Blog

  • Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    Tawang: “এটা ১৯৬২ সাল নয়…যোগ্য জবাব দেবে বীর জওয়ানরা”, চিনকে কড়া বার্তা অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের শুরু হয়েছে চিনা সেনাদের উৎপাত। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং (Tawang) সেক্টরে ফের চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে৷ আর এবারে এই ঘটনা নিয়েই চিনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত আর ১৯৬২ তে নেই। যদি কেউ ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তবে তাকে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা যোগ্য জবাব দেবে।  

    কী ঘটেছিল?

    চলতি মাসের ৯ তারিখ তাওয়াংয়ে (Tawang) দুই দেশের সেনা জওয়াানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতীয় জমিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। আর এই অবস্থায় উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে চিনের সেনা জওয়ানরাই বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতে কোনও প্রাণহানি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিনারা প্রায় ৩০০ সেনা নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তৈরি ছিল ভারতীয় সেনারাও। অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হার মেনে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।

    আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    চিনাদের অনুপ্রবেশের ঘটনায় গতকাল চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চিনের সেনাকে আটকে দিয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যতক্ষণ নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, ততক্ষণ কেউ ভারতের এক ইঞ্চি জমিও নিতে পারবে না।”

    অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    এরপরেই ভারত-চিন সংঘর্ষ(Tawang) নিয়ে কড়া ভাষায় বিবৃতি দিলেন পেমা খাণ্ডুও। তিনি বলেছেন, “এটা ১৯৬২ সাল নয়। যদি কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, তাকে কড়া জবাব দেবে ভারতীয় বীর জওয়ানরা। অনুপ্রবেশের কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী। ইয়াংতসে আমার বিধানসভা অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। প্রত্যেক বছর আমি সেনা জওয়ান ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করি।” আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীদের ফলে চিনারা পিছু হটতে বাধ্য হলে তিনি জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমাদের জওয়ানরা ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেয় না, ইটের জবাব লোহা দিয়ে দেয়।”

  • Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    Police Bribery: ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা এক পুলিশকর্মীর! গলা থেকে টেনে বের করা হল সেই টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন এক পুলিশকর্মী (Police Bribery)। আর ঘুষের টাকা নেওয়ার সময়েই ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে এমন এক কাণ্ড করে বসলেন ওই পুলিশকর্মী, যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ভিজিল্যান্স অফিসারদের হাতে ধরা পড়তেই সেই টাকা ঢুকিয়ে দিলেন মুখে এবং টাকা গিলে ফেলারও চেষ্টা করলেন তিনি। যদিও সঙ্গে সঙ্গে সেই পুলিশ আধিকারিকের মুখে আঙুল ঢুকিয়ে টাকা বের নেয় ভিজিল্যান্স অফিসাররা। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে।

    ঘুষের টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা পুলিশকর্মীর

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই পুলিশকর্মীর নাম মহেন্দ্র উলা। তিনি হরিয়ানা পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, একটি মোষ চুরির মামলায় ঘুষ নিচ্ছিলেন তিনি। সেই মোষ মালিক শম্ভু নাথকে  মহেন্দ্র উলা বলেছিলেন, ১০ হাজার টাকা দিলেই তাঁর মামলার তদন্ত করা হবে। সেই কথা মত মহেন্দ্রকে প্রথমে ৬০০০ টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন শম্ভু। পরে ৪০০০ টাকা দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন শম্ভু নাথ। কিন্তু পরে তিনি এই বিষয়ে ভিজিল্যান্স অফিসারদের কাছে ওই পুলিশকর্মীর নামে অভিযোগ (Police Bribery) করে দেন। এরপর সেই অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে ধরতে ফাঁদ পাতেন অফিসাররা। সেই বাকি টাকা দেওয়ার নাম করে হাতেনাতে ধরে ফেলে অফিসাররা। আর তারপরেই করে বসে অদ্ভুত কাণ্ড। সেই টাকা মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলার চেষ্টা করেন মহেন্দ্র উলা।

    ভিজিল্যান্স অফিসারও এখানে থেমে থাকেনি। সাব ইন্সপেক্টরটির মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা বের করে আনেন তাঁরা। নিজেকে বাঁচাতে ভিজিল্যান্স আধিকারিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে টাকা উদ্ধার হতেই অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করেন ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা (Police Bribery)।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই এই পুরো ঘটনাটির ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমতাবস্থায়, একজন পুলিশ অফিসারের এহেন কাণ্ডকারখানা দেখে সকলেরই চক্ষু চড়কগাছ।

  • Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শক্তির জয় জয়কার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার বিশেষ বাহিনীতে এবার থেকে যোগ দিতে পারবেন মহিলা কমান্ডোরাও। তবে তার জন্য তাঁদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। সমস্ত মাপকাঠি মেনেই তাঁদের চলতে হবে। নিতে হবে কঠোর প্রশিক্ষণ। দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

    মার্কোসে মেয়েরা

    নৌসেনায় কর্মরত যে কোনও মহিলা মেরিন কমান্ডোর বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। নৌসেনার কমান্ডো বাহিনীকে মার্কোস নামে ডাকা হয়। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করায় এই বাহিনীর সুনাম দুনিয়া জুড়ে। জল, স্থল, অন্তরীক্ষ— তিন জায়গাতেই সমান ভাবে লড়াই করতে পারে মার্কোস। এবার থেকে মহিলাদের জন্য সেই বাহিনীর দরজাও খুলে গেল। তবে এর জন্য অবশ্যই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের। যেতে হবে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। ভারতীয় সেনার মধ্যে নৌসেনাই প্রথম, যাদের বিশেষ বাহিনীতে কমান্ডো হিসাবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে চলেছে। বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে কঠিনতম পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। যা সাধারণ ভাবে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য বলে বিবেচিত হয়। তবে মহিলারা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে এবং যে কোনও কষ্টকেই সহজে জয় করতে পারে, বলে দাবি করেন এক নৌসেনা আধিকারিক। তাই তাঁরা যেকোনও বিভাগে যোগ দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌসেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশেষ অভিযান থেকে শুরু করে বোমারু বিমান ওড়ানো, যুদ্ধজাহাজে দায়িত্বপালন, নৌসেনার সমস্ত শাখাতেই এখন মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি চলছে। নৌসেনা নিজেকে পুরোপুরি লিঙ্গনিরপেক্ষ বাহিনীতে বদলে ফেলেছে।

    আরও পড়ুন: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্সেও মেয়েরা

    শুধু নৌসেনা নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো ফোর্সেও যোগ দিতে পারবেন মহিলা অফিসাররা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মাপকাঠি পূরণ করলে বায়ুসেনার স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে (Garud commando force) যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও বাধা থাকবে না। গত বছরই স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে মহিলাদের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, ওই ‘এলিট’ বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কোনও মাপকাঠি শিথিল করা হবে না। সম্পূর্ণ মাপকাঠি পূরণ করলে তবেই ওই বাহিনীতে সুযোগ মিলবে।  লিঙ্গ সাম্যের পথে এটাই প্রথম ধাপ নয় ভারতীয় বায়ুসেনার। অতীতে শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক কারণে সামরিক ভূমিকা থেকে মহিলাদের দূরে রাখা হত। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নয়া অধ্যায় রচিত হয়। সেই বছর মহিলা পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমোদন দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    Acid Attack: প্রকাশ্য দিবালোকে দিল্লিতে কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা! গ্রেফতার তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনা। ফের অ্যাসিড অ্যাটাকের (Acid Attack) শিকার হতে হল এক কিশোরীকে। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে রাস্তায় অ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়া হল তরুণীর মুখে-চোখে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকায়। দুই যুবক বাইক চেপে ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আজ, বুধবার একেবারে সকাল ৯টা, ব্যস্ত সময়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে ফের প্রশ্নের মুখে রাজধানীর দিল্লির বুকে মহিলা সুরক্ষা। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কিশোরীর উপর অ্যাসিড হামলা

    দিল্লির বুকে এই নারকীয় অ্যাসিড হামলার (Acid Attack) দৃশ্য  সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে। যা দেখে শিউরে উঠছেন মানুষ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তার একপাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দুই কিশোরী। হঠাৎ করেই একটি বাইক আসে এবং তাঁদের সামনে ধীরে হয়ে যায়। আর তাদের দিকে তাকাতেই ওই কিশোরীকে লক্ষ্য করে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ চেপে ধরে দৌড়াতে দেখা যায় মেয়েটিকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ঘটনার পর সফদরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অ্যাসিড হামলার জেরে ওই কিশোরীর মুখের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তার চোখও অ্যাসিডে ক্ষতিগ্রস্থ বলে জানা যাচ্ছে। ফলে সফদরগঞ্জ হাসপাতালের আইসিইউতে ওই কিশোরীর চিকিৎসা চলছে বলে খবর।

    অন্যদিকে ঘটনার (Acid Attack) পরেই ওই কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর দুই মেয়ে। একজনের বয়স ১৭ এবং অন্যজনের ১৩। সকালে দুজনেই তাঁরা বের হয়। আর এরপরেই এই ঘটনা ঘটে। তাঁর মেয়েকে কেউ বিরক্ত করত কিনা তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, “আমার মেয়েকে এর আগে কেউ বিরক্ত করেছে বলে আমার জানা নেই। আমি ওকে সব জায়গায় নিয়ে যেতাম। দুই বোন মেট্রোতে করে একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করত।”

    গ্রেফতার তিন

    দিল্লির অ্যাসিড ছোঁড়ার (Acid Attack) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালেই এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত ওই যুবককে জেরা করাও শুরু হয়েছে। কেন এই ঘটনা তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার পরে বিকেলে এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

    হামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    এই নারকীয় ঘটনা (Acid Attack) নিয়ে সরব হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির অ্যাসিড হামলা প্রসঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “এটি একেবারেই মেনে নেওয়া যাবে না। অপরাধীদের এত সাহস হল কী করে? অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা দিতে হবে। দিল্লির প্রতিটি মেয়ের নিরাপত্তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

  • SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) মামলা যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আর একের পর এক মামলার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির (SLST) ২১ জনের বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজ সেই ২১ জনকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বয়স কম দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ২১ জনের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি হাইকোর্টের

    ২০১৬ সালে নবম এবং দশম শ্রেণিতে বয়স কমিয়ে এবং অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি দেখিয়ে অনেককে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ১৯২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী (SSC Scam)। মামলাকারীদের দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে সিবিআই তদন্তের দরকার।”

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে এই ২১ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। ফলে সেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রকৃত বয়স ৪০-এর উপরে। কিন্তু চাকরির জন্য বয়স কম করে দেখিয়েছে তারা। এরপরেই এতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ (SSC Scam)।

    আর এরপরেই এই মামলায় (SSC Scam) বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আপাতত অভিযুক্ত ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। আজ শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, “দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে, প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হল, নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আদালতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ফলে এই নিয়োগ মামলায় আবার কী তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার। 

  • Lionel Messi Retirement: চার বছর পর আর নয়, রবিবারই বিশ্বকাপে তাঁর শেষ ম্যাচ! জানালেন মেসি

    Lionel Messi Retirement: চার বছর পর আর নয়, রবিবারই বিশ্বকাপে তাঁর শেষ ম্যাচ! জানালেন মেসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেসিকে ভবিষ্যতে আর নীল সাদা জার্সিতে দেখা যাবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে কাতারেই খেলবেন শেষ বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022), জানিয়ে দিলেন আধুনিক ফুটবলের ঈশ্বর লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল জয়ের পর লিও বলে দিলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর লুসেইল স্টেডিয়ামে কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলবেন। মেসি এই কথা জানানোর পরেই তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ক্লাবের হয়ে খেললেও দেশের মেসিকে আর খেলতে না-ও দেখা যেতে পারে, সংশয় মেসি অনুরাগীদের মনে।

    এভাবেই শেষ হোক

    ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপ জেতেনি আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ তাদের কাছে। ফাইনালের ম্যাচটাই তাঁর বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ বলে জানিয়ে দিলেন মেসি। আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার বলেন, “ফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ লাগছে। আমার বিশ্বকাপ সফর শেষ হবে এই ফাইনাল ম্যাচ খেলেই। পরের বিশ্বকাপ অনেক দেরি। আমার পক্ষে সেটা খেলা সম্ভব হবে না। আর শেষটা এ ভাবেই করা ভাল।” ৩৫ বছরের মেসি এটি পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলছেন। টপকে গিয়েছেন তাঁর দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনাকে। এ বারের বিশ্বকাপে পঞ্চম গোল করে ফেলেছেন ফুটবলের জাদুকর। বিশ্বকাপে মোট ১১টি গোল তাঁর দখলে। মঙ্গলবার রাতে লুসেইল স্টেডিয়ামে আরও একবার পায়ের জাদু দেখান তারকা ফুটবলার। পেনাল্টি থেকে গোল করার পাশাপাশি আলভারেজকে গোল করতে সাহায্য করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।  দলকে ফাইনালে তোলার পর আর্জেন্টিনার সংবাদ সংস্থা ডিয়ারিও ডিপোর্টিভো ওলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, “ব্যক্তিগত রেকর্ড ভাল। সেগুলো গড়তে পারলে ভাল লাগে। কিন্তু আসল হচ্ছে দলগত ভাবে জেতা। সেটাই প্রধান লক্ষ্য। খুব সুন্দর জিনিস সেটা। আর একটা ম্যাচ বাকি। অনেক লড়াই করেছি আমরা। এ বার আমরা বিশ্বকাপ পাওয়ার জন্য নিজেদের সবটুকু দিয়ে দেব।”

    আরও পড়ুন: জোড়া গোল আলভারেজের! মেসি-ম্যাজিকেই ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা

    নীল-সাদা জার্সিতে আরও কিছুদিন!

    আর্জেন্টিনার জার্সিতে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল, তাঁর শেষ ম্যাচ কি না তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মেসি। সমর্থকরা চান, বিশ্বকাপে আর না খেললেও আর্জেন্টিনার হয়ে আরও কয়েকবছর খেলা চালিয়ে যান মেসি। আশা করা যায়, আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে বাকি প্রশ্নের উত্তর ফাইনালের পরই মিলবে। কিন্তু মেসির এই বক্তব্যে জাতীয় দল থেকে তাঁর অবসরের ইঙ্গিত স্পষ্ট। আপাতত ফোকাস ১৮ ডিসেম্বরের ‘ব্যাটেল অব লুসেইল’। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে সোনালি কাপ উপহার দেওয়াই লক্ষ্য লিওর।

  • Tawang: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    Tawang: তাওয়াংয়ের ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের! কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াংয়ের (Tawang) ওপর শ্যেন দৃষ্টি চিনের। এর প্রধান কারণ, তাওয়াং জায়গাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। শুধু তাই নয়, ধর্মীয় গুরুত্বের জন্যও তাওয়াংয়ের বিশেষ কদর রয়েছে চিনে (China)। সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে তাওয়াংকেই পাখির চোখ করেছে ড্রাগনের দেশ।

    তাওয়াং…

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত তাওয়াং। জায়গাটি ১৯৬২ সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণে ভারত এবং চিন দুই দেশের কাছেই তাওয়াংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। ৬২-র যুদ্ধে তাওয়াং দখল করার পর ম্যাকমোহন লাইনের ভিতরে পড়ে যাওয়ায় চিন এটি খালি করেছিল। পরে চিন ম্যাকমোহন লাইন মানতে অস্বীকার করে। তাই ফের তাওয়াং দখল করতে চাইছে চিন। তাওয়াং নিজের কবজায় নিয়ে এসে ড্রাগনের দেশ চাইছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশাপাশি তিব্বতকে পর্যবেক্ষণ করতে। এই তাওয়াংয়ের সঙ্গে তিব্বতের ধর্মীয় নেতা বতর্মান দালাই লামার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৫৯ সালে তিব্বত ছেড়ে যাওয়ার পর এখানে কিছু দিন কাটিয়েছিলেন দালাই।

    চিন থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের জন্য দুটি পয়েন্ট সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি তাওয়াং (Tawang), অন্যটি চাম্বা উপত্যকা। তাওয়াং রয়েছে চিন-ভুটান সংযোগস্থলে। আর চাম্বার অবস্থান নেপাল-তিব্বত সীমান্তে। তাওয়াং দখল করতে পারলে চিন দাবি করবে, অরুণাচল প্রদেশ তাদেরই অংশ।  

    আরও পড়ুন: “কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে’’, ডিএ মামলা ছাড়লেন বিচারপতিরা! পিছল শুনানি

    এদিকে, তাওয়াংয়ে ভারত-চিন সংঘর্ষ পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। কারণ উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, তাওয়াং সীমান্তের কাছে গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চিন। এর পাশাপাশি একটি রাস্তাও তৈরি করেছে চিনা সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, ৯ ডিসেম্বর তাওয়াংয়ের (Tawang) ইয়াঙ্গাটসে অঞ্চলে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিন সেনার। ওই এলাকায় থাকা ভারতীয় সেনা বাহিনীর ছাউনি সরাতে আসে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। তাদের হাতে ছিল কাঁটাযুক্ত লোহার লাঠি। ভারত বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। বেশ কিছুক্ষণ পরে পিছু হঠে চিনা সেনা। জানা গিয়েছে, পক্ষকাল ধরে এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল চিন সেনা। এ ব্যাপারে ভারত প্রথমেই সতর্ক হয়ে যাওয়ায় দ্রুত বদলে যায় পরিস্থিতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • DA Case: “কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে’’, ডিএ মামলা ছাড়লেন বিচারপতিরা! পিছল শুনানি

    DA Case: “কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে’’, ডিএ মামলা ছাড়লেন বিচারপতিরা! পিছল শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বাঙালি বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। তার পরেই বিচারপতি দত্ত বলেন, আমি আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি-উৎসাহ তৈরি হয়েছে, তাই এই মামলা আমি শুনব না। বিচারপতি দত্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায়। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নতুন বেঞ্চে হবে এই মামলার শুনানি।

    বিচারপতি দত্ত…

    এদিন মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে ওঠা মাত্র বিচারপতি দত্ত জানিয়ে দেন, তিনি এই মামলা শুনবেন এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই সরকারি কর্মীদের একাংশ অতি উৎসাহিত হয়ে এই মামলার রায় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। সুপ্রিম কোর্টকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যে রুষ্ট হন বিচারপতি দত্ত। সহমত পোষণ করেন বিচারপতি রায়ও। তার পরেই পিছিয়ে যায় শুনানি। সরকারি কর্মীদের কেউ কোনও বিরূপ মন্তব্য করে থাকলে তার জন্য দুই বিচারপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের দুই আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং মীনাক্ষী অরোরা। তার পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন বিচারপতি দত্ত ও বিচারপতি রায়।  

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর মধ্যে এই মামলায় সব পক্ষকে নিজেদের সংক্ষিপ্ত যুক্তি লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী আদালতে থাকছেন না। তাই সুপ্রিম কোর্টের সাত নম্বর কোর্টে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ বসবে না। এই বেঞ্চে যে মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল, তা হবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই এই ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানি হয়নি ওই মামলার।  

    এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্ট যে হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলছে, তা দেওয়ার সঙ্গতি নেই রাজ্যের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সংস্থা

    Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Skeikh) রহস্যমৃত্যুতে এফআইআর (FIR) দায়ের পুলিশের। তাতে সিবিআইয়ের (CBI) ডিআইজি এবং এএসপি সহ মোট সাত জনের নামে খুনের অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত এই সাতজনের মধ্যে রয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্যও। তিনি গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবে কাজ করছেন। এই গরু পাচারকাণ্ডে তিনি গ্রেফতার করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।

    হাইকোর্টে সিবিআই…

    এদিকে, ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। রাজ্য পুলিশের এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিবিআই। এদিনই হবে শুনানি। সিবিআইয়ের দাবি, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, অন্যান্য মামলার তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা আশঙ্কায় রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ডিএ মামলার, জয়ের আশায় সরকারি কর্মীরা

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের এক গ্রামে ধরা পড়ার পর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল লালনকে। সোমবার সিবিআইয়ের সেই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে পাওয়া যায় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালনের (Lalan Skeikh) ঝুলন্ত দেহ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের বলেছিলেন, শেষ দেখা দেখে নিন। আর দেখতে পাবেন না! তাঁদের দাবি, লালনের শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাঁকে ঠিক মতো জল ও খাবারও দেওয়া হচ্ছিল না।

    জানা গিয়েছে, পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে সিবিআইয়ের সাত অফিসারের বিরুদ্ধে যে কটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, সবগুলিই জামিন অযোগ্য ধারা। তাঁদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, হুমকি ইত্যাদি অভিযোগ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মৃত লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগের ভিত্তিতেই দায়ের হয়েছে এই এফআইআর।

    সিবিআইয়ের দাবি, লালন (Lalan Skeikh) আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর স্ত্রী অবশ্য খুনের অভিযোগ এনেছেন। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও হেফাজতে থাকা লালনের ওপর নজরদারির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না কেন? গলায় ফাঁস দেওয়ার গামছাই বা তিনি পেলেন কোথায়? উঠছে এসব প্রশ্নও।

    সাধারণত লকআপে থাকা বন্দিদের বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যে বাথরুম, তা ভিতরের ঘরের সঙ্গে অ্যাটাচড। প্রশ্ন উঠছে, সেখানে কি কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না?  সিবিআইয়ের দাবি, অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। কারও গাফিলতি আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Water Distribution: জল বণ্টন সমস্যার সমাধানে আন্তঃরাজ্য কমিটি গঠনের প্রস্তাব কেন্দ্রের

    Water Distribution: জল বণ্টন সমস্যার সমাধানে আন্তঃরাজ্য কমিটি গঠনের প্রস্তাব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশি রাজ্য গুলোর মধ্যে বিভিন্ন নদ নদীর জল বণ্টন (Water Distribution) সমস্যার সমাধানে আন্তঃরাজ্য কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। জল বন্টনে নিজেদের মধ্যে বিরোধ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড ও বিহারকে নিয়ে তিনি একটি যৌথ কমিটি গঠন করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পৌরহিত্যে শনিবার নবান্ন লাগোয়া সভাঘরে এ  রাজ্য সহ পূর্বের মোট চার রাজ্যকে নিয় পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক বসে। সেখানে রাজ্যগুলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা জল বিবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রের তরফে এই প্রস্তাব বলে জানা গেচে।বৈঠক নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও তরফেই কিছু জানানো হয়নি।তবে সূত্রের খবর গঙ্গা পদ্মার ভাঙ্গন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত একটি মাস্টার প্ল্যান গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।

    সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা, বিএসএফ ও রাজ্য প্রশাসনের (Water Distribution) সমন্বয়ের বিষয়টিও বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা মজবুত করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সম্বয় বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর অমিত শাহ বৈঠকে বসলেন সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব কেবল মাত্র সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নয়। দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকেও। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্তে ফেন্সিং ও সেক্টর অফিস তৈরি করার জন্য মাত্রাতিরিক্ত জমি চাইছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: “প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে দেশ এক থাকবে”, বিলাবল ভুট্টের মন্তব্যে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি শশী থারুর

    শাহ বিএসএফকে বিষয়টি নিয়ে নমনীয় হওয়ার নির্দেশ দেন বলে খবর। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে (Water Distribution) রেলের অনেক জমি জবরদখল হয়ে যাওয়ায় প্রকল্প তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে বলে বৈঠকে উপস্থিত রেল বোর্ডের সদস্য বৃজেশ কুমার অভিযোগ জানান। রাজ্য গুলোর তরফে পাল্টা জানানো হয় উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।রেলের অব্যবহৃত জমি কিভাবে গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করা যায় রাজ্যগুলিকে সেই বিষয়েও ভেবে দেখার কথা বলা হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ও সমন্বয় বৃদ্ধির উপরে জোর দেন।শনিবার নবান্নের বৈঠকে শাহ ও মমতার পাশাপাশি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

    বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রিসভার প্রবীণ মুখ প্রদীপ আমাত উপস্থিত ছিলেন। শাহের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্তা, সমস্যা সমাধানের কৌশল ইত্যাদি বিষয় সামনে (Water Distribution) রেখে গত ৫ নভেম্বর নবান্ন সভাঘরে পূর্বাঞ্চল পরিষদের ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যায়। বৈঠকের শুরুতে আয়োজক রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা অতিথিদের হাতে ডোকরার দুর্গা প্রতিমা , বাঁকুড়ার ঘোড়া, কাঁথা স্টিচের উত্তরীয় ও হলুদ গোলাপের স্তবক তুলে দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share