Ramakrishna 379: বালক সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ কোনও গুণের বশ নয়

https://www.madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-347th-copy

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- জীবকোটি ও ঈশ্বরকোটি। জীবকোটির ভক্তি বৈধভক্তি। এত উপাচারে পূজা করতে হবে। এত উপাচারে জপ করতে হবে। এত পুরশ্চরণ করতে হবে। এই বৈধ ভক্তির পর জ্ঞান। তারপর লয় ফেরেনা। ঈশ্বরকোটির আলাদা পথ। যেমন অনুলোম বোলুম। নেতি নেতি করে ছাদে পৌঁছে যখন দেখি, ছাদও যে জিনিসে তৈরি, ইঁট, চুন, সুরকি সেই জিনিসে তৈরি। তখন কখন ছাদেও থাকতে পারে, আবার উঠানামাও করতে পারে।

শুকদেব সমাধিস্থ ছিলেন (Kathamrita)। নির্বিকল্প সমাধি। জড়সমাধি। ঠাকুর নারদকে পাঠিয়ে দিলেন, পরীক্ষিতকে (Ramakrishna) ভাগবত শোনাতে হবে। নারদ দেখলেন জড়ের ন্যায় শুকদেব বাহ্যশূন্য হয়ে বসে আছেন। তখন বীণার সঙ্গে হরির রূপ চার শ্লোকে বর্ণনা করতে লাগলেন। প্রথম শ্লোক বলতে বলতে শুকদেবের রোমাঞ্চ হল। ক্রমে অশ্রু অন্তরে হৃদয় মধ্যে চিন্ময় রূপ দর্শন করতে লাগলেন। জড় সমাধির (Kathamrita) পর আবার রূপ দর্শন হল। শুকদেব ঈশ্বর কোটি।

হনুমান সাকার-নিরাকার সাক্ষাৎকার করে রাম মূর্তিতে নিষ্ঠা করে থাকল। চিদঘন আনন্দের মূর্তি সেই রাম মূর্তি (Ramakrishna)।

প্রহ্লাদ কখন দেখতেন সোহম (Ramakrishna), আবার কখন দাস ভাব থাকতেন। ভক্তি না নিলে কি নিয়ে থাকে? তাই সেব্য সেবক ভাব আশ্রয় করতে হয়। তুমি প্রভু আমি দাস। হরি রস আস্বাদন করবার জন্য।। রস রসিকে ভাব। হে ঈশ্বর তুমি রস আমি রসিক।

ভক্তির আমি। বিদ্যার আমি। বালকের আমি। এতে দোষ নাই। শঙ্করাচার্য বিদ্যার আমি রেখেছিলেন, লোক শিক্ষা (Ramakrishna) দেবার জন্য। বালকের আমির আঁট নাই। বালক গুণাতীত। কোনও গুণের বস নয়। এই রাগ করলে আবার কোথাও কিছু নাই। এই খেলাঘর করলে, আবার ভুলে গেলে। এই খেলুড়েদেরদের ভালোবাসছে, আবার কিছুদিন তাদের না দেখলে তো সব ভুলে গেল। বালক সত্ত্ব রজঃ তমঃ কোনও গুণের বশ নয়।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share