Ramakrishna 390: ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন, ছোকরা ভক্তদের দেখিতেছেন ও আনন্দে বিভোর হইতেছেন

https://www.madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-347th-copy

শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (মাস্টারের প্রতি)- আমার এসব বিচার ভালো লাগেনা।

শ্রী রামকৃষ্ণ (রামের প্রতি)- থাম তোমার একে অসুখ

মাস্টারের প্রতি- আমার এসব ভালো লাগেনা। আমি কাঁদতুম। আর বলতুম, মা এ বলছে এই এই। ও বলছে আর একরকম। কোনটা সত্য তুই আমায় বলে দে।

শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে আনন্দে বসিয়া আছেন। বাবুরাম ছোট নরেন, পল্টু, হরিপদ, মোহিনী মোহন ইত্যাদি ভক্তেরা মেঝেতে বসে আছেন। একটি ব্রাহ্মণ যুবক দুই-তিন দিন ঠাকুরের কাছে আছেন। তিনিও বসিয়া আছেন। আজ শনিবার ২৫ শে ফাল্গুন ৭ মার্চ ১৮৮৫। বেলা আন্দাজ তিনটা আর চৈত্র কৃষ্ণা সপ্তমী।

শ্রী শ্রী মা, নহবতে আজকাল আছেন তিনি মাঝে মাঝে ঠাকুরবাড়িতে আসিয়া থাকেন। শ্রীরামকৃষ্ণের সেবার জন্য। মোহিনী মোহনের সঙ্গে স্ত্রী। নবীন বাবুর মা গাড়ি করিয়া আসিয়াছেন। মেয়েরা নহবতে গিয়া শ্রী শ্রী মাকে দর্শন ও প্রণাম করিয়া সেই খানেই আছেন। ভক্তেরা একটু সরে গেলে ঠাকুরকে আসিয়া প্রণাম করিবেন। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন। ছোকরা ভক্তদের দেখিতেছেন ও আনন্দে বিভোর হইতেছেন। রাখাল এখন দক্ষিণেশ্বরে আসেন না। কয় মাস বলরামের সহিত বৃন্দাবনে ছিলেন। ফিরিয়া আসিয়া এখন বাটিতে আছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে) – রাখাল এখন পেনশন খাচ্ছে। বৃন্দাবন থেকে এসে এখন বাড়িতে থাকে। বাড়িতে পরিবার আছে। কিন্তু আবার বলেছে হাজার টাকা মাহিনা দিলে ও চাকরি করবে না। এখানে শুয়ে শুয়ে বলত, তোমাকেও ভালো লাগেনা। এমনই তার একটি অবস্থা হয়েছিল।

ভবনাথ বিয়ে করেছে কিন্তু সমস্ত রাত্রি স্ত্রীর সঙ্গে কেবল ধর্মকথা কয়। ঈশ্বরের কথা নিয়ে দুজনে থাকে, আমি বললাম পরিবারের সঙ্গে একটু আমোদ আহ্লাদ করবি। তখন রেগে রোক করে বললে কি আমরাও আমদ আহ্লাদ নিয়ে থাকব।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share