Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • MS Dhoni: আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে মাদ্রাস হাইকোর্টের দ্বারস্থ এম এস ধোনি

    MS Dhoni: আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে মাদ্রাস হাইকোর্টের দ্বারস্থ এম এস ধোনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএস অফিসার জি সম্পথ কুমারের (G Sampath Kumar) বিরুদ্ধে মাদ্রাস হাইকোর্টে মামলা করলেন ক্যাপ্টেন কুল এম এস ধোনি (MS Dhoni)। ম্যাচ ফিক্সিং (IPL Match Fixing) সংক্রান্ত ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার অভিযোগ এনে আদালতে আমলার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। শুক্রবার বিচারক পিএন প্রকাশের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

    ২০১৩ সালে ধোনির বিরুদ্ধে আইপিএল স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন আইপিএস অফিসার সম্পথ কুমার। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন অধিনায়কের দাবি, আদালতের নিষেধ স্বত্তেও জি সম্পথ কুমার নামে ওই আইপিএস অফিসার তাঁর বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। 

    আরও পড়ুন: মর্গে যৌন নির্যাতনের কথা স্বীকার করে নিলেন জোড়া খুনের আসামী ডেভিড ফুলার

    ২০১৪ সালে তৎকালীন ইন্সপেক্টর জেনারেল সম্পথ কুমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন এম এস ধোনি এবং একটি টিভি চ্যানেল। সেই মামলায় আদালতে ধোনি আবেদন জানিয়েছিলেন, এমন নির্দেশ দেওয়া হোক যাতে তাঁর  বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিং সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য না করেন সম্পথ। ধোনি সেই মানহানির মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণেরও দাবি করেছিলেন। ধোনির সেই মামলার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ একটি অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ দেয় আদালত, যেখানে স্পষ্ট ভাবে সম্পথ কুমারকে ধোনির সম্পর্কে কোনও ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সম্পথ মানহানির মামলা বাতিল করার জন্য মাদ্রাস হাইকোর্টে একটা লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরণের মামলার মাধ্যমে তাঁর কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। 

    তবে এই ঘটনায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ধোনি। প্রাক্তন অধিনায়কের অভিযোগ, সম্পথ কুমার আদালতের নির্দেশ পালন করেননি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ২০১৪ সালের রায়ের অবমাননা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে এক হলফনামা দাখিল করে বিচারবিভাগ এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলাগুলিতে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা বর্ষীয়ান আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তিনি। সূত্রের খবর, আদালতে আবেদন করার আগে তামিলনাড়ুর এজির থেকে অনুমতি নেন ধোনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Congress: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Congress: ‘হিন্দু’ পার্সিয়ান শব্দ! কংগ্রেস নেতার ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হিন্দু’ (Hindu) শব্দের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন কর্নাটকের কংগ্রেস (Congress) নেতা সতীশ জার্কিহলি। সোমবার বেলাগাভির নিপান্নি এলাকায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তিনি। ঘটনায় কংগ্রেস নেতাকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সতীশ বলেন, ‘হিন্দু’ শব্দটি এসেছে পার্সিয়া থেকে। পার্সিয়ান হল ইরাক, ইরান এবং কাজাখাস্থান। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে ‘হিন্দু’ শব্দটির সঙ্গে ভারতের কী সম্পর্ক? হিন্দু তোমাদের কী করে হল? তাহলে সেটা কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? ওই কংগ্রেস (Congress) নেতা বলেন, ‘হিন্দু’ শব্দের অর্থ খুব নোংরা। আপনারা জানলে লজ্জা পাবেন। এনিয়ে চর্চা হওয়া উচিত। তাঁর এই মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিজেপি। বিজেপির কর্নাটক ইনচার্জ অরুণ সিং বলেন, কংগ্রেস (Congress) দেশের সুপ্রাচীন সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করেছে। তিনি বলেন, আমাদের সুপ্রাচীন সংস্কৃতি সম্পর্কে কংগ্রেস সব সময় বাজে কথা বলে। সতীশ জার্কিহলি আমাদের সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করেছেন। সাধারণ মানুষই এর মোক্ষম জবাব দেবেন। এখানেই থেমে থাকেননি অরুণ। তিনি কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গেকে অনুরোধ করেছেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। অরুণ বলেন, কংগ্রেস যদি এই বক্তব্যের (সতীশ জার্কিহলির বক্তব্য) সঙ্গে সহমত পোষণ না করেন, তাহলে তাদের উচিত ওঁকে (সতীশকে) এখনই দল থেকে বের করে দেওয়া।

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

    ঘটনার জেরে যারপরনাই বেকায়দায় কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্ব। সতীশের মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, কংগ্রেস দ্বর্থ্যহীন ভাষায় এর নিন্দা করছে। সতীশের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসকে (Congress) ট্যুইট-বাণে বিদ্ধ করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালাও। তাঁর মতে, সতীশের মন্তব্য অপমানজনক। শেহজাদ লেখেন, এটা ভোটব্যাংক ধরার উদ্যোগ। (ওরা) রাম মন্দিরের বিরোধিতা করেছে। গীতার সঙ্গে জিহাদের লিংক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chandigarh Airport: শহিদ ভগৎ সিং- এর নামে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নামকরণ, জারি হল নোটিস

    Chandigarh Airport: শহিদ ভগৎ সিং- এর নামে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নামকরণ, জারি হল নোটিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের (Chandigarh International Airport) নাম বদলে শহিদ ভগৎ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Shaheed Bhagat Singh International Airport) করার নোটিস জারি করল অসামরিক বিমান যোগাযোগ মন্ত্রক (Ministry of Civil Aviation)। ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংকে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরের নাম বদলের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

    ‘মন কী বাত’- রেডিও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমার প্রিয় দেশবাসীরা, তিনদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর৷ এটা অমৃত মহোৎসবের একটা বিশেষ দিন ৷ সেই দিনে আমরা ভারতমাতার সাহসী সন্তান ভগৎ সিং-এর জন্মবার্ষিকী পালন করছি ৷ স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের এ বার থেকে নামকরণ হবে শহিদ ভগৎ সিং-এর নামে৷” গত ২৮ শে সেপ্টেম্বর শহিদ ভগৎ সিং- এর ১১৫তম জন্মদিবস পালিত হয়েছে পাঞ্জাবে। আর তারপরেই এই সিদ্ধান্ত।

    হরিয়ানার বিজেপি সরকার ২০১৬ সালে যখন নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তাতে বাধ সেধেছিল পাঞ্জাব। বিমানবন্দরটির টার্মিনাল ভবন রয়েছে পাঞ্জাবের মোহালিতে। তাই পাঞ্জাব দাবি করেছিল, মোহালি বিমানবন্দর নাম দেওয়া হোক। ২০১৭ তে সেই ইস্যু নিয়ে বিতর্ক হয় রাজ্যসভাতেও। ৪৮৫ কোটি টাকা খরচ করে এই বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে।

    আরও পড়ুন: নবদ্বীপের রাসে রয়েছে হরেক কাহিনী! জানেন সেই গল্প? 

    অসামরিক বিমান যোগাযোগ মন্ত্রক জানিয়েছে, “দ্রুততার সঙ্গে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম বদলে শহিদ ভগৎ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হচ্ছে।” সাধারণত, শহরের নামেই নামকরণ করা হয় বিমানবন্দরগুলির। কিন্তু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিমানবন্দরগুলির নাম বদল করা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সেই রাজ্যের বিধানসভায় পাশ করা হয় এই প্রস্তাব। এটি মূলত একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। কিন্তু চণ্ডীগড় বিমান বন্দরের ক্ষেত্রে নাম বদলের প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে এনেছে কেন্দ্র। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ২২০টি বিমানবন্দর থাকবে। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Equatorial Guinea: গিনি নৌসেনার হাতে আটক বাংলার যুবক সহ ১৬ ভারতীয়, সাহায্যের আবেদন ভারত সরকারের কাছে

    Equatorial Guinea: গিনি নৌসেনার হাতে আটক বাংলার যুবক সহ ১৬ ভারতীয়, সাহায্যের আবেদন ভারত সরকারের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্য আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গিনিতে পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দা সহ ১৬ জন ভারতীয়কে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের প্রায় ৮০ দিনের বেশি সময় ধরে সেখানে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে একটি ভিডিও-র মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এই ভারতীয়দের গিনি নৌসেনার কর্মীরা গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওতে, ভারতীয়রা বলেছেন যে ভারতীয় নরওয়েজিয়ান পতাকাবাহী এমটি হিরোইক ইডুনকে নিরক্ষীয় গিনি নৌ জাহাজ দ্বারা ১২ অগাস্ট ২০২২-এ আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    আরও জানা গিয়েছে, তাঁদের গ্রেফতারের পর গিনি নেভাল এসকর্টে আনা হয় এবং আদেশ না মানলে তাঁদের জাহাজ এবং ক্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভিডিওটি প্রকাশ করার সময়, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন যে, ‘আমরা এমটি হিরোইক ইডুনের ক্রু সদস্য, আমরা অনুরোধ করছি আমাদের এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হোক। ১৪ই অগাস্ট ২০২২ থেকে আমাদের এখানে অবৈধভাবে রাখা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ক্রুতে ১৬ জন ভারতীয় ছাড়াও ৮ জন শ্রীলঙ্কার, পোল্যান্ড ও ফিলিপিন্সের ১ জন নাগরিক সহ মোট ২৬ জন সদস্য ছিলেন এবং তাঁদের সবাইকেই আটক করা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, তাঁরা সকলে মুম্বাইয়ে একটি সংস্থার হয়ে কাজ করেন। মুম্বাইয়ের একটি সংস্থার জাহাজে কর্মরত ওই ১৬ জন ভারতীয় গত ৮ অগাস্ট নাইজেরিয়ার একেপিও টার্মিনালে পৌঁছয়। সেখানে তাঁরা অপরিশোধিত তেল নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাহাজে তেল ভর্তি করে টার্মিনাল থেকে বেরোনোর পরে নাইজেরিয়ার তেল চুরির অভিযোগ করা হয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। সংস্থার ওই কর্মী জানিয়েছেন, জাহাজ গিনির সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করতে নাইজেরিয়ার নির্দেশে সে দেশের নৌসেনা তাঁদের আটকে দেয় ও সেই সঙ্গে জাহাজের উপস্থিত সকল ভারতীয় সহ বাকিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের জানানো হয়েছে, ওই জাহাজের কর্মীরা নিয়ম ভেঙেছেন, তাই তাঁদের আটক করা হয়েছে।

    এই পুরো বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন বলেছেন যে তিনি এটি সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি আরও বলেছেন যে তিনি ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৪ অগাস্ট থেকে মালাবোতে ৯ ভারতীয় সহ ১৫ জন ক্রু সদস্যকে আটক করে রাখা হয়েছে। ৬ ভারতীয় সহ বাকি ১১ জন ক্রু সদস্যকে জাহাজে পরিত্যক্ত করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, জাহাজের মালিক, ম্যানেজার এবং ক্রু সদস্যরা তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। ফলে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে দেশবাসী কেন্দ্র সরকারের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।

  • Gautam Navlakha: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও

    Gautam Navlakha: গৃহবন্দি গৌতম নভলাখা, নেই কোনও ইন্টারনেট যোগাযোগও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দি গৌতম নভলাখার (Gautam Navlakha) আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে গৃহবন্দি (House Arrest) করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই সরকারপক্ষের আইনজীবীকে মৌখিক ভাবে বেশ কড়া কথা শোনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ। এলগার পরিষদ মামলায় নভলাখা এতদিন মুম্বইয়ের একটি জেলে ছিলেন। তবে অসুস্থতার কারণে গৌতম নভলাখা গৃহবন্দি হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। নভলাখার সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু। তিনি বলেন, “নভলাখার মতো মানুষ দেশকে ধ্বংস করতে চান। নভলাখার মতো মানুষরা মোটেই নিরীহ নন।” এরপরই শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিক পর্যবেক্ষণে বলে, “এই দেশ কে ধ্বংস করছে? যারা দুর্নীতিবাজ তারা। প্রতিটি অফিসে আপনি যান, সেখানে কী হয়?” এরপরেই কিছু শর্ত রেখে নভলাখাকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, মুম্বাইয়েই একটি এক কামড়ার ফ্ল্যাটে থাকবেন নভলাখা। সঙ্গে থাকবেন সঙ্গী।

    আরও পড়ুন: ১০ বছরে অন্তত একবার আপডেট করতে হবে আধার কার্ডের তথ্য, নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের

    কী কী শর্ত রাখা হয়েছে?

    • সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশে বলেছে যে নভলাখা এই সময়ের মধ্যে মুম্বাই ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।
    • গৃহবন্দি থাকার সময় তিনি কোনভাবেই সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। 
    • গৃহবন্দী অবস্থায় গৌতমকে টেলিভিশন ও সংবাদপত্র দেখার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।  
    • সুপ্রিম কোর্ট, তার রায়ে এদিন জানিয়েছে আবেদনকারী এবং তার সহযোগী বিশ্বস্তভাবে সমস্ত শর্ত মেনে চলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কোন অসঙ্গতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা হবে। 
    • কোনও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে না। 
    • দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় পুলিশের দেওয়া ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছাড়া একটি ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কোনও মেসেজ বা কল লগ ডিলিট করা যাবে না।
    • সপ্তাহে এক দিন তিন ঘণ্টার জন্যে তাঁর মেয়ে এবং স্ত্রী দেখা করতে পারবেন।
    • ফ্ল্যাটের ঢোকা এবং বেরোনোর দরজায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। সেই খরচ বহন করবেন গৌতমই। 
    • এদিকে গৌতম নভলাখাকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) নভলাখার গৃহবন্দি থাকাকালীন পুলিশি নিরাপত্তার খরচ বাবদ এই টাকা দিতে বলেছে।

    কী অভিযোগ নভলাখার বিরুদ্ধে? 

    কেন্দ্র সরকারের সমালোচক নভলাখা গত বছর ২৫ এপ্রিল থেকে মুম্বাইয়ের তালোজা জেলে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৮ সালের ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনায় মাওবাদীদের গোপন তথ্য দিয়ে তিনি সাহায্য করেছিলেন। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের অক্টোবরে চার্জশিট জমা দিয়েছিল এনআইএ। তার মধ্যে স্ট্যান স্বামীর জেলবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। গৌতম ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা নাগরিক আইন কর্মী আনন্দ তেলতুম্বড়ে, সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হানি বাবু, সমাজকর্মী সাগর গোর্খে, সংস্কৃতিকর্মী রমেশ গাইচোর এবং সমাজকর্মী জ্যোতি জগতপের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া দলিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামালার শুনানির দিন কেন্দ্র এমন কথা জানিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল তাঁদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলে, ‘খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই’। তার ফলেই তাদের সংরক্ষণের আওতায় ধরা হবে না।

    দলিত খ্রিস্টানদের জাতীয় পরিষদ এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট জানাতে বলেছিল। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) হলফনামা পেশ করে জানিয়েছে, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর ইসলাম বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিভুক্তরা কখনও অন্যায়ের শিকার হননি। অন্যায়ের শিকার যাতে না হন, তার জন্যই তাঁরা ইসলাম বা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে মনে করছে কেন্দ্র। এছাড়াও অস্পৃশ্যতার মত নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা খ্রিস্টান বা ইসলামি সমাজে প্রচলিত ছিল না বলেই এই দুই ধর্মকে সংরক্ষণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

    উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে, শুধুমাত্র হিন্দু, শিখ বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমস্ত ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের তাঁদের সামাজিক দিক না দেখেই যদি সবাইকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়, তবে এটি আইনের বিরুদ্ধে হবে ও আইনের অপব্যবহারও করা হবে। এতে তফসিলি উপজাতির অধিকারও কমে যাবে বলে কেন্দ্রের পক্ষে জানানো হয় (Supreme Court) ।

    সরকারের তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৯৫৬ সালে বি আর আম্বেদকর স্বেচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের আওতায় আনার অধিকার রয়েছে। তবে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না, কারণ এরা অন্য কারণেও তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে পারেন।

  • Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Information and Broadcasting Ministry: রোজ ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখাতেই হবে, টিভি চ্যানেলগুলোকে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের টিভি চ্যানেলগুলির জন্য এক নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে জাতীয় গুরুত্বের বিষয় সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের সম্প্রচার (‘National Interest’ Content) করতে হবে বলে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। জনসেবামূলক কনটেন্ট দেখানোর জন্য প্রতিটি চ্যানেলকে (Channel) দিতে হবে ৩০ মিনিট, এমনটাই নির্দেশ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry)। গতকাল, ‘গাইডলাইন্স ফর আপলিঙ্কিং অ্যান্ড ডাউনলিঙ্কিং অফ টেলিভিশন চ্যানেল ইন ইন্ডিয়া ২০২২’ সংশোধিত আইনে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

    নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৯ নভেম্বর থেকেই দেশের সর্বত্র এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরে, কী ধরণের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে সে সম্পর্কে একটি পৃথক পরামর্শ জারি করা হবে। বিষয়বস্তু চ্যানেলের হবে, সরকারের নয়, এবং তাঁরা কেবল সেগুলি সম্প্রচার করা হচ্ছে কিনা তা দেখবেন। এই অনুষ্ঠানগুলি জাতীয় গুরুত্বের উপর ভিত্তি করেই হতে হবে। আরও জানানো হয়েছে, কীভাবে নির্দেশিকা মানা হবে এবং সেই অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করা হবে, তার জন্য টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে কিছুদিন সময় দেওয়া হবে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ মিনিট জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে।

    আরও পড়ুন: ভুয়ো খবর ঠেকাতে ফেসবুকের গ্রুপ অ্যাডমিনদের জন্য নতুন ফিচার

    কী কী বিষয়ে দেখানো হবে?

    এই নির্দেশিকার ফলে টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে আট ধরনের বিষয়বস্তু বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্র (Information and Broadcasting Ministry)। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য যে জনস্বার্থমূলক কনটেন্ট সম্প্রচারিত করা হবে, তার মধ্যে কোন কোন বিষয় দেখানো যেতে পারে, তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ও সাক্ষরতা, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নারীকল্যাণ, অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরাপত্তা এবং জাতীয় অখণ্ডতার মত বিষয়কে রাখতে হবে ওই কনটেন্টে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের (Information and Broadcasting Ministry) মতে, টিভি চ্যানেলগুলি জনগণের সম্পত্তি। তাই এগুলিকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা উচিত। তাই এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, কোথাও কোনও রকমের নিয়ম লঙ্ঘন চোখে পড়লে সেই চ্যানেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) ভোট প্রচারে গিয়ে আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা তথা দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দাবি করেছিলেন, বিজেপির (BJP) তরফে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly polls) থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি এও দাবি করেছিলেন, এর বদলে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আপ নেতার এহেন অভিযোগ অস্বীকার করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কেজরিওয়ালের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। বিজেপির মুখপাত্র সঈদ জাফর ইসলাম বলেন, ভোটের আগে গুজরাটবাসীকে বিপথগামী করতে এবং আম জনতার কাছে বিজেপির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এসব বলা হচ্ছে।

    ডিসেম্বরে ১ ও ৫ তারিখে দু দফায় ভোট হবে গুজরাটে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। গত আড়াই দশক ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। এ রাজ্যে ক্রমেই বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। দলের হয়ে গুজরাট চষে বেড়াচ্ছেন কেজরি স্বয়ং। শনিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, ওরা (বিজেপি) আমার কাছে এসেছিল, বলেছিল যদি আমি গুজরাট নির্বাচনে অংশ না নিই, তাহলে সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গ্রেফতার করা হবে না মণীশ সিসোদিয়াকেও। তবে বিজেপির তরফে তাঁকে কে এই প্রস্তাব দিয়েছিল এদিন তা খোলসা করেননি কেজরি। তিনি শুধু বলেন, নিজের লোকের নাম কীভাবে বলব? আমার লোকের মাধ্যমেই ওঁরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিজেপি (BJP) কখনও সরাসরি প্রস্তাব দেয় না। ওরা একজনের থেকে অন্যজনের কাছে যায়। তারপর আরও একজনের কাছে যায়। তারপর কোনও বন্ধুর কাছে যায়। তারপর সেই বার্তা আপনার কাছে আসে।

    আরও পড়ুন: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি?

    কেজরির দাবি নস্যাৎ করে জাফর ইসলাম বলেন, এটি সর্বৈব মিথ্যা কথা। উনি দিল্লি ও দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। আন্না হাজারেকে ব্যবহার করে উনি ক্ষমতায় এসেছেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। ক্ষমতা দখলের জন্য উনি যে কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sudhir Suri: পাঞ্জাবে শিবসেনা নেতা খুনের তদন্তভার নিতে পারে এনআইএ, আইন-শৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ বিজেপির

    Sudhir Suri: পাঞ্জাবে শিবসেনা নেতা খুনের তদন্তভার নিতে পারে এনআইএ, আইন-শৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা সুধীর সুরি (Sudhir Suri) হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার নিতে পারে এনআইএ (NIA)। শুক্রবার বিকেলে পাঞ্জাবের অমৃতসরে একটি মন্দিরের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে সুধীরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। এদিকে, ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে কানাডা-বেসড গ্যাংস্টার লখবীর সিং লান্ডা। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি (BJP)।

    এদিন অমৃতসরের এক মন্দিরে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুধীরও (Sudhir Suri)। বস্তুত, ওই প্রতিবাদী মঞ্চের নেতা তিনিই। এলাকায় সুধীর হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা তাকসিলার সদস্য হিসেবে পরিচিত। এদিন দুপুরে তিনি যখন মন্দিরের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন, তখন আচমকাই স্থানীয় এক দোকানদার তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ওই দোকানদার পরপর পাঁচটি গুলি চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুধীর। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পিস্তলটিও।

    সুধীর (Sudhir Suri) খুনের ঘটনায় খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান। সেই কারণে তদন্তভার তুলে দেওয়া হতে পারে এনআইএর হাতে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গেলেই জানা যাবে খুনের প্রকৃত উদ্দেশ্য। খুনের ঘটনার জেরে অমৃতসর জুড়ে করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এদিকে, খুনের ঘটনার দায় স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে কানাডা-বেসড গ্যাংস্টার লখবীর সিং লান্ডা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই পোস্টের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: চরম আর্থিক সংকটের মুখে পাঞ্জাব? দাবি আপের শ্বেতপত্রে

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা তাজিন্দর পাল সিং বাগ্গা নিশানা করেছেন রাজ্যের শাসক দল আম আদমি পার্টিকে। পাঞ্জাবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ট্যুইট-বাণে এই বিজেপি নেতা লিখেছেন, আপের শাসনে পাঞ্জাবে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তিনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) এখন গুজরাটে এই মডেল প্রয়োগ করতে চান?  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Byju-s Lionel Messi: আড়াই হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বাইজুসের বাণিজ্যিক দূত মেসি! বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়

    Byju-s Lionel Messi: আড়াই হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর বাইজুসের বাণিজ্যিক দূত মেসি! বিতর্কের ঝড় নেটদুনিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভের মুখ দেখার জন্য সম্প্রতি এক-ধাক্কায় আড়াই হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে বাইজুস ( BYJU’s)। তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন সংস্থার প্রধান। এই আবহেই নয়া চমক দিল বাইজুস। ফুটবলের মেগাস্টার লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর (Global Brand Ambassador) হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা করল তারা। সামনেই ফিফা বিশ্বকাপ। তার আগে বাজার ধরতেই এই সিদ্ধান্ত বাইজুসের। তবে এতগুলো কর্মীকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে মেসিকে বিপুল টাকা দিয়ে অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

    বাইজুস-এর ব্যবসা নীতি নিয়ে বিভ্রান্ত অনেকেই। লোকসানে ডুবে থাকা সংস্থা কীভাবে বিশ্বসেরা ফুটবলারের সঙ্গে হাত মেলায়? প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০২০-২১ সালে বিপুল লোকসানের রিপোর্ট প্রকাশ করে বাইজুস। তারপরেই বাইজু-র বিনিয়োগকারীরা সংস্থার খরচে রাশ টানার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হিসাবে জায়গা করে নেয় বাইজুস। সম্প্রতি ৫৫ মিলিয়ন ডলারের(৪৫৩ কোটি টাকা) বিনিময়ে ফের সেই চুক্তি রিনিউ করে সংস্থা। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে, তারও অন্যতম প্রধান স্পনসর বাইজুস। বাইজুসের বিজ্ঞাপনের অন্যতম প্রধান মুখ শাহরুখ খান। তাঁর সঙ্গেও যে কম টাকার চুক্তি নয়। শুধু খরচে রাশ টানার ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। যেভাবে একধাক্কায় একাধিক কর্মীকে বাইজুস ছেঁটে ফেলেছে, তার জেরে কর্মচারীদের আস্থায় জায়গা থেকে তাদের ভবিষ্যতে ভুগতে হতে পারে বলে অবশ্য আশঙ্কা অনেকের।

    দেশজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনায় সাহায্য করার অন্যতম বিকল্প মাধ্যম হয়ে উঠেছে বাইজুস। এডুকেশন ফর অল,তথা সবার জন্য শিক্ষা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যদূত করা হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে। ভারতীয় কোনও সংস্থার এভাবে বিশ্বব্যাপী অভিযানের মাঝে লিওনেল মেসির মাপের ফুটবলারকে অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিয়োগ করা একটি বড় চমক। মেসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “সবাইকে পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলার বাইজুস-এর ভাবনার সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেয়েছি। ভাল পড়াশোনা পারে জীবনের গতিপথ বদলে দিতে। আশা রাখি বাইজুসের কাজ আরও মসৃণ হবে। খুদেরা ভবিষ্যতে নিজেদের শিখরে দেখার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে যাবে।”

LinkedIn
Share