Ramakrishna 377: রসুনের বাটি পুড়িয়ে নিলে আর গন্ধ থাকে না, নতুন হাঁড়ি হয়ে যায়

https://madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-354th-copy

গিরিশের অবতার বাদ- শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কি অবতার

খানিকক্ষণ শুনিয়া অন্যমনস্ক হইলেন। মাস্টারের সহিত আস্তে আস্তে কথা কহিতেছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)-আচ্ছা গিরিশ ঘোষ যা বলছে অর্থাৎ অবতার তা কি সত্য?

মাস্টার- আজ্ঞা ঠিক কথা। তা নাহলে সবার মনে লাগছে কেন?

শ্রীরামকৃষ্ণ- দেখ এখন একটি অবস্থায় আসছে, আগেকার অবস্থা উল্টে গেছে। ধাতুর দ্রব্য ছুঁতে পারছি না।

মাস্টার অবাক হইয়া শুনিতেছেন (Kathamrita)।

শ্রীরামকৃষ্ণ- এই যে নতুন অবস্থা, এর একটি খুব গুচ্ছ মানে আছে।

ঠাকুর ধাতু স্পর্শ করিতে পারিতেছেন না। অবতার বুঝি মায়া ঐশ্বর্য কিছু ভোগ করেন নাই। তাই কি ঠাকুরের এসব কথা বলিতেছেন?

শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)- আচ্ছা তোমার অবস্থা কিছু বদলাচ্ছে দেখছো?

মাস্টার- আজ্ঞা কই

শ্রীরামকৃষ্ণ- কার্যে (Ramakrishna)

মাস্টার- এখন কাজ বাড়ছে, যত লোক জানতে পারছে।

শ্রীরামকৃষ্ণ- দেখছো আগে যা বলতাম এখন চলছে।

ঠাকুর কিয়ৎকাল চুপ করিয়া থাকিয়া হঠাৎ বলছেন, আচ্ছা পল্টুর ভালো ধ্যান হয় না কেন?

(গিরিশ কি রসুন গোলা বাটি?)

এইবার ঠাকুরের দক্ষিণেশ্বর যাইবার উদ্যোগ হইতেছেন। ঠাকুর কোন ভক্তের কাছে গিরিশের সম্বন্ধে বলেছিলেন রসুন গোলা বাটি হাজার ধোও রসুনের গন্ধ কি একেবারে যায়? গিরিশও তাই মনে মনে অভিমান করিয়াছেন। যাইবার সময় গিরিশ ঠাকুরকে কিছু নিবেদন করিতেছেন।

গিরিশ (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- রসুনের গন্ধ কি যাবে?

শ্রী রামকৃষ্ণ- যাবে

গিরিশ- তবে বললেন যাবে

শ্রীরামকৃষ্ণ- অত আগুন জ্বললে গন্ধ-ফন্দ পালিয়ে যায়। রসুনের বাটি পুড়িয়ে নিলে আর গন্ধ থাকে না। নতুন হাঁড়ি হয়ে যায়। যে বলে আমার হবে না তার হয় না। মুক্ত অভিমানী, মুক্তই হয়। আর বদ্ধ অভিমানী, বদ্ধই হয়। যে জোর করে বলে আমি মুক্ত হয়েছি, সে মুক্তই হয়। যে রাত দিন আমি বদ্ধ আমি বদ্ধ বলে সে বদ্ধই হয়ে যায়।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share