শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে: “একটা কোলা ব্যাঙ হেলে সাপের পাল্লায় পড়েছিল। সাপ ওটাকে গিলতেও পারছে না, ছাড়তেও পারছে না। আর কোলা ব্যাঙটা যন্ত্রণায় ক্রমাগত ডাকছে। ঢোঁড়া সাপটারও যন্ত্রণা। কিন্তু গোখরো সাপের পাল্লায় যদি পড়ত, তাহলে দু’এক ডাকেই শান্তি হয়ে যেত।”
— সকলের হাস্য।
ছোকরা ভক্তদের প্রতি:
“তোরা ‘ত্রৈলোক’-এর সেই বইখানা পড়িস—ভক্তি-চৈতন্যচন্দ্রিকা। তার কাছ থেকে একখানা চেয়ে নিস। বেশ চৈতন্যদেবের কথা আছে।”
একজন ভক্ত: তিনি দেবেন কি
শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে): “কেন, কাঁকুড় ক্ষেত্রে যদি অনেক কাঁকুড় হয়ে থাকে, তাহলে মালিক দু-তিনটা বিলিয়ে দিতে পারেন, সকলের হাস্য। ওমনি কি দেবেন না? কী বলিস?”
শ্রীরামকৃষ্ণ (পল্টুর প্রতি): “আসবি, এখানে একবার পল্টু সুবিধা হলে আসিস। আমি কলকাতায় যেখানে যাব, তুই যাবি?”
পল্টু: “যাবো, চেষ্টা করব।”
শ্রীরামকৃষ্ণ: “ওই তো পাটোয়াড়ি! চেষ্টা করব না বললে যে মিছে কথা হবে।”
(ঠাকুর তখন হরিপদের সঙ্গে কথা বলছেন)
শ্রীরামকৃষ্ণ (হরিপদের প্রতি): “মহেন্দ্র এমুখো কেন আসে না?”
হরিপদ: “ঠিক বলতে পারি না।”
শ্রীরামকৃষ্ণ: “মাস্টার আসছে, তিনি জ্ঞানযোগ করছেন।”
হরিপদ: “না, সেদিন প্রহ্ল্লাদ চরিত্র দেখাবে বলে গাড়ি পাঠিয়ে দেবে বলছিল, কিন্তু দেয় নাই। বোধ হয় এইজন্য আসে না।”
মাস্টার: “একদিন মহিম চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা ও আলাপ হয়েছিল। সেইখানে যাওয়া-আসা করেন বলেই বোধ হয়।”
শ্রীরামকৃষ্ণ: “কেন, মহিম তো ভক্তির কথাও কয়। সে তো ওইটা খুব বলে।”
মাস্টার: “সব শেষে আপনি বলেন, তাই বলি।”
শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষ আজকাল ঠাকুরের কাছে নতুন করে যাতায়াত শুরু করেছেন। তিনি সর্বদা ঠাকুরের কথায় নিমগ্ন থাকেন।
Leave a Reply