Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর রায়ে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করেছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এরপরই শুভেন্দু জানান, হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশিরভাগ মিথ্যা মামলা খারিজ করেছে আদালত। তাই রক্ষাকবচের প্রয়োজন সেই অর্থে নেই।

    কেন খুশি শুভেন্দু

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি হাইকোর্টের রায়ে খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুলিশকে দিয়ে গত ৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করেছিল, হাইকোর্ট সেই সব মামলার বেশিরভাগ খারিজ করেছে। বাকি মামলা সিবিআইকে দিয়ে সিট বানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে মমতার ক্রীড়নক, রাজনৈতিক টুল, এটা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আবার মিথ্যা মামলা করলে আবার হাইকোর্টে আমি যেতে পারব, সেই স্বাধীনতাও হাইকোর্ট দিয়েছে। অতএব দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। মমতাকে প্রাক্তন করব। ওর ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”

     রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ

    ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) রক্ষকবচ দিয়েছিলেন। যার ফলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে অভিযোগকারীদের আদালতের অনুমতি নিতে হত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। আর তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যুগ্ম সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আগে যা ছিল, এখনও তাই

    এদিন ২০২২ সালে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া হাইকোর্টের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে বিচারপতির মন্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের যে রায় ছিল, তা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ছিল। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। এর ফলে থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজ্যকে আর আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। হাইকোর্ট রায় ঘোষণার পরই শাসকদের একাধিক নেতারা সব সুর চড়াতে শুরু করেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল বেকার নাচছে। এই মামলা আমারই পক্ষে গেছে”। ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যত গুলো মিথ্যে মামলা দিয়েছিল এই জেহাদি সরকার সব স্থগিত করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, খুন, হামলা থেকে শুরু করে যা যা মিথ্যে মামলা সাজিয়েছিল সেগুলোও খারিজ করেছে।” বিরোধী দলনেতার কথায়, “এই রায় আমার কাছে কোন নেগেটিভ রায় নয়। তৃণমূল নাচছে নাচুক। ওরা সারাদিন আমাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।” বিজেপি নেতা তথা আইনজ্ঞ তাপস রায়ও বলেন, রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে হইচই করা হচ্ছে, এই ব্যাখ্যাটাই আসলে ভুল। তাপসবাবু বলেন, “বিরোধী দলনেতার আগেও কোনও রক্ষাকবচ ছিল না, এখনও নেই। আগেও আদালত বলেছিল, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এখনও সেই অবস্থানই রয়েছে।”

    যে কোনও ঘটনায় শুভেন্দুকে জড়ানোর চেষ্টা

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক এফআইআর করছে পুলিশ। ছোটবড় যে কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে। এফআইআরগুলিকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করে ২০২১ এবং ২০২২ সালে দু’বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই সময়ে বিচারপতি মান্থা এফআইআরগুলিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন এবং জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর আর করা যাবে না। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের(Calcutta High Court) সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি।

    শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিচারপতি সেনগুপ্ত অধিকাংশ এফআইআর বাতিল করে দিয়েছেন। চার-পাঁচটি এফআইআর শুধু বাতিল করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে। তাঁরা ওই মামলাগুলির তদন্ত করবেন। আগের মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তাই একে ঠিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বলা চলে না।’’ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে রাজ্য সরকার নানা ভাবে বিরোধী দলনেতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা শুভেন্দুর আইনজীবীর। রাজ্য পুলিশের কাজে আস্থা নেই বলেই সিবিআইকে সিটে শামিল করা হয়েছে, দাবি তাঁর।

  • SIR in Bengal: রাজ্যে ৩ ধাপে হবে এসআইআর, তিন মাসে প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার যাচাই করতে হবে কমিশনকে

    SIR in Bengal: রাজ্যে ৩ ধাপে হবে এসআইআর, তিন মাসে প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার যাচাই করতে হবে কমিশনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের তালিকা এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা গিয়েছে— দু’টির মধ্যে মাত্র ৫২ শতাংশ ভোটারের তথ্য মিলে গিয়েছে। রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা এখন ৭.৬ কোটি, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক ভোটারের তথ্য মিলছে না। কমিশনকে (Election Commission) আগামী তিন মাসের মধ্যেই যাচাই করতে হবে রাজ্যের প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার। কমিশন সূত্রে খবর, বিহারে ২ কোটি ভোটারকে এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করতে হয়েছিল।

    তিন ধাপে চলবে প্রক্রিয়া

    কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে (SIR in Bengal) ভোটার যাচাইয়ের কাজ হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপ হল ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করানো হবে। তথ্য জোগাড় করবেন। সমস্ত কিছু গণনা করা হবে। এই ধাপটি চলবে প্রায় ৩০–৩৫ দিন। দ্বিতীয় ধাপ হল তার এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপর ভোটার বা রাজনৈতিক দলগুলি এই তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবেন। বাদ পড়া নাম যুক্ত করা, ভুল সংশোধন করা যাবে এই পর্বে। দ্বিতীয় ধাপের এই কাজ চলবে প্রায় এক মাস। তৃতীয় ধাপ হল সংশোধন ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর তৈরি হবে চূড়ান্ত তালিকা। সমস্ত যাচাই করার পর, পরবর্তীতে এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট বের হবে। এই প্রক্রিয়া চালাতে ব্লক লেভেল অফিসার (BLO)-দের প্রশিক্ষণ ও ফর্ম বিতরণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

    নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এটা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ, এত বড় পরিসরে ভোটার যাচাইয়ের কাজ একসঙ্গে করা খুবই জটিল। তবু আমরা চেষ্টা করছি যাতে সব ভোটার তালিকাভুক্ত হন।” প্রতিটি জেলায় এবং শহরাঞ্চলে হেল্পডেস্ক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিক ও বাইরের রাজ্যের কর্মীদের সাহায্যের জন্য। কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের প্রথমে শুরু হতে পারে। তাই তৎপরতা একেবারে তুঙ্গে।

  • Weather Update: আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’! বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    Weather Update: আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’! বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় (Weather Update) তৈরির ব্যাপক অনুকূল পরিস্থিতি হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে শুক্রবার সকালে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। ক্রমে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মন্থা’। ২৫ অক্টোবর, শনিবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে বিরাট আকার নেবে। ২৬ তারিখ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপের ফলে সৃষ্টি হওয়া সকল পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে আবহাওয়া দফতর।

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather Update)?

    শুক্রবার হাওয়া অফিস থেকে একটা বুলেটিন দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর ঘূর্ণাবর্তের (Weather Update) প্রভাব নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। গত কয়েক ঘণ্টায় ধীরে ধীরে তা পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। ২৭ অক্টোবর সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে। তারপর গতিবিধি কেমন হবে পরিস্থিতি দেখে আরও ঠিক করে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।

    আবার এই সপ্তাহের শেষে এবং আগামী সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনও রকম সতর্কতা জারি করা হয়নি। আগামী সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় বৃষ্টি হবে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে শনিবার থেকে বৃষ্টি হবে।

    কলকাতার আবহাওয়া কেমন?

    কলকাতার (Kolkata Weather) আবহাওয়া (Weather Update) শুক্রবার মোটের উপর পরিষ্কার। শহরের আকাশ মেঘ মুক্ত। বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পাশাপাশি দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন থাকবে ৪৪ শতাংশ। তবে সোমবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম থাইল্যান্ডে দেওয়া হয়েছে ‘মন্থা’। উৎসবের আবহে ঝড়ের প্রভাব যেন থামছেই না। শীতের আগে ঘূর্ণিঝড়ের একের পর এক প্রভাবে বাংলা যেন আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছে। ঝড় এবং বৃষ্টির প্রভাব শীত না পড়া পর্যন্ত কি অবস্থায় থাকে তা নিয়ে একাংশের মনে উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে।

  • BJP: কলকাতা এবং শহরতলির ২৮টি বিধানসভায় কত ভোট বেড়েছে? ভোট ম্যাপিং করছে বঙ্গ-বিজেপি

    BJP: কলকাতা এবং শহরতলির ২৮টি বিধানসভায় কত ভোট বেড়েছে? ভোট ম্যাপিং করছে বঙ্গ-বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির (BJP) ভোট শতাংশ কত? গত বিধানসভার পর লোকসভায় কত আসন বেড়েছে? এলাকাভিত্তিক ২৮টি বিধানসভায় বিজেপির হাল কেমন? সল্টলেক অফিসে ভোট ম্যাপিং (BJP Vote Mappping) করতে চলেছে বিজেপি। সমর্থন এবং ভোট, আগে থেকে অনেক পরিমাণেই বেড়েছে। তাই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে কীভাবে রণনীতি গ্রহণ করবে সেই নিয়েও এদিন বিস্তর আলাপ-আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    এলাকাভিত্তিক প্রধান ইস্যুগুলি কী (BJP)?

    ভোট ম্যাপিং-এর আলোচনায় দলের তরফে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গ বিজেপির (BJP) পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভুপেন্দ্র যাদব, সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব। অপরে রাজ্য বিজেপির পক্ষে থাকবেন শমীক ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। তবে জানা গিয়েছে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, যাদবপুর-কেন্দ্রের চার সাংগঠনিক জেলার মোট ২৮টি বিধানসভা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ম্যাপিং (BJP Vote Mappping) হবে। গত কয়েকটি নির্বাচনে কেমন ফলাফল হয়েছে তা বুঝেই আলোচনা হবে। কোন এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গে কত ব্যবধান, এলাকাভিত্তিক প্রধান ইস্যুগুলি কী? কোথায় মুসলিম জনসংখ্যা কেমন? ইত্যাদি এই নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। একই ভাবে তফশিলি ভোটার কোথায় কি পরিমাণে রয়েছে? সেই সব এলাকায় দলের কেমন আন্দোলন রয়েছে, আরও আন্দোলন করলে কতটা সাড়া মিলবে ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হবে। কতগুলি বুথ কমিটি গঠন হয়েছে, দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি কেমন-সহ নানান বিষয়ে অতীত আর বর্তমানের সাপেক্ষে বিশ্লেষণ করা হবে। এই বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে আগামীদিনে কলকাতা এবং শহরতলির অংশে ভোটের রণনীতি ঠিক করা হবে।

    বাম-কংগ্রেস সুবিধা দেয় তৃণমূলকে

    উল্লেখ্য, লোকসভার ভোটে কলকাতা পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি (BJP)। খুব অল্প ব্যবধানে ১০টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল তারা। আবার লোকসভা ভোটে তুলনামূলক দমদমে অনেক এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির অবশ্য দাবি, সিপিএম ২ লক্ষ ৪০ হাজার ভোট না কাটলে দমদম লোকসভা হতো বিজেপির (BJP Vote Mappping) দখলে। ফলে এই ভাবে বাম-কংগ্রেস কত ভোট কেটে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিয়েছে সেই দিকেও নজর দেবে বিজেপি। তৃণমূলকে হারাতে বাম-কংগ্রেসের কাটা ভোটকে কীভাবে বিজেপির খাতে আনা যায় তাই নিয়ে চলছে বিস্তর ভাবনা চিন্তা।

  • SIR: বঙ্গে এসআইআর শুরু নভেম্বরে শেষ জানুয়ারিতে, জানাল নির্বাচন কমিশন

    SIR: বঙ্গে এসআইআর শুরু নভেম্বরে শেষ জানুয়ারিতে, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শুরুতেই হতে চলেছে এসআইআর। দ্রুত ভোটার তালিকা সংশোধন এবং পরিমার্জন করে করা হবে এসআইআর (SIR)। এই কাজকে সম্পন্ন করতে বুধবার থেকে একাধিক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-দের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) সুখবীর সিং ও বিবেক যোশী।

    জানুয়ারির মধ্যেই হবে কাজ শেষ (SIR)

    গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুই দিন দিল্লিতে এই বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা মতোই কাজ হয়েছে। বৈঠকের শেষে একটি বিশেষ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দুইদিন জুড়ে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল এসআইআর (SIR) এবং প্রস্তুতি। নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যেই এই কাজ শেষ করতে হবে। উপস্থিত মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার বা সিওদের তা নিয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একটি বিবৃতি দিয়ে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “সিইওদের ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন সংক্রান্ত প্রস্তুতির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তাঁদের মনে তৈরি হওয়া প্রশ্নেরও যথাযথ উত্তর দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা।”

    ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকেই নজর

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতো গোটা দেশজুড়েই এসআইআর (SIR) হবে। তবে কোথায় কোন রাজ্যে কোন সময়ে হবে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কমিশনের ইঙ্গিত ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকেই। কারণ ভোটের আগে ভাগেই এই রাজ্যগুলিতে নিবিড় তালিকার কাজ শেষ করতে চাইছে কমিশন। গত দুই দিনের বৈঠকে সামনেই ভোট রয়েছে এমন কেন্দ্র শাসিত এবং রাজ্যগুলিকে নিয়েই বৈঠক করা হয়েছে। এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যোগ দিয়েছেন মনোজ আগরওয়াল। একই ভাবে তামিলনাড়ু এবং অসমের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে কমিশন। তবে এসআইআর-এর আবহেই বাংলার ৬০০ জন বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসারদের শোকজের নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন (Election Commission)। ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন নিয়ে কেন অনীহা দেখাচ্ছেন? এই বিষয়ে কারণ দেখাতে বলেছে কমিশন। তবে বিএলও-র কাজে সাধারণত দায়িত্বে থাকেন রাজ্য সরকারের কর্মী বা স্কুল শিক্ষকেরা। ফলে কাজ ফেলে বা স্কুলের পড়ানো ছেড়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজে অনীহা দেখাচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি উল্টো। যেহেতু এই রাজ্যে তৃণমূল এসআইআর চায় না, তাই কাজ না করার জন্য বিএলওদের আগেই ধমকি দেওয়া হয়েছে। এমন কি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় দেখে নেওয়ার কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। ফলে নিবিড় তালিকা সংশোধন নিয়ে কর্মীদের মনে ভয়ের একটা বিষয় তো রয়েই গিয়েছে।

  • Minor Patient Harassed: আরজিকরের পর এসএসকেএম! সরকারি হাসপাতালে ‘যৌন হেনস্থা’ নাবালিকাকে, ধৃত এনআরএসের কর্মী

    Minor Patient Harassed: আরজিকরের পর এসএসকেএম! সরকারি হাসপাতালে ‘যৌন হেনস্থা’ নাবালিকাকে, ধৃত এনআরএসের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাসপাতালে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এবার ‘শিকার’ নাবালিকা রোগিণী (Minor Patient Harassed)। খবরের শিরোনামে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল। বুধবার দুপুরের ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

    রোগিণী নির্যাতনে গ্রেফতার ১ (Minor Patient Harassed)

    বুধবার চিকিৎসা করাতে এসএসকেএমের বহির্বিভাগে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। তার পরেই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের দাবি, চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করা হয় বছর পনেরর ওই কিশোরীকে। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। ওই রাতেই কলকাতার ধাপা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি ওই এলাকায়ই। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো (শিশু সুরক্ষা) আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

    কাধিক প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তিনি কোথায় কাজ করেন, এসএসকেএমেই বা ঢুকলেন কীভাবে, এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী হলেও, আগে তিনি অস্থায়ী কর্মী ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের। এসএসকেএমে তিনি কাজ করতেন ওয়ার্ড বয় বিভাগে। সেই সূত্রে মাঝেমধ্যেই এসএসকেএমে যাতায়াত করতেন তিনি।

    পুরানো পোশাকেই বাজিমাত!

    তাঁর কাছে ছিল এসএসকেএমের পুরানো পোশাকও। সেই পোশাক পরেই বুধবারও তিনি গিয়েছিলেন এসএসকেএমের বহির্বিভাগে। সেখানেই নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে ওই নাবালিকাকে তিনি নিয়ে যান হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের শৌচাগারে। সেখানেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকার চিৎকারে সবাই ছুটে এলে প্রকাশ্যে আসে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি। ইতিমধ্যেই গা-ঢাকা দেন অভিযুক্ত। যদিও রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর নাম অমিত মল্লিক। হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, এদিন ওই নাবালিকাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তাঁর বাবা-মা। তাঁকে আউটডোরে লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে তাঁরা গিয়েছিলেন টিকিট করাতে। সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করে অমিত। পরে পরিবারের তরফে গোটা ঘটনাটি জানানো হয় হাসপাতালের মধ্যে থাকা কলকাতা পুলিশের আউটপোস্টে। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত।

    হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন

    এসএসকেএমের মতো একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। অভিযুক্ত প্রাক্তন ওয়ার্ড বয় কেন এসএসকেএমের পোশাক পরে আউটডোরের সামনে ঘোরাঘুরি (Minor Patient Harassed) করছিলেন? এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী হয়েও, কোন উদ্দেশ্যে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন তিনি? তাঁর বিরুদ্ধে আগেও এমন কোনও অভিযোগ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা। বছরখানেক আগেই আরজিকর হাসপাতালে ঢুকে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন জনৈক সঞ্জয় রায়। পেশায় তিনি ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার।

    দীর্ঘায়িত হচ্ছে তালিকা   

    আরজিকর, দুর্গাপুর, উলুবেড়িয়ার পর এবার এসএসকেএম! ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে হাসপাতালে ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ঘটনার তালিকা। রাজ্যবাসীর প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল শাসিত রাজ্যে কি এটা তবে চলতেই থাকবে? রাতের অন্ধকারটা কি তবে মেয়েদের জন্য বিপদ আর দুষ্কৃতীদের জন্য নিরাপদ হয়েই থাকবে! আর কতদিন সহ্য করতে হবে মাতৃজাতির এই অসম্মান? রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, তৃণমূল নেত্রী যতদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিনই চলতে থাকবে এই ঘটনা। কারণ বিভিন্ন সময় এই জাতীয় ঘটনা কিংবা ঘটনার অভিযোগ নিয়ে স্বয়ং মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যেসব মন্তব্য করেন, তা দুষ্কৃতীদের তোল্লায় দিয়েছে। তারই মাশুল গুণতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। গোটা দেশের কাছে মুখ পুড়ছে বাংলার।

    এদিকে, হাওড়ার উলুবেড়িয়া হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে মারধর এবং ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পাঁচলায় এসপি অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বিজেপি কর্মীদের।

    উলুবেড়িয়ায় গ্রেফতার আরও এক

    উলুবেড়িয়ার ওই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩। ধৃত যুবকের নাম শেখ সম্রাট। আদালতে তোলা হলে তাঁকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রেও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এর আগে ওই ঘটনায় ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত এক হোমগার্ড-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের ৩ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত (Minor Patient Harassed)।

    কী বললেন রাজ্যপাল?

    অন্যদিকে, উলুবেড়িয়াকাণ্ডে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি চিকিৎসকদের নিষ্ঠা ও ত্যাগের সহমর্মী হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে একাধিক ঘটনায় রাজ্যের নারী নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। দুর্গাপুরে ওড়িশা থেকে পড়তে আসা এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপালও। সেই সময় ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যপাল স্পষ্ট বলেছিলেন, “বাংলা মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়।”

    বাংলার মেয়েরা তাহলে যাবেন কোথায়? দেশ ছেড়ে যাবেনই বা কেন? উঠছে একাধিক প্রশ্ন (Minor Patient Harassed)।

  • BJP: সিএএ নিয়ে তৎপর বিজেপি, জনতার পাশে দাঁড়াতে বাংলায় হচ্ছে ৭০০ ক্যাম্প

    BJP: সিএএ নিয়ে তৎপর বিজেপি, জনতার পাশে দাঁড়াতে বাংলায় হচ্ছে ৭০০ ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হয়েছে দেশজুড়ে। তবে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা এ ব্যাপারে বিশেষ সচেতন নন। কেন আবেদন করবেন, কীভাবেই (CAA) বা করবেন, কোথায় আবেদন করবেন, অনেকেই তা জানেন না। মাস সাতেক পরে এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার এই বিষয়টি নিয়েই তৎপর হলেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বুধবার সিএএ নিয়ে বিশেষ বৈঠক তথা কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যের মতো কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন পদ্ম সাংসদ, বিধায়ক এবং পদস্থ নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুনীল বনশলও, ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই।

    কী বললেন সন্তোষ? (BJP)

    বৈঠকে কেবল এসআইআর নয়, সিএএ-র ওপরও যাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও রাজ্য নেতৃত্বকে সচেতন করেন কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। যত দ্রুত এবং যত বেশি সম্ভব আবেদনপত্র যাতে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, এদিন বিজেপি নেতৃত্বকে সে কথাই জানিয়েছেন সন্তোষ। জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির সল্টলেকের কার্যালয়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। পদ্ম শিবিরের ওই বৈঠক হয়েছে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে। সেখানে রাজ্যের ১৭টি জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সিএএ সহায়তা ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মতুয়া, উদ্বাস্তু মানুষদের ভিড় রয়েছে, যেমন, বনগাঁ, নদিয়া, এমন জেলাগুলির ওপর আলাদা নজরদারির কথা বলা হয়েছে। ওই বিধানসভাগুলির অধীনে থাকা প্রত্যেক মণ্ডলে তিনটি করে ক্যাম্প খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের ওপর এই দায়িত্ব বর্তেছে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাঁদের এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কারা এই কাজের দায়িত্ব পাচ্ছেন, কারা দায়িত্ব পাবেন, তার তালিকাও দিতে হবে।

    শমীকের বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দেশ ভাগের সময় বা তার পরে যে পাপ করেছে কংগ্রেস, সেই পাপমুক্তি বা প্রায়শ্চিত্ত করছে বিজেপি। আমরা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হিন্দুদের পক্ষে। এটা আমাদের ঘোষিত অবস্থান। সেই জন্য আমরা ক্যাম্প করব, অর্থ সাহায্য করব। বিজেপি যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ একজন উদ্বাস্তু হিন্দুর কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।”

    ৭০০-এরও বেশি সিএএ ক্যাম্প

    জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ৭০০-এরও বেশি সিএএ ক্যাম্প করতে চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, সবে মাত্র হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বুধবারই বাড়ি ফিরেছেন শমীক (BJP)। চিকিৎসকদের পরামর্শে আরও কিছু দিন বিশ্রাম নিতে হবে তাঁকে। তাই তাঁর বাড়িই এখন তাঁর অফিসের পাশাপাশি দলেরও পার্টি অফিসও (CAA)। ফোন এবং অনলাইনে দফায় দফায় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। রাজ্যের পুরানো কর্মী, জেলা সভাপতি এবং বুথস্তরের এজেন্টদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা নেতাদের সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে শমীক এসআইআর নিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যে এসআইআর চালু হয়ে গেলে এই কাজে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ সংক্রান্ত কোনও কাজে কোনওরকম ঢিলেমি করা চলবে না। কর্মীরা যেন এসআইআরকে একেবারে ‘ডু অর ডাই’ মিশন হিসেবে বিবেচনা করেন। কারণ এই কাজে কর্মীদের গাফিলতি হলে রাজ্যে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।

    শমীকের বার্তা

    বিজেপির জন্য এ রাজ্যে এসআইআর সফলভাবে সম্পন্ন হওয়াটা যে ঠিক কতটা জরুরি, সেটা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ ঠিক মতো এগোচ্ছে কিনা, সেটা যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর এবং সুসজ্জিত পার্টি অফিস আর থাকবে না। বিহারের পর এবার দেশজুড়ে যে কোনও দিন চালু হয়ে যেতে পারে এসআইআর।” ইতিমধ্যেই এসআইআর নিয়ে প্রাথমিক কাজ সেরে রাখছে রাজ্যগুলি। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের প্রায় ২৩ বছর পর (CAA) আবারও দেশে স্পেশাল ইনটেনশিভ রিভিশন করা হতে চলেছে (BJP)।

    সিএএ ক্যাম্প

    এদিনের বৈঠকে সিএএ ক্যাম্প কীভাবে পরিচালিত হবে, লোকেশন নির্বাচন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেতে যেসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যেমন, নথিপত্র ঘাটতি, ফর্ম ফিলাপে অসুবিধা, আবেদন প্রক্রিয়ায় জট, এগুলির সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে খবর। রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির অগ্রগতি এবং সেগুলিকে জনমানসে তুলে ধরার রণকৌশল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে বলে খবর (BJP)।

  • SIR: একাধিক বিএলওকে শোকজ! এসআইআর করতে আরও তৎপর কমিশন

    SIR: একাধিক বিএলওকে শোকজ! এসআইআর করতে আরও তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর (SIR) শুরুর আগেই কমিশন শোকজ করল একাধিক বিএলওকে। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের জন্য ব্লক স্তরের অফিসারদের কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক সরকারি কর্মীরা এই কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। নিজের নিজের দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় নির্বাচন কমিশন (Election Commision) কারণ জানতে চেয়ে শোকজ করেছে। অপর দিকে এসআইআর-এর কাজে গেলে উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবিও তুলতে শোনা গিয়েছে কর্মীদের মুখে।

    হুমকিকে শক্ত হাতে দমন করা হবে (SIR)

    রাজ্যে এসআইআর (SIR) নিয়ে প্রথম থেকেই খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলের অনেক নেতামন্ত্রীরা রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের প্রকাশ্যে ভয় দেখিয়েছিলেন। পাল্টা নির্বাচন কমিশন রাজ্যে এসআইআর-এর কাজকে থমকে রাখেনি। তালিকা সংশোধনের কাজে গতিকে বাড়াতেই কোনও রকম আপস নয় বলে সাফ জানিয়েছে কমিশন। কিন্তু বিএলও-দের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পরও শতাধিক বিএলও কাজ করতে চাইছেন না। কমিশন (Election Commision) স্পষ্ট জানিয়েছে, কারণে যদি সন্তোষ জনক না হয়, তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কমিশনের এক উচ্চ কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, বিএলওরা মাঠে নেমে কাজ করছেন। যদি কোনও রকম রাজনৈতিক হিংসার হুমকি আসে তাহলে তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। আর যদি তাতেও কাজ না করতে চান, তাহলে কমিশনের নির্দেশ অমান্য করা হবে বলে ধরা হবে।

    কমিশন আরও সক্রিয়

    এই রাজ্যে বিএলওদেরকে (SIR) শাসক দল তৃণমূল আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছে, বেশ কিছু এলাকায় নাম তোলা নিয়ে বিএলওদের চাপের মুখেও ফেলা হয়েছে। তবে কর্মীদের মধ্যে একাংশের অভিযোগ খোদ কলকাতা, কসবা, খিদিরপুর, গুলশান কলোনির মতো এলাকায় প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। আসলে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দিতে গেলেই শাসকদলের রোষের মুখে পড়তে পারেন। তাই স্থান বিশেষে চাপের মুখে রয়েছে বিএলওরা। এই অবস্থায় কমিশনের (Election Commision) কাছে নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছে। ফলে কমিশনের শোকজের নোটিশ বিরাট তাৎপর্যবাহী বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ এসআইআর নিয়ে রাজ্য সরকারের চেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকায় নির্বাচন কমিশন।

  • Calcutta Stock Exchange: বন্ধ হয়ে গেল শতাব্দী-প্রাচীন কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ, কারণ কি জানেন?

    Calcutta Stock Exchange: বন্ধ হয়ে গেল শতাব্দী-প্রাচীন কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে পাঙ্গা নিত কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ (Calcutta Stock Exchange)। সেখানেই এখন ঝুলল তালা। বহু বছরের আইনি ও নিয়ন্ত্রক জটিলতার পর এটি এবার শেষবারের মতো (Shut Down) কালীপুজো ও দীপাবলি উদযাপন করল। ২০ অক্টোবর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেল ১১৭ বছর বয়সি কলকাতার এক সময়ের গর্ব এই স্টক এক্সচেঞ্জ। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (SEBI) হল ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০১৩ সালে নিয়ন্ত্রক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থতার জেরে এই সেবি-ই সিএসইতে লেনদেন স্থগিত করে দিয়েছিল। গত দশ বছর ধরে লেনদেন ফের চালু করা এবং সেবির নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করার নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, শেষমেশ ঝাঁপ ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এক্সচেঞ্জটি।

    সেবির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ (Calcutta Stock Exchange)

    আগে যদিও সিএসই আদালতের মাধ্যমে সেবির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা করেছিল, তবে গত বছর পর্যন্ত কোনও অনুকূল রায় মেলেনি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সিএসই বোর্ড সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে চলতে থাকা মামলাগুলি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর তারা স্বেচ্ছায় কার্যকলাপ বন্ধের আবেদন করে। সিএসইর চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বসু বলেন, “স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যবসা থেকে প্রস্থান সংক্রান্ত অনুমোদনটি ২৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে গৃহীত হয়েছে। সেই অনুযায়ী সিএসই সেবির কাছে এক্সচেঞ্জ বন্ধ সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়েছে। সেবি ইতিমধ্যেই একটি মূল্যায়ন সংস্থা নিয়োগ করেছে, যা বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল্যায়নের কাজ করছে (Closing Down)।”

    হোল্ডিং কোম্পানি

    জানা গিয়েছে, যদি সেবি প্রত্যাহারের অনুমতি দেয়, তবে সিএসই একটি হোল্ডিং কোম্পানি হিসেবেই থাকবে, যদিও তার সহযোগী সংস্থা সিএসই ক্যাপিটেল মার্কেটস প্রাইভেট লিমিটেড জাতীয় শেয়ারবাজার এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন চালিয়ে যাবে (Calcutta Stock Exchange)। ইএম বাইপাসে সিএসইর তিন একর জমি সৃজন গ্রুপের কাছে ২৫৩ কোটি টাকায় বিক্রির প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে সেবি। সেবির চূড়ান্ত অনুমোদনের পরেই সম্পন্ন হবে এই কাজ। ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ। একসময় এটি ছিল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিদ্বন্দ্বী। এটি কলকাতার আর্থিক ইতিহাসের একটি প্রতীক। লায়ন্স রেঞ্জ এলাকার আর্থিক কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত ছিল এটি। সিএসইর সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে ২০১৩ সালে, যখন সেবি তাদের ট্রেডিং কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্সচেঞ্জটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম লঙ্ঘন করেছিল। যার জেরে এই পদক্ষেপ করে সেবি (Shut Down)।

    আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে

    এরপর সংস্থাটি একাধিকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আর্থিক চাপের বহর, কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সিএসইতে ঝাঁপ পড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল, প্রাসঙ্গিকতা হারানো। এই সংস্থা এঁটে উঠতে পারেনি বিএসই এবং এনএসইর সঙ্গে। ২০০০ সালের শুরুর দিকে ডট কম বুমের পর থেকে সিএসই ক্রমেই পিছিয়ে পড়তে শুরু করে। প্রযুক্তি-নির্ভর আর্থিক খাতের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে এই শেয়ার বাজারটি কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে।

    শেয়ার ব্রোকার কেতন পারেখ

    এই এক্সচেঞ্জ বন্ধের কফিনে শেষ পেরেকটি সম্ভবত পোঁতা হয় ২০০১ সালে, পেশায় শেয়ার ব্রোকার কেতন পারেখের হাতযশে। সংস্থার আইনি ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে কয়েকটি নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেন পারেখ। ফলে কঠোর নিয়মকানুন আরোপিত হয় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়। সময়ের সঙ্গে নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়াই শেষ পর্যন্ত কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের পতনের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অভিজ্ঞ স্টকব্রোকার সিদ্ধার্থ থিরানি বলেন, “আমরা প্রতিদিনের লেনদেন শুরু করতাম দেবী লক্ষ্মীর প্রার্থনা করে। এভাবেই চলেছিল ২০১৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত, যখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা লেনদেন স্থগিত করে। এবারের দীপাবলি সেই ঐতিহ্যের বিদায়ের মতো মনে হচ্ছে (Calcutta Stock Exchange)।”

    ভারতের মূলধন বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সেবির কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল সংস্থা বন্ধের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব। ২৫ এপ্রিল সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয় শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা। এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ সম্পূর্ণ করার জন্য সেবি নিয়োগ করে রাজবংশী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসকে। এটি হল কোনও একটি এক্সচেঞ্জকে তালাবন্ধের অনুমোদন দেওয়ার আগে শেষ ধাপ। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রতিবেদনে সংস্থার চেয়ারম্যান বসু বলেছিলেন, “১,৭৪৯টি তালিকাভুক্ত ব্যবসা ও ৬৫০ জন নিবন্ধিত সদস্য নিয়ে এই এক্সচেঞ্জটি ভারতের মূলধন বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।” ওই অর্থবর্ষে পরিচালক হিসেবে সভায় অংশগ্রহণের জন্য (Shut Down) তিনি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৫.৯ লাখ টাকা। কর্মীদের ভিআরএস দিয়ে এবং কিছু কর্মীকে চুক্তিভিত্তিকভাবে রেখে কোনওক্রমে চলছিল সংস্থাটি। এবার সেখানেই পড়ল ঝাঁপ। হ্যাঁ, চিরতরে (Calcutta Stock Exchange)।

  • Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে, তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূলের বিরদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যেরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গতবছর ৯ অগাস্ট ঘটেছিল আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড। ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন রাজ্য রাজনীতি থেকে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এই বছর দুর্গাপুরে ফের আরও এক চিকিৎসক তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য প্রশাসন এবং তৃণমূল সরকারের নারী সুরক্ষানীতি সত্যই প্রশ্নের মুখে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যের নারীরা যদি সুরক্ষিত না থাকেন তাহলে প্রশ্ন তো উঠবেই। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের মেয়েরা সুরক্ষিত নয় বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। একইভাবে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলকে আয়নাও দেখালেন।

    ধর্ষকদের শেষ করতে হবে (Suvendu Adhikari)

    কালীপুজোর দিনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের প্রত্যকে নারীর সুরক্ষার জন্য তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনার বার্তা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে লাগাতার ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের। তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের রাজত্বে প্রচুর ধর্ষকদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কোনও বোন, কন্যা এবং মায়েরা এই মমতার রাজ্যে সুরক্ষিত নন। এই ধর্ষকদের শেষ করতে মা কালীর খড়গটা লাগবে। মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম এবার মা তোমার ত্রিশূলটা লাগবেই। অভয়া থেকে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ আমাদের কোনও বোন কোনও মেয়ে বাংলায় সুরক্ষিত নয়। মা দুর্গার ত্রিশূল আর মা কালীর খড়গটা দিয়ে ধর্ষকদের শেষ করতে হবে। পুজোর দিনে মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।”

    সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে?

    লাগাতার তৃণমূলের দ্বারা সংগঠিত নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যের জন্য অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “মা আমাদের শক্তি দিক, যাতে আমরা সুরক্ষা দিতে পারি। কন্যাদের সুরক্ষা দিতে পারি। মেয়েদের সুরক্ষার দায়িত্ব যদি নিজেরাই নেন তাহলে আমরা আছি কি করতে। সরকার ব্যবস্থাই বা আছে কী করতে? ভারতকে আমরা মাতা বলি, তাই এই রাজ্যের প্রত্যেক নারীর সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। প্রত্যেক কন্যা আমাদের রত্ন। তাদের সুরক্ষিত রাখাই আমার কর্তব্য। আর মাত্র কয়েকমাস পর আসছে সেই সুযোগ। বিধানসভা নির্বাচনে এই সরকারকে বিদায় দিতে পারলেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো আমরাও বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষা দিতে পারব।”

    আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে?

    পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা যে মাটি শক্ত করছে তা নিয়ে বিজেপি বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে আরও একবার ক্ষমতায় আসতে চাইছে। সেই আশাতে জল ঢেলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে কেন জয়ী হবেন? ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন বুঝে নেবে। আমাদের শুধু নজরদাড়ি আর চৌকিদারি চালাতে হবে। আমরা তো ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে বলছি না। নন্দীগ্রামে বাংলাদেশের মহিলা ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের পটিয়ে নিয়ে এসে এখানে দ্বিতীয় বিয়ে এবং তৃতীয় বিয়ে করে রেখেছে। এখানেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় সম্পত্তি এবং জমিতে অধিকার বসাচ্ছে বহিরাগতরা। নন্দীগ্রামের সীমান্ত তো আর বাংলাদেশের সীমান্ত নয়। কতটা বিপদজনক পরিস্থিতি বোঝাই যাচ্ছে। বাংলাদেশি ভোটারা এই রাজ্যে এসে তৃণমূলের মদতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাই আমরা কেন অভারতীয়দের নিয়ে চলব। আমাদের রেশন কেন ওঁরা খাবে? আমার ভোট কেন ওঁরা দেবে? বিদেশি লোকের ভোটে কেন আমরা বিধায়ক হব? বিদেশি ভোটে কেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী হবেন? বিদেশি ভোটে কেন মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হবেন? এই লড়াইটা ভারতীয়দের সঙ্গে অভারতীয়দের। সকল হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং রাষ্ট্রবাদী মুসলমানদের এক সঙ্গে নিতে হবে।”

LinkedIn
Share