Ramakrishna 450: ঠাকুর আনন্দে তাহাকে দেখাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন, দেখো দেখো, ন্যাকা ন্যাকা হাসে

https://www.madhyom.com/ramkrishna-kathamrita-by-mahendra-gupta-443th-copy

ছোট নরেন পশ্চিমের বারান্দার উত্তর কোণে ঠাকুরের পা ধুয়ে দিচ্ছেন। কাছে মাস্টার দাঁড়িয়ে আছেন।

শ্রী রামকৃষ্ণ: তুমি কেমন করে ওই টুকুর ভিতর থাকো? উপরের ঘরে গরম হয় না?

মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, খুব গরম হয়।

শ্রী রামকৃষ্ণ: তাতে পরিবারের মাথার অসুখ। ঠান্ডায় রাখবে?

মাস্টার: আজ্ঞে হ্যাঁ, বলে দিয়েছি নিচের ঘরে শুতে।

ঠাকুর বৈঠকখানার ঘরে আবার আসিয়া বসে আছেন ও মাস্টারকে বলিতেছেন— “তুমি এ রবিবারেও যাও নাই কেন?”

মাস্টার:আগে বাড়িতে তো আর কেউ নাই। তাতে আবার ব্যারাম, কেউ দেখবার নেই।

ঠাকুর গাড়ি করিয়া নিমগড়, স্বামীর গলিতে, দেবেন্দ্রর বাড়িতে যাইতেছেন। সঙ্গে ছোট নরেন, মাস্টার, আরও দুই-একজন ভক্ত। পূর্ণর কথা কইতেছেন, পূর্ণর জন্য ব্যাকুল হইয়া আছেন।

শ্রী রামকৃষ্ণ: খুব আস্থা। তা না হলে ওর জন্য চাকরি জুটিয়ে দিতেন? ও তো এসব কথা জানে না।

শ্রীরামকৃষ্ণ মাস্টারের প্রতি
“খুব আধার, তা না হলে ওর জন্য জপ করিয়ে নিলে — ও তো এসব কথা জানে না।”

মাস্টার ও ভক্তেরা অবাক হয়ে শুনিতেছেন যে ঠাকুর পূর্ণর জন্য বীজমন্ত্র জপ করিয়াছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ: “আজ তাকে আনলেই হত, আনলে না কেন?”

ছোট নরেনের হাসিতে কী আর! ঠাকুর-ভক্তেরা সকলে হেসে উঠিতেছেন। ঠাকুর আনন্দে তাহাকে দেখাইয়া মাস্টারকে বলিতেছেন:

“দেখো দেখো, ন্যাকা ন্যাকা হাসে, যেন কিছু জানে না — কিন্তু মনের ভিতর কিছু নাই।
তিনটি মনে নাই: কামিনী, কাঞ্চন। মন থেকে একেবারে না গেলে ভগবান-লাভ হয় না।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share