Ramakrishna 392: অজ্ঞান কাঁটা তুলবার জন্য জ্ঞান কাঁটা জোগাড় করতে হয়

ramkrishna kathamrita by mahendra gupta 430th copy

জজ অনুকূল মুখোপাধ্যায় জামাইয়ের ভাই আসিয়াছেন

শ্রী রামকৃষ্ণ- তুমি নরেন্দ্র কে জানো?

জামাইয়ের ভাই- আজ্ঞে হ্যাঁ নরেন্দ্র বুদ্ধিমান ছোকরা।

শ্রী রামকৃষ্ণ (ভক্তদের প্রতি)- ইনি ভালো লোক। যে কালে নরেন্দ্রের সুখ্যাতি করেছেন, সেদিন নরেন্দ্র এসেছিল। ত্রৈলোকের সঙ্গে সেদিন গান গাইলে কিন্তু ও গানটি সেদিন আলুনি লাগলো।

বাবুরাম ও দুদিক রাখা, জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও

ঠাকুর বাবুরামের দিকে চাহিয়া কথা কহিতেছেন। মাস্টার যে স্কুলে অধ্যাপনা করেন, বাবুরাম সে স্কুলে এন্ট্রান্স ক্লাসে পড়েন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (বাবুরামের প্রতি)- তোর বই কই, পড়াশোনা করবি না

মাস্টারের প্রতি- ও দুদিক রাখতে চায়।

বড় কঠিন পথ। একটু তাঁকে জানলে কি হবে। বশিষ্ঠ দেব তারই পুত্র শোক হল। লক্ষণ অবাক হয়ে রামকে জিজ্ঞাসা করলেন। রাম বললেন, ভাই আর আশ্চর্য কি, যার জ্ঞান আছে তার অজ্ঞান আছে। ভাই তুমি জ্ঞান-গানের পার হও। পায়ে কাঁটা ফুটলে, আরেকটি কাঁটা খুঁজে আনতে হয়। সেই কাঁটা দিয়ে প্রথম কাঁটা তুলতে হয়। তারপর দুটি কাঁটাই ফেলে দিতে হয়। তাই অজ্ঞান কাঁটা তুলবার জন্য জ্ঞান কাঁটা জোগাড় করতে হয়। তারপর জ্ঞান-অজ্ঞানের পারে যেতে হয়।

বাবুরাম (সহাস্যে)- আমি ওইটি চাই।

বাবুরাম (সহাস্যে)- আপনি নিয়ে আসুন

শ্রী রামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)- রাখাল ছিল সে এক। তার বাপের মত ছিল। এরা থাকলে হাঙ্গামা হবে।

(বাবুরামের প্রতি)- তুই দুর্বল। তোর সাহস কম। দেখ দেখি ছোট নরেন কেমন বলে আমি এক্কেবারে এসে থাকব।

এতক্ষণে ঠাকুর ছোকরা ভক্তদের মধ্যে আসিয়া মেঝেতে মাদুরের উপর বসিয়া আছেন। মাস্টার তাঁহার কাছে বসিয়া আছেন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share