Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Vote: কীভাবে ব্যবহার হবে বাহিনী? কমিশনকে চিঠি অমিত শাহের মন্ত্রকের

    Panchayat Vote: কীভাবে ব্যবহার হবে বাহিনী? কমিশনকে চিঠি অমিত শাহের মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণা থেকেই লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যের মানুষ। হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট ঘোষণার ১৬ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা হারানো মানুষ রবিবার মালদার সাহাপুরে শাঁখ বাজিয়ে, ফুল ছুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানালেন। এমন পরিস্থিতিতে ২২ কোম্পানির পর ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। অন্যদিকে বাহিনীর ব্যবহার কীভাবে হবে, তা জানতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠি

    মোট ৮২২ কোম্পানির মধ্যে এখনও বাকি ৪৮৫ কোম্পানি। এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। শুক্র, শনি, এবং রবিবারে বিএসএফ-এর আইজি এবং সিআইএসএফ-এর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা উত্তর চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার করা হবে। পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, পরপর তিন দিন বিএসএফ-এর সঙ্গে বৈঠকের পরও কমিশন এখনও জানাতে পারেনি মঞ্জুর করা ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কেমন ভাবে ব্যবহার করা হবে।

    শুভেন্দুর করা মামলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী          

    প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে হয়, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। দাবি জানান কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার। হাইকোর্ট এই দাবি মেনে নেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরেই ভরসা রাখার কথা বলে। এরপরে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে আবারও ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। অবশেষে আদালতের চাপে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের পক্ষপাতিত্ব করার। আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা ও অপারগতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দেয়, প্রতি জেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও জেলায় মোতায়েন করা বাহিনীর সংখ্যা যেন কোনওভাবেই ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় কম না হয়। এমনকী যদি এই নির্দেশ কার্যকর না হয়, তার চরম ফল কমিশনকে ভুগতে হবে বলেও জানায় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতির পদ! তৃণমূলের জেলা সভাপতির ভিডিও ভাইরাল

    TMC: ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অঞ্চল সভাপতির পদ! তৃণমূলের জেলা সভাপতির ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নামে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের (TMC) তপনের ব্লক সভাপতির টাকা নেওয়ার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল জেলা। এবারে খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী রয়েছে?

    বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারকে দলের অঞ্চল সভাপতি করে দেওয়ার নামে টাকাপয়সার কথা বলতে শোনা যায়। অন্য একটি ভিডিওতে মদের আসরে বসে রয়েছেন শাসক দলের জেলা সভাপতি। অন্য একটি ভিডিওতে বারের মধ্যে মহিলাদের নাচানাচি করতে দেখা যাচ্ছে। তবে, সেখানে তৃণমূলের জেলা সভাপতির কোনও ছবি নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তিনটি ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিন আগেকার একটা ঘটনা, তখন আমি ব্লক সভাপতি ছিলাম। সেই সময় কেউ এটা তুলে থাকবেন। আমি  ঘুমোচ্ছিলাম। তখন কেউ একজন এসব বলে, প্রশ্ন করে ও টাকা দিতে চায়। আমি তার কোনও উত্তর দিইনি। বিজেপির আইটি সেল ভোটের আগে বদনাম করার জন্যই এরকম ভিডিও ভাইরাল করছে। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বিলি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জোর কোন্দল বেধেছে। বিশেষ করে গঙ্গারামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে গোঁজ প্রার্থী নিয়ে চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল। রবিবারই রাজ্যের নির্দেশে ১৯ জন বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর তারপরেই এই ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে তোলপাড় জেলা রাজনীতি।  

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা তৃণমূলের (TMC) নতুন কিছু নয়। এই দলের টিকিট থেকে পদ, সবই টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতিও তাই টাকা চাইবেন, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। এটা তৃণমূলের ব্যবসা। টাকা দিয়েই পদ নেবেন, আবার সেই টাকা তুলবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাড়িতে বোমাবাজি, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই, বাবা সহ তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বাড়িতে বোমাবাজি, আক্রান্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই, বাবা সহ তিন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাড়িতে বোমাবাজি। গুরুতর জখম বিধায়কের ভাই এবং বাবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানার সামনে চলছে বিজেপির বিক্ষোভ। অন্যদিকে, হামলার প্রতিবাদে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া রাজ্য সড়কে মাজদিয়ার ভাজনঘাট মোড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলে। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে আচমকাই বিজেপির (BJP) বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বাড়ি এবং আশপাশের বেশ কিছু বাড়িতে বোমাবাজি শুরু হয়। বোমার আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মুকুটমণি অধিকারীর ভাই অনুপম অধিকারী এবং তাঁর বাবা ভূপাল অধিকারী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে পালায়। এমনিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্য জুড়ে বিজেপি সহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কোথাও প্রার্থীদের জোর করে মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আবার কোথাও মারধর করা হয়েছে। সেই কারণেই আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ টালবাহানার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট পরিচালনা করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় জেলায় রুটমার্চ শুরু করলেও সন্ত্রাসের খবর উঠে আসছে একাধিক জায়গা থেকে। এবার বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেই বোমাবাজির ঘটনায় জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিজেপির (BJP) বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী বলেন, রবিবার রাতে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। আশপাশেও তারা বোমা ছোড়ে। বোমার আঘাতে জখম হন আমার ভাই,বাবা এবং আরও এক বিজেপি নেতা। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি আমাদের কথা দিয়েছিলেন এই এলাকায় কোনও সন্ত্রাস হতে দেবেন না। তা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে গেল। আর এই ঘটনার পিছনে পুরোপুরি দায়ী প্রশাসন এবং তৃণমূল। যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে থানার সামনে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই ওই এলাকায় বিজেপির প্রার্থী বাছাই নিয়ে ঝামেলা চলছিল। আর রবিবারের রাতের ঘটনা পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra: ভোগের পদ আড়াইশো! ইসকনে মাসির বাড়িতে পরম আদরে প্রভু জগন্নাথ

    Rath Yatra: ভোগের পদ আড়াইশো! ইসকনে মাসির বাড়িতে পরম আদরে প্রভু জগন্নাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার মায়াপু্রের ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে রয়েছেন জগন্নাথ দেব। উল্টোরথের দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ফিরবেন রাজাপুরের মন্দিরে। আপাতত শতাধিক পদে মহা আনন্দে খাওয়া-দাওয়ায় দিন কাটছে ভগবান জগন্নাথ দেব সহ ভ্রাতা বলরাম ও ভগিনী সুভদ্রার।

    পদ সংখ্যা আড়াইশো ছাড়িয়েছে

    নামেই ছাপ্পান্ন ভোগ। কিন্তু সংখ্যায় পদ ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াইশো। মাসির বাড়িতে এমনই বিপুল আয়োজন। কী নেই মেনুতে? ফলমূল, শাক-সবজি থেকে শুরু করে চাউমিন, পিঠেপুলি, লুচি, পায়েস এবং বিভিন্ন রকমারী মিষ্টি। দেশি-বিদেশি মেনুতে জনা পঞ্চাশেক রাঁধুনি ও তাদের সহযোগীরা দিনভর দুবেলা জগৎপতি জগন্নাথের আতিথেয়তায় ব্যস্ত। আর ঠিক এভাবেই উল্টো রথ বুধবার পর্যন্ত মহা আনন্দে রকমারী পদ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করে পুনরায় নিজের স্থায়ী নিবাসে ফিরে যাবেন প্রভু। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবকে ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাচ্ছেন কয়েক হাজার ভক্ত। মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিচালিত এই রথযাত্রা উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে এক  মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

    কী বলছেন ইসকনের আধিকারিক?

    এ বিষয়ে ইসকন মায়াপুর মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন ভগবান জগন্নাথ দেব সহ বলদেব ও সুভদ্রা দেবী রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে সুসজ্জিত তিনটি রথে (Rath Yatra) চেপে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর  ইসকন মন্দির সংলগ্ন ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী অস্থায়ী মাসীর বাড়ি গুন্ডিচায় এসে পৌঁছেছেন। এই সাতদিন আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করি তাঁদের বিভিন্ন রকমারী পদ দিয়ে ভোগ নিবেদন করার।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জগতের নাথ যে কদিন মাসির বাড়িতে থাকবেন, ততদিন তাঁর পছন্দের সব ধরনের খাবার তৈরি করে তাঁকে সন্তুষ্টি করার চেষ্টা করেন ভক্তরা। বছরে একটি বার ভ্রাতা ও ভগিনীকে নিয়ে মাসির বাড়ি আসেন জগতের নাথ জগন্নাথ। তাঁর যত্নআত্তিতে যাতে কোনও রকম খামতি না থাকে, তার জন্য সর্বদা খেয়াল রেখে চলেছেন ইসকনের ভক্তরা।’’ ভগবান জগন্নাথ দেব বুধবার উল্টো রথের (Rath Yatra) দিন দুপুরের পর নিজগৃহ রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন। ততদিন ইসকনে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে তৈরি সুসজ্জিত গুন্ডিচায় বিভিন্ন ধর্মীয় সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে পুলিশকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে পুলিশকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের পুলিশ কিছু করলে ২০০৭ যা দেখেছিলেন তার থেকেও বেশি দেখবেন। রবিবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়াতে প্রার্থী পরিচিতি সভায় এসে এমনই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মনোনয়নের দিন আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তৃণমূলের তিনটে-চারটে করে গোষ্ঠী রয়েছে। ওদের সঙ্গে কেউ নেই। শুধু পুলিশ ভরসা। কিন্তু, ওরা কিছু করতে পারবে না। ভোটের দিন নন্দীগ্রামে থাকবো। ভোট দেবো। রাত জাগবো। নিজেরা সিসি টিভি লাগাবো। গনণার দিনও সুরক্ষা দেব। মমতা হেরে বাড়ি গিয়েছে। আপনারাও জিতবেন। এরাও (তৃণমূল) এপাং ওপাং ঝপাং হবে।

    অভিষেকের মিছিলে পা মেলানো পুলিশ সুপারকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিছিলে হেঁটেছিলেন পুলিশ সুপার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা হয়েছিল। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ভাইপোর সঙ্গে মিছিলে হাঁটা পুলিশ সুপারের নামে হাইকোর্টে কেস করবো। এই পুলিশ সুপারকে দিয়ে কি করে ভোট করানো যায়? যদি রাজ্য নির্বাচন কমিশন তাকে না সরায় তাহলে মঙ্গলবার মিছিলে হাঁটা ছবি নিয়ে কোর্টে যাব।

    লক্ষ্ণীর ভান্ডার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়়ে এক তৃণমূল প্রার্থী লক্ষ্ণীর ভান্ডার নিয়ে বিতর্কিত দেওয়াল করেছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতে হলে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার সরকারের টাকা। আপনার আমার করের টাকা। এভাবে কেউ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলতে পারে না। একটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হলে আমাকে জানাবেন। রাজ্য সভাপতি বলেছেন। আমি আবারও বলছি, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৫০০ টাকা নয়, ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    Birbhum: যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদেরই আবাস যোজনার বাড়ি! শতাব্দীর সামনে প্রবল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ‘দিদির দূত’ হয়ে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়েও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের এই নেত্রীকে। বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামের ঘটনা। মেজাজ হারালেন শতাব্দী! এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    রবিবার সকালে সিউড়িতে (Birbhum) প্রচারে বের হন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ। সেই সময় কয়েকজন মহিলা এসে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন তাঁকে। আবাস দুর্নীতি থেকে শুরু হয় অভিযোগের তালিকা। তারপর রাস্তা খারাপ থেকে শুরু করে পানীয় জলের সমস্যা, প্রতিটি বিষয় তাঁরা তুলে ধরেন শতাব্দীর সামনে। চলে বিক্ষোভ। অধিকাংশ মানুষ বলেন, যাঁদের ঘর রয়েছে তাঁদেরকেই আবাসের বাড়ি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রিপল চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল যাওয়ার জন্য নেই ড্রেন, জমা জলে এলাকায় দারুণ সমস্যা। আসছে বর্ষা, কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে জানতে চান এলাকার মানুষ।

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেগে গিয়ে বীরভূমের এই তৃণমূল সাংসদ (Birbhum) বলেন, বিক্ষোভ কাকে বলে? মিডিয়া জোর করে দেখাচ্ছে! বিরোধীদের কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। দিতে বাধ্য নই। এলাকার মানুষের মধ্যে এক-দুজন কিছু বললে সেটাকে বিক্ষোভ বলা যাবে না। জনজোয়ারে কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে বলতে পারবেন? সুতরাং বিরোধীরা কখনই বলবেন না শতাব্দী রায় ভালো কাজ করছে। তাই কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না আমি। পরে অবশ্য এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন শতাব্দী। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “সরকারের নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। একটি পরিবারের একাধিক ছেলে। তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।”

    রাজ্যপাল সম্পর্কে মন্তব্য

    রাজ্যপাল সম্পর্কে শতাব্দী রায় (Birbhum) বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ বেশি করছেন। নিজের প্রটোকল ভেঙে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন তিনি। বিজেপির কর্মীদের মৃত্যু হলেই রাজ্যপাল পৌঁছে যাচ্ছেন। উনি মনে প্রাণে একজন বিজেপি কর্মী, এমনটাই মন্তব্য করেন শতাব্দী রায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূল প্রার্থীর নামের পাশে লেখা ‘চোর’, ছবিতে কালি, হাওড়ায় শোরগোল

    Howrah: তৃণমূল প্রার্থীর নামের পাশে লেখা ‘চোর’, ছবিতে কালি, হাওড়ায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টারের ছবিতে লেখা ‘চোর চোর’। কিন্তু কে বা কারা লিখে দিল ‘চোর চোর’? যা নিয়ে রবিবার সকালে হাওড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে চোর লেখা ছাড়াও তৃণমূল প্রার্থীর ছবির মুখে লাগানো হয়েছে কালো কালি। নির্বাচনী প্রচারে এলাকা বেশ সরগরম।

    কী ঘটনা ঘটেছে?

    হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৮ ও ১৯২ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সামসুল আলম তরফদারের ছবিতে মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তলায় লেখা হয়েছে চোর চোর চোর শব্দ। আর তাই নিয়েই চাঞ্চল্য হাওড়া জেলার রাজনীতিতে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কারা? তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও পুলিশ তদন্ত করছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। অন্যদিকে যার ছবিতে ‘চোর’ লেখা হয়েছে, তিনি অবশ্য বিষটিতে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

    ফেস্টুনে কী লেখা ছিল?

    তৃণমূল প্রার্থীদের (Howrah) প্রচারে লাগানো হয় ফেস্টুন। তাতে লেখা ছিল রুপালি বেগম, নাজিয়া খাতুন ও সামসুল আলম তরফদারের নাম। গ্রাম সভায় দাঁড়িয়েছেন রুপালি। নাজিয়া লড়ছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে। আর জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন সামসুল আলম তরফদার। ফেস্টুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনের ছবিও ছিল। কিন্তু সামসুল আলম তরফদারের নাম এবং ছবির সামনে লেখা ‘চোর চোর চোর চোর’।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে সামসুল আলম তরফদার বলছেন, ‘প্রচার তুঙ্গে আছে। পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে প্রচার কী ভাবে চলছে! কোনও অসুবিধা নেই। কিছু নিন্দুক থাকে, যাদের ভালোটা সহ্য হয় না। আসলে আমরা চোরই! আমি ক্যামেরাতে স্বীকার করে নিচ্ছি যে আমরা চোর, আমরা মানুষের মন চুরি করতে বের হয়েছি। এখানে বিরোধী শূন্য এলাকা। তারপরেও কিছু লোক আছে, যাদের ২০২১-সালে দল বাদ দিয়েছে। এবারে তারা পঞ্চায়েতে দাঁড়াতে পারেনি। হয়তো এইরকম কোনও ব্যক্তি এই কাজ করেছ।’ অন্যদিকে হাওড়া (Howrah) জেলা সদর তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, ‘কোনও দুষ্কৃতী হয়তো রাত্রিবেলা এই রমক কাজ করেছে। বিরোধী দলের তরফ থেকে হয়ত এইরকম করে থাকলেও থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে, যা উপযুক্ত ব্যবস্থা হয় তারা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পঞ্চায়েতে বুথে প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল বিজেপি

    BJP: পঞ্চায়েতে বুথে প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলট পুরাণ। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে যখন তৃণমূলের ২৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন, সেখানে মেটেলি ব্লকের সামসিং পঞ্চায়েতে উল্টো চিত্র ধরা পড়ল। মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১/৮ নম্বর বুথে প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। এই বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত প্রার্থী ধনরাজ তামাং। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির এই জয়ের জন্য গেরুয়া আবির দিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস পালন করলেন বিজেপির নেতাকর্মীরা।

    বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী দেয়নি

    জানা যায়, সামসিং ইয়ংটং টিজির বড়ি লাইনের বাসিন্দা ধনরাজ তামাং। মাটিয়ালি হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ নম্বর আসনে তিনি এবার বিজেপির (BJP) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেন। এই আসনটি তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু এই আসনে তৃণমূল সহ অন্য কোনও দলেই আর মনোনয়ন জমা দেয়নি। তাই বিজেপি প্রার্থী ধনরাজ তামাং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। বিজেপির এই বিজয় উল্লাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মেটেলি আপার মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সার্কি, সহ-সভাপতি ঋতুরাজ শর্মা, নিলম প্রধান,পুনম রানা, বিজেপির শ্রমিক নেতা জমির ওরাও সহ বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি (BJP) প্রার্থী?

    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে ধনরাজ তামাং জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের যে দুর্নীতি সামনে এসেছে, তার বিরুদ্ধে মানুষ সরব হয়েছে। তাছাড়া এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কোনও উন্নয়নই করেনি। মানুষ তেমনভাবে পরিষেবা শেবনি। এই সমস্ত কারণে এই বুথে তৃণমূল প্রার্থী দিতে আর সাহস করেনি। পাশাপাশি তিনি জানান, এই গ্রাম পঞ্চায়েত গতবার তৃণমূলের দখলে ছিল, কিন্তু এবার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই বুঝেই তারা প্রার্থী দেয়নি। যদিও বা দিত তাহলে তার জমানত বাজেয়াপ্ত হত।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব?

    জেতার পর মেটেলি ব্লকের বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সার্কি জানান, তাঁরা একটি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। মানুষের ভোটে তাঁরাই এবার ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতই দখল  করবেন। আগামী দিনে লোকসভা ভোটেও মানুষ বিজেপির সাথেই থাকবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের মেটেলি ব্লক সভাপতি জোসেফ মুন্ডা বলেন, দলীয় প্রার্থীকে আমরা মনোনয়ন জমা করার জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, কেন আমাদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেননি সেটা ভোটের পর আমরা দলগতভাবে দেখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Murshidabad: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে বোমা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বোমাবাজি, গোলাগুলি, রাজনৈতিক হত্যা-সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে হয়েছে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহারও। আর এরপর প্রচার অভিযান শুরু হতেই দিকে দিকে শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মী, প্রার্থী, সমর্থকদের লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিযোগ থামছে না। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আগেই ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর।

    কী ঘটেছে (Murshidabad)?

    রানিনগরে (Murshidabad) ব্লক ২ এর মালিবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমানের বাড়ির লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মধ্যরাতে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক আতাউর রহমান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। সিপিএম জোট প্রার্থী-কর্মীদের সঙ্গে তাঁর অসুস্থ ছেলেকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তোলেন।

    রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে আমার বাড়ির সামনে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এসে বোমাবাজি করে গেছে। এখানে মূলত সিপিএম সমর্থিত জোট এবং শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে। দিনের বেলায় বাচ্চা ছেলেদের বিষয় নিয়ে গোলমাল হয়, আর তারপরেই রাতের বেলায় এই বোমাবাজি হয়। তৃণমূলের গুণ্ডারা বোমা নিয়ে আঘাত করলে জোটের ছেলেরা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আর এরপর পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ উল্টো আমার বাড়িতে তল্লাশি করে জোটের কর্মীদের তুলে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে আমার ছেলেকেও তুলে নিয়ে যায়। রাজ্যে স্বৈরাচারী আর দুষ্কৃতীদের শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেন এই রাষ্ট্রপতি পুরুস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে শিক্ষকের অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। রানিনগর (Murshidabad) টু-এর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি শাহ আলম সরকার বলেন, গ্রামে অশান্তির মূল কারণ হচ্ছেন শিক্ষক আতাউর রহমান। পরিকল্পনা মাফিক এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করেছেন শিক্ষক। তিনি আরও বলেন, আমাদের তিন-চারজন কর্মীকে মেরে আহত করেছেন ওই শিক্ষক। আমাদের বেশ কিছু কর্মী বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেন ব্লক সভাপতি। বয়স্ক শিক্ষক মানুষ। আগে সিপিএম করতেন, কিন্তু ভালোমন্দের জ্ঞান নেই তাঁর। শিক্ষক আতাউর রহমান গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেলে গ্রামে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হবে, এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: বোমা বাঁধার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল দুজন, কাঠগড়ায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Bomb: বোমা বাঁধার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল দুজন, কাঠগড়ায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোঁজ দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের সব জেলায় এটাই চেনাচিত্র। এই নির্দল প্রার্থীরাই এখন তৃণমূলের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৫৬ জনকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার বোমা (Bomb) তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি-২ ব্লকের বসন্তিয়া এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন বসন্তিয়ায় বাদামের জঙ্গলের ভিতরে একটি ঘরের মধ্যে বোমা (Bomb) তৈরির কাজ চলছিল। স্থানীয় লোকজন দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বোমা তৈরির সরঞ্জাম সহ দুজনকে আটক করে। বেশ কয়েকটি বোমা ও তার সরঞ্জাম পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে অভিযুক্তরা বলেন, ২০০০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলে নিয়ে এসেছিল। তৃণমূলের জন্য বোমা তৈরির কথা বলা হয়েছিল। এদিন ২০০ টাকা অগ্রিম দিয়েছিল। আমরা বোমা তৈরির কাজ করছিলাম। এরমধ্যেই পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে যায়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তপন কুমার সামন্ত বলেন, আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কয়েকটি বুথে নির্দল প্রার্থী দিয়েছে। বিরোধীরা সমর্থন করেছে। আসলে তৃণমূলে হারানো তাদের লক্ষ্য। তাই, নির্দলের লোকজন বোমা তৈরির কাজ করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা চড়াও হই। হাতে নাতে ধরে বোমা (Bomb) তৈরির কারবারিদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। বিজেপি সহ বিরোধীদের এই কাজে মদত রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ব্যাপক আকার নিয়েছে। তৃণমূলকে হারাতে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী বোমা (Bomb) তৈরি করছে। তৃণমূল বলেই এটা সম্ভব। বিজেপি বোমাবাজির রাজনীতির পছন্দ করে না। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share