Ramakrishna 436: আমার এসব ভয়ানক পণ্ডিতদের মতো এক ছটাক জ্ঞানে রহস্য ভেদ করতে যাবার প্রয়োজন নাই

https://www.madhyom.com/ramakrishna-kathamrita-by-mahendranath-gupta-360th-copy

সত্যই কি ঈশ্বর মানুষদেহ ধারণ করে আসেন? অনন্তকে শান্ত হয়? বিচার তো অনেক হলো — কি বুঝলাম? বিচারের দ্বারা কিছুই বুঝলাম না। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ অতিব স্পষ্ট বললেন — “যতক্ষণ বিচার, ততক্ষণ বস্তু লাভ হয় নাই, ততক্ষণ ঈশ্বরকে পাওয়া যায় নাই।”

তাও বটে। এই তো এক ছটাক বুদ্ধি — এর দ্বারা আর কী বুঝবো ঈশ্বরের কথা? তবে আবদার, বিশ্বাস কিরূপে হয়?

ঠাকুর বললেন — “ঈশ্বর যদি দেখিয়ে দেন দপ করে, তাহলে একদণ্ডেই বোঝা যায়।”

তাহলে একদণ্ডেই বোঝা যায় গ্যোতে মৃত্যুশয্যায় বলেছিলেন “লাইট, মোর লাইট!” তিনি যদি দপ করে আলো জ্বেলে দেখিয়ে দেন।

যেমন প্যালেস্টাইনের মূর্খ ধীবরেরা যিশুকে অথবা শ্রীবাসাদি ভক্ত শ্রীগৌরাঙ্গকে পূর্ণাবতার দেখেছিলেন।

যদি দপ করে তিনি না দেখান তাহলে উপায় কী? কেন যে কালে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন, “কথা শেখালে অবতার বিশ্বাস করব?” তিনিই শিখিয়েছেন—বিশ্বাস, বিশ্বাস আর বিশ্বাস।

“তোমার এই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা,
এ সমুদ্রে আর কভু হবো নাকো পথহারা।”

আমার তাঁর বাক্যে ঈশ্বরকৃপায় বিশ্বাস হয়েছে। আমি বিশ্বাস করবো, অন্য যা করে করুক আমি এই দুর্লভ বিশ্বাস কেন ছাড়বো? বিচার থাক, জ্ঞানচর্চা করে কি একটা ফার্স্ট হতে হবে?

গভীর রজনীর মধ্যে বাতায়নপথে চন্দ্রকিরণ আসিতেছে, আর ফার্স্ট নাকি? একাকী ঘরের মধ্যে হায়! কিছুই জানিতে পারিলাম না! সায়েন্স, ফিলোসফি—বৃথা অধ্যয়ন করিলাম! এই জীবন, নে ধিক!

এই বলিয়া বিষের শিশি লইয়া আত্মহত্যা করিতে বসবেন না। এলাস্টারের মতো অজ্ঞানের বোঝা বইতে না পেরে শিলাখণ্ডের উপর মাথা রেখে মৃত্যুর অপেক্ষাও করিব না।

আমার এসব ভয়ানক পণ্ডিতদের মতো এক ছটাক জ্ঞানে রহস্য ভেদ করতে যাবার প্রয়োজন নাই। বেশ কথা—গুরুবাক্যে বিশ্বাস।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share