Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • PM Modi in Kolkata: ‘‘বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম’’, বৃষ্টিস্নাত বিকেলে তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi in Kolkata: ‘‘বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম’’, বৃষ্টিস্নাত বিকেলে তিন মেট্রো পথের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতাবাসী পেল নতুন তিন মেট্রো লাইন (Metro Railway Projects)। এই নতুন পরিষেবা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বড় পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিন রুটের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল কলকাতার পরিবহণ মানচিত্রও। শুক্রবার বৃষ্টিস্নাত বিকেলে এই তিন সম্প্রসারিত মেট্রো লাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ পর্যন্ত নবনির্মিত ইয়লো লাইন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বেলিয়াঘাটা পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন এবং গ্রিন লাইন- ১ ও ২ অর্থাৎ শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধে থেকেই সাধারণ মানুষ চড়তে পারবেন নয়া লাইনের মেট্রোয়।

    রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়া ভিড়

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করেন সম্প্রসারিত মেট্রোর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, শান্তনু ঠাকুর এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নয়া মেট্রো পথের উদ্বোধনের পরেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠের দিকে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। রাস্তার দু’ধারে উপচে পড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়। ‘মোদি মোদি’ স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ মানুষ। গাড়ির মধ্যে থেকে প্রধানমন্ত্রীকেও হাত নাড়তে দেখা যায়।

    ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস

    দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে পৌঁছে প্রথমে সরকারি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন তিনি। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এদিন ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি নানা প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করে মোদি বলেন, “আজ অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব আনন্দ হয়েছে। এই মেট্রো যাত্রা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত আজ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে। সেখানে দমদম, কলকাতার বড় ভূমিকা থাকবে।” হাওড়া থেকে শিয়ালদা মেট্রোর নতুন রুট চালু হওয়ায় যাত্রীদের অনেক সময় বাঁচবে বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্তব্য করেন।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক এখন ভারতে। কলকাতার গণপরিবহণের খরচ আরও কমল। যাতায়াতের আরও সুবিধা হল। শিয়ালদা, হাওড়ার মতো ব্যস্ত রেলস্টেশনের সঙ্গে মেট্রো জুড়ে গেল। তার ফলে ঘণ্টার সফর এখন কয়েক মিনিটে হয়ে যাবে। একইভাবে বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সহজ হল। আজ আরও একবার বাংলার উন্নয়নে গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম। সকলেই খুশি যে কলকাতার গণপরিবহণ আধুনিক হচ্ছে। কলকাতাবাসী, বাংলাবাসীকে অনেক শুভেচ্ছা। কলকাতা মেট্রো আগে ২৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী ৩৯ কিলোমিটার সম্প্রসারণ করেছেন। আরও ২২ কিলোমিটার সম্প্রসারণ হবে।”

    কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ৫২০০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। জনসভা শুরুর আগে সেন্ট্রাল জেল ময়দানে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে তিনি শিলান্যাস করেন ছয় লেনের এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের। ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

    মেট্রোয় জুড়ল শহর

    শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির পথে আরও একধাপ। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই এক মেট্রোয় হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা। মেট্রো সূত্রে খবর, হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ যেতে যাত্রীদের সময় লাগবে ৩২ মিনিট। আর হাওড়া থেকে ৩০ মিনিট মতো। বাসে যেতে ঘণ্টা দেড়েক লাগত তাই এবার পাতালপথে লাগবে আধ ঘণ্টা। হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভে ভাড়া ২৫ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা। এদিকে শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো পুরো যাত্রাপথে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। নোয়াপাড়ার সঙ্গে যুক্ত হল দমদম বিমানবন্দর (জয় হিন্দ)। শিয়ালদহের সঙ্গে যুক্ত হল এসপ্ল্যানেড। রুবির (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) সঙ্গে জুড়ল বেলেঘাটা (মেট্রোপলিস)। মোট ১৪ কিলোমিটারের পথ। নোয়াপাড়া থেকে দমদম বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) প্রায় ৬.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে দুটি ট্রেন চলবে এবং প্রতিটির মধ্যে ১৫ মিনিটের ব্যবধান থাকবে। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ (ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো পূর্ণাঙ্গভাবে চালু) এই রুট চালু হওয়ায় মাত্র ১২ মিনিটে শিয়ালদহ থেকে হাওড়া পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। রুবি থেকে বেলেঘাটা মেট্রো প্রায় ৪.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশটি চালু হওয়ায় শহরের পূর্ব অংশের যাত্রীদের খুব সুবিধা হবে।

  • Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    Election Commission: মমতার তর্জন-গর্জন টিকল না কমিশনের সামনে, সাসপেন্ড করতেই হল চার আধিকারিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলার অভিযোগ ছিল রাজ্যের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এরপরে এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নবান্নকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের সভা থেকে সপ্তম সুরে বলেছিলেন যে, কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে তিনি কোনও ব্যবস্থা নেবেন না। এরপরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তারপরেই রাজ্যের ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হল মমতা সরকার। যে তর্জন-গর্জন মুখ্যমন্ত্রী শুনিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামে, তা আর ধোপে টিকল না নির্বাচন কমিশনের সামনে—সাসপেন্ড করতেই হল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও করবেন মুখ্যসচিব।

    ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে গত ৮ অগাস্ট চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন এবং ওই চিঠিতে (Election Commission) উল্লেখ করা হয় যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে, বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে এবং তাদেরকে সাসপেন্ড করতে হবে। এ জন্য ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল (West Bengal)। কিন্তু এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি কারোর পানিশমেন্ট হতে দেব না।’’

    ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন

    পরবর্তীকালে ১৩ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে (West Bengal) দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কমিশন। তারপরেই বৃহস্পতিবার সামনে এল খবর এবং নবান্ন সূত্রে জানা গেল যে, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সামনে মমতার অবৈধ ভোটারদের পক্ষের যে প্রতিবাদ, তা টিকল না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন—সরকারি আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে যে তাঁরা অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন যখন পদক্ষেপ করতে বলছে, তখন কেন রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করছিল এতদিন? কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে গিয়ে কি অবৈধ ভোটারদের তালিকায় রেখে দিতে চাইছিল নবান্ন? এ প্রশ্নও উঠছে। তবে এসবের মাঝে ওই আধিকারিকদের সরাতেই হল।

  • PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    PM Modi: তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে আজ রাজ্যে মোদি, করবেন জনসভাও, রইল প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ সফরসূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তবে এই সফর পুরোপুরি রাজনৈতিক নয়। দমদমে একটি জনসভায় অংশগ্রহণ এবং একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ পাটনা থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে তিনি মেট্রো রেল-সহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    বক্তব্য রাখবেন ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’তে

    উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মেট্রো রেলে করে বিমানবন্দরে যাবেন এবং সেখান থেকে আবার যশোর রোড স্টেশনে ফিরে আসবেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁর দমদম (Dumdum) সেন্ট্রাল জেল ময়দানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। ওই সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই তিনি বিজেপির ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’-য় বক্তব্য় রাখবেন।

    একনজরে মোদির সফর – ২২ অগাস্ট, শুক্রবার

    বাংলার মাটিতে পা রাখবেন 

    বিকেল ৪:০৫ — কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)

    ৪:১০ — সড়কপথে রওনা হবেন যশোর রোড মেট্রো স্টেশনের উদ্দেশে

    মেট্রো রুট উদ্বোধন

    ৪:১৫ — মেট্রোর নতুন তিনটি রুট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে। এরপর মেট্রো চড়ে যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বিমানবন্দর (জয় হিন্দ স্টেশন) পর্যন্ত যাবেন
    ৪:৩৫ — ওই ট্রেনে চেপেই যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে ফিরে আসবেন

    সরকারি অনুষ্ঠান

    ৪:৪৫ – ৫:১৫ — দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে প্রশাসনিক মঞ্চে। একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন

    রাজনৈতিক ভাষণ

    ৫:২০ — উঠবেন বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে (প্রশাসনিক মঞ্চের পাশেই)

    ৫:৩০ – ৬:১৫ — ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’-য় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    সফর শেষ করে ফিরে যাওয়া

    ৬:১৫ — সড়কপথে কলকাতা বিমানবন্দরের (Dumdum) উদ্দেশে রওনা

    ৬:৩০ — দিল্লির উদ্দেশে বিমানে রওনা হওয়ার কথা

    যে তিনটি মেট্রো রুটের উদ্বোধন হচ্ছে:

    শিয়ালদা – এসপ্ল্যানেড

    বেলেঘাটা – হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)

    নোয়াপাড়া – জয় হিন্দ (বিমানবন্দর)

    অতিরিক্ত উদ্বোধন:

    হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়ে-এরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • Suvendu Adhikari: ‘জানেন কীভাবে ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক?’ বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘জানেন কীভাবে ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক?’ বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয় পেয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর এই ভোটের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ, ৯০০ বেশি বুথে ইভিএম-এ টেপ লাগানো ছিল। প্রতি বুথে ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট, আর বাইরে জাহাঙ্গির বাহিনী। ভোট না দিলে দেওয়া হয়েছিল মারধরের হুমকিও।

    কীভাবে ভোট হয়েছিল, বললেন শুভেন্দু

    সম্প্রতি এক সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “তিনি নাকি সাত লক্ষ ভোটে জিতেছেন। জানেন, ৯০০-র বেশি বুথে সেলোটেপ লাগানো ছিল। ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট জাহাঙ্গির বাহিনীর। আপনি যদি গিয়ে ভিতর থেকে চিৎকার করেন, যে আমি পদ্মফুল বা অন্য কোনও প্রতীক খুঁজে পাচ্ছি না, তাহলে আপনি যখন বুথ থেকে বেরোবেন, তখনই মারবে। আবার যদি নাও টেপেন, শব্দ না হয়, তাও মারবে। এই করে সাত লক্ষ ভোটে জিতেছে।” শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই অভিযোগ নিছক রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, বরং এর মধ্যেই তিনি তুলে ধরেছেন ভোটব্যবস্থার উপর আস্থার সংকট। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, ভোটারদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে নষ্ট করে গোপনে কারচুপি চালানো হয়েছিল। অভিষেককে বিঁধে শুভেন্দু বলেছেন,“টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। কয়লা খায়, বালি খায়, গরু পাচার করে, দেশি মদের প্রতি বোতল থেকে আড়াই টাকা করে তোলে, ডিয়ার লটারি ওর ব্যবসা। ওই ৭ লাখ ১৫ হাজার ভোটে জিতেছে? প্রমাণ করে দেব ডায়মন্ড হারবারে কী কায়দায় ভোট হয়েছিল, কী কায়দায় লুট হয়েছিল?”

    সাজানো কারচুপির ফল

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে রেকর্ড সাত লক্ষ ১০ হাজার ভোটে জিতেছেন অভিষেক। আর এই জয়ের ব্যবধান নিয়েই সরব বিজেপি। কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে বিস্ফোরক এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে কয়েক লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এরপরই অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Suvendu-Abhishek) প্রতিনিধি পেনড্রাইভে তথ্য নিয়ে অনুরাগ ঠাকুরের বাড়িতে পৌঁছন। শুভেন্দু এদিন বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে সোমেন মিত্র অনেক বড় নেতা ছিলেন, তিনি ৭০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা আবু হাসনাত খান, তিনি ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা শমীক লাহিড়ি, তিনি ৯০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা বামপন্থী অমল দত্ত, তিনিও সামান্য ভোটে জিতেছিলেন।” অভিষেকের এই জয় কোনওভাবেই স্বাভাবিক নয়, বরং সুচারুভাবে সাজানো কারচুপির ফল।

  • Kolkata Metro: মাত্র ৩৬৬ মিটার জমির জন্য থমকে নিউ গড়িয়া-সেক্টর ৫ মেট্রো! মমতার নীতিকে সংসদে তুলোধনা শমীকের

    Kolkata Metro: মাত্র ৩৬৬ মিটার জমির জন্য থমকে নিউ গড়িয়া-সেক্টর ৫ মেট্রো! মমতার নীতিকে সংসদে তুলোধনা শমীকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রোপথে (Kolkata Metro) জুড়ে যাচ্ছে শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড। অরেঞ্জ লাইনে রুবির সঙ্গে যোগ হচ্ছে বেলেঘাটা। অন্যদিকে, ইয়োলো লাইনে বিমানবন্দরের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে নোয়াপাড়া। সব মিলিয়ে মেট্রো নেটওয়ার্কে একদিকে যেমন হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দর, তেমনি এবার হাওড়া ময়দান থেকে গঙ্গার নীচ দিয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে সেক্টর ফাইভেও। এই মেট্রো রুটগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে ২২ অগাস্ট শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার আগেই বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে থাকার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বুধবার সংসদে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শমীক জানান, একটা ছোট জায়গার কাজ হচ্ছে না বলেই আটকে আছে নিউ গড়িয়া-সেক্টর ৫-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের কাজ।

    কী বললেন শমীক

    সংসদে রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, খোদ মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার কয়েকদিন আগেই আক্ষেপ করে বলেছেন, চিংড়িঘাটার মাত্র ৩৬৬ মিটার এবং নব দিগন্ত থেকে সিটি সেন্টার পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জন্য যে জমি প্রয়োজন ছিল, দেয়নি রাজ্য। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও দেওয়া হয়নি। এই জমিটুকু পাওয়া গেলে ওই অংশের কাজ শেষ হয়ে যেত। ফলে কবি সুভাষ থেকে জয়হিন্দ মেট্রো স্টেশন বা কলকাতা বিমান বন্দর পর্যন্ত মেট্রো করিডরের অনেকটা অংশই চালু করে দেওয়া যেত। তিনি উল্লেখ করেন, ওই অংশের কাজ না হওয়ায় পডুয়া থেকে আইটি সেক্টরের কর্মী, সবারই অসুবিধা হচ্ছে।

    জমি নীতিই বাধা

    শমীক বলেন, ‘‘একটা রাজ্যের যদি কোনও নির্দিষ্ট জমি নীতি না থাকে, একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই যদি ঘোষণা করে যে আমরা এক বর্গফুট জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করব না, তা হলে পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা রেলের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই বুঝতে পারছি।’’ শমীক বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ শুধু চিংড়িঘাটার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, রাস্তার এ পার পর্যন্ত যা হয়েছে, সেটা তাঁর দায়িত্ব। ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি অংশের ক্ষেত্রে দমকলমন্ত্রী তাঁর অপাগরতার কথাও জানিয়েছেন।’’ কলকাতা পুলিশ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের অসহযোগিতার কারণে তিনটি পিলার নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে শমীক দাবি করেছেন।

    সুজিত বসুর সঙ্গে কথা শমীকের

    বঙ্গবাসীর স্বার্থে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। দমদমে এক সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য নিজেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর বক্তব্য, সল্টলেক থেকে কলকাতার কানেকশানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বহুদিন ধরেই আটকে আছে। সেই কারণেই তিনি দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। শমীক জানান, দমকল মন্ত্রী তাঁকে বলেছেন যে, তাঁর তত্ত্বাবধানে এক প্রান্তের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু চিংড়িঘাটা অঞ্চলে কলকাতা পুলিশ এবং ট্র্যাফিক পুলিশের আপত্তির কারণে তিনটি স্তম্ভ সরানো যাচ্ছে না। সেই কারণেই পুরো প্রকল্প আটকে রয়েছে। দমকল মন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি কিছু করতে পারছেন না। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

    রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাধা

    শমীকের অভিযোগ, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার জন্যই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রাজ্যে শুরু করা সম্ভব হয়নি। উন্নয়ন বারবার ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের প্রস্তাবগুলিকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।’’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় বিশ্বাসী। তাঁর লক্ষ্য রাজ্যের উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত করা। কিন্তু রাজ্য সরকারের নীতির কারণে উন্নয়ন থমকে যাচ্ছে।’’

    নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

    শুক্রবার, রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দমদমে (Kolkata Metro) প্রশাসনিক কর্মসূচি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সূচনার পাশাপাশি জনসভা রয়েছে তাঁর। দমদমের প্রশাসনিক কর্মসূচি থেকেই নতুন তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত চলে অরেঞ্জ লাইনের মেট্রো। এবার সেই লাইনের সম্প্রসারিত অংশেও চলবে মেট্রো। উদ্বোধন হবে রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশের। এতদিন গ্রিন লাইনে মেট্রো চলছিল হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ। গতবছর ৬ মার্চ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই গঙ্গার নীচে দিয়ে মেট্রো রুটের সূচনা হয়। এবার হাওড়া থেকে যেমন সরাসরি সল্টলেকে পৌঁছানো যাবে তেমনই মেট্রোর সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে বিমানবন্দরও। অন্যদিকে, ১৬ অগাস্ট শনিবার কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট সম্প্রসারিত রুটেরও পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যেই মিলেছে ছাড়পত্র। অর্থাৎ ওই একইদিনে শহরের আরেক রুটেও মেট্রো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

  • West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি নতুন ঘূর্ণাবর্ত, আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা

    West Bengal Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি নতুন ঘূর্ণাবর্ত, আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের বিরতি কাটিয়ে ফের দুর্যোগের মেঘ রাজ্যে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে. বঙ্গে ফের সক্রিয় হয়েছে বর্ষা। পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে হবে ভারী বৃষ্টি। ফলে আবারও জল বাড়ার আশঙ্কা বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে। যার জেরে বাড়তে চলেছে ভোগান্তি।

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণাবর্ত

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাব রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায়। মৌসুমী অক্ষরেখা ক্রমশ উত্তর দিকে সরছে সক্রিয়ভাবে। এর প্রভাবেই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। ফলে, আগামী তিন দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতেই দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণের সব জেলাতেই হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। উপকূলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস। শুক্র ও শনিবার বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়বে। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দুই জেলা— দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ওই জেলাগুলির পাশাপাশি শনিবার পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়াতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোনও কোনও জেলায় রবি ও সোমবারও দুর্যোগ চলবে। সমুদ্রে হাওয়ার গতি পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটারে। সাগর উত্তাল থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে মৎস্যজীবীদের আগামী তিনদিন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসের পূর্বাভাস রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাসের পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার ও রবিবার ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা মালদা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি কোনও কোনও জায়গায় হতে পারে।

    এক নজরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    বৃহস্পতিবার – পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার
    শুক্রবার – পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, জলপাইগুড়ি
    শনিবার – পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর
    রবিবার – বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর

  • Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    Kolkata Metro: দেড় বছর পর ফের কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী, যশোর রোড থেকে যাবেন বিমানবন্দর স্টেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের প্রথম বিমানবন্দর সংযোগকারী মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী শুক্রবার। নয়া রুটে মেট্রোয় সওয়ারি হবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট কলকাতায় এসে তিনটি নতুন মেট্রোপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। তার মধ্যে একটি রুটে সফর করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এর আগে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেডের মাঝে মেট্রো চলাচলের সূচনা করে গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেড় বছর পর ফের একবার কলকাতা মেট্রোয় সফর করবেন তিনি। আগামী ২২ তারিখে তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর সারবেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা।

    এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস

    বিমানবন্দর স্টেশনে ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ মেট্রো টার্মিনাস গড়ে উঠেছে। স্টেশনটি ৫৫০ মিটার লম্বা ও ৪১.৬ মিটার চওড়া। এই স্টেশন নির্মাণের সময় ‘এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া’ বিশেষ কারণে আপত্তি জানিয়েছিল। কারণ, সেই সময়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টেশনটি হওয়ার কথা ছিল মাটির উপর। তাছাড়া, বিমানবন্দরের এত কাছে স্টেশনের বিশাল নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে মাটির নীচেই মেট্রো স্টেশন তৈরির অনুমোদন মেলে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে ১৫০ মিটার দূরে গড়ে উঠেছে দেশের গভীরতম এই অত্যাধুনিক মেট্রো স্টেশন। এই পথ সাবওয়ের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ‘মুভিং ওয়াকওয়ে’র মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় গঙ্গার তলদেশ দিয়ে মেট্রো সফর করেছিলেন। ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছিল সেই বছর ১৫ মার্চ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি…

    শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে প্রথমে যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছবেন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি তিনটি মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রথম ট্রেনটিতে করে নিজেই যশোর রোড স্টেশন থেকে বিমানবন্দর বা জয়হিন্দ স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। তারপরে জয়হিন্দ স্টেশন থেকে আবার মেট্রোয় করেই যশোর রোড স্টেশনে ফিরবেন। সেখান থেকে সড়কপথে দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে যাবেন। ওই মাঠেই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক সভা।

    ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে, রাজ্যের জমি-নীতিকে দুষলেন শমীক

    অন্যদিকে, রাজ্যে ৪৩টি রেল প্রকল্প আটকে থাকার কথা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণও করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘সেক্টর ফাইভের সঙ্গে কলকাতার সংযোগ শুধু চিংড়িঘাটার জন্য বন্ধ হয়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে ওখানকার স্থানীয় বিধায়ক এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, রাস্তার এ পার পর্যন্ত যা হয়েছে, সেটা তাঁর দায়িত্ব। ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাকি অংশের ক্ষেত্রে দমকলমন্ত্রী তাঁর অপাগরতার কথাও জানিয়েছেন।’’ এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যর্থ নীতির তীব্র সমালোচনা করেন শমীক। বলেন, ‘‘একটা রাজ্যের যদি কোনও নির্দিষ্ট জমি নীতি না থাকে, একটি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই যদি ঘোষণা করে যে আমরা এক বর্গফুট জমিও নতুন করে অধিগ্রহণ করব না, তা হলে পরিণতি কী হতে পারে তা আমরা রেলের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই বুঝতে পারছি।’’

  • Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বিরুদ্ধে আদালতে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার আদালতে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মন্ত্রীকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইডি আদালতে সশরীরে উপস্থিত থেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সংবিধানের নিয়ম (Chandranath Sinha)

    প্রসঙ্গত, চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আদালতে আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় আদালতে তা গৃহীত হয়নি। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যপালের সম্মতি জরুরি। এই প্রক্রিয়ার অভাবেই ঝুলে ছিল মামলাটি। শেষমেশ রাজভবনের অনুমোদন মেলায় বুধবার কাটল জট। রাজ্যপালের অনুমোদন মানেই রাজ্যের কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। তার পরেই মন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ আদালতের। জানা গিয়েছে, এই মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু-সহ বেশ কয়েকজনকে। তাই তাঁদেরও এই চার্জশিটের কপি পাঠাতে হবে। কারণ তাঁরাও বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। এবার সেই তালিকায়ই যুক্ত হলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।

    প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা

    ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে বলাগড়ের তৃণমূলের যুবনেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে উঠে আসে চন্দ্রনাথের নাম। তাঁর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি অভিযানও চালিয়েছিল ইডি। এই অভিযানে মন্ত্রীর বাড়ি (Chandranath Sinha) থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি মন্ত্রিমশাই। এদিকে, তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা দেড় কোটি টাকা সম্পর্কে ইডির অনুমান, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই টাকা জমা পড়েছিল। জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা থাকা এই টাকার উৎস কী, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন ইডির আধিকারিকরা। তাতেই রাজ্যপালের সিলমোহর পড়ায় মন্ত্রীকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।

    দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ

    প্রসঙ্গত, এর (Recruitment Corruption) আগে দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। দিন কয়েক আগে ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন তিনি। এবার এল আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ। মূলত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরুর পর থেকেই নানা স্তরে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন, বেআইনি নিয়োগ, সুপারিশ এবং ক্ষমতার (Chandranath Sinha) অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসে। তদন্তে ইডি এবং সিবিআই নানা সময় বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল অর্থ নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয় জনমানসে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই ছিল দুর্নীতিতে ভরা এবং রাজ্যের শাসক দলের একাংশের সক্রিয় মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি করা সম্ভব ছিল না (Recruitment Corruption)।

    প্রশ্ন হল, পার্থর মতো কারামন্ত্রীরও (Chandranath Sinha) কি ঠাঁই হতে চলেছে গারদের ছোট্ট কুঠুরিতে?

  • SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম দুয়ারেও শেষ রক্ষা হল না। এসএসসির (SSC Scam) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে যত পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়েছিল, তার সব ক’টি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। খারিজ রাজ্য এবং এসএসসির রিভিউ পিটিশনও। যার ফলে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ই বহাল রইল। ফলে, পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় রইল না চাকরিহারাদের কাছে।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ধাক্কা

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করেছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ পরীক্ষার প্রকৃত ওএমআর শিট মিলছে না। সিবিআই এবং বাগ কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে স্পষ্ট যে, দুর্নীতি হয়েছে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, চাকরিহারাদের একাংশ-সহ বিভিন্ন পক্ষ। ৫ অগাস্ট সেই নিয়ে শুনানি শেষ হয়। বিচারপতিদের চেম্বারেই চলে শুনানি। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ বার জানিয়ে দিল, পুনর্বিবেচনার আর্জি আদালতে শুনানির দরকার নেই। তারা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

    ২৬ হাজার চাকরি বাতিল বহাল

    গত ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল। নতুন করে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট রায়ে আরও বলা হয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। আগে রায়ে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের আবেদন ছিল, এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অনেক স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শূন্য হয়ে যাবে। ফলে ক্ষতি হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের।

    পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের

    গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদের ওই আবেদন মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। শর্তসাপেক্ষে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, দাগি অযোগ্যদের বাদ রেখে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ওই নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। পাশাপাশি, রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর অর্থ আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের।

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, খারিজ রিভিউ পিটিশন

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট, খারিজ রিভিউ পিটিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি’র মাধ্যমে ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের প্যানেল থেকে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন (SSC Recruitment Scam) খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৩ এপ্রিল ঘোষিত মূল রায় ঘোষণার আগে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছিল। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন গত ৪ মে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আদালতের মতে, সেই রায়ই চূড়ান্ত এবং এতে পুনরায় শুনানির প্রয়োজন নেই (Supreme Court)।

    ওএমআর শিট জমা দিতে ব্যর্থ এসএসসি, নিয়োগ বাতিল ছিল অনিবার্য

    আদালত (Supreme Court) জানায়, কলকাতা হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট, কোনও আদালতেই এসএসসি ২০১৬ সালের পরীক্ষার মূল ওএমআর শিট বা তার প্রতিলিপি জমা দিতে পারেনি। আদালতের ভাষায়, এটি স্কুল সার্ভিস কমিশনের গুরুতর ব্যর্থতা। সেই কারণেই গোটা নিয়োগ বাতিল করা ছাড়া আদালতের আর কোনও উপায় ছিল না। বিচারপতিরা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। পাশাপাশি সিবিআই এবং বিচারপতি রনজিৎ বাগ কমিটির রিপোর্টে যে অনিয়মের তালিকা রয়েছে, তা থেকেই পরিষ্কার— গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই দুর্নীতিগ্রস্ত (SSC Recruitment Scam)। মূল ওএমআর শিট না রাখা বা জমা না দেওয়ার ঘটনা পুরো ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

    ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে নতুন নিয়োগ

    সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে এসএসসি ৩০ মে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির এবং ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই দু’টি তারিখই রবিবার পড়েছে। তবে রিভিউ পিটিশন খারিজ হওয়ায় নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে এদিনও বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছেন চাকরিহারা প্রার্থীরা।

LinkedIn
Share