Ramakrishna 389: কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে

ramkrishna kathamrita by mahendra gupta 430th copy

 এইবার ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতে কহিতে ঘরে ফিরতেছেন। বকুলতলায় ঘাটের কাছে আসিয়া বসিলেন, আচ্ছা এই যে কেউ কেউ অবতার বলছে তোমার কি বোধ হয়?

কথা কহিতে কহিতে ঘরে আসিয়া পড়িলেন। চটি জুতা খুলিয়া ছোট খাটটিতে বসলেন। খাটের পূর্ব দিকের পাশে একখানে পাপোশ আছে। মাস্টার তাহার উপর বসিয়া কথা কহিতেছেন। ঠাকুর ওই কথা আবার জিজ্ঞাসা করিতেছেন। অন্যান্য ভক্তরা একটু দূরে বসিয়া আছেন। তারা এ সকল কথা কিছু বুঝিতে পারিতেছেন না।

শ্রীরামকৃষ্ণ- তুমি কি বলো?

মাস্টার- আজ্ঞা আমারও তাই মনে হয়। যেমন চৈতন্যদেব ছিলেন।

শ্রী রামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- পূর্ণ না অংশ? না কলা? ওজন বলোনা।

মাস্টার- আজ্ঞে ওজন বুঝতে পারছি না। তবে তাঁর শক্তি অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি তো আছেনই।

শ্রী রামকৃষ্ণ- হ্যাঁ চৈতন্যদেব শক্তি চেয়েছিলেন (Kathamrita)।

ঠাকুর কিন্তু চুপ করিয়া রহিলেন। পরেই বলিতেছেন- কিন্তু ষড়ভুজ

মাস্টার ভাবিতেছেন। চৈতন্যদেব ষড়ভূজ হয়েছিলেন। ভক্তরা দেখিয়াছিলেন ঠাকুর একথা উল্লেখ কেন করিলেন!

(পূর্বকথা- ঠাকুরের উন্মাদ ও মার কাছে ক্রন্দন, তর্ক বিচার ভালো লাগেনা)

ভক্তেরা অদূরে ঘরের ভেতর বসিয়া আছেন। নরেন্দ্র বিচার করিতেছেন। রাম সবে অসুখ থেকে সেরে এসেছেন। তিনিও নরেন্দ্র সঙ্গে (Kathamrita) ঘোরতর তর্ক করছেন। ঠাকুর দেখিতেছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)- আমার এসব বিচার ভালো লাগেনা।

শ্রী রামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)- থাম তোমার একে অসুখ

মাস্টারের প্রতি- আমার এসব ভালো লাগেনা। আমি কাঁদতুম। আর বলতুম, মা এ বলছে এই এই। ও বলছে আর একরকম। কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share