Ramakrishna 393: “ওগো, তুমি আমার কী করলে গো! আমার যে বাবা-মা আছে গো!”

https://madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-354th-copy

বাবুরাম (সহাস্যে)- আমি ওইটি চাই।

বাবুরাম (সহাস্যে)- আপনি নিয়ে আসুন

শ্রী রামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)- রাখাল ছিল সে এক। তার বাপের মত ছিল। এরা থাকলে হাঙ্গামা হবে।

(বাবুরামের প্রতি)- তুই দুর্বল। তোর সাহস কম। দেখ দেখি ছোট নরেন কেমন বলে আমি এক্কেবারে এসে থাকব।
এতক্ষণে ঠাকুর ছোকরা ভক্তদের মধ্যে আসিয়া মেঝেতে মাদুরের উপর বসিয়া আছেন। মাস্টার তাঁহার কাছে বসিয়া আছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারকে)- আমি কামিনী কাঞ্চন-ত্যাগী খুঁজছি। মনে করি, এ বুঝি থাকবে। সকলেই এক একটা ওজর করে।

একটা ভূত সঙ্গী সঙ্গী খুঁজছিল। শনি-মঙ্গলবারে অপঘাতে মৃত্যু হলে ভূত হয়—তাই সে ভূতটা যেই দেখত, কেউ ছাদ থেকে পড়ে গেছে কি হোঁচটে মূর্ছিত হয়ে পড়েছে, অমনি দৌড়ে যেত। এই মনে করে যে, এটার অপঘাতে মৃত্যু হয়েছে, এবার ভূত হবে, আর আমার সঙ্গী হবে। কিন্তু তার এমনই কপাল যে, যাকেই দেখে, সব শালারা বেঁচে ওঠে—সঙ্গী আর জোটে না।

দেখ না, রাখাল পরিবার পরিবার করে বলে, “আমার স্ত্রীর কী হবে?” নরেন্দ্র বুকে হাত দেওয়াতে বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিল, তখন বলে, “ওগো, তুমি আমার কী করলে গো! আমার যে বাবা-মা আছে গো!”

আমায় তিনি এ অবস্থায় রেখেছেন কেন? চৈতন্যদেব সন্ন্যাস করলেন—সবাই প্রণাম করবে বলে; যারা একবার নমস্কার করবে, তারা উদ্ধার হয়ে যাবে।

ঠাকুরের জন্য মোহিনী মোহন চ্যাংড়া করিয়া সন্দেশ আনিয়াছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণ- সন্দেশ কার?

বাবুরাম- মোহিনীকে দেখাইয়া দিলেন।

ঠাকুর ‘প্রণব’ উচ্চারণ করিয়া সন্দেশ স্পর্শ করিলেন ও কিঞ্চিৎ গ্রহণ করিয়া প্রসাদ করিয়া দিলেন। অতঃপর সেই সন্দেশ লইয়া ভক্তদের দিতেছেন। কী আশ্চর্য, ছোট নরেনকে ও দুই-একটি ছোকরা ভক্তকে নিজে খাওয়াইয়া দিতেছেন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share