Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Daruma Doll: ‘দারুমা’ পুতুল উপহার পেলেন মোদি, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করেন জাপানিরা

    Daruma Doll: ‘দারুমা’ পুতুল উপহার পেলেন মোদি, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করেন জাপানিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের জাপান সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই সফরের সময় তাঁকে উপহার হিসেবে একটি বিশেষ পুতুল দেওয়া হয়, যাকে “দারুমা পুতুল” বলা হয়। স্থানীয় জাপানি ভাষায় এ নামেই পরিচিত এই পুতুলটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পুতুলের মধ্যেই জাপানের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধন প্রতিফলিত হয়। জানা যাচ্ছে, এই দারুমা পুতুলটি উপহার দেন তাকাসাকির শোরিনজান দারুমা-জি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, রেভারেন্ড সেইশি হিরোস। এটি শুধু একটি খেলনা নয়—জাপানের ঐতিহ্যের একটি প্রতীকও বটে।

    দারুমা (Daruma Doll) পুতুলের বৈশিষ্ট্য

    দারুমা (Daruma Doll) পুতুল সাধারণত একটি গোলাকার মূর্তি, যার মধ্যে জাপানের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস প্রতীকীভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেকেই একে “ধর্ম পুতুল” হিসেবেও আখ্যা দেন। মূলত এটি বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত, এবং সাধারণভাবে বৌদ্ধ পুতুল হিসেবেই বিবেচিত হয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহীন এই পুতুল সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে, পুতুলটির মুখে এক ধরনের কঠোরতা থাকে এবং চোখ দুটি সম্পূর্ণ সাদা। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল—নিচের অংশ ভারী হওয়ার কারণে এটি পড়ে গেলেও নিজে থেকেই আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এই গুণের ভিত্তিতে জাপানি প্রবাদে বলা হয়: “নানাকোরোবি ইয়াওকি”, অর্থাৎ ‘সাতবার পড়লেও, আটবার উঠে দাঁড়াও।’

    জাপানের দোকান, রেস্তোরাঁ, বাড়ি সর্বত্র দেখা যায় এই পুতুল

    জাপানের দোকান, রেস্তোরাঁ, বাড়ি—প্রায় সর্বত্রই এই পুতুলের দেখা মেলে। জাপানিরা বিশ্বাস করেন, এটি সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও অধ্যবসায়ের প্রতীক। দারুমা (Daruma Doll) নামে পরিচিত এই পুতুলটির ইতিহাস ভারতবর্ষের সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। এর নামকরণ ও অনুপ্রেরণা এসেছে বোধিধর্ম (বা বোধি ধর্ম) নামক এক ভারতীয় সাধকের জীবন থেকে। বোধিধর্ম ছিলেন তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে জন্মগ্রহণকারী একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। ধারণা করা হয়, তিনি ৪৪০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং পঞ্চম-ষষ্ঠ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চিন হয়ে জাপানে পৌঁছান। বৌদ্ধ ধ্যানচর্চার একাগ্রতাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে তিনি একটানা ৯ বছর ধ্যানস্থ ছিলেন। এত দীর্ঘ সময় ধ্যানমগ্ন থাকার ফলে তাঁর হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। আরও জানা যায়, ধ্যানের সময় যাতে ঘুম না আসে, সেজন্য তিনি নিজের চোখের পাতা নিজেই উপড়ে ফেলেন। সেই কারণেই দারুমা পুতুলে চোখ বড় বড় এবং চওড়া।

    জাপানে নতুন বছরের শুরুতে সবাই দারুমা কেনেন

    ধারণা করা হয়, অতীতে গুটিবসন্ত মহামারির সময়, এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আশায় দারুমাকে লাল রঙে রাঙানো হতো। সেই প্রথা থেকেই দারুমা সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে। তবে এর বিভিন্ন রঙের পেছনেও রয়েছে আলাদা প্রতীকী মানে—হলুদ দারুমা সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতীক, সাদা দারুমা প্রেম ও একতার প্রতীক। প্রতিটি দারুমা পুতুলের মুখের নিচে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকে “ফুকু ইরি”, যার অর্থ—‘সৌভাগ্য বহনকারী’। জাপানে নতুন বছরের শুরুতে মানুষ একটি দারুমা কেনেন এবং কোনো ইচ্ছা থাকলে তার একটি চোখে রং দিয়ে “প্রাণ প্রতিষ্ঠা” করেন। যদি বছরের মধ্যে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়, তবে অন্য চোখেও রং পূরণ করা হয়। আর যদি ইচ্ছেপূরণ না হয়, তবে সেই দারুমাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে “দারুমা কুইও” নামের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে পূজা দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

  • PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    PM Modi: ভারত ও চিন আনতে পারে বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাপানে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তি ও সম্প্রীতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতেও এটি স্থিতিশীলতা আনবে—শুক্রবার জাপানে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভূ-রাজনীতিতে যখন আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, সেই প্রেক্ষাপটে জাপান সফরে চিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    জাপান সফরে মোদি (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দুই দিনের জাপান সফরে রয়েছেন। সেখানে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও ব্যবসা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলেই জানা গেছে। একই সঙ্গে, জাপানের বিখ্যাত ই-টেন শিনকানসেন বুলেট ট্রেন ভারতে আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে। শনিবার, ৩০ অগাস্ট তিনি জাপান সফর শেষে চিন (PM Modi) সফরে যাবেন (PM Modi)। সেখানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

    চিন সফর ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

    এই SCO বৈঠকটি ২৫তম এবং এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যখন বিশ্বজুড়ে একাধিক সংঘাত চলছে—রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইজরায়েল সংঘাত, ও আমেরিকার শুল্ক নীতি তার মধ্যে অন্যতম। SCO-তে চিন (China) , রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে রয়েছে। শুক্রবার জাপানে এক সংবাদমাধ্যমকে মোদি (PM Modi) বলেন, “চিনের (PM Modi) রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে আমি এই বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছি। গত বছর চিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর ভারত-চিন সম্পর্ক অনেকটাই স্থিতিশীল ও ইতিবাচক অগ্রগতি পেয়েছে।” কূটনৈতিক মহলের অভিমত, যে ভাবে মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোদি রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন তিনি। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, এই বছরই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে দলে টানতে হলে সীমান্তে সমঝোতা করা ছাড়া বেজিঙের কাছে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই।

  • PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Japan: “ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে বিপ্লব আনবে”, টোকিও-য় বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পণ্য উৎপাদন করুন, বিশ্বে রফতানি করুন। ইন্দো-জাপান ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। দু’দিনের সরকারি সফরে জাপানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত ১৫তম ভারত-জাপান বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই এই সফর। এদিন জাপান সফরের শুরুতে বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন ভারত এবং জাপান একসঙ্গে এশিয়াকে প্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে ৷ দু’দেশের সম্পর্ক এই শতাব্দীতে মহাদেশের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে প্রতিভাত হবে ৷ তিনি মনে করেন, জাপানের উৎকর্ষতা এবং ভারতের দক্ষতা একত্রিত হলে উন্নয়নের পথ সুগম হবে৷

    বিশ্ব ভারতকে ভরসা করে

    শুক্রবার ভোররাতে জাপানে পা রেখেই নিজের বার্তা স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। প্রধানমন্ত্রী বলেন,“বিশ্ব শুধু ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই, ভারতের ওপর ভরসাও করে। আজ ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছ নীতি এবং একটি সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং খুব শীঘ্রই, এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে ১৮% অবদান রাখি, এবং আমাদের বাজারগুলি শক্তিশালী রিটার্ন প্রদান করছে। সংস্কার, রূপান্তর এবং কর্মক্ষমতার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই সমস্ত অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”

    অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক লক্ষ্য

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Japan) এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ভারত-জাপান স্পেশাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপকে আরও মজবুত করা এবং নতুন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সেমিকন্ডাক্টর, রোবোটিক্স, বায়োটেক এবং স্পেস টেকনোলজিতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে জয়েন্ট ক্রেডিট মেকানিজম ও ক্লিন-গ্রিন ফিউচার গঠনের চুক্তি ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি বলেন, “ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সবসময়েই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে রয়েছে জাপান। মেট্রো রেল থেকে শুরু করে উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টর থেকে স্টার্টআপ— সর্বত্রই জাপানের সহযোগিতা রয়েছে। ভারতে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের একাধিক সংস্থার।”

    ভারত-জাপান পরমাণু সম্ভাবনা

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও জাপান যৌথভাবে পরমাণু শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের পর, আমরা বেসরকারি খাতের (লগ্নির) জন্য পারমাণবিক শক্তি খাতও খুলে দিচ্ছি।” গাড়ি উৎপাদন থেকে পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে ভারত এবং জাপানের যৌথ অংশিদারিত্বও সাফল্যের নতুন দিগন্তের সন্ধান দিতে পারে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর ৷

    ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi in Japan) জোর দিয়ে বলেন, ‘আজ ভারতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্স, সিঙ্গেল ডিজিটাল উইন্ডো, ম্যানুফ্যাকচারিং সাফল্য, সবই ভারতের গ্লোবাল ইকোনমিতে অবদানকে আরও দৃঢ় করছে। ভারতীয় প্রতিভা আর জাপানের প্রযুক্তি মিলে এক নতুন বিপ্লব আনবে।’ মোদি ভারতীয় প্রতিভাদের জাপানি ভাষায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সাংস্কৃতিক বন্ধন মজবুত হওয়ার পাশাপাশি এটি ভবিষ্যতের ব্যবসা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকেও আরও শক্তিশালী করবে। মোদি জানান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে জাপানের বাণিজ্য বৃদ্ধি ভারত ছাড়া সম্ভব নয় ৷ ওই সমস্ত দেশ ধীরে ধীরে উন্নয়নের সরণিতে পা রাখতে শুরু করেছে ৷ তাতে ভারত এবং জাপানের দুটি দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ৷

    ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া

    জাপান সফরে শুক্রবার সকালে এক অবিস্মরণীয় অভ্যর্থনা পান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Japan)। টোকিও বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাপানি শিল্পীদের এক বিশেষ দল, যারা ভারতীয় ঐতিহ্যের আবহে তাঁকে স্বাগত জানান। রাজস্থানি রঙিন পোশাকে সজ্জিত শিল্পীরা যখন হাতজোড় করে বললেন ‘পাধারো আমহারে দেস’—তখন বিদেশের মাটিতেও দেশীয় উষ্ণতায় আপ্লুত হয়ে ওঠেন মোদি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা শুধু রাজস্থানি পোশাকেই নয়, ভারতীয় কায়দায় হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে চমকে দেন সবাইকে। এক শিল্পী গেয়ে ওঠেন দেশোয়ালি লোকসঙ্গীত “ভারি জাভু রে”, যা শুনে বিস্মিত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত-জাপানের সম্পর্ক শুধু অর্থনীতি বা কূটনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনেই এর আসল শক্তি। ভারতীয় সংস্কৃতি আজ বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণ। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় গান, নাচ, ঐতিহ্য এভাবেই মানুষকে এক সূত্রে বাঁধছে।

  • Bangladesh: বাণিজ্য রুট বন্ধ করেছে দিল্লি, নেই কার্যকারিতা, ৩ স্থল-বন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হল ইউনূস সরকার

    Bangladesh: বাণিজ্য রুট বন্ধ করেছে দিল্লি, নেই কার্যকারিতা, ৩ স্থল-বন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হল ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) বাণিজ্য রুট বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলিতে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। কার্যত ‘মাছি তাড়ানো’ অবস্থায় ছিল স্থলবন্দরগুলি। এর ফলে খরচ বাঁচাতে সেই সমস্ত বন্দরগুলিকে বন্ধ করে দিল ইউনূস সরকার (Bangladesh)। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয় এবং এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তিনটি স্থলবন্দরকে অলাভজনক ও অকার্যকর বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর এই তিনটি স্থলবন্দরকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কোন কোন বন্দরকে বন্ধ করতে বাধ্য হল ইউনূস সরকার?

    ভারতের বাণিজ্য রুট বন্ধ হওয়ার ফলে বাংলাদেশের (Bangladesh) যেসব বন্দর বন্ধ হয়েছে, সেগুলি হল— নীলফামারির চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর। খুব শীঘ্রই হবিগঞ্জের বল্লা স্থলবন্দরও বন্ধ হবে বলে জানানো হয়েছে।

    ইউনূসের নেতৃত্বে বসে বৈঠক, সেখানেই হয় সিদ্ধান্ত

    জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয় এবং সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশের সরকার জানিয়েছে, সাধারণ নাগরিকদের উপর থেকে আর্থিক বোঝা কমানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

    কী বললেন ইউনূসের প্রেস সচিব?

    এই নিয়ে ইউনূস সরকারের (Bangladesh) প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক স্বার্থেই এই বন্দরগুলিকে অনুমোদন দিয়েছিলেন, কিন্তু বাস্তবে এই বন্দরগুলি অকার্যকর এবং সরকারের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবে ইউনূস সরকারের প্রেস সচিব যাই বলুন, বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন যে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই এই বন্দরগুলি সম্পূর্ণভাবে গুরুত্ব হারায়। তাই বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ইউনুস সরকারকে।

    অবস্থা খতিয়ে দেখতে তৈরি করা হয় কমিটি

    গত বছরের ৬ নভেম্বর, বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ, সড়ক পরিবহন এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় (India)। এই কমিটির ওপরেই দায়িত্ব ছিল—স্থলবন্দরগুলির কী অবস্থা এবং কী কার্যকারিতা রয়েছে, তা মূল্যায়ন করা। তারপরেই তারা রিপোর্ট জমা করে। এর পরেই এমন সিদ্ধান্ত সামনে এল।

  • Russia Navy Drone-Boat: রাশিয়ার নৌসেনার ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী

    Russia Navy Drone-Boat: রাশিয়ার নৌসেনার ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) নয়া মোড়! প্রথম বার রাশিয়ার সামুদ্রিক ড্রোন-বোট হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ রণতরী।

    বড় দাবি রাশিয়ার, স্বীকার ইউক্রেনের

    সমাজমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে সাফল্যের তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করেছে রুশ বিদেশমন্ত্রক। তারা বলেছে, ‘সিম্ফেরোপোল’ নামে যুদ্ধজাহাজটিকে দানিয়ুব নদীর প্রবেশদ্বারে ডুবিয়ে (Russia Sinks Ukraine Ship) দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনীয় রণতরী ধ্বংসের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। রুশ সংবাদসংস্থা ‘তাস’-এর দাবি, এই প্রথম ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে ধ্বংস করার জন্য সামুদ্রিক ড্রোন-বোটের (Russia Navy Drone-Boat) সফল ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলায় এক ক্রু মারা গেছেন এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কিছু ক্রু নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে। মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বেশিরভাগ ক্রু নিরাপদে আছেন এবং নিখোঁজ বেশ কয়েকজন নাবিকের সন্ধান চলছে।

    ইউক্রেনের বৃহত্তম জাহাজ ‘সিম্ফারোপোল’

    ‘সিম্ফেরোপোল’ যুদ্ধজাহাজ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বৃহত্তম জাহাজ বলে পরিচিত। ২০১৯ সালে জাহাজটি সমুদ্রে নামে। তবে ইউক্রেনের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় ২০২১ সালে। জাহাজটির মূল কাজ হল গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে নৌবাহিনীর অভিযানকে সহায়তা করা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই ঘটনাকে একটি একক সামুদ্রিক ড্রোন-বোট (Russia Navy Drone-Boat) ব্যবহার করে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর কোনও জাহাজ ডুবিয়ে (Russia Sinks Ukraine Ship)দেওয়ার প্রথম সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডিও, ইলেকট্রনিক, রেডার এবং অপটিক্যাল গোয়েন্দা বাহিনীর জন্য তৈরি লাগুনা-শ্রেণির মাঝারি আকারের জাহাজটিতে দানিয়ুব নদীর ব-দ্বীপে আঘাত হানে, যার একটি অংশ ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে অবস্থিত।

    কিয়েভেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার

    পাশাপাশি, বুধবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় রাশিয়া। এতে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নাকি ইউরোপের কয়েকজন নেতাকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাঁর দেশের জন্য নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কী হবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা এখন খুব জরুরি। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘‘মোদির যুদ্ধ’’ বলে অবিশ্বাস্য দাবি করে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পরামর্শদাতার এহেন যুক্তি বিস্মিত করেছে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতা ও বিশেষজ্ঞদেরও। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার নাভারো দাবি করেছেন যে, ভারতের মতো দেশকে তেল বিক্রি করে সেই টাকায় ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে রাশিয়া।

  • PM Modi China Visit: চিন সফরে যাবেন মোদি, সাত বছরের সীমান্ত উত্তেজনার পর নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা?

    PM Modi China Visit: চিন সফরে যাবেন মোদি, সাত বছরের সীমান্ত উত্তেজনার পর নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর পরে আবার চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Visit China)। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে ৩১ অগাস্ট চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ড্রাগনভূমির বন্দর শহর তিয়ানজিনে ওই বৈঠক হবে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মেগা অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং। মার্কিন শুল্কযুদ্ধের আবহে একে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    এই সফর কেন তাৎপর্যপূর্ণ

    ২০১৭ সালের ডোকলাম এবং ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক (India-China Relation) কার্যত থেমে গিয়েছিল। সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে বহু দফার আলোচনা হলেও সেভাবে অগ্রগতি হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে, মোদির তিয়ানজিন সফর এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর সম্মেলনে যোগদান কূটনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির সম্ভাব্য বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিশ্ব রাজনীতির পটভূমিতে মোদি-জিনপিং বৈঠক

    এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আন্তর্জাতিক চাপ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভারতের রফতানির উপর ৫০% ট্যারিফ বসিয়েছে, যার ফলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়মূল্যে তেল কেনা নিয়ে ওয়াশিংটনের অসন্তোষ ভারতকে চাপে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে ভারত কৌশলগতভাবে বিকল্প পথ তৈরি করতে চায়। ভারত ও চিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, এ বারের এসসিও বৈঠকে ‘রুশ ভারত চিন ত্রিশক্তি’ বা রিচ ট্রয়িকার (রাশিয়া-ইন্ডিয়া-চায়না ট্রয়িকা) পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা রয়েছে।

    সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর (PM Modi Visit China) মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে কেন্দ্র করেও পারদ চড়তে শুরু করেছে। সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দু’তরফে একাধিক সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহার, বাণিজ্য এবং ভিসা নীতিকে শিথিল করার ব্যাপারে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মোদি ও জিনপিং। কূটনৈতিক মহলের অভিমত, যে ভাবে মার্কিন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মোদি রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে দর কষাকষির ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন তিনি। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। শুধু তা-ই নয়, এই বছরই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে দলে টানতে হলে সীমান্তে সমঝোতা করা ছাড়া বেজিঙের কাছে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই।

    ভারতের সুবিধা

    আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এসসিওর অনেক কিছুই অস্পষ্ট। কিছু ক্ষেত্রে চিনের অর্থনীতি বেশি পরিমাণে আমেরিকার উপরে নির্ভরশীল। ভারতের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা এলেও ইউরোপের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ফ্রান্স, জার্মানি বা ইটালির বাজার পাওয়া বেজিঙের পক্ষে কঠিন। সব মিলিয়ে সমঝোতায় অনেক কিছুই আদায় করার সুযোগ পাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Visit China)। গত বছর রাশিয়ার কাজানে ‘ব্রিকস’ সম্মেলনে পুতিন ও জিনপিঙের সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন মোদি। ওই সময় থেকে চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন তিনি। প্রায় ১০ মাস পর ফের সেই ছবি প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ব।

    মোদি-শি বৈঠকে সম্পর্কে নতুন মোড়

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্ত সমস্যা রাতারাতি মিটে যাবে এমন আশা করা যায় না। তবে দীর্ঘ সময় পর দুই শীর্ষনেতার মুখোমুখি বৈঠক অন্তত নতুন করে আস্থা গড়ার সুযোগ তৈরি করতে পারে। সীমান্তে নতুন চিন্তা অথবা সংঘর্ষ প্রতিরোধে যৌথ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ ভবিষ্যতের সম্পর্কের ভিত শক্ত করতে পারে। ভারত-চিন সম্পর্কের (India-China Relation) উষ্ণতা এশিয়ার শক্তির ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। দক্ষিণ চিন সাগরের উত্তেজনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন-চিন দ্বন্দ্বের মধ্যে যদি দিল্লি ও বেজিং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তবে তা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক হবে। পাশাপাশি এসসিও (SCO) ও ব্রিকস (BRICS)-এর মতো সংগঠনগুলিকেও এই সম্পর্ক নতুন প্রাসঙ্গিকতা দিতে পারে।

  • Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ (US GDP) শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs) করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে চিড় ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে নিজেই উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও একবারও ফোন ধরেননি ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ভারত-মার্কিন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ভারতকে চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।

    ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়়া শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ২৭ অগাস্ট সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকেই এই নয়া শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতিতে। এর ফলে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, এটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করলেও, বড় ধাক্কা দিতে পারে প্রবৃদ্ধিতে। এসবিআইয়ের রিসার্চের একটি নোটে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মূল্যস্ফীতির চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা মূলত সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও দুর্বল ডলারের প্রভাব থেকে উদ্ভূত। বিশেষ করে আমদানি-নির্ভর খাতগুলি যেমন ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি এবং টেকসই ভোগ্যপণ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে (Trumps Tariffs)।”

    এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া শুল্কহারের কারণে আমেরিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে ৪০-৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুধু তাই নয়, দুর্বল মার্কিন ডলার ও ব্যয়মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে মুদ্রাস্ফীতিও। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ। তবে এই হার তার চেয়েও অনেক বেশি হতে চলেছে। এর মূল কারণ চড়া হারে শুল্ক চাপানোর প্রভাব।

    জানা গিয়েছে, মার্কিন পাইকারি দামের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে জুলাই মাসে লাফিয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। বছরে ৩.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স। শুল্ক-সংবেদনশীল আমদানি করা পণ্য যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে (US GDP) সব চেয়ে তীব্র দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে (Trumps Tariffs)।

  • PM Modi: ৪ বার ফোন করেন ট্রাম্প, একবারও ধরেননি ক্ষুব্ধ মোদি! বড় দাবি জার্মান পত্রিকার

    PM Modi: ৪ বার ফোন করেন ট্রাম্প, একবারও ধরেননি ক্ষুব্ধ মোদি! বড় দাবি জার্মান পত্রিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশের আড়ালে যে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা মানুষ লুকিয়ে রয়েছেন (PM Modi), তা বুঝতে পারেননি সরল সাদাসিধে মানুষটি। যখন বুঝতে পারলেন, তখন মুখের মতো জবাব দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাই বলছি। ভারত-মার্কিন শুল্ক-সংঘাতের জেরে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে দুই দেশের। তার পর সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানা গিয়েছে, একবারও ফোন ধরেননি প্রধানমন্ত্রী। জার্মান পত্রিকা ‘ফ্র্যাঙ্কুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং’য়ের এক প্রতিবেদনেই এমন দাবি করা হয়েছে। পত্রিকাটির দাবি, ভারতীয় পণ্য নিয়ে ওয়াশিংটনের ধারাবাহিক উসকানিমূলক মন্তব্য এবং শুল্ক বৃদ্ধি আরোপের কারণে এমন পদক্ষেপ করেন ক্ষুব্ধ ও সতর্ক মোদি।

    জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদন (PM Modi)

    ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প এর আগে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’র দেশ বলে মন্তব্য করেছিলেন। ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পরে ফের একপ্রস্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৩১ জুলাই ট্রাম্প বলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। তারা চাইলে একসঙ্গে তাদের মৃত অর্থনীতি ধ্বংস করতে পারে।” এরই কয়েক দিন পর ১০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষে পাল্টা জবাব দেন ট্রাম্পকে। তিনি ঘোষণা করেন, ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতির মধ্যে একটি হওয়ার পথে এগোচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্প বাণিজ্যিক বিরোধে প্রায় সব প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে সফল হয়েছেন। ব্যতিক্রম ভারত। বরং নয়াদিল্লি পুরনো দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে এখন তার শক্তিশালী প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। যার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন (PM Modi)। এ পর্যন্ত ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ একটি নির্দিষ্ট ধারা মেনে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ, শুল্কের হুমকি, এরপর উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা যেখানে বিদেশি নেতারা শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন, শেষমেশ শুল্ক কার্যকর করা হয়, পরে আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা শিথিলও করা হয়। একে নিজের সাফল্য বলেই জাহির করতে থাকেন ট্রাম্প। তবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে থাকা দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশটিকে চোখ রাঙাবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)।

    বৃহৎ পরিসরের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বৃহৎ পরিসরের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল। লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। আশা করা হচ্ছিল, এ বছরের শেষের দিকে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় তখন, যখন ওয়াশিংটন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। আমেরিকার দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। তাই এই শাস্তি (PM Modi)।ভারতের বিদেশমন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে সমালোচনাকে অন্যায্য বলে নিন্দে করেছে। শুল্ক বৃদ্ধির পর ২৫ অগাস্ট নয়াদিল্লিতে যে ষষ্ঠ দফা আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, তাও বাতিল করা হয়।

    এক্স হ্যান্ডেলে জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদন

    বার্লিনের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক থরস্টেন বেনার এক্স হ্যান্ডেলে জার্মান পত্রিকার প্রতিবেদনটি তুলে ধরে লিখেছেন, “ফ্র্যাঙ্কুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং দাবি করেছে যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ট্রাম্প মোদিকে চারবার ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মোদি ফোন ধরেননি।” পত্রিকাটি মনে করিয়ে দেয় যে ট্রাম্প ভিয়েতনামের সঙ্গে ফোনে একটি চুক্তি নতুন করে আলোচনা করেছিলেন। তারপরে একতরফাভাবে অনলাইনে সেটিকে সফল ঘোষণা করেছিলেন। মোদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তিনি ট্রাম্পের পাতা ওই ফাঁদে পা দেবেন না (PM Modi)।

    বিপাকে ট্রাম্প

    ভারত তার মোট রফতানির প্রায় পাঁচভাগের একভাগই পাঠায় আমেরিকায়। এর সিংহভাগই হল বস্ত্র, রত্নপাথর ও অটো পার্টস। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, এতে ভারতের প্রবৃদ্ধি বার্ষিক ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে ৫.৫ শতাংশে নেমে যেতে পারে (Donald Trump)। তবে অভ্যন্তরীণভাবে সমঝোতায় পৌঁছানো ঝুঁকিপূর্ণ হবে। যদিও জনমত তীব্রভাবে ট্রাম্পবিরোধী হয়ে উঠেছে। জার্মান ওই পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রতি ট্রাম্পের বিতর্কিত পদক্ষেপকে (যার মধ্যে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে একটি নৈশভোজও রয়েছে) উসকানি হিসেবেই দেখেছে ভারত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সাত বছর পর প্রথমবারের মতো চিন সফরে যাচ্ছেন এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলনে অংশ নিতে। এই সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস-সহ আরও অনেক নেতাও উপস্থিত থাকবেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতেই ভয় পাচ্ছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তাই বোধহয় সম্পর্কের (PM Modi) বরফ গলাতে মোদিকে চারবার ফোন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

  • Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    Bipin Joshi: খোঁজ নেই হামাসের হাতে বন্দি নেপালি শিক্ষার্থীর, হিন্দুরা নীরব কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুকে এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে নেপাল থেকে ইজরায়েলে গিয়েছিলেন নেপালের হিন্দু তরুণ শিক্ষার্থী বিপিন জোশী (Bipin Joshi)। তিনি গিয়েছিলেন ইজরায়েলে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির তালিম নিতে। গত অক্টোবরে হামাস (Hamas) জঙ্গিরা হামলা চালায় কিবুটজে। হামাসের গুলি বর্ষণের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন ১৭ জন নেপালি হিন্দু ছাত্র। তাঁদের মধ্যে ১০জনকেই সেখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাকিরা প্রাণভিক্ষে করেছিলেন। সেই দলে ছিলেন বিপিনও। জঙ্গিরা তাঁকে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল তাদের ডেরার। নভেম্বরে প্রকাশিত এক ভয়ঙ্কর ভিডিওতে দেখা যায়, অপহরণকারীরা গাজার শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বিপিনকে। তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই নেপালি এই হিন্দু পড়ুয়ার।

    অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত (Bipin Joshi)

    বিপিনের মতো হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তামাম বিশ্ব। হলুদ ফিতে পরে জানিয়েছে সমবেদনা। অথচ বিপিন হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও অদ্ভূতভাবে নীরব হয়ে রয়েছে ভারত। যখন ইহুদি শিল্পীরা মহাদেশজুড়ে বন্দিদের জন্য ক্যাম্পেন চালাচ্ছেন, তখন ভারতের শিল্পী, চলচ্চিত্র তারকা এবং তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীরা। এখানেই উঠেছে মোক্ষম প্রশ্নটি। বিপিন যদি ভারত কিংবা নেপালের একজন মুসলিম যুবক হতেন, তবে কি একই রকম প্রতিক্রিয়া হত? জেএনইউ থেকে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত কি মোমবাতি মিছিল হত না? গলা ফাটাতেন না মানবাধিকার কর্মীরা? এখন তাঁরা কোথায় গেলেন? কিন্তু বিপিন হিন্দু হওয়ায় তাঁকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই তথাকথিত এলিট শ্রেণির।

    বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়

    নয়াদিল্লির প্যালেস্তাইন দূতাবাসের সামনে কোনও প্রতিবাদ নেই, নেই কোনও আন্তর্জাতিক ক্ষোভও (Bipin Joshi)। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলতেন, “যে কোনও জায়গার অবিচার মানেই সর্বত্র অবিচার।” তবে একজন হিন্দু যখন ইসলামি জেহাদি সন্ত্রাসের শিকার হয়, তখন কেন এই সত্য প্রযোজ্য হয় না? বিপিনের ঘটনা কোনও একক ট্র্যাজেডি নয়, এটা আমাদের সকলের সামনে ধরা একটি আয়না (Hamas)। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সনাতন ধর্ম অসংখ্য আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, তবুও আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা শত্রুর তলোয়ার নয়, বরং হিন্দুর হিরন্ময় নীরবতা। তাই একজোট হতে হবে হিন্দুদের। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে আওয়াজ তুলতে হবে ‘বিপিন জোশীকে (Bipin Joshi) মুক্তি দাও’।

  • Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    Bibhuranjan Sarkar: ইউনূস সরকারের চাপেই কি মরতে হল হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জনকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথায় ফলে সোনার ফসল, সোনার কমল ফোটে রে—সেই আমাদের বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলা রে। না, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখায় কবিতার লাইনগুলো ইউনূস জমানার (Yunus Government) বাংলাদেশে আর কাটে না। গণতন্ত্র সেখানে মুখ লুকিয়েছে, বাক্‌স্বাধীনতা নিহত, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অবাধ অত্যাচার তো সেখানে চলছেই। অহরহ খবর আসে গণপিটুনিতে হিন্দু হত্যার কথা। নির্যাতনের ইস্যুতে হিন্দুরা সেখানে সরবও হয়েছেন।। প্রতিবাদও জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মেঘনা নদীতে ভেসে ওঠে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের (Bibhuranjan Sarkar) দেহ। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সাংবাদিক। রাজনৈতিক দিকে বামপন্থায় বিশ্বাস রাখতেন বিভুরঞ্জন।

    ১৯৫৪ সালে জন্ম বিভুরঞ্জনের (Bibhuranjan Sarkar)

    ১৯৫৪ সালে জন্ম নেওয়া বিভুরঞ্জন সরকার লেখাপড়া করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সেসময় তিনি ছিলেন বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক আজাদ, দৈনিক মাতৃভূমি, সাপ্তাহিক চলতিপত্রের সম্পাদক, সাপ্তাহিকএকতা এবং সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সাপ্তাহিক যায় যায় দিনে ‘তারেক ইব্রাহিম’ ছদ্মনামে লেখা তার রাজনৈতিক নিবন্ধ পাঠকপ্রিয় হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।” এই ঘটনার তদন্ত চলছে—কীভাবে বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু হল, তা খুঁজে দেখছে সে দেশের পুলিশ। কিন্তু বিভুরঞ্জনের মৃত্যু হতেই একাধিক প্রশ্ন সামনে আসছে। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন, যা তিনি তুলেছিলেন তার শেষ লেখায়। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ আগস্ট।

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় সিপিবি নেতা মাজহারুল ইসলাম বাবলার ‘ইতিহাসের ঘটনাবহুল অগাস্ট’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যার দায়িত্বে ছিলেন বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar)। অভিযোগ উঠেছে, ওই নিবন্ধে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত থাকায় ক্ষুব্ধ হন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। অভিযোগ, শফিকুল আলম এরপর আজকের পত্রিকার সম্পাদককে সরাসরি ফোন করে পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল ও গোয়েন্দা সংস্থা লেলিয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর হুমকি দেন। একইসঙ্গে তিনি আটজন সাংবাদিকের একটি তালিকা দিয়ে তাদের ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

    অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় বাংলাদেশ সরকার

    এই চাপের মুখেই পত্রিকা কর্তৃপক্ষ বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠায় এবং অনলাইন সংস্করণ থেকে নিবন্ধটি সরিয়ে ফেলে। ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তাঁকে যেভাবে অপমান করে ছুটিতে পাঠানো হল এবং হুমকি দেওয়া হল, সেটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না।। হিন্দু সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার (Bibhuranjan Sarkar) তাঁর শেষ লেখায় লিখেছেন, গত বছরে সেদেশে সরকার পরিবর্তনের পরে অর্থাৎ ইউনূস জমানায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের অবস্থা আরও কাহিল হয়েছে। বিভুরঞ্জন বাবুর অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন “মন খুলে সমালোচনা করুন”, কিন্তু তাঁর প্রেস বিভাগ তো মন খোলা নয়। মিডিয়াতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবসময় আতঙ্কে রয়েছেন—কখন কোন খবর লেখার জন্য ফোন এসে তুলে নিতে হবে লেখা বা খবর। শেষ লেখায় বিভুরঞ্জন বাবুর আরও অভিযোগ, সম্প্রতি আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগ—তাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে ইউনূস সরকারের তরফ থেকে। কারণ, সেখানে মাজহারুল ইসলাম বাবলা নামের এক জনৈক ব্যক্তি কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে দিল্লি পাঠিয়েছে। আর পুলিশের গুলিতে নয়, ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’-এর মাধ্যমে জঙ্গিরাও মানুষ হত্যা করেছে। ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’ মানে হচ্ছে ‘সুনিপুন পূর্ব পরিকল্পনা’। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিভুরঞ্জন। তিনি বলছেন—এই লেখার মধ্যে অসত্য তথ্য কোথায়? শেখ হাসিনা তো গোপনে পালিয়ে যাননি। হাসিনার পুলিশ না হয় ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালিয়েছে, কিন্তু পুলিশকে হত্যা করল কে বা কারা? বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন, এইটুকু লেখার জন্য পত্রিকার বিরুদ্ধে তৎপরতা দেখা হয়েছে। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন, যে শেষ লেখাটি তিনি লিখলেন, সেখানেও তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা অসুবিধা—অসুখ, তার ছেলের অসুখ, তার পরিবারের অভাব—এই সব যেমন থাকলো, তেমনি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও তিনি তার ক্ষোভের কথা জানিয়ে গেলেন।

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, বাক্‌স্বাধীনতা বাংলাদেশে নেই, সেখানে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রশ্ন করা যায় না। যদি কেউ প্রশ্ন তোলে, তাহলে হুমকি আসে মৌলবাদী প্রশাসনের তরফে। এই সবকিছু মিলিয়েই বিভুরঞ্জন সরকার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন? এর দায় কি ইউনূস সরকার এড়িয়ে যেতে পারে? ইউনূস সরকারের চাপে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাঁর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করেছেন বলে অভিযোগ ছিল বিভুরঞ্জন বাবুর। শুধু তাই নয়, বিভুরঞ্জন তাঁর লেখায় বলেছেন যে, ইউনূস সরকারের কোপে পড়েছে তাঁর ছেলে ও মেয়েও। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ে জীবনে কখনও কোনো পরীক্ষায় ফেল করেননি। বিভুরঞ্জন (Bibhuranjan Sarkar) বাবুর মেয়ে একজন ডাক্তার। কিন্তু গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে এমডি করার সময়, সরকার পরিবর্তনের পর বিভাগের প্রধানের কোপে পড়েন তিনি। ফলে থিসিস পরীক্ষায় তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিভুরঞ্জন বাবু তাঁর শেষ চিঠি ও শেষ প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লেখেন, “আমার মেয়ে তো কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না, তাহলে তাকে কেন ফেল করানো হলো? তিনি আরও আশঙ্কা করেছেন, তাঁর মেয়েকে এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোস্টিং-ও দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, বিভুরঞ্জন বাবুর ছেলে বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। দেশে অনেক চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিভুরঞ্জন বাবু। বিভুরঞ্জন বাবুর প্রশ্ন—“এর কারণ কি শুধু এই যে, সে আমার ছেলে?” অর্থাৎ, পরিষ্কার বোঝা যায়, কীভাবে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে দিনের পর দিন ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ্য করা হয়েছে। বিভুরঞ্জন কীভাবের মারা গেলেন তা সময়ই বলবে। কিন্তু তাঁর মৃত্যু প্রাতিষ্ঠানিক খুন। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা অবরুদ্ধ, এই দাবি বিভুরঞ্জনবাবু বারবার করেছেন তাঁর শেষ লেখায়। আর একজন বামপন্থী সাংবাদিকের এই পরিণতি দেখেও কি ঢাকায় ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন?

LinkedIn
Share