শ্রীরামকৃষ্ণ- এখানে থাকবেন।
পরিবার- এসে কিছুদিন থাকব—নহবতে মা আছেন, তাঁর কাছেই।
শ্রীরামকৃষ্ণ তখন বলছেন—
“তুমি যে বল, মরবার কথা—তাই ভয় হয়।”
আবার পাশে গঙ্গা
বসু, বলরাম মন্দিরে, গিরিশ মন্দিরে ও দেবেন্দ্র ভবনে ভক্তদের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ।
১৮৮৫ সালের ১১ই মার্চ
শ্রীরামকৃষ্ণের বলরামের গৃহে আগমন এবং তাঁর সঙ্গে নরেন্দ্র, গিরিশ, বলরাম, চুনিলাল, লাটু, মাস্টার, নারায়ণ প্রভৃতি ভক্তদের কথোপকথন ও আনন্দময় সময়।
তিথি: ফাল্গুন কৃষ্ণ দশমী, নক্ষত্র: পূর্বাষাঢ়া,
তারিখ: ২৯শে ফাল্গুন, বুধবার, ইংরেজি ১১ই মার্চ, ১৮৮৫।
আজ আনুমানিক বেলা দশটার সময় শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বর হতে বলরাম বসুর গৃহে (বলরাম মন্দিরে) আগমন করেন।
সেখানে শ্রী শ্রী জগন্নাথের প্রসাদ গ্রহণ করেন।
সঙ্গে ছিলেন লাটু প্রভৃতি ভক্ত।
ধন্য বলরাম! তোমারই আলোয় আজ ঠাকুরের প্রধান কর্মক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
কত নতুন নতুন ভক্তকে আকর্ষণ করে প্রেমের বন্ধনে বেঁধে ফেললেন!
ভক্তদের সঙ্গে ছিলেন, গান গাইলেন—যেন শ্রীগৌরাঙ্গ শ্রীবাস মন্দিরে প্রেমের হাট বসিয়েছেন।
দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে বসে কাঁদতেন ঠাকুর।
কোনও অন্তরঙ্গ ভক্তকে দেখবেন বলে ব্যাকুল হতেন।
রাত্রে ঘুম হত না।
মাকে বলতেন—
“মা, ওর বড় ভক্তি। ওকে টেনে নাও মা।
একবার এখানে এনে দাও।
সে যদি নিজে না আসতে পারে, তবে মা, আমায় সেখানে নিয়ে চলো।
আমি গিয়ে দেখে আসি।”
এই কারণেই বলরামের বাড়িতে ছুটে ছুটে আসতেন।
লোককে বলতেন—
“বলরামের এখানে জগন্নাথের সেবা হয়। খুব শুদ্ধ।
যখন আসেন, অমনি বলরামকে পাঠান—
‘নরেন্দ্রকে, ভবনাথকে, রাখালকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসো।
এদের খাওয়ালে নারায়ণকে খাওয়ানো হয়।
এরা সাধারণ কেউ নয়—এরা ঈশ্বরস্বরূপ।
তাদের খাওয়ালে তোমার বড় উপকার হবে।”
Leave a Reply