Blog

  • Putin Praises Modi: “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য”, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    Putin Praises Modi: “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য”, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত ভাগ্যবান এবং ধন্য যে মোদির মতো একজন নেতা পেয়েছেন।’ কথাগুলি বলেছেন ভারত সফরে আসা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানিয়ে দিলেন, তিনি বা মোদি— কেউই চাপে সিদ্ধান্ত নেন না। একইসঙ্গে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে আমেরিকার ভারতকে শুল্ক-চাপ দেওয়ায় গর্জে উঠলেন ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের সাফ কথা, আমেরিকার যদি রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতেরও সেই অধিকার আছে।

    ‘‘আমেরিকার অধিকার থাকলে, ভারতের কেন থাকবে না’’

    রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনের দেশ থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার জন্য অধিকাংশ ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ (মোট ৫০ শতাংশ) শাস্তিমূলক শুল্কও আরোপ করেছেন তিনি। যে কারণে, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নামতে চলেছে। অন্যদিকে, রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আমদানি অব্যাহত রেখেছে আমেরিকা। অর্থাৎ, একদিকে ভারতকে রাশিয়া থেকে তেল না কেনার হুমকি, অন্যদিকে তলে তলে নিজেরা পরমাণু জ্বালানি কিনে চলেছে। এই নিয়েই ট্রাম্পের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এদেশে পা রেখেই পুতিন বলেন, “আমেরিকা তাদের পরমাণুকেন্দ্রগুলির জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনা অব্যাহত রেখেছে। সেটা হল ইউরেনিয়াম, যেটা আমেরিকার পরমাণুকেন্দ্রগুলিকে সচল রাখতে ব্যবহৃত হয়।” তাঁর প্রশ্ন, রাশিয়া থেকে আমেরিকার জ্বালানি কেনার অধিকার থাকলে, ভারতের কেন থাকবে না?

    “না আমি, না মোদি, কেউ কারও চাপে সিদ্ধান্ত নিই না”

    পুতিন জানান, পশ্চিমী চাপের কারণে ভারতের তেল আমদানি চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে কিছুটা কমেছে। তবে সেটা খুবই সামান্য। মোট বাণিজ্য আগের মতোই প্রায় একই পর্যায়ে আছে। পুতিন জানান যে, ভারতের সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে যে চুক্তি রয়েছে, তা পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরও অপরিবর্তিত রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা ইউক্রেনের যুদ্ধ তা পরিবর্তন করতে পারেনি। তিনি বলেন, “পেট্রোলিয়াম পণ্য ও অপরিশোধিত তেল, ভারতের সঙ্গে রুশ তেলের বাণিজ্য মোটামুটি স্বাভাবিকভাবেই চলছে।” পুতিন বলেন, “না আমি, না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেউ কারও চাপে সিদ্ধান্ত নিই না। আমরা কোনও দেশের বিরুদ্ধে কাজ করি না।”

    “মোদির নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের নাম”

    পুতিনের কথায়, “বিশ্ব আজ ভারতকে এক শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখছে। ভারত তার নেতৃত্ব নিয়ে গর্ব করতে পারে।” একইসঙ্গে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ভারত ভাগ্যবান এবং ধন্য যে মোদির মতো একজন নেতা পেয়েছেন। পুতিন বলেন, “মোদিকে পেয়ে ভারত ধন্য। মোদির নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের নাম।” এছাড়া, তাঁদের মধ্যে বিশ্বস্ত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুতিনের মতে, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক আর শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মোদি। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা যায়, সে দিকেই মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।

  • OBC Category in Bengal: মুখোশ খুলল মমতার তোষণ-রাজনীতির, জাতীয় ওবিসি তালিকা থেকে বাদ পড়ছে রাজ্যের ৩৫ মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম

    OBC Category in Bengal: মুখোশ খুলল মমতার তোষণ-রাজনীতির, জাতীয় ওবিসি তালিকা থেকে বাদ পড়ছে রাজ্যের ৩৫ মুসলিম জনগোষ্ঠীর নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের জন্য নির্দিষ্ট অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে বাদ দিতে বলেছে জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন (NCBC)। এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার লোকসভায় এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। মঙ্গলবার তাঁর প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছে সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত একাধিক মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলতে থাকা শুনানির মধ্যেই এনসিবিসি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকা থেকে ৩৫টি সম্প্রদায়—যাদের বেশিরভাগই মুসলিম—অপসারণের সুপারিশ করেছে।

    জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন-এর বক্তব্য

    কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান হানরাজ গঙ্গারাম আহির জানান, পশ্চিমবঙ্গের ওবিসি তালিকায় বিপুল সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয়টি পর্যালোচনা করেই এ সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “৩৫টি সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই মুসলিম, এক-দুটি হয়তো অমুসলিম হতে পারে।” কয়েক মাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, এই পরিস্থিতিতে সুপারিশটি রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংসদে জানানো হয়েছে যে, এনসিবিসি ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকা থেকে ৩৫টি সম্প্রদায় বাদ দেওয়ার সুপারিশ পাঠিয়েছে। তবে কোন কোন সম্প্রদায়ের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা জানাতে রাজি হননি আহির। তাঁর বক্তব্য—এই সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষণা করার বিষয়।

    রানাঘাটের সাংসদের প্রশ্ন

    সংসদে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানতে চান, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় ৪৬টি জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল কি না। তার মধ্যে ৩৭টি জনগোষ্ঠীকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চান তিনি। এ প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের ওবিসি শংসাপত্র মামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জানতে চান, হাইকোর্টের নির্দেশের পরে কতগুলি জনগোষ্ঠী ওই তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এনসিবিসি কোনও পদক্ষেপ করেছে কি না, কোনও জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছে কি না, সেই তথ্যও জানতে চান সাংসদ।

    কী বলল সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক

    জগন্নাথের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বিএল বর্মা জানান, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৪৬টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় যুক্ত করার জন্য সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার। তবে ২০১১ সালে এনসিবিসি থেকে ৩৭টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিল। সেই মতো ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এনসিবিসি পশ্চিমবঙ্গের ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকা থেকে বাদ দিতে বলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় যোগ হওয়া ৩৭টি সম্প্রদায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে এনসিবিসি। এর মধ্যে ৩৫টিই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়।

    ‘অস্বাভাবিকভাবে বেশি’ মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত

    সংবিধানের ১০২তম সংশোধনী অনুসারে, এনসিবিসি-র মতামত পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিবর্তিত ওবিসি তালিকা সংসদে পেশ করতে হয়, এরপর রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করলে নতুন তালিকা গেজেট করে প্রকাশিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে নয়টি রাজ্যের ওবিসি তালিকা সংশোধনের সুপারিশ তাদের কাছে রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর আহির পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক ও কেরল-সহ বিভিন্ন রাজ্যের ওবিসি তালিকা নতুন করে খতিয়ে দেখছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গে পরিদর্শনের পরই তিনি মন্তব্য করেন যে, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় ‘অস্বাভাবিকভাবে বেশি’ মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ মে ওবিসি নিয়ে প্রথম রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বলা হয়েছিল, ২০১০ সালের পর রাজ্যের তালিকায় যত ওবিসি সম্প্রদায় যুক্ত হয়েছে, তা বাতিল। ২০১০ সালের পর থেকে জারি করা সমস্ত ওবিসি শংসাপত্রও বাতিল করে দেওয়া হয়। তার আগে রাজ্যে ওবিসি হিসাবে ৬৬টি সম্প্রদায় স্বীকৃত ছিল। বলা হয়, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করে নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রকাশ করতে হবে রাজ্যকে। সেই অনুযায়ী রাজ্য একটি সমীক্ষা করে ওবিসি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধেও হাইকোর্টে মামলা হয়। গত ১৭ জুন এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের বিজ্ঞপ্তির উপরে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। রাজ্য উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়।

    তোষণের রাজনীতি তৃণমূলের

    এই তদন্ত ও সুপারিশকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপি অভিযোগ করছে—বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে বেপরোয়া ভাবে ওবিসি তালিকায় যুক্ত করেছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা সবক’টি সম্প্রদায়ই মুসলিম। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “দশক ধরে চলা তোষণ-নীতির বিকৃতি সংশোধন করছে মোদি সরকার।” তাঁর অভিযোগ—রাজ্য সরকারের ‘প্রগতিহীন ও তোষণ-চালিত’ নীতি সামাজিক ন্যায়ের পরিপন্থী, এবং কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্য প্রকৃত পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সঠিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

  • RBI Cuts Repo Rate: বড়দিনের আগে বড় ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের! কমল রেপো রেট, সস্তা হবে ঋণের বোঝা

    RBI Cuts Repo Rate: বড়দিনের আগে বড় ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের! কমল রেপো রেট, সস্তা হবে ঋণের বোঝা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বছর শেষের বড় খবর! সাধারণ দেশবাসীর জন্য সুখবর শোনাল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। আমজনতাকে সুরাহা দিয়ে রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মানিটরি পলিসি বা আর্থিক নীতি রূপায়ণ কমিটির দু’দিনের বৈঠকের পর শুক্রবার সকালে এই ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। অর্থাৎ, রেপো রেট ৫.৫০ শতাংশ থেকে নেমে ৫.২৫ হল।

    কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    এই নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থ বারের জন্য কমল রেপো রেট বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি, এপ্রিলে ২৫ করে এবং জুনে ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নতুন হারে সুদ কমার পর ২০২৫ সালে মোট ১২৫ বেসিস পয়েন্ট কমল রেপো রেট। বিশ্লেষকদরে মতে, এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। এখন গৃহঋণ, গাড়ি ঋণ এবং ব্যক্তিগত ঋণের ইএমআই আরও কমবে, অর্থাৎ ঋণ নেওয়া সস্তা হবে। অথবা, কেউ মাসিক কিস্তি কমাতে না চাইলে কমবে তাঁর ঋণ পরিশোধের সময়কাল। রেপো রেট কমার ফলে ভাসমান সুদে গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণের ক্ষেত্রে প্রতি এক লক্ষ টাকায় আপনার ইএমআই কমতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এর ফলে, যাঁরা দীর্ঘমেয়াদের লোন নিয়েছেন, তাঁরা অনেকটা স্বস্তি পাবেন। ফলে, গ্রাহকদের হাতে আসবে বাড়তি টাকা। আর বাজারে বাড়বে নগদের জোগান। তৈরি হবে চাহিদা।

    রেপো রেট কী?

    রেপো রেট হল সুদের হার। যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। আরবিআই যদি রেপো রেট বাড়ায়, তাহলে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে এবং তারা গ্রাহকদের উচ্চ হারে ঋণও দেয় উল্টোদিকে, এই হার কমার অর্থ ব্যাঙ্ক কম সুদে টাকা ধার নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে। ব্যাঙ্ক যদি কম সুদের হারে টাকা ধার পায়, তাহলে গ্রাহকদের ঋণেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ঋণে সুদের হার কমতে পারে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বৃদ্ধি সহজ হয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তাই এই পদক্ষেপ কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়।

    কী বললেন আরবিআই গভর্নর?

    সঞ্জয় জানিয়েছেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রেপো রেট কমানো হবে। কারণ টাকার দাম পড়লেও কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। সে কথা মাথায় রেখেই রেপো রেট কমিয়েছে আরবিআই। তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের শেষ মাসে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীল মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির অবস্থাকে ব্যাখ্যা করা যায় একটাই শব্দে, ‘গোল্ডিলক্স পিরিয়ড।’ অর্থাৎ, একটি আদর্শ অর্থনৈতিক অবস্থা। যেখানে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল, বৃদ্ধি ভাল, বেকারত্ব কম ও মুদ্রাস্ফীতি কম বা মাঝারি থাকে। চলতি অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড লো হিট করেছে। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল মাত্র ০.২৫ শতাংশ। এ ছাড়াও প্রথম ৬ মাসে দারুণ জিডিপি বৃদ্ধি দেখেছে দেশ। এমনকি চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বেড়েছে ৮.২ শতাংশ। যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বৃদ্ধিকে আরও স্থিতিশীল ও চাঙ্গা করতে সুদের হার কমানো জরুরি ছিল।

    অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ…

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাজারকে আরও গতি দেবে। তাঁদের মতে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির স্থিতাবস্থা এবং ষষ্ঠবার ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির অগ্রগতির প্রবণতা সত্ত্বেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও ধীরেসুস্থে এগনোর নীতি নিয়েছে। ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার গত ৬টি ত্রৈমাসিক দ্রুতগামী হয়েছে। অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতি বেশ খানিকটা কমে মাসিক হিসাবের নিরিখে নিম্নগামী রয়েছে। এই বিরল ঘটনায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ নিয়ে পরপর চারবার রেপো রেট শক্ত হাতে ধরে রাখল।

  • PIA Airline Privatisation: দুর্দশার শেষ নেই পাকিস্তানিদের, এবার নিলামে তুলছে আস্ত এয়ারলাইন্সও

    PIA Airline Privatisation: দুর্দশার শেষ নেই পাকিস্তানিদের, এবার নিলামে তুলছে আস্ত এয়ারলাইন্সও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দশার সীমা নেই পাক অর্থনীতির। তাই এবার জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সকে (PIA Airline Privatisation) ২৩ ডিসেম্বর নিলামে তুলতে চলেছে ঋণে জর্জরিত শাহবাজ শরিফের দেশ। এই নিলাম সরাসরি সম্প্রচারিত বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে (IMF)। একে সরকার তাদের ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইএমএফ বেলআউট প্যাকেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণের শেষ ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

    পিআইএ (PIA Airline Privatisation)

    জানা গিয়েছে, পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স)-এর ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ শেয়ারই পূর্ণ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ-সহ বিক্রি করা হবে। এটি এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটির অধীনে একটি আনুষ্ঠানিক পরিকাঠামোগত মানদণ্ড। আইএমএফের এক্সিকিউটিভ বোর্ড আগামী ৮ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবে পরবর্তী ১.২ বিলিয়ন ডলার কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য। প্রসঙ্গত, বছর শেষের আগেই পিআইএর বিডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ভবিষ্যৎ অর্থ ছাড়ের জন্য বাধ্যতামূলক বলেই খবর। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সরকারি ওই বিমানসংস্থা কেনার বিষয়ে যে সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখিয়েছে, তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে চারটি সংস্থা। এই চারটি সংস্থার মধ্যে রয়েছে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ফৌজি ফাউন্ডশনও। গত মাসে পাকিস্তানের বেসরকারিকরণ মন্ত্রী মহম্মদ আলি সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, “এ বছর আমরা বেসরকারীকরণ থেকে ৮৬ বিলিয়ন (পাকিস্তানি) রুপি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। পিআইএর ক্ষেত্রে, শেষ দফা বিডিংয়ে পাওয়া মোট অর্থের ১৫ শতাংশ সরকার পেত এবং বাকিটা কোম্পানির ভেতরেই থাকত (PIA Airline Privatisation)।”

    পাকিস্তানের সংবাদপত্রের খবর

    পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিআইএর শেয়ার বিক্রি পাকিস্তানের গত দু’দশকের মধ্যে প্রথম বড় বেসরকারীকরণের চেষ্টা। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বিক্রির জন্য চারজন বিডারকে প্রাক-যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে: লাকি সিমেন্ট কনসোর্টিয়াম, আরিফ হাবিব কর্পোরেশন কনসোর্টিয়াম, ফৌজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড এবং এয়ার ব্লু লিমিটেড।” উল্লেখ্য, ফৌজি ফার্টিলাইজার হল ফৌজি ফাউন্ডেশনের একটি অংশ, যা পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম কর্পোরেট শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মনে রাখতে হবে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে সামরিক বাহিনীর প্রভাব সর্বত্র (IMF)।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি ফৌজি ফাউন্ডেশনের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সরাসরি কোনও পদে নেই। তিনি কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল নিয়োগ করেন, যিনি ফৌজি ফাউন্ডেশনের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সদস্য (PIA Airline Privatisation)।

  • Illegal Loan Apps Banned: প্রতারণা এবং দুর্নীতি রোধে ৮৭টি অবৈধ ঋণ প্রদানকারী অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    Illegal Loan Apps Banned: প্রতারণা এবং দুর্নীতি রোধে ৮৭টি অবৈধ ঋণ প্রদানকারী অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা এবং দুর্নীতি রুখতে ৮৭টি অবৈধ ঋণ প্রদানকারী অ্যাপকে (Bans 87 Loan Apps) নিষিদ্ধ করল মোদি সরকার (Modi Sarkar)। কেন্দ্রীয় সরকারের (Government of India) ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৯এ-এর ধারার উল্লেখ করে এবং বিধিবদ্ধ ক্ষমতার প্রয়োগ করে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা এই নির্দেশিকাটি একটি রিপোর্ট আকারে পেশ করেছেন লোকসভায়। আর্থিক প্রতারণা এবং দুর্নীতি রুখতে সরকারের এই পদক্ষেপ বিরাট কার্যকারী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঋণের ফাঁদে ফেলার চক্র কাজ করত (Bans 87 Loan Apps)

    লোকসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা (India Government) জানিয়েছেন, ভারত সরকার অবৈধ ঋণ অ্যাপগুলিকে (Bans 87 Loan Apps) বাতিল ঘোষণা করেছে। এর মূল কারণ হল, বহু মানুষ বা গ্রাহক অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। প্রলোভন দেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের ঋণের ফাঁদে ফেলার চক্র কাজ করছিল। অল্প পরিমাণে ঋণ দিয়ে বিপুল পরিমাণ সুদ আদায় করে থাকে এই অ্যাপগুলি। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, এই সন্দেহজনক অ্যাপগুলি থেকে ব্যবহারকারীদের বিরত রাখা যাবে। সারা দেশে এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে হয়রানি, তথ্যের অপব্যবহার এবং এমনকি জালিয়াতির জন্য অনেক অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে। বিপুল পরিমাণে অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার এই অ্যাপগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনলাইন অ্যাপের এই প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি ব্যবহারকারীদের মানসিকভাবে নির্যাতন করে অনৈতিক উপায় বিব্রত করার ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

    প্রতি মাসে ২৫% পর্যন্ত সুদ নেয়

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, কোম্পানি আইন ২০১৩-এর অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপটিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং কোম্পানি আইনের দিকগুলিকেও সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সরকার (India Government) চেষ্টা করছে ডিজিটাল উপায়ে ভারতে ঘটমান যে কোনও ধরণের আর্থিক কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা।

    একাধিক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, ভারতে তাৎক্ষণিক ঋণ অ্যাপগুলিতে (Bans 87 Loan Apps) প্রতি মাসে গৃহীত সুদের পরিমাণ হল ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। আর যখন ব্যবহারকারী এই পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের ঘন ঘন কল এবং আরও অনেক কিছুর বিকৃত ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়। নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এই ধরণের অ্যাপগুলি যদি নতুন ব্র্যান্ডিংও করে, তাহলে ভবিষ্যতে সরকার আইনের মাধ্যমে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Vladimir Putin India Visit: একান্ত নৈশভোজে বিশেষ আলাপ! বন্ধু পুতিনকে ভগবদ গীতা উপহার মোদির

    Vladimir Putin India Visit: একান্ত নৈশভোজে বিশেষ আলাপ! বন্ধু পুতিনকে ভগবদ গীতা উপহার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin India Visit) ভগবদ গীতা উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Putin Meet)। এক্স হ্যান্ডলে বিশেষ এই উপহারের কথা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘গীতার শিক্ষা পৃথিবী জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়।’’ তাই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কিছুই হতে পারে না, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পুতিনের হাতে মোদি যে গীতা তুলে দেন, তা রুশ ভাষায় অনূদিত। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির ৭, লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের একান্ত নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বন্ধু পুতিনকে এই বিশেষ উপহার দেন মোদি।

    মোদি-পুতিন বিশেষ সম্পর্ক

    ভারতের মাটিতে পুতিনকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে নিজেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করমর্দন ও আলিঙ্গন করে দুই রাষ্ট্রপ্রধান রওনা দিয়েছিলেন একই গাড়িতে। পুতিনকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দরে রুশ শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্য পরিবেশন করেন। তার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি গাড়ি ‘ফরচুনার’-এ চেপেই দুই নেতা ৭, লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছন। পুতিন ‘ফরচুনার’-এ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয় হুবহু সেই মুহূর্ত যা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চিনের তিয়ানজিন দেখেছিল। সেখানে এসসিও সামিটের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট পুতিন তাঁর ‘অরাস সেনাত’-এ মোদিকে ডেকে নিয়েছিলেন! এ বার ডিসেম্বরের শীতে গোটা দুনিয়া দেখল ঠিক তার উল্টো ছবি। ‘ফরচুনার’ পিছু পিছু চলল ‘সর্ববিপদহরেষু’ অরাস সেনাত।

    মোদির আমন্ত্রণে নৈশভোজে পুতিন

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে একটি নৈশভোজে যোগ দেন পুতিন। সেখানেই তাঁর হাতে গীতা তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে, যেখানে ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বিশেষ আলোকসজ্জা ও দুই দেশের পতাকা সাজানো ছিল। বৈঠকের আগে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছিলেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে যাবতীয় আলোচনা নিয়ে আশাবাদী। ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্ব বহু দশকের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এই সম্পর্কে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। ভারতে আসের আগেই অবশ্য রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব বহু পুরোনো। ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক অনেক আগে থেকেই তা রয়েছে। তাতে কোনও ফাটল ধরেনি।’

  • Blood Pressure: শীত এলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্তচাপ! কোন কোন বিপদ বাড়ছে?

    Blood Pressure: শীত এলেই বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্তচাপ! কোন কোন বিপদ বাড়ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডিসেম্বরের আগমনে শীতের জানান আরও বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতা থেকে জেলা, রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ! কমছে তাপমাত্রার পারদ। বিশেষত ভোর ও রাতের দিকে শীতের উপস্থিতি ভালোই অনুভব করা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীত আরও স্পষ্ট জানান দেবে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদদের একাংশ। তবে শীতের আমেজ নানান উৎসব আর উদযাপনের ইঙ্গিত দিলেও, শীতে কিছু বাড়তি বিপদ ও জানান দেয়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীত পড়লেই বাড়তে থাকে রক্তচাপ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে এই সমস্যা বেড়েছে। তারমধ্যে শীতের আবহে সেই সমস্যা আরও বাড়ছে। এমনকি যাদের রক্তচাপ বছরভর স্বাভাবিক থাকে, তাঁদেরও, বছরের এই সময়ে রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

    কেন শীত পড়লেই রক্তচাপ বাড়ে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীত পড়লেই রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ আবহাওয়া। শরীরের সঙ্গে প্রকৃতির যোগ ওতোপ্রোতভাবে রয়েছে। তাপমাত্রার পারদ নামলেই রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে ধমনীতে তার প্রভাব পড়ে। আর তার জেরেই রক্তচাপ বাড়ে। শীতের আবহে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ নামলে নোরপাইনফ্রাইন, ক্যাটেকোলামাইনের মতো হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এগুলো শরীরে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শীত পড়লে রক্তচাপ উর্ধ্বমুখী হয়।

    আবহাওয়ার পাশপাশি শীতে জীবন যাপনের ধরনেও পরিবর্তন ঘটে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ঘাম কম হয়। শারীরিক পরিশ্রমও কম হয়। বয়স্কদের একাংশ শীত পড়তেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। এর ফলে রক্তচাপ বাড়ে। শীতকাল মানেই পিকনিক কিংবা নানান আনন্দ উৎসব। আর সব উৎসবের উদযাপনেই থাকে ভুরিভোজ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই অতিরিক্ত পরিমাণ প্রাণীজ প্রোটিন, চর্বিজাতীয় খাবার খান। আর তার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

    উচ্চ রক্তচাপ কোন বিপদ বাড়িয়ে দেয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ বাড়লে হার্টের উপরে চাপ বেশি পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হার্ট অ্যাটাক কিংবা অন্যান্য হৃদরোগের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনির উপরেও প্রভাব পড়ে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে কিডনির উপরে চাপ পড়ে। যার জেরে কিডনির কার্যকারিতা কমতে থাকে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তচাপ বাড়লে মস্তিষ্কের রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    শীতেও কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?

    শীতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পালং শাক খেলে রক্তচাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম‌্যাগনেশিয়াম। এই দুই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শীত আর কমলালেবু বাঙালির কাছে প্রায় সমার্থক শব্দ। সকালের ঘরোয়া জলখাবারের সঙ্গে হোক কিংবা পিকনিকের শেষ বেলায় বাঙালির পাতে থাকে কমলালেবু। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কমলালেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।

    শীতের বাজারে সহজেই পাওয়া যায় বিট। এই সব্জি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিট থেকে শরীর স্বাভাবিক নাইট্রেট পায়। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি। এতে শরীরে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয়। আবার হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Ramakrishna 525: “ওদের কেমন জান,—ফল আগে তারপর ফুল, আগে দর্শন,—তারপর গুণ-মহিমাশ্রবণ, তারপর মিলন!”

    Ramakrishna 525: “ওদের কেমন জান,—ফল আগে তারপর ফুল, আগে দর্শন,—তারপর গুণ-মহিমাশ্রবণ, তারপর মিলন!”

    ৪৯ শ্রীশ্রীরথযাত্রা বলরাম-মন্দিরে

    অষ্টম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৫ই জুলাই

    ভক্তিযোগের গূঢ় রহস্য—জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয়
    মুখুজ্জে, হরিবাবু, পূর্ণ, নিরঞ্জন, মাস্টার, বলরাম 

    দুই সমাধি-সমাধি প্রতিবন্ধক—কামিনী-কাঞ্চন 

    “সমাধি মোটামুটি দুইরকম।—জ্ঞানের পথে, বিচার করতে করতে অহং নাশের পর যে সমাধি, তাকে স্থিতসমাধি বা জড়সমাধি (নির্বিকল্পসমাধি) বলে। ভক্তিপথের সমাধিকে ভাবসমাধি বলে। এতে সম্ভোগের জন্য, আস্বাদনের জন্য, রেখার মতো একটু অহং থাকে। কামিনী-কাঞ্চনে (Ramakrishna) আসক্তি থাকলে এ-সব ধারণা হয় না।

    “কেদারকে বললুম, কামিনী-কাঞ্চনে মন থাকলে হবে না। ইচ্ছা হল, একবার তার বুকে হাত বুলিয়ে দি,— কিন্তু পারলাম না। ভিতরে অঙ্কট-বঙ্কট। ঘরে বিষ্ঠার গন্ধ, ঢুকতে পারলাম না। যেমন স্বয়ম্ভু লিঙ্গ কাশী পর্যন্ত জড়। সংসারে আসক্তি,—কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি,—থাকলে হবে না।

    “ছোকরাদের ভিতর এখনও কামিনী-কাঞ্চন ঢোকে নাই; তাইতো ওদের অত ভালবাসি। হাজরা বলে, ‘ধনীর ছেলে দেখে, সুন্দর ছেলে দেখে,—তুমি ভালবাস’। তা যদি হয়, হরিশ, নোটো, নরেন্দ্র—এদের ভালবাসি কেন? নরেন্দ্রের ভাত নুন দে খাবার পয়সা জোটে না (Kathamrita)।

    “ছোকরাদের ভিতর বিষয়বুদ্ধি এখনও ঢোকে নাই। তাই অন্তর অত শুদ্ধ।

    “আর অনেকেই নিত্যসিদ্ধ। জন্ম থেকেই ঈশ্বরের দিকে টান। যেমন বাগান একটা কিনেছ। পরিষ্কার করতে করতে এক জায়গায় বসানো জলের কল পাওয়া গেল। একবারে জল কলকল করে বেরুচ্ছে।”

    পূর্ণ ও নিরঞ্জন—মাতৃসেবা—বৈষ্ণবদের মহোৎসবের ভাব

    বলরাম—মহাশয়, সংসার মিথ্যা, একবারে জ্ঞান, পূর্ণের কেমন করে হল?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—জন্মান্তরীণ। পূর্ব পূর্ব জন্মে সব করা আছে। শরীরটাই ছোট হয়ে আবার বৃদ্ধ হয়—আত্মা সেইরূপ নয়।

    “ওদের কেমন জান,—ফল আগে তারপর ফুল। আগে দর্শন,—তারপর গুণ-মহিমাশ্রবণ, তারপর মিলন!

    “নিরঞ্জনকে দেখ(Kathamrita)— লেনাদেনা নাই।—যখন ডাক পড়বে যেতে পারবে। তবে যতক্ষণ মা আছে, মাকে দেখতে হবে। আমি মাকে ফুল চন্দন দিয়ে পূজা করতাম। সেই জগতের মা-ই মা হয়ে এসেছেন। তাই কারু শ্রাদ্ধ,—শেষে ঈষ্টের পূজা হয়ে পড়ে। কেউ মরে গেলে বৈষ্ণবদের মহোৎসব হয়, তারও এই ভাব।

    “যতক্ষণ নিজের শরীরের খপর আছে ততক্ষণ মার খপর নিতে হবে। তাই হাজরাকে বলি, নিজের কাশি হলে মিছরি মরিচ করতে হয়, মরিচ-লবণের যোগাড় করতে হয়; যতক্ষণ এ-সব করতে হয়, ততক্ষণ মার খপরও নিতে হয়।

    “তবে যখন নিজের শরীরের খপর নিতে পাচ্ছি না,—তখন অন্য কথা। তখন ঈশ্বরই সব ভার লন।

    “নাবালক নিজের ভার নিতে পারে না। তাই তার অছি (Guardian) হয়। নাবালকের অবস্থা—যেমন চৈতন্যদেবের (Ramakrishna) অবস্থা।”

    মাস্টার গঙ্গাস্নান করিতে গেলেন।

  • Putin Visit in India: করমর্দন, আলিঙ্গন, বন্ধুত্বের বার্তা! প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Putin Visit in India: করমর্দন, আলিঙ্গন, বন্ধুত্বের বার্তা! প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু মোদির আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেননি। তাই ৪ বছরের ব্যবধানে ফের ভারত সফরে এলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ ও আগামিকাল (৪-৫ ডিসেম্বর) ভারতে থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের মাটিতে পা রাখলেন পুতিন ৷ ‘বন্ধু’কে স্বাগত জানাতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি হাজির হন দিল্লির পালাম সেনাঘাঁটিতে ৷ দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন তিনি ৷ ইতিমধ্য়ে রুশ প্রতিনিধি দল ভারতে এসে পৌঁছেছে ৷ ২৩ তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতেই দিল্লি এলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ৷

    মোদি-পুতিন সাক্ষাৎ

    রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ‘অতিথি দেব ভবঃ’ ভারতভূমের অতিপ্রাচীন সংস্কৃতি। অতিথিকে ভারতে দেবতার আসনে রাখা হয়। ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রথা রয়েছে। পুতিনকেও আপ্যায়নের ত্রুটি রাখছে না ভারত। পুতিনকে নিজে এয়ারপোর্টে রিসিভ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতে এসেছিলেন পুতিন। ঠিক সন্ধে সাড়ে ৬টায় ভারতের মাটিতে ল্যান্ড করে পুতিনের বিশেষ বিমান। পুতিন বিমান থেকে নামতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানালেন মোদি। করমর্দন করলেন দুই নেতা। এরপর একই গাড়িতে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান দুই রাষ্টপ্রধান। সাধারণ প্রোটোকল অনুযায়ী কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতা ভারত সফরে এলে তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির থাকেন বিদেশমন্ত্রী বা বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু ২০১৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে দিল্লি বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন মোদী। ২০১৮-য় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও মোদী নিজেই বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন। এবার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতেও বিমানবন্দরে গেলেন মোদি।

    মোদি ও পুতিনের ব্যক্তিগত আলোচনা

    সম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গ্রাফ তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের নয়াদিল্লি সফর বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এই সফরেই আরও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রাশিয়া থেকে কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে চলেছে। এরই সঙ্গে আরও আধুনিক এস-৫০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও আসবে ভবিষ্যতে। সেই চুক্তি নিয়ে আজ নৈশভোজের পর নরেন্দ্র মোদি ও পুতিনের ব্যক্তিগত আলোচনা হবে। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিষয়ও উঠে আসবে। ভারত বরাবরই যুদ্ধের বিরোধিতা করে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে। এবারও নয়াদিল্লি সেদিকেই জোর দেবে বলেই ধারণা।

    পুতিনের সফরসূচি

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত সফরসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ সাড়ে ১১ টার সময় তাঁর রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে ৷ এরপর নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউজে ২৩তম ভারত-রাশিয়া সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে ৷ দুপুর ১.৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করবেন ৷ বিকেল ৩.৪০ মিনিটে একটি বাণিজ্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পুতিন ৷ সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ৷ রাত ৯টা নাগাদ ফের রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি ৷

    নিরাপত্তায় মোড়া দিল্লি

    প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নয়া দিল্লিকে। ইতিমধ্যে পুতিনের সুরক্ষায় রাশিয়ার থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৫০ জনের একটি দল। মোতায়েন থাকছেন ভারতের এনএসজি কম্যান্ডোরাও। মস্কো থেকে উড়ে এসেছে পুতিনের প্রেসিডেন্সিয়াল বাহন অরাস সেনাট। ৬০০ হর্স পাওয়ারের এই গাড়ি আসলে চার চাকার উপর চলমান একটা দুর্গ। মাত্র ২ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা গতি তুলতে পারে এই গাড়ি। শত্রুর হাত থেকে বাঁচার জন্য এই গাড়িতে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাইরে রয়েছে ব্যালিস্টিক আর্মার। রয়েছে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। বোমা ও গ্রেনেড হামলায় এই গাড়ির কোনও ক্ষতি হয় না। ৪টে চাকা ফুটো হয়ে গেলেও দৌড়াতে থাকে এই গাড়ি।

    ভারত-রাশিয়া সামরিক চুক্তি

    পুতিনের সফরে ভারত যে চুক্তিতে দ্রুত স্বাক্ষর করার জন্য উন্মুখ, সেটি হল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাইটার জেট সুখোই-৫৭ ক্রয়। ভারতের জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসছেন পুতিন। কারণ, নিছক একটি দেশ অন্য দেশকে সামরিক উপকরণ বিক্রয় করে মুনাফা করবে—বিষয়টি এমন নয়। রাশিয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সুখোই বিক্রির পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনের চুক্তিতেও সবুজ সংকেত দেবে। এজন্য বাছাই করা হবে ভারতের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে। হিন্দুস্তান এরোনটিক্স, ভারত ইলেকট্রনিক্স এবং ভারত ডায়নামিক্স। অর্থাৎ ওই দু‌ই সামরিক উপকরণের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা দ্রুত ডেলিভারির জন্য মস্কোর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে না। এই দুই চুক্তির অন্যতম শর্ত হল একটি বড় অংশের সংযুক্তিকরণ হবে ভারতেই। যা ভারত সরকারের যে কোনও সামরিক ও স্ট্র্যাটেজিক সমঝোতায় অন্যতম লক্ষ্য।

  • India Pakistan Conflict: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা কট্টরপন্থী মুনিরের! বিস্ফোরক দাবি ইমরানের বোনের

    India Pakistan Conflict: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা কট্টরপন্থী মুনিরের! বিস্ফোরক দাবি ইমরানের বোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বক্ষণ ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাত (India Pakistan Conflict) তৈরির অপচেষ্টা পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir)। কট্টর ইসলামপন্থী আসিম মুনির ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বোন আলিমা খান। কয়েক সপ্তাহ ধরে টালবাহানার পর অবশেষে মঙ্গলবার ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর বোন ডাক্তার উজমা খানুমকে দেখা করতে দেওয়া হয়। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ঢুকতে দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সর্বময় নেতা ইমরানের বোনকে। প্রাক্তন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী পাক ক্যাপ্টেন গত দুবছর ধরে আদিয়ালা জেলে বন্দি।

    আসিম মুনির কট্টরপন্থী 

    ইমরান খানের বোন আলিমা খানের অভিযোগ, জেনারেল আসিম মুনিরের ইসলামী কঠোর অবস্থান পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের পক্ষে কখনওই ভালো নয়। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বোন আলিমা দাবি করেন, ইমরান খান একজন খাঁটি উদারপন্থী। তিনি চান ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলিমা খান বলেন, ‘‘আসিম মুনির কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী। সেই কারণেই তিনি ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তাঁর কট্টর ইসলামিক চিন্তাধারা ও সংরক্ষণ মনোভাবই তাঁকে জোর করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না।’’

    ইমরান খান স্বাধীন চিন্তাধারার

    অন্যদিকে ইমরান খান স্বাধীন চিন্তাধারার। যখন ইমরান খান ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তিনি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান তাঁর বোন। তিনি বলেন, ‘‘ইমরান খান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন। এমনকী বিজেপির সঙ্গেও। যখনই আসিম মুনিরের মতো মৌলবাদী ক্ষমতায় থাকবেন, তখন ভারতের সঙ্গে তো যুদ্ধ করতে চাইবেনই। এমনকী ভারতের বন্ধু দেশগুলিও ভুগবে।’’ পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের ‘সম্পদ’ বলে অভিহিত করেন আলিমা। তিনি বলেন, “ইমরান খান এই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। দেশের এমন একজন প্রতিনিধিকে কীভাবে কারাগারে রাখা যায়?” তিনি আরও বলেন করেন, “আসলে তারা পাকিস্তানের জনগণকে দমন করতে চায়। তারা জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে দিতে চায় না, আর জনগণ ইমরান খানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তারা ভেবেছিল, যদি তাকে আলাদা করে রাখা যায়, তাহলে মানুষ তাকে ভুলে যাবে।”

    দেশের জন্য বিপজ্জনক

    পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ‘দেশের জন্য বিপজ্জনক’ বললেন পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ক্রিকেটের মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দানে নামা ইমরান বলেন, মুনির ইচ্ছাকৃত ভাবে আফগানিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়াচ্ছেন। ৭৩ বছর বয়সি ইমরান এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘আসিম মুনিরের নীতি পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে। ওঁর নীতির জন্য সন্ত্রাস এ ভাবে বাড়ছে। দেখে কষ্ট লাগে। পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছু করায় ওঁর কোনও আগ্রহ নেই। উনি পশ্চিমের শক্তিদের তুষ্ট করতে চান। আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়াচ্ছেন, যাতে গোটা বিশ্বকে দেখাতে পারেন উনি ‘মুজাহিদ’ (ইসলামিক যোদ্ধা)।’’ মুনিরকে ‘মানসিক অসুস্থ’ও বলেছেন ইমরান। তাঁর কথায়, ‘‘মুনিরের নৈতিক শূন্যতা পাকিস্তানের সাংবিধানিক আইনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’’

    ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ ইমরান

    ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিককের মুখোমুখি হয়ে তাঁর অপর বোন উজমা খানুম বলেন, ‘‘ঈশ্বরের কৃপায় ও সুস্থ আছে…কিন্তু ওঁর উপরে চলা মানসিক অত্যাচার নিয়ে ক্ষুব্ধ। সারাদিন সেলে বন্দি করে রাখা হয় ওঁকে…খুব অল্প সময়ের জন্যই সেল থেকে বেরতে পারে, কারোর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয় না।’’ জেলবন্দি ইমরান খান পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকেই দুষেছেন দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য। ইমরানের দাবি আসিম মুনির পাক সেনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। এমনকী, সংবিধানে পরিবর্তন করে নিজেকে এবং সমস্ত সেনা প্রধান ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে আজীবন সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন।

    ইমরানের উপর মানসিক অত্যাচার

    ২০২৩ সাল থেকে জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ-জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, প্রায় এক মাস ধরে ইমরানের সঙ্গে পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশেষে মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় তাঁর বোন উজমাকে। তিনি বলেন যে ইমরান বেঁচে থাকলেও, তাঁর উপরে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। উজমা বলেন, ‘‘ইমরান খান বলেছেন যে তাঁর কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই, এমনকী তিনি কারও সঙ্গে দেখাও করেননি। তিনি বলেছেন যে তারা তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছে। তিনি ক্রুদ্ধ এবং বলেছেন যে যা কিছু ঘটছে তার জন্য আসিম মুনির দায়ী।’’

LinkedIn
Share