Blog

  • Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    Pakistan: ‘‘ভারতের ড্রোন হামলা ইচ্ছে করেই আটকাইনি’’! আজব যুক্তি দিলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভারতের হাতে মার খেয়ে আপাতত নানা আজব যুক্তি সাজাতে ব্যস্ত পাকিস্তান (India Pakistan War)। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Pakistan) বলেছেন, তাঁরা চাইলেই নাকি এই ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারতেন। কিন্তু চেষ্টা করেননি! কেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আসিফ। তাঁর মতে, ইন্টারসেপ্টর কোথায় রাখা আছে এর ফলে জেনে যেত ভারত, তাই ইচ্ছে ভারতের ড্রোন হামলা আটকায়নি পাকিস্তান! এমন আজব যুক্তি শুনে স্তম্ভিত সব মহলই।

    কী বললেন আসিফ?

    পাক সংসদে (Pakistan) বক্তব্য রাখার সময়ে আসিফ দাবি করেন, ‘‘পাকিস্তান চাইলেই ভারতের ড্রোন হামলা ঠেকাতে পারত। কিন্তু তা করতে গেলে পাক সেনার নানা ক্যাম্পের হদিশ পেয়ে যেত ভারত। তাই প্রতিঘাত করা হয়নি!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের লোকেশন জানাতে চাইনি ভারতকে। তাই ইচ্ছে করেই ড্রোন হামলা করতে দিয়েছি। তা প্রতিহত করার চেষ্টা করিনি। পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কোথায় আছে, তা খুঁজতেই ড্রোনগুলি পাঠিয়েছিল ভারত।’’ আসিফের এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে এবং তা কার্যত অবাক করেছে সকলকে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তান (Pakistan) এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে নানা রকম ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পাকিস্তান খবর রটিয়ে দিয়েছিল ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান নাকি পাকিস্তান ধ্বংস করে দিয়েছে। পরে স্পষ্ট করা হয়, সেই খবর নাকি ভুয়ো। খোদ পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এই দাবি করে তার পক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না

    কাপুরুষ শেহবাজ শরিফ মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, কোনও ভারতীয় নয়, এবার এমন মন্তব্য করতে শোনা গেল পাকিস্তানের (Pakistan) সাংসদকেই। ভারত-পাক উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির মাঝেই নিজের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একেবারে ‘কাপুরুষ’ বলে আক্রমণ করলেন পাক রাজনৈতিক নেতা সৈয়দ আহমেদ। পাকিস্তানের (India Pakistan War) সংবাদমাধ‍্যমে ইতিম্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও। ইমরান খানের দলের সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতিও আসেনি। সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানি সৈন্যরা আশা করে যে সরকার সাহসিকতার সাথে লড়াই করবে। যখন আপনার নেতা একজন কাপুরুষ যিনি মোদির নামও উচ্চারণ করতে পারেন না, আপনি সীমান্তে লড়াই করা সৈন্যকে কী বার্তা দিচ্ছেন?’’

  • Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠে‌ কিংবা নিত্যদিনের ঘরোয়া কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা কিংবা কোমরে যন্ত্রণা অনুভব হয়। অনেকেই হঠাৎ এই পা, ঘাড় কিংবা কোমরের পেশিতে খিঁচ (Muscle cramps) অনুভব করেন। যার ফলে দিন কয়েক ধরে ভোগান্তি চলে। স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। এমনকী মারাত্মক ব্যথার জন্য অনেক সময় হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের ঘন ঘন এই ধরনের পেশিতে টানের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তখন বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার দেহের বিভিন্ন পেশিতে টান, জানান দেয় শরীরে একধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কেন‌ বারবার পেশিতে খিঁচ ধরে? (Muscle cramps)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেশিতে খিঁচ বা টান অনুভব হয় মূলত দূর্বলতার কারণে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের ক্ষমতার বাইরে একটানা পরিশ্রম করলে, পেশি দুর্বল হয়ে যায়। আর তখন পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হয়। আর তার জেরেই পেশিতে টান বা খিঁচের মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে খেলোয়াড়দের প্র্যাক্টিসের সময় পেশিতে টান ধরে। লাগাতার অক্লান্ত পরিশ্রমের জেরেই এই সমস্যা হয়। দুর্বলতার পাশপাশি শরীরে জলের অভাব পেশিতে খিঁচের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের ৭০ শতাংশ জল থাকে। সেই জলের সাহায্যেই মানুষের শরীরের একাধিক অঙ্গ সক্রিয় থাকে। পেশির সচলতা বাড়াতেও শরীরের ভিতরের জল সাহায্য করে। শরীরে এই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলেই পেশিতে নানান সমস্যা দেখা যায়। তার জেরেই কোমর, ঘাড় কিংবা হাতে-পায়ে খিঁচের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    তবে, এর পাশপাশি শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে এই উপাদানের ঘাটতি হলেই দুর্বলতা দেখা দেয়। পেশি শক্তি কমে এবং খিঁচ হতে পারে (Muscle cramps)।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, লাগাতার কাজ করবেন না। দিনে যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন, কাজের ফাঁকে অন্তত আধ ঘণ্টা অন্তর কিছুটা সময় বিশ্রাম জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরুর আগে কিছুটা সময় শারীরিক কসরত জরুরি। তবেই পেশি সচল থাকবে। পেশিতে টান ধরার (Muscle cramps) সমস্যাও কমবে।
    নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে জলের ঘাটতি না হলে পেশিতে টান ধরার ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার পাশপাশি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবুর রস, ডিম খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যায়। দুর্বলতা কম হয়‌। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়। ফলে, পেশিতে টান ধরার সমস্যাও কমে।
    নিয়মিত যে কোনও ধরনের বাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার থেকে শরীর সহজেই পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে‌। এর ফলে শরীরের পেশি মজবুত হয়। খিঁচের ঝুঁকিও কমে (Muscle cramps)।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    India-Pakistan War: ভাসতে পারে শিয়ালকোট, চেনাবের ৪টি লকগেট খুলল ভারত, হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার স্ট্রাইকের পাশাপাশি পাকিস্তানে ‘ওয়াটার স্ট্রাইক’ (India-Pakistan War)। খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকছে পাকিস্তানে। ভারতের দিকে কুনজর দিলে, কী পরিণতি হতে পারে, তা জল-স্থল-আকাশপথে বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের মিশাইল হানায় লন্ডভন্ড পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। এবার ভসে যেতে পারে চন্দ্রভাগার তীরবর্তী পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা।

    বন্যার আশঙ্কা শিয়ালকোটে

    পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হিসাবেই প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছিল ভারত সরকার। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিন্ধু ও উপনদী চন্দ্রভাগা, ঝিলমের জল। পাকিস্তানের রাতারাতি শুকিয়ে মরার মতো অবস্থা হয়, কারণ এই নদীগুলির উপরই নির্ভরশীল পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ। এবার খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বাঁধ। রামবানসহ জম্মু-কাশ্মীরের অনেক স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে কয়েকদিন ধরে । পাশাপাশি রামবানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে। এর ফলে জলের স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাই বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রামবানে সালাল বাঁধের চারটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল এই লকগেট। সেই লকগেটগুলো খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকগুন বেড়ে যায় চন্দ্রভাগার জল। যেকোনও মুহূর্তেই ভেসে যেতে পারে পাকিস্তানের শিয়ালকোট। এই আশঙ্কায় সেখানকার শয়ে শয়ে মানুষ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।

    চন্দ্রভাগা নদীতে বেড়েছে জলস্রোত

    দুই দিন আগে, চেনাব বা চন্দ্রভাগার বাগলিহার বাঁধ আটকে জলের মর্ম বুঝিয়ে দিয়েছিল ভারত। কয়েক ঘণ্টা জল আটকে দেওয়ায় শুকিয়ে মরার আতঙ্কে হাহাকার করে উঠেছিল পাকিস্তান। সেদেশের কৃষি-শিল্পের অনেকটাই নির্ভর করে এই চেনাবের জলের উপর। এবার সেই চেনাবেরই চার চারটি লক গেট খুলে দিল ভারত। এর জেরে এবার বন্যায় ভাসতে পারে পাকিস্তান। জম্মুতে অতি ভারী বৃষ্টির পর পাকিস্তানে এখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চেনাব নদীতে নির্মিত বাগলিহার বাঁধের চারটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে শুক্রবারই। বৃহস্পতিবার এই চেনাব নদীতেই নির্মিত রিয়াসি সালাল বাঁধের ৩টি ফটকও খুলে দেওয়া হয়। বাঁধের ফাটক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে জল বের হচ্ছে। শুক্রবারের খবর অনুসারে, চন্দ্রভাগা নদীর উপর সালাল বাঁধের ৪টি লকগেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে চন্দ্রভাগা নদীতে একলাফে বেড়েছে জলস্রোত। ভারত জল ছাড়ায় এবার পাকিস্তানের শিয়ালকোটে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে পারে হু হু করে। এমন চলতে থাকলে পাকিস্তানের ওই অঞ্চল বন্যায় ভেসে যেতেও পারে।

  • India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    India Pakistan War: হার্পির আতঙ্কে হাসি উড়েছে পাকিস্তানের, ইহুদি ড্রোনে ছিন্নভিন্ন চিনা-কবচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর’-এর এক দিনের মাথাতেই লাহোরের (India Pakistan War) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ধ্বংস করল নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদের দাবি, এতে ইজরায়েলি মানববিহীন উড়ুক্কু যান ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনা। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। সূত্রের খবর, লাহোরে সেনাছাউনি সংলগ্ন এলাকায় চিনের তৈরি এইচকিউ-৯পি নামের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ মোতায়েন রেখেছিলেন রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তারা। পাক গণমাধ্যমগুলির দাবি, ইজরায়েলি ‘হার্পি’ দিয়ে সেটি উড়িয়েছে ভারত।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাক সেনার জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি জানিয়েছেন, ইজরায়েলে তৈরি ওই ড্রোন দিয়ে একাধিক শহরকে নিশানা করে ভারতীয় বাহিনী। সেই তালিকায় ছিল করাচি, বহাওয়ালপুর, শিয়ালকোট এবং রাওয়ালপিন্ডি। এ প্রসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ আরও বলেন, ‘‘ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আগ্রাসন দেখিয়েছে ভারত। সেগুলির অধিকাংশকেই নিষ্ক্রিয় করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি লাহোরের সেনাছাউনিতে ঢুকে পড়ে। সংশ্লিষ্ট ড্রোনটির বিস্ফোরণে চার জন সৈনিক আহত হন।’’

    হার্পির সুবিধা

    গত কয়েক বছর ধরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই হাতিয়ারটিকে সযত্নে অস্ত্রাগারে সাজিয়ে রেখেছিল নয়াদিল্লি। মোক্ষম সময়ে এর এক আঘাতেই দিশেহারা পাকিস্তান, মুখ পুড়েছে বেজিঙেরও। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, ‘হার্পি’ ড্রোনে রয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর। একটানা ন’ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এর। লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে বিশেষ একটি পদ্ধতিতে পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন কোণ থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম ইজরায়েলের তৈরি এই মানববিহীন উড়ুক্কু যান। শুধু তা-ই নয়, হামলার সময়ে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’-এর (জিএনএসএস) সাহায্যে একে নিষ্ক্রিয় করাও সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রতিকূল পরিবেশেও অপারেটরের সঙ্গে দিব্যি যোগাযোগ রেখে চলে ‘হার্পি’। একে যুদ্ধজাহাজ বা সামরিক ট্র্যাকের উপর বসানো লঞ্চার থেকে শত্রুর ঘাঁটির দিকে ছোড়া যায়। ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে নিখুঁত নিশানায় হামলা করতে সক্ষম ‘হার্পি’।

    হার্পির সংখ্যা এখন ১০০

    নির্মাণকারী সংস্থা হল ‘ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ’। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে মানববিহীন এই আত্মঘাতী উড়ুক্কু যানটিকে বহরে সামিল করার কথা ঘোষণা করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর জন্য ১০ কোটি ডলার খরচ করেছিল কেন্দ্র। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথমে ১০টি ‘হার্পি’ ড্রোন সরবরাহ করে ইজরায়েল। ২০২০ সালের মধ্যে ফৌজের অস্ত্রাগারে ইজরায়েলি ‘হার্পি’-র সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

  • New Pope: রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট, প্রথম আমেরিকান পোপ

    New Pope: রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট, প্রথম আমেরিকান পোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমান ক্যাথলিক সমাজের নতুন পোপ (New Pope) নির্বাচিত হলেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট। ২৬৭তম পোপ নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর নাম হল পোপ লিও (চতুর্দশ)। এই প্রথম কোনও আমেরিকান পোপের আসনে বসলেন। ভ্যাটিক্যান সিটির সিস্টিন চ্যাপেলের চিমনি থেকে সাদা ধোঁয়া ওড়ার অর্থই হল পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ। যার খানিক পরই চতুর্দশ লিও হিসেবে রবার্ট প্রিভোস্টের নাম ঘোষণা করা হয়।

    পোপ লিও-র দায়িত্ব

    কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের (New Pope) উত্তরসূরি শিকাগোর নাগরিক। ৬৯ বছর বয়সি রবার্ট প্রিভোস্ট জীবনের বেশিটা সময় পেরুর মিশনারিতে কাটিয়েছেন। প্রিভোস্ট গত দুই দশক ধরে পেরুর নাগরিক হিসেবে বসবাস করতেন। সেখানে শিক্ষক এবং বিশপের ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তার আগে রোমের পন্টিফিকাল ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট থমাস অ্যাকুইনাস থেকে যাজক অনুশাসন (ক্যানন আইন) বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে তিনি কার্ডিনাল হন। এবার পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত হলেন মীতভাষী রবার্ট। ১০০ কোটিরও অধিক রোমান ক্যাথলিক অনুসরণকারীদের প্রধান হওয়ার পরে তাঁর বার্তা, “আপনাদের মনে শান্তি বিরাজ করুক।”

    পোপ বাছতে দফায় দফায় ভোট গ্রহণ

    ১৩৩ জন বিশপের উপস্থিতিতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার পরেই রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট নির্বাচিত হলেন পোপের পদে। তবে বিশপদের মধ্যে বিস্তর মতভেদ থাকার কারণে পোপ নির্বাচনে ঐক্যমতে পৌঁছানো খুব সহজ ছিল না। গির্জার ভবিষ্যৎ নিয়েও বিভিন্ন মত ছিল। জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে যত ‘কনক্লেভ’ হয়েছে তার মধ্যে এত জন বিশপের জমায়েত হওয়ার নজির নেই।

    ছিলেন ভারতের ৪ জন

    প্রায় ৭৫০ বছর ধরে একই পদ্ধতিতে পোপ (New Pope) নির্বাচন হয়ে আসছে। বলা হয়, এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন বাছাইপর্ব। এককালে ভ্যাটিকানে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে থাকা কার্ডিনালরা বহির্জগতের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতেন নতুন পোপ নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত। এখনকার দিনে মোবাইল, ক্যামেরা বাইরে রেখে নিজেদের ঘরে ঢুকতে হয়। এবছর ৭০ দেশ থেকে ১৩৩ জন কার্ডিনাল পৌঁছেছিলেন ভ্যাটিকানে। ছিলেন ভারতের ৪ জন, যাঁদের ভোটাধিকার রয়েছে।

  • RSS: ‘‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জরুরি ছিল অপারেশন সিঁদুর’’, মোদি সরকার ও সেনাকে অভিনন্দন জানাল আরএসএস

    RSS: ‘‘ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জরুরি ছিল অপারেশন সিঁদুর’’, মোদি সরকার ও সেনাকে অভিনন্দন জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সফল হওয়ার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। ৯ মে আরএসএস-র তরফে এই বিবৃতি সামনে এসেছে। এখানেই দেশের নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরএসএস বলেছে, ‘‘ অপারেশন সিঁদুর সত্যিই জরুরি ছিল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে এবং দেশের মনোবলকে অক্ষুণ্ণ রাখতে।’’ প্রসঙ্গত,  রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের তরফ থেকে এই বিবৃতি দেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। নিজেদের বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘আমরা অভিনন্দন জানাচ্ছি কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং আমাদের সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হল।’’

    সমগ্র ভারতবর্ষ সরকার এবং সেনার পক্ষে দাঁড়িয়েছে

    সশস্ত্র সেনা অভিযানকে সমর্থন করে আরএসএস-র দেওয়া ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আমরা (RSS) সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করছি এই সামরিক অভিযানের যা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে। পাকিস্তানে থাকা তাদের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করেছে এই অপারেশন। দেশের নিরাপত্তার জন্য এমন পদক্ষেপ খুবই জরুরি ছিল। বর্তমানে দেশের এমন পরিস্থিতিতে সমগ্র ভারতবর্ষ সরকার এবং সেনার পক্ষে দাঁড়িয়েছে (Operation Sindoor)।’’

    জম্মু-কাশ্মীর সীমানায় পাকিস্তান কর্তৃক হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস

    একইসঙ্গে পাকিস্তান যেভাবে হামলা চালিয়েছে নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর তারও নিন্দা জানিয়েছে আরএসএস (RSS)। আরএসএস-এর ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাক সেনাবাহিনী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং নিরীহ নাগরিকদের উপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তা সত্যিই নিন্দনীয়। একইসঙ্গে আরএসএস সমগ্র দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে প্রত্যেক নাগরিক যেন সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলেন। এর পাশাপাশি, নাগরিক কর্তব্য পালন করতেও অনুরোধ জানিয়েছে সংঘ। দেশের এমন পরিস্থিতিতে কোনও নাগরিক যেন ভারত বিরোধী চক্রান্তের ফাঁদে না পড়েন সে বিষয়েও দেশবাসীকে সতর্ক করেছে আরএসএস (RSS)। আরএসএস জানিয়েছে,  যুদ্ধের আবহে দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে অনেক ফাঁদ পাতা হবে। সেবিষয়ে দেশবাসীকে সদা জাগ্রত থাকতে হবে দেশের ঐক্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে।

  • IPL 2025: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-এর

    IPL 2025: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল, ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারত–পাক সংঘর্ষের জেরে আপাতত স্থগিত হয়ে গেল আইপিএল (IPL 2025)। কবে শুরু হবে তা সময়ে জানিয়ে দেবে বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক সংসবাদংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দেশের যখন এই পরিস্থিতি। একটা যুদ্ধের আবহ রয়েছে। তখন ক্রিকেট খেলা ভাল লাগে না।

    নিরাপত্তাই প্রাধান্য

    গত বুধবার গভীর রাতে ‌অপারেশন সিঁদুর এর পর ইডেন ম্যাচে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার বোমাতঙ্ক ছড়ায় জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ পাকিস্তানের ড্রোন হামলার জেরে মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়। তাই আর ঝুঁকি নিতে চায়নি বিসিসিআই। জানিয়ে দেওয়া হল আপাতত স্থগিত আইপিএল। যার ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে ইডেনে। আইপিএলে (IPL 2025) দেশের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি বহু বিদেশি ক্রিকেটার খেলেন। তাঁদের নিরাপত্তার দিকটি বোর্ডকে দেখতে হবে। ফলে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দলের সাপোর্ট স্টাফ ও অন্যান্যরা যাতে নিরাপত্তার অভাব না বোধ করেন, সেটা দেখাও বোর্ডের কাজ। সূত্রের খবর, বর্তমান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ত্রস্ত বিদেশি তারকারা। পাঞ্জাব কিংসের দুই ক্রিকেটার মার্কাস স্টয়নিস এবং জস ইংলিশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাও জানিয়েছেন। যুদ্ধের আবহে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারতীয় বোর্ড। কীভাবে ক্রিকেটারদের বাড়ি ফেরানো যায়, তারও ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।

    ফের কবে আইপিএল

    জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাকিস্তানের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট আর না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বোর্ড। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের এক কর্তা। তিনি বলেন, ‘দেশ যখন যুদ্ধে লিপ্ত, সেই সময় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলতে থাকা ভালো দেখায় না।’ সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যেতে পারে আইপিএলের শেষ পর্ব। যদিও বিসিসিআই জানিয়েছে, টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নিরাপত্তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বোর্ড। কবে, কীভাবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের আয়োজন হবে, বা আদৌ হবে কিনা, সেটা নিয়ে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করছে বোর্ড। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরই সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

  • India Pakistan War: যুদ্ধের আবহে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৭ জইশ জঙ্গি

    India Pakistan War: যুদ্ধের আবহে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম ৭ জইশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি সেনার (India Pakistan War) গোলাবর্ষণের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্বা সেক্টরে বড়সড় জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়। তবে তা ব্যর্থ করল বিএসএফ। একইসঙ্গে নিকেশ করা হয়েছে সাত জইশ জঙ্গিকে। বিএসএফে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ সাম্বা জেলার সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছিল। তবে জওয়ানরা সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছেন।

    পহেলগাঁওয়ের পর থেকেই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার (India Pakistan War) পর থেকে সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেই চলেছে পাকিস্তানি সেনা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রয়োগ করে। এর পরেই পাকিস্তানি সেনা বিনা প্ররোচনায় গোলাবর্ষণও শুরু করে সীমান্তে। বৃহস্পতিবারও ফের সীমান্ত এলাকাগুলিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানি সেনা। ছু়ড়তে থাকে মিসাইল, চলে ড্রোন হামলা। তবে এসব কিছুই প্রতিহত করে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে শুধু জঙ্গিঘাঁটিতেই আঘাত হানা হয়

    প্রসঙ্গত, ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা শুধু জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে (India Pakistan War)। পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। কোনও সাধারণ নাগরিকের ওপর হামলা হয়নি। তারপরও পাকিস্তান সেনা ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালায়। ভারতীয় সেনা অবশ্য তার যোগ্য জবাব দেয় বৃহস্পতিবার রাতেই। পাকিস্তানের প্রত্যেকটি হামলার চেষ্টা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। পাল্টা হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে পাক ভূখণ্ডের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর। সেদেশের রাজধানী ইসলামাবাদেও অভিযান চালায় ভারতের বায়ুসেনা। প্রসঙ্গত, সাংবাদিক বৈঠকে  আগেই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে প্রথম হামলা চলেছিল পাকিস্তানের মদতেই। ভারত কোনও হামলা চালায়নি। শুধুমাত্র জবাব দিয়েছে।

  • India Pakistan War: ‘সুদর্শন চক্রে’ ছিন্ন ভিন্ন পাক ক্ষেপণাস্ত্র! কীভাবে পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিহত করল ভারত?

    India Pakistan War: ‘সুদর্শন চক্রে’ ছিন্ন ভিন্ন পাক ক্ষেপণাস্ত্র! কীভাবে পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিহত করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই ভারতের ১৫টি শহরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান (India Pakistan War)। কিন্তু সেই ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছোনোর আগেই সেগুলিকে নষ্ট করে দেয় ভারতের বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আর এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে রাশিয়ার এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সুদর্শন চক্রের (ভারতের দেওয়া নাম) আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয় যায় পাক ড্রোন ও বিমান। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তের সেনা ছাউনিগুলি লক্ষ্য করে আঘাত হানার চেষ্টা করে পাকিস্তান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এস -৪০০ থেকে মোট ৭২টি মিসাইল ছোড়া হয়। যেগুলির প্রায় সবক’টি নির্ভুলভাবে আঘাত করেছে পাকিস্তানের মিসাইল এবং ড্রোনকে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

    সুদর্শন চক্রে আটকে গেল পাকিস্তান

    উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান (India Pakistan War)। তার মধ্যে ছিল অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং ভুজ। কিন্তু পাকিস্তানের সেই হামলা পুরোপুরি ভেস্তে দেয় এ-৪০০। যা ভারতের আকাশকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে রেখেছে। ভারতীয় সেনায় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’। আকাশপথে যে দিক থেকেই হামলা হোক না কেন, এস ৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই হামলাকে রুখে দিতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। রাশিয়া থেকে কেনা এই যুদ্ধাস্ত্র এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সফল।

    পাকিস্তানের মোট আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ভারত

    বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ১৫টি জায়গায় সেনা ছাউনিকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিণ্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই ও ভূজে হামলার চেষ্টা করে । কিন্তু সব অপচেষ্টা মাঝ আকাশেই ব্যর্থ করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পাকিস্তানের মোট ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভারত ধ্বংস করেছে। পাক হামলার নিশানায় ছিল মূলত জম্মু বিমানবন্দর, সাম্বা, আরএস পুরা, আরিনা এবং সংলগ্ন এলাকা। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আটকানো হয়েছে বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবের কয়েকটি জায়গায় পর পর হামলায় চালায় পাকিস্তানি সেনা। সেই হামলাই প্রতিহত করেছে ভারত। পাল্টা আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাক বায়ুসেনার মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের দু’টি চিনা জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানও। ড্রোনের মাধ্যমেও হামলা চালানো হয়েছিল। তা-ও প্রতিহত করা হয়েছে। আখনুরে একটি ড্রোনকে গুলি করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    ব্ল্যাকআউট, সাইরেনের শব্দ

    সমগ্র জম্মু শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু বিমানবন্দর, পঠানকোটের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে সাইরেন বাজতে শুরু করে। সাইরেনের শব্দ শোনা গিয়েছে বারামুলা, কুপওয়ারার মতো এলাকাতেও। এ ছাড়া শহরের নানা প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। শুধু জম্মু নয়, সীমান্ত সংলগ্ন পঞ্জাবের বিভিন্ন অংশেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন জানিয়েছেন, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহরে ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ‘ব্ল্যাকআউট’ চলবে। অমৃতসরেও ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছে। জম্মুর বিমানবন্দর, সামবা, আরএস পুরা, আর্নিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।

    সুদর্শনের সহায়তায় অন্যরা

    এরইমধ্যে আবার সুপারসনিক ব্যালাস্টিক মিসাইল নিয়েও উধমপুরে হামলা চালায় পাকিস্তান। রাজস্থান, পাঞ্জাব, কাশ্মীর সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাক আক্রমণের খবর আসতে থাকে। কিন্তু, ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম ভেদ করে কিছুতেই ভারতীয় ভূখণ্ডে হামলা করতে পারেনি পাক সেনা। তার আগেই এস-৪০০ এর পাশাপাশি পাকিস্তানকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমে পড়ে এল-৭০, জেডএসইউ-২৩, শিলকার মতো শক্তিশালী সব ডিফেন্স সিস্টেম।

    কোথায় পাক প্রধানমন্ত্রী

    জয়সলমিরে পাকিস্তানের (India Pakistan War) ঘাতক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ নামিয়ে আনা হয়। লাহোর, ইসলামাবাদ, শিয়ালকোটে পাল্টা মিসাইল হামলা চালায় ভারত। জ্বলন্ত ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। বাহাওয়ালপুরের সেনা ক্য়াম্পেও হামলা চলে। এরইমধ্যে শোনা যায় ইসলামাবাদ সহ পাকিস্তানের ৭ শহরে হানা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। খবর আসে, বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ। সূত্র মারফত এও জানা যায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনির।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বেঠক সেনাপ্রধানের

    বৃহস্পতিবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলেন। এরইমধ্যে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বড় বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইসলামাবাদের মিসাইল হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একের পর এক শহরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। আর উত্তেজনার এই পরিবেশেই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হয়। সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি ও সামরিক বাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Bangladesh: পাকিস্তানের করুণ দশা দেখে ভয়ে কাঁটা বাংলাদেশ! হিন্দু নিরাপত্তায় বড় সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের

    Bangladesh: পাকিস্তানের করুণ দশা দেখে ভয়ে কাঁটা বাংলাদেশ! হিন্দু নিরাপত্তায় বড় সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মারে বেসামাল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে বাঙ্কারে গিয়ে লুকোতে হয় পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে। ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক পাক ড্রোন-মিসাইলকে। পাকিস্তানি এফ-১৬ ও এফ-১৭ যুদ্ধবিমানও নামায় ভারত। পাকিস্তানের এমন করুণ দশা দেখে ভীত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভয়ে কাঁটা ইউনূস প্রশাসন। এই আবহে সে দেশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক আলোচনা করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মহম্মদ ইউনূস। নির্দেশ দিলেন হিন্দুদের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। সেকারণেই তারা হিন্দুদের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। পাকিস্তানের (India Pakistan War) অবস্থা দেখে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক পোস্ট আটকানোর মতো একাধিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে বাংলাদেশ।

    যারা ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছিল, তাদেরই সুর এখন অনেকটাই নরম

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) উগ্র মৌলবাদীরা দখল করে গণভবন। দেশ ছাড়া হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই গিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার নেমে আসে সেদেশে। অন্ততপক্ষে ৩ হাজার হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে পদ্মাপাড়ে। হিন্দু সন্ন্যাসীদেরও হয়রানি করা শুরু হয়। বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সন্ন্যায়ী চিন্ময় প্রভুকে।  এই আবহে পাকিস্তানের ওপর (India Pakistan War) একের পর হামলায় আতঙ্কে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশও। কথায় কথায় যারা ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছিল, তাদেরই সুর এখন অনেকটাই নরম।

    পুলিশের সদর দফতর থেকে চিঠি গেল সব থানায়

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই পুলিশের সদর দফতর থেকে নির্দেশিকা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের জেলা ও থানাগুলিতে। ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অপারেশন বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস) শাহজাদা মহম্মদ আসাদুজ্জামান। সেখানেই সাফ জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের জীবন ও সম্পদের ওপর কোনও দুষ্কৃতীরা যেন হামলা, আক্রমণ বা ভাঙচুর করতে না পারে, সেদিকেও নজর দিতে হবে। যদি বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা রক্ষায় পদক্ষেপ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। একইসঙ্গে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট, ও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও।

LinkedIn
Share