Blog

  • Ramakrishna 445: ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়

    Ramakrishna 445: ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়

    শ্রীরামকৃষ্ণ: ওদের বইয়ে অনেক কথা আছে বটে, কিন্তু যারা বই লিখেছে তারা ধারণা করতে পারে না। সাধু সংঘ হলে তবে ধারণা হয়। ঠিক ত্যাগী যদি, সাধু যদি উপদেশ দেয়, তবেই লোকে সে কথা শোনে। শুধু পণ্ডিত যদি বই লিখে বা মুখে উপদেশ দেয়, সে কথা তত ধারণা হয় না। যার কাছে গুড়ের নাগরী আছে, সে যদি রোগীকে বলে গুড় খেও না, রোগী তার কথা তত শোনে না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: আচ্ছা, পূর্ণের অবস্থা কীরকম দেখেছো? ভাব-ধাব কি হয়?

    মাস্টার: ওই ভাবের অবস্থা বাইরে সেরকম দেখি, দেখতে পাই না। আপনার সেই কথাটি তাকে বলেছিলাম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ: কোন কথাটি?

    মাস্টার: সেই যে আপনি বলেছিলেন, সামান্য আধার হলে ভাব সংবরণ করতে পারে না; বড় আধার হলে ভিতরে খুব ভাব হয়, কিন্তু বাইরে প্রকাশ থাকে না। যেমন বলেছিলেন—সাইয়ের দিঘিতে হাতি নামলে টের পাওয়া যায় না, কিন্তু ডোবাতে নামলে তোলপাড় হয়ে যায় আর পাড়ের উপর জল উপচে পড়ে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “বাহিরে ভাব হলেই তো হবে না। তার আকর আলাদা চাই। আর সব লক্ষণ ভালো, তা ঠিক, কিন্তু…”

    মাস্টার:
    – “চোখদুটো বেশ উজ্জ্বল — যেন ঠেলে বেরিয়ে আসছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “চোখ উজ্জ্বল হলেই হয় না। তবে ঈশ্বরীয় চোখ আলাদা। আচ্ছা, তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলে?”

    মাস্টার:
    – “আজ্ঞে হ্যাঁ, কথা হয়েছিল। সে ৪–৫ দিন ধরে বলছে, ‘ঈশ্বরচিন্তা করতে গেলেই আর তাঁর নাম জপ করতে গেলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে, রোমাঞ্চ হয়’ — এইসব লক্ষণ দেখা যায়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “তবে আর কী?”

    ঠাকুর চুপ করে থাকেন।
    মাস্টার কিছুক্ষণ পরে আবার বলতে শুরু করেন —

    মাস্টার:
    – “সে দাঁড়িয়ে আছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ:
    – “কে?”

    মাস্টার:
    – “পূর্ণ — তার বাড়ির দরজার কাছেই বোধহয় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা কেউ গেলে দৌড়ে আসবে, এসে আমাদের নমস্কার করবে — তারপর চলে যাবে।”

  • BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায়  ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ করতে রাজ্য বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চাকে বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। অবশ্য ঘোষণা নয়, এই কর্মসূচির কথা প্রস্তাব আকারে পেশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য নেতাদের তা বিবেচনাও করতে বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বনসল।

    ‘নারী শক্তি সম্মেলন’ (BJP)

    সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরির প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল ‘নারী শক্তি সম্মেলনে’র। রাজ্য মহিলা মোর্চা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, মাফুজা খাতুন এবং মীনাদেবী পুরোহিত। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর মাস ছয়েক (পুজোর মাস এবং অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে) দেরি বলে স্মরণ করিয়ে দেন বনশল। এই কয়েক মাসে মহিলা মোর্চাকে কোন কোন জনসংযোগ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে, তা উল্লেখ করার পর বনশল বলেন, “আমি চাই ব্রিগেডে যেমন জনসভা হয়, সেই রকম ভাবে কলকাতায় এক লাখ মহিলার জমায়েত করা হোক। কারণ এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই মহিলাদের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে সব চেয়ে বেশি। তাই মহিলারাই পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর ডাক দেবেন।” তিনি বলেন, “এখানে শুভেন্দুদা রয়েছেন। তিনি এবং অন্য নেতারা যদি আমার সঙ্গে সহমত হন, তাহলে আমার মনে হয় একটা কর্মসূচির ডাক দেওয়া যেতেই পারে। জনসভা নয়। সারা বাংলা থেকে এক লাখ মহিলা এসে নামবেন কলকাতার রাস্তায় আর মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দেবেন (BJP)।”

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “যদি আমরা এক লাখ মহিলাকে নিয়ে এই মহিলা ব্রিগেড করতে পারি, তাহলে সেটা হবে ঐতিহাসিক ব্রিগেড। আপনারা যাঁরা আজ এখানে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে ২০০ জন করে মহিলাকে আনতে পারলেই সংখ্যাটা এক লাখ ছাপিয়ে যাবে। আজ থেকেই খাতায় নাম লিখতে শুরু করুন যে, আমি এই ২০০ জনকে আনব।” মহিলা মোর্চার এক পদাধিকারী বলেন, “ব্রিগেডেই হোক বা কলকাতার রাজপথে, লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে কলকাতার বুকে এই কর্মসূচি রূপায়িত (Sunil Bansal) হলে, তাহলে তা সত্যিই ইতিহাস হয়ে থাকবে (BJP)।”

  • Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    Aadhaar Row: “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়”, স্পষ্ট জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অভিযোগ করলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। অভিযোগের আইনি ভিত্তি থাকতে হয়। বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে দাখিল করা হলফনামা প্রসঙ্গে রবিবার এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার। তিনি জানান, গত দুই দশক ধরে সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিল। সেই দাবির ভিত্তিতেই প্রথমে বিহার থেকে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

    সরাসরি অভিযোগ করা যায় না

    এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আধার (Aadhaar) সম্পর্কিত নানা বিষয়েও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেন তিনি। জ্ঞানেশ কুমার জানান, “প্রতিনিধিত্ব আইনের (Representation of the People Act) অধীনে, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের একজন বৈধ ভোটারই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “অবৈধ ভোটার বা সাধারণ নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারেন না; তবে সাক্ষী হিসেবে তথ্য দিতে পারেন, যদি তা শপথনামার মাধ্যমে নির্বাচনী অফিসারের (ERO) সামনে পেশ করা হয়।”

    স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ

    উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দাবি করেন, ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ১৮,০০০ ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কমিশন এসব আমলে নিচ্ছে না। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। বিরোধী দলগুলির তরফে ভোট চুরির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাকে উড়িয়ে দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, ভোটার, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এবং বিএলও-রা মিলে স্বচ্ছ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশে কাজ করছেন এবং প্রক্রিয়াটিকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন স্বাক্ষর ও ভিডিও টেস্টিমোনিয়ালের মাধ্যমে। কমিশনের অভিযোগ, জেলা সভাপতি ও বুথ লেভেল এজেন্টদের এই অনুমোদন রাজ্য ও জাতীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে না, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

    আধার বাধ্যতামূলক নয়

    আধার ইস্যুতে, নির্বাচন কমিশনার জানান, “ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আধার বাধ্যতামূলক নয়। তবে অভিযোগকারীরা চাইলে আধার কার্ড সমর্থক প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন এই নিয়ম মেনে চলে।” এদিকে, আধার সংযুক্তিকরণ সংক্রান্ত মামলাটি আগামী ২২ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে উঠছে। আদালত এই বিষয়ে আরও আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। সৌজন্য দেখিয়েছে কেন্দ্রও। তবে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’! তার ওপর আবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার খেসারত দিতে হতে পারে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই ডাক পেয়েও ২২ অগাস্ট কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। এদিন দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ১৪ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণপত্রে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত কর্মসূচিতে আপনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বিনীতভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণেই এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ, অরেঞ্জ লাইনের হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি ক্রসিং)- বেলেঘাটা অংশ এবং ইয়োলো লাইনের নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (বিমানবন্দর) অংশে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে তিন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং তার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার জন্য দায়ী করেছে রাজ্য সরকারকে।

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার অভাবের কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন)-সহ বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে। এই কারণে চিংড়িঘাটায় অরেঞ্জ লাইনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তা না হলে এটিও এতদিনে সল্টলেক সেক্টর-৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে চাইছেন না মমতা? এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আসুন, একে একে জেনে নিই সেগুলি (Mamata Banerjee)।

    ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতার দল

    প্রথমত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র সদস্য তাঁর দল (PM Modi)। এই ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে ফের ‘ইন্ডি’ জোটের সদস্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে চাননি মমতা। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তিনি আর বিভিন্ন রেলপ্রকল্প নিয়ে ‘গালগপ্পো’ করতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বুক বাজিয়ে তিনি বলতে পারবেন, এসব প্রকল্পই আমার করা। এতদিনে রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রচারে ফের একবার নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে পারবেন মমতা।

    নজরুল মঞ্চে অসন্তোষ

    তৃতীয়ত, এর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। রাগ সামলাতে না পেরে মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের যাতে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না তিনি। চতুর্থত, মমতার প্রশাসনিক সভায় আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি কোনও বিরোধী জনপ্রতিনিধির। পাছে কোনও অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁদের (PM Modi)। ওয়াকিবহালের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মমতার অনুপস্থিত থাকার এটাও একটা কারণ (Mamata Banerjee)।

    ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়

    সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে ছাব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বিরাগভাজন হতে হতে পারে মমতাকে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তিল তিল করে মুসলিম-প্রীতির যে মুখোশ তিনি তৈরি করেছেন এবং পরেও রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে পাছে তা খসে যায়, তাই আমন্ত্রণ পেয়েও (PM Modi) রেলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

    ‘সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ’!

  • Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যরত পুলিশের স্ত্রী-রা আইন অনুযায়ী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি নজিরবিহীনভাবে পুলিশের কয়েকজন ঘরণী সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রেস ক্লাবে। তাঁদের দাবি ছিল কেন পুলিশের বাড়ির মেয়ে-বৌদের হেনস্থা করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান তাঁরা। এই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, আগে থেকেই এই মহিলাদের ‘ট্রেনিং’ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই পরিকল্পিত সাংবাদিক বৈঠকের আগের ঘটনার ছবি ও ভিডিও দেখান বিরোধী দলনেতা।

    রাজ্যপালের দ্বারস্থ

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আইন অনুযায়ী পুলিকর্মীদের স্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। আমরা মামলা করব। আমরা রাজ্যপালকে এটা জানিয়েছি। ওনাকে তদন্ত করতে বলেছি। এটা সার্ভিস রুলের অবমামনা। অফিসারদের স্ত্রীদের দিয়ে অভিযোগা কারনো হয়। মূলত আমাকেই টার্গেট করা হয়। বিরোাধী দলনেতা নিজে পুলিশকে অশালীন কথা বলছেন, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” এরপর তিনি বলেন, “আজ সমস্ত পর্দা ফাঁস করব।” এরপর বলতে শুরু করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “কলকাতা পুলিশের কর্মরত অফিসারদের বাড়ির গৃহিণীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাইরে দেখানো হয় পুলিশের স্ত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। এই অনুষ্ঠান থেকে মূলত আমায় টার্গেট হয়েছে।”

    মানহানির মামলা করবেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর দাবি, কলকাতা পুলিশের শান্তনু সিনহা বিশ্বাস তিনি একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ ভবানী-ভবন’। কলকাতা পুলিশ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ এই সংগঠন তৈরি করেছে। প্রেস ক্লাবে যাওয়ার আগে এদের জড়ো করা হয়েছিল পিটিএস অডিটোরিয়ামে। শুভেন্দু বলেন, “এদের ব্রিফ করেন শান্তনু, বিজিতেশ্বর রাউত। এই শান্তনু ও বিজিতেশ্বর দু’জনই প্রমোশন পেয়েছেন। তিনটে সরকারি বাস আনা হয়েছে। সরকারি কি না জানি না। রুট ২৩০। যে বাস ওসি আলিপুর এনেছে প্রেস ক্লাবে। কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও ব্যবহার হয়েছে। নম্বর-ডব্লুবি০৪জি৯৫৭১ ( WB04G9571)।” শুভেন্দু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর উকিল আইনি নোটিস দিয়েছে। তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। এই সপ্তাহেই শুভেন্দু মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

    কারা ছিলেন ওই বৈঠকে

    এরপর যে যে পুলিশের স্ত্রীরা সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তাঁদের নাম পরিচয় জানান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই দিন উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমানের স্ত্রী সালমা সুলতানা। এই আতাউর রহমান বিজিএল এমটিএস ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে পোস্টেড। ওইদিন ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায় দে। যিনি কনস্টেবল সায়ন্ত দে-র স্ত্রী। এছাড়াও ছিলেন এএসআই অতনু বাজের স্ত্রী। এই বিষয়টি রাজ্যপালকেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে পুলিশ কর্মীদের স্ত্রীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছিল তাদের। পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামীদের প্রায়শই অশালীন ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে হেনস্থা এমনকী জুতো দেখানোর মতো ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের নিশানায় ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

    মনোজ ভার্মাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মিথ্যে মামলার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে এদিন নিশানায় আনেন শুভেন্দু। সোমবার সল্টলেকে বিজেপির দফতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতার সিপি, একজন কুখ্যাত আইপিএস। গোটা জঙ্গলমহলে অত্যাচার করেছেন এই মনোজ ভার্মা…২০০৯, ‘১০,’১১-এর আগে পর্যন্ত। আদিবাসী ছেলেগুলিকে মাওবাদী তকমা দিয়ে তুলে এনে মারতেন। এই কুখ্যাত লোকটি সেদিন অভয়ার মায়ের উপর অত্যাচার করিয়েছেন।” শুভেন্দুর কথায়,  ৯ অগাস্ট আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের ডাকে ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান হয়েছিল। যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, যুবনেতা, মহিলা মোর্চার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো ছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, “সাঁতরাগাছি পয়েন্টে কোনও বিশৃঙ্খলতার ঘটনা হয়নি, পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে। হাওড়া ময়দানে অল্প বিস্তর হয়েছিল, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। রানিগঞ্জ থেকে দুজনকে তুলে আনা হয়েছে, তাঁরা জামিনও পেয়েছেন।”

    কী করে ডিসি পদে শান্তনু সিনহা বিশ্বাস

    শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, শান্তনু সিনহা বিশ্বাসকে ডিসি করা হবে বলে ৮টা নতুন পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। দেড় বছরে তিনবার প্রোমোশন করিয়ে কয়েকদিন আগেই ডিসি করা হয়েছে। তিনি জানান, বেআইনিভাবে এই কাজ করা হয়েছে। শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে এনিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি এও জানান, এই ইস্যু নিয়ে আজ বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি ভবন অভিযানের আগেই চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে আটক করার ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন বিরোধী দল বিজেপির নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুমন বিশ্বাসের আটককে ‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’ বলে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আসলে দুর্নীতিগ্রস্তদের পক্ষে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এরকম নির্লজ্জ এবং দু’কানকাটা সরকার এবং প্রশাসন আমরা আগে কোনও দিনও দেখিনি। যেভাবে এই ২৬ হাজার লোকের চাকরি গেল, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের লোভের জন্য, লালসার জন্য। এদের উচিত ছিল মাথা নিচু করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। এই যে একের পর এক শিক্ষকের অবস্থা খারাপ হচ্ছে, একজন আদিবাসী শিক্ষকের মৃত্যু ঘটল, আমার মনে হয় এটা মার্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক মার্ডার। সেই ভদ্রলোকের জীবন যাওয়ার পরেও যখন যোগ্য শিক্ষকরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য যখন আন্দোলনে নেমেছেন, সেই গণতান্ত্রিক শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে যেভাবে এই সরকার দমন-পীড়ন করছে, ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্দোলনকে এভাবে দমন-পীড়ন করা হত। স্বাধীনোত্তর ভারতে এ ধরনের দমন-পীড়ন আমরা দেখিনি।”

    ভোরেই সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ

    প্রসঙ্গত, এদিনই এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। অভিযানের শুরু হওয়ার আগেই আটক করা হয় চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে (Suman Biswas)—এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে সুমন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে আটক করা হয়েছে। এর আগে আজ ভোরেই আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সুমন বিশ্বাসের ব্যান্ডেলের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তাঁর পরিবার বলছে, ‘ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালায়,’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলেছে সুমনের পরিবার “চাকরি না পেয়ে প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাসের ভাই

    সুমন বিশ্বাসের ভাই সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “দাদার এক বন্ধু ফোন করলেন। আদিসপ্তগ্রামে বাড়ি। তাঁর সঙ্গে হয়ত দেখা করে কলকাতা যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা করেছিলেন। তিনি হয়ত যেতে দেননি। সে ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না। কারণ, কাল রাতের পর আর ফোন হয়নি দাদার সঙ্গে। এখন এই মুহূর্তে খবর পেলাম, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে দাদা হয়ত আন্দোলনের জন্য যাচ্ছিলেন ট্রেন ধরবে বলে। তখন এসে ধরল। যখন ধরছে দাদাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। সুমন বিশ্বাসকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। যখন জিজ্ঞাসা করছে, আপনার কোন থানা থেকে? কোনও সদুত্তর না দিয়ে তুলে নিয়ে চলে গেল। এবার কোন থানায় গেছে, আমার দাদার বন্ধু এখন বিভিন্ন থানায় বাইক নিয়ে ঘুরছে, কোন থানায় নিয়ে গেল। আমরা কি করব? ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্য চাকরি পাওয়াটা কি তাঁর অপরাধ? আমরা কার কাছে যাব? এই সরকারের কর্মচারী হয়ে যদি এই সরকারের কাছে ধর্ষিত হতে হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাস (Suman Biswas)?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বাতিল হয়েছে ২০১৬-এর এসএসসির গোটা প্য়ানেল! চাকরি হারিয়ে রাস্তায় বসেছেন যোগ্য শিক্ষকরাও। এই আবহেই যোগ্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে সোমবার ১৭ অগাস্ট এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেয় চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড়ো অংশ। সুমন বিশ্বাস বলছেন, “বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে কারা নাকি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করতে চায়। এই ধরনের কোনও বক্তব্য়ের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এসএসি ভবন অভিযান হবেই। শেষ সময় পুলিশ প্রশাসন ভয় পেয়ে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙেচুরে তুবড়ে দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা করছে কি না সেটা সময় বলবে।” শুধু সুমন বিশ্বাসই নন, এসএসসি অভিযানে যোগ দিতে আসা আরও দুই চাকরিহারাকেও করুণাময়ী থেকে আটক করেছে পুলিশ। চাকরিহারাদের একের পর এক আটক ও গ্রেফতারের ঘটনায় আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হবে। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন—সোমবার আন্দোলন স্থগিত থাকলেও তাঁরা নিজেদের দাবি থেকে এক ইঞ্চিও সরবেন না।

  • Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন রাশিয়ার Ukraine Russia War ) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে শর্ত সাপেক্ষে — কিয়েভকে বড় অংশের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে এবং ক্রিমিয়ার উপর মস্কোর অধিকার স্বীকার করতে হবে। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তাঁকে এই প্রস্তাব দেন পুতিন। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। একাধিকবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। তার মাঝে শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প এবং পুতিনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়— দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। বৈঠক শেষে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকও করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। উভয়েরই দাবি, বৈঠক ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক হয়েছে।

    ভূখণ্ডের বিনিময়ে শান্তি ও ক্রিমিয়া স্বীকৃতি চায় রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা জোরকদমে চলছে। সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউক্রেনকে পুরোপুরি ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে। অন্যদিকে, রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অগ্রগতি বন্ধ রাখবে। পাশাপাশি রাশিয়া ক্ষুদ্র কিছু দখলকৃত এলাকা — যেমন সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৪৪০ বর্গকিমি জমি — ফেরত দিতে পারে।

    রাশিয়ার প্রধান দাবিগুলো হলো

    ইউক্রেনকে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে হবে

    রাশিয়া এই দুই অঞ্চল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে

    সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেনকে ফেরত দেওয়া হবে

    ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হবে না

    রাশিয়ার উপর আরোপিত কিছু ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে

    ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে রুশ ভাষাকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    ইউক্রেনে রুশ অর্থোডক্স চার্চ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে

    ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হবে; তবে ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে

    নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন যে, পুতিন ইউক্রেনকে “ডনবাস পুরোপুরি ছাড়তে” বলেছেন — এটি রাশিয়ার বহু পুরনো অবস্থান।

    ইউরোপের উদ্বেগ ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া

    ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে এই চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সুইডেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট একে “পুতিনের স্পষ্ট জয় এবং ট্রাম্পের পরাজয়” বলে মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফিওনা হিল বলেন, “ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আদায় করতে পারেননি — যেটি ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী দেশের কোনো অংশ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, ডনবাস রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের ক্ষেত্র হতে পারে। যদিও তিনি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের (ট্রাম্প-পুতিন-জেলেনস্কি) সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন।

    ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি

    আপাতত ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ আছে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। আর ডোনেৎস্ক প্রদেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অংশ আছে রাশিয়ার দখলে। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক চেয়েছে। লুহানস্কের প্রায় পুরো জায়গাই আপাতত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে, ইউক্রেন। পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে বৈঠকের পর আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’কে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এর পর বাকিটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উপর নির্ভর করছে। তাঁকেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি। তার পরে কী হয়, আপাতত সে দিকেই চোখ সারা বিশ্বের।

    থাকছেন ইউরোপের অন্য নেতারাও

    শুধু ট্রাম্প-জেলেনস্কি নন, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা একাধিক ইউরোপীয় নেতার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন আলোচনায় অংশ নেবেন। ট্রাম্প-জেলেনস্কির এই বৈঠক সোমবার দুপুর ১টায় (মার্কিন সময়) অনুষ্ঠিত হবে হোয়াইট হাউসে। ভারতীয় সময় অনুসারে, বৈঠকটি শুরু হবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।

  • Constitutional Chaos: রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালদের সময়সীমা বেঁধে দিলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র

    Constitutional Chaos: রাষ্ট্রপতি-রাজ্যপালদের সময়সীমা বেঁধে দিলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে, সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালদের বিল অনুমোদনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে এবং এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আগের এক রায়ের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেছে। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রায় দিয়েছিল, আইনসভায় গৃহীত বিল নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে তিন মাসের মধ্যে এবং রাজ্যপালদের এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শীর্ষ আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের সময়সীমা নির্ধারণ মানে সরকারের (Centre) একটি অঙ্গ নিজের হাতে এমন ক্ষমতা নেওয়া, যা তার হাতে ন্যস্ত নয়। এতে ক্ষমতার সূক্ষ্ম ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং সংবিধানিক বিশৃঙ্খলার (Constitutional Chaos) সৃষ্টি হবে।

    সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “ধারা ১৪২ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ক্ষমতা থাকলেও, সংবিধান সংশোধন বা সংবিধান প্রণেতাদের উদ্দেশ্য নষ্ট করার এক্তিয়ার তার নেই, বিশেষত যখন সংবিধানের পাঠে এ রকম কোনও প্রক্রিয়াগত বাধ্যবাধকতা নেই।” তিনি বলেন, “যদিও অনুমোদন প্রক্রিয়ার বাস্তবায়নে সীমিত কিছু সমস্যা থাকতে পারে, তবু একে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে রাজ্যপালের উচ্চপদকে অধস্তন পদে নামিয়ে আনা ন্যায্য নয়।” তাঁর যুক্তি, রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির পদগুলি রাজনীতির ঊর্ধ্বে এবং এগুলি গণতান্ত্রিক শাসনের উচ্চ আদর্শ প্রতিফলিত করে। এই পদগুলির কোনও অভিযোগ বা ত্রুটি থাকলে, সেগুলি রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে, বিচার ব্যবস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নয়।

    সংবিধানের ২০০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাজ্যপাল আইনসভা কর্তৃক পেশ করা বিলগুলিতে সম্মতি দিতে পারেন, সম্মতি স্থগিত রাখতে পারেন অথবা রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন। তিনি চাইলে বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য আইনসভায় ফেরত পাঠাতেও পারেন, তবে যদি আইনসভা তা পুনরায় পাশ করে, সেক্ষেত্রে আর রাজ্যপাল সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারবেন না। এছাড়া, যদি কোনও বিল সংবিধান, রাষ্ট্রের নীতিনির্দেশমূলক নীতি বা জাতীয় গুরুত্বের সঙ্গে সংঘর্ষপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে রাজ্যপাল সেটিকে রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন।

    গত ১২ এপ্রিল তামিলনাড়ু-সংক্রান্ত একটি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট এই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে এবং নির্দেশ দেয় যে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মুলতুবি বিলগুলির (Centre) নিষ্পত্তি করতে হবে। আদালত নির্দেশ দেয়, “আমরা মনে করি যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমা গ্রহণ করা উপযুক্ত হবে এবং নির্ধারণ করা হল যে, রাজ্যপালের বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত বিল রাষ্ট্রপতি যে তারিখে পান, সেই তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে (Constitutional Chaos)।”

    রায়ের বিরুদ্ধে আপত্তি ওঠে যে, যেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুপ্রিম কোর্টের এমন সময়সীমার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৩ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি শীর্ষ আদালতের কাছে মতামত চান এবং রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া বিল মোকাবিলার ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ ২০০ ও ২০১ অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের ক্ষমতা সম্পর্কিত মোট ১৪টি প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

    ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স মামলার শুনানির জন্য সময়সূচি ঠিক করে এবং রাষ্ট্রপতির উত্থাপিত প্রশ্নগুলির নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়। বেঞ্চে বিচারপতি সুর্য কান্ত, বিক্রম নাথ, পিএস নরসিমহা এবং অতুল এস চন্দুরকরও ছিলেন। বেঞ্চ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে ১২ই অগাস্টের মধ্যে তাদের লিখিত জবাব জমা (Centre) দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ যার নেতৃত্বে আছেন প্রধান বিচারপতি আগামী ১৯ আগস্ট থেকে মামলাটির শুনানি শুরু করবেন (Constitutional Chaos)।

    প্রসঙ্গত, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু সরকার। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন সরকার। তার প্রেক্ষিতেই গত এপ্রিল মাসে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়সীমা বেঁধে দেয় দেশের শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ থেকে শুরু করে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি তথা আইনবিদ জগদীপ ধনখড়ও। আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও (Constitutional Chaos)।

  • Wang Yi: সরকারি সফরে ভারতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Wang Yi: সরকারি সফরে ভারতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা শুল্ক-যুদ্ধের আবহেই সোমবার সরকারি সফরে ভারতে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। তিন দিনের সফরে আসছেন তিনি। ১৯ অগাস্ট মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। তার আগে, সোমবার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ওয়াং ই।

    অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক (Wang Yi)

    বিদেশমন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াং ই-র কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। এই আলোচনায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। সোমবার তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, যেখানে আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়ে। অজিত ডোভালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। এদিন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ৭, লোককল্যাণ মার্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    গতকাল এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী মহামান্য ওয়াং ই ১৮-১৯ অগাস্ট ২০২৫ তারিখে ভারত সফর করবেন। এই সফরে তিনি ভারতের বিশেষ প্রতিনিধি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভালের সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্ত প্রশ্নে ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ওয়াং ই-র (Wang Yi) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।” প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি মূল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি, তবে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং এক্স হ্যান্ডেলে এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, “১৮ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সিপিসি সেন্ট্রাল কমিটির পলিটব্যুরোর সদস্য, বিদেশমন্ত্রী এবং চিন-ভারত সীমান্ত প্রশ্নে চিনের বিশেষ প্রতিনিধি ওয়াং ই ভারতে সফর করবেন। ভারতের আমন্ত্রণে তিনি চিন ও ভারতের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে সীমান্ত প্রশ্নে ২৪তম দফা বৈঠকে অংশ নেবেন।”

    কেন ওয়াং-এর সফর গুরুত্বপূর্ণ?

    চিনা বিদেশমন্ত্রীর এই সফরের সময় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরু করা শুল্ক-যুদ্ধের জন্য নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। আমেরিকার জারি করা উচ্চ শুল্ক ব্যবস্থার ফলে ভারতের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। ভারত-চিনের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলেছে সাম্প্রতিককালে। কাছাকাছি আসছে দুদেশ। কয়েকদিন আগে, দুই দেশের মধ্য়ে সরাসরি বিমান পরিষেবা, ভিসা সরলীকরণ এবং কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।  ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সফরকে ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চলমান প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আসন্ন চিন সফরের আগে (Wang Yi)।

  • West Bengal Weather Update: ৩০ দিনে ৭টি! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ, ফের ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ?

    West Bengal Weather Update: ৩০ দিনে ৭টি! বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নতুন নিম্নচাপ, ফের ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হওয়ার পথে নিম্নচাপ। তেমনটা হলে, সেক্ষেত্রে গত ৩০ দিনে এই নিয়ে সাতটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে। ফলত বেশ কিছু জেলায় আগামী কয়েকদিন তেড়ে বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্যও রয়েছে সতর্কতা।

    কোথায় রয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল?

    আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছে পশ্চিম-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার ফলে রবিবার নতুন করে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। আবহবিদরা জানান, ঘূর্ণাবর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৯ কিলোমিটার উপরে রয়েছে। এটি আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে এবং শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট দুপুরে এটি স্থলভাগে ঢুকতে পারে। মূলত দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এর প্রভাব বেশি থাকবে। ফলে, প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না। তবে, পরোক্ষ প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়।

    কী বলছে দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস?

    আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বেশি কলকাতায়। আংশিক বা সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। তবে, দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমের জেলার কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বুধবার সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার একটি বা দুটি অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    উত্তরের আবহাওয়া থাকবে কেমন?

    অন্যদিকে, সোমবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায়। মঙ্গলবার ও বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে উত্তরে। ফের বৃহস্পতিবারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি। শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।

LinkedIn
Share