Blog

  • Maa Jagadhatri: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    Maa Jagadhatri: সারদা মায়ের জন্মভিটেতেও পুজো হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর! জানেন এর পিছনের গল্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান গদাধর চট্টোপাধ্যায় পরবর্তীকালে হয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। তাঁর সহধর্মিণী সারদা দেবী বলতেন “আমি সকলের মা”। বাস্তবিকই তিনি ঠাকুরের শিষ্যদের মা হয়ে উঠেছিলেন। আজও ঠাকুরের সঙ্গেই তিনি ঘরে ঘরে পূজিতা হন। রামকৃষ্ণ-সারদা দেবী, মাতা কালীর আরাধনা করতেন। কিন্তু জানেন সারদা মায়ের নামের সাথে জগদ্ধাত্রী পুজোও সম্পর্কিত। সারদা মায়ের  জন্মভিটে জয়রামবাটির জগদ্ধাত্রী পুজো বিশেষ প্রসিদ্ধ। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর  বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রাম জয়রামবাটির এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে সারদা দেবীর জন্ম হয়। সারদা দেবীর মাতার নাম ছিল শ্যামাসুন্দরী দেবী।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় মাতবে বাঙালি! জানেন কে এই পুজোর শুরু করেন?

    কথিত আছে, সারদাদেবীর মা শ্যামাসুন্দরী দেবী খুব অল্প বয়সেই বিধবা হন‌। বিধবা শ্যামাসুন্দরী দেবীর পক্ষে সংসারের ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। সাংসারিক চাপে শ্যামাসুন্দরী দেবী বাধ্য হয়ে গ্রামের এক ধনী ব্রাহ্মণের বাড়িতে ধান ভানার কাজ বেছে নেন, যদিও  মা সারদা ততদিনে রামকৃষ্ণ জায়া হয়ে গিয়েছেন। শোনা যায়, মা সারদা দক্ষিণেশ্বর থেকে বাপের বাড়ি এলে,  শ্যামাসুন্দরী দেবীকে ধান ভানার কাজে সাহায্য করতেন। জয়রামবাটিতে সেসময় কালীপুজোতে গ্রামের জনৈক ব্রাহ্মণ নব মুখার্জী, প্রত্যেক গ্রামবাসীর ঘর থেকে মা কালীর পুজোর জন্য নৈবেদ্যের চাল নিতেন। হঠাৎ সে বছর কোনও এক অজ্ঞাত কারণে নব মুখার্জী শ্যামাসুন্দরী দেবীর বাড়িতে চাল নৈবেদ্য নিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনায় শ্যামাসুন্দরী দেবী অত্যন্ত মর্মাহত হন। অভাবের সংসার হলেও তিনি মা কালীর উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য অর্পণ করতে অপারগ নন। এই ভাবনায় শ্যামাদেবী একরাশ দুঃখ নিয়ে সারারাত কাঁদতে থাকেন। নিদ্রাহীন রাত্রিতে  হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর পাশে এক দেবী এসে তাঁকে বলছেন – ‘কাঁদছ কেন মেয়ে? তোমার নৈবেদ্য মা কালীর পুজোর জন্য নেয়নি তো কী হয়েছে, আমি তোমার নৈবেদ্য গ্রহণ করবো’। শ্যামাদেবীর বিশ্বাসে আবির্ভূত এই দেবী ছিলেন স্বয়ং মাতা জগদ্ধাত্রী। সেই বছরই অর্থাৎ ১৮৭৭ সালে  জয়রামবাটিতে শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। পুজোতে দক্ষিণেশ্বর থেকে এসে অংশগ্রহণ করেন স্বয়ং সারদাদেবীও। শোনা যায় এই পুজোর কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে  রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন- “মা আসছে, যা যা খুব মঙ্গল হবে তোদের।”

    আরও পড়ুন: কার্তিক মাসে গ্রাম বাংলায় পালিত হয় ‘যমপুকুর ব্রত’! জানেন এর নেপথ্য গল্প?

    কথিত আছে, এই জগদ্ধাত্রী পুজোর পরই শ্যামাদেবীর সংসারে উন্নতি আসে। অভাব মিটে  যায়। সারদা দেবীও প্রতিবছর  জয়রামবাটিতে গিয়ে পুজোর খুঁটিনাটি সমস্ত ব্যাপার দেখতেন । শোনা যায়, প্রথম বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন বৃহস্পতিবার ছিল। তাই সারদা দেবী লক্ষ্মীবারে বিসর্জন করতে দেননি জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। পরদিন সংক্রান্তি ও তার পরদিন মাস পয়লা থাকায় ওই দুই দিনও বিসর্জন হয়নি। বিসর্জন হয় চতুর্থ দিনে।
    তাঁর প্রয়াণের পরেও বন্ধ হয়নি পুজো। আজও মহাসমারোহে জয়রামবাটিতে আরাধিতা হন দেবী জগদ্ধাত্রী। এরপর ১৯২৩ সালে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সারদানন্দজীর উদ্যোগে জয়রামবাটিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় মিশন। এখন পুজোর দায়িত্বে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম হয়।

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে বানচাল সন্ত্রাসী হামলার বড় ছক, জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোড়া এনকাউন্টারে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল, মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও অবন্তিপোরা জেলায় যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে ৪ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবার (LeT Commander) কমান্ডার মুখতার ভাট, বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police)।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবন্তিপোরার বিজবেহারা এলাকায় জঙ্গিদের ওই ডেরা ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। এরপরই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় লাদারমুডের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহর ছেলে শাকির আহমেদ নামে এক স্থানীয় সন্ত্রাসী। পুলিশের রেকর্ড অনুসারে, নিহত সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এইচএম এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং পুলিশ/এসএফ এবং হামলা সহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী অপরাধের মামলায় জড়িত ছিল।

    আবার একইভাবে, অবন্তিপোরার খান্দিপোরা এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে পেরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায়। এরপরে গুলির লড়াই শুরু হলে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়। এই তিন সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন বিদেশি। বাকি দুজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের এডিজি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, সেনা শিবিরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই খবর আগে জানতে পেরে যৌথ অভিযানে তা বানচাল করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। আর এই অভিযানেই খতম হয়েছে লস্কর কমান্ডার মুখতার ভাট। এই তিন জেহাদি এক পুলিশকর্মী ও দুই আরপিএফ হত্যায় জড়িত ছিল। খতম হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে একে ৪৭ রাইফেল, একে ৫৬ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার হয়। তাদের কাছে থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জম্মু এবং কাশ্মীরকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাব, রোজগার মেলায় ঘোষণা মোদির

  • Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    Gujarat Bridge Collapsed: মাচ্ছু নদীতে গভীরতা কম, নেই জলের স্রোতও, তবে কীভাবে প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু ঘটনায় (Gujarat Bridge Collapsed) সারা দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৪১ জন। তবে কেন এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এর কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারপরেই মোরবির এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট। তিনি জানালেন রবিবারের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ মাচ্ছু নদীর নিম্ন জলস্তর ও পাথুরে তলদেশ। নদীর তল পাথরে পূর্ণ। এই কারণেই অনেক লোক আহত ও নিহত হয়েছে।

    জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট ভিভিএন প্রসন্ন কুমার জানিয়েছেন, গুজরাটের মোরবির মাচ্ছু নদীর জলের তেমন স্রোত নেই, আর এই নদীর জলস্তরও কম। মাত্র ১০ ফিট, যা একটি ছোট গাড়ির উচ্চতার সমান। ফলে নদীতে জলের জন্য এত জনের মৃত্যু হয়নি। নদীর তলদেশ পাথরে ভরা, তাই সেখানে ব্রিজ ভেঙে পড়লে তাঁরা নদীতে পড়ে তলদেশে পৌঁছে যায় ও সেখানকার পাথরে তাঁরা গুরুতর ভাবে আঘাত পায় ও মারা যান।

    আরও পড়ুন: কাউকে আড়াল করা হবে না! মোরবি সেতু বিপর্যয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্তের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদের দেহ উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই ডুবুরিরা নদীর তলদেশে পৌঁছেছে। নদীর মাঝে গভীরতা প্রায় ২০ ফিট ও স্রোতও না থাকায় কোনও দেহই ভেসে যায়নি। তবে মৃতদেহ কাদায় আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। এছাড়াও এই নদীর জল ঘোলা, তাই মৃতদেহ শনাক্ত করতে ক্যামেরা এবং সোনার ডিভাইস লাগানো একটি অতি আধুনিক রিমোট আন্ডারওয়াটার গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।

    আবার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শোকপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল তিনি মোরবির আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান। উদ্ধারকাজ কতদূর এগিয়েছে, কেন এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তাও খতিয়ে দেখেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ (Gujarat)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ‘ওরেভা’-র ২ জন ম্যানেজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জন টিকিট বিক্রেতা, ২ জন কনট্রাক্টর এবং ৩ নিরাপত্তারক্ষীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • JEE Main 2023: নভেম্বর মাসেই জেইই মেইন ২০২৩ -এর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে এনটিএ

    JEE Main 2023: নভেম্বর মাসেই জেইই মেইন ২০২৩ -এর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে এনটিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ( NTA) নভেম্বর মাসেই জেইই মেইন ২০২৩ (JEE Main 2023) -এর আবেদন এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। যোগ্য এবং আগ্রহী প্রার্থীরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, jeemain.nta.nic.in থেকে তাদের আবেদনপত্র তথা রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আবেদন করে জমা দিতে পারেন।  

    জেইই মেইন ২০২২-এর মতো, জেইই মেইন ২০২৩ পরীক্ষাও দুটি সেশনে নেওয়া হবে -সেশন ১ এবং সেশন ২৷ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জেইই মেইন ২০২৩ সেশন ১- এর পরীক্ষা জানুয়ারি মাসে নেওয়া হতে পারে। সেশন ২- র পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেওয়া হতে পারে।   

    প্রার্থীরা জেইই মেইন ২০২৩ -এর উভয় সেশনে অথবা দুটির যেকোনও একটিতে উপস্থিত হতে পারেন। দুটি সেশনের যেকোনও একটিতে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের হিসেবে র‍্যাঙ্ক দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। করোনার আগের সময় মেনেই নেওয়া হবে জেইই মেইন ২০২৩- এর পরীক্ষা। পরীক্ষা পেছানো হবে না। এটি জেইই নীট এবং কুয়েটের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।   

    জানা গিয়েছে, জেইই মেইন ২০২৩ সেশন ১ -এর আবেদনপত্র নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে এবং পরীক্ষা নেওয়া হবে জানুয়ারিতে। এছাড়াও, জেইই মেইন ২০২৩ সেশন ২ -এর আবেদনপত্র সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হবে এবং পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়া হবে।  

    আরও পড়ুন: পুলওয়ামা আক্রমণ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ, ৫ বছরের জেল বেঙ্গালুরুর ছাত্রের

    জেইই মেইন ২০২২ -এ মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রতি সেশনে প্রায় ৯.৫ লক্ষ। এমন অনেক প্রার্থী রয়েছেন যারা ভালো স্কোর করতে দুটি সেশনেই বসেন। মনে করা হচ্ছে জেইই মেইন ২০২৩ -এও একই সংখ্যক আবেদন জমা পড়বে৷ এই বছর, ২৪ জন প্রার্থী ১০০% নম্বর পেয়ে র‍্যাঙ্ক ১- এ জায়গা পেয়েছেন ৷    

    জেইই মেইন ২০২২ -এর মতো, জেইই মেইন ২০২৩ -এর পরীক্ষার প্যাটার্ন একই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রার্থীদের দুটি বিভাগ থেকে প্রশ্ন করা হবে। বিভাগ এ এবং বিভাগ বি। বিভাগ এ হবে এমসিকিউ (MCQ)। প্রার্থীদের প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ৪ নম্বর দেওয়া হবে। প্রতিটি ভুলের জন্য এক নম্বর করে কাটা হবে। বিভাগ বি হবে নিউমেরিক্যাল টাইপ। প্রার্থীদের ১০টির মধ্যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বিভাগ বি- তে কোনও নেগেটিভ মার্কিং নেই।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
     
     
  • Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    Vitamin D Foods: শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি? এই ৫টি খাবারে দূর হবে বিভিন্ন সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন ভিটামিনের মত ভিটামিন ডিও আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন ডি এর প্রধান কাজ হল রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা, যা সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গাঁটের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা অর্থাৎ হাড় সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি-এর অভাবে আর্থারাইটিস, রিকেটস, অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০শতাংশ ভারতীয়দের পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস হল সূর্য, এটা প্রায় সবারই জানা। তবে সূর্য ছাড়াও কিছু খাবার রয়েছে যা ভিটামিন ডি-এ সমৃদ্ধ। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য আপনাকে নিয়মিত কোন কোন খাবার খেতে হবে দেখে নিন।

    চিজ- নিরামিষ খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস হল চিজ। আপনার ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সহজ এবং সুস্বাদু উপায় হল বেশি করে চিজ খাওয়া। রিকোটা চিজে যেকোনো ধরনের চিজের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর সর্বাধিক ঘনত্ব রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন? সাবধান! ডেকে আনছেন না তো বিপদ?

    ডিম- ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। এটি ভিটামিন ডি-এর একটি অন্যতম ভালো উৎস। শুধু ভিটামিন ডি নয়, এতে আছে একাধিক পুষ্টিকর এবং জরুরি ফ্যাট, প্রোটিন। তাই ডিম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।

    মাশরুম- এমনিতে মাশরুমে ভিটামিন ডি অত থাকে না। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মিতে রাখলে মাশরুম ভিটামিন ডি তৈরি করে। এটি একমাত্র অপ্রাণিজ খাদ্য যেখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি মেলে। ভিটামিন ডি ২ সরবরাহ করে মাশরুম, যা শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।

    স্যালমন মাছ- ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে আপনার ডায়েটে রাখুন স্যালমন মাছ। এই মাছ খুবই পুষ্টিকর কারণ এতে প্রোটিন এবং ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে।

    সয়া মিল্ক- সয়া মিল্কে গরুর দুধের মতো প্রায় একই প্রোটিন উপাদান রয়েছে, তবে এতে উচ্চ মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে।

  • TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি কেন? পর্ষদকে প্রশ্ন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET Scam: টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি কেন? পর্ষদকে প্রশ্ন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুবারের টেট পাশদের শংসাপত্র দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) মঙ্গলবার মামলকারীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সরাসরি পর্ষদ সভাপতির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন কী কারণে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। তার পরই এই মামলার শুনানি হবে।

    চাকরিপ্রার্থীদের এই বিষয়ে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেব বিচারপতি। তিনি বলেন, “প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কীভাবে প্রকাশ করা যায় তা দেখুক পর্ষদ (Primary Education Board)।” চাকরিপ্রার্থীদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন পর্ষদের আইনজীবীও। এই বিষয়ে পর্ষদের পক্ষ থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নেন তিনি। বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবীকে আজই বিকেলের মধ্যে পর্ষদের চেয়ারম্যানকে নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দেন।

    আরও পড়ুন: কিং খানের জন্মদিনে ফের মুক্তি পাচ্ছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের দুই টেট পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদেরকে এবার আর টেট পরীক্ষায় বসতে হবে না। কিন্তু তাঁদের কাছে আগে টেট পাশ করার শংসাপত্র না থাকার কারণে নতুন করে তাঁরা আবেদন করতে পারছেন না। কারণ, তাঁরা আগের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর জানেন না। ফলে নতুন করে আবেদন করার সময় বুঝতে পারছেন না কোন পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েছিলেন, কোন পরীক্ষার কথা আবেদনপত্রে উল্লেখ করবেন। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য পরীক্ষার্থীরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে মামলা করার অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় মামলাটির শুনানি হবে। 

    পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, শংসাপত্র পাননি প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার পরীক্ষার্থী। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি টেটের নম্বর বিভাজন-সহ শংসাপত্র দেওয়া উচিৎ পর্ষদের। তাতে সবাই নিজের নিজের নম্বর জানতে পারবেন। দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। এই বিষয়টি অবিলম্বে বিবেচনা করা দরকার বলে আদালতকে জানিয়েছেন আইনজীবী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

          

     

        

      

  • Pulwama Attack: পুলওয়ামা আক্রমণ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ, ৫ বছরের জেল বেঙ্গালুরুর ছাত্রের

    Pulwama Attack: পুলওয়ামা আক্রমণ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ, ৫ বছরের জেল বেঙ্গালুরুর ছাত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের মর্মান্তিক পুলওয়ামা হামলা (Pulwama Attack) নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট করে গ্রেফতার বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক যুবক। তাঁকে ৫ বছরের জেলের সাজা শোনালো বিশেষ আদালত। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। এর পরেই ২২ বছর বয়সী ওই যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিপূর্ণ, অবমাননাকর পোস্ট করে। সেই মামলাতেই ৫ বছরের সাজা শোনালো বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। যুবকের নাম ফয়েজ রশিদ।   

    যখন এই পোস্ট করে তখন ওই যুবকের বয়স ছিল ১৯ বছর। সেই সময়ে কলেজে পড়াশোনা করত সে। বিগত সাড়ে তিন বছর ধরে সেই মামলা বিচারাধীন। জেল হেফাজতে রয়েছে সে। আদালত অভিযুক্তকে ধারা ১৫৩ এ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং ২০১ (প্রমাণ নষ্ট করা) -এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধারার মামলা এখনও বিচারাধীন। আইপিসির ১৫৩এ ধারার অধীনে আদালত এর আগে অভিযুক্তকে ৩ বছরের জন্য কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। পরে আইপিসির ২০১ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, ওই যুবক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। সেনাবাহিনীকে উপহাস করে কমেন্ট করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: কিং খানের মুক্তির দিন ফের মুক্তি পাচ্ছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে         

    আদালত রায় দিয়ে জানিয়েছে, ধর্মীয় অশান্তি সৃষ্টি করার মতলবেই পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলাকে সমর্থন করেছিল ওই যুবক। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একের পর এক অবমানকর পোস্ট করে সে। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও ছিল বলে দাবি আদালতের। 

    ফাইয়াজের আইনজীবী তার পক্ষে সওয়াল করে বলেন, অভিযুক্তের বয়স কম। আগে কোনও অপরাধের ইতিহাস নেই। তাই তাকে মুক্তি দেওয়া উচিৎ। আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলে, ফাইয়াজ যা করেছে তা ভেবেচিন্তেই করছে। অভিযুক্ত ফেসবুকের সব পোস্টেই পুলওয়ামা হামলা নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  
  • CRPF: সিআরপিএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল পদে প্রথম দুই মহিলা, গড়লেন নতুন ইতিহাস

    CRPF: সিআরপিএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল পদে প্রথম দুই মহিলা, গড়লেন নতুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস রচনা করলেন সীমা ধুন্দিয়া এবং অ্যানি আব্রাহাম। ভারতের আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ইতিহাসে এই দুই মহিলাই প্রথম ইনস্পেক্টর জেনারেল পদে নিযুক্ত হলেন। সিআরপিএফের (Central Reserve Police Force) আইজি (Inspector General) পদে বসলেন দুজন মহিলা আধিকারিক (women officers)। 

    আইজি সীমা ধুন্ধিয়া (IG Seema Dhundiya) সিআরপিএফের বিহার সেক্টরের (Bihar Sector) প্রধান (head) হচ্ছেন এবং আইজি অ্যানি আব্রাহাম (IG Annie Abhram) হচ্ছেন আরএএফ (Rapid Action Force)-এর প্রধান (head)। দুই আধিকারিকই সিআরপিএফের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১৯৮৭ সাল থেকে।

    এর আগেও মহিলা অফিসাররা দেশের বিভিন্ন আধা-সামরিক এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীতে সিনিয়র পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। কিন্তু সিআরপিএফে এই প্রথম। অর্চনা রামাসুন্দরাম অতীতে সশস্ত্র সীমা বল (SSB) এর ডিজি এবং মঞ্জরি জারুহর সিআইএসএফ-এর বিশেষ ডিজি হিসাবে কাজ করেছেন। তাঁরা দুজনেই ছিলেন আইপিএস আধিকারিক। 

    কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীগুলির মধ্যে সিআরপিএফ প্রথম ১৯৮৬ সালে সর্ব-মহিলা ব্যাটালিয়ন গঠন করে। এক বছর পরে ১৯৮৭ সালে মহিলা অফিসারদের নিযুক্ত করা শুরু হয়। আব্রাহাম এবং ধুন্দিয়া উভয়ই সিআরপিএফের মহিলা অফিসারদের এই প্রথম ব্যাচেই নিযুক্ত হন।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারের দায়িত্ব পেয়েই ৩৭০০ কর্মী ছাটাইয়ের পথে ইলন মাস্ক

    বুধবার সিআরপিএফের এক মুখপাত্র বলেন, আব্রাহাম এবং ধুন্দিয়া উভয়েরই চাকরি জীবন অত্যন্ত ঝকঝকে। তাঁরা বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করেও সফলতার মুখ দেখেছেন। ধুন্দিয়া সারা দেশের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাহিনীর ২য় মহিলা ব্যাটালিয়ন গঠনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে প্রথম সর্ব-মহিলা এফপিইউ-এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডারও ছিলেন। তিনি এর আগে র‍্যাফের ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

    আব্রাহাম, লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশনে সর্ব-মহিলা এফপিইউ-এর কমান্ড করার পাশাপাশি, সিআরপিএফ সদর দফতরে ডিআইজি ইন্টেলিজেন্স, কাশ্মীর অপারেশন সেক্টরে ডিআইজি অপারেশন এবং ডিআইজি সিআর অ্যান্ড ভিজিল্যান্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সিআরপিএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আইজি হিসাবে পদোন্নতি হওয়া উভয় মহিলা অফিসারই তাঁদের বিশেষ পরিষেবার জন্য রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক, মেধাবী পরিষেবার জন্য পুলিশ পদক এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পাশাপাশি সেবা পদকও পেয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা জয় অনুব্রতর, বিক্রেতাকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু এবং কয়লাকাণ্ডের পর এবার লটারিকাণ্ডেও জড়াতে চলেছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! বছরখানেক আগে ডিয়ার লটারিতে টিকিট কেটে এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। বীরভূমের যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল, সেই লটারির দোকানের মালিককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। বুধবার বাপি গঙ্গোপাধ্যায় নামে ওই লটারি টিকিট বিক্রেতাকে ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জেরা করা হয়।

    বোলপুরে রয়েছে বাপির লটারি টিকিট বিক্রির দোকান। নাম গাঙ্গুলি লটারি। জানা গিয়েছে, ওই দোকান থেকে ডিয়ার লটারির টিকিট কাটা হয়েছিল। প্রথম পুরস্কার বাবদ এক কোটি টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এদিন বাপিকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারীরা। অনুব্রত স্বয়ং গিয়ে টিকিট কিনেছিলেন, নাকি কারও মাধ্যমে টিকিট কাটা হয়েছিল, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। কীভাবে তিনি ওই পুরস্কার জিতলেন, এদিন তাও জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) একা নন, ডিয়ার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন জোড়াসাঁকোর বিধায়ক তৃণমূলের বিবেক গুপ্তর স্ত্রী রুচিরাও। তার পরেই ডিয়ার লটারি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বাণে তিনি বিঁধেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি লিখেছিলেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলছি এই ডিয়ার লটারি আসলে হচ্ছে ভাইপো লটারি। টাকা তছরুপের একটা বন্দোবস্ত। তিনি লিখেছিলেন, টিকিট কাটছে সাধারণ মানুষ আর বাম্পার প্রাইজ জিতছে তৃণমূলের লোকজন। প্রথমে অনুব্রত মণ্ডল। এবার রুচিরা গুপ্ত। এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য লটারি তুলে দিয়ে এই ডিয়ার লটারির মাধ্যমে আসলে ব্যবস্থা করা হয়েছে শাসকদলের কোষাগার ভরার।

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জেলার এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বউও ডিয়ার লটারিতে কোটি টাকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা কালো টাকা সাদা করতেই লটারি ইস্যু করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ঠিক কী হয়েছে, তা জানতেই বাপিকে জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share