Aadhaar Biometric Scam: ফের ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্লোন করে টাকা গায়েব, কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন অ্যাকাউন্ট?

Cyber Suraksha more than 100 experts train to defend Indias digital ecosystem

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে (Aadhaar Biometric Scam) অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এবার ফের ওটিপি ছাড়াই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এতে প্রতারিত হলেন ঝাড়গ্রাম আদালতের দুইজন সরকারি আইনজীবী পবিত্র কুমার রানা ও তাঁর ভাই পরিমল রানা। অন্যদিকে প্রতারণার জালে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হল কলকাতার এক অভিনেত্রী মৌসুমী সান্যাল দাশগুপ্তেরও।

কী বলছেন প্রতারিতরা?

ঝাড়গ্রামের আইনজীবী পবিত্রকুমার রানা বলেন, ‘‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ঝাড়গ্রাম শাখায় সেভিংস (Aadhaar Biometric Scam) একাউন্ট রয়েছে আমার, সেখান থেকে দু দফায় ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। পাস বই আপলোড করার সময় দেখলাম কোন গ্রাহক সেবাকেন্দ্র থেকে তোলা হয়েছে টাকা।’’ অন্যদিকে তাঁর ভাই পরিমল রানারও পাঁচ দফায় ১০ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা গায়েব হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পরিমলবাবুর পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকেও  ১০ হাজার টাকা গায়েব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিনেত্রী মৌসুমী সান্যাল দাশগুপ্ত বলছেন, ‘‘আমার ৬ সেপ্টেম্বর মোবাইল একটি মেসেজ আসে। সেখানে আমি দেখি টাকা তোলা হয়েছে। আমি আলাদা করে কোনও লিংক পাইনি বা আমার কাছে কোন ওটিপি আসেনি। এরপর আমি এটিএম কার্ড খুঁজি, দেখি সেটি আমার কাছেই রয়েছে। সবই ঠিকঠাক রয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নকল করে টাকা তোলা হয়েছে (Aadhaar Biometric Scam)।’’  প্রসঙ্গত এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। দিন কয়েক আগে মহেশতলার এক প্রোমোটার এভাবেই প্রতারিত হন, রায়গঞ্জের এক শিক্ষকের সঙ্গেও একটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে। আবার কাঁথির এক ব্যক্তিও একই অভিযোগ তুলেছিলেন।

কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা?

এভাবে একের পর এক অ্যাকাউন্ট (Aadhar Scam) থেকে টাকা গায়েব হওয়াতে নিশ্চিতভাবেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখা যাবে? সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘এম-আধার অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে এবং বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশনে গিয়ে তা লক করতে হবে। পরে টাকা তোলার সময় বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করার সময় সেটিকে অন করে টাকা তুলতে হবে, পরে আবার লক করে দিতে হবে। অথবা, ইন্টারনেট থেকে মাই আধার ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ-ইন করে একইভাবে নিজের আধার বায়োমেট্রিক্স লক করতে হবে।’’ এর ফলেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ক্লোন আটকানো যাবে। কলকাতা পুলিশের সিপি ক্রাইম শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তীর মতে, ‘‘২০২৩ সালের জুন মাস থেকে এই ধরনের অভিযোগ নথিভুক্ত হতে শুরু করেছে। যেখানে এটিএম পরিষেবা পর্যন্ত মেলে না, সেখানেই আধার ক্লোন করে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে (Aadhaar Biometric Scam)।’’

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share