেপির

    Lord Ram: “মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল রামের”, বিতর্কিত মন্তব্য তামিল কবির, কঠোর পদক্ষেপের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিল কবি বৈরামুথুর রামচন্দ্রকে (Lord Ram) নিয়ে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে। রামের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল, এমন মন্তব্য করেন এই তামিল কবি। এরপরেই ভগবান রামকে অপমান করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কবি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তামিলনাড়ুর প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার বৈরামুথু (Vairamuthu) ‘কাম্বারামায়ণ’ রচয়িতা চক্রবর্তী কাম্বানের নামে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ‘রামায়ণ’ (Lord Ram) বিষয়ে আলোচনার সময় রামচন্দ্রকে নিয়ে তাঁর কিছু মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে. স্ট্যালিন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস. জগৎরক্ষকন।

    কী বলেন বৈরামুথু (Vairamuthu)?

    সেখানে বৈরামুথুকে বলতে শোনা যায়, “সীতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রামের মাথা খারাপ হয়ে যায়। কী করছেন, কেন করছেন, বোঝার শক্তি ছিল না তাঁর। এমন অপরাধ ঘটানো হয়েছিল, যাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অনুচ্ছেদের ৮৪ আওতায় (অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ঘটানো অপরাধ) অপরাধ বলা হয় না, কাম্বান হয়ত আইন জানতেন না। রামকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল, ক্ষমা করে দেওয়া হল-রামকে (Lord Ram) মানুষে পরিণত করা হল, কাম্বান হলেন ভগবান।”

    তামিল কবির এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি

    বৈরামুথুর ওই মন্তব্য সামনে আসতেই তাঁকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি এন নাগেন্দ্রন বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কি বৈরামুথুর মন্তব্য সমর্থন করেন?” একইসঙ্গে বিজেপি-র মুখপাত্র নারায়ণন তিরুপতি বৈরামুথুকে (Vairamuthu) ‘মূর্খ’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। রামচন্দ্র (Lord Ram) নন, আসলে বৈরামুথুর ‘মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির মুখপাত্র। বিজেপির আরও এমন কাণ্ড বৈরামুথু আগেও ঘটিয়েছেন। আগেও হিন্দু দেবতাদের অপমান করেছেন তিনি, ধর্মীয় আবেগে আঘাত হেনেছেন। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি-র। এনিয়ে বৈরামুথুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছে বিজেপি।

  • Justice Yashwant Varma: নগদ উদ্ধারকাণ্ডে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গেল ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া

    Justice Yashwant Varma: নগদ উদ্ধারকাণ্ডে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গেল ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Varma) বাসভবন থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ টাকা। তার জেরে শুরু হয়ে গেল ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের (Probe Panel) কথা ঘোষণা করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার, মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মনিন্দর মোহন এবং প্রবীণ আইনজীবী বিভি আচার্য। এদিন মোট ১৪৬ জন সাংসদের সই-সহ ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব গ্রহণ করেন স্পিকার। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি।

    ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া (Justice Yashwant Varma)

    সংবিধানের ১২৪ (৪) ধারা অনুযায়ী চালিত হয় কোনও বিচারপতির ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া। এজন্য সবার আগে প্রস্তাব পেশ করা হয় লোকসভায়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষর করতে হয় সাংসদদের। পরে তা জমা দিতে হয় স্পিকারের কাছে। এর পরেই স্পিকার গঠন করেন কমিটি। তদন্ত করে সেই কমিটিই রিপোর্ট দেয় স্পিকারের কাছে। লোকসভার স্পিকার যে কমিটি গঠন করেন, সেই কমিটির হাতে থাকে প্রমাণ সংগ্রহ ও সাক্ষীদের জেরা করার ক্ষমতা। অভিযুক্ত বিচারপতি দোষী প্রমাণিত হলে, যে সংসদে প্রথমে প্রস্তাবটি তোলা হয়েছিল, সেখানেই পেশ করা হয় রিপোর্ট। তারপর হয় ভোটাভুটি। এই প্রক্রিয়া চলে দুই কক্ষেই। সংসদের উভয় কক্ষেই উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেলেই কার্যকর হবে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া।

    নগদ টাকার সন্ধান

    প্রসঙ্গত, গত ১৪ মার্চ দিল্লিতে বিচারপতির সরকারি বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় নগদ টাকার সন্ধান মেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে (Probe Panel) হাতখানেক উঁচু টাকার স্তূপ। সেই সময় অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না বিচারপতি বর্মা (Justice Yashwant Varma)।

    এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে। যদিও তাঁর হাতে আর কোনও বিচারকার্যের ভার দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস তদন্ত কমিটি ৫৫ জন সাক্ষীর বয়ান শোনার পর জানিয়ে দেয়, অভিযোগের যথেষ্ট (Probe Panel) ভিত্তি রয়েছে। তার পরেই বর্মাকে অপসারণের সুপারিশ করা হয় (Justice Yashwant Varma)।

  • Income Tax bill 2025: লোকসভায় পাশ আয়কর সংশোধনী বিল, কী কী বদল এল কর দেওয়ার প্রক্রিয়ায়?

    Income Tax bill 2025: লোকসভায় পাশ আয়কর সংশোধনী বিল, কী কী বদল এল কর দেওয়ার প্রক্রিয়ায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হল আয়কর আয়কর আইন, ২০২৫ (Income Tax bill 2025)। সিলেক্ট কমিটির অধিকাংশ সুপারিশ মেনেই বিল পাশ হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় পেশ হয়েছিল এই বিলটি। তবে এই বিলের কিছু অংশ নিয়ে আপত্তি জানানো হয় বিরোধীদের তরফে। এই অবস্থায় বিলটিকে পাঠানো হয় সিলেক্ট কমিটিতে। সেখানে বিলটিতে বেশকিছু সংস্করণ করা হয়।সংশোধিত বিলটি সোমবার পেশ হয় লোকসভায়। জানা গিয়েছে, সিলেক্ট কমিটি মোট ২৮৫টি সুপারিশ করেছিল বিলটি নিয়ে। প্রত্যেকটিই গৃহীত হয়েছে।

    বিল পেশ নির্মলার

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ সোমবার লোকসভায় আয়কর আইন পেশ করার পর বলেন, সিলেক্ট কমিটির সিংহভাগ সংশোধনী ও প্রস্তাব সরকার মেনে নিয়েছে। ২৮৫টি সুপারিশ করেছিল সিলেক্ট কমিটি। ১৯৬১ সালের আয়কর আইন বাতিল করে যে নয়া আয়কর আইন চালু হবে, তাতে আয়করের কাঠামোগত একঝাঁক বদল হয়েছে। যদিও ২০২৫ সালের বাজেটে ঘোষিত আয়কর কাঠামো ও প্রস্তাবে কোনও বদল হয়নি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংশোধিত বিলটি পেশ করার কিছুক্ষণ পরেই আয়কর (নং ২) বিল, ২০২৫ পাস (Income Tax bill 2025) হয়। নতুন আয়কর বিল পাস হওয়ার পর, লোকসভা এই দিনের জন্য মুলতবি রাখা হয়।

    নয়া বিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ

    নয়া বিলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, যাদের জিরো ট্যাক্স হবে, তাদের ইস্যু করে দেওয়া হবে নিল ট্যাক্স সার্টিফিকেট। এই আ‌ইনে ট্যাক্স রিফান্ড ব্যবস্থা আরও সরল হবে। যারা দেরি করে অর্থাৎ সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর রিটার্ন জমা দেবে, তারাও সেই ফর্মে রিফান্ড দাবি করতে পারবে। বাড়িভাড়া থেকে যে আয় হয় সেটির উপর ধার্য ট্যাক্সের কাঠামো সরল করে দেওয়া হচ্ছে। বছরে কোনও বাড়ি ভাড়া দেওয়া হলে, সেটি যদি মাঝপথে আর ভাড়া না থাকে, তাহলে বার্ষিক কর ধার্য হবে কত ভাড়া আয় হয়েছে সেটির উপর। অর্থাৎ বছরে কত ভাড়া হওয়া উচিত সেই কাঠামোর উপর নয়। এই ট্যাক্সও ধার্য হবে ৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, গৃহঋণবাবদ সুদপ্রদান, পুরসভার ট্যাক্স প্রদান ইত্যাদি বাদ দিয়ে যত টাকা ভাড়া থেকে আয় হবে, সেই নেট ইনকামের উপর। ট্যাক্স রিটার্ন ও হিসাবে প্রিভিয়াস ইয়ার কিংবা অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার হিসেবে কোনও শব্দবন্ধ আর থাকবে না। এবার থেকে সরাসরি ট্যাক্স ইয়ার অর্থাৎ যে আর্থিক বছরের ট্যাক্স রিটার্ন স্টেটমেন্ট জমা করা হচ্ছে, সেটাই সরাসরি লেখা হবে ফর্মে। ডিজিটাল ট্যাক্স পেমেন্ট সংক্রান্ত বিধি তৈরি করার অধিকার থাকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেসের। সম্পত্তি করের নিয়মাবলি আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। এককালীন পেনশনের ক্ষেত্রে কর ছাড় মিলবে।

    রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষা

    বর্তমান আইনটি প্রতিস্থাপনের জন্য বিলটি (Income Tax bill 2025) রাজ্যসভায় পাস হতে হবে এবং তারপরে এটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। নতুন আইন কার্যকর হবে ১ এপ্রিল, ২০২৬ থেকে। এই আইনের লক্ষ্য—সহজ, স্বচ্ছ, ও ঝামেলামুক্ত কর ব্যবস্থার সূচনা, যা ব্যক্তি, ব্যবসা ও সরকার—সব পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে।

  • Air India: দিল্লি-ওয়াশিংটন ‘ননস্টপ’ বিমান পরিষেবা বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া

    Air India: দিল্লি-ওয়াশিংটন ‘ননস্টপ’ বিমান পরিষেবা বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন ডিসি-র (Delhi-Washington) সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা করল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই আকাশপথে আর কোনও নন-স্টপ বিমান চালানো হবে না। তবে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হলেও যাত্রীরা ‘ওয়ান স্টপ’ পরিষেবার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে যেতে পারবেন। এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা আলাস্কা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিউইয়র্ক, শিকাগো, নেওয়ার্ক, সান ফ্রান্সিসকো ও ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছনো সম্ভব হবে। লাগেজ চেক-ইন করা যাবে গন্তব্য পর্যন্ত।

    বিমান সংস্কার

    বিমান সংস্থার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত মাসেই বোয়িং ৭৮৭-৮ ফ্লিটের সংস্কারের কাজ শুরু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ এবং পরিষেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৬টি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানের কেবিনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর জন্য অন্তত পক্ষে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিমান বসিয়ে দিতে হবে। ফলে বিমানের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রুট সচল রাখতে দিল্লি ওয়াশিংটন সরাসরি বিমান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

    বন্ধ পাক আকাশসীমা

    পহেলগাঁও হামলার পরে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল থেকে ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার ফ্লাইট রুট-সহ বেশ কয়েকটি রুটের দৈর্ঘ বেড়েছে। ভারতীয় উড়ানগুলিকে আরব সাগর এবং ইউরোপের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। ফলে বেড়েছে জ্বালানির খরচ। এই অবস্থায় ডিরেক্ট ফ্লাইট বা বিরামহীন উড়ান পরিষেবা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

    ‘ওয়ান স্টপ’ পরিষেবা

    উত্তর আমেরিকার অন্যান্য শহরের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার সরাসরি সংযোগ অপরিবর্তিত থাকছে। ভ্যানকুভার, টরেন্টো-সহ ছয়টি শহরে নন-স্টপ পরিষেবা আগের মতো চালু থাকবে। এই সিদ্ধান্তে দিল্লি-ওয়াশিংটন যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হলেও সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিষেবার মান ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য

    এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) তরফে জানানো হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বরের পর যারা দিল্লি-ওয়াশিংটন রুটে টিকিট বুক করেছেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে অথবা বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। রিবুকিং করতে চান যাঁরা, তাঁদের আলাস্কা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বে নিউ ইয়র্ক, নেওয়ার্ক, শিকাগো অথবা সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছে দেবে এয়ার ইন্ডিয়া। আর যাঁরা রিফান্ড চাইবেন, তাঁদের টিকিট বাতিলের জন্য কোনও জরিমানা ছাড়াই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

     

     

     

     

     

     

  • Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    Karnataka: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ! মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। তাই মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের (Karnataka) সমবায় মন্ত্রী কেএন রাজন্য। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার (Karnataka Minister K.N. Rajanna) মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে দল। এরপরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতে নির্দেশ দেয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বরখাস্ত না করে রাজন্যকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী সোমবার মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৭০-৭৫টি আসনে কারচুপি করে জয় পেয়েছে বিজেপি। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। উদাহরণ হিসেবে তিনি কর্নাটকের কয়েকটি লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল তুলে ধরেন। এরপরেই এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন রাজন্য। রাজন্য মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হতেই নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজান্না।

    ঠিক কী বলেছিলেন রাজন্য?

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের সমালোচনার জেরে (Karnataka) মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে হওয়ায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। চারদিন আগে কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ করেন। কর্নাটকেও ভোট চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি (Karnataka)। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজন্য বলেন, “ভোটার তালিকা কখন তৈরি হয়েছে? তখন কর্নাটকে আমাদেরই সরকার ছিল। সেই সময় কি সবাই চোখ বন্ধ করে বসেছিল?”

    কংগ্রেসে নেই কোনও গণতন্ত্র, আক্রমণ বিজেপির

    নিজ দলের মন্ত্রীর প্রকাশ্য সমালোচনায় (Karnataka) অস্বস্তিতে পড়ে কর্নাটক কংগ্রেস। এরপর থেকেই রাজন্যকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। শেষপর্যন্ত সোমবার ইস্তফা দেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। এ নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেসে কোনও গণতন্ত্র নেই। কেউ যদি সত্যি কথা বলেন, তবে তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।” কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা বলেন, “সত্যি বলার শাস্তি হিসেবে রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হল (Karnataka Minister K.N. Rajanna)।”

  • PMGSY: দেশের নানা প্রান্তের গ্রামে গ্রামে ৭.৮৩ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন, জানাল কেন্দ্র

    PMGSY: দেশের নানা প্রান্তের গ্রামে গ্রামে ৭.৮৩ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)-এর অধীনে ২০০০ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৭,৮৩,৬২০ কিলোমিটার পাকা গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বলে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাশওয়ান। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল দেশের প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া গ্রামাঞ্চলে সারা বছরের জন্য যান চলাচল যোগ্য সড়ক তৈরি করে তাদের মূল উন্নয়নধারায় যোগ করা। এর ফলে আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে এবং গ্রামীণ সমাজের প্রতিটি স্তরে উন্নয়নের সুফল পৌঁছচ্ছে।

    করোনা-পরবর্তী সময়ে দ্রুত গতি

    ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে, ১,৫৭,৬৬৬ কিমি রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। এই সময়ে ১,২৩,৫৯৫ কিমি সড়ক প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ৭৪,৩২৪.৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)-এর বাজেট ছিল ১৫,০০০ কোটি টাকা, যা বাড়িয়ে ২০২২-২৩ থেকে ১৯,০০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাশওয়ান জানান, এই প্রকল্পের অধীনে মোট ৮,৩৮,৬১১ কিমি সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৭,৮৩,৬২০ কিমি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

    সময়ভিত্তিক নির্মাণ পরিসংখ্যান

    উল্লেখ্য, ২০০০ থেকে মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত ১৩ বছরে ৩,৮১,৩৯৫ কিমি রাস্তা সম্পন্ন হয়েছে। এপ্রিল ২০১৪ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১০ বছরে ৩,৭৯,০৭৫ কিমি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের পর নির্মাণের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY) প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামের মানুষ প্রথমবারের মতো সারা বছরের জন্য যান চলাচল যোগ্য রাস্তা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেও। সে জন্য রাজ্যের পাওয়ার কথা ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ওই প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় তৈরি হবে ৮৫৭ কিলোমিটার রাস্তা। তা নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত দফতরকে প্রথম দফায় ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

  • India’s Response to Nuclear Threat: পরমাণু অস্ত্রধারী বোধবুদ্ধিহীন দেশ পাকিস্তান! মুনিরকে জবাব ভারতের, বার্তা আমেরিকাকেও

    India’s Response to Nuclear Threat: পরমাণু অস্ত্রধারী বোধবুদ্ধিহীন দেশ পাকিস্তান! মুনিরকে জবাব ভারতের, বার্তা আমেরিকাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রধারী (Nuclear threat) একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন দেশ পাকিস্তান। পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir) মন্তব্য নিয়ে এমনই বার্তা দিল নয়াদিল্লি। সোমবার ভারত সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আসিম মুনির যে অর্ধেক পৃথিবীকে ধ্বংস করার কথা বলেছেন,তাতেই বোঝা যায় দেশটি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন (India’s Response to Nuclear Threat) দেশ যাদের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও এ নিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের পরমাণু হুমকির সামনে মাথা নত করা হবে না। সেই সঙ্গে ‘বন্ধু দেশের’ মাটি থেকে এমন বার্তা দুর্ভাগ্যজনক বলেও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

    দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকা থেকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের কিছু মন্তব্য আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হট্টগোল করা পাকিস্তানের প্রধান চালিকাশক্তি। এই ধরনের মন্তব্যে যে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা প্রকাশ পেয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমন একটা দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ থাকায় যে সন্দেহগুলি দানা বেঁধেছিল, সেগুলিই আরও জোরদার হচ্ছে। সেখানে সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’’পরমাণু অস্ত্র সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে অর্থাৎ সেনাবাহিনীর হাতে চলে যাওয়াকেও ‘প্রকৃত বিপদ’ বলে মনে করে ভারত।

    মার্কিন-মুলুক থেকে কেন এই বার্তা

    এর পরেই আমেরিকার উদ্দেশে বার্তা (India’s Response to Nuclear Threat) দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভারত পরমাণু হুমকির সামনে মাথা নত করবে না। আগেও তা স্পষ্ট করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ করব।’’ উল্লেখ্য, আমেরিকায় গিয়ে পরমাণু বোমা (Nuclear bomb) ব্যবহার করে ভারতকে (India) ধ্বংস করার সরাসরি হুমকি দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (Asim Munir)। মার্কিন সফরে গিয়ে এক নৈশভোজের অনুষ্ঠানে মুনির বলেন, ‘‘আমরা যদি ডুবে যাই, তবে সঙ্গে অর্ধেক দুনিয়াকেও টেনে নেব।’’ মুনির বলেন, ‘‘আমরা পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি মনে করি শেষ হয়ে যাচ্ছি, তবে আমরা অর্ধেক দুনিয়াকে শেষ করে দেব।’’

    পাকিস্তানের বেস কি বাংলাদেশ

    মার্কিন মুলুকে দাঁড়িয়ে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির এ-ও বলেছেন, পাকিস্তান নাকি এবার ভারতের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ শুরু করবে। এই আবহে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশকে কি পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ‘বেস’ হিসেবে ব্যবহার করবে? এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানের অপ্রশাসনিক শক্তিকে সাবধান করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে থাকা এইসব শক্তি পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ছেলেখেলার স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের উপর নজরদারি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভারতের মতে, পাকিস্তানের বারবার পরমাণু অস্ত্রের হুমকিও ভারতের সন্ত্রাস বিরোধী কার্যকলাপ ঠেকাতে পারবে না। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকাটাই এই অবস্থায় বাঞ্ছনীয় কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ভারত। কারণ এরকম পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের দায়িত্ববুদ্ধিহীন ও দুর্বৃত্ত দেশের উপর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজর রাখা জরুরি বলে মনে করেন রাজনাথ সিং।

    আমেরিকাকেও জবাব

    পাকিস্তানে ভারতের সেনা অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তৎপরবর্তী দুই দেশের সংঘাতের পরে দু’মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আমেরিকায় গিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। ফ্লরিডার টাম্পায় শিল্পপতি আদনান আসাদ আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই পাকিস্তানকে পারমানবিক শক্তিধর দেশ বলে দাবি করে ভারতকে খোঁচা দেন মুনির। এমনকি ভারতের সঙ্গে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়েও কথা বলেন। যা পহেলগাঁও হামলার পর স্থগিত করেছে ভারত। এপ্রসঙ্গে মুনির বলেন, ‘ভারত বাঁধ তৈরি করুক। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের কোনও অভাব নেই। বাঁধের কাজ হয়ে গেলেই ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরে তা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’ পর্যবেক্ষকদের মতে, আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃতীয় কোনও দেশকে এ হেন পরমাণু হুমকির নজির বিরল। সম্প্রতি খনিজ তেল নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি হয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সূত্রে পাকিস্তানের সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। ইসলামাবাদের উপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে দুই দেশকেই স্পষ্ট বার্তা দিল ভারত।

LinkedIn
Share