Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! এবার খুলনায় খুন হিন্দু ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৬ জুলাই শনিবার, বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের মাগুরা সদর উপজেলায় নৃশংসভাবে খুন হন ৫৫ বছর বয়সি হিন্দু ব্যবসায়ী ভজন কুমার গুহ। বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মহম্মদ আবির নামের এক ব্যক্তি এবং তার কয়েকজন সহযোগী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জানা গেছে।

    দোকান থেকে ফেরার পথেই হামলা চালায় মহম্মদ আবির

    বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, রাত প্রায় ১১টার দিকে ভজন কুমার গুহ তাঁর দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দুষ্কৃতীরা তাকে পথের মাঝে থামিয়ে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভজন কুমার গুহ। স্থানীয়রা নিহতের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন (Khulna)। মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    নিহতকে মালাউন বলে গালি দেয় মহম্মদ আবির

    হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ৩৫ বছর বয়সি মহম্মদ আবিরকে গ্রেফতার করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ যখন আবিরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন সে প্রকাশ্যে ভজন কুমার গুহকে “মালাউন” বলে গালিগালাজ করতে থাকে। এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় (Bangladesh)। নিহত ভজন কুমার গুহের স্ত্রীকে একাধিক বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।

    উগ্র মৌলবাদীদের প্রচার

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশের কিছু উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী “টিএমডি” নামে একটি প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। এই শব্দটির পূর্ণরূপ “Total Maloun Death”, যার উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্মূল করার বার্তা ছড়ানো (Khulna)। মানবাধিকার কর্মীরা এই প্রচারকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন (Bangladesh)।

  • Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    Hamas: জাল পাসপোর্ট বানিয়ে গাজা থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছেন নিহত হামাস প্রধানের স্ত্রী, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে গাজায় ইজরায়েলি হামলায় নিহত হন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার (Hamas)। এবার তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ সম্পর্কে একটি বড় খবর সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে, ইয়াহিয়ার মৃত্যুর আগেই তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ আবু জামা (Hamas) জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে গাজা থেকে পালিয়ে যান। তিনি সন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যান। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে তিনি তুরস্কে অবস্থান রয়েছে, এবং সেখানেই তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।

    হামাসের এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন

    জানা গেছে, সিনওয়ারের মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের (Hamas) এক সিনিয়র নেতা সামার মোহাম্মদকে পালাতে সাহায্য করেন। ওই নেতা গোপনে জাল পাসপোর্ট, জাল চিকিৎসা-সংক্রান্ত নথিপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দেন। এমনকি, তুরস্কে (Turkey) বিয়ের আয়োজনও সেই নেতা-ই করেছিলেন বলে জানা যায়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন। তবে তাঁর স্ত্রী এর আগেই গাজা ছেড়ে রাফা সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেন, এবং পরে সেখান থেকে জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে তুরস্কে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে সামার মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ছিলেন সিনওয়ারের থেকে প্রায় ১৮ বছর ছোট। তাঁদের তিনটি সন্তান রয়েছে।

    ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার চিহ্নিত করা হয়

    প্রসঙ্গত, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০১৭ সাল থেকে তিনি গাজায় হামাসের (Hamas) প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন এবং ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে তিনি সংগঠনের প্রধান হন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাঁকেই চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধের আবহে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে দেখা যায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার, তাঁর স্ত্রী সামার মোহাম্মদ (Hamas) এবং তাঁদের সন্তানরা খান ইউনুসের একটি সুরঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পালানোর সময় সামার মোহাম্মদের হাতে ছিল একটি মূল্যবান ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডব্যাগ, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়।

  • Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    Donald Trump: তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ বিরতি? বড় ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) মধ্যে সংঘাত শীঘ্রই শেষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পর এই সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ঘোষণা করেন, তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা তিনদিনের সংঘর্ষের পর নিজেদের মধ্যে যুদ্ধবিরোধী আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন। এই সংঘাতের ফলে উভয় দেশের মোট ৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    দুই দেশের সঙ্গে কথা (Donald Trump)

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানান, সংঘাত বন্ধ করতে তিনি ইতিমধ্যে উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের সতর্ক করেছেন যে, যদি সংঘাত চলতে থাকে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ করবে না। সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, উভয় পক্ষ—তাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—যুদ্ধবিরোধী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় (Thailand Cambodia War)।তিনি আরও জানান, উভয় দেশই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতার পথে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে এবং শান্তি পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুই দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নেবেন।

    ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    তবে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। অন্যদিকে, তাইল্যান্ডের কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী ফুমাথাম হোয়ে চায়া চাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেন, তাইল্যান্ডের নীতি হলো—‘তাইল্যান্ড শান্তি চায়, যুদ্ধ নয়’। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, তিনি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন যে তাইল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চায়, যার মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত হয়। তবে তিনি এটাও বলেন যে, কম্বোডিয়ার (Thailand Cambodia War) দিক থেকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া জরুরি।

  • Modi in Maldives: “ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কের শিকড় সমুদ্রের মতোই গভীর”, মুইজ্জুকে পাশে নিয়েই দাবি মোদির

    Modi in Maldives: “ভারত-মলদ্বীপের সম্পর্কের শিকড় সমুদ্রের মতোই গভীর”, মুইজ্জুকে পাশে নিয়েই দাবি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কের (Modi in Maldives) শিকড় ইতিহাসের চেয়েও পুরোনো এবং সমুদ্রের মতোই গভীর। মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে পাশে নিয়ে এমনই অভিমত প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতকে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু (India-Maldives) বলে অ্যাখ্যা দিলেন মুইজ্জুও। এখানেই শেষ নয়, মলদ্বীপে বিপুল বিনিয়োগেরও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫৬৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪,৮৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।

    প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহায়তা

    শুক্রবার মলদ্বীপের (Modi in Maldives) মাটিতে পা রাখার পর মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত-মলদ্বীপের শিকড় আমাদের ইতিহাসের চেয়েও পুরনো। উভয় দেশ প্রতিবেশীর চেয়েও বেশি কিছু।” এরপরই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মলদ্বীপের অর্থনীতির উন্নতিতে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।” মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে ভারত সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন মোদি। এমনকী মলদ্বীপের সেনার সাহায্যে ৭২টি সামরিক যান দেওয়ার ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী কথায়, “প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার প্রমাণ। মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারত সর্বদা সাহায্য করবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সমৃদ্ধিই আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য। আমরা মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সবরকম সহযোগিতা করে যাব। দুর্যোগ বা মহামারি—ভারত সবসময় প্রথম সাড়া প্রদানকারী হিসেবে মলদ্বীপের পাশে থেকেছে।”

    বিপুল বিনিয়োগের আশ্বাস

    মলদ্বীপে (Modi in Maldives) বিপুল বিনিয়োগেরও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫৬৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৪,৮৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা। মলদ্বীপ সফরে প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক মহলের দাবি, মলদ্বীপে থাবা বসাতে থাকা চিনকে সরাতে ভারতের এই পদক্ষেপ। দীর্ঘ দিন ধরে ভারত ঘনিষ্ঠ ছিল মলদ্বীপ। তবে চিনের বিপুল ঋণের টোপ গিলে ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় মুইজ্জু সরকার। দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হয়। এর পালটা মলদ্বীপ বয়কটে বিপাকে পড়ে সেখানকার অর্থনীতি। বিপদ বুঝে ভুল শুধরে ফের ভারতের কাছে আসেন মুইজ্জু। বন্ধুকে ক্ষমা করে তার পাশে দাঁড়ায় দিল্লি।

    বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী

    মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর “ইন্ডিয়া আউট” প্রচারের মাধ্যমে ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Modi in Maldives) কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছিল। তবে এবারে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনাকে “গঠনমূলক” উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু বলেন, “আমাদের সহযোগিতা নিরাপত্তা, বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ছড়িয়ে পড়েছে, যা আমাদের নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।” মুইজ্জু ভারতকে মলদ্বীপের “সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী” বলে আখ্যা দেন। মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ৪,০৭৮ দিন ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রিত্ব পালন করায় অভিনন্দন জানান এবং বলেন, “এই অভাবনীয় মাইলফলক আপনার নিষ্ঠা ও জনগণের কল্যাণে অবিরাম কাজের প্রতিফলন।” ভারতের সহায়তায় মলদ্বীপে নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। ভারতের সাহায্যে তৈরি হওয়া মলদ্বীপের নতুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবনকে “বিশ্বাসের কংক্রিট ভবন” হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এটি ভারত-মলদ্বীপ (India-Maldives) মজবুত অংশীদারিত্বের প্রতীক।”

  • Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    Modi in Maldives: প্রোটোকল ভেঙে মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মুইজ্জু, কী ভাবছে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন সফর সেরে মলদ্বীপে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Maldives)। শুক্রবার সকালে ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মহম্মদ মুইজ্জু। মোদিকে ২১টি তোপধ্বনি দিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। এই বছর দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মোদির আগমন বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রথম মলদ্বীপ সফর। শুধুমাত্র মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কারণেই নয়, বরং মোদির এই সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনীতির সম্পর্কে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের চিহ্ন।

    প্রোটোকল ভেঙে মোদিক স্বাগত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার মলদ্বীপের মালেতে পৌঁছেছেন। সেখানে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। প্রোটোকল ভেঙে এদিন মোদিকে বিমানবন্দরেই আলিঙ্গন করেন মুইজ্জু। মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মোদি যান রিপাবলিক স্কোয়ারে, যেখানে তাঁকে দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিক স্বাগত-সম্মান । এই আয়োজন ভারতের প্রতি মলদ্বীপের বিশেষ মর্যাদার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা স্বভাবতই চিনের মাথাব্যাথার কারণ।

    গেস্ট অফ অনার মোদি

    আগামিকাল, ২৬ জুলাই, মলদ্বীপের ৬০তম স্বাধীনতা দিবসে, প্রধানমন্ত্রী মোদি হবেন ‘গেস্ট অফ অনার’। নতুন রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর আমলে এই প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে এমন সম্মান জানানো হচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে ভারতের প্রতি মলদ্বীপের কূটনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরছে। ভারতের “প্রতিবেশী প্রথম” নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ মলদ্বীপ। এছাড়াও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের বড় পরিকল্পনা “মহাসাগর” (MAHASAGAR – Mutual and Holistic Advancement for Security and Growth Across Regions) নীতির একটি প্রধান স্তম্ভ মলদ্বীপ। এ অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই ভারত কাজ করে চলেছে।

    ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতি

    মলদ্বীপে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে গদিতে বসেছিলেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। এরপর থেকেই একের পর এক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল মালে। আদতে ভারত বিরোধিতার রাজনীতিতেই গদিতে বসেছিলেন মুইজ্জু। তবে প্রয়োজনের সময় সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছিল মলদ্বীপকে। আর দ্বীপরাষ্ট্রের চরম সংকটের সময়ে ফের একবার স্বস্তি দেয় সেই ভারতই। আর তাই মুইজ্জুও নিজের অবস্থান বদল করছেন ভারত নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এক সময় ভারতকে হেয় করা মুইজ্জু ভুল বুঝতে পেরেছেন। দেশের অর্থনৈতিক শিরদাঁড়া ভগ্নপ্রায় হওয়ায় ভারতের কাছে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের দেওয়া অর্থসাহায্য পেয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ঋণখেলাপি হওয়া এড়াতে সক্ষম হন মুইজ্জু। মলদ্বীপকে সে সময় ৭৫.৭ কোটি ডলারের সহায়তা প্রদান করেছিল ভারত। উত্তর মলদ্বীপে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দক্ষিণ মলদ্বীপে একটি সেতু ও সড়ক প্রকল্প, রাজধানী মালেতে একটি বৃহৎ আবাসন উন্নয়ন প্রকল্প এবং মালেকে তার পশ্চিম শহরতলির দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সংযুক্ত করতে নতুন সেতু নির্মাণেও সাহায্য করে ভারত।

    মূল বৈঠক ও নতুন চুক্তি

    এই সফরে মোদি ও রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হবে। ইতোমধ্যেই দুই দেশ একটি ‘সমন্বিত অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব’-এর চুক্তি করেছে, যা এবার বাস্তবায়নের পর্যায়ে পৌঁছবে। এদিন বিকেলে দুই দেশের প্রতিনিধি দলগুলির মধ্যে আলোচনা হয় এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি (MoU) সই হয়। চুক্তিগুলি বাণিজ্য, পরিকাঠামো, পর্যটন, শিক্ষা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। মোদি ভার্চুয়ালি মলদ্বীপে ভারতের সহায়তায় নির্মিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন মোদি।

    মোদি-মুইজ্জু সম্পর্কের উষ্ণতা

    এদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী মোদির সম্মানে একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। এতে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ভারত ও মলদ্বীপের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে এই নৈশ ভোজ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইঙ্গিত বহন করছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি নিয়ে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর ভারত এবং মলদ্বীপের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল, তা পুরনো অবস্থায় ফেরানোর কাজ শুরু হল মোদির সফরের পর।

    চিনের জন্য অস্বস্তি

    রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মুইজ্জু চিনের সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেন। ‘নন-লেথাল’ অস্ত্র সরবরাহ চুক্তি, চীনে তাঁর রাষ্ট্রীয় সফর, এবং মলদ্বীপ সেনাদের চিনা প্রশিক্ষণ সবই ভারতের জন্য চিন্তার কারণ ছিল। তবে মোদির এই সফর ফের ভারতকে মলদ্বীপের দিকে ফিরিয়ে আনছে। মুইজ্জুর এই ভারত প্রীতি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে চিনের জন্য। ভারত মহাসাগরে তার ভূ-কৌশলগত অবস্থানের জেরে ও এই অঞ্চলে ভারতের উপরে চাপ বজায় রাখতে মলদ্বীপকে কোনও দিনই হাতছাড়া করতে চাইবে না বেজিং। অন্য দিকে, ভারত মহাসাগরে চিনা আধিপত্য একেবারেই চায় না ভারত। তাই মলদ্বীপকে হাতে রাখতে চায় নয়াদিল্লিও।

  • PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    PM Modi: ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর মোদি সরকারের, ভারতের কী সুবিধা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাক্ষরিত হল ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি। চুক্তি স্বাক্ষরের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল এ বার তা বাস্তবায়িত হল লন্ডনে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা। দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৬ মে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যচুক্তির চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হয়েছিল। এবার মোদির সফরের সময়েই তা বাস্তব রূপ পেল। চুক্তি স্বাক্ষরের পর, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ‘ইউকে-ইন্ডিয়া ভিশন ২০৩৫’ নামে একটি নতুন কৌশলগত রূপরেখা প্রকাশ করেন, যা আগামী দিনে ভারত-ব্রিটেন অংশীদারিত্বের দিকনির্দেশ ও লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

    ভারত এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন

    ভারতের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ব্রিটেনের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই চুক্তিকে ভারত ও ব্রিটেনের ‘যৌথ উন্নয়নের নীলনকশা’ হিসেবে অভিহিত করেন। চুক্তির আওতায়, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই ঐতিহাসিক বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    চুক্তির ফলে কী লাভ হবে

    এই চুক্তির ফলে কী লাভ হবে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ব্রিটেনের বাজারে ভারতীয় বস্ত্র, জুতো, মূল্যবান রত্ন, গহনা, সামুদ্রিক খাবার এবং প্রযুক্তিগত পণ্য আরও বেশি করে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ভারতের কৃষিজাত পণ্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের জন্য ব্রিটেনের বাজার আরও প্রশস্ত হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই চুক্তির ফলে ভারতের তরুণ প্রজন্ম, কৃষক, মৎস্যজীবী এবং ক্ষুদ্র-কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন বলেও মত প্রধানমন্ত্রীর।

    ব্রিটেনে কাজের সুযোগ বাড়বে

    চুক্তি অনুযায়ী, হলুদ, গোলমরিচ, এলাচের মতো মসলা জাতীয় কৃষিপণ্য এবং আমের শাঁস, আচার, ডাল ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্রিটিশ বাজারে বিনা শুল্কে প্রবেশের সুযোগ পাবে। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন ভারতের মৎস্যজীবীরাও—চিংড়ি, টুনা-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য এখন ব্রিটেনে শুল্কছাড়াই রফতানি করা যাবে। চুক্তির আওতায় শুধু ভারত নয়, ব্রিটেনেরও কিছু পণ্য ভারতীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যার ফলে দুই দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য ও পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। আইটি, আইন, শিক্ষা, ব্যাংকিং ইত্যাদি পেশাজীবীরা সহজেই ব্রিটেনে কাজের সুযোগ পাবেন এই চুক্তির মাধ্যমে।

    কী বললেন মোদি (PM Modi)?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর, আজ আমাদের দুই দেশ একটি বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

    কী বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

    এই ঐতিহাসিক চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ভারতের সঙ্গে একটি যুগান্তকারী বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে।”

    ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে

    ব্রিটেনের ব্যবসা ও বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে ভারতীয় পণ্যের উপর গড় শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে নামবে। এর ফলে ব্রিটিশ সংস্থাগুলির জন্য সফট ড্রিংকস, প্রসাধনী, গাড়ি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো পণ্য ভারতে রফতানি করা আরও সহজ হয়ে উঠবে। বিশেষভাবে লাভবান হবেন হুইস্কি নির্মাতারা। আগে যে হুইস্কির ওপর ভারতীয় শুল্ক ছিল ১৫০ শতাংশ, তা প্রথম ধাপে কমে ৭৫ শতাংশে নামবে, এবং আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও হ্রাস পেয়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়াবে। এর ফলে ব্রিটেনের জন্য ভারতের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আর কী কী সুবিধা?

    চুক্তির আওতায় ভারতীয় যোগ প্রশিক্ষক, রাঁধুনি, সঙ্গীতজ্ঞসহ অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারীরা ব্রিটেনে অস্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংস্থাগুলিকে ভারতে ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের অসংবেদনশীল ফেডারেল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে। ব্রিটেনের হিসেব অনুযায়ী, এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকার ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারি দরপত্রে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য।

  • Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    Australia: মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় আঁকা হল বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) এক ভারতীয় ছাত্রের উপর নৃশংস হামলার ঠিক একদিন পরেই মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁয় রাতে ঘৃণামূলক ও বর্ণবিদ্বেষমূলক গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার হিন্দু কাউন্সিলের সভাপতি মকরন্দ ভগবত বলেন, “আমাদের এই মন্দির শান্তি, ভক্তি এবং ঐক্যের প্রতীক। সেখানে এ ধরনের চিত্র দেখে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ নয়, আমাদের অস্তিত্ব ও বিশ্বাসের উপর আঘাত (Indians)।”

    পার্কিং-এ বচসা থেকে ভারতীয়কে মারধর (Australia)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার (Australia) অ্যাডিলেডে পার্কিংকে কেন্দ্র করে বচসা শুরু হয় এবং সেখানেই ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবক চরমপ্রীত সিং-এর উপর হামলা হয়। চরমপ্রীত নিজেই জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে বসে ছিলেন, সেই সময় একদল ব্যক্তি এসে বর্ণবিদ্বেষমূলক ভাষা ব্যবহার করে এবং তাঁর মুখে ঘুষি মারে। এই আঘাতে তিনি গুরুতরভাবে জখম হন। ঘটনার পর পুলিশ ২০ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে—সেখানে দেখা যাচ্ছে আক্রমণকারীরা ধাতব বক্সার দিয়ে মারছে এবং ভারতীয়দের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করছে।

    বর্ণবিদ্বেষী হামলা ২০০৯-১০ থেকেই চলছে

    এ নিয়ে চরমপ্রীত সিং বলেছেন, “সবকিছু বদলানো যায়, কিন্তু গায়ের রং তো পাল্টানো যায় না।” প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর এ ধরনের হামলা নতুন নয়। ২০০৯-১০ সালেও একাধিক ভারতীয় ছাত্রের উপর বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলা (Indians) হয়েছিল। সেই সময় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। মেলবোর্ন, সিডনি সহ একাধিক জায়গায় ভারতীয় যুবকদের ট্রেনে, রাস্তায়, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে বহু সময় পেরিয়ে গেলেও, অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) ভারতীয়দের উপর হামলা যে আজও বন্ধ হয়নি, তা ফের একবার প্রমাণিত হল।

  • Ex President Nasheed: মোদির মলদ্বীপ সফরের আগে চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে ব্যাপক প্রশস্তি ভারতের

    Ex President Nasheed: মোদির মলদ্বীপ সফরের আগে চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে ব্যাপক প্রশস্তি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে দু’দিনের দ্বীপরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ’২৫-’২৬ জুলাই তিনি থাকবেন চিন-প্রেমী মুইজ্জুর দেশে। ২৬ তারিখ সে দেশের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরেই গলবে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের বরফ (Ex President Nasheed)।

    মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ (Ex President Nasheed)

    ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফরের আগেই নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মলদ্বীপের রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ। প্রধানমন্ত্রীর মলদ্বীপ সফর প্রসঙ্গে কথা বলতে (Maldives) গিয়ে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ বলেন, “ভারতের সময়মতো সাহায্য মলদ্বীপকে ঋণখেলাপি হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে। যদি ভারত না থাকত, তবে আমরা ঋণখেলাপি হয়ে যেতাম।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মলদ্বীপে ভারতের সাহায্য ও অংশীদারিত্ব অত্যন্ত মূল্যবান। আমাদের কঠিন সময়ে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাপ এবং বড় অঙ্কের দেনা শোধের দায়বদ্ধতার মুখে, ভারতের সময়োপযোগী সাহায্য আমাদের ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা করেছে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও সাহায্য করেছে।” নাশিদ বলেন, “অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব শুধুই আর্থিক সাহায্য নয়, বরং এটি বিশ্বাস ও আঞ্চলিক সংহতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।” তিনি বলেন, “এই ধরণের অংশীদারিত্ব প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তোলে।”

    ‘ভারত-প্রথম’ বিদেশনীতি

    মলদ্বীপের বিদেশনীতি প্রসঙ্গে নাশিদ বলেন, “দেশটি (মলদ্বীপ) সব সময় ভারতের দিকে ঝুঁকে থেকেছে। যদিও নির্বাচনী চক্করে পড়ে কখনও কখনও ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মধ্যে দোলাচলে থেকেছে।” তিনি বলেন, “মলদ্বীপ সব সময় একটি ‘ভারত-প্রথম’ বিদেশনীতি বজায় রেখেছে। তবে অতীতে নির্বাচনের সময় এটি কখনও চিনপন্থী, আবার কখনও ভারতপন্থী অবস্থানে চলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে মলদ্বীপে গণতন্ত্রের বিকাশ একটি আরও স্থিতিশীল এবং ধারাবাহিক বিদেশনীতি অনুসরণ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আজ আগের চেয়ে ভিন্নভাবে মলদ্বীপের রাজনৈতিক পরিসরে একটি সুদৃঢ় ‘ভারত-প্রথম’ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

    ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ

    নাশিদ বলেন, “মলদ্বীপ ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলির ওপর অবস্থিত। এটি উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ১,০০০ কিলোমিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর ভারতের মালদ্বীপের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বকে ফের তুলে ধরবে। আমরা এই সম্পর্ককে স্বাগত জানাই। কারণ এটি আমাদের জাতীয় স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এবং যৌথ সমৃদ্ধির নতুন পথ উন্মুক্ত করে।” দ্বীপরাষ্ট্রের এই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি (Ex President Nasheed) বলেন, “ভারত মহাসাগর অঞ্চলের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে দৃঢ় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশীদারিত্ব কেবল কাঙ্ক্ষিত নয়, এটি অপরিহার্যও বটে।” তিনি (Maldives) বলেন, “উভয় দেশেরই সমুদ্রপথ রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা উন্নত করা এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।”

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে নাশিদ বলেন, “ভারতের উত্থান বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, বরং এটি সমন্বিত উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করেই গঠিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভারত দ্রুত বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হচ্ছে, যার জিডিপি এখন ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমরা অনেক আগেই বুঝেছি, ভারতের সমৃদ্ধি তার প্রতিবেশীদের ক্ষতির বিনিময়ে আসেনি। ভারতীয় সমাজের স্বভাব নয় একা বড় হওয়া। তারা এক সঙ্গে এগিয়ে যেতে চায়। আমরা তা বুঝি।”

    ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি

    নাশিদ (Ex President Nasheed) বলেন, “ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি মলদ্বীপকে ভারতের গতিশীল অর্থনৈতিক গতিপথের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ দিয়েছে। এই আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তব ফলও আছে। মলদ্বীপের উচ্চমানের রিসোর্টগুলিতে ভারত থেকে আগত পর্যটকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এটি খুব দ্রুত বেড়েছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং উন্নয়নের প্রতি আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।” দুই দেশের বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিরবিচ্ছিন্ন বাণিজ্য সর্বদা পারস্পরিক উপকার করে। ভারতের বাজারে মলদ্বীপীয় মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যা শুধু আমাদের রফতানির মানকেই নয়, বরং আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতাকেও প্রতিফলিত করে।”

    ভারতীয়দের প্রশংসা

    মোদির মলদ্বীপ (Maldives) সফরের আগেই ভারতীয়দের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মলদ্বীপের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদও। তিনি বলেন, “ভারত সব সময় আমাদের পাশে থেকেছে। শুধু একটা ফোন করলেই হল। ভারত সাড়া (Ex President Nasheed) দেবেই।” তিনি বলেন, “ভারতীয়রা উদার মনের মানুষ। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

  • PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার তাঁর সফর শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা (India UK Trade Deal)। তাঁর এই সফরের একটি বড় ফল হতে পারে ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর।

    কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন গতি দেওয়া। স্টার্মার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চেকার্স-এ। এটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারিভাবে নির্ধারিত গ্রামীণ বাসভবন। এর অবস্থান লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে ৫০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে সম্ভবত বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

    এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে কার লাভ, ক্ষতিই বা কার

    গত মে মাসে ভারত ও ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করে। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারতীয় রফতানির ৯৯ শতাংশই শুল্কমুক্ত হবে। স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলির জন্য হুইস্কি, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্য ভারতে রফতানি করাও আরও সহজ হবে। ফলে উপকৃত হবে দুই দেশই। এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণও। প্রসঙ্গত, এফটিএ নিয়ে গত তিন বছর ধরে আলোচনা চলছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে। শেষমেশ (PM Modi) চূড়ান্ত হয় চুক্তিটি। সেই চুক্তিটিতেই এবার শিলমোহর পড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্রিটেন সফরে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ শতাংশ বাণিজ্য মূল্যের আওতায় পড়া প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়া হবে (India UK Trade Deal)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক-সহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।” প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ সালে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডী। ব্রিটেন ভারতে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, যার মোট লগ্নির পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত

    এদিকে, ব্রিটেনে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রিটেনে প্রায় ১,০০০ ভারতীয় কোম্পানি ১ লাখের কাছাকাছি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে (PM Modi)। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভারতের উন্নয়নের প্রতি তাঁদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাকে অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী বলেও বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ব্রিটেনের ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। ভারতের অগ্রগতির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় (India UK Trade Deal)।”

    চার দিনে দুই দেশ সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ২১ জুলাই থেকে। এই সময় চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে তিনি দু’দিন থাকবেন ব্রিটেনে, আর বাকি দু’দিন থাকবেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি গিয়েছেন রাজার দেশে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। লন্ডন সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। সেখানেও তিনি যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে। ২৬ জুলাই মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে, বিশেষ করে মুইজ্জুর জমানায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এদিন (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারতীয় (India UK Trade Deal) সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বৈঠক চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধে সাড়ে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। রাত্রি ৯টায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে (PM Modi)।

  • Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    Bangladesh Crisis: এবার হাসিনাকে তাড়ানোর ‘মূল কারিগর’ মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির কালো মেঘ ঘনাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আকাশে। এবার শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahufuj Alam) ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র বিক্ষোভকারীরা। এদিন তাঁরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন শিক্ষা দফতরে। তার পরেই দাবি করা হয় ওই দু’জনের পদত্যাগ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্রী এই মাহফুজই। তারই ‘পুরস্কার’ স্বরূপ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের জমানায় তাঁকেই বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের পদত্যাগ দাবি (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, এদিন ছাত্ররা সচিবালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন। তাঁরা মাহফুজ ও জোবায়েরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ভাঙচুর করা হয় সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি যানবাহন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা সচিব পদত্যাগ না করলে তাঁরা আরও তীব্র আন্দোলনে নামবেন। সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের শিক্ষা দফতর। এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। এর জেরেই শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন। সূত্রের খবর, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে অন্তত ১৫ জন জখম হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Crisis) দাবি মেনে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে। ফেসবুকে করা এক পোস্টে মাহফুজ লেখেন, “শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।” তবে তিনি শিক্ষা উপদেষ্টা পদে ইস্তফা দেননি।

    আগেও উঠেছে এই দাবি

    এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মাহফুজের পদত্যাগের দাবি উঠেছে বাংলাদেশে। ২০২৫ সালের মে মাসে ইসলামি আলেম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যঙ্গ করার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদ মাহফুজের পদত্যাগ দাবি করে। একই দাবি করে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি-ও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ছাত্র বিক্ষোভের পর পূর্ণ হল মাহফুজের জীবনের একটি বৃত্ত। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশের রাশ যায় ইউনূসের হাতে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রধান পরিকল্পনাকারী বলে ঘোষণা করেন।

    হাসিনাকে সরানোর মাথা মাহফুজই!

    ইউনূসকে বলতে (Bangladesh Crisis) শোনা গিয়েছে, “সে (মাহফুজ আলম) বারবার অস্বীকার করে যে আমি না, আরও অনেকেই আছে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটার পেছনে সে-ই মাথা। এই অসাধারণভাবে সুচিন্তিত ও সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত কাজের মূল পরিকল্পনাকারী।” তিনি (Mahufuj Alam) এও বলেছিলেন, “এটি হঠাৎ করে হয়নি। বরং একটি একটি খুবই সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পিত। আপনি বুঝতেই পারবেন না কে নেতা…তাই কাউকে ধরে বলাও যাবে না যে সব শেষ।” ঘটনাচক্রে, একদিন এই মাহফুজই হাসিনার পতনের মূল কান্ডারি ছিলেন, সে-ই তিনিই এখন নিজেই ছাত্রদের পদত্যাগের দাবির মুখোমুখি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদিও আপাতত সচিবকে বলির পাঁঠা করে বিপদ এড়াতে পেরেছেন মাহফুজ, তবে শেষ পর্যন্ত হয়তো তাঁকে নতি স্বীকার করতেই হবে সেই ছাত্র আন্দোলনকারীদের দাবির কাছে (Bangladesh Crisis)।

    প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

    গত বছরের ১০ নভেম্বর মাহফুজ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তবে প্রথমে তিনি কোনও মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার ২০ দিনের মাথায় ২৮ অগাস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। মাহফুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের স্নাতক। গত জুলাই-অগাস্ট মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনিই। পরে তাঁকে বসানো হয় শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টার পদে।

    মাহফুজের ভারত-বিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ম্যাপ পোস্ট করেছিলেন এই মাহফুজ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের একাংশ, অসম এবং ত্রিপুরাকে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত দেখিয়েছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় নয়াদিল্লি। তার পরেই রাতারাতি পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছিলেন মাহফুজই। এই মাহফুজই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র, নাগরিক (Mahufuj Alam) ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বৈষম্যবিরোধীদের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়কও ছিলেন তিনি। একাধিকবার ভারত বিদ্বেষী নানা কথাও বলতে শোনা গিয়েছে মাহফুজকে (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহারির সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক অভিযোগও রয়েছে মাহফুজের বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলেই (Mahufuj Alam)।

LinkedIn
Share